কৌতুক রিমিক্স

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: শনি, ১৭/১০/২০০৯ - ৭:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১ম বন্ধুঃ “হ্যালো, বস।”
২য় বন্ধুঃ (উচ্চৈঃস্বরে) “আরে…ইমমমমতু…।”
১ম বন্ধুঃ “ঐ মিয়া, আমার নাম বিকৃত করেন কেন?”
২য় বন্ধুঃ ( হাসি ) “এইটা না তোমার আদরের নাম!”
১ম বন্ধুঃ “এইসব বাদ দেন। আসল কথা কন মিয়া?”
২য় বন্ধুঃ “কী?”
১ম বন্ধুঃ “পাত্রী দেখতে গেছিলেন না কী?”
২য় বন্ধুঃ “অ্যা, ঘরের কথা পরে জানল ক্যামনে?”
১ম বন্ধুঃ (শয়তানী হাসি) “সত্য চাপা থাকে না বস। সত্যের জয় হবেই।”
২য় বন্ধুঃ “হমমম, বুঝলাম।”
১ম বন্ধুঃ “মাইয়া কেমন দেখলেন তাই কন।”
২য় বন্ধুঃ “দেখলাম আর কী…”
১ম বন্ধুঃ “কী মিয়া? বেশী সুন্দরী? যেমনে এড়ায় যাইতেছেন। আমগো তো ভাবীই, না কী?”
২য় বন্ধুঃ “হ, তা তো অবশ্যই।”
১ম বন্ধুঃ “আপনি যেমন চান, সেই রকমই তো? নদীর মতন; চপলা, আঁকাবাঁকা।”
২য় বন্ধুঃ “হ। নদীই কিন্তু …”
১ম বন্ধুঃ “কী বস?”
২য় বন্ধুঃ “বাংলাদেশের নদী। চর পইড়া বাঁক নষ্ট হয়া গেছে।”

ছেলেঃ “হাই, কেমন আছো?”
মেয়েঃ “এইত্তো। আপনি কেমন?”
ছেলেঃ “আছি রে ভাই।”
মেয়েঃ “পড়াশোনা?”
ছেলেঃ “ঐডাতো করাই লাগে। নাইলে তো প্রফেসর ঘাড় ধাক্কা দিব আর আমার সুখের ঘরে দুখের আগুন লাগবো।”
মেয়েঃ “আছেন আরামেই। দেশে থাকা লাগে না। জ্যাম নাই, গরম নাই, ধূলা নাই। কী মজা!”
ছেলেঃ “তোমার খবর কী?”
মেয়েঃ “কোন খবর নাই রে ভাই। কিন্তু চুল সব পড়ে যাচ্ছে।”
ছেলেঃ “মানে কী?”
মেয়েঃ “টাইফয়েড হইছিল না। তারপর এই অবস্থা।”
ছেলেঃ “ডাক্তার দেখাও মিয়া।”
মেয়েঃ “দেখাবো। আর বইলেন না, চুল নিয়া চিন্তায় শেষ।”
ছেলেঃ “আরে টেনশন নিও না। একটা জোক বলি; শোন।”
মেয়েঃ “বলেন।”
ছেলেঃ “সেইদিন আমি আমার এক বন্ধু রে জিগাইলাম, ক তো বেটা, মোরগের হাত নাই কেন?”
মেয়েঃ (বিরক্ত) “থামেন থামেন। আপনি পারেন ও। এই পচা জোক এখনও শুনান।”
ছেলেঃ “আরে জোক তো শেষ হয় নাই।”
মেয়েঃ “আর কী আছে তাইলে?”
ছেলেঃ “জোক শুইনা আমার বন্ধু কয় তুই আর যাই করিস কোন মেয়েরা এই জোক শুনাইস না। মাইয়া ভাইগা যাইব। আমি কইলাম কেন, ভাগবো কেন? আমার তো হাত আছে।”


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখার ট্যাগ এমনভাবে দেয়া উচিত যাতে লেখাটি বিদ্যমান কোন ক্যাটেগরিতে পড়ে। ট্যাগের উদ্দেশ্যই তো এমন, তাই না? জ্ঞানের কথা নাই এরকম অনেক পোস্ট আছে, কিন্ত "জ্ঞানের কথা নাই" ট্যাগে ক্লিক করলে শুধু আপনার লেখাটিই আসে। তার মানে হলো সচলায়তনের ৭৫৪৩টি ট্যাগের মধ্যে আপনার লেখাটি স্বতন্ত্র (একক)। কেউ এই ট্যাপ দিয়ে সার্চ করবে তার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। তেমনি ভাবে "হালকা খাইষ্টা" ট্যাগটিও একক।

আমি নিশ্চিত নই, তবে "হালকা" এবং "খাইষ্টা" যদি আলাদা আলাদা ট্যাগ করতেন সেটা বেশী ফলপ্রদ হতো।

রায়হান আবীর এর ছবি

পিপিদা, একক ট্যাগ হলে সমস্যা তো কিছু দেখি না। আর বিদ্যমান ক্যাটাগরি তো একটা আছেই? লীলেন্দার পোস্ট দেখেন না মাঝে মাঝে হাজার হাজার ট্যাগ থাকে। "নাই" এইরকম ট্যাগও দেঁতো হাসি

আমি সার্চ অপশনের সুবিধার চেয়েও ট্যাগ দেখে বোঝার চেষ্টা করি, ভেতরের লেখাটা কী নিয়ে। যেমন এইখানের ট্যাগ দেখে বুঝলাম এইটা পোস্ট আমার জন্য দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ও সেটাও তো একটা কথা বটে।

কিন্তু চিন্তা করো, সচলে যদি ট্যাগ ক্লাউড বসায়, তাহলে তো এই পোস্টের ট্যাগ কোনদিনও সেখানে আসবেনা মন খারাপ

রায়হান আবীর এর ছবি

আসবে, কিন্তু দেখা যাবে না দেঁতো হাসি ব্লগোবীক্ষণ যন্ত্র লাগবে।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রেশনুভা এর ছবি

আমার মতে "কাস্টোমাইজড ট্যাগের" অর্থ হলো, লেখক যদি চান তাহলে তাঁর লেখা নিয়ে পাঠকদের আগাম ইঙ্গিত দিতে পারেন। অবশ্যই সেক্ষেত্রে "ট্যাগ নির্ভর খোঁজা" একটু দুঃসাধ্য। তবে কাছাকাছি ট্যাগগুলোকে যদি সমগোত্রীয় শ্রেণীতে ফেলা যায় তাহলে ভালো হয়। দরকার একটা Ontology বা Taxonomy টাইপ কিছু।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুমম। দ্রুপালের ট্যাক্সোনমি দিয়েই ট্যাগিং অপশনটা বানানো বলে আমার ধারণা। তবে ডেভলাপাররা ট্যাগ অপশনটা অটোকমপ্লিট করে দিতে পারেন। ফলে বিদ্যমান ট্যাগগুলোর পুন:ব্যবহার হওয়ার হার বাড়বে।

আমি ট্যাগ দিয়ে লেখাকে ক্লাসিফাই করা বুঝি। আর ক্লাসিফিকেশনের অর্থই হলো সসীম গোত্রে বিভক্তিকরণ, অসীম গোত্রে নয় দেঁতো হাসি

রেশনুভা এর ছবি

সেটাই পিপিদা; অটোকমপ্লিট করে দিলেই ভালো মনে হয়। আর না হলে যেটা হবে আমি ট্যাগ দিব "জীবনের কাছাকাছি" আর অন্য কেউ ট্যাগ দিবে "কাল্পনিক নয়"...দেঁতো হাসি
কথাতো একই ...

কুবের [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগে নাই মন খারাপ

রেশনুভা এর ছবি

বিরক্তিকর ট্যাগটা দিতে ভুইলা গেছিলাম। খাইছে

সাফি এর ছবি

২য় কৌতুকের মাঝে যে কৌতুক সেটা মন্দ লাগেনি

রায়হান আবীর এর ছবি

প্রথমটা মঝা পাইছি, দ্বিতীয়টা বুঝি নাই মন খারাপ


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রেশনুভা এর ছবি

তাইলে তোমারেই জিগাই ... বলো, "মোরগের হাত ...?" চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

রেশনুভা ভাই ফাটাফাটি হইছে। দারুণ------
এর জন্যই সচলায়তনে ঢুকেই আপনার লেখা তালাস করি। ভালো আছেন নিশ্চয়ই। নূতন মজার লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।
দলছুট।

রেশনুভা এর ছবি

আপনার এই কৌতুকটা কিন্তু উপভোগ করলাম। দেঁতো হাসি
ভালো থাকেন বস।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হো হো হো

অতিথি লেখক এর ছবি

কৌতুক লইয়া কথা কওয়া অহেতুক।
এস হোসাইন

---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার আবার দুই নম্বরই ভালা লাগসে !!!

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

রেশনুভা এর ছবি

তুমি খ্রাপ হয়া গেছ ... খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

এমনিতেই আপনার লেখার আমি বিশাল ভক্ত...তার উপর আপনার 'প্রাপ্তবয়স্ক-খাইস্টা' রুপের পরিচয় পেতে দ্বিগুণ উৎসাহে কৌতুক পড়া শুরু করলাম...আমিও আবার হাল্কা পাতলা খাইস্টা পোলা কিনা চোখ টিপি

প্রথমটা ভালো লেগেছে...যদিও চর পড়া নদীতে আমার আগ্রহ কম দেঁতো হাসি
আর দ্বিতীয়টা ভাই পুরা এন্টেনার উপরে দিয়া গেছে। বুঝতে পারি নাই বলেই হয়তো মনে হচ্ছে লেখাটা আসলে ততোটা খাইস্টা না যতটা আশা করেছিলাম।মোরগের জোকস্‌টা কি আমারে অন্তত তড়িৎবার্তায় পৌছে দেয়া যায়?...পিলিজ খাইছে

/
ভন্ড_মানব

রেশনুভা এর ছবি

যূথচারী ভাই উপায় বাতলায় দিছে। নিজের হাতকে কাজে লাগাও। খাইছে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসতেইআছি!
...........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

রেশনুভা এর ছবি
যূথচারী এর ছবি

যারা ২য় টা বুঝেন নাই, তারা মোরগের হাত লেইখ্যা গুগলরে জিগান, ওই সহজ উত্তর দিবো! হাত থাকতে হাত-টা একটু কাজে লাগান।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

রেশনুভা এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।