রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে বাইরে দাঁড়াতেই দীপি বলে ওঠে,
“যাই”।
টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল তখন। মোটেই রোমান্টিক ঝুমঝুম বর্ষা নয়; রীতিমত বিরক্তিকর। উত্তরে শুধু মাথা নাড়িয়েছিল ও। দীপি কিছুটা হেঁটে রিকশা নেয়। হুডটা টেনে দেওয়ার ঠিক আগে চারচোখের মিলন হয়েছিল। রেহান ভাবে হয়ত ওটাই শেষ দেখা ছিল; হয়তবা নয়। ঐ দিন রাতেই রেহান উড়াল দিয়েছিল বিদেশ।
.........
একা একা অনেকক্ষণ ধরেই ডেস্কটপের সামনে বসে দীপি। ঘরের সব বাতি নিভানো। মনিটরের পর্দা থেকে যে আলো আসছে তাতে অবশ্য বেশ ভালোই দেখা যায়। দিশানটা আজকে বোনের কাছেই ঘুমাচ্ছে। রেহান দেশে থাকার সময় ওর ছোটভাইটা ওকে অনেক জ্বালিয়েছে। ও যখন রাত জেগে রেহানের সাথে কথা বলত তখনই ঘুম থেকে উঠে দিশানের যত আবদার। সকাল হলেই আব্বু-আম্মুর ভয় দেখিয়ে আবদার পূরণ। দিশান অবশ্য ইদানীং খুব বিরক্ত। আপুটা আর তো রাতে কথাই বলে না।
রেহানের উপর মাঝে মাঝে খুব রাগ হয় দীপির। বেটা ভালোবাসছ, বলছ না কেন? আমি কি এখন তোরে হাঁটু গাইড়া প্রপোজ করুম! আর এখন তো না জানি কত স্বর্ণকেশীর ভীড়ে বেটার কালা চুলই আর দেখা যাবে না…
দীপি ওর খুব প্রিয় একটা গান আস্তে করে ছেড়ে দেয়। কি মনে করেই যেন কী-বোর্ডটা টেনে নেয় ও।
.........
এক বন্ধুর সাথে অনেকক্ষণ ধরেই গ্যাজায় রেহান। ওর এই বন্ধুটারে প্রায়ই জ্বালায় ও। ঐ বন্ধুটাই জিজ্ঞেস করে রেহানকে দীপির কথা। বলার মত কিছুই ছিল না রেহানের।
“আছে আর কী…”
“কেন? তুই খোঁজ নেস না?”
“খোঁজ নিয়া কী করুম? সে তো সবই বুঝে কিন্তু কিছু বলে না”।
এর পরে আর ঠিক কথা আগায় না।
রেহান এক বন্ধুর দেয়া লিঙ্ক থেকে আর্জেন্টিনা আর পেরুর খেলার বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলো দেখে। ম্যারাডোনার ডাইভ দেওয়াটা দেখে বারবার। হঠাৎই খেয়াল করে জিমেইলের ইনবক্সে মেইল আসছে একটা। এটাচমেন্টে একটা গান।
.........
কিছুক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে দীপি। শুয়ে পড়তে হবে। কাল ক্লাস সারাদিন। একেবারেই ফালতু একটা রুটিন এবার। দুইদিনে ক্লাস শেষ; সকাল-সন্ধ্যা। ঐ দু’দিন আর জানে পানি থাকে না। কম্পিউটার বন্ধ করতে যেয়েই চোখ যায় হটমেইলের ইনবক্সে।
.........
রেহান পড়ে আর হাসে। অনেক দিন আগের পাঠানো ই-মেইল। পিছনে চুড়ির টুংটাং শব্দ পায় ও।
“ঐ, কী কর তুমি?”
“আরে, আমার এক প্রেমিকারে অনেক আগে পাঠানো একটা মেইল পড়তেছি।”
“শয়তান। কই কই, দেখি?”
ও পড়ে।
“তুই আর কতদিন অভিমান করে থাকবি?
হাতটা বাড়ানোই আছে … শুধু তোর অপেক্ষা”
হেসে ওঠে ওরা দু’জনেই।
দীপি রেহানের হাত ধরেছিল, ধরে আছে। হয়ত থাকবে সারাটা জীবন।
মন্তব্য
সুন্দর তো!
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেশনুভা মহাসয় আপনার গল্পের রৌশনাই তো বেশ ভালই। চালিয়ে যান।
এস হোসাইন
---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
চালাইতে যেন পারি সেই দোয়া করেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেশনুভা ভাই ভালো লাগল। ডিজিটাল যুগের গল্প।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দলছুট ভাই।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
গল্প মজা লাগছে। আপনের নামটা বদলানো যায়না? নাম দেইখ্যা আরেকটু হইলে টাঙ্কি মারতে নিছিলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হিহি, মুর্শেদ ভাইয়ের মন্তব্যে বুইড়াঙ্গুল !!!
@ রেশনুভা ভাইঃ গল্প ভালো লাগলো। অফটপিক প্রশ্নটা হচ্ছে, আপনার নামের অর্থটা কী ??
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ভালো লাগলো
নামের অর্থ হইলঃ নতুনের রেশ। আমার বানানো।
এই নামে আমার খুব আদরের একটা মানুষ আছে। হেরে ভালু পাই তার লাইগ্যাই এই নাম; আবার একটা ভাবও আসে...ছদ্মনাম বইলা।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কিছু মনে করবেন না ভাই,আপনি এই বয়সেও টাঙ্কি মারতে চান? আমার তো মনে হয় এই গুলা কলেজের ছেলেদের কাজ। নাকি আমি বুড়িয়ে যাচ্ছি?
হে হে হে। এট্টু লুলপুরুষ হইতে মঞ্চায়।
জোকস এপার্ট, একটু আধটু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখার মত যুবক আছি এখনও। তবে বৌয়ের চড় থাপড় খেয়ে আবার সোজা হয়ে যাই। আপনি তো মনে হয় আমাকে বুড়োই বানিয়ে দিলেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- মিয়া, এই পুলাপান বয়সে কে যে তোমারে বুদ্ধি দিছিলো বিবাহ করার! আমারে আর হিমুরে দেখো। এখনো বয়স সাড়ে বাইশের কোঠায় আটকায়া আছে। এলোকেশী, স্বর্ণকেশী- সব কেশী নিয়া এখনো কলেজ লাইফের পুলাপানের মতোই কাড়াকাড়ি লাগে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো ভাই ঠিক বলছে। টাংকি মারার চেয়ে ভালু কাজ জগতে নাই।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
তোমরা এইখানে বুইড়া বুইড়া কইয়া কাইজ্জা করলে আমি যাই কই!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
খোমাটা দেখলেন না? ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
গল্পটা আরেকটু বড় হলে মন্দ হতোনা। মনে হচ্ছে কিছু বুঝে উঠার আগেই সব শেষ। চমকটাও খুব গতানুগতিক। লেখনীতে সাহিত্যের রস আস্বাদন করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছি।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই, বড় করে লিখতে চাই; পারি না, হয় না। আর সাহিত্যের রস ভাই আমার লেখায় পাইবেন না। শুধুই ব্যর্থ হবেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাইয়া, আপনি তো একেবারে আজকে না হয় ভালোবাস জেনেরেশনের হতে পারছেন না!
তবে শেষে ২ জনের মিল হলো দেখে ভাল লেগেছে। ওই গানটার প্রভাব নাকি?
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
তুমি কি আজকে না হয় ভালোবাস জেনারেশন নাকি??
তুমি না?
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
চেষ্টা করতেছি ...
আর লেখায় অনেক কিছুর প্রভাব আছে ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
শুরুটা চমৎকার।
এটুকু পড়ার পরই শেষটুকু দুম করে বোঝা হয়ে গেল যে এ দীপিই cw। দ্রুত শেষ না করে আরেকটু বড় করা যেত নিঃসন্দেহে।
গল্প যে কতবার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত ঘুরে এসেছে। গল্প ভালো হৈছে বস!
.....................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হাহাহা...আসলেই। আরো গুছায় লেখা শিখতে হবে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
প্রেমিকা "শয়তান" বলে ডাকলে এতো ভাল লাগে কেন?
প্রবাসিনী আপু লিখেছেন
রেশনুভাই জব্বর হইছে।আশা করি এখন থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার মিলন ঘটাতেই থাকবেন।:P
ধন্যবাদ।
ভন্ড_মানব
আমি আপু হইলাম কবে থেকে? বুড়ি হইয়ে গেলাম
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
হুম।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
@ সাকিব, মধুবন্তীঃ পড়ার জন্য থ্যাংকু। চেষ্টা থাকবে আরো ভালো কিছু করার কিন্তু ......
@ ভন্ড, রায়হানঃ পরীক্ষা শেষ না কী? ভালো থাকো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
হারাধনের ছয়টি ছেলে ........(কী কী জানি)............. বাকি রইলো দুই আপনার পুরান ব্লগগুলোয় মন্তব্য দিসি, দেইখেন।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
গপ্পো ভালৈছে। তবে আরও বাড়তে পারত।
মামুন ভাই ...
আমার ব্লগে এই পরথম আপনার পায়ের ধূলা-বালি পাইলাম। ভাল্লাগতেছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
এইটুক লিখলে খেলুম না! ভাল্লাগসে!
----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
খেলাধূলা বাদ দেন। শিক্ষানবীসী কি শ্যাষ? একটু লেখাধূলা করেন বরং।
থ্যাংকু
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
নাহগো ভাইজান, আরও দু'মাস!
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গল্প ভাল্লাগলো,
"হেসে ওঠে ওরা দু’জনেই।"- ভাবছি এখানেই যদি গল্পটি শেষ হয়ে যেত, তবে বেশ হতো
সত্যি কথা আমিও একবার চিন্তা করছিলাম লেখার সময়। আরো জোস হইতো তাইলে ...
ধন্যবাদ। আর জন্মদিনের খাওয়া পাওনা থাকল।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
এখনও জোস-ই আসে। শুধু একটু ছোট পরিসরে একাধিকবার অতীত বর্তমান ঘুরে এলো -এই যা। তাছাড়া গল্প ভালো লেগেছে।
খিয়াল কৈরা উত্তর দিতাছি
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভালো লাগলো, মধ্যরাতে মনের মইধ্যে টিনটিনাকটিনটিন করানোর লাইগা আপনেরে মাইনাস
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বুঝি রে ভাই। আমার তো সারাদিনই ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বেশ একটা "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ" ভাব আছে প্রায় প্রতিটি লেখায়..ভালই!
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার বেশ কয়েকটা মন্তব্য দেখলাম। আপনি তো মহা মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন দেখা যায় আমার এই সব আবজাবের পিছনে। (মনে মনে বলি, আরো সময় নষ্ট করেন ... )
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কি করি সচল হবার জন্য মন্তব্য যে দিতেই হয়,,,(জোকাইলাম..
নাহ..আসলেই বেশ ভালো..
অতঃপর তাহা্রা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো।
ভালু, ভালু, জুশ, জুশ। আরেকটু লাম্ফা হইলে আরো "যূষ" হইতো।
----------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
স্যারের রোমান্টিসিজম তো কোন মেশিনেই মাপন যাইবো না... গপ্পো সুন্দর হইসে!
ছাত্রের স্টুডেন্ট নাম্বার কত?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
B053217
এইডা কী? ইরাম বিদঘুটে নাম্বার এর কুনু স্টুডেন্ট নাই আমার। তবে এটুকু বুঝা যায় আপনি ২০০৫ ব্যাচ।
২০০৫ ব্যাচে আমার আবার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। আপনেও লাইনে খাড়ান।
নতুন মন্তব্য করুন