কামরাঙা ছড়া - ০৬

ব্ল্যাকমেইলিং করা কি ঠিক হচ্ছে? নীলুকে হলের দিকে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে ঠাণ্ডায় দাঁড় করিয়ে রেখেছেন দীর্ঘ সময় ধরে, তা নিয়ে আমি কি হম্বি-তম্বি করছি?

আগের পর্বেই এক মন্তব্যের জবাবে লিখেছিলাম: "আমার লেখা পড়ার পর অজু করা ফরজ।"

এর পর থেকে অজুর পানি পাশে রেখে আমার হারাম লেখা পড়লে আপনাকে বেশিক্ষণ নাপাক থাকতে হবে না

দুষ্টু ছড়ার সিরিজ দেবেন - ঘোষণা দিলেন খুব তো!
এতো তোড়জোড়, এতো উৎসাহ কোথা গেল হয়ে লুপ্ত?
কোনও তাগাদায় হলো না তো কাজ
লেখা নেই। তবে বিনা মেঘে বাজ -
এলেবেলে লিখে পদবী পেয়েছি - সন্ন্যাসী উপগুপ্ত!

(অ্যালকোহলাক্রান্ত অবস্থায় রচিত বিধায় ছড়াটির মান নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেই বেঁচে যাই)

হিমুর মতো প্রসবক্ষমতা থাকলে দিনেই দিতাম পাঁচটা করে! আমি তো, ভাই, প্রেগন্যান্টই হই কালে-ভদ্রে। তাছাড়া আমার প্রসব-প্রক্রিয়াটিও প্রায়ই সিজারিয়ান

আপনি যথার্থ বলেছেন।

যেমন, আমার হৃদয় তোমার আপন হাতে দোলে, দোলাও দোলাও দোলাও আমার হৃদয়!

ভাই রে, কেউ বিশ্বাস করুক আর না-ই করুক, অর্থনীতির মার-প্যাঁচ সত্যিই বুঝি না (বোঝার চেষ্টাও তেমন করিনি সন্ন্যাসব্রত ব্যাহত করতে চাইনি বলেই হয়তো )। মার্কেটিং-ফার্কেটিং হবে না আমাকে দিয়ে।

প্যাকেজিং ছোট হবার কারণটি উল্লেখ করেছি ওপরে। তবে চেষ্টা থাকবে আধুনিক চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে।

রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক আপনার আইডিয়াটা এমনই মনে ধরলো যে, গুরুদেবের কয়েকটি গানের কিছু চরণ তুলে দিচ্ছি। বোল্ড শব্দগুলো ভৌতশব্দাবলি দিয়ে প্রতিস্থাপনের জন্য।

রবি-ভক্তরা ক্ষুব্ধ না হলেই খুশি হবো। সগর্বেই জানাই, আমি আপনাদেরই একজন।

তোমার আছে ডাঙা
আমার আছে জল...

তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে
আমি ডুবতে রাজি আছি...

তোমারই চরণে দিবো হৃদয় খুলিয়া...

আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি সেথায় চরণ পড়ে তোমার...

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
আমি বাইবো না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে...

সাধারণ পানিতে চলবো না। জমজমের পানি লাগবো, জমজমের...

আবার ফের পুনরায় again repeatedনাউজুবিল্লাহ?

ইমটিকনের এই আইডিয়াটি কিন্তু চমৎকার। সচলায়তনের কম্পু-গুরুরা চাইলেই কিন্তু একটা নামিয়ে ফেলতে পারেন।