১৬ এপ্রিল ২০১১ দিনটা ঠিক পহেলা বৈশাখ ছিলোনা। কিন্তু পাকিস্তানে তো এদিনটা আর সরকারী ছুটির দিন না। তাই এমন একটা দিনে আমরা পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করলাম যেটা পড়লো শনিবার, উইকএণ্ড, যাতে সবাই মিলিত হতে পারি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে, না হোক পহেলা বৈশাখ। পাকিস্তানস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজন করেছে দিনব্যাপি বর্ষবরণ উৎসবের।
পাঞ্জাবী বা ফতুয়া পরে স্বাচ্ছন্দ বোধ করিনা, তাই আমার বিয়ের সময়ের গায়ে হলুদের পাঞ্জাবীটা ছাড়া আর কোনও পাঞ্জাবী নেই। অগত্যা শার্ট পরেই যাবো। বাঙালী-সুইডিশ প্রবীন বন্ধু জনাব চৌধুরি আর আমি একসাথে যাবো ঠিক করলাম। দু’জনে কাছাকাছি থাকি আর আমার সাথে গাড়ি আছে, তাই। হাইকমিশনের গেটের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দমাদম ঢাকে বাড়ি পড়লো আর ঝাকানাকা করে ঝাঝর বেজে উঠলো। দেখলাম যে যেই কেউ গাড়ি থেকে নামছেন, অমনি বাদ্যি বেজে উঠছে, অভ্যার্থনা হিসেবে। বেশ লাগলো।
সামনের উঠোনে তখন কেবল ষ্টল সাজানো চলছে। হাইকমিশনের কর্মীরা টেবিল বিছিয়ে পেঁয়াজু বিতরণ করছেন। গেটের একপাশে বাঁদর আর ছাগল নিয়ে দু’জন বসে আছে, খেলা দেখাবে। আমি এবং প্রবীন চা খেতে বাইরে গিয়ে ফিরতে বেশ একটু দেরী করে ফেললাম। এসে দেখি বাঁদরওয়ালারা খেলা দেখিয়ে চলে গেছে। মিস হয়ে গেলো। ভেবেছিলাম চা খেয়ে ফিরে এসে ওদের খেলা দেখানোর সময়ে ছবি তুলবো।
বিশাল সামিয়ানা টানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হাইকমিশনার মহোদয়ের সাথে ভালোই সম্পর্ক হয়ে যাওয়ায় তিনি ডেকে নিয়ে তার টেবিলেই বসালেন। এবার পালা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। শুরুতে দলগত পরিবেশনা হলো এসো হে বৈশাখ এসো এসো। প্রকট সমন্বয়হীনতা কিবোর্ডে, তবলায় এবং কন্ঠে। একটু অনুশীলন করে নিলে বোধহয় এতোটা ম্যাসাকার হয়ে যেতো না। মুস্তাফিজ সাহেব বেশ রেগে উঠলেন এই বলে যে হাইকমিশন অন্যান্য বাংলাদেশীদের পাশ কাটিয়ে নিজেরা পুরো অনুষ্ঠানটা কুক্ষিগত করার কারণেই এমনটা হয়েছে। যাহোক, তার রাগ পড়তেও অবশ্য সময় লাগলো না।
এবার আমাদের সোনামনিরা দলীয় নাচ পরিবেশন করলো। লীলাবালি লীলাবালী ভর যুবতী সইগো কি দিয়া সাজাইলো তারে। বাচ্চাগুলোর নাচের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আছে কি না জানি না তবে ওরা খুবই ভালো নাচলো। দলীয় গানে যতোটা বিরক্ত হয়েছিলাম, বাচ্চাদের এই নাচে মন থেকে সে বিরক্তি দূর হয়ে গেলো।
এরপর প্রতিরক্ষা উইংয়ে কর্মরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য লালনের গান শোনালেন। লোকটা অক্লান্ত খাটুনি খেঁটেছেন এই অনুষ্ঠানটার জন্যে। গলা বেশ ভালো।
এরপর আবার আমাদের সোনামনিরা নাচলো। আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল। অসাধারণ লাগলো ওদের নাচটা। বলে রাখি যে এই পারফরমার বাচ্চাগুলোর প্রায় সবাই ননক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান।
এবার আবার সৈনিক ভাইয়ের নেতৃত্বে দলীয় গান। লোকে বলে বলেরে ঘরবাড়ি বালা নাই আমার। সৈনিক বাদে আর সবাই শখের শিল্পী তাই সমন্বয়হীনতা থাকলেও তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা মুগ্ধ হলাম।
এরপর আমাদের একটা মেয়ে একটা একক নাচ পরিবেশন করলো। আকাশে বাতাসে চল যাই সাথী উড়ে যাই চল ডানা মেলে রে। অসাধারণ লাগলো মেয়েটার নাচ। ভালো প্রশিক্ষণ পেলে আমি নিশ্চিত যে ও আরও ভালো করবে।
এবার কিছু খেলাধুলার পালা। শুরু হলো মিউজিক্যাল চেয়ার। অনেক প্রতিযোগী। শুরু হলো ভাবিদের হুড়োহুড়ি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজী হচ্ছেনা। বৃত্তের মাঝে আবার এক প্রবীন ভাই বিচারক ছিলেন প্রতিযোগী স্ত্রীর ব্যাগ হাতে ঝুলিয়ে নাচে মগ্ন। আমরা কয়েকজন আপত্তি তুললাম। যাদের স্ত্রীরা অংশ নিচ্ছেন তাদের বিচারক হওয়ার ব্যাপারে। আমরা কয়েকজন সাময়িক ব্যাচেলর বিচারক হতে চাইলেও আমাদের দাবী টিকলো না। এর কারণ হলো বিবাহিত লোকগুলো শুধু তাদের বউয়ের ব্যাপারে পক্ষপাতিত্ব করতে পারে কিন্তু আমরা একই সাথে কয়েকজনের বউয়ের ব্যাপারে পক্ষপাত করে বসতে পারি। তাই আমাদের দাবী খারিজ করা হলো আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়ে।
ভগ্ন হৃদয়ে দাড়িয়ে থাকলেন ব্যাচেলরদের মধ্যে তিনজন। ওনারা মুখ হাসি হাসি করে রেখেছেন কিন্তু, অন্তর যায় জ্বলিয়া রে ভাবি কইও গিয়া।
হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে গেলো। সাউণ্ড বক্স আর বাজে না। এবার বাকী প্রতিযোগীদের নিয়ে পিলো পাসিং শুরু হলো। কিন্তু মিউজিক দেবে কে? কেউ কাঁচের গ্লাস আর চামচ নিয়ে আসলো। একজন তো গায়ের গোড়ায় পানি দেওয়ার পাত্র আর ছোট্ট একটা রড নিয়ে হাজির। একজন হাজির তবলা নিয়ে। কিন্তু কোনও আইডিয়াই কারো পছন্দ হয় না। অবশেষে আমি প্রস্তাব করলাম যে বান্দরওয়ালার ডুগডুগি দিয়ে মিউজিক দেওয়া হোক। সবাই তাতে রাজি। কিন্তু দেখে গেলো যে বান্দরওয়ালা ততক্ষণে খেলা দেখিয়ে চলে গেছে। এবার হাইকমিশনার মহোদয়ের ড্রাইভার গুল উনার মার্সিডিস বেঞ্জের সিডি চালিয়ে দিয়ে দরজা খুলে দিলো। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না। অবশেষে সৈনিক ভাই তার ব্যাটারীচালিত কিবোর্ড এনে পিছন ফিরে মিউজিক বাজাতে শুরু করলো। এভাবেই খেলার বাকী অংশ শেষ করা হলো।
শুরু হলো হাটে হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা। আমিও অংশ নিলাম। চোখ বেঁধে চেক করে হাতে একটা লাঠি দিয়ে দেওয়া হলো। বাশি বাজার সাতে সাথে এগোচ্ছি হাড়ির দিকে। হঠাৎ দড়াম করে কে যেনো আমার পিঠে একটা বাড়ি বসিয়ে দিলো। বুঝলাম যে ওটা আমার মতোই একটা কেসি হবে। কি আর করা। হাড়ি ভাঙতে না পেরে, তার উপর পিঠে বাড়ি খেয়ে হতাশ হলাম।
এক রাউণ্ড ক্রিকেটও হয়ে গেলো। বল ছুঁড়ে ষ্ট্যাম্ড ভাঙতে হবে। প্রায় ৫০ জনের মধ্যে থেকে জনাতিনেক সফল হলেন।
এবার খাওয়ার পালা। ভাবিরা ভর্তা আর আচার বানিয়ে এনেছেন। পান্তাভাত ছিলো। আমি এক চামচ পোলাউয়ের সাথে গাদাখানিক বিভিন্ন ভর্তা আর একটু টুকরো মুরগি দিয়ে চালিয়ে দিলাম। রান্ন বেশ ভালো ছিলো। ভর্তা ছিলো অসাধারণ। পরে দেখলাম ভর্তা আর আচারের জন্যে আবার পুরষ্কারও ছিলো। খাবার শেষে হাইকমিশনের কর্মচারী আমাদের মোড়েলগঞ্জের গাজি সাহেব এক গ্লাস স্প্রাইট এগিয়ে দিলেন।
আমি খাবার আগে এক রাউণ্ড এয়ারগান শুটিং করেছিলাম। খেয়ে গিয়ে আবার ওটা নিয়ে পড়লাম। এয়ারগানটার সাইট পিন এবং ব্রিজের এ্যালাইনমেন্ট ঠিক ছিলো না। তারপরও শতখানের গুলির মধ্যে মাত্র ৪-৫টা মিস হলো। আশেপাশে দেখি আমার শুটিং দেখতে ভিড় জমে গেছে। বেশ একটু সেলিব্রিটি সেলিব্রিটি ভাব আসলো আমার মধ্যে। এরপর বেলুন বাদ দিয়ে ছো্ট্ট ছোট্ট পুতুল টার্গেট করলাম। ভালো ফল হলো না। চশমা সাথে ছিলোনা, পুতুল তারপর সিগারেটের মতো ছোট জিনিসে টার্গেট করতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। তাই বাদ দিলাম। এরমধ্যে হাইকমিশনার মহোদয়ের ড্রাইভার গুল এসে একটার পর একটা সিগারেট গুলি করে ফেলে দিতে লাগলো। আমি খুশি হয়ে গুলের গুলির পয়সা দিয়ে দিলাম। গুল একজন পাঠান এবং সে বললো যে টার্গেট প্রাকটিস সে তা মায়ের কাছ থেকে শিখেছে।
এখানে বলে রাখি যে বান্দরের খেলাওয়ালা, এয়ারগানওয়ালা, কুলফি মালাইওয়ালা, হাওয়াই মিঠাইওয়ালা, তারপর খেলনাওয়ালা, এদের সবাইকে বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে যে এরা আমাদের কাছে থেকে সবথেকে কম দাম নেবে এবং এদের লাভের পয়সা দূতাবাস থেকে একটা ধরে দিয়ে দেবে। এটা ভালোই হলো। এতে করে কর্মচারীদের বাচ্চারা মনভরে কেনাকাটা এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারলো।
শুরু হলো ফটোসেশন। ভাবীদের ফটোসেশন। প্রাইভেসিজনিত শংকায় ওই সেশনের ছবি দিলাম না। তবে হাইকমিশনার মহোদয়ের পত্নী, ঠিক যেনো মাতৃস্নেহে বাচ্চাদের ডেকে নিয়ে তাদের সাথে ছবি তুললেন। অভিভূত হলাম তার আচরণে। সবাই যেনো তার সন্তানতূল্য। নিজের সন্তানরা বিয়ে-শাদী করে, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রবাসী। এই বুড়ো বয়সে এরা সত্যিই বড়ো একাকী।
ভিতরে চলছে লুডু খেলা। টান টান উত্তেজনা। কিন্তু হঠাৎ করেই সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগে খেলা ভণ্ডুল হয়ে গেলো। ঘটনা পুরো বোঝার আগেই খেলা ভণ্ডুল।
সবশেষে পুরষ্কার বিতরণ করা হলো। বাচ্চারা যারা পুরষ্কার পেয়েছে তারা খুবই খুশি, যারা পুরষ্কার পেলোনা তারাও খুশি। আমরাও খুশি। হাইকমিশনার মহোদয় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষনা করলে আমরা বিদায় নিয়ে আস্তে আস্তে বেরিয়ে পড়লাম।
মন্তব্য
ভালোই অনুষ্ঠান করেছেন দেখা যাচ্ছে।
আসলেই পিপি ভাই। এত বাংলাদেশী একসাথে মিলিত হওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। হাইকমিশন আয়োজনটা করে আমাদের একসাথে মিলিত হওয়ার ব্যবস্থাটা বেশ ভালোই করেছে। তবে আরও একটু গোছালো হতে পারতো। কিন্তু যা হয়েছে তাতেই খুশী। আপনারা এইসব দিনগুলো কেমন উদ্যাপন করেন জানতে বড় ইচ্ছে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাহ। বিদেশের মাটিতে (তাও পাকিভূমে) বাংলা বর্ষবরণ ! উৎসবের রঙ তাতে একটুও কমেনি !
সময় এবং পরিস্থিতি বিষয়গুলোকে আরও বর্ণাঢ্য করে তোলে। দেশে থাকলে হয়তো বাংলা নববর্ষকে গতানুগতিকভাবে্উপভোগ করা হতো। আপনাকে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঢোলকরা কি পাকিস্তানী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ ভাই। বাঙালী ঢুলি আর পামু কই! তয় কিন্তু বাঙালী তবলচি ছিলো। ঢুলি, বান্দরওয়ালা, মিঠাইওয়ালা, কুলফিওয়ালা, এয়ারগানওয়ালা, সবই পাকিস্থানী। এতো গরীব এরা, চিন্তা করা যায়না। দুনিয়ায় কেনো যে মানুষের এতো কষ্ট? ভাল্লাগেনা বাল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দেশে নাকি এসেছিলেন, আবার চলেও গেছেন - দেখা হলো না। বাঙালীর এমন আনন্দদিনে বিদেশের মাটিতেও যে আপনারা উৎসব করতে পেরেছেন তাতেই আমরা খুশি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রোমেল ভাইয়ের বাসায় বসে আপনাকে ফোন করার কথা হতে হতে আবার যেনো অন্য কি প্রসঙ্গে চলে যেয়ে আপনাকে ফোন করার কথা ভুলে গেলাম আমরা দুজনেই। পরে আবার নজরুল ভাইয়ের বাসায় বসে আপনার কথা উঠলো। অল্প দিনের সফর ছিলো ওটা, মাত্র এক সপ্তাহের। মে'র ৭ তারিখে ফিরছি, তখন দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
এই আনন্দ আসলেই অবর্ণনীয়। আপনাকে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পাণ্ডব দা, ওটা আমারই ভুল। মুঠোফোনে আপনার নম্বর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তবে আপনাকে রাতঃস্মরণীয় ও আমি দুজনে মিলে এতবেশি স্মরণ করেছি যে প্লানচেটে আপনার আত্মা এসে হাজির হয়েছিল আমাদের বৈঠকখানায়। আপনারও খাবার খেতে খেতে বিষম উঠেছিল নিশ্চয়ই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
চমৎকার একটা পোস্ট দিলেন। ছবি-ভিডিও-লেখা মিলিয়ে মনে হচ্ছে বেশ হুল্লোড় হল অনুষ্ঠানে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তা বেশ মজাই হয়েছিলো। গুলি করতে করতে আমার ঘাড় ব্যাথা হয়ে গিয়েছিলো আর পিঠে বাড়ি খাওয়ার কথা কি আর বলি। আপনাকে ধন্যবাদ ফাহিম ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বিদেশের মাটিতে 'বাংলাদেশ দূতাবাস' কিম্বা 'হাইকমিশন' মানে 'একটুকরো বাংলাদেশ'। সেখানে খাঁটি দেশীয় রীতিতে বাংলা নববর্ষের আবাহনী সুর ধ্বণিত হবে এই তো প্রাণের কামনা। শত প্রতিকূলতা পিছে ঠেলে স্বতস্ফূর্তভাবে উদ্যোগী হয়ে যারা একযোগে প্রাণের স্ত্রোতে মিশেছেন তাঁদের কুর্ণিশ। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এই উদ্যোগের কথা আমাদের সকলকে জানাতে এমন সুন্দর ও বর্ণিল পোস্ট দেবার জন্য।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বিদেশের মাটিতে অবস্থিত দূতাবাসগুলোতে ঢুকলে আসলেই মনে হয় যেনো বাংলাদেশে এসে পড়েছি। আপনাকেও ধন্যবাদ বস।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পাঁচ নাম্বার ছবিতে আমার বড়ভাই আর ভাবীকে দেখা যাচ্ছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
যদি সারনেমের (রহমান) মিল খুজি তবে তো মনে হচ্ছে ডেপুটি ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঠিক
...........................
Every Picture Tells a Story
পাকিস্তানের মাটিতে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান, ছবিগুলো না দেখলেই বিশ্বাসই হতো না। আপনাকে ধন্যবাদ।
তা ভাই ভিডিওগুলো কি করে পোস্ট করলেন, একটু শিখাবেন আমাকে?
খন্দকার আলমগীর হোসেন
ধন্যবাদ আলমগীর ভাই। ভিডিওগুলো প্রথমে ধারন করেছি আমার iPhone-এ। তারপর ওগুলোকে ইউটিউবে আপলোড করেছি। সবশেষে, ইউটিউবের এমবেডেড কোড কপি করে সচলায়তনে লেখার মাঝে পেস্ট করে দিয়েছি। ইউটিউবে আপলোড করা বেশ সহজ। আপনি আপনার জিমেইল এ্যাকাউন্ট থাকলে তা দিয়েই ইউটিউবে সাইন ইন করতে পারবেন। তারপর তো আপলোডের বাটন পেয়ে যাবেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন