ঢাবি’তে আমার একজন শিক্ষক বলেছিলেন মাইক্রোফাইনান্স হ্যাজ ইটস ঔন বিউটি। উন্নয়নকর্মী পেশায় একযুগ অতিক্রম করেছি, কিন্তু মাইক্রোফাইনান্সে কাজ করার ইচ্ছে ছিলোনা তাই সুযোগ হয়নি, আর ব্যাক্তিগতভাবে মাইক্রোফাইনান্সে মোটাদাগে বলার মতো কোনও বিউটি খুঁজে পাইনি। সুতরাং সেই পুরোনো দিনের সিনেমার গানটাই ভাঁজি- যার নয়নে যারে লাগে ভালো ..........।।
গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার নিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই সোচ্চার। ড. ইউনুসকে তিনি একদা সুদখোর মহাজন বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের প্রশ্নে বলেছেন যে এরা ৩০, ৪০, ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নেয় এবং এটা কি খুব বেশি নয়?! তার এই অবস্থান থেকে আঁচ করি গরীব মানুষের উপর এই চড়া হারের সুদের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে তিনি ভাবিত। আমি ক্ষুদ্রঋণের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও অবস্থান না নিয়েই বলতে পারি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অনুভূতি যৌক্তিক ও মানবিক।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের ইতিহাস অনেক লম্বা এবং মানুষ স্বল্পমেয়াদে এর সুবিধা পায় বিধায় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে টিকে আছে। অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এটা নিয়ে কিন্তু তারপরও এটা টিকে আছে। মানুষ ক্ষুদ্রঋণের টাকা দিয়ে পালন করে আয় বাড়ানো জন্যে ছাগল কেনে। আবার মানুষ বেয়াই সাহেবকে ছাগল মেরে আপ্যায়ন করার জন্যেও ক্ষুদ্রঋণ নেয়। এগুলোই বাস্তবতা। এবং বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ অজনপ্রিয় হওয়ার কোনও লক্ষন আপাতত দেখা যাচ্ছেনা। ব্র্যাকের হাত ধরে আজ ক্ষুদ্রঋণ আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, উগান্ডা, তানজানিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
তো ধরে নিচ্ছি গ্রামীণ ব্যাংক চড়া হারে সুদ আদায়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ নামক এই সুমিষ্ট ল্যাংড়া আমের মধ্যে আঁশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই আঁশ বেরটা করবে কে? ল্যাংড়া আমে আঁশ ঢুকেছে, ল্যাংড়া আমে আঁশ ঢুকেছে- এই বলে শোরগোল বাধালে কাজের কাজটা কি হচ্ছে? এখানেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তার সুযোগ্য অর্থমন্ত্রীর সুস্পষ্ট গাফিলতি। গ্রামীণ ব্যাংক গরীবের রক্ত চুষছে এটা বোঝার পরও চুষে নেওয়া রক্ত ফিরিয়ে দিতে না পারলেও রক্ত চোষা বন্ধ করার কোনও চেষ্টাই বর্তমান সরকার করেনি। এযাবতকালের কোনও সরকারই করেনি।
বাংলাদেশের এনজিও কর্মকাণ্ড সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের অন্তর্ভুক্ত এনজিও এ্যাফেয়ার্স ব্যুরো থেকে। আর ক্ষুদ্রঋণসহ অন্যান্য আর্থিক কর্মসূচীগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ঠ। তাহলে প্রশ্ন জাগে এনজিওগুলো কি তাহলে এতোটা স্বরাজ পেয়েছে যে নিজেদের ইচ্ছেমতো সুদের হার নির্ধারণ করবে? এর এক কথায় উত্তর হচ্ছে- না। এনজিওরা স্বরাজ পায়না, তাদের স্বরাজ দেওয়া হয় এবং স্বরাজ কায়েম করার সুযোগ দেয় সরকার নিজেই। প্রমান চান? নিচে দেখুন-
বাংলাদেশ গেজেট এসআরও নং ৩৯৪-আইন/২০১০, জানুয়ারী ১৭, ২০০১ সালে প্রকাশিত মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইনের বিধি ২৬ বলছে-
২৬। ঋণের উপর সার্ভিস চার্জ-
(১) ক্ষুদ্রঋণের সার্ভিস চার্জের হার ও পদ্ধতি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ ও সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণক্রমে নীতিমালা প্রনয়নপূর্বক সার্ভিস চার্জের হার নির্ধারণ করিতে হইবে।
(২) উপবিধি (১) এর অধীনে নির্ধারিত সার্ভিস চার্জের হার গ্রাহককে অবহিত করিতে হইবে এবং কোনওভাবে ঘোষিত হারের অধিক সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাইবে না।
(৩) নির্দিষ্ট মেয়াদপূর্তীর পূর্বেই কোনও গ্রাহক কর্তৃক সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধিত হইলে সংশ্লিষ্ঠ গ্রাহককে সার্ভিস চার্জের উপরে যুক্তিসংগত হারে রিবেট প্রদান করিতে হইবে।
বাংলাদেশের আইনের মাধ্যমে গরীবের এতো বড়ো রক্ষাকবচ থাকতে কিভাবে এনজিও এতো চড়া সুদ বা সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংক ৩০-৪৫ শতাংশ সুদ আদায় করে এবং কে বা কারা তাদের এটা করার মতো স্বরাজ দেয় তা নিয়েও প্রশ্ন জাগতেই পারে। সরকারের রেগুলেটরী মেকানিজমের কার কার এতে গুপ্ত স্বার্থসংরক্ষিত হচ্ছে যে আইন থাকার পরও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধির পরও তারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার পুনঃনির্ধারন করছেন না! যদিও গ্রামীণ ব্যাংক বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রকৃত তথ্যের সাথে অসংগতিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে জানিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের সর্বোচ্চ সুদের হার ২০ শতাংশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্রঋণের উচ্চহারের সিগনিফিক্যান্স নিয়ে ভাবিত এবং সমালোচনা মুখর, এতে তিনি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ দাবী করতে পারেন এবং পাবেনও। কিন্তু নীতির প্রয়োগ ঘটিয়ে যে এটা লাঘব করা সম্ভব, এটা বোধ হয় তাকে অর্থমন্ত্রী মহোদয় জানাননি বা এমনও হতে পারে যে অর্থমন্ত্রী মহোদয় নিজেও এটা জানেন না। তবে না জানার দায় সরকারে থাকলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। তদুপরী দেখা যায় আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয় একজন পলিসি বিশারদ মানুষ এবং তার পলিসিনিষ্ঠা নিয়ে সম্প্রতি একটা কৌতুকও পড়লাম- তিনি সচিবালয়ে তার ফ্লোরে লিফটে না উঠে সিড়ি ভেঙে ওঠেন কারন লিফটের দরজায় একটা ‘পলিসি’ সাঁটা আছে, “এই লিফটে মাল ওঠানো নিষেধ।”
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুদ্রঋণের উচ্চ সুদের হার নিয়ে সমালোচনার যেমন প্রশংসা করছি তেমনই তার কাছে দাবী রাখছি অবিলম্বে এটার নিরসনে তিনি সক্রিয় এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন। তার আগামী সাক্ষাতকারে তিনি বলবেন যে গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার ছিলো ৪৫ শতাংশ কিন্তু তার সরকার এটাকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে- এটাই তার কাছে আমাদের দাবী। অন্যথায় ল্যাংড়া আমের মধ্যে আঁশ ঢুকে যাওয়ার হল্লা আমরা আর শুনতে চাই না।
মন্তব্য
কেন হাসলাম বলবো না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
না বললে আপনার হাসি ব্যাক করে নিন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাপুরাম সাপুড়ে কোথা যাস বাপু রে
সাপ আসছে তেড়ে, নেবে তোর বীণ কেড়ে
তোর বাড় গেছে বড় বেড়ে
মানীর মান দিস না রে
বুঝবি এবার ঠেলারে।
কত ধানে কত চাল
কত চুলে কত বাল
কত ল্যাংড়ায় কত আঁশ
কত ঝাড়ে কত বাঁশ
নাকের জলে পিছের জলে
শিরায় শিরায় গিরায় গিরায়
বুঝবি এবার, বুঝবি রে--
মানীর মান দিলি না রে !
****************************************
আমরা আছি বিষম কলিকালে
ইন্দুর-বান্দর চুম্মায় বাঘের গালে
জাত গেলো জাত গেলো বইলা বাঘ করেনা কোনও কলরব
তাইতো শোনেন যত জ্ঞ্যানী মানী
মান নয়তো কচুর পাতার পানি
ঢাইলা দিলেই চুয়াইয়া আর গড়াইয়া তার পইড়া যায়রে সব।
মানীর মান বড়োই পোক্ত
হাতীর দাত যেমন শক্ত।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গ্রামীণ ব্যাংককে রেগুলেট করার চেষ্টা হচ্ছে না, তাও না। কিন্তু কথায় কথায় আংকেল স্যামকে ডাইকা আনলে কামটা মুশকিল হয়া পড়ে। জনগণরেও তো সাথে থাকতে হবে। ভোট যারেই দেন, রাষ্ট্র কিন্তু সকলের।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
গ্রামীণ ব্যাংককে রেগুলেট করার জন্য কাজ যতটুকু হচ্ছে, কথা হচ্ছে তারচেয়ে বেশি। এতে বিষয়টা তার ওজনের চেয়ে না-হক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বিদ্যমান আইন যে সমস্যার সমাধান দেয় সেটার প্রয়োগ না করে সকল পর্যায়ে 'হাততালি পাবার মতো' কথা বললে মুশকিল। এই ব্যাপারটা শুধু যে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে হচ্ছে তা কিন্তু নয়, যুবক-ডেস্টিনি-ইউনিটুপে জাতীয় কেস বা শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী নিয়েও দোষীদের চিহ্নিত করা, তাদের বিচারের ব্যবস্থা করার চেয়ে এগুলো নিয়ে 'হাততালি পাবার মতো' কথাই বেশি হচ্ছে। এ'সব ক্ষেত্রে আঙ্কেল স্যামরা প্রকাশ্য নয়, তবু ট্রিটমেন্টগুলো একই প্রকার।
আওয়ামী লীগ বা বিএনপি জনগণের বিপুল পরিমাণ ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে এ'কথা সত্য; তবে তাতে তাদের শ্রেণীচরিত্র পালটায় না। গত ৪২ বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে বেনিয়া আর দুর্বৃত্তদের ক্রমবর্ধমাণ উন্নতি তাদের শ্রেণীচরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলোকে স্পষ্ট করে। ফলে এরা আইন প্রয়োগ করে লুটপাট বন্ধ করার চেয়ে মাঠগরম করার মতো কথাই বেশি বলবে। কতিপয় নেতা-নেত্রীর সততা নিয়ে কোন সন্দেহ না থাকলেও অনেক নেতাদের অসততা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে সেটাই শেষ কথা নয়। রাষ্ট্রযন্ত্র আর সরকারী দলের মধ্যকার পার্থক্যটা বুঝতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্র যদি লুটেরা বা লুটেরাবান্ধব হয় তাহলে সরকারী দল দেবদূতদের দিয়ে গঠিত হলেও লুটপাট বন্ধ হবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাস্তবে এটাই প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে।
যারা সরকারের আইন বাস্তবায়ন করার পরিবর্তে তাকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে ব্যাস্ত, তাদের লুক্কায়িত স্বার্থ কি তা বের করতে হবে। সে তারা আমলা হোক আর রাজনীতিবিদ হোক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
'থিওরিটাকালি' আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যদি লুটেরাবান্ধব হয় তার বড় কারণ 'রাষ্ট্র' লুটেরাবান্ধব। রাষ্ট্রের বিভিন্ন শ্রেণীর রাষ্ট্রের চরিত্র নির্মাণের চেষ্টা করে। অবশ্যই শেষপর্যন্ত অন্যান্য ক্লাসের সাথে নেগশিয়েশনপূর্বক (সম্মতিপূর্বক না) 'ডমিনেন্ট' ক্লাস রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ধারণ করে। লুটপাট যা হয় তা রাষ্ট্রের আওতার বাইরে বা অগোচরে হয় না। লুটপাটের জন্য একটা সামগ্রিক বাতাবরণ, সাংবিধানিক (খুব সামান্য হইলেও), আইনী, বিচারিক, এবং সামাজিক ইত্যাদি সাব-সিস্টেমে (?) একযোগে, ঐ সাব-সিস্টেমগুলির পারস্পরিক নির্ভরশীলতার মাধ্যমে টিকে থাকে।
সম্পূরক: বাংলাদেশের দুই শাসক দলের শ্রেণীচরিত্র এক না। 'দল', দলের আদর্শ, ইতিহাস, (সরকার-নিরপেক্ষ) নেতানেত্রী আর সমর্থকের সমন্বয়ে গড়ে উঠে। দল সরকারে গেলে, রাষ্ট্রের অন্যান্য বাহুর সহযোগে তার আদি/মৌল শ্রেণীচরিত্রের কী বিকার ঘটায় সেইটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। এবং সেইটার মোকাবেলা জরুরি।
আমার থিসিস: বাংলাদেশ যে ঐতিহাসিক স্তরে আছে, তাতে শাসক শ্রেণী আর শোষক শ্রেণী আইডেন্টিকাল না। শাসক শ্রেণীর বাইরে শোষক শ্রেণীর যে অংশ বিরাজ করে - যথা এনজিও, মিডিয়া, কথিত সিভিল সোসাইটি, এদের শাসক শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বাসনার ফলাফল বর্তমান 'অস্থিরতা'। ('অস্থিরতা' বাজারের জন্য ভাল না। সুতরাং 'বাজার' শাসক শ্রেণীর আপাত এনজিও/মিডিয়া/সিভিলসোসাইটিবৈরি অংশকে পাল্টা দিবে। সেই পাল্টায়, শাসক শ্রেণীর সেই অংশতো যাবেই, সাথে রাষ্ট্র সম্পর্কে আমাদের যে পুরাতন ধ্যানধারণা সেইগুলিও যাবে।)
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
খুবই সত্যি কথা এবং সেই হিসেবেই সরকারকে বলা যেতে পারে জনগণের একটা রিপ্রেসেটিটিভ ফর্ম। কিন্তু কথা হচ্ছে বাংলাদেশে সেই চর্চা গড়ে ওঠেনি যেখানে সরকার জনগণকে ডেকে নিয়ে, সাথে রেখে পরিকল্পনা করবে এবং সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই দেশে অনেক আইন প্রচলিত আছে যার কোন কার্যকারিতা নেই ।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ী , এন জি ও , প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় , ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল,বিমা কোম্পানি, বেসরকারি ব্যাংকসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ফায়দা লুটছে জনগণকে ঠকিয়ে। মুষ্টিমেয় সুবিধা ভোগীদের জন্য ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছি আমরা আম জনতা।
উতপাখির হৃদয়
উতপাখির হৃদয়, একটা কাজ করলে কেমন হয়; আমরা এনজিও, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বীমা কোম্পানি, বেসরকারি ব্যাংকসহ আরও যেসব প্রতিষ্ঠান জনগণকে ঠকিয়ে ফায়দা লুটছে সেগুলো সব বন্ধ করে দেই। আর ব্যবসায়ীগুলোকে ধরে জেলে ভরে দেই। তাহলে আশা করি আমরা আমজনতা আর ক্ষতিগ্রস্থ হবো না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডব, এই কথার উত্তর কিন্তু তুমি অনিন্দ্যর জবাবের সেকেন্ড প্যারায় দিয়ে দিয়েছো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এগুলো সবই সমাজ এবং রাষ্ট্রের অংশ কিন্তু রাষ্ট্রের যথাযথ তদারকীর অভাবে এরা মঘের মুল্লুক কায়েম করতে পারছে। আসলে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা বসে, তারা আম জনতা নয়। হয়তো তারা মহামানব।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সরকারের বাঁধাটা কোথায় তাই তো বুঝতে পারছি না!
রিয়েল ডেমোন
সরকারের মাঝেই সরকারের বাধা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
জনগনের দাবী মানা , দাবী মন দিয়ে শোনা এগুলো তো সরকারের কাজ না ! রাতঃ দা। দাবী মানলে তো দেশের মঙ্গল হত। তা কি তাদের কাম্য? সবাই তো নিজের আখের গোছানোর কাজেই বেশী ব্যস্ত।
সবাই হয়তো নয় তবে আমাদের সরকারী সিস্টেমে দুষ্টেরা চিরকালই সংখাগুরু।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভালো লাগছে
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
grameen bank microcredit regulatory authority dara niontrito hoy na.
grameen bank ordinace 1983 dara porichalito hoy jatadur ami jani.
papaer documents-e GB interest rate 20% dekhay. but khatar baire onno hishab.. but khata potrer baire authority jete pare na.
r kono unique formula nai jeta diye rate nirnoy kora jay.. kichu jhamela ache.
r sobcheye boro kotha kichu koite geley era eder ma bap daika nia ase
Sorry bangla font jhamle korche bole bangla ydite parlam na...
অক© রায় চৌধুরী
অর্ডন্যান্স ১৯৮৩ সম্পর্কে আমার ধারনা নেই কিন্তু ধারনা করি যখন কোনও আইন সংশোধিত হয় তখন পুরোনো আইনকে সেটা সুপারসিড করে যায়। সরকার যেহেতু এনজিওগুলোকে নিয়ন্ত্রণের অধিকর্তা, সেক্ষেত্রে লুক্কায়িত চার্জগুলো খুঁজে বের করা সরকারের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের দায়িত্ব। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা সম্পর্কে জ্ঞ্যাত, সেক্ষেত্রে ধরে নেবো এই হিডেন চার্জের বিষয়টা আর হিডেন নেই।
এদের খাতাপত্রে অথরিটি যেতে পারেনা এক্ষেত্রে দ্বিমত করলাম। যেতে পারে কিন্তু যায়না, এটাই বাস্তবতা। মা-বাপ ডেকে এনে যে কাজ হয়না তার প্রমান অলরেডি তারা পেয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও সরকারের ঔদাসিন্য মনে অনেক সন্দেহের সৃষ্টি করে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মাইক্রো ফাইন্যান্স আর মাইক্রো ক্রেডিট কিন্তু আলাদা। গ্রামীন ব্যাংকে মাইক্রো ফাইন্যান্স বলে কোনকিছু আছে বলে আমি জানিনা। আমি ব্যাক্তিগতভাবে এর ঘোর বিরোধী, যে ঋণ ব্যবস্থাপনায় প্রথম সপ্তাহ থেকে বাধ্যগতভাবে কিস্তি দিতে হয়, এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটা কিস্তি না দিতে পারলে যে সুদ উত্তরোত্তর হারে বাড়ে সেটা কোন মানবিক সহায়তা হতে পারেনা।
আমরা শুধুমাত্র গ্রামীন ব্যাংক, ব্র্যাক কিংবা আশার কথা বলছি, এদের সুদের হার নিয়ে কথা বলছি, ব্যাঙের ছাতার মত হাজার হাজার এনজিও মাইক্রো ক্রেডিট নিয়ে কাজ করছে, তাদের সুদের হার কিন্তু ভয়ংকররকম বেশি।
মাইক্রো ক্রেডিট নামের একটা অজগর সাপ দিয়ে এই দেশের মানুষকে নির্ভরশীল করা হয়েছে, চালাক বানানো হয়েছে -- এর বেশি কিছু বলার নাই। মাইক্রো ক্রেডিট নিয়ে কোনদিন কাজ করিনি, করবোনা, তবু বলার মুখ নাই, আমি নিজেই উন্নয়ন নামক এই ছলাকলাবৃত্তের সুবিধাভোগী!
মাইক্রোক্রেডিটকে বরঞ্চ মাইক্রোফাইনান্সের একটা অংশ বলা যেতে পারে। তো, মাইক্রোফাইনান্সের রেগুলেশনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেখানে প্রযোজ্য, মাইক্রোক্রেডিট নিয়ন্ত্রণের রেগুলেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
কিন্তু দেখেন মাইক্রোক্রেডিট কিন্তু অব্যহতগতিতে এগিয়ে চলেছে এবং ক্রমাগত প্রসার লাভ করছে। আপনি ও আমি, দুজনেই মাঠেঘাটে ঘুরে বেড়ানো পাব্লিক, গ্রামের গরীব মানুষদের মুখ থেকে কখোনো কি মাইক্রোক্রেডিট বা এর সুদের হার সম্পর্কে তেমন কোনও কঠোর সমালোচনা শুনেছেন? শুনবেন না- কারন মাইক্রোক্রেডিট এখন মানুষের নির্ভরতার একটা সংস্কৃতি বনে গেছে। আপাতদৃষ্টিতে কোল্যাটারালমুক্ত পয়সা আর কোথা থেকে আসে!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেবলমাত্র গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি দেশের প্রতিটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী। তিনি যখন প্রচারমাধ্যমের সামনে কথা বলেন, তখন তার উচিত গ্রামীণ ব্যাংক স্পেসিফিক উদাহরণ না টেনে গোটা দেশের মাইক্রোক্রেডিটের উচ্চ সুদের হার নিয়ে কথা বলা। তিনি বিদেশী মিডিয়ার এভাবে বললে বিদেশীরা ধরে নেয় বাংলাদেশে কেবলমাত্র গ্রামীণ ব্যাংকই রক্তচোষা ঋণবাণিজ্য করে থাকে আর অন্য এনজিওগুলো দুধে ধোওয়া তুলসী পাতা। এতে প্রকৃত অবস্থা প্রকাশিত না হয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যসম্প্রচার ঘটে বিদেশীদের সামনে।
আমি আপনার এই স্টেটমেন্টের ঘোরতর বিরোধী। আমরা নিজেদের ক্যাপাবিলিটিজ দিয়ে এই সেক্টরে কাজ করি। এই সেক্টরে না এলে আপনি হয়তো শিক্ষক হতেন, গবেষক হতেন, বা অন্য কিছু একটা হতেন। তবে আপনাকে ব্যাক্তিগতভাবে যেটুকু চিনেছি, মাইক্রোফাইনান্সে এলে আপনি অতি অল্প দিনেই পালিয়ে বাঁচতেন নয়তো আপনার চাকরী চলে যেতো। আমরা যে ধারায় কাজ করছি সেগুলো দুর্দশাপীড়িত মানুষের জন্যে খুবই প্রয়োজনীয়। আপনার-আমার-লিলেনদা-গৌতম-রেজওয়ান-নৈষাদদের মতো মানুষেরা উন্নয়ন সেক্টরে কাজ করছি বলেই এখানে এখনও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতায় অনেক কম আপোষ হচ্ছে। আমাদের কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কমিটমেন্ট আমাদের যার যার প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে অনেক উৎকর্ষ সাধনে অবদান রাখছে। আমি গর্বভরে বলে থাকি যে আমি একজন উন্নয়নকর্মী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাইয়া,
ব্যাংক ছেড়ে এনজিওতে আসার একটাই উদ্দেশ্য ছিল-তা হল আপনাদের মত করেই গর্ব নিয়ে বলা
ব্যাংকে ছিলাম ক্রেডিট ডিপার্টমেন্টে, সারাক্ষণ এই লোন, লোন, আর লোন ভালো লাগছিলনা বলেই চাকরীটা ছাড়া। এখন নতুন প্রতিষ্ঠানে আপাত দৃষ্টিতে ক্রেডিট অপারেশনে না থাকলেও পরোক্ষভাবে এই ক্রেডিট এরই সাপোর্ট ইউনিটে কাজ করতে হচ্ছে। আসলে ব্যাংকের ব্যাকগ্রাউন্ড বলে আর কোন উপায়ও ছিলনা। উন্নয়ন সেক্টরে কাজ করার প্রচন্ড তাড়না থেকেই বর্তমান প্রতিষ্ঠান কে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছি। কারণ উন্নয়ন সেক্টরের যেখানেই সিভি দিতে চাই অভিজ্ঞতা খোঁজে। আশা করছি বর্তমান প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একদিন আমিও আপনাদের দলে ভিড়ে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবো
নির্ঝরা শ্রাবণ
সমস্য নাই, ব্যাংকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ক্রেডিট সাপোর্ট ইউনিটে কাজ করতে থাকুন। তবে চেষ্টা করতে থাকুন মূলধারার উন্নয়ন কর্মসূচীতে ঢুকে যেতে। আশাকরি আপনি স্বল্পতম সময়ে পারবেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কথাটা আংশিক সত্য। কারণ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলাটরি অথরিটি'র বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী মাসিক কিস্তি চালু করা হয়েছে এবং এনজিওগুলো ধাপে ধাপে সেটা বাস্তবায়ন করাও শুরু করছে। উদাহরণ-ব্র্যাক। তবে এটা সত্য যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এরা অনেক সময় নিষ্ঠুর আচরণ করে। তবে সিডর বা আইলার সময় ঠিকই কিস্তি পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এই জায়গাটায় অনেকেই ভুল করেন। মাইক্রোক্রেডিট যারা বর্তমানে দিচ্ছেন তাদের সবারই সুদের হার বর্তমানে প্রায় অভিন্ন, যা ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ২৭% (ফ্ল্যাট রেটে প্রায় সাড়ে ১৩%)। ৪০%-৪৫% যে অপপ্রচার চালানো হয় তা ইচ্ছাকৃত । একটা উদাহরণ দিয়ে পরিষ্কার করি- একজন ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা যদি ১০০০০ টাকা ঋণ নেন তবে তাকে ১২ মাসের কিস্তিতে প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে ৯৭০ টাকা। অর্থাৎ বছরান্তে ১০০০০ টাকা ঋণের জন্য সুদাসলে মোট পরিশোধ করতে হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৬৪০ টাকা। সর্বোচ্চ বললাম এই কারণে যে আগে মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি আজ ঋণ নিয়ে কাল শোধ করে দিতে চাইলেও আপনাকে এক বছরের পুরো সুদসহ ফেরত দিতে হত। কিন্তু এখন আপনি যতদিন ব্যবহার করবেন ঠিক ততদিনেরই সুদ দিতে হবে।
মাইক্রোক্রেডিটের অনেক দোষ আছে, তা ঠিক। তবে সুদের কারবারি বলে বিষয়টাকে একটু বেশিই রং-চং আর ঢালাও অপবাদ দেয়া হয়। এটা ঠিক যে মাইক্রোক্রেডিট একা উন্নয়নের জোয়ারে একটা দেশকে ভাসিয়ে দিতে পারেনা, তবে সমাজের একটা অবহেলিত শ্রেণী যদি উতপাদনশীল খাতে এটাকে ব্যবহার করে তবে উন্নতি ঘটবেই, যদিও তার গতিটা শ্লথ। সবচেয়ে বড় ব্যপার হচ্ছে, আজ আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়নের অনেকটুকুর শুরু কিন্তু এই ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমেই হয়েছে।
নির্ঝরা শ্রাবণ
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন ঠিক কীভাবে কতটুকু হয়েছে, আমি জানতে উৎসুক। আপনি কি এ ব্যাপারে একটা পোস্ট দিতে পারেন? আমার কাছে মনে হয়েছে, ক্ষুদ্রঋণের বর্তমান মডেলে ঋণগ্রহীতা হিসেবে নারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, কারণ তাদের কাছ থেকে সুদেমূলে ঋণ আদায় করা তুলনামূলকভাবে সহজ। কোলেইটারালের বিকল্প হিসেবে যে দলীয় গ্যারান্টি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবর্তন করেছে, সেই মডেলটিও নারীর কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায়ে কার্যকর।
ক্ষুদ্রঋণের পায়োনিয়ার গ্রামীণ ব্যাঙ্কে নয়জন পরিচালক নিযুক্ত হয় সারা দেশের ঋণগ্রহীতাদের প্রতিনিধি হিসেবে। কীভাবে তাদের নির্বাচন করা হয়, তারা ব্যাঙ্ক পরিচালনার কী বোঝেন, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের মত কতটুকু প্রতিফলিত হয়, কার্যসভায় তারা কেষ্টুবিষ্টুদের মতের বিরোধিতা করতে পারেন বা কখনো আদৌ করেছেন কি না, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি কোথাও আসতে দেখিনি। আপনার কাছে এর উত্তর থাকলে জানাবেন প্লিজ। আর নারী ঋণ নিয়ে পরে শোধ করতে পারলেই তাঁর ক্ষমতায়ন হয়ে যায় না। বাংলাদেশে বহু শিক্ষিত পরিবারেও নারীর আয়ের ওপর তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানে দরিদ্র নারী ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে মুরগি লেলেপেলে ক্ষমতায়িত হয়ে গেছেন, কথাটা যথাযথ গবেষণালব্ধ তথ্যসূত্র ছাড়া হজম করতে সমস্যা হয়। দারিদ্র্যের মতোই ক্ষমতা জিনিসটা মাল্টিভ্যারিয়েট ফাংশন, কেবল ঋণের সংস্থানের মাধ্যমে এদের একটা হ্রাস বা আরেকটা বৃদ্ধি করা হয়েছে/হচ্ছে/হবে, এটা একটা চালিয়াতি বুলি।
একটু উল্টা দিক থেকে ভাবা যায়। যারা দরিদ্র তারা কী ঋণের অভাবে দরিদ্র, না সম্পদের অভাবে? সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে যে মানুষ দরিদ্র, তাকে ঐ পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলতে তাকে তার সত্যিকারে প্রাপ্যটা দিতে হবে।
আড়ংয়ের মতন ছ্যাচড়া দোকান খুইলা পঞ্চাশটাকা দিয়া নকশীকাঁথা কিনা আইনা পাঁচশ টাকায় বিক্রি করলে দারিদ্র দূর হবে না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এ্যাকাডেমিক্যালি ক্ষুদ্রঋণ দারুন একটা জিনিস। এটা পয়সার পুনঃপ্রজননের কথা বলে, দিন শেষে যা ঋণগ্রহীতার সম্পদের হিসেবে এ্যাকিউমুলেটেড হওয়ার কথা। অত্যন্ত সাধু কথা। কিন্তু অনেক কিছুই এ্যাকাডেমিক্যালি হওয়ার কথা থাকে যা দিনশেষে প্রাকটিক্যালি হয়না।
ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (বরঞ্চ বলি, এনজিওগুলো) আচরণগতভাবে অভিন্ন এবং ব্যাক্তিগতভাবে এদেরকে আমার কাছে মনে হয়েছে একটা সিন্ডিকেটের মতো। দলে দলে এনজিও এসে একজনকে জমানতবিহীন ঋণ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেউই তার ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে ভাবছে না। কেউ ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না যে কাজের কথা বলে সে ঋণ নিচ্ছে সেই কাজের দক্ষতা বা সক্ষমতা তার আছে কিনা। একজন মানুষকে জ্ঞ্যাতসারেই গ্রামীণ, আশা, প্রশিকা, উত্তরণ, রিক, কেএমএসএস, এসে ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এটাকে সিন্ডিকেট থেকে ভালো কিছু বলতে পারছি না, দুঃখিত। যেখানে কাগজে-কলমে দারিদ্র বিমোচনের কথা বলা হচ্ছে, কার্যকরণে পক্ষান্তরে ঋণগ্রহীতাকে আরও কঠিনভাবে দারিদ্রের কারেন্ট জালে আটকে ফেলা হচ্ছে।
অনিন্দ্য গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট এখানে তুলে ধরেছে তার শেষ প্যারায়। শুধু আড়ং নয়, আরও কয়েকটা এনজিও তাদের উপকারভোগীদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট খরিদ করে এনে বিক্রি করছে। একদা আড়ঙের পণ্যের উচ্চমূল্য বিষয়ে স্যার আবেদ বলেছিলেন যে আড়ঙে লাভ বেশি হলে সে লাভের ভাগা উৎপাদনকারীও পায়। আমি এব্যাপারে বিস্তারিত জানিনা তবে স্যারের এই ব্যাখ্যা আমার কাছে সত্যি মনে হয়নি। আর যদি এমন হয় যে ৫০০ টাকায় একটা পণ্য কিনে এনে ২,০০০ টাকায় বিক্রি করে উৎপাদনকারীকে সেই লাভের ১,৫০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দেওয়া হয়, ইট ডাস নট মেক এনি সেন্স। এখানে ঋণদাতা এনজিওটি তার ঋণগ্রহীতা পণ্য উৎপাদনকারীকে ভ্যালু চেইনে অংশগ্রহন করা থেকে বিরত রেখে তাকে ঠকাচ্ছে। হ্যাঁ, উৎপাদনকারী নিজেই বিক্রয় বা বিপননের দায়িত্ব নিলে সে হয়তো আড়ং থেকে ভালো দাম পেতোনা। ঠিকাছে, কিন্তু তাকে ভ্যালু চেইনে ঢোকার সুযোগ দিতে হবে, বাদবাকী তার নিজস্ব চয়েস। ইচ্ছে হলে আড়ং-এর কাছে পণ্য বেচবে নয়তো ইচ্ছে হলে ভড়ং-এ বেচবে- যেখানে তার লাভ বেশি। আমি পাকিস্তানের সিন্ধে এরকম কাজ করে এমন একটা ন্যাশনাল এনজিওর প্রায় লালবাতি জ্বেলে দিয়ে এসেছি। আমরা বন্যদূর্গত এলাকায় দুঃস্থ নারীদের ক্যাশ ফর ওয়ার্ক স্কীমের আওতায় লেপ বানানোর উপকরণ এবং মজুরী দিতাম। যে এনজিও সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতো, মাদার্চোদগুলো সেই লেপ তাদের কাছে কম দামে বেচতে বাধ্য করতো। পরে আমার পরামর্শে প্রতিটা দল একজন করে লোক নির্বাচিত করে গোটা দলের তৈরী লেপ তার মাধ্যমে মোষের গাড়িতে চাপিয়ে বাজারে বেচতে পাঠাতে শুরু করে।
সরি, মনে হয় আলাপের কক্ষচ্যুত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের সরকারে থাকা লোকেরা ক্ষুদ্রঋণের সব নেতিবাচক আসপেক্টই জানে কিন্তু তাদের মধ্যে মানবিকতার বোধ নেই। গরীব মানুষ ঋণে ঋণে জর্জরিত হলে তাদের কিছু এসে যায় না। তাইতো ক্ষুদ্রঋণদাতা এনজিওগুলোর ব্যাপারে তাদের ঐদাসীন্য। আর তাদের লুক্কায়িত স্বার্থের ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলতে চাইনা কারন তারা প্রমান রেখে এগুলোর করেনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হিমু ভাই,
নারীর ক্ষমতায়ন বলতে আমি ঠিক বৃহৎ পরিসরের ক্ষমতায়ন বোঝাতে চাইনি। গ্রামাঞ্চলে নারীরা যখন পরিবারের পুরুষদের হাতে এই ঋণের টাকা তুলে দেয় তখন ঐ পরিবারে নারীর যে সম্মান বা " নারীকে দাম না দেয়ার প্রবণতার" আপাত পরিবর্তন ঘটে সেটাকে বোঝাতে চেয়েছি। আপনি দেখবেন ঘরে উপার্জনক্ষম নারীকে কিন্তু সবসময় সমীহের চোখে দেখা হয় এবং তার মতামতের কিছুটা হলেও মূল্য দেয়া হয়। আমি এটাকেই আসলেই বোঝাতে চেয়েছি। অর্থাৎ ঋণ পাওয়ার সক্ষমতা অর্জনের ফলে পরিবারে তার মান-সম্মান বৃদ্ধি পাওয়াকেই আমি ক্ষমতায়ন বলতে চেয়েছি।
পরিবারে নারী অর্থ ব্যবস্থাপনায় একজন পুরুষের চাইতে সহজাতভাবেই দক্ষ, এটা আপনার-আমার পরিবারের মা'দের টাকা-পয়সার ব্যবস্থাপনা দেখলেই বোঝা যায়। ক্ষুদ্রঋণের বর্তমান মডেলে ঋণগ্রহীতা হিসেবে নারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় ঠিক একই কারণে, যাতে ঠিকমতো প্রতি কিস্তিতে ঋণটা ফেরত আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিক্ষামূলকভাবে পুরুষকেও ঋণ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে একজন নারী কিস্তি পরিশোধের ব্যাপারে যতটা নিয়মনিষ্ঠ একজন পুরুষ ততটা নয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে নারী ঋণ নিয়ে তা ঠিকই পরিবারের পুরুষ সদস্যের হাতে তুলে দিচ্ছে, কিন্তু নারী ঠিকই কিস্তি পরিশোধের জন্য উক্ত পুরুষ সদস্যকে তাগাদা দিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করে নিচ্ছে। ঋণগ্রহীতা হিসেবে নারীকে অগ্রাধিকার দেয়ার এটাই আসলে মূল কারণ।
হ্যাঁ ঠিক। ক্ষুদ্র দলগুলো ঋণগ্রহীতাকে কিস্তি ঠিক মত পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। কারণ ঐ দলের সদস্যদের সুপারিশেই কিন্তু উক্ত সদস্য ঋণ প্রস্তাব করেছে এবং ঋণ সুবিধা ভোগ করছে। তাই এক্ষেত্রে কোন সদস্য যদি খেলাপি হয়ে যায় তাহলে তা দলের রেপুটেশন নষ্ট করে। তাছাড়া আর কিছু নয়। কারণ এখানে দলের সদস্যরা শুধু ঋণের সুপারিশকারী হয়, জামিনদার নয়। তাই কোন সদস্য খেলাপি হলে ক্ষুদ্র দলের কোন আর্থিক দায় থাকেনা।
নির্ঝরা শ্রাবণ
উপার্জনক্ষম নারীর উপার্জনের ওপর যদি তার নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে সেই সাময়িক বা আপাত সমীহের খুব বেশি মূল্য কি থাকে? ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের প্রস্তাব হচ্ছে খৈল খেতে দিয়ে গরুর ক্ষমতায়নের মতো একটা প্রস্তাব। ক্ষুদ্রঋণের কারণে নারীর ক্ষমতায়ন কতটুকু হলো, এ নিয়ে নিশ্চয়ই অনেক গবেষণা হয়েছে। সেরকম কিছুর সন্ধান জানলে আমাকে কি দিতে পারেন?
ঋণের সুপারিশকারী দল যেহেতু খেলাপির বদনামের ভাগিদার হয়, তাই অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্যে তারাই চাপ প্রয়োগ করে থাকে, তাই না? রেপুটেশনটাই এখানে কোলেইটারাল। পূজ্যপাদ ইউনূস নানা জায়গায় বলে থাকেন, ঋণ পাওয়া গরিবের অধিকার, কিন্তু তার পরিচালিত ব্যাঙ্ক কিন্তু যে কোনো গরিবের ঋণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না। তারা সেইসব গরিবকেই ঋণ দেয়, যাদের হয়ে সুপারিশকারী কোনো দল আছে, যারা নিজেদের রেপুটেশনকে কোলেইটারালের তুল্য হিসেবে ব্যবহার করে সেই ঋণের আদায়যোগ্যতার নিশ্চয়তা দিতে পারে। তিনটা ক্যাটেগোরিতে ভাগ করেই গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এই ঋণ দেয়, তাই না? ময়দানে আপনি কাজ করবেন একটা ব্যাঙ্কের মতো, আর সেমিনার সিম্পোজিয়ামে গিয়ে ভাব নেবেন সমাজসেবার, এটা তো দ্বিচারিতা। এটা নিয়ে কেউ কিছু বলে না কারণ ইউনূস নোবেল পেয়ে এইসব সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে গিয়েছেন। আজকে জনতা ব্যাঙ্কের এমডি এইটাইপ কথা বললে লোকজন সাথে সাথে ধরে ছিলে দিবে কিন্তু।
নারীদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করা তুলনামূলক সহজ মনে হচ্ছে কেন, দয়া করে জানাবেন, হিমু ভাই?
না কাজি মামুন ভাই, দয়া করে জানাবো না।
মাইক্রোক্রেডিটওয়ালারা বলে থাকেন যে, মেয়েদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করা তুলনামূলক সহজ, আর আপনিও তাই বলছেন। ইউনুসের এ সংক্রান্ত ব্যাখা তো আমরা জানতে পেরেছি, কিন্তু আপনার ব্যাখ্যাটা (যা আলাদা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী) জানি না। আর এজন্যই প্রশ্নটা করা। আপনার সে প্রশ্নের উত্তর না দেয়ার অধিকার অবশ্যই আছে, তবে তা পাঠকের জানার অধিকারকে সংকুচিত করে কিনা, ভেবে দেখার অনুরোধ রইল, হিমু ভাই!
'সুদের কারবারি' কথাটা কোন জায়গায় ভুল ব্যাখ্যা করেন। 'সুদের কারবার' না হইলে 'ঋণ' কীসের 'কারবার'?
সিডর নিয়া আপনার মন্তব্য ভক্তি / অজ্ঞতাপ্রসূত।
সিডরের পর এনজিওগুলি যে নোংরামি বজায় রাখছিল তাতে মানবিক বিপর্যয় এমনভাবে তরান্বিত হয় যে, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংককে হস্তক্ষেপ করতে হয়। শুধু তাই না, গরীবমানুষের উপর এই সুযোগে তারা নতুন ঋণ চাপায়া দেয় (এইটা অবশ্য সুদের কারবারে খুবই কমন)।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সুদের কারবারি শব্দটাতে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু কোন ব্যাংককে কেউ এটা বলে গালিগালাজ করেনা যেটা করে মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠান গুলোকে।
আরও মজার ব্যাপার হল ইসলামী ব্যাংক এর রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্কীম এর সুদের হারও কিন্তু এনজিওগুলোর মতই, কিন্তু সব দোষ যেন এক কেষ্ট ব্যাটা ডঃ ইউনুসের।
এমনকি যে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার ২০% - ২৭% (ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে) সেটাকেও ৪০% -৪৫% বলে সারা বিশ্বে প্রচার করেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
নির্ঝরা শ্রাবণ
ওকে ... ব্যাংকগুলিও হারামী , ইউনূসও হারামী। গেইম ইভেন হইল? না, হইল না। এইটা একটা বাতিল যুক্তি। গ্রামে আরো ১০টা চোর থাকলেও, আমি চুরি করলে চোরই থাকব। আমারে চোর বা জোচ্চোর ডাকতে আপনার বাকি ৯জনকে চোর ডেকে আসতে হবে না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মন্তব্যে একমত। এখানে ইউনূসের ভূমিকা হচ্ছে চোরের সর্দারের। অন্য যাদের সর্দার হওয়ার মতো চাঞ্ছ ছিলো তাদের মধ্যে কাজী ফারুক রাজনীতির খেল্টুতে ডাহারকম ফেল্টু মেরে পলাতক। অপরদিকে আবেদকে লাড়ে এমন বাপের ব্যাটা মেলা ভার। সুতরাং ইউনূস একা। এপর্যন্ত ঠিক আছে।
কিন্তু যারা চোর ধরবে, সে পুলিশের ভুমিকা দেখা যাক- তারা চোরকে আবিষ্কার করেছে, মালেরও সন্ধান পেয়েছে, কিন্তু তারপর?-
ইউনূশ, মামুর ব্যাঠা, কাকে লাড়িত্যে কাকে লাড়িচ্চিস, পাস্তে পারিসনি মামুর ব্যাঠা। তুই গরীব মানসের হক লয়া লাড়িচ্চিস, গরীবের রক্ত চুইস্যা লিচিস। আজ তোর খাল খিচ্যা লিবেক মামুর ব্যাঠা ইউনূশ ............।
ব্যাস, এই হুমহাম পর্যন্তই সার। ইউনূসের খাল খিচ্যা শেন্ডেল বানালেও যে গরীবের কিছু এগোবে না এটা বোঝার মানুষেরই বড় আকাল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমি বরাবর ই কনফিউছড।
দায়িততটা আসলে শতভাগ কারো কি? সরকারের যেমন দায় আছে তেমনি
সাধারন মানুশ কি দায় একেবারে এড়াতে পারে?
আবার সাধারন মানুশ কে রক্খার জন্ন ই সরকার তাই না?
কোনো গয়ারানটি ছাড়া একটা নুননোতমো লোন যদি সরাসরি ব্যানক গুলো
দেয় ( যেখানে যামিনদার সয়ং সরকার) তাহোলে তো আর এতো কাহিনি হয় না।
আসোলে আমার যেটা মনে হয় দরকার পরিপুরনো একটা সিসটেম এর।
আলাদা আলাদা ভাবে এটা ওটা সংসকার করে তেমন লাভ হয় না, যট পাকিয়ে যায়,
কখনো হয়ে যায় সাংঘোরষিক।পরিনাম আদালত এবং সংসকার বাতিল।
এই কারনে ই মাঝে মাঝে রাজনিতি তে যোগ দিতে ইচছে করে।আপনার বা আমার জননো
যেটা করা কঠিন, একজন মিনিসটার বা এমপির জননো তা নয়।
দেরি করে ফেলেছি !!!!!
muhammad_asaduzzaman
এখানে সাধারন মানুষ কি করার ক্ষমতা রাখে বলুন? সাধারন মানুষদের মধ্যে যারা এই উচ্চসুদের স্বীকার, জিজ্ঞেস করে দেখুন তাদেরকে, খুঁজে দেখুন কয়জনকে পান যারা এই উচ্চসুদের হার নিয়ে বিক্ষোভ করতে চায়!
ব্যাংকগুলো কোল্যাটারালবিহীন ঋণ দিতে পারেনা। তত্ত্বগতভাবে ক্ষুদ্রঋণের মানে শুধু টাকা দেওয়া ও সুদসহ আদায় করা নয়, স্থায়িত্বশীল জীবন-জীবিকার উন্নয়ণকল্পে এই ঋণ দেওয়া হয়। নীতিগতভাবে তাদেরই দেওয়া হয় যাদের সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে দক্ষতা আছে এবং ঋণকে পুনঃউৎপাদনশীল আয়ের খাতে রূপান্তরিত করার সক্ষমতা আছে। ব্যাংকগুলো কেবলমাত্র ঋণ দেওয়া ছাড়া আর কোনওটাই করতে পারে না কারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ম্যান্ডেট এগুলো নয়। সুতরাং এনজিওদের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানো বা বাদ দেওয়ার কোনও উপায় আপাতত নেই এবং বিরাজমান পরিস্থিতি মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে।
আপনার রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছের প্রতি সাধুবাদ রইলো। কিন্তু বাজারে নন-ক্যারিয়ার পলিটিশিয়ানদের জয়জয়কার। আপনি এখন যদি রাজনীতি শুরু করে, রাজনীতিতে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করে এমপি হতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাক বছর ত্রিশেক অপেক্ষা করতে হতে পারে। আর যদি অবিলম্বে এমপি হতে চান, তবে আপনাকে হতে হবে বিলিওনিয়ার, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সচিব অথবা সদ্য অবসরে যাওয়া সেনাকর্মকর্তা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য এর জন্য ,ধারনা ই করিনি যে রিপ্লাই পাবো ।
আপনার কথা ই ঠিক , এই মুহূর্তে পরিস্থিতি মেনে নিয়ে চলা ছাড়া কোনও উপায়ও নেই। শুধু প্রার্থনা করতে পারি যে রাষ্ট্র হয়ত কোনও ভালো দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করবে শীঘ্রই। ব্যাক্তিগতভাবে আমার মনে হয় ক্ষুদ্রঋণ কে বিশেষায়িত করার চেয়ে ,একে সাধারন ব্যাংকিং এ একিভুত করতে পারলে বেশি ফলপ্রসূ হত। কারন পাড়া মহল্লার এনজিও এর চেয়ে ব্যাংক এর কাজ করার সুযোগ, ক্ষমতা , দক্ষতা সব ই বেশি। যদিও এটাও অনেক দীর্ঘমেয়াদি একটা ব্যাপার আমাদের দেশের জন্য ; তৃণমুল পর্যায়ে শাখা থাকা ,সেখানে প্রশিক্ষিত স্টাফ নিয়োগ দেয়া,অপারেশন্স এর অতিরিক্ত খরচ মেটাতে সরকারি ভর্তুকি ইত্যাদি (সরকার তো এইবাবদ এম্নিতেই খরচ করে থাকে এখানে শুধু মাধ্যম পরিবর্তন হবে)
মজার ব্যাপার হোল , উন্নত দেশেও কিন্তু এরকম ডাকাতে ইন্টারেস্ট রেট আছে। ইউকে তে শর্ট টার্ম লোণের ইন্টারেস্ট রেট বাৎসরিক ১৭০০% ও হয় যেখানে সাধারন ব্যাংক লোণে হয় ৫-১৫%(প্রায়)।তবে বিপদে পড়লে গ্রাহক কের সুবিধা দেখার জন্য সরকারি/বেসরকারি অনেক সংস্থা ও আছে।
তবে সবার আগে আমাদের ব্যাক্তিগত লোভ কে সংবরন করতে শেখাটাও দরকার। অন্যকেউ বেশি সুদ নিলে খারাপ লাগে কিন্তু নিজেরা সমিতি করলে কিন্তু এক ই কাজ করি। বাজারে তেলের দাম বাড়লে চিল্লাই কিন্তু নিজে ৩০ টাকা খরচের আপেল কুল ৮০ টাকায় বিক্রি করি - সবাই আবার বাহবা ও দেয়।
আর আমার রাজনৈতিক আগ্রহে পানি ঢেলে দেয়ার জন্য আমার বৌ এর পক্ষ থেকে অশেষ শুকরিয়া।
(যদিও আমার বৌ জানে না , প্রবাসী দের জন্য চিপা রাস্তা আছে। চিপা কিন্তু কার্যকরী )
ভালো থাকবেন
মুহাম্মাদ_আসাদুজ্জামান
উচ্চ ঋনের হার স্বত্ত্বেও এই মাইক্রো-ফাইন্সাসিং প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া, হতদরিদ্রের কি আর কোথাও যাওয়ার জায়গা আছে? আর মাইক্রো ফাইন্সাসিং প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা করতে নামছে; ব্যবসা সামাজিক আর অসামাজিক যাই হোক বটম লাইনটাই ফ্যাক্টর। মাইক্রো ফাইন্সাসিং বলেন আর ফরেন এইডই বলেন- সবই বানিজ্য।
দয়াকরে যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন ফরেন এইড কিভাবে ব্যবসা হলো?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাই, ধরেন জাপান আমগো প্রচুর এইড দেয় কিন্তু এইডগুলান কি বিনা শর্তে দেয়? অধিকাংশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেক্টরে এইড হিসেবে যে টাকা আসে, তার একটা সিংহভাগ তাদের কনসালটেন্টদের বেতন আর তাগো দেশি প্রডাক্ট কিনতে চইলা যায়। আপনি যদি এখন আমার কাছে প্রমান চান, তা আমি দিতে অক্ষম কিন্তু ২০০৬ এর একটা পার্সোনাল স্টোরি শেয়ার করতে পারি।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১, ২ তৈরী করা হইছিলো বেশ আগে, বাঙ্গালি ইন্জিনিয়ার আর ফোরম্যানরা ওই দুইটা মেইনটেইন কইরা ঠিকমতো চালাইতো। কিন্তু জাপানি সাহায্যে বসানো ইউনিট-৩ বা ৫ এর টার্বাইন হাউসিং বানানোর তিনমাসের মাথায় ফেল করছিলো। জাপানিরা খয়রাতি করার সময় এক্সপেরিমেন্ট করছিলো, তাই।
তারপর ধরেন, বিভিন্ন সেতু বানানির সময় কোরিয়ান ইন্জিনিয়ার আইনা কাজ করায় আর দেশি সিভিল ইন্জিনিয়ার রা কাজ না পাইয়া, ব্যাংকে জব নেয়। কারন সেতুগুলান কোরিয়ান অর্থায়নে।
আর রাতঃস্মরণীয় ভাই, আমার একটা ধারনা, ক্যাপিটাল্যস্টিক সমাজে সবই বানিজ্য। ধন্যবাদ ভাই।
লেখার শেষে অনুগ্রহ করে নাম/নিক উল্লেখ করুন।
"আমার একটা ধারনা, ক্যাপিটাল্যস্টিক সমাজে সবই বানিজ্য"
সহমত
মুহামমাদ_আসাদউজজামান
বাণিজ্য আসলে সমাজের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ সে যে সমাজ ব্যবস্থাই হোক না কেনো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তবে সব সমাজে বোধহয় "সবই বাণিজ্য" নয় (সম্ভবত ক্যাপিটালিস্টিক সমাজেও নয়, তবে কথাটা আক্ষরিক অর্থে না নিলে তা ক্যাপিটালিস্টিক সমাজের জন্য প্রযোজ্য হলেও সব সমাজের জন্য নয়)।
সবই বাণিজ্য এটা বোধকরি কোনও সমাজের জনেই প্রযোজ্য নয়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
প্রমান দেওয়া লাগবে না, আপনার পয়েন্ট ধরতে পেরেছি। ডোনাররা ঋণ বা অনুদান যেটাই দিক না কেনো কিছু রিকভারী করার চেষ্টা তারা করে থাকে। তবে পাবলিক সেক্টর থেকে উন্নয়ন সেক্টরে এটা তুলনামূলকভাবে অনেক অনেক কম। সাম্প্রতিক বড়োসড়ো উদাহরন হিসেবে বলা যেতে পারে ইউএসএআইডি, ইকো, ডিএফআইডি, এইসব বড়ো ডোনাররা তাদের কান্ট্রি অব অরিজিন রুল বাদ দিয়েছে বা অনেক শিথিল করে এনেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
১। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও পরিচালিত হচ্ছে। এই অধ্যাদেশ মোতাবেক গ্রামীণ ব্যাংক একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ।
আমাদের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ব্যাখ্যা অনুযায়ী-
"সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ" অর্থ যে কোন কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, যাহার কার্যাবলী বা প্রধান প্রধান কার্য কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ বা বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন চুক্তিপত্র-দ্বারা অর্পিত হয়;
সংবিধিবদ্ধ সরকারী সংস্থা হবার বদৌলতে গ্রামীণ ব্যাংক আমাদের ‘রাষ্ট্রের’ একটি অংশ; দেখুন -
"রাষ্ট্র" বলিতে সংসদ, সরকার ও সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ অন্তর্ভুক্ত; অনুচ্ছেদ ১৫২- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
ফলতঃ গ্রামীণ ব্যাংককে কোন ব্যক্তি বিশেষের ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান ভাবার ন্যুনতম সুযোগ নেই।
২। আইনের ভেতর গ্রামীণ ব্যাংককে অন্য সকল (তফসিলি) ব্যাংক হতে পৃথক করা হয়েছে। বর্তমান আইনে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যসকল তফসিলি ব্যাংকের মতন গ্রামীণ ব্যাংকের উপর মনিটরিং করতে পারে না, যদিও গ্রামীণ ব্যাংক অন্য সকল ব্যাংকের প্রচলিত প্রায় সব কাজই করে থাকে। ব্যাংকিং কোম্পানিজ এক্ট, ১৯৯১ এর কোন কোন বিধান গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, সরকার তা নির্ধারন করে দিতে পারে। এই যায়গাটিতে গ্রামীণ ব্যাংককে মনিটর করার বড় একটা সুযোগ আছে, যে সুযোগটি খুব বেশি কাজে লাগানো হয়নি।
৩। গ্রামীণ ব্যাংক এনজিও নয়। মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এক্ট ২০০৬ গ্রামীণ ব্যাংককে এর আওতায় আনতে পারেনি। কাজেই বর্তমান আইনে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম দেখভাল করতে পারেনা।
৪। গ্রামীণ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম এর বোর্ড কর্তৃক প্রচলিত বিধি বিধান দ্বারা পরিচালিত হয়। আইনত সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ভাগ শেয়ারের মালিক থাকতে পারে। বোর্ডের তিন জন ডিরেক্টর সরকার মনোনয়ন দেয়। বিধিবিধান তৈরির সময় সরকার মনোনীত ডিরেক্টরগণের যেকোনো প্রস্তাব গ্রামীণ ব্যাংকের অভ্যন্তর থেকে মনোনীত এর অন্য ৯ জন ডিরেক্টরের বাধায় বাতিল হয়ে যেতে পারে। কাজেই বলা যায়, এই ব্যাংকের সকল নিয়ম বিধি এতদিন একজন মাত্র ব্যক্তির পছন্দে প্রণীত হয়েছে।
৫। এবার সুদের হার প্রসঙ্গ।
প্যাকেজেজ কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের ভেতর প্রায় ৯৬৬ লক্ষ টাকা ঋন প্রদান করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ডঃ ইউনুসের একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ তে পরিস্কার বলা আছে -
Section 19. The Bank shall provide credit with or without collateral security, in cash or in kind, for such term and subject to such conditions as may be prescribed, to landless persons…
Landless person এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে-
Section 2(h) “landless person” means any person who or whose family owns less than fifty decimals of cultivable land or who or whose family owns property, both movable and immovable, the value of which does not exceed the value of one acre of cultivable land according to the prevailing market price in the union in which the person normally resides;
আইনটিতে আরও বলা হয়েছে ব্যাংকটি গ্রামীণ এলাকা- অর্থাৎ শহর এলাকার বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্যাকেজেজ কর্পোরেশন ডঃ ইউনুসের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কেউ ভূমিহীন- এমন দাবী করতে পারবেন না মনে হয়। ২০০৫ সালে এক বোর্ড সভায় এই প্রতিষ্ঠানকে প্রদত্ত ঋণের উপর ৫% সুদ ধার্য করা হয়। ফলে প্রায় ১৫ বছর ধরে নেয়া ঋণের উপর প্রায় ১৩৭ লক্ষ টাকার সুদ মওকুফ করে দেয়া হয়।
এইরকম আরও অন্তত ৩৪ টি প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান গঠন, সেগুলোর পরিচালনায় যুক্ত হওয়া ও তাদের সাথে আর্থিক লেনদেন করা আইন সঙ্গত হয়নি।
নিজের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলে তাদের সুদ কম ধার্য করা যায়, সুদ মওকুফ ও করা যায়। আর যেসব ভূমিহীন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য গ্রামীণ ব্যাংক রাষ্ট্রীয় আইনবলে প্রতিষ্ঠিত হল, তাদের সুদের হার কমানো যাচ্ছে না। কি বিচিত্র!
গ্রামীণ ব্যাঙ্কের যে নয়জন পরিচালক এর দরিদ্র মালিকদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের কীভাবে নির্বাচন করা হয়, জানেন কি? ইউনূস সাহেব দেখলাম বলে বেড়াচ্ছেন, ব্যাঙ্কটির দরিদ্র মালিকদের মালিকানা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ইউনূস সাহেব ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে এই দরিদ্র মালিকদের নয়জন প্রতিনিধি ঠিক কীভাবে ব্যাঙ্কের পরিচালনা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন, এ প্রশ্নের উত্তর মনে হয় আমাদের জানা থাকা ভালো। আমার তো মনে হয়, এই নয় স্বল্পশিক্ষিত মহিলার কাঁধে বন্দুক রেখে গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে পিগিব্যাঙ্কের মতো পরিচালনা করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।
১০ জানুয়ারি ২০১১ তে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও অবস্থা পর্যালোচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় হতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রতিবেদনের একটা সারসংক্ষেপ এইখানে পাওয়া যাবে।
গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ধারা ৯- উপধারা (১)(বি) তে বলা আছে বিধি বর্নিত প্রক্রিয়ায় ঋণ গ্রহীতা শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা ৯ জন ডিরেক্টর নির্বাচিত (elected) হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের বিধি (Rule) টি আমি খুঁজে পাইনি। এই বিষয়ে একেবারে গ্রামে ওদের ঋণগ্রহীতারাও ভালো কিছু বলতে পারেননা। এইসব নির্বাচিত ডিরেক্টরগণ কেমন ভূমিকা পালন করেন তার নমুনা উপরের প্রতিবেদনের ৩৪ পৃষ্ঠায় দেখা যেতে পারে।
একই প্রতিবেদনের ১২ পৃষ্ঠায় প্যাকেজেজ কর্পোরেশন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। কর্পোরেশনটির মালিকদের পরিচয় এইখানে আরেকটু আছে।
সব মিলায়া আরেকটা পোস্ট দিতে পারেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেকেই ইউনূস প্রসঙ্গে একটা বুলি ঝাড়েন, "এই লোকটা কি নিজের পকেটে কিসু ঢুকাইসে যে তারে খারাপ বলেন?" প্যাকেজেস কর্পোরেশনের ব্যাপারস্যাপার বললে এনারা অন্য প্রসঙ্গে (যেমন আবহাওয়া) চলে যান।
আসলেই বিচিত্র! এই তথ্যগুলো জানানোর জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পথিক পরাণ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পড়লাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন