ব্র্যাক সম্পর্কে আমার একান্তই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতালব্ধ কিছু নেতিবাচক মন্তব্য দিয়ে শুরুটা করি যা কোনওভাবেই ব্র্যাকের মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উদ্দিষ্ট নয়-
১। সাইক্লোন সিডরের অব্যবহিত পর ব্র্যাক তাদের দুধ বিতরণ কেবলমাত্র তাদের সুবিধাভোগি পরিবারের শিশুদের জন্যে সীমিত রেখেছিলো যা আমার কাছে স্বার্থপরতা বলেই মনে হয়েছে। এর ফলে সেইসময় অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় সরকারের উপদেষ্টাদ্বয় জেনারেল মতিন এবং রাজা দেবাশীষ রায়ের উপস্থিতিতে একজন জনপ্রতিনিধি ব্র্যাকের সেই এলাকার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপককে গণধোলাইয়ের প্রস্তাব করেছিলো, যদিও এটা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।
২। ব্র্যাকে মধ্যমস্তর, অগ্রবর্তী পর্যায় এবং মাঠপর্যায়ে গণতান্ত্রিক কোনও চর্চা নেই। ব্র্যাকে অধস্থনকে ধমক, এমনকি গালি দেওয়া কোথাও লিখিত না থাকলেও বহুলচর্চিত। আমার জনৈক বান্ধবী ও সাবেক সহকর্মী, সাবেক ব্র্যাক কর্মকর্তা শুনেছি প্রয়োজনে অধস্থনকে দু’একটা চড়-থাপ্পড় মারতেও দ্বিধা করতো না। এটা খুবই নিন্দনীয়। তবে ধমক-ধামক চর্চা আমি নিজেই দেখেছি, শোনা কথা বলছি না। হয়তো তাদের কাছে এই কৌশল কার্যকরী কিন্তু আমি এটাকে অযোগ্যতার একটা মাপকাঠি হিসেবেই দেখবো। আমি নিজে অনেক বড়ো টিম এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজ করেছি এবং করছি, আমাকে কোনওদিন এই কৌশলে যেতে হয়নি। এগুলোকে পারফর্ম্যান্স ম্যানেজমেন্টের দৈন্যতাই বলবো।
৩। ব্র্যাকে সাময়িক পদাবনতির ব্যবস্থা আছে যেটা আরেকটা বড় দুর্বলতা পারফর্ম্যান্স ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে। কোনও কর্মী যদি কোন পদের অযোগ্য হয় সেক্ষেত্রে তাকে নিয়োগ বা পদোন্নতি না দেওয়াই শ্রেয়। পদাবনতি না দিয়ে কর্মীকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তার প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে সহযোগিতা করাই প্রতিষ্ঠানের নীতি হওয়া উচিত। এটা একান্তই ব্র্যাকের ব্যাপার তবে এটা ব্যাক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করতে পারিনি।
৪। ব্র্যাকের কর্মীরা সামাজিকভাবে অত্যন্ত ব্র্যাক-কেন্দ্রিক। এটা আরও প্রকটভাবে দেখা যায় বাংলাদেশের বাইরে ব্র্যাকের মিশনগুলোতে। যেখানে অনেক বাংলাদেশীদের সমারোহ, সেখানে দেখেছি ব্র্যাক কর্মীরা একটা ক্ষুদ্র দলে নিজেদের আলাদা করে রাখার প্রবনতা দেখায়। মিশতে চাইলেও তারা কেমন যেনো সংকুচিত, অস্বচ্ছন্দ।
৫। নিজের ঢোল পিটানোতেও ব্র্যাক অতীব তৎপর। বিশ্বব্যাংকের একটা প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলার জন্যে জনৈক জেলা প্রশাসক আমাকে ডেকেছিলো। সেখানে ব্র্যাকে, কারিতাস, এবং আরও কয়েকটা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলো। সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পর্বের পর তারা আমাদের কাছে এলাকার দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যনিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মতামত চাইলো। এলাকার সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য কি অভিগম্যতা কৌশল নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনার আহবান জানালো। আমার কারিতাসের বন্ধু প্রথমে উঠে তার নিজের জীবনবৃত্তান্ত বলতে শুরু করলো। এরপর ব্র্যাক কর্মকর্তা তারা কি করেছে সেই ফিরিস্তি দিতে শুরু করলো। মূল আলোচনার ধার-কাছ দিয়েও কেউ গেলো না। অবশেষে আমাকে ফ্লোর দখল নিতে হলো। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল সভা শেষে প্রকাশ্যেই তাদের অসন্তষ্ঠি প্রকাশ করে ফেললো। মাঠপর্যায়ে ব্র্যাকের ভিতরে দেখেছি অন্য সংস্থাগুলোকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রবনতা। বৃটিশ সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তরের (ডিএফআইডি) একটা ইভ্যালুয়েশন টিমের সাথে মাঠে কাজ করার সময় দেখেছি জনৈক ব্র্যাক কর্মকর্তা তাদের উপকারভোগিদের দিয়ে অন্য একটা সংস্থার নামে রিলিফের চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করাচ্ছে যা ছিলো সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমনকি অভিযোগকারী ওই লোকগুলো ওই চালের গ্রহীতা ছিলো না।
৬। আফগানিস্তানের ফাইজাবাদে ব্র্যাকের একজন বাংলাদেশী কর্মী তার আফগান সহকর্মীর হাতে খুন হয় ২০০৭ সালে। ঘটনাটা ঘটে বহুল আলোচিত নুরুল ইসলাম অপহৃত হওয়ার সম্ভবত মাসখানেক আগে। স্থানীয় ব্র্যাকের বাংলাদেশী ব্যবস্থাপক নির্দেশনার অভাবে সেই মৃতদেহ পাহাড়ি এলাকা থেকে আনার কোনও ব্যবস্থা করতে পারেনি। পরে অন্য সংস্থার লোকজন পুলিশ নিয়ে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে এনে ব্র্যাকের কাছে হস্তান্তর করে। এটা কি!
এতো কিছুর পরও ব্র্যাক কিন্তু ব্র্যাকই। ১৯৭২ সালে প্রত্যাগত পুনর্বাসন কর্মসূচী দিয়ে ব্র্যাকের যাত্রা শুরু। তখন পুরো নাম ছিলো বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন এ্যাসিস্ট্যান্স কমিটি। পরবর্তীতে কাজের বিস্তারের সাথে সাথে ব্র্যাকের নতুন নামকরণ হয় বাংলাদেশ রুরাল এ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি। সেই সেদিনের ব্র্যাক তার কর্মবিস্তৃতি ঘটাতে ঘটাতে আজ পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মর্যাদা লাভ করেছে। কর্মপরিধীর দিক থেকে আফগানিস্তানে ব্র্যাক আজ দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা, আগা খান নেটওয়ার্কের পরেই। আফগানিস্তানের সবথেকে বহুতলবিশিষ্ঠ ভবনটি ব্র্যাক ব্যাংকের। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠান মাথা উচু করে গৌরবের সাথে দাঁড়িয়ে আছে, এটা আমাকেও গর্বিত করে। বাংলাদেশে কর্মরত দেশী ও বিদেশী এনজিওগুলোর জন্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ সেক্টরে তহবিল জোটানো আজকাল ভয়াবহ রকমের কঠিন হয়ে পড়েছে কেবলমাত্র এই দুই খাতে ব্র্যাকের ব্যাপক কভারেজ এবং সাফল্যের কারনে।
ব্র্যাক বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকা মহাদেশের ১০টি দেশে কর্মরত আছে এবং শুনেছি তারা পূর্ব ইওরোপে তাদের কর্মসূচী শুরু করার ব্যাপারে কৌশল নিয়ে কাজ করছে। এর বাইরেও যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাস্ট্রে ব্র্যাকের এফিলিয়েট কার্যালয় আছে। আমাদের সচলায়তনের একজন অগ্রজ সচল সম্ভবত যুক্তরাজ্যে ব্র্যাকের নির্বাহী কর্মকর্তা। নিচের মানচিত্রে ব্র্যাকের বৈশ্বিক বিস্তারের একটি চিত্র দেখতে পাবেন।
ব্র্যাকের কর্মকাণ্ড এবং অন্যান্য দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে brac.নেট ঘাটুন। অনেক তথ্য পাওয়া যাবে সেখানে যা আপনাকে এদের সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা দিতে সমর্থ হবে।
ব্র্যাক কিন্তু কখোনেই রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ দেখায়নি। প্রশিকার কাজী ফারুকের মতো মুজিব কোট গায়ে পরে নৌকা মার্কায় নমিনেশন নিয়ে পরমুহুর্তে আবার পশ্চাদ্দেশে লাথি খেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্র্যাকের কেউ ভোটের মাঠে কৌতুক ছড়ায়নি। আবার ড. ইউনূসের মতো অযথা উচ্চাভিলাষ ব্যাক্ত করতে গিয়ে ব্র্যাকের কেউ চরম পরিনতির স্বীকারও হয়নি। কিন্তু তার পরও কি ব্র্যাক রাজনীতির বাইরে ছিলো? এক কথায় উত্তর হচ্ছে ‘না’। খুশী কবীর-কাজী ফারুকদের নেতৃত্বাধীর এডাবের বিরুদ্ধে একটা শক্ত কাউন্টারে কিন্তু ব্র্যাক গিয়েছিলো এনজিও সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমে। কাজী ফারুক বা প্রশিকার বর্তমান অবস্থা প্রায় সবারই জানা কিন্তু ব্র্যাক ঠিকই বীরদর্পে এগিয়ে চলেছে। ব্র্যাকের তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী পর্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী।
জেনেভা এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দ্য গ্লোবাল জার্নাল ১০১২ সালে বিশ্বের শেষ্ঠ ১০০টি এনজিওর স্থানের ক্রমানুসারে একটা তালিকা প্রণয়ন করেছে। এই তালিকায় ইন্টারন্যাশনাল রেসক্যু কমিটি, কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, মেদিজে সঁ ফ্রতেঁ, এ্যাকশন এইড, ওয়াটার এইড, সেইভ দ্য চিলড্রেনসহ প্রায় সব প্রাচীন এবং প্রতিষ্ঠিত এনজিওকে পিছনে ফেলে ব্র্যাক চতুর্থ স্থানে মূল্যায়িত হয়েছে। শীর্ষদশ এবং পুরো তালিকা দেখতে http://theglobaljournal.নেট/article/view/৫৮৫/ ক্লিক করুন। সম্ভাব্য সোপা-পিপা ঝামেলা এড়াতে লিংকের মাঝে একটু বাংলা জুড়ে দিয়েছি। ব্রাউজারে গিয়ে ওটাকে ইংরেজিতে লিখে দেবেন।
যদিও ব্যাপক সমালোচনা এসেছে এই প্রতিবেদন নির্ণায়ক (ক্রাইটেরিয়া) এবং প্রণালী (মেথডোলজি) নিয়ে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গেলে ওই প্রতিবেদনটা কিনতে হবে। তবে এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে এমন কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বরং শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলো আহ্লাদের সাথে এই প্রতিবেদনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমার পরিচিত কিছু মানুষ অবশ্য বেজায়রকম খেপেছে এই প্রতিবেদনে। আমার কাছে মনে হয়েছে যদি তাদের সংস্থা শীর্ষতালিকায় থাকতো, তবে হয়তো তারা খেপতো না। আর আমার ব্যাক্তিগত মত হচ্ছে এই প্রতিবেদনে সংস্থার অবস্থানকে জয়-পরাজয় হিসেবে না দেখে কাজের মূল্যায়ন হিসেবে দেখা সমীচিন হবে। তবে দেখতে হবে যে দাতাগোষ্ঠীকে এই প্রতিবেদন কতটুকু প্রভাবিত করতে সক্ষম হয় এবং এই ফলাফল সংস্থাগুলো কতটুকু নিজেদের সেল করার কাজে লাগাতে পারে। আমার কিন্তু মনে হয় না যে অর্থায়নের ক্ষেত্রে দাতাগোষ্ঠির বা সংস্থাগুলোর কাছে এই প্রতিবেদনের কোনও গুরুত্ব (সিগনিফিক্যান্স) বা প্রভাব (ইমপ্যাক্ট) থাকবে।
ব্র্যাক তাদের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখুক এবং বৈশ্বিক দুর্দশা লাঘবের মহতী যাত্রায় উত্তোরোত্তর সাফল্য অর্জন করতে থাকুক। যদিও ব্র্যাক আজ আন্তর্জাতিক তার পরও জন্মসূত্রে এবং পরিচালনসূত্রে ব্র্যাক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান। স্যার ফজলে হাসান আবেদ নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন এবং ধুমপান ত্যাগ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত স্যার আবেদের পুরোনো দিনের ছবিগুলো থেকে তার আঙুলের ফাঁকে ধরা চুরুটগুলোকে ফটোশপের মাধ্যমে মুছে দেওয়া হয়েছে। আমরাও আশাবাদী ব্র্যাক তার দূর্বলতা এবং ঘাটতিগুলো কাটিয়ে উঠে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সম্পূর্ণতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে বিশ্বমানবতার কল্যাণে।
মন্তব্য
ব্র্যাকের ভালোমন্দ অনেক কিছুই জানা হল।
যাহোক,
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ আশফাক আহমেদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমি নিশ্চিত, অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের মত ব্র্যাকেরও একটি 'কোড অফ কন্ডাক্ট' আছে, যেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে অশোভন, অপেশাদারী আচরণের জন্য কি কি এ্যাকশান নেয়া হবে।
রেডক্রসে কাজ করতে গিয়েও দেখেছি, অপেক্ষাকৃত প্রাথমিক-মধ্যম এমনকি সর্বোচ্চ লেভেলেও ঐ 'কোড অফ কন্ডাক্ট'-কে বিন্দু মাত্রও শ্রদ্ধা করা হয় না। গ্রামীনেও একই অবস্থা দেখেছি। আফসোস।
ব্র্যাক নিয়ে আপনার ভাবনাগুলো প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। পড়তে ভাল লেগেছে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উচ্ছলা, কাজীর গরু কিতাবেই থাকে, গোয়ালে খুঁজলে পাওয়া যাবে না। এই লেখাটা ব্র্যাক নিয়ে হলেও প্রায় সব সংস্থায়ই এই চর্চা দেখতে পাবেন, কোথাও কম আর কোথাও বেশি। অনেক বছর আগে একটা স্থানীয় এনজিও ডেকেছিলো তাদের এইচআর পলিসিটা রিভিউ করে দিতে। আমি তাদেরকে বললাম যে আপনারা যে আপনাদের ড্রাইভার্স, ক্লিনার্স, হেলপার্সদের তুই করে সন্মোধন করে থাকেন, এটা আমি আপনাদের পলিসিতে সন্নিবেশিত করতে চাই। বড়কর্তা একগাল হেসে বললেন যে এগুলো স্নেহের ডাক। আমি বললাম যে স্নেহ যেনো পেশাদারিত্বকে ছাপিয়ে না যায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
স্যালুট !
ধন্যবাদ নাসির।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পোস্টটি ভাল লাগল। তবে পোস্টের শুরুতে উল্লেখিত বেশ কিছু সমালোচনার জবাব দেয়া যায়; তা করবো কিনা ভাবছি। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতার কারণে সেটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং 'নুন খাই যার গুণ গাই তার' মনে হতে পারে। তবে সবকিছু মিলিয়ে নিস্পৃহ মূল্যায়ণের জন্য ধন্যবাদ।
ডাক্তারদা, ক্ষুদ্রায়তনে আমার পর্যবেক্ষণগুলো কিন্তু বৃহদায়তনে অচল বলে প্রতীয়মান হতে পারে। তবে অগুনতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মিলেই বৃহতের সৃষ্ঠি। তবুও বলবো দ্বিমত প্রকাশ উত্তম পন্থা। যার নুন খাবেন, তার গুন গাবেন, এটা দোষনীয় কিছু নয়। তবে অন্যদেরও গুন গাইতে হবে যাদের এটা প্রাপ্য। তেমনই সমালোচনার জায়গাতেও সমালোচনা করতে হবে।
আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থার গভর্নেন্স স্টাইল নিয়ে সমালোচনা করে থাকি। তবে সংস্থা একটা জড়সত্ত্বা। যুগ যুগ ধরে সংস্থার নেতৃত্বের ব্যাক্তিগত বা দলীয় আচরণ এক পর্যায়ে এসে সংস্থার আচরণে পরিনত হয়। এবং তখন তার থেকে বেরোনো একরকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আমিন ভাই শুনলাম মারা গেছেন। আচ্ছে, আপনি কি ব্র্যাকে 'আমিন ভাইয়ের লাল বই'-এর কথা শুনেছেন?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্রাক বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও তাদের এই অবস্থা হলে বাংলাদেশের ছোট ছোট এনজিও গুলোর কি অবস্থা তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাজ ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
তারপরও ব্রাকের জন্য শুভ কামনা।
মানিক, অন্যতম বড় নয়, বলো সবথেকে বড়ো। হয়তো বিস্তারের ক্ষেত্রে ততোটা বড়ো হবে না কিন্তু জনবল, অভ্যন্তরীন তহবিল, এইসব দিক বিবেচনায় কিন্তু মনে হয় ব্র্যাক বিশ্বের সবথেকে বড়োই হবে।
যেহেতু তুমিও এই সেক্টরে কাজ শুরু করেছো, বাংলাদেশে স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষুদ্র এনজিওগুলোর প্রতিকূলতা তুমি হয়তো বুঝতে পারছো। অল্পসংখ্যক কর্মী দিয়ে অনেক কাজ করতে হয়, সীমিত সম্পদ দিয়ে অধিক ভিসিবিলিটি নিশ্চিত করতে হয়, তহবিলের অভাবে টেকসই কর্মসূচী (সাসটেইনেবল প্রোগ্রামিং) বাস্তবায়ন করা যায়না, নিয়মিত মাসিক চাঁদা গুনতে হয়, এরকম অনেক কিছু। এই প্রতিকূলতাগুলো মোকাবেলা করতেই এনজিওগুলোকে চরম প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হয়। ব্র্যাক একসময়ে এরকমই একটা ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করেছিলো। অবশ্য তখন প্রতিযোগিতা অনেক কম ছিলো। সেই যুগে কারো গায়ে চুলকানি উঠলেই একটা এনজিও দিয়ে বসতো না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্রাক সম্পর্কে জান্তে পারলাম, আর আমার দেশের প্রতিষ্ঠান ব্রাকের অর্জনে গর্বিত। সমালচনা গুলাও কন্সট্রাক্টিভ।
শাফি।
ধন্যবাদ শাফি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্র্যাকের প্রতি নিঃশর্ত-নির্ভেজাল অভিনন্দন!
ব্র্যাকের যেসব সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন তা আমিও উপলব্ধি করতে পেরেছি, তাদের মাঠ পর্যায়ের অনেক কর্মীর সাথে কথা বলে। একটা অলিখিত কিন্তু ব্যাপক ব্যাবহৃত থিম আছে তাদের। সেটা হলো 'কর্মী নির্যাতন তো প্রকল্প সফল'। অর্থাৎ যে যেখানে আছে, তার অধীনস্তদের সবসময় ঝারি, গালাগালির মধ্যে রাখতে হবে।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মাঠ পর্যায়ের এমনকি জেলা পর্যায়ের কর্মীদের বেতন কাঠামো খুবই দুর্বল। ব্র্যাক স্কুলগুলোর একজন শিক্ষিকা ১২০০ থেকে ১৭০০ টাকার মতো বেতন পায়। তের, চৌদ্দ হাজার টাকায় সংসার চালাতে হয় এরিয়া ম্যানেজার, উপজেলা ম্যানেজারদের। আমার মনে হয়, অন্যের মঙ্গলের সাথে সাথে ব্র্যাকের নিজের কর্মীদের উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে।
ধন্যবাদ আজহার। বেতনের বিষয়টাও ঠিক। তবে ব্র্যাকে একটা সুবিধা আছে। যদি মোটামুটি গ্রহনযোগ্য মানে পারফরম্যান্স চালিয়ে যেতে পারা যায় এবং চুরি-চামারি না করা হয়, তবে জব সিকিউরিটি আছে। বর্তমানে অধিকাংশ বৈদেশিক তহবিলের প্রকল্পগুলোনে জব সিকিউরিটির নিদারূণ অভাব। প্রকল্প শেষ হওয়ার আগেই আবার চাকরী খোঁজায় মনযোগ দিতে হয়। এজনেই হয়তো কর্মী সহজে ব্র্যাক ছাড়তে চায়না। বিশেষ করে এনজিও সেক্টরে দ্বৈত উপার্জক পরিবারগুলোয় এটা দেখা যায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ মরুদ্যান।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পৃথিবীর সব নিরন্ন মানুষ তাদের প্রাপ্য বুঝে নিক কড়ায়-গন্ডায় ....
পরিবর্তন হয় বলে গর্ব আছে কিন্তু তার সাথে যে ধুম্্রজাল থেকে যায় তাকে অস্বীকার করতে পারছিনা আজকাল, আজকাল বেজায় কাবু, বুঝলেন হে রাতস্মরণীয় রাতের পথিক
বুঝতে অহর্ণিশি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি হে দীর্ঘাঙ্গ ভ্রাতা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
যাহোক, ব্র্যাকের প্রতি নিঃশর্ত-নির্ভেজাল অভিনন্দন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ রাজা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন