এই পর্বের খুদে গল্পটি পত্রিকার জাঁদরেল সম্পাদক (ক্ষেত্র বিশেষে বিভাগীয় সম্পাদক) আর নতুন লেখকের জটিল সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে। পত্র-পত্রিকায় যাঁরা লেখালেখি করেছেন বা করছেন, তাঁদের প্রায় সকলেই গল্পে উল্লেখিত সমস্যাটির মুখোমুখি হয়েছেন বলে বোধ হয়।
(খুদে রসগল্পের এই সিরিজে প্রকাশিতব্য অধিকাংশ গল্পই সোভিয়েত যুগের। রুশ ছাড়াও ইউক্রেনীয়, বেলারুশীয়, জর্জিয়ান বা অন্য সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর লেখকদের লেখা গল্পের অনুবাদও ছাড়া হবে এই সিরিজে। গল্পগুলো অবশ্যই মজার কৌতুকের মতো হাসি-উদ্রেককারী নয়, তবে পাঠকদের মনের ভেতরে একটা মুচকি হাসি যদি অন্তত জেগে ওঠে, তাতেই আমার তৃপ্তি।
অধিকাংশ গল্পই রুশ ভাষা থেকে অনূদিত। কয়েকটি ইউক্রেনীয় থেকে।
আজকের গল্পটি এক রুশ লেখকের।)
____________________
সম্পাদকের দপ্তরে
ভ্লাদিমির লেবেদেভ
তিখোনিন একটা গল্প লিখে নিয়ে এলো সম্পাদকের দপ্তরে।
- কাহিনীটা জমজমাট নয়, - সম্পাদক বললেন।
তিখোনিন কাহিনী জমজমাট করলো।
- বক্তব্য কম, - মন্তব্য করলেন সম্পাদক।
তিখোনিন আরও বক্তব্য যোগ করলো।
- কেমন যেন আরোপিত, - ভুরু কুঁচকে বললেন সম্পাদক।
তিখোনিন সংশোধন করলো সেই ত্রুটি।
- গভীরতা নেই, - সম্পাদক বললেন।
তিখোনিন গভীরতা যোগ করলো।
- দুর্বল কল্পনা।
তিখোনিন কল্পনার দুর্বলতা দূর করলো।
- সমাপ্তি খুব ঝোলানো।
তিখোনিন দুর্দান্ত সমাপ্তি ভেবে বের করলো।
- নামটা কেমন যেন।
তিখোনিন গল্পের নাম বদলে ফেললো।
- তবু সব মিলিয়ে ধারালো নয়।
তিখোনিন তার ধারালো ছেদন দন্ত বের করে সম্পাদককে কামড়ে দিলো।
মন্তব্য
জট্টিল!
হাঁটুপানির জলদস্যু
তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু আমাকে গোলন্দাজি করার তাগাদা দিয়ে নিজে করছেন ফাঁকিবাজি! শিংওয়ালা ছড়া কই? নাকি পড়াশোনা আর কাজের চাপে বাঁশ যাচ্ছে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সেইরকম বাস্তবমুখী গল্প!
কি মাঝি? ডরাইলা?
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হুমায়ুন আহমেদের একটা কাহিনী মনে পড়ল। হু আ পশ্চিমবঙ্গের কোন এক খ্যাতনামা লেখকের ভক্ত ছিলেন। প্রিয় লেখকের কাছ থেকে সার্টিফিকেট পেতে খুবই উৎসাহ নিয়ে তিনি তার বইয়ের পান্ডুলিপি লেখককে পড়তে দিতেন। কিন্তু পান্ডুলিপি পড়ে প্রতিবারই লেখক এই সম্পাদকের মতো নানা বাঁকা মন্তব্য করতেন। হতাশ হয়ে হু আ এক বুদ্ধি আঁটলেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের কোন এক কালজয়ী উপন্যাস শুধু পাত্র-পাত্রীর নাম পালটে ঐ লেখককে পড়তে দিলেন। এবারো যখন বাঁকা মন্তব্য এলো তখন বুঝলেন লেখা যেমনই হোক এইখান থেকে তার সার্টিফিকেট পাওয়ার কোন আশা নেই।
পত্রিকার বিভাগীয় সম্পাদককে নতুন লেখকরা এইভাবে বাজিয়ে দেখতে পারে
এবারের পর্ব কিন্তু অতি সুশীল। ডরাইছেন নিকি?
=============
"কথা বল আমার ভাষায়, আমার রক্তে।"
উপন্যাস নয়, সেটা ছিল সেই বিখ্যাত গল্প "শৈলজ শীলা" , যেখানে এক বৃদ্ধ পাহাড়ে কুড়িয়ে পাওয়া এক বাচ্চা মেয়েকে অনেক যত্নে লালন-পালন করে বড় ক'রে, তার কাছে অন্য রকম ভালোবাসার ব্যর্থ প্রার্থী হয়।
হায়, হুমায়ুন!
কোন গল্প-সংকলনে আছে এটা, কেউ কি বলবেন দয়া করে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, এই সিরিজটি পুরোপুরি সুশীল হবে। অতএব "স্পেশাল" কিছুর আশা করে কেউ হতাশ হলে সন্ন্যাসীকে দোষ দেয়া যাবে না
@ তানভীর
আপনার ধারণা, ডরাইছি? কামরাঙার পরবর্তী পর্বটা দেইখেন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এবার আমি ডরাইছি!!!! পাগলকে নাও দুলাইতে মানা করাই ভুল!
হা হা হা খুব ভালো হচ্ছে সিরিজ।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
নাও দোলানোর অনেক আগেই লেখা হয়ে আছে । শুধু ছাড়বো কবে, এখনও ঠিক করিনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- কামড় খাইয়া হালায় বুঝলো কতো আখে কতো চিনি!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাকি কতো আখে কতো রস?
আমি আবার নানান কিসিমের রসের ভক্ত তো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ফাক(!) চান্স পেয়ে আগাম এডও দিয়ে দিলেন !
যা হউক , এক লেখিকা (আগে বেশ কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে , এবারও ২ টি বই প্রকাশের পথে ) আমার কোন বই প্রশ্ন প্রকাশিত হইতেছে কিনা জান তে চেয়েছেন ।
কিন্তু আপনার কামরাঙ্গা ছড়া গুলোর প্রভাবে আমার কলিগগন সেই প্রশ্ন এর মধ্যেও ‘মজা’ পাচেছন ।
প্রশ্নটি ছিল এরকম : Apnar kichu ber hochche ki?
নুরুজ্জামান মানিক
মাগনায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার মওকা হারায় কোন বোকায়?
আপনার সেই লেখিকার প্রশ্ন পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আরে এই সিরিজটাতো পড়া হয়নাই। জটিল।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সবে তো শুরু! আরও আসিতেছে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
জাঝা । গুটি গুটি পায়ে গোল রুটি আরো চলুক।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
রুটি যেহেতু গোল, তাই গড়াতেই থাকবে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বরাবরের মতই। পড়িলেই দন্ত বিকশিত হয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ছেদন দন্ত নয় তো? (গল্পের শেষ বাক্য স্মর্তব্য)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্যাস্য ত্যাগ হল!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
কে বললো?????
অসম্ভব! এ জনমে তা হবার নয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মারাত্মক সিরিকাস হইছে!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ।
সিরিকাস শব্দটি এই প্রথম শুনলাম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কাম-ড়েই দিলো?
আপনাদের জ্বালায় কাম আর সন্ন্যাসী শব্দদুটো সমার্থক হয়ে উঠবে অচিরেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ওপরের এক মন্তব্যে আমি "শিলা" বানানটি ইচ্ছে করেই বদলে দিয়েছি।
'শৈলজ শিলা' আমি ( হয়তো হুমায়ূনও) প্রথম পড়েছিলাম বহু বছর আগে খুব জনপ্রিয় "পঞ্চাশ বছরের প্রেমের গল্প' সঙ্কলনে। এখন এটা পাওয়া যায় না। তবে আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত অবসর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে যে "মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প" সঙ্কলনটি পরে বেরিয়েছে, তাতে আছে।
মানিক গল্পটি সাধু ভাষায় লিখেছিলেন। তাতে এর যে প্রয়োজনীয় গাম্ভীর্য আর গভীরতা ফুটে উঠেছে, হুমায়ূনের কথ্য ভাষায় রূপান্তরিত ভাষ্যে নিশ্চয়ই তা ছিল না।
কথাটা অবশ্য ঠিক। নতুন লেখককে অনেক প্রতিকূলতার ভেতর দিয়েই এগুতে হয়।
পালটা চ্যালেঞ্জ ঃএখন যদি হুমায়ূন কাউকে না জানিয়ে, নিজের ব্র্যান্ড 'মিসির আলী' বা 'হিমু' চরিত্র ব্যবহার না করে, ছদ্মনাম মুসাম্মত খয়েরুন্নেসা বেগম নিয়ে, আদর্শ কিতাবমহল নামে কোন প্রকাশককে দিয়ে দু'একটা বই বের করেন, এবং বই মেলাতে হলুদ-নীল-লাল কোন প্রমোশনাল মিছিল বার না করেন, ক' কপি বিক্রী হবে এই জনপ্রিয়তম লেখকের বই ?
শিলা কে শীলা বলায় এফেক্টটা ভালো এসেছে
আপনার পাল্টা চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে মনে পড়লো। এককালের বিখ্যাত গায়ক জর্জ মাইকেল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় নিজের আসল নাম Georgios-Kyriacos Panayiotou ব্যবহার করে একটি সিঙ্গলস (অথবা পুরো অ্যালবাম, মনে পড়ছে না) প্রকাশ করেন, যা পুরোপুরি ফ্লপ হয়।
এর অর্থ এই যে, হুআ শুধু লেখক নন, একটি ব্র্যান্ডনেম, যা নামের ধারেই কাটে, তা আপনার আমার পছন্দ হোক বা না-ই হোক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হে হে
জটিলস্য!
কঠিন!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এইটা ভাল লাগল অনেক।
_______________
বোকা মানুষ
কি কাকতাল!! আজকের এই দিনে, সন্ন্যাসীদাকে মনে পড়ে! মনের মুকুরে একটা খ্রাপ লুক!
মানসচক্ষে দেখতে পেলুমঃ আল-জাজিরার সম্পাদক মহোদয়কে ডেভিড ঘ্যাঁক করে কামড়ে দিচ্ছে!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন