অতি জনপ্রিয় এক রুশ রূপকথার নাম ধার করে নামকরণ করা হয়েছে এই সিরিজের। "অপ্রিয়" ছদ্মনামের অতিথি লেখকের করা গুরুত্বপূর্ণ এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই তথ্যটি জানানো হলো তাঁদের উদ্দেশে, যাঁরা তা পড়েননি বা জানেন না।
রূপকথাটির মূল রুশ নাম - KOLOBOK. উচ্চারণ - কালাবোক
(খুদে রসগল্পের এই সিরিজে প্রকাশিতব্য অধিকাংশ গল্পই সোভিয়েত যুগের। রুশ ছাড়াও ইউক্রেনীয়, বেলারুশীয়, জর্জিয়ান বা অন্য সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর লেখকদের লেখা গল্পের অনুবাদও ছাড়া হবে এই সিরিজে। গল্পগুলো অবশ্যই মজার কৌতুকের মতো হাসি-উদ্রেককারী নয়, তবে পাঠকদের মনের ভেতরে একটা মুচকি হাসি যদি অন্তত জেগে ওঠে, তাতেই আমার তৃপ্তি।
অধিকাংশ গল্পই রুশ ভাষা থেকে অনূদিত। কয়েকটি ইউক্রেনীয় থেকে।
আজকের গল্পটি এক রুশ লেখকের।)
___________________
নাগরিক অধিকারের দেশ
আনাতোলি ত্রুশকিন
সন্ধেবেলা রাস্তায় এক লোক এগিয়ে এলো আমার কাছে, বললো:
- জ্যাকেটটা খুলুন।
আমি তাকে বললাম:
- আপনি কি জানেন যে, অপরাধপ্রবণতা দমন করতে প্রেসিডেন্ট বিশেষ নির্দেশনামা জারি করেছেন?
সে বললো:
- জলদি খোল, হারামজাদা!
জ্যাকেটটা খুললাম। সে বললো:
- শার্টও খোল। জুতো, প্যান্ট, মোজা, আন্ডারওয়্যার - সব।
সব খুলে ফেলে আমি বললাম:
- প্রেসিডেন্টের নির্দেশ এভাবে পালন করা হলে আমাদের সবাইকে ন্যাংটো হয়ে ঘুরতে হবে।
উত্তরে কিছু না বলে সে চলে গেল আমার কাপড়-চোপড় নিয়ে।
ঝটপট বাড়ি ফিরে ভাবলাম, পুলিশকে ফোন করবো। সেই সময় শুনি, রেডিওতে বলছে:
- আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্নীতির বিরদ্ধে সর্বাঙ্গীন যুদ্ধ ঘোষণা করতে প্রেসিডেন্ট একটি নির্দেশনামা জারি করবেন।
বুঝে গেলাম, এর অর্থ - ঘুষ ছাড়া আর এক পা-ও এগোনো যাবে না।
ফোন আর করলাম না। কারণ নাগরিক অধিকারের দেশ আমাদের। আমার অধিকার আছে ফোন করার, অধিকার আছে ফোন না করার।
মন্তব্য
আনাতোলি ত্রুশকিনকে সচলের সম্মানসূচক সদস্যপদ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আনাতোলি ত্রুশকিনের লেখার ধরনটা আমার খুব পছন্দের। ছোট-ছোট বাক্য আর সাদামাটা ভাষা ব্যবহার করে লেখা তাঁর বেশ কয়েকটি খুদে গল্প আছে আমার সংগ্রহে। অনুবাদ করবো। রয়ে-সয়ে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সাধু
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সন্ন্যাসী তো সাধুই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জটিল
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জটিল কুটিল...
স্বপ্নাহত
ভাগ্যিস, সুশীল বলেননি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
(বিপ্লব)
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
প্রীত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তীব্র স্বাদের কাম-রাঙার পরে এইটা একটু পানসে মনে হলো।
কামরাঙাসেবীদের দেখি অন্য কিছু মুখে রোচে না!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কামরাঙাসেবী, নাকি কামরাঙাখোর?
তফাত কি খুব একটা আছে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সেবী ব্যাপারটা মনে হয়, সেবকের মুখোশ পরে মাঝেসাঝে। যেমন -সমাজসেবী। 'খোর' বললে আর মুখোশের উপায় নেই। পুরা টাল
এক্কেরে ঠিক কথা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই সিরিজটা সত্যি সত্যি অন্যরকম। বনফুল আমার প্রিয় গল্পকার। কারন তার মৃদু আর ছোট বাক্য। আমি নিজেও ছোটখাট মানুষ। লিখতে বসলে কখনই নিজের উচ্চতাকে অতিক্রম করতে পারিনা। তাই পরমানু গল্প লিখেই থেমে যেতে হয়। ছোট্ট গোল রুটি সিরিজটা আমার গলায় পানি দিচ্ছে। যাক অনেক বড় লেখকই আমার মত হালকা পাতলা গড়নের লেখা লিখেছেন। (মানের দিক দিয়ে নয়, সাইজ বুঝাচ্ছি। আর ফাঁকে নিজের গল্প খুব মানসম্পন্ন তা কিন্তু বলছিনা। সে ধৃষ্টতার চিহ্ন মিলে গেলে ক্ষমা প্রার্থি )
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এই জাতীয় পিচ্চি গল্প আমারও খুব প্রিয়। আশা করবো, আগামীতে প্রকাশিতব্য অণুগল্পগুলো আপনাকে আনন্দ দিতে পারবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আরে, এই লেখাটা আগে পড়িনি তো! এইটাও দেখি জাঝা।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ইহা হইতে কী শিক্ষা পাইলেন? হ্যাঁ, এই সিরিজ মিস করা যাইবে না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জটিলস্য!
পুরোপুরি ঠিক বুঝলাম না, তাতেই বুঝে গেলাম এইটা খুবই ভাল একটা লেখা হয়েছে
ভুল ধরার জন্য বলছি না, এখানে কি শব্দটা বিরূদ্ধে হবে?
_______________
বোকা মানুষ
আহা আনাতোলি ত্রুশকিন ! আহ গল্প!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন