• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়া ও নেওয়ার খুচরো অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৩/০৬/২০১২ - ১২:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ডিসক্লেইমারঃ এই ব্লগ পাঠলব্ধ শিক্ষণের প্রয়োগে কাহারও ইন্টারভিউ ব্যার্থতার দায় ব্লগরব্লগরকের উপর বর্তাইবে না]

চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়া ও নেওয়ার খুচরো অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)
চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়া ও নেওয়ার খুচরো অভিজ্ঞতা (দ্বিতীয় পর্ব)

দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাবেক মন্ত্রীর সামনে কাচুমাচু হয়ে বসে আছি। মন্ত্রী মহোদয় গম্ভীর মুখে আমার সিভি দেখছে। এক পর্যায়ে তিনি বেশ ক্ষোভের সাথে আমার কাছে কৈফিয়ত তলব করলো যে আমি সিভিতে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে দাদাবাড়ির ঠিকানা না দিয়ে নানাবাড়ির ঠিকানা দিয়েছি কেনো! আমি বিনীতভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে নানাবাড়ির সাথে আমাদের এ্যাটাচমেন্ট বেশি। এতে তার রাগ কমলো না। তিনি বলে চললো যে তোমরা পোলাপান নিজের ভিত উপড়ে ফেলতে চাও, এ করে বেশিদুর যাওয়া যায় না, জায়গাতেই সবার ফিরে আসতে হয়। তিনি আমাকে চাকরীতে জয়েন করার জন্যে আসতে বললেও এখন পিএসের কাছে নাম্বার রেখে আমাকে চলে যেতে বললো পরে দেখবে বলে। সেই পরে দেখা আর কোনওদিনই হয়ে ওঠেনি।

এটা প্রাইভেট চাকরীর একটা সিনারিও, এখানে নিয়োগকর্তাই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ঠিক যেমনটি ঘটেছিলো ক্ষয়িষ্ণু একটা ফার্মের মালিক আমাকে চাকরী দিয়েছিলো যেখানে আমাকে নিয়োগ না করলেও তার চলতো। কিন্তু যেটা আগেই উল্লেখ করেছি, এইসব প্রাইভেট ফার্ম কিন্তু এককভাবে খুব বেশি পরিমান মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারেনা যতোটা না এমএনসি, কর্পোরেট হাউস বা আইএনজিওরা পারে।

ধরো তোমার টিমের অধীনস্থের সাথে এবং তোমার বসের সাথে কনফ্লিক্ট হচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রে তুমি কি স্ট্র্যাটেজি অবলম্বন করে এই সংঘাত নিরসন করে থাকো?

গত কয়েকটা বছর ধরে ইন্টারভিউতে এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। তবে শুধু শোনা নয়, এটা জিজ্ঞেসও করতে হয় প্রতিনিয়ত, বিশেষকরে ইন্টারভিউটা যদি কোনও সিনিয়র পজিশনের জন্যে হয়। অনেকবছর আগে আমি একবার ইউএন-এর একটা ইন্টারভিউতে বলেছিলাম যে আমার এরকম কোনও রেকর্ড নেই। প্রশ্নকর্তা আমাকে হাসতে হাসতে সরাসরি বলে দিলো, “য়্যু আর লায়িং অর য়্যু আর আ প্রফেট।” নিদারূন আহত হলেও আমি কিছুই বলতে পারিনি।

পরে অনেক ভেবেছি এটা নিয়ে। হ্যাঁ, কনফ্লিক্ট মানে তো আর ঝগড়াঝাটি বা মারামারি নয়, মতভিন্নতাটাকেও তো কনফ্লিক্ট বলা যেতে পারে। তো, তারপরও আর এটা নিয়ে আমাকে কোনও ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। অধীনস্থদের সাথে যেসব বিষয় নিয়ে তথাকথিত কনফ্লিক্ট হতে পারে হলো, কর্মী একটা বিষয়কে একভাবে দেখছে যেটাতে আমার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। এক্ষেত্রে কর্মীর সাথে বসতে হবে, উভয়ের অপশনগুলো নিয়ে কথা বলতে হবে, যদি আমি মনে করি আমার অপশন তারটা থেকে উত্তম, তাকে বোঝাতে হবে। এইভাবে অধীনস্থের সাথে কনফ্লিক্ট মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। তবে সবসময়েই যে বিষয়টা এতোটা সহজ হয়ে যায় তা কিন্তু নয়। অনেক অত্যুৎসাহী কর্মী সীমিত অভিজ্ঞার কারনে ইমিডিয়েট আউটকাম দেখতে পায় এবং সেটা নিয়েই কঠোর অবস্থান নিয়ে নেয়। কিন্তু লংটার্ম ইমপ্যাক্টের বিবেচনায় তার মতামতটা তেমন যুৎসই নয়। এইসব ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল একজন ম্যানেজার হিসেবে প্রকল্প এবং অভীষ্ঠ জনগোষ্ঠির বৃহত্তর স্বার্থে সিদ্ধান্ত টপ ডাউন করতে হয়। এই গোটা বিষয়টাই আমি এভাবেই ইন্টারভিউতে প্যানেলকে ব্যাখ্যা করে থাকি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বসের সাথে কনফ্লিক্ট। এক্ষেত্রে আমার উত্তর থাক অনেকটা একই। কিন্তু জ্বালাতন হচ্ছে প্রশ্নকর্তারা একটা উদাহরণ শুনতে চায়! তো আমি সরল বিশ্বাসে একটাই উদাহরণ দিয়ে থাকি-

একটা ফ্যামিলি শেল্টার নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিলো স্থানীয় পার্টনারদের দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছিলো। হঠাৎই বস ঘোষনা করলেন যে এই প্রকল্প আমরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করবো। সঙ্গত কারনেই আমি তার সাথে দ্বিমত পোষণ করি। অনেক আলাপ-আলোচনা হয় কিন্তু সে সবই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়। বসের এক কথা, নিজেরাই প্রজেক্ট করবো। পার্টনারকে দিলে টাকাপয়সা মেরে খেয়ে প্রজেক্টের বারোটা বাজিয়ে দেবে। তিনি আমাকে প্রস্তুতি নিতে বললে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি প্রজেক্ট ফেল করলে কে দায়ী হবে? তিনি সোজাসাপ্টা বলে যে আপনি দায়ী হবেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে। আমি বিনীতভাবে তাকে এই প্রকল্পের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করি। এরপর আমরা দুজনে বসে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টার সমাধান করি এইভাবে যে আমি এই প্রকল্পের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে অন্য কিছু দায়িত্ব নতুন করে নেবো।

সত্যি কথা বলতে কি, ইন্টারভিউ চলাকালীন সময়েই বেশ কয়েকবার এই উত্তরের জন্যে প্রশাংসা পেয়েছি।

আরেকটা প্রশ্ন সাম্প্রতিককালে বেশ কমন, অনেকবার এই প্রশ্নের সামনে পড়েছি এবং এই প্রশ্নটি প্রায়শই অন্যদেরকে করে থাকি। তুমি তোমার টিমের পুওর পারফর্মার কর্মীর পারফরম্যান্স ম্যানেজ করবে কিভাবে? আপনাদের মধ্যে যারা মধ্যবর্তী বা সিনিয়র লেভেলে ইন্টারভিউ দিয়েছেন বা নিয়ে থাকেন তাদের কাছে এটি বেশ কমনই ঠেকার কথা। আমি এই প্রশ্নের সন্মূখীন হলে বলি যে প্রথমেই কর্মীর সাথে বসে তার জব ডেসক্রিপশন পরিষ্কার করা এবং অবজেকটিভসগুলো স্মার্ট কিনা সেটি খতিয়ে দেখা। এর পরের পর্যায়ে তাকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত সহযোগিতা প্রদান করা যার মধ্যে থাকতে পারে ফর্মাল বা অন-দ্য-জব প্রশিক্ষণ দেওয়া, এতে কাজ না হলে এরপর তাকে ফিডব্যাক দিয়ে উন্নতির জন্যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া এবং সেই সময়কালে আপনি তার উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখবেন তা পরিষ্কার করা। অবশেষে থাকছে বার্ষিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। এই ক্ষেত্রে অপ্রিয় বা কষ্টদায়ক হলেও আপনাকে সততা দেখাতে হবে। যদি এটা পরিষ্কার হয় যে ওই পদে কাজ করার মতো নূন্যতম যোগ্যতা কর্মীর নেই অথবা কর্মী স্বভাবগতভাবে ফাঁকিবাজ, এই কর্মীকে ডিসকন্টিনিউ করাই শ্রেয়। একজন অযোগ্য কর্মীর পারফর্ম্যান্সের প্রভাব গোটা ডিপার্টমেন্টের উপর পড়ে কারন আধুনিক যুগ হচ্ছে শ্রমবিভাগের যুগ, একজনে সব কাজ করার দিন শেষ। আধুনিক শ্রমব্যবস্থাপনায় সেগ্রিগেশান অব ডিউটিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এনজিওগুলোতে একরকম নিশ্চিত থাকে জেন্ডার এবং ডাইভারসিটি নিয়ে দু’একটা প্রশ্ন। আমরা সাধারণত প্রশ্ন করে থাকি কর্মক্ষেত্রে আপনি জেন্ডার ও ডাইভারসিটি ইস্যুটাকে আপনি কিভাবে দেখে থাকেন? আপনার বর্তমান কর্মস্থলে আপনারা জেন্ডার ও ডাইভারসিটিকে কিভাবে মেইনস্ট্রিমিং করে থাকেন? এই প্রশ্নের উত্তর যতোটা সম্ভব সরলভাবে দেওয়া ভালো। একটু ঘুরিয়ে উত্তর দেওয়া প্রশ্নকর্তাকে আরও জটিল প্রশ্ন নিয়ে আসার সুযোগ করে দেয়। আমি নিজে বলি যে সব লিঙ্গের মানুষের জন্যে যথাযথ সূযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করাটা জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিংএর মূল কথা। বিশেষত, যোগ্য নারীদেরকে সূযোগ দেওয়া, নারীর বিশেষ প্রয়োজনগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেটানোর পলিসি থাকা, নারীর সামাজিক সুবিধা-অসুবিধাগুলো বিবেচনায় রাখা, ইত্যাদি। তেমনই, ডাইভারসিটির ক্ষেত্রেও এক্সক্লুডেড, আদিবাসী, শারিরীকভাবে আংশিক চ্যালেঞ্জড মানুষগুলো, এদের সম অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টাই মূখ্য।

ইন্টারভিউয়ের সবথেকে কমন প্রশ্নটি হচ্ছে আপনার কি আমাদের কাছে কোনও প্রশ্ন আছে? শুনতে সহজ হলেও প্রশ্নটি বেশ জটিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন এমন প্রশ্নের সন্মূখীন হই যে প্রশ্ন অবান্তর। বিজ্ঞাপনে বেতন-ভাতার উল্লেখ এবং পদের মেয়াদ উল্লেখ থাকার পরও প্রায়শই অনেকে প্রশ্ন করে বসে যে এই পদের সুযোগ সুবিধাগুলো কি কি। এধরনের প্রশ্ন প্যানেল বিরক্ত হলে তাদেরকে দোষ দেওয়া যাবেনা। এইসব ক্ষেত্রে বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করতে হয়, আর তেমন কিছু খুঁজে না পেলে সোজাসুজি ধন্যবাদান্তে বলে দিতে হয় যে আপনার কোনও প্রশ্ন নেই। যেমন একটা প্রশ্ন করা যেতে পারে যে এই পদে নিয়োগ পেলে ‘ভবিষ্যতে’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জনের সূযোগ আসতে পারে কি না। অথবা পেষাগত উন্নয়নের জন্যে সংস্থা কর্মীকে কি কি ধরণের সহযোগিতা দিয়ে থাকে। এই প্রশ্নগুলো মূলত আপনার অ্যাসপিরেশনটাকে তুলে ধরে যা প্যানেল ইতিবাচকভাবে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।

কিছু কিছু প্যানেল সদস্য বেশ বিরক্তিকর আচরণ করে থাকে। আমার অভিজ্ঞতার এরকম অনেক দেখেছি। অযথা প্যাঁচাল পেড়েই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি যতোই বিরক্ত বোধ করি না কেনো, তা কোনক্রমেই প্রকাশ পেতে দেই না। আমি আমার প্রয়োজনে ইন্টারভিউ দিতে বসেছি। হ্যাঁ, নিয়োগকর্তাও তাদের প্রয়োজনেই আমাকে ইন্টারভিউ করছে। কিন্তু আমার বিরক্তির প্রকাশ আমার সম্পর্কে তাদের মনোভাবকে মাইনাসের পর্যায়ে নিয়ে যাবে, তাই সাবধান। আরেকটা কথা বলতেই হয়, কোনও কোনও প্রশ্নকর্তা স্বভাবগতভাবেই বিরক্তিকর আবার অনেকেই বিরক্তিকরের ভাব ধরে থাকে প্রার্থীর টেম্পারমেন্ট এবং স্বতস্ফুর্ততা বোঝার জন্যে। সুতরাং, আপনার কাছে তাকে বিরক্তিকর মনে হলেও তিনি যে আসলেই বিরক্তিকর এটা সবক্ষেত্রে সঠিক নয়।

স্মার্টনেস, স্পষ্টভাষিতা, সত্যবাদিতা, এগুলো খুবই দামী। আজকাল সকলেই স্মার্ট কর্মী খোঁজে। তবে ইন্টারভিউ দিতে বসে ওভারস্মার্টনেস দেখানো খু্বই বিপদজনক। সোজাসাপ্টা ভাষায় কথা বলাটাও খুবই জরুরী তবে প্রকাশভঙ্গী যেনো অবশ্যই বিনীত হয়। ইয়ে, মানে, এই আর কি, অপ্রয়োজনে আই মিন, ইউ নো, ইত্যাদি না বলাটাই বাঞ্ছনীয়। আর স্পষ্টভাষিতা আর সত্যবাদিতার একটা গল্প দিয়েই শেষ করি। এটা ২০০৫ সালের কথা, ইন্দোনেশিয়ায় একজন প্রকিউরমেন্ট অফিসার পদের ইন্টারভিউতে।

রাতঃ আপনি নিশ্চয় বেতন-ভাতা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন থেকে জেনেছেন। তার পরও এই বিষয়ে আপনার কি কিছু বক্তব্য আছে?
প্রার্থীঃ জ্বী, আমি ঠিক এটাই বলতে চাচ্ছিলাম। আপনাদের বেতন খুবই কম। আমাকে এই পদে নিতে হলে মাসিক কমপক্ষে ১,০০০ ডলার দিতে হবে।
রাতঃ আপনি এতো কম বেতন জেনেশুনে তবে আবেদন করতে আগ্রহী হলেন কেনো দয়াকরে একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
প্রার্থীঃ জ্বী, আমি জেনে বুঝেই আবেদন করেছি। আপনাদের অফারকৃত বেতনেও আমি জয়েন করতে রাজী আছি। তবে সেক্ষেত্রে আমি আমার প্রয়োজন মেটানোর জন্যে যেটুকু বাড়তি অর্থের প্রয়োজন, প্রকিউরমেন্ট ডিলগুলো থেকে সেটার সংস্থান করে নেবো।

অন্যসব প্রার্থীদের থেকে সবদিক দিয়ে সুবিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকার লোকটাকে আমরা চাকরী দেইনি।


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

তার মানে ওভারস্মার্টনেসের মত ওভারসততাও তাহলে ব্যাকফায়ার করতে পারে? ইজ অনেস্টি নট অলওয়েজ দ্য বেস্ট পলিসি, স্যর? ;)

****************************************

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিক ধরেছেন মাঝিস্যার। অনেস্ট্ ইজ অলওয়েজ দ্য বেষ্ট পলিসি কিন্তু তার পরও গান আছে- অনেস্টি দেখাতে গিয়ে বাছাধন কি করলো? তার একটা ডিজঅনেস্ট মোটিফ ফাঁস করে ফেললো না!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনার সিরিজখানা পড়লুম। সদ্য একটা অদ্ভুত ইন্টারভিউ দিয়ে এই পোস্টডকের চাকরি পেলুম, তবে যেহেতু এটা সে অর্থে 'জব' নয় তাই এতটা প্যাঁচেও পড়তে হয়নি কখনও :D

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তাহলে প্যাঁচের জন্যে অপেক্ষা কর্তে থাকুন দাদা। ;)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মরুদ্যান এর ছবি

(Y)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারানা_শব্দ এর ছবি

ইন্টারভিউয়ের সবথেকে কমন প্রশ্নটি হচ্ছে আপনার কি আমাদের কাছে কোনও প্রশ্ন আছে?

আপনার যেই উত্তর এর ক্ষেত্রে আমি যদি সেটা না বলে জিজ্ঞেস করি ' আমি কবে আপনাদের ফাইনাল ডিসিশন জানতে পারবো যে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে / হচ্ছে না-এই ব্যাপারে। - এমন প্রশ্ন করাটা কেমন হবে??

কিংবা কোন সার্কুলারে যদি বেতনের উল্লেখ না থাকে সেই ক্ষেত্রে বেতন নিয়ে প্রশ্ন করাটাই বা কেমন?

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

"কোন সার্কুলারে যদি বেতনের উল্লেখ না থাকে সেই ক্ষেত্রে বেতন নিয়ে প্রশ্ন করাটাই বা কেমন?" এ বিষয়টি জানা আমারো খুব দরকার। বিশেষ করে 'নেগোশিয়েবল' বলা থাকে যখন।

সৌরভ কবীর

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ফাইনাল ডিসিশন কবে জানা যাবে- এটা খুবই স্বাভাবিক একটা প্রশ্ন এবং এটা জানতে চাওয়া যেতেই পারে। আর দেখবেন, আজকাল কিন্তু প্রায় সব বিজ্ঞাপনে বেতন ভাতার কথা উল্লেখ থাকে। যদি বিজ্ঞাপনে কিছু না থাকে অথবা এমনটি থাকে যে বেতন সংস্থার নিয়মানুযায়ী প্রদান করা হইবে, এইসব ক্ষেত্রে বেতন বিষয়ক প্রশ্নও খুবই স্বাভাবিক। এগুলো ঠিক আছে কিন্তু এগুলো কোনও ভ্যালু এ্যাড করেনা। তাই সম্ভব হলে এর বাইরেও দুএকটা প্রশ্ন করুন যেগুলো আপনার স্মার্টনেসকে ফুঁটিয়ে তোলে। এই প্রশ্ন-উত্তরের জন্যে সাধারনত কোনও মার্কস থাকেনা কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করতে পারলে তা ইন্টারভিউ রিমার্কসে ইতিবাচক নোট হিসেবে যুক্ত হতে পারে। তবে হ্যাঁ, ভূল করেও যেনো একগাদা প্রশ্ন করে বসবেন না।

বেতন নেগোসিয়েশন নিয়ে দুটো কথা বলতে হয়। আপনি খোলাখুলি ভাবে আপনার এক্সপেকটেশন জানাবেন। যদি আপনার পক্ষে ফ্লেক্সিবল হওয়া সম্ভব হয়, সেটাও পরিষ্কার জানাবেন। আপনার কথায় যেনো কোনওভাবে প্রকাশ না পায় যে আপনি অফারকৃত বেতনে মোটেও সন্তষ্ট হতে পারছেন না কিন্তু তার পরও চাকরী হলে যোগদান করবেন। এটা করলেই আপনি শেষ!

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ইশতিয়াক এর ছবি

প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে করা যেতে পারে।"ইন্টারভিউয়ের ফলাফল কবে প্রকাশ করা হতে পারে বা কতদিনের মধ্যে ফাইনাল ডিসিশন নেয়া হবে?" নিয়োগ দেয়া হবে কি হবে না এরকম প্রশ্ন সরাসরি না করাই ভালো মনে হচ্ছে। সার্কুলারে বেতন এর কথা উল্লেখ না থাকলে আমার মনে হয় প্রশ্নকর্তা নিজেই এটা তুলবেন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ইশতিয়াক এর ছবি

প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে করা যেতে পারে।"ইন্টারভিউয়ের ফলাফল কবে প্রকাশ করা হতে পারে বা কতদিনের মধ্যে ফাইনাল ডিসিশন নেয়া হবে?" নিয়োগ দেয়া হবে কি হবে না এরকম প্রশ্ন সরাসরি না করাই ভালো মনে হচ্ছে। সার্কুলারে বেতন এর কথা উল্লেখ না থাকলে আমার মনে হয় প্রশ্নকর্তা নিজেই এটা তুলবেন।

কালো কাক এর ছবি

আমার অভিজ্ঞতা হলো "নেগোশিয়েবল" বা যেসব পোস্টে বেতনের উল্লেখ থাকে না সেখানে চাকরিদাতা জিজ্ঞেস করেন আপনার এক্সপেক্টেড স্যালারি কতো? এই প্রশ্নটা প্যানেলে এইচআরএর যিনি থাকবেন তিনিই করেন সাধারণত। তবে যদি কোন কারণে এটা বলা না হয় তাহলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা যায়।
কতদিন পরে রেজাল্ট পাওয়া যাবে এটাও এইচআরকে জিজ্ঞেস করা যায়। তবে একদম শেষে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

জী, সব কটি পর্বই পড়েছি। তবে আমি তো আর ইন্টারভিউ দিতে অথবা নিতে যাচ্ছিনা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনি যখন ইন্টারভিউ দেবেন বা নেবেন না, তবে নিন (ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ক্রেসিডা এর ছবি

=DX (Y)

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সত্যপীর এর ছবি

যেমন একটা প্রশ্ন করা যেতে পারে যে এই পদে নিয়োগ পেলে ‘ভবিষ্যতে’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অভিজ্ঞতা অর্জনের সূযোগ আসতে পারে কি না। অথবা পেষাগত উন্নয়নের জন্যে সংস্থা কর্মীকে কি কি ধরণের সহযোগিতা দিয়ে থাকে। এই প্রশ্নগুলো মূলত আপনার অ্যাসপিরেশনটাকে তুলে ধরে যা প্যানেল ইতিবাচকভাবে নেবে বলেই আমার বিশ্বাস।

(Y) (Y)
খাঁটি কথা। বেতন বা অন্যান্য প্রশ্ন না করে জিজ্ঞেস করা উচিত এই পদ থেকে কি কি এচিভ করা সম্ভব এবং ওপরে ওঠার স্কোপ রয়েছে কিনা।

পাঁচতারা পোস্ট।

..................................................................
#Banshibir.

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

দরকারি ও উপভোগ্য লেখা। ভাল লাগল। আগেরগুলো আগেই পড়েছি এবং যথারীতি ভাল লেগেছে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।