কোনও এ্যাকাডেমিক কথাবার্তা নয়, নয় কোনও বিশেষজ্ঞ মতামত। তবে বাংলাদেশে দুটো সাইক্লোন রেসপন্স করেছি- কিছু ধারনা পেয়েছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যাতে আপনারা এগুলো উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত আপনাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং পরিচিত মহলে জানাতে পারেন। একটুখানি সতর্কতা কিন্তু অনেক জীবন বাঁচাতে পারে এবং সম্পদও রক্ষা করতে পারে।
# চেষ্টা করুন রেডিওটা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে যাতে কোনও সতর্কবার্তা আপনি মিস না করেন।
# রেডিও এবং টর্চলাইটের জন্য কিছু বাড়তি ব্যাটারী এনে রাখুন।
# আপনার বাড়ি থেকে নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টার অথবা স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা যেখানে মানুষ দূর্যোগের সময়ে সমাবেত হয়, রাস্তাটা ঠিক করে নিন, কোন রাস্তা ধরে যাবেন সেটি।
# রাতের বেলা ঘরের মধ্যে হাতের কাছে দা ও কুড়াল রাখুন। অতীতে আমরা দেখেছি আকস্মিক ঝড়ের আঘাতের সময় মানুষ দিশেহারা হয়ে বন্ধ ঘরের দরজা খুলতে পারেনি। প্রয়োজন হলে দরজা-জানালা কেটে বা ভেঙ্গে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখুন।
# সিডরের সময়ে দেখা গেছে অনেক নারী সামান্য কিছু নগদ অর্থ, অলঙ্কার ও গবাদী প্রাণীর মায়া ত্যাগ করতে না পেরে শেল্টারে যায়নি এবং মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছে। অল্প কিছু নগদ অর্থ বাদে বাকীটা এবং অলঙ্কারগুলো কৌটায় ভরে মাটিচাপা দিয়ে রাখুন। এগুলো সাথে নিয়ে শেল্টারে যাবেন না। গেলে সেখানে এগুলো ছিনতাই বা লুট হয়ে যেতে পারে।
# পরিবারের কোনও সদস্য নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে না চাইলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ধরে নিয়ে চলুন। তবে হ্যাঁ, একজনের সাথে জোরাজুরি করতে গিয়ে দেরী হয়ে যাতে অন্যদের জীবন বিপন্ন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
# গরু-ছাগলগুলোকে স্বাভাবিক সময়ের মতো শক্ত করে না বেঁধে ফস্কা গেরো দিয়ে বেঁধে রাখুন যাতে ওগুলো একটু মোচড়ামুচড়ি, জোরাজুরি করলেই ছুটে যেতে পারে। হাঁস-মুরগী খোপে বন্দী করে না রেখে বরং ঘরের ভিতরে খাটের নিচে রাখা ভালো।
# কিছু শুকনো খাবার পলিথিনে বা হাড়িতে ভরে রাখুন যাতে দূর্যোগের সময় খেতে পারেন। কলসিতে পানীয় জল ভরে মুখ বেঁধে আপদকালের জন্য রাখুন। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও এই পলিথিন, হাড়ি-কলসি, ইত্যাদি ভাসিয়ে সাথে নিয়ে যাওয়া যায়।
# জেনে রাখুন শেল্টারগুলোর চাবি কার কাছে থাকে এবং তার বাসা চিনে রাখুন। নিশ্চিত করুন যেনো সে সম্ভাব্য আপদকালে চাবি কাউকে বুঝিয়ে না দিয়ে কোথাও চলে না যায়।
# কিছু শুকনো কাপড় পলিথিনে ভরে নিতে ভুলবেন না। তবে তা যেনো অতিরিক্ত হয়ে না যায়। ছোট শিশু থাকলে অবশ্য পর্যাপ্ত কাপড় ও কাঁথা নিতে হবে।
# ছোট শিশুদের দিকে বিশেষ নজর রাখুন। একটু বেখেয়াল হলে ওরা কিন্তু পানিতে পড়ে যেতে পারে বা চুরি হয়ে যেতে পারে।
# যারা পান-বিড়িতে নিদারুন আসক্ত, তারা সামান্য কিছু পান-বিড়ি সাথে রাখতে পারেন। এটি সাময়িক স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে সাবধান, দূরে গিয়ে বিড়ি টানুন ও বাটস নিভিয়ে দিন, অগ্নিকান্ড ঘটিয়ে দিয়েন না।
# উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করুন এবং তারা যা বলে তা অনুসরন করুন। কক্ষোনো মাতব্বারী ফলাবেন না আপনি যে’ই হোন না কেনো। আপনার অযাচিত হস্তক্ষেপের চেষ্টা কিন্তু কর্মীদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবেন এবং ফলশ্রুতিতে তা অনের জন্য হানিকর হতে পারে।
# প্যানিক করা থেকে বিরত থাকুন। প্যানিকিং উদ্ধারকাজের দারুন ক্ষতি করে থাকে। মাথা ঠান্ডা রাখুন।
আপনারা আপনাদের পরামর্শগুলো মন্তব্যের ঘরে দেবেন দয়াকরে। আমিও অন্য কিছু মনে পড়লে জুড়ে দেবো। ধন্যবাদ।
মন্তব্য
ধৈর্য্য ও সাহসের সঙ্গে মহাসেনকে মোকাবেলা করতে হবে।
সবার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে ধন্যবাদ, ভালো কথা বলেছেন। যে কোনও দূর্যোগ মোকাবেলায় ধৈর্য ও সাহসের খুবই প্রয়োজন। এটা আপনার পরিচিত মহলে জানান এবং তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধৈর্য্য ও সাহসের সঙ্গে মহাসেনকে মোকাবেলা করতে হবে।
সবার জন্য শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার।
শ্রদ্ধেয় রাতঃস্মরণীয় ভাই, আমাদের একটা ফেসবুক পেজ আছে (আমাদের অনলাইন বিজনেসকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য) সেখানে আমরা promotional post এর ফাঁকে ফাঁকে মানুষের প্রয়োজনে আসে এমন কিছু শেয়ার করি । এই পোস্টে কিছু সাধারণ অথচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ করণীয় উঠে এসেছে, আপনার অনুমতি পেলে এটা শেয়ার করতে চাই, আপনার এবং সচলায়তনের কৃতজ্ঞতা স্মরণ করে ।
শেয়ার করতে পারেন। আমার মনে হয় এটা সচলায়তনের নীতির সাথেও সাংঘর্ষিক হবেনা। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল ।। তবে >>>>।
তবে টা কি যদি একটু খুলে বলতেন, ভালো হতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
তবে টা, নজরুল ইসলাম , বুনোহাঁস খুলে বলেছেন।। @ নজরুল ইসলাম , বুনোহাঁস
সকলকে সচেতন করার জন্য 'ধন্যবাদ' অবশ্যই আপনার প্রাপ্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গুড জব। ভবিষ্যতে দরকারের সময় এটা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
থ্যাংক ইউ!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অন্যভাবে না নিলাম, কিন্তু বিষয়টা বুঝতে পারিনি। তাই জানতে চাচ্ছি।
ধরা যাক কোনো নারী যৌন হয়রানী বা ধর্ষিত হওনের হুমকীর মুখে পড়লো, সেই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে তাকে অন্য উপদেশ না দিয়ে কনডম রাখার পরামর্শ কেন? তাকে ধর্ষন করতে এলে সে কনডম এগিয়ে দেবে?
তাকে একটা ছুরি রাখার কথা বলা যেতে পারে, যেটা দিয়ে সে শুধু যৌন হয়রানি না, অন্য অনেক বিপদ থেকেই বাঁচতে পারবে। যে কোনো দূর্যোগেই ছুরি/চাকু একটা অতি প্রয়োজনীয় জিনিস।
আর শুধু দূর্যোগ না, আমাদের পশুপ্রভৃত্তি যেহেতু বাড়ছে, ধর্ষনের হারও বাড়ছেই। ঘরে বাইরে দূর্যোগে সুযোগে... সবখানেই নারীরা যৌন হয়রানী এবং ধর্ষনের শিকার হচ্ছে, শহরে গ্রামে সর্বত্র।
তাহলে কি বাংলার সব নারীই ভ্যানিটি ব্যাগে কনডম রাখা শুরু করবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলে এই এক্সপেরিয়েন্সগুলো আফ্রিকা থেকে এসেছে। ব্যাপারটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে এটাও সত্যি। তবে এটা স্বাভাবিক সময়ের কথা চিন্তা করে নয়, বরং নারীর এক্সটিম পর্যায়ের ভালনারেবিলিটির ক্ষেত্রেই চিন্তা করা হয়ে থাকে যখন নারী আরও অনেকভাবে বিপর্যস্থা থাকে এবং নিজেকে রক্ষা করার মতো কোনও অবস্থায় থাকেনা। আমার ধারনা বাংলাদেশে নারীর আপদকালীন প্রোটেকশন নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। মাঠে কাজ করতে গিয়ে নারী সহকর্মীদের কাছ থেকে এরকম নির্যাতনের কথা শুনেছি।
হয়তো আফ্রিকার সমাজে যেটা গ্রহনযোগ্য, বাংলাদেশে তা মোটেও সহজ নয়। ছুরি-চাকু তো রাখা যেতেই পারে, তবে আমি যেটা বলেছি সেটা ভালনারেবিলিটির একদম চরম পর্য্যায়ের কথা এবং নারী যখন মাল্টিপল ভালনারেবিলিটি দ্বারা আক্রান্ত থাকে। আসল কথা তো আপনি বলেই দিয়েছেন, পশুবৃত্তি সবখানেই বেড়েছে। আমরা যদি সামাজিকভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে পারি, তবে হয়তো কনডম বা ছুরি-কিছুই প্রয়োজন হবেনা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আফ্রিকায় কোনটা গ্রহণযোগ্য তা জানি না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা কল্পনা করার চেষ্টা করলাম। ঘুর্ণিঝড় আসবে, সবাই জরুরী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো পোটলায় নিচ্ছে, সেই অবস্থায় পরিবারের নারী সদস্যরা কনডমের প্যাকেট ঝোলায় ভরছেন...
কে যেন বলেছিলো ধর্ষিত যখন হতেই হবে, তাহলে সেটা উপভোগ করাটাই আনন্দের!
ধর্ষনের সম্ভাবনায় কনডম বহন করার আইডিয়াটা এরচেয়ে একটু বেশি উদ্ভট লাগলো।
এর আগে বাংলাদেশে যতো সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় হয়েছে, সেই ঘটনাগুলোয় ধর্ষনের ঘটনা কী পরিমান ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো আইডিয়া দিতে পারেন? আমার জানা নাই, কিন্তু এখন জানতে আগ্রহ হচ্ছে খুব।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা হতবাক হবার মতোই বিষয়। তবে হতবাক হন বা না হন, বাংলাদেশে দুর্যোগ পরবর্তীসময়ে জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স যে মারাত্মকভাবে বেড়ে যায় এটা আমার মতো মাঠকর্মীদের জানা বিষয়। আপনি যা জানতে চেয়েছেন তা আমারও জানা নেই এবং এবিষয়ে কোনও পরিসংখ্যান আছে বলেও শুনিনি। তবে যেটা আমাদের নারী সহকর্মীরা যখন নারী দলের সাথে ফোকাস গ্রুপ ডিস্কাশন করে থাকে, তখন অনেক ধরনের তথ্য বেরিয়ে আসে যা পরিসংখানে আসেনা। সঙ্গত কারনে এই আলাপচারিতার রেকর্ডও হয়না।
তবে কনডম বহনের ব্যাপারটা উদ্ভট লেগেছে কিন্তু তার সাথে তুলনা দিতে গিয়ে আপনি যে উদাহরণটা টানলেন, সেটা মনে হয় প্রয়োজন ছিলোনা। যাইহোক ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স যে হয় তা দেখেছি যখন যশোর বেনাপোলের একটা বড় অংশ বন্যার কবলে পড়েছিল খুব সম্ভবত ২০০১/০২ এ। তখন যশোর সদরে বেশ কয়েকটি আশ্রয় শিবির খোলা হয়। অসহায় এবং কখনও এই রকম বন্যার মুখোমুখি না হওয়া মানুষ দের এইরকম ভায়লেন্স এর মুখোমুখি হতে শুনেছি। অনেক দুর্দশার কথা আসলেও এই বিষয়গুলো একটু চাপাই হাকে। কাজেই রেফারেন্স চাইলে বা পরিসংখ্যান চাইলে আসলে ঠিক দেয়া সম্ভব হয় না। তবে কেবল যারা মাঠ পর্যায়ে এই বিষয়গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন কেবল তাদের কাছেই এই সব ঘটনা গুলো উঠে আসে।
বাংলাদেশে দুর্যোগ পরবর্তীসময়ে জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স যে মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়, এটা আমার একেবারেই জানা ছিলো না। সে কারনেই কৌতুহল হচ্ছে। আপনি মাঠকর্মী, সেই সুবাদে যেহেতু আপনার বিষয়টি জানা আছে, তাই অনুরোধ করছি এরকম দুয়েকটা ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। এই বিষয়গুলো জানা খুব প্রয়োজন।
প্রয়োজন অপ্রয়োজন জানি না, কিন্তু আমার কাছে দুটোই প্রায় কাছাকাছি রকমেরই লেগেছে। তাই প্রসঙ্গটা টানলাম। খুব কি তফাৎ কিছু?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
@নজরুল ইসলাম
"কনডম নেগোসিয়েশন"-এর ব্যাপারে জানতে আগ্রহী। ফিমেল কনডম হলে মানতাম যে নিজের সুরক্ষার ভাবনা থেকে একজন নারীকে সেটা বহন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ধর্ষককে প্রতিহত না করে তাকে কনডম সরবরাহ করে সেটা ব্যবহার করার জন্য দেনদরবার করাটা আসলে কতখানি যৌক্তিক?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ফিমেল কনডম আসলে আফ্রিকাতেও তেমন জনপ্রিয় নয়। যাহোক, কিছুটা নজরুলের মন্তব্যের উত্তরে লিখেছি। এই ধারনাটির সাথে আমার পরিচয় ঘটে কেনিয়ায় একটি ট্রেনিং-এ গিয়ে। যেটা উল্লেখ করেছি, এটা শেষ পর্য্যায়ের একটা ব্যবস্থা। এটার গ্রহনযোগ্যতা দেশ থেকে দেশে, সমাজ থেকে সমাজে ভিন্ন হতে পারে। তবে নারীর চুড়ান্ত পর্যায়ের ভালনারেবিলিটির জন্যেই এই অপশনগুল নিয়ে আলোচনা হয়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কনডম নেগোসিয়েশন!!!!
আক্রান্ত হলে একটা মেয়ে বলবে-- ধর্ষণই যদি করবেন, এটা পরে করুন প্লিজ? ভালো তো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
রেপিস্টদের শারীরিক চাহিদা অমানবিক ও বিকৃত, তাদের বিকৃতির লেভেলটা আসলে এতটাই বেশি যে তারা ভিক্টিমের প্রতি কোন মমতা বা সহানুভূতি প্রকাশ করে কনডম ব্যবহার করবে এই আশা করাটা মনে হয় অতিরিক্ত হয়ে যাবে। তাদের বিকৃত চাহিদা কোনভাবেই কনডমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব নয়।
এই সাজেশনটা তাই খুব অযৌক্তিক লাগছে।
কেউ আমারে রেপ করতে আসল আর আমি তাকে কনডম দিয়ে ইনভাইট করলাম, নিজের এত বড় অপমান আমি কি ভাবে করতে পারি?!!!!
এই বিষয়টির সাথে আমার যখন পরিচয় ঘটে তখন মূলত দুটি আশঙ্কা/ঝুঁকি থেকে প্রোটেকশনের বিষয়ে আলোচনা হয়। একটি হচ্ছে হত্যার আশঙ্কা আর অন্যটি হচ্ছে এইডস/প্রেগন্যান্সী/যৌনবাহিত রোগ। হ্যাঁ, বিকৃতরুচির কারো কাছ থেকে সহানুভূতি আশা করা বৃথা তবে নিজেকে একদম শেষ পর্যায়ে রক্ষার বিষয়টিই এখানে মূখ্য হিসেবে দেখা হয়েছে। আপনার শেষ লাইনটির ব্যাপারে আগেই বলেছি- এটার গ্রহনযোগ্যতা দেশ থেকে দেশে, সমাজ থেকে সমাজে ভিন্ন হতে পারে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধর্ষণকারীর সাথে 'কনডম নেগোসিয়েশন' - ব্যাপারটা উদ্ভট লাগলো!! ধর্ষনের সম্ভাবনা থাকলে কোন মেয়ে আত্মরক্ষার জন্যে ব্লেড, ছুরি, মরিচগুড়া বাদ দিয়ে কনডম রাখতে যাবে কোন দুঃখে?! বুঝলাম না!!
বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে উদ্ভট মনে হতেই পারে। তবে এর উদ্দেশ্য এবং পর্যায় নিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
খুব ভালো একটি লেখা রাতঃ দা। এটা একটি ভালো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। আমাদের দেশে এইরকম ঝড় , জলোচ্ছ্বাস প্রতি বছরই দেখা দেয় । অনেক বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা হলেও ব্যক্তি সচেতনতার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকে । আপনার লেখার উল্লেখিত বিষয়গুলো যেহেতু ব্যক্তি অভিজ্ঞতার আলোকে লিখেছেন তাই বিষয়গুলো বেশ কাজে আসবে। একত্রে এগুলো সাজিয়ে লেখার জন্য । ভালো থাকুন সবসময়।
ধন্যবাদ অমিদা। অন্যদের করা-জানা-শোনা অভিজ্ঞতাগুলে মন্তব্যে এলে আরও ভালো একটা তথ্যের ইনভেন্টরি হতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার কনডম তত্ত্ব পড়ে হতবাক হয়ে গেলাম। কীভাবে এরকম একটা বিষয় লিখলেন, আপনিই ভালো জানেন। ভয়াবহ উদ্ভট এবং কুরুচিপূর্ণ লাগল আমার কাছে। এবং এটার কারণে পোস্টের বাকি অংশ মেরিট হারালো।
মন্তব্যগুলো পড়লাম। আপনি বলেছেন আফ্রিকায় এমন ঘটনা ঘটে এবং সেখানকার প্রেক্ষাপটে এটা স্বাভাবিক জন্য আপনি এই সাজেশন দিয়েছেন, যদিও নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা মানানসই না-ও হতে পারে। যে বিষয়ে আপনি নিজেই নিশ্চিত না, যে বিষয়ে পর্যাপ্ত কেস স্টাডি নাই, মাঠ পর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত নাই, সেই বিষয়ে এভাবে "করণীয়" বলে দেয়া ঠিক হয়নি।
ধর্ষণ নেগোশিয়েট করে একটা সমঝোতায় আসা এই জিনিস বাঙালির পক্ষে হজম করা অসম্ভব, তাজদা! আর আমি তো কিছুক্ষেত্রে সেকেলে স্পর্শকাতর!
এই পয়েন্টটাকে বাদ দেওয়া যেতে পারে কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই পদ্ধতি প্রয়োগ অসম্ভব। এটা বাদ দিলে পোস্টটা একটা দারুণ রেফারেন্স!
_____________________
Give Her Freedom!
মনে হচ্ছে নির্দিষ্ট প্যারাগ্রাফ’টি আর রাখা হয়নি। একটা জায়গা ছাড়া রেফারেন্স হিসেবে ভাল। বিষয়টা বাংলাদেশে’র প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এইচ-আইভি বাংলাদেশে যতোটা প্রচারে-প্রসারে, আদতে এইটা কোন মহামারী’র পর্যায়ে-ও নেই। দুর্যোগকালীন সময়ে এইরকম একটা ঘটনা তার নিজের এলাকাতে ঘটার সম্ভাবনা খুব খুব বেশি ( পরিসংখ্যান?) এবং সে জন্য কেবল কনডম সাথে রাখতে হবে -- এই সিদ্ধান্ত-গ্রহণের জন্য নারী/কিশোরী’দের নিয়ে প্রভাবিত করতে গেলে চাপিয়ে দেয়া হবে।
আমার ধারনা বাংলাদেশে নারীর আপদ-কালীন প্রোটেকশন নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। কাজ হয়েছে। শুধুমাত্র নারী কিংবা কিশোরী’দের প্রোটেকশন নিয়ে যারা কাজ করেন তারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, সেসবের সমন্বিত শিখন-গুলো হয়তো ডকুমেন্ট করা নেই কিন্তু কাজ হয়েছে। যতদূর মনে পড়ছে, আইলার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন/ইকো’র ফান্ডিংয়ে কাজ হয়েছে খুলনা এবং কয়রা এলাকায়। বেশকিছু আন্তর্জাতিক এবং দেশী সংস্থা মিলে একসাথে কাজ করেছে, এখনও করছে মনে হয়; সেখানে যে ‘সিচুয়েশন এনালিসিস’গুলো হয়েছে তাতে কিশোরী’দের প্রোটেকশন নিয়ে আলাদা ফোকাস ছিল, তার উপর ভিত্তি করে কাজও হয়েছে। সেগুলোর ডকুমেন্ট সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো’তে পাওয়া যাবে।
আমাদের দেশে দুর্যোগে নারী এবং শিশু (০-১৮ বছর) একসাথে কিংবা আলাদা আলাদাভাবে যে ঝুঁকি’তে থাকে তাতে যৌন নিপীড়ন বা নির্যাতন ধর্ষণের পর্যায়ে পৌঁছেছে এইরকম আমি এখন-ও পর্যন্ত শুনি নি। সাইক্লোন শেল্টারগুলো’তে আগের চাইতে নারী এবং শিশুদের প্রতি মনোযোগ সিডরের পর বহুলাংশে, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় সংযুক্ত হয়েছে এসব, বাস্তবায়ন কাঠামো দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র নারী কিংবা কিশোরী’দের এই একটা নির্দিষ্ট দিক ফোকাস করে বাংলাদেশে কোন প্রকল্প হয়েছে কি? মনে হয় না।
দুর্যোগের প্রভাব যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সেখানে যৌন নির্যাতন এমনকি এক গ্যালন পানি, কিংবা ৩ প্যাকেট চাল এর জন্যেও হয়, ছুঁচো স্বভাব লোকজন প্রচুর। কোন একটা ডকুমেন্টে পড়েছিলাম, আইলার অনেক পর, বিশেষ করে কয়রায়, এক গ্যালন জার আনতে বহু পথ পাড়ি দিতে হয় কিশোরী’দের, সুপেয় জলের সংকট; সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শারীরীকভাবে হ্যনস্থা করে অনেকেই। নারী’র আত্মসম্মানবোধ এমন যে সে তাঁর দিকে তাকানো’তেও সম্মান প্রত্যাশা করে।
এইধরনের কাজগুলো’তে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো, কিশোরী’দের জীবন-দক্ষতা প্রশিক্ষণ, এডভোকেসি ইত্যাদি বহু-কিছু হয়, কিন্তু দেখা গেছে এইধরনের কাজগুলোতে জড়িত থাকে হাতে গোনা যায় এমন সংখ্যক কিছু জন্তু, সবাই তাদের চেনে, তাদের বেশিরভাগ-ই ক্ষমতার সাথে সবদিক দিয়ে সংশ্লিষ্ট। সব আমলেই সব দল করে এমন গোষ্ঠী প্রচুর এখন বাংলাদেশে কিংবা নির্দিষ্ট দলে’র ছত্রছায়া’য় থাকে এরা। আমাদের পলিসি প্রচুর, নিত্য-নতুন গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে, বহু-কিছু বদলেছে কিন্তু আমাদের উন্নয়ন এর তরিকা বদলায়নি।
আপনি দুর্যোগ নিয়ে কাজ করছেন, যেহেতু বিষয়টা সামনে চলেই এসেছে যা কোনভাবে প্রায়োগিক নয়, আপনারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’কে সঠিকভাবে বিশ্লেষন করে কাজ শুরু করতে পারেন। আপনাদের পক্ষে আসলেই এইধরনের ভায়োলেন্স কেমন, কতটা হয়, কারা করে, কোথায় কি- এইসব নিয়ে কাজ করা সম্ভব। আমরা এতো-বেশি প্রকল্প নির্ভর হয়ে গেছি, এতো-বেশি কাঠামো-গত, এতোবেশি বৈদিশিক বুদ্ধি আর প্রযুক্তি নির্ভর!
বাংলাদেশ বদলে দিতে সরকারে বিকল্প হিসেবে তৈরি না হয়ে এনজিও যদি সরকারের সহসাথী হিসেবে কাজ করতো তাহলে দেশের চেহারা পাল্টে যেতো বহু আগেই। পাল্টাক!
বিশাল মন্তব্য করে বসছি দেখা যাচ্ছে।
নতুন মন্তব্য করুন