বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সিডিআরডি- সোমালিয়ার অভিজ্ঞতা এবং আমাদের প্রেক্ষাপট

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৭/০২/২০১২ - ১২:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দমাদম দমদম দমাদম দমদম- গগণবিদারী ড্রামের শব্দে কেঁপে উঠছে চারিদিক। এরই সাথে কেউ কেউ আবার প্লাস্টিকের কন্টেইনার পিটাচ্ছে গায়ের জোরে। তালে তালে হাততালিতে মুখর। আবার পিকআপের উপর রাখা হাজার ওয়াটের লাউড স্পীকার এই সমবেত শব্দকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দুর থেকে দুরে।

একসারি গাড়ি এসে থামলো বাড়িটার সামনে। সামরিক এবং সাদা পোশাকধারী অন্তত ৫০জন হালকা মেশিনগানধারীরা আগে গাড়িগুলো থেকে নেমে এলো। এরপর নামতে থাকলো অতিথিরা যাদের মধে বেশকিছু সহকর্মীসমেত রাতঃস্মরণীয়ও ছিলো। সোমালি ভাষায় গান গেয়ে উঠলো শিল্পীদল, সাথে ছন্দোবদ্ধ করতালি। আজ ওদের বড়োই আনন্দের দিন। ওদের অনেক স্বপ্নের লোকালয়ভিত্তিক হাসপাতালটির আজ উদ্বোধন।

সম্প্রতি সচল নৈষাদের ব্লগ এবং তৎপরবর্তী আলোচনা পড়েই এই লেখাটি লিখতে উদ্বুদ্ধ হলাম। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পগুলোর তদারকী নিয়ে নৈষাদ কিছু মতামত ব্যাক্ত করেছেন এবং একইসাথে পাঠকমহল থেকে কিছু আলোচনা এবং সুচিন্তিত মন্তব্য এসেছে। সেই সুত্রধরেই সোমালিয়ায় থাকাকালীনসময়ে আমি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে যে সিডিআরডি বা কমিউনিটি ড্রিভেন রিকভারী এন্ড ডেভলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিলাম, সেই অভিজ্ঞতা পাঠকদের সাথে বিনিয়য়ের একটু সুযোগ নিচ্ছি। যেহেতু প্রকল্পটির নামকরন ইংরেজিতে, তাই আমি সেই নামের বঙ্গানুবাদ করছিনা।

সিডিআরডি প্রকল্পগুলোতে মূলত অর্থায়ন করতো ডানিডা এবং বিশ্বব্যাংক। তবে তাদের অর্থায়নের প্রকল্পগুলো আলাদা আলাদা ভাবে ম্যানেজ করা হতো। পরবর্তীতে ডিএফআইডি বা উইকেএইড বিশাল পরিমান অর্থায়ন নিয়ে এসে সামিল হয়। আমি ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রকল্পগুলো শুরু করে দিয়ে আসি চলে আসার আগে। সিডা সম্ভবত তারও পরে এসেছে, আমি থাকতে সিডার অর্থায়ন ছিলোনা। এদিকে ইউনিসেফ সরাসরি তহবিল না দিলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের সাথে লিংকেজের কিছু কাজ করে দিতো, বিশেষত স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক প্রকল্পগুলোতে।

এই প্রকল্পগুলোর মূলত দুটো অংশ ছিলো। প্রথমটা হচ্ছে সোস্যাল এ্যাকসেস গ্রান্ট। এটি প্রকল্পের ক্ষুদ্র একটা অংশ। এই অংশে নগদ অর্থসাহায্য দেওয়া হতো দুস্থ জনগোষ্ঠিকে, বিশেষকরে, অসহায় শিশুদের শিক্ষাসহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার সহায়তা। উভয়ক্ষেত্রেই নগদ টাকা দেওয়া হতো। তবে দু’একবার ক্র্যাচ এবং কৃত্তিম পা কিনে দেওয়া হয়েছিলো।

এই প্রকল্পের বড়ো অংশটা হচ্ছে ব্লক গ্রান্ট, যার জন্যে এই লেখাটার অবতারনা করা। আমি বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে এবং কারিগরী শব্দগুলো পরিহার করে সহজবোধ্য করেই লিখছি। ব্লক গ্রান্ট বলতে এখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ কম্যুনিটিকে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে?

প্রথমেই আমরা সরকারের সাথে যোগাযোগ করতাম পশ্চৎপদ কম্যুনিটিগুলোকে চিহ্নিত করতে। সরকারের সুপারিশের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব কর্মীদল অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও সম্ভাব্য কম্যুনিটিগুলোকে তালিকাভূক্ত করতো। প্রসঙ্গত বলে রাখি, সোমালিয়ার সমাজব্যবস্থা গোত্রভিত্তিক। সুতরাং ক্ষমতাসীনরা সবসময়েই চাইবে তাদের গোত্রের মানুষের আধিক্য যেসব এলাকায়, সেগুলোর উন্নয়ন। তবে আমরা প্রয়োজনীয় সংলাপের মধ্যে দিয়েই চুড়ান্ত কম্যুনিটির তালিকা সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতাম।

এরপর শুরু হতো আসল কাজ। আমি কেবলমাত্র ধাপগুলোকেই উল্লেখ করি, আশাকরি এতে আপনারা কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা পাবেন,

১। কম্যুনিটির মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহনে কমিটি গঠন। এখানের জনগনই কমিটির নামগুলো প্রস্তাব করে থাকে এবং তারাই সতস্ফুর্তভাবে সমর্থন করে থাকে। তবে অবশ্য অভিজ্ঞতার দেখা গেছে যে যখনই কমিটি অনুমোদনের জন্যে সংশ্লিষ্ঠ সরকারী দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে, তখন সরকারী কর্তা হয়তো সভাপতি হিসেবে তার এক আত্মীয়ের অথবা চামচাস্থানীয় কারো নাম প্রস্তাব করে বসলো। এইসব ক্ষেত্রে তখন আমাদের ভূমিকা রাখতে হতো। আমরা প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে সোজাসাপ্টা বলে দিতাম যে এটা সম্ভব নয়।

২। কমিট গঠন হয়ে গেলে আমাদের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে থেকে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন দেওয়া শুরু করতো। ট্রেনিংগুলো মূলত হতো দলগঠন, নেতৃত্ব, সাধারন হিসাবরক্ষণ, সংঘাত নিরসন, ভালনারেবিলিটি এ্যানালাইসিস, মান নিশ্চিতকরণ, ইত্যাদি।

৩। প্রশিক্ষণ একটা পর্যায় পর্যন্ত গেলে শুরু হতো কমিউনিটি এ্যাকশন প্লান তৈরীর কাজ। এখানে কম্যুনিটি তাদের উপলভ্য সম্পদের ম্যাপিং করতো এবং তারপর চাহিদা নিরূপণ করতো। সাথে সাথে তারা চাহিদাগুলোর অগ্রাধিকারও নিরূপন (প্রায়োরিটি র‌্যাংকিং) করতো। এইক্ষেত্রে আমাদের কর্মীরা চাহিদার অগ্রাধিকারগুলোতে যাতে যথাযথ যুক্তি এবং বাস্তবতা থাকে, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতে কম্যুনিটিকে সহযোগিতা করতো।

৪। চাহিদাগুলো এবং তাদের অগ্রাধিকার নিরূপন করা হয়ে গেলে শুরু হয়ে যেতো ভৌঅ অবকাঠামো নির্মানের প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়নের কাজ। এক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে প্রস্তাবনা তৈরীর ছক দিতাম। ইতোমধ্যেই আমরা এই ছকের ব্যবহার বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতাম এবং সিমুলেশন করাতাম। এখানে যে প্রকল্পগুলো অধিকাংশ কম্যুনিটিতে অগ্রাধিকার হিসেবে আসতো তা হলো হাট-বাজার, স্কুল, স্বাস্থ্ কেন্দ্র, জলাধার, রাস্তা মেরামত, কম্যুনিটি সেন্টার, ইত্যাদি। এই প্রকল্প প্রস্তাবনার সাথে একটা অংশ হিসেবে থাকতো প্রকল্পের ব্যবসা পরিকল্পনা; কিভাবে এই প্রকল্পলব্ধ আয় ভবিষ্যতে ব্যবস্থাপনা করা হবে এবং ব্যায়ীত হবে। এই প্রকল্প পরিকল্পনার সময় আমার টিম থেকে একজন কোয়ালিফাইড সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন ফাইনান্স এক্সপার্ট কম্যুনিটির সাথে পুরো সময় মাঠে থেকে কাজ করতো। এরা দুজন ভৌত অবকাঠামোর নকশা ও বিল অব কোয়ান্টিটিজ এবং বিজনেস প্ল্যান তৈরীতে কম্যুনিটিকে তাদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিতো। বিশেষ করে বলতে হয় যে তাদের প্রণীত প্রকল্প প্রস্তাবনায় প্রকল্পমূল্যের কমপক্ষে ২০ শতাংশ কম্যুনিটি কন্ট্রিবিউশনের নিশ্চয়তা দিতে হতো। এটা মূলত হতো, দৈহিক শ্রম, পাথর ও বালু, পানি, ইত্যাদির মাধ্যমে। এখানে কোনও বুদ্ধিবৃত্তিক বা বায়বীয় খাতের কন্ট্রিবিউশন গ্রহনযোগ্য ছিলোনা।

৫। এবার আমরা তাদের প্রকিউরমেন্টের প্রশিক্ষণ দিতাম। এই ট্রোনিঙে মূলত শেখানো হতো কিভাবে স্বচ্ছতার সাথে টেন্ডার আহবান এবং মূল্যায়ন করতে হয়। এবং মানসন্মত কন্টাক্ট অব পারচেজের নীতিমালাসমূহও শেখানো হতো।

৬। এর মধ্যেই এক ফাঁকে আমরা কম্যুনিটির ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে দিতাম। যে দু’একটা ব্যাংক সেখানে ছিলো, তারা অবশ্য বেজায় নিমরাজী থাকতো এদের এ্যাকাউন্ট খুলতে। সেখানে আমরা আমাদের প্রভাব দিয়ে এ্যাকাউন্টগুলো খুলে দিতাম। এই এ্যাকাউন্ট খোলার জন্যে প্রয়োজনীয় রেজুলেশন তৈরীতেও আমরা সহায়তা করতাম। এ্যাকাউন্ট খোলা হলে তারপর আমরা একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর প্রকল্পের যাবতীয় তহবিল সরাসরি কম্যুনিটির এ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতাম।

৭। আমরা কম্যুনিটিকে টেন্ডারের জন্যে নির্বাচিত প্রকল্পের কারিগরী তদারকীর প্রশিক্ষণ দিতাম। তবে এক্ষেত্রে আমরা কম্যুনিটির দক্ষতার বিষয়টাও বিবেচনায় রাখতাম। খুবই সহজে যে বিষয়গুলো তদারক করা সম্ভব, কেবলমাত্র সেই বিষয়গুলোতেই প্রশিক্ষণ সীমিত রাখতাম।

৮। এই ধাপে কম্যুনিটি নিজেরাই টেন্ডার আহবান করতো, এবং দরপত্র মূল্যায়ন করতো। এই প্রক্রিয়ার আমার টিম কেবলমাত্র পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকতো। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে কম্যুনিটির প্রকিউরমেন্ট কমিটি কার্যাদেশ প্রদানের জন্যে সুপারিশ করলে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি কার্যাদেশ ইস্যু করতো।

৯। কাজ শুরু হলে কম্যুনিটি দৈনন্দিন তদারকীর কাজ করতো এবং আমার টিমের ইঞ্জিনিয়ার একটা শেডিউল মোতাবেক তদারকী পরিদর্শনে যেতো। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সিডিআরডি টিম, যে টিম আমার বা কোনও প্রোগ্রাম ডিরেক্টরের অধীনে কাজ করতো না, এরা সরাসরি হর্ণ-অব-আফ্রিকার রিজিওনাল ডিরেক্টরের অধীনে কাজ করতো, সেই টিম থেকেও মনিটরিং ভিজিটে লোক আসতো। কদাচিৎ বিশ্বব্যাংকের লোকও আসতো। এভাবে পেমেন্ট শেডিউল অনুযায়ী কম্যুনিটি ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করতো। তবে এই বিল পরিশোধের আগে একটা ওয়ার্ক কম্প্লিশন সার্টিফিকেট কম্যুনিটির এবং আমাদের, যৌথ স্বাক্ষরের ভিত্তিতে অনুমোদিত হতো।

এভাবেই টাকা অবশিষ্ঠ থাকলে কম্যুনিটি তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রথম প্রকল্প শেষ হলে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করতো, সেটা শেষ হলে তৃতীয়টার, এভাবেই চলতে থাকতো। টাকা পর্যাপ্ত পরিমান না থাকলে তারা আমাদেরসহ অন্যান্য দাতাদের কাছে ধর্ণা দিতো এবং টাকা জুটেও যেতো। তবে যেসব কম্যুনিটি শৃঙ্খলা বজায় রেখে ভালো কাজ দেখাতো, পরবর্তী ফেজের অর্থায়নে সঙ্গত কারনেই তারা অগ্রাধিকার পেতো।

এক্ষেত্রে একটু বলে রাখতে হবে যে বিভিন্ন দাতার অর্থায়নে আমরা এই প্রকল্প চালাতাম কিন্তু বিশ্বব্যাংক ব্যাতীত অন্য দাতাদের প্রকল্প আমাদের নিয়মনীতির মাধ্যমেই চালাতাম। বিশ্বব্যাংক আবার এইক্ষেত্রে বেজায় রক্ষণশীল। গাদা গাদা ফরম্যাট পুরন করতে করতে আমার টিম এবং কম্যুনিটি ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে যেতো। আমরা অনেকবারই তাদের সাথে কথা বলেছি যে আমাদের ফরম্যাটস এবং নিয়মনীতিতে আমরা পর্যাপ্ত কন্ট্রোল টুলস এবং জবাবদিহিতার সন্নিবেশ ঘটিয়েছি, কিন্তু কে শোনে কার কথা। বিশ্বব্যাংকের পয়সা নিতে হলে তাদের অপারেশনাল ম্যানুয়াল অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক ছিলো কোনও ব্যাতিক্রম ছাড়া।

আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিবেচনায় আমাদের বাংলাদেশ সোমালিয়া থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু তার পরও আমরা কেনো এতো সন্দেহের জালে আটকে থাকি? আমি বিশ্বব্যাংকের মনের কথা জানিনা এবং জানার প্রয়োজন বোধও করিনা। সোমালিয়ার মতো একটা ‘ফেইলড এন্ড ফ্রাজাইল’ দেশে যদি প্রকল্পের উপকারভোগিরা সরাসরি তহবিল ব্যবস্থাপনাসহ গোটা প্রকল্প চালিয়ে থাকে তবে বাংলাদেশে আমরা কেনো সেই মডালিটির জন্যে বিবেচনায় আসতে পারিনা!

তবে একান্তই নিজস্ব একটা পর্যবেক্ষন- সোমলিয়া থেকে প্রায় সবদিক থেকে এগিয়ে থেকেও কিছু কিছু দিক থেকে আমরা হাজার বছর পিছিয়ে আছি এবং সম্ভবত অনন্তকাল ধরে পিছিয়েই থাকবো; সেটা হচ্ছে আমাদের আমলাতন্ত্র, জনপ্রতিনিধিরা এবং তথাকথিত সুশীল সমাজ সাধারন মানুষের ক্ষমতায়ন এবং সক্ষমতার উন্নয়ণ চায় না। বিশ্বব্যাংকসহ সকল দাতাগোষ্ঠীর বাপ-দাদা, চৌদ্দগুষ্টি এসেও এই পরিস্থিতি পালটাতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা সৎ হই। এটাই আপাতদৃষ্টিতে মোদ্দাকথা!

সিডিআরডি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

আমি বিশ্বব্যাংকের মনের কথা জানিনা এবং জানার প্রয়োজন বোধও করিনা।

এটা পোস্ট পড়তে পড়তে বুঝছিলাম।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

যেটা আদৌ অসম্ভব, সেটা পিছনে দৌঁড়ানোটা আমার কাছে অবাস্তবই মনে হয়েছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

হাসিব এর ছবি

বিশ্বব্যাংকের মতো দস্যু সংস্থাগুলোর প্রতিরোধ অসম্ভব হলেও জরুরী।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

একমত।

একটা বিষয় বেশ ইন্টারেস্টিং, ওদের মনোবাসনা খুবই কান্ট্রি স্পেসিফিক। দেশ থেকে দেশে ভিন্ন। কোথাও ওয়েলফেয়ারের বন্যা বইয়ে দিয়ে (যেমন, সোমালিয়ায়) আবার কোথাও বা সুদবাণিজ্য (এই যেমন বাংলাদেশে)। মোদ্দাকথা, গ্লোবাল পোর্টফোলিওতে চাই বিশাল আকারের প্রফিট মার্জিন। তবে এটা খুবই নিশ্চিত যে যেখানেই ওরা দানছত্র খুলে বসেছে, সেখানেই ওদের সুদুরপ্রসারী বাণিজ্যিক এজেন্ডা আছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

হাসিব এর ছবি

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুদবাণিজ্য করে! শিক্ষাখাত, কৃষিখাত, রাষ্ট্রীয় মালিকানায় শিল্প ধ্বংস করার রেসিপির বাণিজ্যকে আপনি কী নাম দেবেন?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দৃশ্যমান মোটিফ তো অবশ্যই সুদবাণিজ্য। আর সুদবাণিজ্য নির্বিঘ্নে চালাতে গেলে ঋণগ্রহীতার আত্মনির্ভরশীলতা ধ্বংস করা অতীব জরুরী। আর তখন এটা করতে গেলে শিক্ষা, কৃষি, শিল্প এগুলোতে হাত দেওয়া তো অবশ্যম্ভাবী। এটা চিরস্থায়ী ঋণের চক্রে ফেলার একটা প্রক্রিয়া।

বাংলাদেশের গ্রামের সুদখোর মহাজনদেরকে দেখবেন, মানুষকে সেধে সেধে ঋণ দেয়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

মোদ্দাকথা, গ্লোবাল পোর্টফোলিওতে চাই বিশাল আকারের প্রফিট মার্জিন। তবে এটা খুবই নিশ্চিত যে যেখানেই ওরা দানছত্র খুলে বসেছে, সেখানেই ওদের সুদুরপ্রসারী বাণিজ্যিক এজেন্ডা আছে।

চলুক
এটাই হলো বিশ্বব্যাংকের আসল চেহারা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

রাজাদাকে অনেকদিন পর দেখা গেলো! নিয়মিত থাকবেন আশাকরি। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনাদের 'অভ্যর্থনা' পর্বটি ছিল দারুন।
ধন্যবাদ, নতুন একটি বিষয় সম্পর্কে জানলাম।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ সিনিয়র। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

হে হে , ভেনিজুয়েলা থেকে তাদের ঋণ শোধ করে বাহির করে দেবার জন্য তারা এবং তাদের বন্ধুরা মহাক্ষিপ্ত।
এখন বলিভিয়া থেকেও বাহির করা হবে, দিন শেষ হয়ে আসছে শোষণকারীদের ।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আসলে জাতীয় পর্যায়ে সম্পদের অপ্রতুলতার কারনে অনেক সময় এইসব ডাকুদের মেনে নিতে হয়। কিন্তু আমাদের সরকারবাহাদুগণ কি আদৌ আগ্রহী এদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে দিতে? হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।