"এরশাদ বিএ পাস করলেন, জিয়া কেন বিকম?"

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি
লিখেছেন সংসারে এক সন্ন্যাসী (তারিখ: শুক্র, ০২/০১/২০০৯ - ৭:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাহিদ হোসেনের লেখায় অতিথি লেখক প্রশ্ন তুলেছেন, "জিয়া আর এরশাদের মাঝে তেমন কোন পার্থক্য আছে কি?"

এ বিষয়ে বহু বছর আগে "চলতিপত্র" পত্রিকায় কলাম লেখক মাহবুব কামাল "এরশাদ বিএ পাস করলেন, জিয়া কেন বিকম?" নামে অসাধারণ একটি তুলনামূলক রচনা লিখেছিলেন। সেখান থেকে কিছু উদ্ধৃতি দেয়া যাক।

(শ্রদ্ধেয় মাহবুব কামাল, আপনি সচলায়তন পড়েন কি না, জানা নেই, তবে আপনার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা রইলো। )

~~~~~~~~~~~~~~


ডিগ্রি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবার পর অশিক্ষিত পিতা তাঁর এক পুত্র বিএ এবং আরেক পুত্র বিকম পাস করেছে শুনে বিকম পাশ করা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের দু'জনকেই সমান টাকা দিলাম, তুমি কম পাস করলে কেন?

এই কৌতুকটি লেখার শুরুর দিকে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন:
স্বৈরাচারের গ্রাজুয়েশন পরীক্ষায় সমান কৃতিত্ব দেখিয়ে জিয়াউর রহমান কেন এরশাদের চেয়ে কম পাস করলেন, সেই গল্পই হবে এখন।


জিয়াউর রহমানের অন্যতম প্রধান অপকীর্তি সম্পর্কে:
বলতে কোনোই দ্বিধা থাকার কথা নয়, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার শক্তি সঞ্চয় করতে গিয়ে স্বাধীনতা-বিরোধীদের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধে জিয়াউর রহমানই জাতিকে শিখিয়েছেন প্রথম, কিভাবে করতে হয় অশুভ আঁতাত।


ইতিহাসের অবিচার প্রসঙ্গে:
ইতিহাসের এটা একটা কঠিন স্ববিরোধিতা যে, সে একই রকম দোষের দু’জন মানুষের একজনকে বানয়েছে স্বৈরাচার আর আর একজনকে করে তুলেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পাইওনিয়ার।


দেশের রাজনীতিতে কলুষতার শুরু যেখানে:
বাংলাদেশের রাজনীতিটা আসলে অভির (গোলাম ফারুক অভি, তত্কালীন সংসদ সদস্য) মতো, শুরুতে সে খুব ভালো ছিল, সম্ভাবনাময় ছিল, জিয়াউর রহমান তাকে নষ্ট করেছে আর এরশাদ সেই নষ্টকে ব্যবহার করেছে নিজের স্বার্থে।


কী পদ্ধতিতে ক্ষমতায় এলেন দু'জন:
এই স্বৈরাচারের (এরশাদ) ভিত্তি প্রস্তরটি ছিল তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রক্রিয়া আর তার সমগ্র অবয়বটি নির্মিত হয়েছিল নির্বাচন কমিশনসহ প্রায় সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ধ্বংসস্তূপের ওপর। এবং আরো বলা যায়, জনগণের ভোটের শক্তির পরিবর্তে ক্যান্টনমেন্টের বন্দুকের শক্তিই ছিল এই স্বৈরাচারের পাহারাদার। এ পর্যন্ত বোঝা গেল ঠিকঠাক, কিন্তু জিয়াউর রহমান কি ছিলেন ভিন্ন কিছু? এরশাদ ক্ষমতা নিয়েছিলেন এক বিচারপতি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে, জিয়াউর রহমানও ক্ষমতা নিয়েছেন অপর এক বিচারপতি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে।


৭ নভেম্বরের ঘটনাবলীর পরে:
সেই তিনি (জিয়াউর রহমান) প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে ডিঙিয়ে কিভাবে “উপ” থেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, অতঃপর প্রেসিডেন্ট হলেন এবং এর পেছনে গণতন্ত্রের কোন মহান আকাঙ্ক্ষা কাজ করেছিল সে প্রশ্ন খুব একটা করে না কেউ কাউকে এরশাদের ক্ষমতা দখল নিয়ে প্রশ্নে মতো। ড. আহমদ শরীফ (ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক) ’৭৮ সালে রেফারেন্ডামের (জিয়া প্রেসিডেন্ট থাকবেন কি না বিষয়ে প্রহসনমূলক হাঁ-না ভোট) সময় টিএসসির এক আলোচনা সভায় খুব হিউমারাসলি বলেছিলেন – যখন প্রেসিডেন্ট হইলেন তখন তো কাউরে জিগাইলেন না –হমু কি হমু না, অহন জিগাইতেসেন থাকুম কি থাকুম না।


তুলনা:
এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে যতোদিন বন্ধ রেখেছিলেন তা, জিয়াউর রহমানবন্ধ রেখেছিলেন তার চেয়েও অনেক বেশি সময়। এমনকি তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লাইসেন্স প্রথার মতো জঘন্য নিয়ম চালু করতেও দ্বিধা করেননি।

এরশাদের ক্ষমতার হাত রক্ত-রঞ্জিত এ কথার মধ্যে নতুনত্বের কিছু নেই, কিন্তু জিয়াউর রহমানের যে লাল টকটকে হাত দেশ শাসন করেছে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর, সেই হাতটি তার চশমাবৃত চোখের মতোই আড়ালে থেকে গেছে আমাদের...

’৯১-এর পঞ্চম জাতীয় সংসদে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে যে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় সেখানে নিহতদের তালিকাটি ছিল সম্ভবত একশো তিন জনের একটি তালিকা। বিপরীতে জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার জন্য তথাকথিত সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর যতো সদস্যকে হত্যা করেছিলেন (হত্যাই বলা ভালো, কারণ ন্যায়বিচার ছাড়া যে কোনো মৃত্যুদণ্ডকেই হত্যা বলা যায়), সেই তালিকাটি পঞ্চম সংসদের তালিকাটির চেয়ে কয়েকগুণ দীর্ঘ হয়ে পড়বে নিঃসন্দেহে।


জিয়াউর রহমানের অর্থনৈতিক সততা প্রসঙ্গে:
জিয়াউর রহমান ব্যক্তিগতভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে এরশাদের মতো দুর্নীতিপরায়ণ ছিলেন না সত্য, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির তিনিই যে পথপ্রদর্শক তা বলতে আপত্তি কোথায়?... জিয়াউর রহমান যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলে বেড়াতেন – মানি ইজ নো প্রবলেম – সেই মানি তিনি কোথায় পেতেন? দল ভাঙার পেছনে যে অর্থ, রাজনীতিবিদদের পিঁয়াজ-মরিচের মতো ক্রয় করার যে অর্থ, তার যোগান আসতো কোথা থেকে? তিনি ব্যক্তি সম্পদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেননি, কিন্তু তার কি কোনো দরকার ছিল তার? যিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন, তার আর্থিক দুর্নীতি করার প্রয়োজন থাকার কথা নয়।


অনুসিদ্ধান্ত:
জিয়া ও এরশাদ দু’জনেই তাদের ভাষায় “জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে” এবং “ঐতিহাসিক প্রয়োজনে” ক্ষমতা দখল করেছিলেন। আসলে ক্ষমতা দখল করেছিলেন না বলে বলা যায় জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিলেন, কারণ এদের কেউই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। ফলে এদের দু’জনকেই সমান দোষী সাব্যস্ত না করে একজনকে ত্রাণকর্তার আসনে বসানো আর একজনের মাথায় স্বৈরাচারের টুপি পরিয়ে দেওয়ার মধ্যে সুনাগরিকতার কোনো ছাপ নেই, আছে কেবল দলপরায়ণতা। এদের দু’জনেই ক্ষমতাকে খুব ভালোবাসতেন, পার্থক্য শুধু একজন ক্ষমতার অতিরিক্তি হিসেবে ভালোবাসতেন – নারী ও কবিতা।


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

লেখায় পাঁচ তারা। দারুণ সব পয়েন্ট তুলে এনেছেন!

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আমাকে বলছেন? আমি তো লিখিনি, ভাই। টাইপ করেছি শুধু।
তাই সকল প্রশংসা ও পাঁচতারা মাহবুব কামালের প্রাপ্য।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কনফুসিয়াস এর ছবি

মাহবুব কামালের লেখাটা থেকে পয়েন্টগুলো আলাদা করে তুলে আনলো কে?
আপনি না তাহলে! অ্যাঁ
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দূর্দান্ত!
মাহবুব কামাল আমার প্রিয় কলামিস্টদের একজন। যাযাদি'তে 'চতুর্থ মাত্রা', পরে চলতিপত্রে 'পঞ্চ-ইন্দ্রীয়' আর শেষে মৃদূভাষণে 'ভাবে সপ্তমী' পড়েছি কিছু দিন।

উনি এখন কোথাও লিখেন?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

যদ্দূর মনে করতে পারি, যাযাদি-র প্রথম ভালোবাসা সংখ্যায় চমত্কার একটা লেখা লিখে লাইমলাইটে আসেন মাহবুব কামাল। এর পর যাযাদি থেকে নিয়মিত লেখার অফার পান। পরবর্তীতে যাযাদি-র বড়ো যে একটি অংশ বের হয়ে এসে চলতিপত্র প্রকাশ শুরু করে, তাতে মাহবুব কামালও ছিলেন। পরবর্তী ইতিহাস জানা নেই মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

"আধো রাজনৈতিক আধো ভালোবাসার চিঠি" লেখাটা?
অসাধারণ একটা লেখা...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হ্যাঁ, ঠিক তাই। নামটা মনে ছিলো না। আপনি বলার পর লেখাটি বের করে আরেকবার পড়ে নিলাম। আসলেই দুর্দান্ত।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

কী থেকে বের করে পড়ে ফেললেন? ইন্টারনেট? একটু এদিকে পাঠান না - পড়ি।
দুর্দান্ত একটা সংকলিত লেখা উপহার দিলেন। শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

না রে, ভাই, ইন্টারনেট থেকে নয়। পত্রিকা থেকে কেটে রেখে দিয়েছিলাম, সেটাই রয়ে গেছে। নিজের স্ক্যানার থাকলে স্ক্যান করে এক্ষুণি পাঠিয়ে দিতে পারতাম। দেখি, পরে কখনও করিয়ে নেবো কাউকে দিয়ে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

তাইলে তো সন্ন্যাসীজির সমস্যার সমাধান হয়েই গেলো। হাসি
তুলনাটা ভাবায়। তবু দুজনের জনপ্রিয়তায় কতোটা ফারাক!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সুলতানা পারভীন শিমুল লিখেছেন:
তাইলে তো সন্ন্যাসীজির সমস্যার সমাধান হয়েই গেলো। হাসি
কেন যেন একটা গানের লাইন মনে পড়ে গেল- "এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি, মাঝখানে সাগর ওই বয়ে চলে যায়" (একটু পরিবর্তিত) চোখ টিপি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমাকে কি কেউ দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন কোন শুভবোধ সম্পন্ন মানুষ কোন যুক্তি কিংবা আবেগে জিয়াউর রহমানকে সমর্থন করতে পারে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কনফুসিয়াস এর ছবি

পারে। শুধু জিয়া নয়, সকল রাজনীতিকদেরই সমর্থন করতে পারে।
কেবল শুভবোধটাকে একপাশে সরিয়ে রাখতে হবে, এই যা!

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জিয়া, এরশাদের মতো মিলিট্যান্টদের সিভিল রাজনীতিকদের সাথে মেলানো যায়না ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ হাসান মোরশেদ

যে-জাতীয় লোকজন নেত্রীর গায়ের রঙে বা চেহারায় মুগ্ধ হয়ে দলকে সমর্থন করতে পারে, তাদের পক্ষেই সম্ভব জিয়ার সানগ্লাসে মুগ্ধ হয়ে তার "গুণ"মুগ্ধ বনে যাওয়া। যুক্তি কিছু কি আছে এতে?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

খেয়াল করে দেখবেন কেউ কেউ আছেন খালেদা জিয়া ও তার পুত্রদের সমালোচনা তারা করেন । এই সমালোচনা সুবাদে তারা প্রগতিশীলদের কাতারে ও আসন লাভ করেন । কিন্তু তাদের সমালোচনার একটা অনুসংগ দাঁড়ায়- জিয়ার মতো সৎ লোকের স্ত্রী পুত্র হয়ে তারা এরকম হবে কেনো?
!

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একেবারে সঠিক পর্যবেক্ষণ!
জিয়ার সততা প্রমাণের জন্য ছেঁড়া গেঞ্জির মিথ ছড়াতে ফজলে লোহানীর ভূমিকার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনার?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বস, অনেক ছোট ছিলাম তখন হাসি
মহান জিয়ার অন্তর্ধান কালে আমি মাত্র বছর পাঁচের মন খারাপ

লোহানী সাহেবের কিছু কাহানী ও লিখেন না কেনো? আমরা শুনি এবং জানি ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বিটিভিতে তখন ফজলে লোহানী তখনকার জনপ্রিয়তম ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "যদি কিছু মনে না করেন" উপস্থাপনা করতেন। তো জিয়ার মৃত্যুর পর একটি অনুষ্ঠানে তিনি জিয়ার ছেঁড়া গেঞ্জি এবং, যদ্দূর মনে পড়ছে, ভাঙা স্যুটকেস নিয়ে "মর্মস্পর্শী" একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছিলেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুস্তাফিজ এর ছবি

হ! পাবলিক ঐটা খাইছিলো, যেইভাবে কাইন্দা কাইট্টা কইছিলো।
এই লোহানীকে পরে এরশাদ দালালী করতে লাগাইছিলো কিন্তু ফেল মারছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আচ্ছা, এই লোকটি কি বেঁচে আছেন? কী করেন এখন?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বুঝলাম না, এইটা কারে কইলেন এবং ক্যান কইলেন মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
s-s এর ছবি

বুড়ো আঙুলের আইকন টা যেন কিভাবে দিতে হয়?

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

(Yx)

xটা মুছে দিলেই হবে।

s-s এর ছবি

থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু আপনাকে, আর সন্ন্যাসী , ইয়ে x টা মুছে নিন। হাসি

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মন্তব্যে উত্তর পড়ে গেলে সেটি সম্পাদনা করা আর সম্ভব হয় না। তাই সেটি এখন সন্ন্যাসীর কর্ম নয় হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

চেনা মানুষ গুলোর সাথে আবার পরিচিত হলাম...........ধন্যবাদ আপনাকে

( জয়িতা )

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ধন্যবাদ, জয়িতা।
এদের এই চেহারার কথা আমাদের ভুললে চলবে না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

শামীম এর ছবি

ইদানিং বিশ্ববেহায়া বলে গালি খাওয়া এরশাদের প্রশংসাসূচক লেখা প্রকাশ হচ্ছে কারণ নির্বাচিত নেত্রী ওনার সাথে জোট বেঁধেছেন। প্রচলিত প্রচারণার বিপক্ষে এরশাদকে একটু ভাল প্রমাণ করে, তা-ও আবার অপজিশন বি.এন.পি'র নেতার সাপেক্ষে, নেত্রীর সিদ্ধান্তকে জাস্টিফাই করার একটা পরোক্ষ চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

----

৮৬ সালের নির্বাচনে কিভাবে ভোট হয়েছিল সেটা দেখেছি চোখের সামনেই ... তাই এরশাদকে তখন গালি দিতাম। কিন্তু গত ১৭ বছরের চাল-চিত্র দেখে ঐ ব্যাটাকেই অপেক্ষাকৃত ভাল মনে হয়েছে।

এরশাদকে আমি বিগত ১৭ বছরের শাসকদের চেয়ে বেশি পছন্দ করি -- যদিও এ কথা শুনে অনেকের ভ্রু-কুঞ্চিত হয়ে যায়। এখন অবশ্য ঐ ব্যাটা বৃদ্ধ হয়ে বাতিল মাল হয়ে গেছেন।

যে কারণে পছন্দ করি:
প্রথমত:
উনি একজন সেনাপ্রধান ছিলেন ... যেটা বাবা কিংবা স্বামীর নামে হওয়া যায় না। নিজ যোগ্যতায় বেশ কিছু পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ পার করে আসতে হয়। কাজেই ব্যক্তিগত যোগ্যতার বিচারে এরশাদ আমার দৃষ্টিতে শ্রেয়তর ছিল।

দ্বিতীয়ত:
এরশাদের কাজের সুবিধাভোগী হিসেবে। ঢাকায় মিরপুরে থাকতাম। এরশাদের সময়েই ক্যান্টনমেন্ট এলাকা হিসেবে মিরপুর উপশহর চকচকে হয়েছিল ... সাফ গেমসের সময়ে। এছাড়া রোকেয়া সরনী, বিজয় সরনী দিয়ে কলেজে যাওয়ার সময় এরশাদকে ধন্যবাদ জানাতাম। এছাড়া ঢাকার অন্য জরুরী রাস্তা যেমন পান্থপথ, বিশ্বরোড (সায়েদাবাদ-মৌচাক-এয়ারপোর্ট রোড) ঐ ব্যাটার করা।

এছাড়া এরশাদের সময়েই সমস্ত ইউটিলিটি বিলের সাথে যমুনা সেতু সারচার্জ জমা দিয়েছিলাম। যমুনা সেতু ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ন্যাশনাল হাইওয়েগুলো আমাকে সুবিধাভোগী করেছে (আমি কুড়িগ্রামের লোক জন্য)।

আমার মনে হয় সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ অফিসারের প্রশিক্ষণ এই ধরণের স্ট্রাটেজিক বিষয়গুলোতে তাকে বেশি বিচক্ষণ করেছিল।

তৃতীয়ত:
ইদানিং অনেককে বলতে শুনি যে এরশাদ একাই খাইতো আর পরের দুইনেত্রী দলবল নিয়ে খাইছে। তাই এরশাদের ব্যক্তিগত দূর্নীতি বেশি (!) হলেও সেই সময়ে দূর্নীতি সামগ্রীকভাবে দুই দলের চেয়ে কম ছিল।
---

একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন: ঢাকার জরুরী রাস্তাগুলো কোনো নির্বাচিত সরকার করতে পারেনি। এরশাদের করা প্রধান রাস্তাগুলোর ফিরিস্তি দিলাম। আর, জলপাইয়ের ছায়ায় গত তত্বাবধায়ক সরকারও কিন্তু - আগারগাঁও লিংক রোড, ড়্যাংগস ভবন ভেঙ্গে তেজগাঁও লিংক রোড এবং হাতিরঝিল প্রজেক্টের মত অত্যন্ত জরুরী রাস্তা (রামপুরা ব্রীজ পর্যন্ত পান্থপথের এক্সটেনশনও বলা যায়) করেছে/করতেছে।

---

আমি নিতান্তই একজন ম্যাঙ্গো-পাবলিক, রাজনীতি সম্পর্কে আগ্রহ থাকলেও এ বিষয়ে কোনই প্রজ্ঞা নাই। কাজেই আমার ব্যক্তিগত ভিন্নমতকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা না করলেও চলবে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ইদানিং বিশ্ববেহায়া বলে গালি খাওয়া এরশাদের প্রশংসাসূচক লেখা প্রকাশ হচ্ছে কারণ নির্বাচিত নেত্রী ওনার সাথে জোট বেঁধেছেন।

এই লেখাটি এরশাদের জন্য প্রশংসাসূচক নিশ্চয়ই মনে হয়নি আপনার। এখানে আসলে এরশাদকে তার যোগ্য স্থানে রেখে একই রকম এরশাদীয় দোষে দুষ্ট জিয়াকেও সেই স্থানে অবস্থানের যোগ্য বলে প্রমাণ করা হয়েছে।

আমার ব্যক্তিগত মতামত বলি: কোনও সামরিক শাসকের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অনুভব করি না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্পর্শ এর ছবি

আমিও নারী ও কবিতা ভালবাসতে চাই!! দেঁতো হাসি
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দ্রোহী এর ছবি

আমিও নারীদের ভালোবাসতে চাই কিন্তু বউয়ের ভয়ে তা আর হয়ে উঠলো কোথায়?


গরীবের আবার সিগনেচার!!!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দ্রোহ আর ভয়ের সহাবস্থান কি সম্ভব? অ্যাঁ
একটা সিনেমা হৈতারে দ্রোহী কেন ভীত? নামে।
মুহাহাহা...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ স্পর্শ

বাসেন! আপনেরে কেউ মানা করসে? চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

সন্ন্যাসী, চমৎকার পোস্ট। লেজে হোমো এরশাদরে লইয়া ফান করেন? খাড়ান নয়া প্রেসিডেন্ট এরশাদ আইতেছে। আপনে শ্যাষ!


গরীবের আবার সিগনেচার!!!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনের ভবিষ্যদ্বাণী খাটলো না। আপনেরে দিয়া হইবো না চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

সব ঠিক আছে।কিন্তু একটা জিনিষতো মাথায় ঢোকে না,জিয়া এত জনপ্রিয়তা পাইল কেমনে।বাপ-দাদার কাছে শুনছি জিয়া মারা যাওনের খবর শুইনা নাকি সাধারণ মানুষও ব্যাপক কান্দন কান্দছে।
জিয়া কিভাবে জনপ্রিয়তা পেল বা কেন পেল সে বিষয়ে একটি বিশ্লেষনমূলক লেখা আশা করছি।ধন্যবাদ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

জিয়া কিভাবে জনপ্রিয়তা পেল বা কেন পেল সে বিষয়ে একটি বিশ্লেষনমূলক লেখা আশা করছি

এ আমার কম্মো নয়। সুযোগ্য ব্যক্তিদের কেউ নিশ্চয়ই লিখবেন এই বিষয়ে।

একটা কথাই শুধু বলি। ইতিহাসে ঘৃণিত সমস্ত রাষ্ট্রনায়কই কিন্তু কোনও না কোনও এক সময়ে জনপ্রিয় ছিলেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অমিত আহমেদ এর ছবি

জটিল লেখা।

এদের দু’জনেই ক্ষমতাকে খুব ভালোবাসতেন, পার্থক্য শুধু একজন ক্ষমতার অতিরিক্তি হিসেবে ভালোবাসতেন – নারী ও কবিতা।

এটা পড়ে হাসলাম।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হাসি
আসলে এই দু'জনের ভেতরে পার্থক্য এখানেই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

জাহিদ হোসেন এর ছবি

"জিয়াউর রহমানের যে লাল টকটকে হাত দেশ শাসন করেছে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর, সেই হাতটি তার চশমাবৃত চোখের মতোই আড়ালে থেকে গেছে আমাদের.."
অত্যন্ত সত্যি কথা! এটাই সম্ভবতঃ তার তত্কালীন জনপ্রিয়তার কারণ।

এই লেখাটি পড়ে ভাল লাগলো। মাহবুব কামালের অন্য লেখাগুলো পড়তেও ইচ্ছে করছে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মাহবুব কামালের বেশ কিছু লেখা পড়েছি পত্র-পত্রিকায়। চমত্কার তাঁর গদ্য।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রানা মেহের এর ছবি

দুজনকেই জাঝা
মাহবুব কামাল এবং আমাদের সন্নাসী কে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সকল জাঝা মাহবুব কামালের প্রাপ্য হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে (সন্মান) আওয়ামী আমলে এই প্রশ্নটি ঘুরে ফিরে আসে (বিএনপি আমলে বাকশালের ব্যর্থতা) ------- জিয়া ও এরশাদের বেসামরিকীকরণের তূলনামূলক আলোচনা কর।

এই লেখার চাইতে বেস্ট নোট আর হতে পারে না। আমার ছাত্র-ছাত্রীদের কপি করে দিতে ইচ্ছে করছে।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

ইচ্ছে করলে আর বিলম্ব কেন!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দৃশা এর ছবি

চলুক এই জিনিস চোখ এড়াইলো কেমবে? সন্ন্যাসীধারার সংসারীকে একটা পাঁচতারা হোটেল দিলাম এই পোস্টের লাইগা। কি নাম দিবেন ঠিক কইরা লন নিজে।
-----------------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

সন্ন্যাসীধারার সংসারী

আপত্তিমূলক কথার তীব্র পেতিবাদ! রেগে টং

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আউল এর ছবি

বিপুল চাহিদা থাকার পরও বহুল আলোচিত তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়ে গেলো, কিন্ত বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্রধর্ম বুদ্ধিজিবী সহ তাদের দলের ৯৯% লোক না চাওযার পরও তা বহাল
থাকলো - সুতরাং এরশাদ একাই একশ !

বিগত তত্বাবধক সরকার পাষ্ট গভার্নমেন্ট হিসাবে বি.এন.পিকে যেভাবে ধোলাই করেছে - তা দেখে তারা সংকিত যে ক্ষমতা ছাড়ার পর তাদের ৯০% নেতা, ১০০% মন্ত্রী জেলে যাওযার সম্ভবনা আছে, আর সে অবস্থায় নির্বাচন করলে বি.এন.পি তো ৩৩টি আসন পেয়েছিলো কিন্ত তারা ??টি আসনও না পাওযার আশংকা করে তা বাতিল করে যদিও

ক) দেশের ১১ জন এমিকাস কিউরির ১০ জন তত্বাবধক সরকারের পক্ষে মত দেন
খ) দেশের সকল পত্রিকার সম্পাদক গন তত্বাবধক সরকারের পক্ষে মত দিলেও এরশাদের মত ছিলো উল্টো
গ) কোর্টের রায়ে বলা হয় - তত্বাবধক সরকার আগামী দুই টার্মের জন্য রাখা যাবে এবং বিচারপতিদেরকে বাদ দিতে হবে, সুতরাং খালেদা জিয়া বিচার পতিদের বয়স বাড়ালেও এই ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়তো না - কিন্ত এরশাদের মত ছিলো উল্টো
ঘ) মহাজোটের সরিকদল জাসদ, ওয়ারকার্স পার্টি তত্বাবধক সরকারের পক্ষে মত দিলেও এরশাদের মত ছিলো উল্টো
ঙ) দেশের সকল বুদ্ধিজিবীরা তত্বাবধক সরকারের পক্ষে মত দিলেও এরশাদের মত ছিলো উল্টো
চ) এদের সবাই এবং মহাজোটের সবাই চেয়ে ছিলো রাষ্ট্রধর্ম বাদ দিতে কিন্ত এরশাদ একাই চেয়েছিলো রাষ্ট ধর্ম বহাল রাখতে - যার ফলে এরশাদ যেভাবে চেয়েছে সে ভাবেই হয়েছে

আউল এর ছবি

প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর লাশ যখন ধানমন্ডির বাড়িতে পড়েছিল তখন তো হেলিকপ্টার নিয়ে আসেননি জানাজা পড়তে। এখানে উপস্থিত কেউ কেউ তো জিয়ার ডাকে খাল কাটা বিপ্লবেও নেমেছিলেন। আমার লাশ পড়ে থাকলেও কার কী ক্ষমতা দেখানোর তা আমার জানা আছে।স্পষ্টভাষী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন এ কথা বলছিলেন তখন সবাই ছিলেন চুপচাপ। এর মাধ্যমর তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, তাদের নেতাদের কাছে তাদের লাশের চেয়ে জিয়ার কর্মসূচি গুরুত্বপুর্ন ছিলো...............

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।