একজন প্রবীন সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশে আপনি সন্মান পান। আপনি একজন আইন প্রণেতা, আইন জানেন, কিন্তু কতটুকু মানেন তা নিয়ে আমার সংশয় দেখা দিচ্ছে। কয়েক মিনিট আগে বিটিভি-তে দেখলাম বিদেশী লিবারেশন ফ্রেন্ডদের সন্মাননা জানাতে বাংলাদেশ লিবারেশন এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে আপনি যেভাবে হাতাকাটা কোটের পকেটে দুইহাতের কব্জী পর্যন্ত ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতে করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করতে আমি বাংলাদেশ সরকারের ১৯৭২ সালের ১৩০ নং স্থায়ী আদেশের অধীনে ক্যাবিনেট ডিভিশনের নোটিফিকেশন (নং ৬/১/৭৮, প্রণীত ২৫/১০/৭৮ এবং সংশোধীত অক্টোবর ২০০২) থেকে প্রয়োজনীয় অংশটুকু এখানে শেয়ার করছি-
ধারা ৪- জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সন্মান প্রদর্শণ-
When the National Anthem is being played on the arrival of a dignitary or on the ceremonial hoisting of the Bangladesh Flag, all ranks in uniform, not being under the orders of the Officer Commanding a parade, shall stand to attention; and all Officers, including spectator officers in uniform, Junior Commissioned Officers, Warrant Officers and Non-Commissioned Officers shall stand to attention saluting at the first note of the Anthem and shall keep in that position until the last note of the National Anthem has been played. When the National Anthem is played and the National flag is displayed, all present shall face the Flag; when the Flag is not displayed, all present shall face the musicians/band; civilians in Western head dress shall uncover their heads and civilians in any other head dress shall stand to attention.
তার মানে শেষাংশে বলা হচ্ছে,
পশ্চিমা মস্তকাবরণ পরিহিত সকল বেসামরিক ব্যাক্তিবর্গ তাদের মস্তক অনাবৃত করবে এবং অন্য যে কোনও ধরণের মস্তক আবরনকারী পোষাক পরিহিত বেসামরিক ব্যাক্তিবর্গ সটান দাঁড়াবে।
কেউ এই নোটিফিকেশনের পুরোটা পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
ঞ্জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে দয়া করে কেউ ঠাট্টা-মস্করা করবেন না। এগুলো আমাদের মৌলিকত্ব। নিয়ম জানা সত্বেও জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতকে যদি আমরা ঠিকমতো সন্মান দেখাতে না পারি, তবে আমরা কি চাই তা পরিষ্কার করতে হবে।
মন্তব্য
না বুঝে করছে হয়তো। মাফ কইরা দেন
আপনার কথা আমার ঠিক বোধগম্য হলোনা। বুঝবেনা মানে? উনি দেশের মন্ত্রীসভার সদস্য। সর্বোপরি উনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। উনাকে অবশ্যই বোঝতে হবে।
সহমত
সবার ভুলের সিগনিফিক্যান্স এক নয়। একজন মন্ত্রীর ভুলের প্রভাব আমাদের মতো জনগনের ভুল থেকে অনেক বেশি। কিছু কিছু ভুল একবারের জন্যে হলেও গ্রহণযোগ্য নয়।
মাফ করার কথাটা মনে হয় ঠাট্টা করে বললেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
উনারা খুব ক্লান্ত মনে হয়, দেশ সেবা করতে করতে "শরীল-সাস্ত" আর পারছে না। উনাদের পদত্যাগ করার সকল পথ সুগম করা হউক, আর তারা দলে দলে পদত্যাগ করার জন্যে মার্চ করে শান্তির পথে ধাবিত হউন!
মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যদি এই শরীর নিয়ে চালাতে পারেন, সেই তুলনায় উনি তো যুবক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সবার গাফেলতি সহ্য করা যায় না। মন্ত্রীসভার প্রবীণ সদস্য মাননীয় মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর এই আচরণ মেনে নেয়া যায় না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
একমত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।
এটা অনিচ্ছাকৃত হতে পারে, তাও করা উচিৎ নয়। কিন্তু আমাদের সংবিধানে তো বুকে হাত দেওয়ার কথা বলা নাই। সেটা যারা করে তাদের কি বলা উচিৎ? ওটা তো ফ্যাশন হয়ে গেছে আজকাল!
এটা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়নি, হয়েছে স্পন্টেনিয়াসলি। আমার ধারণা তিনি জীবনে কোনওদিনই জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণের রীতি নিয়ে মাথা ঘামায়নি। তাই যদি ঘামাতো, তবে অন্তত সেটা তার চিন্তায় এবং আচরণে স্থায়ী হয়ে যেতো। বাপকে দেখলে হাতের বিড়ি ফেলে দেওয়ার কথা কাউকে বলে দিতে হয়না। তেমনি জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কথাও বলে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো নয়।
বুকে হাত দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে অনেক কথা ও সমালোচনা হয়েছে, এই সচলায়তনেই হয়েছে, সার্চ দিয়ে দেখুন দয়াকরে। সচেতনতার অভাবেই আজকাল এসব ফ্যাশন শুরু হয়েছে, রথী-মহারথীদের উপস্থিতিতে। কিছু বলার নেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একমত।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমরা অতীতের অনেক কিছুই জানিনা। ৭২ এ সংবিধান প্রণীত হবার পরে এই সুরঞ্জিত বাবু তাতে স্বাক্ষর করেননি। আর আজকে তিনি সেই সংবিধানের বিশেষজ্ঞ।
তবে মন্ত্রী হিসেবে উনার রাষ্ট্রের প্রতি এটুকু শ্রদ্ধা দেখানো কর্তব্য।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শ্রদ্ধা টুকু জানিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। কতবার যে হতাশ হয়েছি এমন দৃশ্য দেখে। কিছুদিন আগে 'জাগো' বলে একটি চলচ্চিত্র দেখছিলাম; যেখানে খুব করে খেলার মাধ্যমে জাতীয়তাবোধের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখানো হচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা দলের বিরুদ্ধে কুমিল্লা একাদশের ফুটবলাররা খুব দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে খেলতে নেমেছে। চোখে মুখে ভাবে ভঙ্গীতে দেশপ্রেম ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় কোন কার্পণ্য নেই। খেলার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময়ের দৃশ্য দেখে পুরাই আক্কেলগুড়ুম অবস্থা হল আমার। দলের কোচ (তারিক আনাম), সিনেমায় যিনি স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের যোদ্ধা, দেশের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন- তিনি বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আর খেলোয়াড়রা সব খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে পেছনে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ দৃশ্য সিনেমায় না, জাতীয় দলের অনেক খেলাতেও লক্ষ করেছি। এ্যাটেনশন ভঙ্গী অর্থ হল দুই পাশে হাত রেখে, হাতের আঙ্গুল অর্ধভাঁজ করা অবস্থায় সোজা সটান দাঁড়িয়ে থাকা। স্কুলেও তাই দেখেছি এবং শিখেছি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এমন আচরণ বারবার আমাকে হতাশ করেছে। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিভিন্ন ফোরামে আলোচিত হওয়া উচিত।
আমি গতকাল যেটা করেছি, আমার এক সহকর্মী ওই সময় ডেস্কে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো, তাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছি। এটা শুনে সেখানে আর যে সহকর্মীরা একটু এঁকেবেঁকে দাড়ানো ছিলো, তারাও সোজা হয়ে দাঁড়ায়। এরপর আমি গ্রুপ মেইলে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সন্মানজ্ঞাপনের নিয়মকানুন সার্কুলেট করে দেই। এভাবে সবাই সচেতনতাবৃদ্ধিমূলক কিছু কিছু করতে পারে।
বুকে বা পিছনে হাত দেওয়া নিয়ে কিছু বলবো না। অপ্রিয় সত্যি কথাগুলো বলতে গেলে মাঝে মাঝে কিছু অশালীন কথা বের হয়ে যায় যেটা সুখশ্রাব্য নয়। মডুকে ধন্যবাদ আগের প্রতিমন্বব্যটা না ছাড়ার জন্যে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি তো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্তের দায়ে অভিযুক্ত হবেন ভাই।
হাহাহা
হাইসেন না সাফি ভাই, ধরা খাইলে আপনের নামডাও কইয়া দিমু কইলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তবে তো নিখর্চায় জাতে ঊঠে গেলুম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছেলে বেলায় যখন থার্ড ক্লাশের টিকেট কেটে সিনেমা দেখতাম, তখনও দেখেছি মুভির শুরুতে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন ও জাতীয় সংগীত বাজবার সময় হলসুদ্ধ সক্কলে উঠে দাঁড়িয়েছে, একালে কি যে হলো?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এখানেও সমস্যা আছে- খুলনার স্টার, সঙ্গীতা ও ঝিনুক হলে যখন এক টিকেটে দুটি ছবি দেখানোর নাম করে ব্লুফিল্ম দেখাতো, তার শুরুতেও কিন্তু জাতীয় পতাকা দেখানো হতো এবং জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হতো। আইন কখোনোই এগুলোকে ছুঁতে পারেনি। এগুলো কখোনেই আইনে আসবেনা কারন ব্লুফিল্ম প্রদর্শণ আইনত অবৈধ। এভাবেই আমরা এই দুটি জাতীয় মৌলিকত্বের ক্রমাগত অবমাননা করে এসেছি আইনপ্রয়োগকারীদের নাকের ডগায় বসে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সমস্যা হয়ত আছে, কিন্তু জাতীয় পতাকাকে সন্মান প্রদর্শনের জন্য ভেতরের টানটা আমি কিন্তু অর্জন করেছি সিনেমা হলে থেকেই বেশী, মর্নিং এসেম্বী থেকে নয়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে আর ৩ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম দিয়ে এই পতাকা, এই সঙ্গীত অর্জন করে এমন কোনও অপরাধ করেনি যে আমরা এগুলোর প্রতি যথাযথ সন্মান দেখাবোনা।""""""""""""
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন