তার নামটা না’ই বললাম। বললে হয়তো অনেকই তাকে চিনে ফেলে তার বিড়ম্বনাকে আরও একটুখানি বাড়িয়ে দেবেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সৈনিক। ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে সুন্দরবন সাব সেক্টরের উপাধিনায়ক (টু-আই-সি) ছিলেন। দোর্দন্ড প্রতাপশালী এক ফিউডাল লর্ডের ছেলে হয়েও কৈশোর থেকেই সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্যে লড়েছেন।
ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন সময়ে কৃষকদের দূরাবস্থা সহ্য করতে না পেরে বেড়ীবাঁধ কেটে দেওয়ার অপরাধে পাকিস্তানের সামরিক আদালত অনুপস্থিত বিচারে তার মৃত্যুদন্ড এবং দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়। ফিউডাল লর্ডের ছেলের পক্ষে সেসময়ে পালিয়ে থাকা খুব সহজ কোন ব্যাপার ছিলো না। তারপরও অনেকদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর তিনি গ্রেপ্তার হলে বিচারক এই হাফ প্যান্ট পরা কিশোরকে দেখে দয়াপরাবশ হয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রত্যাহার করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়। সেই থেকে তার কারাজীবন শুরু।
৬৯এর গণঅদ্ভূথ্যানে প্রাণপ্রিয় বন্ধু আসাদকে পাশে দাড়িয়ে থেকে গুলি খেতে দেখেন। পরে প্রথম পুত্র সন্তানের ভালোনাম প্রিয় বন্ধুর নামে রাখেন।
১৯৬২ সালে সরকারী পিসি কলেজের নির্বাচিত জিএস ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন। ৭১এর স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার নেতৃত্বে অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আমি দিনক্ষণ সঠিক বলতে পারবো না তবে বিভিন্ন বইতে তার নেতৃত্বে সংঘটিত কিছু যুদ্ধের বিবরণ পাওয়া যায়। সেরকম দু’টো ঘটনা হচ্ছে-
১। তুষখালি খাদ্য গুদাম রাজাকারদের একটা দূর্ভেদ্য ঘাটি ছিলো। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে এক সফল হামলা চালিয়ে সেটা দখল করে নেয়। সেই অভিযানে ধরা পড়া সবগুলো রাজাকারকে তখনই মেরে ফেলা হয়েছিলো।
২। রায়েন্দা বাজারের নাসির মিয়ার দোতলা বিল্ডিং রাজাকাররা দখল করে নিয়ে তাদের ঘাঁটি গেড়েছিলো। খুব সম্ভবত ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১এ, অধিনায়কের প্রচন্ড অসুস্থতার কারণে তিনি রায়েন্দা বাজার দখলের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার এই যুদ্ধে রায়েন্দা বাজারের পতন ঘটে এবং সেখানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান তিনি। এই অভিযানে আসাদ, টিপু সুলতান, আলাউদ্দিন, আর বাকী দুজনের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা, এরা পাঁচজন শহীদ হন। প্রসঙ্গত বলি, নাসির মিয়া প্রয়াত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান বাদলের পিতা এবং আমার পিতার মামা।
তিনি ব্যাক্তিগতভাবে রাজাকারদের ক্ষমায় বিশ্বাসী ছিলেন না এবং তাদেরকে বন্দী করে রেখে ফাও খাওয়ানোও তার অপছন্দের ছিলো। কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার নান্না মিয়াকে হত্যা করেছিলেন ১৯৭১ সালে এবং তার মুন্ডু নিয়ে এলাকার মানুষ ফুটবল খেলেছিলেন। পরে তার নামে নান্না মিয়া হত্যা মামলা দায়ের করা হয় এর্শাদের সামরিক শাসনামলে। যেদিন এই মামলা আদালতে উঠেছিলো, আমার মনে আছে, খুলনার সমস্ত আইনজীবি সেদিন সেই এজলাসে দলমত নির্বিশেষ উপস্থিত হয়েছিলেন। মুভ করেছিলেন সম্ভবত শেখ রাজ্জাক আলী। রাজনৈতিক মতভিন্নতা থাকলেও সেদিন আওয়ামী লীগ সমর্থক সিনিয়র আইনজীবিরাও তার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকাররা তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়। তার বড় দুই ভাই যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহায়তা করতেন, তারা গৃহহারা হন এক রাতে।
দেশের স্বাধীনতার সূর্য ঠিকই ছিনিয়ে আনেন তারা। কিন্তু তারপর তার জীবনে নেমে আসে দূর্যোগ। দুই বার রক্ষীবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে অমানবিক দৈহিক নির্যাতন ভোগ করেন যার ব্যাথা আজও তার সারা শরীরে ঘুরে বেড়ায়। কোমরে লোহার বেল্ট পরে থাকতে হয়।
মাওলানা ভাষানীর ফারাক্কা লংমার্চে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। ছয় বছর বয়সের অবুঝ শিশু (রাতঃস্মরণীয়) সেদিন তার সাথে ছিলো ওই লংমার্চে।
এর্শাদের সামরিক আমলে এসে তাকে বিনা বিচারে জেলে কাটাতে হয়েছে ৪ বছর। তার পরও তিনি নত হননি এর্শাদের কাছে। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের মোহ তাকে কাবু করতে পারেনি।
যে শিক্ষার আলো প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে তিনি সদা সচেষ্ট ছিলেন, নিজের পৈত্রিক জমিজমা দান করে, পকেটের পয়সা খরচ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন, অজপাড়াগাঁয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন; গরীব ছাত্রদের জন্যে ফ্রি শিক্ষার পাশাপাশি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন; সেই স্কুল-কলেজের ছাউনিতে ব্যবহৃত গোলপাতা চোরাকারবারীর মামলা দিয়ে এর্শাদ তাকে জেল খাটিয়েছে।
আওয়ামী লীগের জনৈক সাবেক মন্ত্রী (এবং তার বাল্যবন্ধু) যখম মুক্তিযোদ্ধাদের ‘চুক্তিযোদ্ধা’ বলে গালি দিয়েছেলো, তখন তিনিই তার প্রতিবাদ করেছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবে। এর ফলে সেসময়ে তাকে তার নিজের দলের কিছু নব্য রাজনীতিবিদের হুমকির স্বীকার হতে হয়েছিলো।
জামাতের এমপির ছেলেদের বন উজাড়ের প্রতিবাদে সুন্দরবণ বাঁচাও আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি একধিকবার হামলার স্বীকার হয়েছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম উঠেছে কিন্তু তার কাছে কোনওদিন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ছিলো না। যদিও তিনি কিছুদিন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি যে রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলেন সেই দলের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে তিনি ওই দল থেকে বিতাড়িত হন। এর সাথে তার রাজাকারবিরোধী অবস্থানও অন্যতম একটা কারণ ছিলো।
এখন একটু শিরোনামের দিকে ফিরে যাই। প্রশ্ন জাগে, যদিও তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, কিন্তু আদৌ কি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা? ‘নিও-পেট্রিয়টিজম থিওরি’ অনুসারে নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক দলের সাথে যারা সংশ্লিষ্ঠ ছিলেন বা আছেন তাদের মুক্তিযোদ্ধাত্ব খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা। তিনিও তেমনই একটা দলের সাথে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় যে এই মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্মান পাবেন কিনা তা প্রশ্নবোধক।
ফিউডাল লর্ডের ছেলে হলেও নিজে কখোনেই বড়লোক হতে পারেননি। এখনও আর্থিক অনটনের মধ্যে তার দিন কাটছে। তার উপরে নানারকম শারিরীক অসুস্থতা। একসময় নিজের পাতের খাবার তুলে দিতেন অন্যের মুখে, স্ত্রীর সামান্য গহনা তুলে দিতেন কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার হাতে; তিনি আজ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ২,০০০ বিঘা জমি থেকে অবশিষ্ঠ কয়েক বিঘা জমির উপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন। দেশের কাছে তিনি কখোনেই নিজের জন্যে কিছু চাননি তাই সম্ভবত দেশও তাকে কিছু দেয়নি। সম্পদ-ক্ষমতা-নেতৃত্ব সব হারিয়ে তিনি আজ নিঃস্ব। আজ তার মুক্তিযোদ্ধ পরিচয়ও প্রশ্নবিদ্ধ। তার ঘাড়ের উপর পা রেখে নাচে স্বাধিনতাবিরোধী শক্তি আর নিও-পেট্রিয়টরা। তিনি চায়ের দোকানে বসে শোনেন মেহেরজান সিনেমার কাহিনী। আর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে দেখেন পতাকাশোভিত নিজামীর গাড়ি। দৃষ্টিতে তার শুন্যতা ভর করে। বিড়বিড় করে নিজের সাথে বলতে থাকেন-
একাত্তরে মরে গেলেও অন্তত শহীদ হয়ে থাকতে পারতাম।
মন্তব্য
লেখা পড়ে ভালো লাগলো দাদা। সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা। তবে নামটা উল্লেখ করার অনুরোধ জানাই।
গণঅদ্ভূথ্যানে, ব্যাস্ততা, দূর্যোগ, অবশিষ্ঠ, এর্শাদ, কন্যাদায়গ্রস্থ, সুন্দরবণ, শারিরীক - এমন বেশ কিছু টাইপো রয়ে গেছে। আর সম্ভব হলে লেখায় আরো কিছু তথ্য যোগ করুন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ভাই। নাম অন্য একসময় বলবো। এর্শাদ বাদে অন্যগুলো টাইপিং মিসটেক হয়নি, সঠিক বানান না জানার জন্যেই হয়েছে। তবে কারেকশন করে দেবো। লেখালেখির অনভ্যাসের কারনেই এটা হয়েছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শ্রদ্ধা রইল।
তবে লেখাটা কোন্ কাল থেকে কোন্ কালে এসে শেষ হল সেটা বুঝতে না পারায় কিছুটা ধন্ধ রয়ে গেল। যেমন শুরুতে বললেন উনি এই লেখা পড়তে পারবেন না, আবার শেষের দিকে এসে লিখলেন "এখনও আর্থিক অনটনের মধ্যে তার দিন কাটছে"
যাই হোক, আপনার স্টকে মনে হয় রোমহর্ষক আরো কাহিনী আছে, সেগুলোও আস্তে আস্তে লিখে ফেলেন। হিমুর (নাকি মুস্তাফিজ ভাইয়ের) একটা প্রজেক্ট মনে হয় ছিল--মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প (বা সাক্ষাতকার)-এর সংকলন করা। এই মুহূর্তে লিংকটা পাচ্ছিনা, খুঁজে পেলে আমি যোগ করে দিব।
আর বানানগুলো ঠিক না করলে বুনোর হাতে মাইর খাওয়ার সম্ভাবনা আছে
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই। বলতে চেয়েছিলাম যে উনি তো পুরানো আমলের মানুষ, কম্পিউটারের ধারেকাছেও নেই। তাই ব্লগ পড়তে পারবেন না।
উনি ঢাকায় থাকেন। কেউ চাইলেই তার ইন্টারভিউ নিতে পারেন, যদি উনি দিতে রাজী হন।
বুনোআপু তো আমার পর, তাই বানান ধরিয়ে দেন না। দিলে যে আমার কতখানি উপকার হয়!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই নিন-
সাক্রিয় > সক্রিয়
অংশগ্রহন > অংশগ্রহণ
না’ই > না-ই
দোর্দন্ড > দোর্দণ্ড
দূরাবস্থা > দুরবস্থা
বেড়ীবাঁধ > বেড়িবাঁধ
মৃত্যুদন্ড > মৃত্যুদণ্ড
সেসময়ে > সে সময়ে
মৃত্যুদন্ডাদেশ > মৃত্যুদণ্ডাদেশ
কারাদন্ড > কারাদণ্ড
গণঅদ্ভূথ্যানে > গণঅভ্যুত্থানে
দাড়িয়ে > দাঁড়িয়ে
দূর্ভেদ্য > দুর্ভেদ্য
ঘাটি > ঘাঁটি
প্রচন্ড > প্রচণ্ড
মুহুর্তে > মুহূর্তে
পড়ছেনা > পড়ছে না
এর্শাদ > এরশাদ
আইনজীবি > আইনজীবী
দূর্যোগ > দুর্যোগ
দুই বার > দুইবার
ব্যাথা > ব্যথা
ভাষানী > ভাসানী
বিনা বিচারে > বিনাবিচারে
দিয়েছেলো > দিয়েছিলো
হুমকির স্বীকার > হুমকির শিকার
সুন্দরবণ > সুন্দরবন
শারিরীক > শারীরিক
কখোনেই > কখনোই
শুন্যতা > শূন্যতা
সত্যি?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। এগুলো ঠিক করে ফেলবো। মাঝে মাঝে এমন ফিডব্যাক দিতে ভূলবেন না আশাকরি।
জ্বী, যতদূর শুনেছি সত্যি। বিক্ষুব্ধ মানুষের ক্ষোভের ফল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২, সিবিএস নিউজের রিপোর্ট, খুলনা অঞ্চলের ওপর।
রাতঃস্মরণীয়, আপনার পিতাকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন।
ধন্যবাদ হিমু। অত্যন্ত মূল্যবান একটা দলিল। খুলনার মানুষ হয়েও এরকম একটা প্রামান্য আমি আগে দেখিনি।
খুলনা যেমন জন্ম দিয়েছে সবুর খান, রজব আলি, মাওলানা ইউসুফদের; তেমনই জন্ম দিয়েছে হাজারো বীর মুক্তিসেনানীর। এরাই খুলনার মাটিকে পরিশুদ্ধ করেছেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
খুলনার খান এ সবুর রোডটার নাম বদলানো দরকার।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই রোডটার নাম ছিলো আপার যশোর রোড। যতদূর মনে পড়ছে লেজেহোমো এর্শাদ এই খান-এ-সবুর রোড নামটা অনুমোদন এবং উদ্ধোধন করেছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চাচাকে আমার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
(আগে একটা কমেন্ট করেছিলাম, কই গেলো বুঝতেছি না!)
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য। একটা অনিবার্য কারনে মডারেটরকে প্রথম কমেন্টের থ্রেডটা মুছতে অনুরোধ করেছিলাম। ওখানে আপনার প্রথম কমেন্টটা ছিলো এবং মুছে গেছে। এজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবাকে সালাম জানাই। -রু
ধন্যবাদ আপনাকে রু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা
- আয়নামতি
ধন্যবাদ আপনাকে আয়নামতি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মডারেটরকে অনুরোধ করছি আমার আগের মন্তব্যটা (এই পোস্টের প্রথম মন্তব্য) মুছে দেয়ার জন্য। মন্তব্যে উদ্ধৃত অংশটুকু পোস্টে আর নেই, মন্তব্যটাও আর প্রাসঙ্গিক নয়।
আপনার বাবার প্রতি আমার সালাম। ওনার নামটা জানাবেন।
ধৈবত
ধন্যবাদ ধৈবত। ওনার নামটা অন্য একসময়ে জানাবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। আপনাকে ২ এপ্রিলের দিকে একটা কল দেবো। ওই সময়ে ঢাকায় থাকবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছোটো, তোমার সৌভাগ্যকে ঈর্যা করি।
চাচাজানকে বড়ই দেখতে ইচ্ছে করছে। দূর থেকে চুপিসারে দেখে আসব, কারণ কাছে গিয়ে ব্যর্থতার লজ্জার মুখ কি করে দেখাব তাঁকে?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ বস। একসময় পরিচয় করিয়ে দেবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার পিতাকে আমার শ্রদ্ধা। সম্ভবত আমরা বিস্মৃতিপ্রবণ জাতি বলেই ইতিহাস ভুলে যাই এবং শেষমেষ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবেও তা বিকৃত করে ফেলি। আপনার লেখাটাকে আমি ইতিহাসের অংশ হিসেবেই দেখছি। তাই সাময়িক আবেগবশে পিতার নামটা উল্লেখ না-করা কোনভাবেই মানতে পারি না। এই লেখাটা থেকে যাবে সময়ের চিহ্ন হয়ে, কিন্তু যাঁকে নিয়ে লেখা তাঁর নাম উল্লেখ না-থাকার কারণে শেষপর্যন্ত লেখাটা লক্ষ্যহীন বা উৎসহীন থেকে যাবে, যা মোটেও কাম্য নয়। আপনি দয়া করে পোস্টের ভেতরে আপনার পিতার নামটা জুড়ে দিলে লেখাটা তার কার্যকর অবয়ব পেয়ে যায়।
হয়তো আপনার ব্যক্তিগত আবেগ জড়িত এখানে। কিন্তু আমি বললাম ইতিহাস পর্যবেক্ষণের অনিবার্য দৃষ্টি নিয়ে। আমার কথায় মনে কষ্ট নেবেন না আশা করি। আর সম্ভব হলে পোস্টের সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে ঘটনার সন তারিখ উল্লেখ করে দিতে পারেন। এগুলো দলিল হয়ে থাকুক। অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রনদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বিভিন্ন কারণে পিতার সাথে আমার অনেক দূরত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবং লেখাটা দিয়েছি তাকে না জানিয়ে। সেজন্যেই তার নামপ্রকাশে দ্বিধা।
তবে যেটা আমি করতে যাচ্ছি, ঢাকায় এসে কাউকে খুজে বের করবো যিনি পিতার সাথে কয়েকটা দিন থেকে, তার কাছে থেকে বক্তব্য/স্মৃতিচারণ রেকর্ড করে একটা পান্ডুলিপি দাঁড় করাতে পারবেন। ইচ্ছে আছে একটা বই অন্তত যদি প্রকাশ করা যায় তবে তিনি ইতিহাসে পঠিত হবেন। অনেক ইতিহাস অলিখিত থাকায় এবং ইতিহাস বিকৃতির ধারায় কতো মানুষ যে হারিয়ে গেছেন তার ইয়ত্তা নেই। তাই এই চেষ্টাটুকু করতে চাই। ওনার স্মৃতিশক্তি অসাধারন। ৫০/৬০ দশকের থেকে আজ অবধি, ঘটনা, সাল, দিন-তারিখ, সবকিছু তার নখদর্পনে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-সুকান্ত থাকে তার ঠোটের আগায়। আর বাংলা ও ইংরেজি, দুই ভাষাতেই তার অগাধ দখল। তবুও আমি চাই তিনি কারো সাথে গল্প করুন, নিজে লেখার থেকে গল্পেই তার আবেগ বেশি বেরিয়ে আসবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবাকে আমাদের সবার শ্রদ্ধা জানাবেন।
ধন্যবাদ বইখাতা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা।
ধন্যবাদ দ্রোহী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবাকে শ্রদ্ধা আর সালাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ আপু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বিস্মৃতি স্বেচ্ছাকৃত্য ... ভবিতব্য নয়
আপনার মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ অনিন্দ্য ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চাচার মত সাচ্চা মুক্তিযুদ্ধাদের কোন স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিকতা দরকার হয় না। তিনি এবং তার মার্গের মুক্তিযুদ্ধাবৃন্দ নিজ নিজ ত্যাগ দ্বারা দেশমাতার কাছ থেকে আরও অনেক বড় স্বীকৃতি সেই একাত্তরেই অর্জন করেছেন। দেশমাতা যাদের মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে গ্রহন করেছেন তাদের আর কোন বাহুল্য দরকার নেই। প্রকৃত দেশ প্রেমিক দেশবাসীর শুভ কামনায় তিনি দীর্ঘজীবি হোন এবং তার সকল অভিজ্ঞতার বর্ণনা নূতন প্রজন্মের জন্য লিপিবদ্ধ করে যেতে পারবেন এ আন্তরিক আশাবাদ থাকল।
আপনি আপনার মহান পিতার নাম লেখায় গোপন করলেও এ লেখা থেকে আমরা 'রাতঃস্মরণীয়' ছদ্ম নামের পেছনে লুকিয়ে থাকা আপনার তিন অক্ষরের অমন সুন্দর নামটি জানতে পেরে কৃতার্থ।
আপনার কাছ থেকে আরও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় লেখা পাবার প্রত্যাশায়
- পামাআলে
ধন্যবাদ পামাআলে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান, স্বার্থ আর মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে কেউ যদি বাংলাদেশের পক্ষে থাকেন তাহলে তাঁর দলীয় পরিচয় মুখ্য হতে পারেনা, তিনি আমাদেরই লোক। যে মুক্তিযোদ্ধা আজো এই বিশ্বাস আর অবস্থান ধরে রেখেছেন তাঁকে আভূমি প্রণাম জানানো ছাড়া উপায় নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পান্ডবদা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতশির শ্রদ্ধা জানাই।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ জাতকদা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। সময় নিএয় আরও বিস্তারিত লিখবেন আশা করছি।
আমার চাচা আসাদ (৬৯ গণঅভূত্থান) নিয়ে আমাদের পরিবার থেকে একটি জীবনীভিত্তিক সংকলন প্রকাশের চেষ্টা চলছে (http://www.shaheedasad.com)। যিনি তার ছেলের নাম রাখেন তার প্রিয় বন্ধু'র নামে, তার কাছ থেকে বন্ধু সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি। আমি বাংলাদেশে গেলে অবশ্যই আপনার বাবার সাথে দেখা করব।
ধন্যবাদ খালেদ ভাই। সাবেক জাতীয় ক্রিড়াবিদ শফি সাহেবও তাহলে আপনার চাচা হবেন। আর সম্ভবত প্রিন্সিপ্যাল শরীফ সাহেব ...................................। আমি শফি চাচাকে চিনি। খড়কি পীর বাড়িতে যাতায়ত ছিলো সেই সুবাদে। ছোটবেলায় উনার খেলাও দেখেছি অনেক খুলনা স্টেডিয়ামে।
আসাদ চাচা-আমার পিতার সার্কেলের কয়েকজনকে জানি যাদের মধ্যে ঈসা চাচা মারা গেছেন। আপনিও বাকীদের চিনবেন-
১. তরিকুল ইসলাম,
২. খালেদুর রহমান টিটো,
৩. আলী রেজা রাজু,
৪. সৈয়দ ঈসা (প্রয়াত),
৫. চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ,
৬. আবদুল্লাহ আল নোমান।
দেশে আসলে জানাবেন। আমি নিজেও দেশের বাইরে আছি তবে দেশে ফিরে আসছি। ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
[বুঝতে পারছি না সিস্টেম এ কোনো সমস্যা আছে কিনা, নাকি মন্তব্য মডারেশন এর গন্ডি পেরুতে পারছে না!]
একজন মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযোদ্ধাত্ব হারানো তাও ভালো যদি সম্মান না হারিয়ে থাকেন! মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কত দিন? আর ৪০ বছর হয়ে গেলেও এখনো একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নেই! আজকেও খবরে দেখলাম, তালিকায় বাদ পড়া এক লাখ মুক্তিযোদ্ধার নাম যুক্ত হচ্ছে!! এভাবে চললে আরো ৪০ বছর পরেও নতুন নতুন তালিকা করা হবে!
যখন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের ইতিহাস পড়ি বা শুনি, তখন চিন্তা করি আসলেই কি ওনারা ঠিক তেমনি ছিলেন? একটা উদাহরণ দি (অনুগ্রহ করে কেও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এর সরাসরি তুলনায় যাবেন না), এলাকার চরম সন্ত্রাসী একজন প্রতিপক্ষের হাতে কাটা পরলেও দেখা যায় একসময় বলা হয় "উনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন"! কেন এই কথা বললাম, খুব হতাশা থেকে, কারণ এই যে ৪০ বছর পেরিয়ে গেল কোথায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম? স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন আমাদের তালিকা করা নিয়ে সময় ব্যয় করতে হয়, স্বাধীন দেশে কিভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধা রিক্সা চালায় আর কিভাবে একজন স্বীকৃত রাজাকার জাতীয় পতাকা নিজ বাহনে টানিয়ে চলাফেরার অধিকার পায়?
আরেকটি কথা, ইন্টারনেট এ বিভিন্ন পত্রিকা, ব্লগ ইত্যাদি দেখলে মনে হয় মুক্তিযোদ্ধার পরের প্রজন্মের আমরাও এই যুগের একেকজন "মুক্তিযোদ্ধা" কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই আসলে আমরা একেকজন একটা আস্ত নুপন্গ্সুক আর সত্যিকারের "চুক্তিযোদ্ধা"!
লেখকের পিতার প্রতি নির্ভেজাল সম্মান রইলো!
[বি.দ্র. সচলের এডমিন দের মনোযোগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ফায়ারফক্স দিয়ে কমেন্টস করা যায় না কেন?]
আপনাকে ধন্যবাদ MIU. এই প্রশ্ন শুধু আপনার একার না, প্রায় সবারই। মুক্তিযুদ্ধকে এমন নগ্নভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে আগামীতে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লোকজনের নাম এই লিষ্টে খুঁজে পেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহু আগেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং নব্য-মুক্তিযোদ্ধা চক্রের করাল গ্রাসে চলে গেছে। আর পত্রিকায়-ব্লগে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা লেখালেখি করেন, তাদের একটা বড় অংশই আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জামাতের ছানা-মাখন খাওয়া কলমজীবির দল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সালাম এবং শ্রদ্ধা আপনার বাবকে...
ধন্যবাদ মেঘলা ২০১১।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্যস্ততার কারণে বেশ কয়েকদিন ব্লগে আসা হয়নি।
তাই, দেরীতে পড়লাম এরকম একটা পোস্ট।
আপনার বাবাকে সালাম জানাই।
শেষ লাইনটা, মানে-
..............নিজেদের ব্যর্থতায় লজ্জায় মাথা নুঁয়ে এলো।
ধন্যবাদ রাজা ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নিজের কর্ম দিয়ে নিজের জীবন সার্থক করে তুলতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব একটা বেশী না, আপনার পিতা মাতা সেই দলেরই অন্তর্ভুক্ত, পৃথিবীর কোনো সনদের প্রয়োজন নেই একথা প্রমান করতে। তাদের জন্যে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা এবং সেই সাথে আপনাকে ধন্যবাদ দেশের কৃতী সন্তানদের কীর্তি তুলে ধরার জন্য।
- সুমিত রহমান
আপনাকেও ধন্যবাদ সুমিত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার পিতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে প্রথম সাফাই সাক্ষী।
কেন?
আমি খুবই লজ্জা পেলাম হিমু। বিষয়টি আপনার লিংক থেকেই জানলাম। বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা। যেহেতু তার সাথে আমার (বরঞ্চ বলি, আমাদের) বহুবছর হয়ে গেলো সম্পর্ক নেই বললেই চলে, তাই এটা আমি তাকে কখোনোই জিজ্ঞেস করতে যাবোনা (বাস্তবে তার সাথে আমার বাক্যালাপ বছরে ১-২ বার টেলিফোনে, এর বেশি হয়না) হয়তো কারন তার কাছে একটা উত্তর তৈরী থাকবে। তবে আমার একটা পরিকল্পনা ছিলো কাউকে দিয়ে তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক ইতিহাস সংগ্রহ করার, সেটার এখানেই ইতি দিলাম, প্রতিজ্ঞা করছি।
তবে আমি আশ্চর্য হচ্ছি যে তার বিএনপির রাজনীতি ছাড়ার (বহিষ্কারের) পিছনে যে কারনগুলো ছিলো তার মধ্যে অন্যতম ছিলো জামাত বিরোধিতা। আজ কিসের স্বার্থে তিনি এই অপকর্ম করতে গেলো! আমার আর কিছুই বলার নেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় - আপনার জন্য কষ্ট হচ্ছে
এখানে লিখেছে
!!
রাতঃস্মরণীয় - দুঃখিত আপনাকে আবারো লেখার জন্য বিশেষত এমন একটি সময়ে।
এই পোস্টটি আমার ফেসবুক এ শেয়ার করেছিলাম গতবছর অনেক শ্রদ্ধার সাথে - কোট করেছিলাম
আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ন সন্মান জানিয়ে বলছি একটু কি চেস্টা করা যায় কেন এটা তিনি করলেন তা জানার? কিছুটা হলেও আমরা হয়তো জানতে পারতাম রাষ্ট্রীয় অবহেলা, লোভ বা অন্য কি কারনে আমাদের পরম শ্রদ্ধার মানুষগুলো আমাদের এতটা কষ্ট দেয় বা তাদের নিজেদের যুদ্ধ করে পাওয়া দেশটার শত্রুদের পক্ষে হাজির থাকে!
এই বিচারটা হওয়া ভীষন প্রয়োজন
স্যামের মন্তব্যের লিঙ্ক ধরে এ পোস্টে আসা। আগে পোস্ট টা আমি পড়িনি । পড়তে পড়তে আপনার কথা ভেবে খুব ভাল লাগছিল, গর্বও হচ্চিল আপনার বাবার কথা ভেবে । কিন্তু নিচে এসে মন্তব্য পড়ে ধাক্কা খেলাম । আপনার জন্য কষ্ট হচ্ছে। সাথে আমাদের নিজেদের জন্যও।
একজন এর লেখায় আমার চাওয়া
তাজ্জব ব্যাপার!!!!! ভীষন দুঃখজনক! রাতঃস্মরণীয় নিশ্চয়ই জানাবেন।
গোমুজামীদী'দেরর গাড়িতে পতাকা একুশ শতকে- কিন্তু গোমুজামীদী'দের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই সত্তরেই...
একজন রাজাকার সবসময়ই রাজাকার , কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা সবসময় মুক্তিযোদ্ধা নয়।
নতুন মন্তব্য করুন