ঐ বয়সে মনে মনে সাধ ছিল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। যদিও ভালো করে বুঝতামই না কাজটা কি। ক্যাডেট কলেজে পড়লাম ৬ বছর। ঐ সময়টার মাঝপথে এসে লক্ষ্য পরিবর্তন হল। চোখে স্বপ্ন সেনাবাহিনীতে যাব, দেশের সেবা করব। এসএসসি পরীক্ষার পর আবার লক্ষ্যচ্যুত হলাম।
আমাদের সময়ে কম্পিউটার প্রকৌশলী/বিজ্ঞানী হওয়ার ধুম লেগে গিয়েছিল। তখন থেকেই আমার চিন্তা ভাবনা খুব সাধারণ মানের। আমিও গা ভাসিয়ে দিলাম গড্ডলিকা প্রবাহে। এইচএসসির ফল বের হল। ভালো। ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হলাম। তড়িৎ প্রকৌশলে সুযোগ পেয়েছিলাম বুয়েটে। কিন্তু পড়িনি। কারণ একটা অবশ্যই আমাদের দেশের অস্থির রাজনীতি। আমার বের হতে হতে হয়ত ৪ এর জায়গায় ৬ বছর লেগে যাবে। আর আমার বাবা অবসরকালীন ছুটিতে যাবেন আর ৪ বছর পরেই। আর একটা কারণ জীবনের তৎকালীন লক্ষ্য পূরণ। সুতরাং, স্থান হল আইইউটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে।
তখন থেকে ৯ বছর পরে আজ পিএইচডি করছি। মানেটা হল আমি আমার জীবনের লক্ষ্যে হয়ত আর কিছুদিন বা কিছুবছর পরেই পৌঁছে যাব। কিন্তু আজই হঠাৎ করে চিন্তাটা একেবারে মাথায় চেপে বসল। আমি কী সত্যি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি? পেশাগতভাবে হয়ত পৌঁছে যাব কোন একদিন। কিন্তু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে মনে হয় পারিনি। কেন, আর কী চাই আমার? আমি জানিনা।
এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। ও বলল, এত চিন্তা করার দরকার নাই। যখনকারটা তখন দেখা যাবে। হয়ত ঠিকই বলেছে। কিন্তু এই অ্যাডহক বা Greedy এলগরিদমে কী আমরা আমাদের ভালোলাগার কাজগুলো বা মানুষগুলো থেকে দূরে সরে যাইনা আরো? আর এটাতো জানা কথাই যে Greedy এলগরিদম কোনসময়ই সবচেয়ে ঠিক ফলাফল প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না। কোন কোন সময় ফলাফল একেবারে খারাপটাও হতে পারে। নিজেকে খুঁজে পেতে পারি চার দেয়ালের মধ্যে; কোন এক কোণায়, ল্যাপটপের সামনে। নির্জলা একাকীত্বের মাঝে।
তাহলে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে? Backtracking এলগরিদমে? এই এলগরিদম অনুযায়ী জীবনটা ডালপালা পাতাসহ একটা গাছের মতন। এক শাখা ধরে যেতেই থাকবেন। হোঁচট খেলেই আবার আগের জায়গায় ফিরে এসে অন্যভাবে শুরু করবেন। কোন এক সময় পেয়ে যাবেন আপনাকে অতি কাঙ্ক্ষিত সেই জায়গায়। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি বোধ শক্তিহীন প্রোগ্রামগুলোকে; আমাদের কেউ দেয়নি।
এই জীবনটা কী তাহলে কোন একদিন নিজের মতন করে সব পাবো সেই আশাতেই কাটিয়ে দেব? কোন কোন সময় কী আশাগুলোও আমাদের ত্যাগ করে হতাশায় রূপ নেয় না?
স্বপ্নই তো বাঁচিয়ে রাখে আমাদের। সেই দিনটির স্বপ্ন।
মন্তব্য
আমি অনেক কিছুই হতে চেয়েছিলাম, হতে পারিনি। এখনো অনেক কিছু হতে চাই; হতে পারবোনা, তাও জানি।
- বস, এতোদূর এসে এখন আর কোনো এ্যালগোরিদমই কাজ করবে না, এইটা গ্যারান্টেড। তবে 'গো-টু' মারতে পারেন, কিন্তু এতেও মনে হয় না ফল পাবেন।
আমার মনের মধ্যেও এক সময় মেরিন এঞ্জিনিয়ার হওয়ার খায়েশ জাগছিলো। কিন্তু সমুদ্র বা অনেক পয়সা এই খায়েশ থেকে নয়। উদ্দেশ্যটা একটু খাইষ্টা ছিলো। শুনেছিলাম, মেরিন এঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন দেশে জাহাজ থামিয়ে ইচ্ছেমতো ফষ্টিনষ্টি করতে পারে। আহারে আমার হাজার রকমের বালিকার লগে জাহাজের ডেকে বইসা সূর্যাস্ত দেখা হইলো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার খাইষ্টা উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমিও ওয়াকিবহাল ছিলাম। কিন্তু আর হইল কই?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমার ভাই খায়েশ একটাই,অনেকগুলা টাকা-পয়সা হলে যাযাবর হব...তবে একখান সঙ্গী(অবশ্যই বউ নহে) হলে ভাল হবে! দোয়া করবেন একটু দয়া করে।
অবশ্যি অবশ্যি ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
এইসব নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিসি অনেক আগে ... একটাই জীবন, দেখি না কোনদিকে যায় ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ভাবা আমিও বন্ধ করে দিছি কিন্তু মাঝেমাঝে একেবারে পেয়ে বসে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
চে গুয়েভারাকে নিয়ে একটা সিনেমা ছিল, দ্য মোটরসাইকেল ডায়ারিস, ওখানে এ নিয়ে দারুণ একটা মন্তব্য ছিল এ বিষয়ে। অনেকটা এরকম: Let life shape you, and it will let you shape lives.
সিনেমাটা দেখি নাই। জানানোর জন্য ধন্যবাদ সিরাত। আমিও এরকম কিছু বিশ্বাস করেই থাকতে চাই। সবসময় যে পেরে উঠি না তা তো দেখতেই পাচ্ছেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
এই চিন্তাগুলি বোধ হয় আমাদের অনেককেই মাঝেমাঝেই নাড়া দিয়ে যায়। অনেকটাই সাবকনশাস ভাবে বাবা-মার পেশাকেই বেছে নিয়ে পড়াশুনা করলাম। পড়াশুনার শেষে হঠাৎবেশ বিদ্রোহী হয়ে নিজের বিষয় ছেড়ে কর্পোরেট ভুবনে ঢুকে গেলাম। এমনটা কখনোই ভাবিনি। এখন ভাবছি সব ছেড়েছুড়ে শুধু গান নিয়ে থাকবো!
থেকে থেকেই মনটা বৈরাগী হওয়ার জন্য ছটফট করে, কিন্তু বাস্তবতা বারবার জিতে যায়।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ঠিক কথা। আমরা বারবারই শুধু হেরে যাই আমাদেরই খাইখাই সত্ত্বার কাছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
জীবনের লক্ষ্য হলো বেঁচে থাকা।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
রেজওয়ান ভাই, ছোট মুখে হয়তো কথাগুলো বড় শোনাবে।তারপরও কেন জানি মনে হয় কথাগুলা আপনার সাথে শেয়ার করাই যায়।জানেনই তো আমার 'body language' যেন কেমন কেমন...আপনার অনেক ব্যাপারেই আমি অনুমতির অপেক্ষা করি না।
মানুষের জীবনের লক্ষ্যের কিন্তু শেষ নাই। There's no saturation point in human life-আমার অভিমত।একজন রিক্সাওয়ালা যদি রিকশা চালায়াও নিজের জীবন নিয়ে(যেভাবে চলছে) নিজে সুখী থাকে তবে সেই কিন্তু দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ।অন্যকেউ আঙ্গুল তুলে যতই বলুক 'ও তো একটা রিক্সাওয়ালা,ওর আর কি জীবন',তাতে কিন্তু রিক্সাওয়ালার কিছু যায় আসে না...কারন সে নিজে তো বিশ্বাস করে যে সে এই রিক্সাওয়ালার জীবনেই অনেক সুখী আছে।মানুষ যার যার অবস্থানে যদি জীবনটা enjoy করে তাহলে আর কি লাগে?
যে কোন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়ার কাজটা যথেষ্ঠ আনন্দ নিয়ে করলেই দেখবেন জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।
মানুষের জীবন অল্প কিছুদিনের।এর মাঝে কেন এত হতাশা থাকবে? আমরা ভবিষ্যত জানিনা, লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো কিনা জানিনা, অনেকসময় লক্ষ্যই কি জানিনা...তাহলে কেন সেটা ধাওয়া করতে গিয়ে এত কিছুর ত্যাগ স্বীকার করবো? আবার যদি এটা জেনেই থাকি যে লক্ষ্যে পৌছাতে আমার ত্যাগ স্বীকার করতে হবে তাহলে হতাশা কেন আমাকে আকঁড়ে ধরে রাখবে সারাক্ষন?
আশা, স্বপ্ন এগুলোকে প্রশ্রয় দেবেন না।এগুলো সবসময় বাড়তেই থাকে আবার আশা বা স্বপ্ন পূরণ হলেই যে এরা থেমে যায় তা না।এগুলো তখন পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ করতে থাকে।বাড়তে থাকে হতাশা।
আরে মিয়া বহুত সুখে আছেন।অনেকেই তা মনে করতাসে।এবার নিজেও একটু মনে করেন।এতকিছু নিয়া চিন্তা কইরেন না(যদিও আমি নিজেই ইদানিং চাকরী আর বিয়াশাদি নিয়া ম্যালা চিন্তায় আছি )। ভালো থাকেন। মন বেশি খারাপ হইলে দেশে এসে প্রিয় মুখগুলা এক্তু দেখে যান।ছুটি-মুটি,লেখাপড়া,টাকাপয়সা ইত্যাদি নিয়া আবার বিস্তর হিসাব-নিকাশে বয়া পইরেন না।কি আছে জীবনে?
/
ভণ্ড_মানব(ক্ষমাপ্রার্থী)
বি.দ্র. আপনার ফেসবুক একাউন্টের কি হইছে?
যা যা লিখছ আমি পুরোপুরি সহমত। কিন্তু কিন্তু মাঝেমাঝে আর পারি না; আর পারতে ইচ্ছা হয় না। ভালো থাকো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ইচ্ছা ছিলো ডাক্তার হওয়া, কিংবা আরো অন্য কিছু, কিন্তু বিবিএ গ্র্যাজুয়েট কখনই না! চাওয়া আর পাওয়ার মাঝখানের ধূসর দাগটা অতিক্রম করে উঠতে পারিনাই কখনও! কখনও পারবো বলেও মনে হয়না আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হাহাহা...। আমার এইচএসসির পরে কোচিং লাইফে খুব শখ ছিল আইবিএ তে পড়ার। বাবার অমতে কোচিং ও শুরু করেছিলাম। খারাপ হচ্ছিল না একেবারেই। কিন্তু ক্যাম্নে ক্যাম্নে জানি কি হয়া গেল?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভণ্ড_মানবের মন্তব্যে উত্তম জাঝা।
ধোঁয়াশা আচ্ছন্ন জটিল চিন্তা ছাড়া আর কিছুই দেয়না এই ভাবনাগুলো।
কি হবে, কি করবো কিছুই তো জানিনা।
চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থেকে যায় সীমাবদ্ধতার জটিলতা।
শুধু পথ চলাটাই চরম সত্য, আর কিছুই নয়........
-----------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আপনার ট্যাগলাইনটা কিন্তু সেইরকম। খুব পছন্দ হইছে আমার।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাইজান কিছু মনে কইরেন না; একটা কথা কই- আপনার লেখা পইড়া এইডারে আমার সুখী মানুষের দুঃখ বিলাস ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নাই।
মহসীন রেজা
কেউ যদি এই লেখা আমারে দেখাইতো আমি যেই ব্যাটা লিখছে ঐ ব্যাটার গুষ্টি উদ্ধার করতাম একই কথা বইলা।
কিন্তু ভাই ঐ মাঝের নয় বছরে শিক্ষাজীবন বাদে অন্য ক্ষেত্রে যে একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেলাম তার খবর কে রাখে বলেন?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
হিমু ভাইয়ের এই লেখাটা পড়েন...
অন্তঃত আমার উত্তরটা এইখানে আছে।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
পড়ছি সুহান। এখন চিন্তাটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমার মতে মানুষের জীবন কিছুটা multi-dimensional knapsack problem এর মতন... একটা ছোট জীবনে 'সুখ' নামক optimized solution বহু ভাবে আসতে পারে।
- শূন্য
যাই করেন, সেটায় সন্তুষ্ট থাকেন। এভাবেই হয়ত পরিতৃপ্তি আসবে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ছোটবেলায় তো কতকিছুই হতে চেয়েছিলাম, দমকলের লাল গাড়ির ড্রাইভার থেকে ডিটেকটিভ... এখন আমিও চাই যাযাবর হতে।
কারাকোরাম হাইওয়ে ধরে কাশগড় পর্যন্ত চলে যাওয়া যদি কখনো সম্ভব হতো... তারপরে পুরো সিল্ক রুট ধরে মরক্কো...
-------------------------
I touched her thigh
(And death smiled)
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আহ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
স্যার, আমার মতে আপনার প্রশ্নটা অনেক প্রাচীন। হয়তো এ থেকেই ধর্মের ও মাদকাসক্তির জন্ম। মানুষ হবার মূল সমস্যা হল তাকে সাধারণত একটি সমাজে জন্মগ্রহণ করতে হয় এবং তার একটি পরিচয় থাকতে হয়। 'পরিচয়'-এর ধারণাটা সমাজেরই আবিষ্কার। যারা এ ধারণাকে (অথবা এর বহুমাত্রিকতাকে) অস্বীকার করে সমাজ তাদের নাম দেয় 'অসামাজিক'। বয়স বাড়ার সাথে সাথে একজন 'সামাজিক' মানুষের পরিচয়ের (এখানে 'পরিচয়' বলতে শুধুমাত্র কোন বিশেষ কাজে দক্ষতা বোঝানো হচ্ছে না) বহুমাত্রিকতা বাড়তে থাকে। সমাজে থাকতে হলে এ ছাড়া উপায় নেই। ঝামেলাটা হয় তখনই যখন একজন মানুষ তার পরিচয়ের বহুমাত্রিকতা ভুলে গিয়ে যেকোন একটি পরিচয়কে অগ্রাধিকার (priority) দেয় এবং পরিস্থিতি বিশেষে তা বদলের কথা ভুলে যায়। পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর হয় যখন মানুষ অগ্রাধিকার বদলের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারলেও তা করতে পারে না। সমাজের দেয়া পরিচয়ের আবরণ তখন তার কাছে হয়ে ওঠে কারাগার। আমার মতে সুখী মানুষ সেই যার পরিস্থিতি বিশেষে পরিচয় বেছে নেয়ার সুযোগ (option) কম, কিংবা থাকলেও সে ব্যাপারে সে সচেতন নয়। হঠাৎ যদি সে সচেতন হয়ে পড়ে, তবে সেই হয় সবচাইতে অসুখী।
এতো কঠিন কথা কী করে মানুষ বলে ?
পুলাটারে ত্রানা কথাও কইতে দেয় না দেখি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এ আর নতুন কি?
"আমরা যাহা চাই, তাহা পাই না,
যাহা পাই, তাহা চাই না"
আমি জানিনা, ডাক্তার/প্রকোশলী হওয়া মানুষের জীবনের 'লক্ষ্য' (goal) হয় কিভাবে? এগুলো হতে পারে বড় জোর 'পেশা' (occupation). 'পেশা' কেবল 'লক্ষ্য' অর্জনের একটা মাধ্যম হতে পারে। আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত পেশায় না থাকলেও, জীবনের লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। যেমন, কেউ বলছেন, ইচ্ছা ছিল 'দেশের সেবা করব'। এটাতো পেশা নির্বিশেষ। আপনি যে পেশায় থাকুন না কেন, এটা করতে পারার কথা।
আজকাল এসব ভাবতেও খুব আলসেমি লাগে।
যাচ্ছে যেমন জীবনটা চলে যাকনা।
এতো ভেবে আমার কি হবে ...
ছোটবেলায় পড়তাম যে জীবনে নাকি লক্ষ্য থাকা লাগে একটা ...
সেসব কথা ভাবলে এখন মনে মনেই হাসি।
জীবন স্রোতে ভেসে চলাই এখন আমার লক্ষ্য।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
টেকনিক্যাল শব্দ দিয়ে লেখাটা একটু দুর্বোধ্য করে ফেলছেন আমপাঠকের কাছে।
আর, জীবনে বহু কিছু আছে উপভোগের, ন্যায্য উপভোগের।
জীবনের উপর ব্যাকট্র্যাকিং করবেন ক্যামনে? মনে করেন ইন্টারমিডিয়েটে নেয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত বদলাইতে চান। এখন চাইলেই কি ব্যাকট্র্যাক করা সম্ভব?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব মোর্শেদ, এজন্যই লার্নিং বেসড এলগো লাগবে
সাবধান। ট্রেনিং ডাটা খারাপ হইলে খবর আছে...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
দু:খিত কপি পেস্টের বিকল্প নেই সচেতন থাকবো ভবিষ্যতে
পাইরতেছি না তো বস। এজন্যই মাথা আউলা।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
শুণ্য নিয়ে ঘর করছি পূর্ণ হওয়ার আশায়......
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
রংমিস্তিরি হতে চেয়েছিলাম একসময়...চিরন্তন বাস্তবতা ঠেলে দিয়েছে টাকা -আনা -পাই হিসেবের পৃথিবীতে...এখনো মাঝে মাঝে অমলকান্তির মতো 'রোদ্দুর' হওয়ার সাধ জাগে !! ভালোবাসা রইলো এই লেখার প্রতি...
রংমিস্তিরি হতে চেয়েছিলাম একসময়...চিরন্তন বাস্তবতা ঠেলে দিয়েছে টাকা -আনা -পাই হিসেবের পৃথিবীতে...এখনো মাঝে মাঝে অমলকান্তির মতো 'রোদ্দুর' হওয়ার সাধ জাগে !! ভালোবাসা রইলো এই লেখার প্রতি...
রেশনুভা ভাই। আপনি অনেকের মনের কথা লিখেছেন, পড়ে ভালো লাগল। কিন্তু আমরা যারা বানিজ্যের ছোট মাথার মানুষ, আপনাদের লগারিদম বুঝতে হলে যে আবার স্কুলে ভর্তি হতে হবে। তাই একটু বিজ্ঞান থেকে, গাণিতিক ভাষা থেকে সরে এসে খাঁটি বাংলা ভাষা ব্যবহার করলে ভালো হয় না? আমার সমস্যার কথা আমি বললাম, আপনার যেটা ভালো লাগবে সেটাই করবেন, এটাই স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
আপনারে দেখে ভালো লাগলো। নিতান্তই বগরবগর তো ভাই, তাই আর এলগরিদম এর ব্যাখ্যায় যাই নাই। এর পরে বাংলায় লিখুম যান।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
অনন্য...
দারুণ লাগলো আলোচনা। এরকম কিছু চিন্তা সম্প্রতি আমার মাথায়ও এসেছিল।
... ইচ্ছে ছিল গিটার হাতে যুদ্ধে যাবার ...
নতুন মন্তব্য করুন