সর্বশেষ করে এক দিনে তিন বেলা খেয়েছে, তা স্মরণেরও অতীত। স্বামী ব্যাটা মরে বেঁচেছে। আর বেঁচে থাকলে কি’ই বা হতো শুনি! তাকে নিয়ে পাঁচজনের সংসারে দু’বেলা দুটো দানাপানি জোগাতে স্বামী-স্ত্রীতে মিলে খেটেও কুল পেতো না। সংসারে পেট একটা কমেছে কিন্তু খিদেরও বাড় যেনো আগের থেকে আরও বেড়েছে। না বেড়েই বা যাবে কোথায়, তিন-তিনটে বাচ্চা শৈশব পেরিয়ে এখন কৈশোরে। শরীরগুলোর বাড়-বাড়ন্তির সাথে পাল্লা দিয়ে পুষ্টি তো আর জুটছে না, তবুও পেটে ঠিকমতো দুটো না গুঁজলে তো আর লিকলিকে শরীরগুলোর আর সয় না। তার উপর বড় মেয়েটার সামনে এসএসসি, খালি পেটে তো আর মাথায় কিচ্ছু ঢোকেনা। “আরে বাপু, গরীবের বাপ মরা মেয়ে তুই, পড়ালেখা শিখে কি জজ-ব্যারিস্টার হবি?”- পাড়াতোরা তো সবসময়েই বলার উপর আছে। আরে বাবা, আমি যদি আমার মেয়েকে পড়াতে পারি, তাতে তোদের এত পোড়ে কেনো রে?
মধ্য তিরিশের বিধরা দূঃখনী উরাও, বাড়ি দেওয়ানপুর। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় হাতুড় বলে একটা ইউনিয়ন আছে। সেই হাতুড়েরই একটা গ্রাম দেওয়ানপুর। ও দুঃখিনী নয় কিন্তু, দূঃখনী। ভরা যৌবনে স্বামী তার দেহ রাখলো। খিদের তীব্র জ্বালার যেনো তার দেহ-মনের সব কামজ্বালাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরে তবে ছেড়েছে। নিজেকে নিয়ে ভাবলে সে হয়তো ভাবতে পারতো, কিন্তু তা সে ভাবেনি। তিনটে সন্তানের সে কেবল মা’ই নয়, বাপ’ও বটে। কাজের আকাল, চিন্তায় চিন্তায় কপালের ভাজ ক্রমশ স্থায়ী হয় কিন্তু দিশা মিলতে চায় না।
এটাই দূঃখনীদের জীবন। প্রতিনিয়ত জাতীয়তাবাদের সংকটে ভোগা ওরা সংখ্যায় কমবেশি দেড়লাখ মানুষ বসবাস করে নওগাঁ জেলার এগারোটা উপজেলা মিলিয়ে। ওরা সবাই কেবলমাত্র উরাও’ই নয়, আরও আছে সাঁওতাল, পাহান, ভূইমালী, মাহালী রাজোয়ার, বর্মণ, রবিদাস, এবং আরও কিছু ক্ষুদ্র ণৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী। এক সময়তো ওদের সবাই গড়পরতা উপজাতি বলেই বলতো। আজকাল অবশ্য অনেকেই ওদের আদিবাসী বলে ডাকে। এদিকে এনজিওগুলো আবার এক ইংরেজি নাম নিয়ে এসেছে, ইনডিজেনাস। কি জানি বাবা, পেটে ভাত না থাকলে ওইসব ইন্ডিজেনাস-পিণ্ডিজেনাসে কি আসে যায়?
ওরা প্রায় সবাই কৃষিভিত্তিক দিনমজুর। ওদের জীবনচক্রে কখোনোই দেখেনি বারোমাস কাজের সংস্থান। ধান রুয়ে তারপর তা তোলা পর্যন্ত হাত খালি, কিন্তু করার মতো কোনও কাজও জোটেনা। এরকম অবস্থা বছরে কয়েকবার আসে। কিছু পয়সা অবশ্য পাওয়া যায়। পরের ফসল আহরণ মৌসুমের জন্যে আধা দিনমজুরীতে কামলা দেওয়ার দাসখত দিয়ে কিছু অগ্রীম পয়সা অবশ্য পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে কতদূর বা আর যাওয়া যায়! ফের হাত পাততে হয় মহাজনের কাছে, চড়া সুদে অতিসামান্য টাকার যোগাড় করতে। এই এদিক-ওদিক করতে করতেই বছরের অর্ধেক সময় ওদের দেনার দায়ে ডুবে থাকতে হয়। জোতদারের রক্তিম চোখ আর মহাজনের কামুক দৃষ্টির সামনেই অবনত হয়ে দিনগুলো কোনওরকমে ওরা পার করতে থাকে।
এতক্ষণ আপনারা শুনলেন ২০০৫ সালে বলা গল্প। এবার কাহিনী ২০০৫ থেকে সামনে এগোতে থাকবে।
দুঃখনীদের সম্প্রদায়ের নারী রীনা উরাও, বিএসডিও নামের একটা এনজিওতে শিক্ষা সুপারভাইজারের কাজ করে। দূঃখনীর সাথে বেশ জানাশোনা রীনার। ‘পেটে খিদে থাকলে মাথায় কাজ করেনা’- এই প্রচলিত প্রবাদকে ভূল প্রমানিত করে দূঃখনীর মাথায় এলো এক পরিকল্পনা। “আচ্ছা, যদি আমরা যা’ই জোটে, সেই চাল থেকে রান্নার আগে যদি একমুষ্টি চাল সরিয়ে রাখি, তাহলে কেমন হয়?”- এক টুকরো আশা ঝিলিক দিলে দূঃখনীর চোখে। রীনা উৎসাহ যোগায় দূঃখনীর চিন্তায়। তারপর যেই ভাবা সেই কাজ।
এভাবেই শুরু। দূঃখনী অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তার মতো আরও ১৫জন আদিবাসী নারীকে সাথে নিয়ে শুরু করে মুষ্টিচাল সংরক্ষণ। যখনই রান্নার মতো কিছু চাল জোটে, ওরা ১৬জন সেই চাল থেকে এক মুষ্টি করে আলাদা সরিয়ে রাখে আর সপ্তাহে একবার সেই চাল নিয়ে গিয়ে ওদের ক্ষুদ্র সমিতিতে জমা দেয়। যখনই কাজকামের আকাল পড়ে, তখন ওরা আগাম শ্রম বিক্রি না করে ওদের সমিতিতে সংরক্ষিত চাল থেকে ওরা ঋণ নেয়। অবশ্য সেই চালের ঋণ ওদেরকে চাল দিয়েই শোধ করতে হয় এবং একটা নির্দিষ্ট হারে চাল বেশি দিতে হয়। কিন্তু সেই বেশি দেওয়া চালটুকু কিন্তু সমিতির সম্পদে পরিনত হয় না, ওটাও জমা হয় কেই সদস্যের হিসেবে। অর্থাৎ আপনি চাল ঋণ নিয়ে সেই ঋণের সেবামূল্য হিসেবে যে অতিরিক্ত চালটুকু ফেরত দেবেন, তা আবার আপনার নামেই হিসেবে জমা হবে। দূঃখনীর সেই স্বপ্নের প্রকল্পের সদস্যসংখ্যা বেড়ে এখন ৪৪’এ দাঁড়িয়েছে এবং ওদের বর্তমান সঞ্চয়ের পরিমান শুনবেন? আশ্চর্য হবেন না, ওদের সমন্বিত সঞ্চয় এখন দুইশ পঁয়ষট্টি মনে দাঁড়িয়েছে। এক মুঠো করে চাল জমিয়ে দুইশো পঁয়ষট্টি মন!
দুঃখনীর উৎসাহে এবং অনুপ্রেরণায় এলাকায় এখন আরও ২৫টি দল এখন এই মুষ্টিচাল সংরক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা থেকে উপকৃত হচ্ছে। এখন আর তাদের আকালে অগ্রীম শ্রম বিক্রি করতে হচ্ছে না। সম্প্রতি দূঃখনীদের এবং অন্যান্য দলগুলোর চাল রাখার জায়গার স্বল্পতা দেখা দিলে রীনা উরাও তাদের সঞ্চয় থেকে কিছু চাল বিক্রি করে হাস-মুরগি ও গবাদিপশুপালনের মাধ্যমে আয়বৃদ্ধিমূলক খাতে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয়। এর পর দূঃখনীরা বেশ কিছু পরিমান চাল বিক্রি করে ৬টা গাভী কিনে লটারীর মাধ্যমে ৬জন সদস্যকে দিয়েছে। পর্য্যায়ক্রমে ওরা ৪৪জনের সবাইকে একটা করে গাভী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। অক্সফ্যাম জিবি নামের একটা এনজিও অবশ্য সবসময়েই ওদের সাথে থাকছে ওদের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং কারিগরী পরামর্শ দেওয়ার জন্যে। অক্সফ্যাম ওদের কোনওরকম কোনও টাকা-পয়সা দেয় না। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে যে টাকা পয়সা ছাড়াও শুধু একটু পরামর্শ পেলে ওরা অসাধ্য সাধন করার সক্ষমতা রাখে এবং সমাজে দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
সাওনা উরাও কতটুকু মানীলোক ছিলো তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের জানা আছে যে যখন দূঃখনী দোরে দোরে ঘুরে তার মতো আদিবাসী নারীদের নিয়ে এই মুষ্টি চাল সংরক্ষণ সমিতি গঠনের আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো, তখন অনেকেই হৈ হৈ করে উঠেছিলো এই বলে যে সাওনা উরাওয়ের বউটা শেষমেষ আমাদের বউগুলোর মাথা খেতে নেমেছে। কি একটা ভালো মানুষ ছিলো এই সাওনা উরাও কিন্তু তার বউটা শেষ পর্যন্ত রাস্তায় তো নেমেছেই, সাথে আমাদের বউগুলোকেও দলে ভিড়াচ্ছে। তারা এটাকে দেখেছিলো এনজিওর একটা চক্রান্ত হিসেবে- প্রথমে দূঃখনীকে দিয়ে নামে নামে একটা সমিতি দাঁড় করিয়ে তারপর ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে তাদের সর্বশান্ত করার লক্ষ্যে এনজিওরা ঝাঁপিয়ে পড়বে। আসলে ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়। এই সহজ সরল বঞ্চিত আদিবাসী মানুষগুলোকে একটা চিরস্থায়ী ভীতির জাল সবসময় ঘিরে রাখতো। তাছাড়া, তাদের পুরুষশাসিত সমাজে দূঃখনীর নারী নেতৃত্ব অনেকটা ঈর্ষারও একটা বিষয় ছিলো। কিন্তু পরে যখন দেখা গেলো সেই অনাহারের সময় বউগুলো সামনে দুটো শাক-ডাল সাজিয়ে রান্না ভাতের থালা এগিয়ে দিচ্ছে, তখন কিন্তু এই পুরুষগুলোরই চোখের জলের বাঁধ ভেঙেছিলো।
আজ আর কেউ দূঃখনীর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়না, বরং সবাই তাকে নিয়ে গর্ব করে। এই নারী যেনো তার নিজের গ্রাম নয়, বরং গোটা এলাকায় নারী নেতৃত্বের একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আজ দূঃখনীকে বিভিন্ন সভা-সমিতিতে নিমন্ত্রণ করি নিয়ে যাওয়া হয় তার সাফল্যের গাঁথা শোনানোর জন্যে। তার কথা আজ শত-শহস্র দুর্দশাগ্রস্থ আদিবাসীকে আশার আলো দেখায়।
দূঃখনী উরাও কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে এই মুষ্টিচাল সংরক্ষণ সমিতির স্বপ্ন দেখেনি কারন সে চ্যাম্পিয়ন শব্দের অর্থ জানেনা। কিন্তু তার কাজ আজ তাকে চ্যাম্পিয়নের আসনে বসিয়েছে যদিও সে অদ্যবধি চ্যাম্পিয়ন শব্দের অর্থ জানেন। জীবন এবং পরিবর্তনের যুদ্ধের সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নদের অবশ্য চ্যাম্পিয়ন শব্দের অর্থ জানার কোনও প্রয়োজনও পড়েনা।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ
সুগ্রীব কুমার সরদার
পবিত্র মাণ্ডা
ছবিঃ
সৈকত বিশ্বাস
মন্তব্য
এরাই আসল হিরো।
ধন্যবাদ তাজ ভাই।
ধন্যবাদ মানিক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাহ! এদের উপর ভর করেই টিকে আছে বাংলাদেশ .. স্যালুট!
আমি বরং কুর্ণিশই করবো তাকে।
ধন্যবাদ তানিম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
'মুষ্টিচাল সংরক্ষণ' ! আমার কাছে নতুন এক ধারনার নাম।
ধন্যবাদ, এমন একটি উদ্যোগের কথা জানাবার জন্য। আর যাঁরা এটাকে সার্থক রূপ দিয়েছেন তাঁদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা।
ধন্যবাদ আপনাকে। সম্প্রতি নেপাল গিয়ে সেখানকার গ্রামবাসীদের সাথেও এই আইডিয়া বিনিময় করেছি। তারাও বেশ আগ্রহী মনে হলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এরকম আরও আলোকিত মানুষের সন্ধান থাকলে জানাবেন, প্লীজ ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
জ্বী জানাবো। ধন্যবাদ আপনাকে উচ্ছলা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দুঃখনীকে আমার প্রণাম।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
তাকে আমারও প্রণাম। ধন্যবাদ আপনাকে জিজ্ঞাসু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তাদের জন্য
আমার ভাষা এই সংগ্রামের প্রতি যথাযথ সন্মান জানাতে অপারগ।
এমন আরো লিখুন----
facebook
ধন্যবাদ অণু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাল লিখেছেন।
"দূঃখনী" - বানানটা কেমন জানি লাগল। দুঃখ তো হ্রস্ব উ দিয়ে লিখি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখার ভিতরেই বলেছি,
এটা একটা নাম। দুঃখের সাথে সম্ভবত এর কোনও সম্বন্ধ নেই। আপনাকে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই মানুষ গুলো আমাদের প্রান
দু:খজনক যে এই উপলব্ধিটাই আমাদের মাধে কাজ করে না।
আপনাকে ধন্যবাদ ভালো মানুষ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একই ছবি দুবার এসেছে। একটা মুছে দিন।
দিয়েছি হিমু, ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এই রিয়েল লাইফ চ্যাম্পিয়নকে।
ধন্যবাদ জলিল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন