এবারের শ্রীলঙ্কা সফরটি ছিলো বেশ সংক্ষিপ্ত, মাত্র সাত দিনের এবং এর মধ্যে কাজের জন্যে মাত্র চারটি দিন। বিশেষ জরুরী বিষয় ছিলো বিধায় যেতেই হয়েছিলো। উঠেছিলাম সেই আগেরবারের ইন্ডিয়ান সাগরের পারে গ্লোবাল টাওয়ার হোটেলে এবং গেলোবারের সেই সুন্দরী লাস্যময়ী যমুনা এবং সমুদ্রদের সাথে হোটেল রিসেপশনে দেখা হলো। তাছাড়া আমার ধারনা ছিলো পিম্পরা এক জায়গায় বেশিদিন কাজ করেনা, কিন্তু এই ১৫ মাস পরেও হোটেলের সামনে সেই গতবারে দেখা হওয়া পিম্পকেও দেখলাম।
সিগিরিয়া বা লায়ন রক, শ্রীলঙ্কার অতিপ্রাচীন একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে সবুজবেষ্ঠিত পাহাড়, পাহাড়ী দেয়ালে অজন্তার কতো কিছু তৈলচিত্র, আর প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শণ।
খৃষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী থেকেই এখানে বুদ্ধ সংঘের সেবায়েতরা পর্বতবাস হিসেবে বসবাস শুরু করে এবং তারাই এখানে বেশকিছু গুহা তৈরী করে। মহাভমষার সময়কাল্পঞ্জী মতে রাজা কশ্যপ ৪৭৭ থেকে ৪৯৫ খৃষ্টাব্দ সময়কালে গোটা সিগিরিয়ার যাবতীয় নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। তার মৃত্যুর পর চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত এটি বৌদ্ধদের আবাস হিসেবে ববহৃত হতে থাকে।
এখানে উঠতে হয় দুই ধাপে- প্রথম ধাপটি হবে গোটা উচ্চতার আনুমানিক ৭০ শতাংশ। এরপর বাকীটুকু হচ্ছে মূল প্রস্তরের বর্ধিতাংশ। আমি মূল সে বর্ধিত প্রস্তরখণ্ডটিতে উঠতে আর পারিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায়। সামিট না করেই ফিরে আসতে হয়েছে।
ভোর সাড়ে পাঁচটায় গাড়ি এলো হোটেলে, গন্তব্য ডাম্বুল্যা, সেখানেই কিস ট্রিপের চুম্বনক্ষেত্র। এসম্পর্কে জানতে কৃষ্ণকলিদের দেশে পড়ুন। পথে নাস্তা করার জন্যে থামলাম ওহালকাদা হেরিটেজ রেস্তোরায়। খাবার-দাবার বেশ দামী কিন্তু অতি সুস্বাদু এবং রেস্তোরার পিছনদিকটায় চমৎকার পরিবেশ। পাউরুটি, ডাল ফ্রাই আর পাতলা ময়দা দিয়ে টুপির মতো বানিয়ে তার মাঝে সানি সাইড আপ এগ ফ্রাই।
নাস্তা সেরে এক কাপ চা নিয়ে একটা বিড়ি ধরিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম সেই প্রাকৃতিক পরিবেশে মোড়া বারান্দায়।
এবার গন্তব্য সিগিরিয়া। ডাম্বুল্যা থেকে বেশি দূরে নয়, ১০-১২ কিলোমিটার হবে। সিগিরিয়ার পাদদেশে পৌঁছে একটু দাঁড়িয়ে চা খেয়ে নিলাম। তারপর সঙ্গী জাতিতে তামিল, আমারই টিমের সদস্য বন্ধু সিন্নাথুরাই গোহিলান, আমি আর চালক বন্ধু, তিনজনে চললাম সিগিরিয়ার এন্ট্রি গেটে। গেটে পৌঁছে গোহিলান তামিল ভাষায় কি যেনো কথা বললো তারপর গাড়ি ঘুরিয়ে অন্যদিকে চলা ধরলো। প্রসঙ্গত বলে রাখি, শ্রীলঙ্কায় সিংহলী ও তামিলেরা পষ্পরের সাথে একমাত্র ইংরেজী ভাষায় আলাপচারিতা করে থাকে। সে কারনে গোহিলান এবং চালক বন্ধু ইংরেজীতেই কথাবার্তা বলছিলো।
বেশ কয়েক কিলোমিটার গিয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে আমরা হাঁটা পথে এগোতে লাগলাম। আশপাশ জুড়ে ধানের খেত তৈরী করে রাখা, পথে বেশ কয়েক জায়গায় সন্ধ্যার পরে হাঁটার ব্যাপারে সতর্কবাণী যেহেতু সেখানে হাতি আসতে পারে।
মূল প্রবেশদ্বারে যাওয়ার আগেই শ্রীলঙ্কার প্রতত্নতাত্বিক অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালকের একটি মুর্তি।
টিকেট কাউন্টার থেকে গোহিলান টিকেট কেটে আনার পর আমরা মূল প্রবেশ ফটক অতিক্রম করতে গিয়ে আটকে গেলাম। তারা আমাদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলো। আমি তাদেরকে আমার পরিচয় জানালাম এবং গোহিলান কি যেনো একটা দেখালো। তারা আমাদের দুজনকেই ফরেনার টিকেট কেটে আনতে বললো। বিষয়টা আমি তখনই অনুধাবন করলাম যে গোহিলাম পয়সা বাঁচাতে গিয়ে আমার জন্যে লোকাল টিকেট কেটেছে। এখানে লোকাল টিকেটের দাম ২ ডলারের মতো এবং ফরেনারের দাম ৪০ ডলার। গোহিলানের সাথে তার ন্যাশনাল আইডি না থাকায় সে শ্রীলঙ্কান হওয়া সত্বেও আটকে গেলো। এদিকে গোহিলান মরে গেলেও এক অক্ষর সিংহলী বলবে না। যাই হোক, ওর কাছে যে আইডিটি ছিলো সেটা অনেক পরীক্ষানীরিক্ষা করে ওরা গোহিলানকে লোকাল টিকেট অনুমোদন করলো। এরপর আমরা আমার টিকেট বদলে ফরেনার টিকেট নিলাম, ওরা টিকেটের সাথে একটা সিডিও দিলো। এরপর একটা পরীখা পেরিয়ে আমরা মূল কম্পাউন্ডে ঢুকলাম।
মূল কম্পাউন্ডের শুরু থেকে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত নয়নাভিরাম প্রাচীন যুগের জলোদ্যান বা ওয়াটার গার্ডেন। সেই যুগে যে এতো আধুনিকমনস্ক ডিজাইন ছিলো ভাবলেও অবাক হতে হয়। বিচিত্র তাদের আকার ও বিশেষত্ব। বেশি বিবরণে না গিয়ে কিছু ছবি দেই।
দেখে মনে হতে পারে এ যেনো সুন্দর একটি গলফ কোর্স কিন্তু এটি আসলে পানি শুকিয়ে যাওয়া একটি জলোদ্যান।
ওয়াটার গার্ডেনের আশপাশ জুড়ে আরও অনেক স্থাপনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
ওয়াটার গার্ডেনের শেষে পাহাড়ে ওঠার পালা। নির্মাতারা অনেক যত্ন করে সিড়িগুলো বানিয়েছিলো যাতে অনেক মানুষ হলেও উঠতে অসুবিধা না হয়। কিছুটা ওঠার পর আবার বাঁক যাতে কেউ কেউ একটু জিরিয়ে নিতে পারে, এই যেমন আমি।
এভাবে উঠতে উঠতে এক পর্যায়ে মজবুত স্টিলের তৈরী রাস্তা। এই রাস্তা পেরিয়ে গিয়েই দেয়ালের গায়ে আর্টগ্যালারী। এখানে কেবলমাত্র কিছু নারীর উন্মুক্তবক্ষা চিত্র বিদ্যমান। এখানে ছবি তোলার অনুমতি আছে কিন্তু কোনও অবস্থাতেই ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে যাবেনা- কেনো তা জানি না।
গ্যালারী থেকে বেরিয়ে ষ্টীলের ঘুর্ণয়মান সিঁড়ি বেয়ে অনেকখানি উপরে উঠে গিয়ে তারপর আবারো পাথুরে সিঁড়ি যেটা গিয়ে মিশেছে সিংহের পায়ের কাছে খানিকটা সমতল, সেখানে।
আমি ওঠা শুরুর খানিকটা পর থেকেই খারাপ বোধ করছিলাম। কিন্তু সেটাকে পাত্তা বা দিয়ে একটু জিরিয়ে জিরিয়ে উঠছিলাম। কিন্তু সর্বশেষ সিংহের পায়ের কাছে ওঠার আগের সিঁড়িটা অনেক লম্বা এবং খুবই ব্যাস্ত, দাঁড়িয়ে জিরানোর উপায় নেই। ওটা একবারে ভাংতে গিয়ে আমার এবার অবস্থা যায় যায়, দম আটকে আসছিলো বারবার। ওখানে উঠে একটা ফিনফিনে চিকন জলধারা পেয়ে মাথায় এবং গায়ে পানি দিয়ে একটু আরাম বোধ করলাম।
এবার মূল পাথরের চুড়ায় ওঠার পালা, ষ্টীলের সিঁড়ি বেয়ে এক্কেবারে চুড়ায়। কিন্তু আমি আর ঝুঁকি নিতে চাইলাম না। গোহিলানকে বললাম উপর থেকে ঘুরে আসতে কিন্তু সে আমাকে এই অবস্থায় একা রেখে যেতে রাজী হলো না। আমার একটা খারাপ ফিলিং হচ্ছিলো কিন্তু গোহিলান কোনও কথাই শুনলো না।
সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা জিরিয়ে এবার নামতে শুরু করলাম। পায়ের পেশীগুলো কাঁপছিল তাই আস্তে আস্তে নামছিলাম। এখানে একটা ব্যাপার বলি, যেখান থেকে আপনি মূল পাথুরে পাহাড়ে চড়ছেন, পাহাড়ের গায়ে বা সিঁড়ির পাথুরে রেলিঙে হাত লাগানো কঠোরভাবে নিষেধ, কেনো ঠিক বুঝতে পারলাম না।
কম্পিত পায়ে নামতে নামতে পথে কোবরা হুড কেভটা এক নজরে দেখে নিলাম।
তারপর সেই পরীখা পেরিয়ে জায়গাটা থেকে বেরিয়ে গেলাম। এখানে বিশেষভাবে লক্ষ করলাম যে সেই যুগেও এই সিগিরিয়ার নির্মাতারা ভুমিক্ষয় (ইরোশন) রোধকল্পে পরীখার কিনার ঘেসে দেয়াল বানিয়েছে যাতে এলাকার মুল নকশা এবং পরিকল্পনা কোনোভাবে বদলে না যায়।
ফেরার পথে সিগিরিয়া থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পর একটা কিছু দেখতে পেলাম কিন্তু সেটা আসলে কি তার কিছুই বোর্ডে লেখা নেই। শুধু লেখা আছে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ বিনষ্ট করার শাস্তি কি তাই।
প্রচণ্ড দুর্বলতা আর ক্লান্তি নিয়ে গাড়িতে শরীর এলিয়ে দিয়ে কিছু দুরে সিআইসি নামে শ্রীলঙ্কার বিশাল একটি কৃষিখামারে গিয়ে দাঁড়িয়ে ফ্রেশ লেবুর শরবত খেলাম আর বাট্টিকালোয়া থেকে আসার পথে থাকা জয়াবর্ধনের অপেক্ষা করতে থাকলাম। জয়াবর্ধনে এলে তারপর আমরা দুজনে কলোম্বোর পরে যাত্রা করলাম আর গোহিলান ছুটলো বাট্টিকালোয়ার পথে।
যেটুকু এই সফরে পেলাম, তা’ই অনেক কিন্তু তারপরও সামিট করতে না পারার অপ্রাপ্তিটাও ছিলো অনেকখানি। দেখি ভবিষ্যতে কি হয়!
[ছবিগুলো আমার ক্যামেরায় তোলা। তবে Sigiriya লিখে গুগল সার্চ দিলে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি, বিশেষ করে পিকের ছবি দেখতে পাবেন।]
মন্তব্য
ভবিষ্যতের জন্য আমরা সবাই সবসময় অপেক্ষা করি।
ঠিক বলেছেন দাদু। তবে ভবিষ্যৎ সব সময় আকাঙ্খা অনুযায়ী হয়না। তা জেনেও এই অপেক্ষা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাইয়া,
ছবিগুলান জটিল, তয় এইবারের লেখাটা মনে হয় একটু তাড়াহুড়ো করে লিখছেন। আর তাই আপনার রসময় গুরুনিতম্বিনী, সুবক্ষা টাইপ উপমার অভাব বোধ করলাম।
যাওগ্যা, পরেরবার হরলিক্সের লগে দুধ মিশায় খাইয়া উঠার চেষ্ঠা চালাইয়েন। কামিয়াব হইবেন। এনশাল্লাহ
আপনি ভাইয়া না আপু তা তো বুঝতে পারছি না- তবে ধন্যবাদ নিন। আপনি ঠিকই ধরেছেন, একটু তাড়াহুড়ো করেই লেখা। তাছাড়া ঘোরার গন্ডীও এবার বেশ সীমিত রাখতে হয়েছিলো সময়াভাবে। যমুনার দেহতটের কিছু অনুরাগমিশ্রিত বর্ণনা তো গেলোবারের লেখাটাতে দিয়েছিলাম, সমুদ্র'ও অনেকটা সেরকমই সুন্দরী তবে সমুদ্রের 'গুরুত্ব' বা 'সু' তুলনামূলকভাবে যমুনা থেকে কম। তাই যে রস একবার দিয়েছি দ্বিতীয়বার সেই রস ভালো লাগতে আপনাদের না'ও লাগতে পারে, তাই ভেবে আর দিলাম না। ইতোমধ্যে আমার এক বান্ধবী তো আগের লেখাটায় শাড়ী পরার যে বর্ণনা দিয়েছিলাম তাকে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছে।
আবারো যদি যাই ওখানে, তবে অনেক সময় নিয়ে যাবো। প্লান হলো প্রতি ১০ ধাপ ভাঙ্গার পর পর বিরতি দেবো। এভাবে যদি সামিট করতে পারি। মাঝে মাঝেই অনুভব করি ধূমপান কতোটা ক্ষতিকর।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হ, সারাদিন ভুস ভুস কইরা বিড়ি টানবা আবার সামিট করতে না পারার জন্য আফসোস্ করবা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঠিক কইছো!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কোথায় যেন পড়েছিলাম যে বিভিন্ন যাদুঘরে বা পুরনো যায়গায় ছবি তোলা নিষেধ থাকে আসলে ফ্ল্যাশের কারনেই। ফ্ল্যাশের যে অতুজ্ব্যল আলো তাতে অতি ধীরে হলেও ছবি বা অন্যান্য জিনিসের রঙ নষ্ট করে দেয়। বেশী রোদে গেলে যেমন চামড়া পুড়ে যায় তেমন অনেকটা। আর ওই রেলিং (স্টিলেরটাও কী ধরা নিষেধ ছিল? তাইলে আমার এই তত্ত্ব খাটবে না বোধহয়।) না ধরতে দাওয়ারও বোধহয় কারন ওই একটাই। সেই আমলে অনেক লোক এইসব ব্যবহার করলেও তাঁদের সংখ্যা ছিল হয়তো বছরে কয়েক হাজার। আর এখন দিনেই হয়তো কয়েক হাজার ভ্রমণকারী যায়। সবাই যদি হাত দেয় তবে পাথরও ক্ষয়ে যেতে বাধ্য। খালি পারে না তাই। নাইলে কইত যে সিঁড়িতেও পা দেয়া যাইব না।
কিছু ছবি ভাল লাগল। অণুদার মতো আপনার স্বাধীনতা হয়তো নাই; কিন্তু সেটা পোষায় গেছে অফিসের টাকায় ঘোরাঘুরি হয়ে যাচ্ছে বলে। ঘুরতে থাকুন। আমরা হিংসিত হতে থাকি।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ষ্টীলের রেলিং ধরায় কোনও মানা ছিলো না। আমি যদি একটু ভালো ছবি তুলতে পারতাম তাইলে আপনারা আরও হিংসিত হইতেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চমৎকার
সিংহলি তামিলদের ভাষার জাত্যাভিমান ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। ক্যানাডাতেও ক্যেবেক প্রভিন্সের লোকের পেটে বোমা মারলেও ইংরেজি বলতে চায়না, অ্যাংলোফোনরাও ফরাসী বলতে চায়না খুব একটা। কুশ্চেন করি একটা। শ্রীলঙ্কায় হাই স্কুলের মাধ্যম কি? তামিল এলাকার স্কুলে সিংহলি শিখানো হয় বা সিংহলি স্কুলে তামিল? সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ কি ইংরেজি না তামিল/সিংহলি?
প্রাইমারি আর হাইস্কুলের কথা কইতেসি কলেজ ইউনিভার্সিটি না। জানেন কিছু রাতঃদা?
..................................................................
#Banshibir.
আমার মনে পড়ে সিঙ্ঘলি শিক্ষা বাধ্যতামূলক গোছের কিছু একটা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এটা আসলেই ইন্টারেস্টিং! এখানে ইংরেজী কমন, সবাইকে পড়তে হয়। উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে তামিল পড়ানো হয় এবং বাকী এলাকাগুলোতে (দক্ষিন, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চল) সিংহলী পড়ানো হয়। তার মানে তামিল এলাকার স্কুলগুলোতে সিংহলী এবং সিংহলী এলাকায় তামিল পড়ানো হয়না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সিগিরিয়া'র নাম ওর দেওয়ালচিত্রগুলোর প্রসঙ্গেই শুনেছিলাম। পাণ্ডবদা মনে হয় কইতে পারবেন, আসল নাম বোধহয় শ্রীগিরি ছিল কোনোসময়?
কাশ্যপ ('পিতৃঘাতী কাশ্যপ' নামে পরিচিত) হচ্ছে শ্রীলঙ্কান মৌর্যদের দ্বিতীয় সম্রাট। বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট ধাতুসেনের স্ত্রী'র (রাজমহিষী) গর্ভে জন্মানো পুত্র হচ্ছে মৌদগল্লায়ন। আর কাশ্যপ হচ্ছে ধাতুসেনের পল্লব বংশীয় উপপত্মীর সন্তান। স্বাভাবিকভাবে সিংহাসনের উত্তরাধিকার হবার কথা মৌদগল্লায়নের। প্রধান সেনাপতি মৃগরের সাহায্যে কাশ্যপ ধাতুসেনকে বন্দী করে হত্যা করে (জীবন্ত সমাধিস্থ), মৌদগল্লায়ন তামিলনাডুতে পালিয়ে যায়। মৌদগল্লায়ন চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে তাকে খুন করতে পারে এমনটা ভেবে নিজের নিরাপত্তার জন্য রাজধানী অনুরাধাপুর (অনুরাধাপুরম) থেকে সরিয়ে সিংহগিরিতে (সিগারিয়া) সরিয়ে নিয়ে যায়। অনুরাধাপুর, কালাবেভা অঞ্চলে ধাতুসেন অত্যন্ত উন্নতমানের সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। কাশ্যপও সিংহগিরিতে ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। এই ধরনের ব্যবস্থা উত্তর ইরাক, কুর্দিস্তান, মধ্য এশিয়ার কোথাও কোথাও দেখা যায়। কাশ্যপের সিংহগিরিতে আশ্রয় নেয়া তাকে বাঁচাতে পারেনি। মৌদগল্লায়ন তামিল বাহিনীর সহযোগিতায় সিংহগিরি অবরোধ করে রাখে। স্থানীয় সাধারণ জনগনও কাশ্যপের পক্ষে ছিল না। দক্ষিণ ভারতে তখন পল্লব সম্রাট চতুর্থ স্কন্ধবর্মণ ক্ষমতায় থাকলেও কাশ্যপের সাথে না তার ভালো সম্পর্ক ছিল, না তার নিজের অবস্থা ভালো ছিল। তাই পল্লব বংশোদ্ভূত হয়েও কাশ্যপ দক্ষিণ ভারত থেকে কোন সাহায্য পায়নি। কাশ্যপের বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কাশ্যপ নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এই তথ্য শ্রীলঙ্কার কয়জন জানে তাতে আমার সন্দেহ আছে! আমার অপিসের পোলাপানগুলো সিগিরিয়া চেনে কিন্তু এটা কি সেটাই বিস্তারিত জানেনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছবি ও বর্ণনা দারুণ লাগলো। পোস্ট দেখে তো শ্রীলঙ্কায় যেতে মন চাই
ভালো থাকবেন রাতঃ দা ।
ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দারুণ, আরও বর্ণনা আস্তে পারত যদিও।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি, আসলে খুব বেশি তথ্য জানা ছিলো না আর বেশি বর্ণনা দেওয়ার থেকে ছবিই দিলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শ্রিলংকায় তো অনেক বুদ্ধ মূর্তি পাওয়া যায়, একটার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সামিটের বলে চালিয়ে দিতে পারতেন। আমরা কেউ তো আর দেখতে যেতামনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
এই বুদ্ধিটা আগে পাইলা কাম হইতো। পরের বার আর এই ভুল নাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শ্রীলংকা যাবার খুব সাধ। আর্থার সি ক্লার্ক যে দেশটাতে এতগুলো দশক ছিলেন ভালবেসে, সেটাকে খুব ভাল মত ঘুরে দেখতে ইচ্ছে করে।
আজ পর্যন্ত যত শ্রীলংকান বন্ধু পেয়েছি সবাইকেই অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত মনে হয়েছে, আসলেই সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের মত মানুষ খুব কম মনে হয়েছে। ।
facebook
আপনার মতো মানুষদের জন্যে, যারা শুধুই ঘোরে না বরঞ্চ সেখানকার ইতিহাস, জীবনাচার, সভ্যতা, সমাজ, ইত্যাদিও খুঁজে ফেরে, তাদের জন্যে শ্রীলঙ্কা দারুন একটা জায়গা। আপনার দ্বিতীয় প্যারার মন্তব্যে সম্ভবত কেউই দ্বিমত করার দুঃসাহস দেখাবে না।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লেখাটা পরে শ্রীলঙ্কায় যেতে মন চাইছে
চলে যান, আসলেই ভালো লাগার মতো একটা দেশ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
#খুব ভাল লেগেছে ভাইয়া, দারুন। ছবিগুলো যেন কথা বলছে
আশরাফুল কবীর
কাঁচা হাতের তোলা ছবি, টেকনিক্যালি আমি খুবই দুর্বল।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
টেস্ট
কিসের?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয়,
সিগিরিয়া নামটি শুনে খুব মনে হচ্ছে যেন সেখানে গেছি অথবা যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে যাওয়া হয়নি। কান্ডি, অনুরাধাপুরা, নুয়ারা এলিয়া, ইত্যাদি নাম গুলির কথা মনে পড়ছে যেখানে গিয়েছিলাম।
মন্ত্রী ওদুলা মুলাদির সাথে কথা বলার সময় তিনি যখন জানালেন শ্রীলঙ্কার পূর্বসূরীরা বাংলাদেশ থেকে এসেছিল, বেশ অবাক হয়েছিলাম - কারন মোটেই জানতাম না আমি এ বিষয়ে। আর্থার ক্লার্কের সাথে তোলা ছবিটা খুঁজে বের করতে হবে।
লেখাটা পড়ে ভাল লাগল, কিন্তু কেন মনে করতে পারছি না কেন গেলাম না সিগিরিয়াতে? নাকি শুধু উপর দিয়ে গাড়ী চালিয়ে চলে গেছি, এত সুন্দর যায়গাটা দেখা হয়নি। আমার শ্রীলঙ্কা ভ্রমন অবশ্য ওদের যুদ্ধের আগে। তখন মনে হয়েছিল - এ পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বর্গ থাকে তবে সেটা এখানেই।
সাইফ শহীদ
ধন্যবাদ সাইফ ভাই। আপনি যদি বাট্টিকালোয়া গিয়ে থাকেন তবে আপনাকে সিগিরিয়ার কাছ থেকেই যেতে হয়েছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন