বন্ধু তুমি, একটু কথা বোলো

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১১/২০০৯ - ৭:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমার অনেক কথা। হুড়মুড়িয়ে সব বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে। বেশ বুঝতে পারছি, কিছুই বলা হবে না গুছিয়ে। আজ একটু না হয় অগোছালোই থাকলো।

সন্ধ্যার পরের সময়টা খুব অলসভাবেই কেটে যায়। চিন্তা করছিলাম আমরা একা থাকতে পারি না কেন? যদিও জানি একা থাকার সুবিধা অনেক। ঝামেলামুক্ত জীবন। এখানে অবশ্য আমি একা থাকা বলতে কিন্তু একেবারে ‘মৃত পুরুষ’ হয়ে যাওয়ার কথা বলছি না। এই যে ধরেন, ইউনিভার্সিটিতে যতক্ষণ থাকি, একটু পরপরই ব্রাউজারের ঐ অমোচনীয় ট্যাবগুলোয় ঢু দেই। দেখি কার কী অবস্থা। কোন স্ট্যাটাস আপডেট বা নতুন কোন অ্যালবাম দিল কী না বন্ধুরা। মাঝেমাঝে তো কাজকর্ম বাদ দিয়ে গল্পই শুরু করে দেই কোন কোন বন্ধুর সাথে। কী বলতে চাচ্ছেন? আপনি এমনটা করেন না? হতেই পারে। তবে সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আপনি যে একা এটা বোঝার মত যথেষ্ট সময় আপনার থাকে না অথবা আপনার হাত ছোঁয়া দূরত্বেই আছেন একাকীত্ব দূর করে দেওয়ার মত বন্ধুরা।

বাসায় আসলে পরে তো কথাই নেই। গৃহস্থালির টুকটাক কাজকর্ম শেষ করেই ঝাঁপিয়ে পড়ি আবার অন্তর্জালের পাতায়। টুকটুক করে অনেকের সাথে কথা হয়। একটু ঘনিষ্ঠ কারো সাথে হয়তবা অডিও/ভিডিও চ্যাট বা ভিওয়াইপি দিয়ে গুতোগুতি। তবে এগুলো বাদ দিয়ে আজ এইসব চিন্তা কেন মাথায়? আজ আমার দিনটা খারাপ। বন্ধুরা সবাই ফাঁকি দিয়েছে আর কেউ কেউ না বলেই হঠাৎ উধাও। দেখেন না, স্কাইপে কীরকম একা একা আছি। হাসছেন? মানে আপনার কী এরকম হয় না? তবে বলি, আপনি হয়ত জানেন আপনার জন্য বিশেষ কেউ পথ চেয়ে আছে। ঐ অনুভূতি টুকুই আপনার আর আমার মাঝে একটা সরলরেখা টেনে দিয়েছে।

আর যদি দেশে থাকেন তাহলে তো একাকী বোধ করার ঐ বিলাসিতাটুকু করার সময়ই হয়ত আপনার হয়ে ওঠে না। আর তারপরও যদি আপনি নিতান্তই ভাগ্য বিড়ম্বিত হন তাহলে আপনিও নিশ্চয়ই হাঁপিয়ে ওঠেন। অক্সিজেনের জন্য এসে নিঃশ্বাস নেন Web 2.0 এর ধারক বাহক এসব পাতায় অথবা কোন এক চ্যাট ইঞ্জিনে। জেনে শুনে কী কেউ একা থাকতে চায়?

এখন আসেন একাকীত্ব দূর করার উপায় নিয়ে কথা বলি। প্রাণের বন্ধু না হলেও গ্যাঁজানোর বন্ধু যোগাড় করতে হবে। অনেক সহজ; অন্তত এই ডিজিটাল যুগে। ধরে নিলাম আপনার কোন বন্ধু নেই তবে ইন্টারনেট আছে। তাহলে ঐ ইন্টারনেটই কিন্তু আপনাকে বন্ধু এনে দিতে পারে। এখন অবশ্য আমি একটু শ্রেণী বিভাজন করব; নারী আর পুরুষের মধ্যে। তবে মনে রাখুন আমি কিন্তু বর্ণবাদী নই। পৃথকীকরণটার কারণ আমার কিছু চিন্তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। বলছি।

আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন, বন্ধু পাবার জন্য আপনাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। ধরে নিচ্ছি এই ‘বন্ধু’টা হবে বিপরীত লিঙ্গের। প্রথম বুঝতে হবে তিনি কীরকম। একটু প্যাতুপ্যাতু কথা শুনতে ভালোবাসেন না কী সোজাসুজি কথাবার্তা। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল দেখে কিছুটা আন্দাজ পেতে পারেন। যেমন ধরেন যদি লেখা দেখেন এরকম “ami ekta lokkhi pokkhi meye” ধরে নিতে পারেন গদগদ ভাবটা আপনাকে বজায় রাখতেই হবে। বা এরকম “get busy living”; একটু সামলে। আপনিই তাঁর প্রথম নন; শেষটা হতে পারলে আমার অগ্রিম অভিনন্দন। কিন্তু একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি এ যাত্রায়; নারীর মন সর্বদাই রহস্যময়ী। এই রহস্যের মীমাংসা হোক তা প্রকৃতি চায় না।

তবে একটা সহজ উপায় বাতলে দিতে পারি। উপায়ের নাম ‘অতিরিক্ত খেলোয়াড়’। এমন কারো সাথে কথা বলবেন যাঁর উনি বহাল তবিয়তে জিন্দা আছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে আপনাকে হয়ত আরও অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হবে তাঁর মনের প্যাটার্ণ ধরার জন্য। তবে ধরতে পারলে কিন্তু মন্দ হবে না। তিনি মাঝেমাঝেই আপনাকে পোক করবেন। আপনি দেনা-পাওনার হিসেবের ঊর্ধ্বে উঠে তাঁর সাথে কথা বলুন। শুধু দিয়ে যাবেন; আপনার সময় আর কথার ফুলঝুরি। বিনিময়ে? নগদ নগদ চমৎকার সময় কাটিয়ে ফেলুন। তবে একটু খেয়াল করে। নিজের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে দেবেন না কিন্তু। “সে যে কেন এল না, কিছু ভালো লাগে না” এই টাইপের চিন্তা ভুলেও মাথায় আনবেন না। এবং সর্বোপরি আপনার নিজের জন্যও ‘অতিরিক্ত বন্ধু’ রাখুন।

মেয়েদের সবচেয়ে বড় সুবিধা ওটাই; একটু প্রশ্রয় দিয়ে কথা বললেই হল। শতশত বন্ধু জুটে যাবে এক নিমিষেই; আপনার সময় কাটানোর জন্য। আপনার উনি যদি থেকেও থাকেন কুছ পরোয়া নেহি। উনি যখন ব্যস্ত থাকবেন বা বিশ্রাম নিবেন, তখন আপনি অনায়াসেই আপনার বাকীটা সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন আমাদের মতন ‘অতিরিক্ত খেলোয়াড়’দের সাথে। না না। খারাপ অর্থে নেবেন না দয়া করে। আমরা নির্দোষ গ্যাঁজানোর কথাই বলছি। আর আপনি নিশ্চয়ই বুদ্ধিমতী। একটু এদিক ওদিক হলেই লাগাম টেনে ধরবেন।

বাহ, আমি কিন্তু কখনই ভাবিনি লেখার শেষে এত চমৎকার একটা win-win অবস্থার সৃষ্টি হবে। তবে আসুন শ্রেণী বিভাজন ভুলে এখন একত্রে বলে উঠি-
“বলব কথা তাঁহাদের সনে; মন দিব না, মন দিব না”।

মন নিতে কিন্তু আমার আপত্তি নাই। আপনাদের?


মন্তব্য

ভণ্ড_মানব এর ছবি

'অতিরিক্ত খেলোয়ার' কিন্তু বাঁশ মারতেও ওস্তাদ। দেঁতো হাসি
আর আপনার চায়া চায়া মন নেয়া লাগবে না...দেশে আসেন, যে look নিসেন মাইয়ারা এমনিতেই পিছে দৌড়াবে।
খেক খেক।

রেশনুভা এর ছবি

মন কিন্তু চাই নাই; তবে দিলে যে সযতনে রেখে দিব হৃদয় গহীনে আরো অনেক মনের সাথে এটুকু কথা দিতেই পারি। চোখ টিপি
ঝাড়ু টাইপের কিছু কী হাতে থাকতে পারে ভণ্ড? কী মনে হয় ... খাইছে

ভণ্ড_মানব এর ছবি

থাকতেও পারে...তয় কাঁচি থাকার সম্ভাবনা বেশী। দেঁতো হাসি
আবার কিছু কমবয়সী মেয়ে গোলাপ নিয়েও দৌড়াতে পারে। চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাঃহাঃহাঃ , এই তাহলে বিষাদপ্রিয় লেখকের আপ- টু -ডেট রোজনামচা...চালিয়ে যান বস্! *তিথীডোর

রেশনুভা এর ছবি

আপনারা থাকলে আমিও চালাবো। খাইছে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মন নিতে আমারো আপত্তি নাই স্যার! হাসি
..........................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে

রেশনুভা এর ছবি

কেউ দেয় না তো। মন খারাপ
শুধু মূলা ঝুলায়। দেঁতো হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভালো লাগলো বন্ধু কথন হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রেশনুভা এর ছবি
রাহিন হায়দার এর ছবি

লেখার ধরণটা বেশ লাগলো, রেজওয়ান ভাই। যদিও ট্যাগে রম্য, কেউ কেউ ক্ষেপে উঠতে পারে।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

রেশনুভা এর ছবি

আমার দুষ নাই। এক বন্ধু ট্যাগাইতে বলছে। চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মন দেয়া এবং নেয়া, দুইটাই ক্ষতি কারকে ৭মী বিভক্তি।

সামনা সামনি আমি মানুষটা চরম বোরিং। পিছনেও। যতো বকবক এই সচলের কমেন্টের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। চ্যাটিং আমারে দিয়া হয় না, সেই নাইনটিন নাইনটি নাইনে হইতো অবশ্য। এখন জিটকে প্রিয় দোস্তরে একটু গুঁতানোর লাইগ্যা লগ ইন করি। দুই তিন মিনিট গুঁতানোর পরে আবার খুদাপেজ। এই দুই তিন মিনিট আমরা গালাগালি চর্চা করি। নতুন নতুন গালি বানিয়ে আমরা সেগুলোর ফিল্ড টেস্টটা সেরে নেই ঐসময়। এখন, কোনো বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে কি এইটা সম্ভব, বলেন! সাড়ে ছয় ইঞ্চি হিলের বারি খাইয়া খোমার মানচিত্র বদলে যাবে না!

আমি বলি কি, বাদ দেন। বিপরীত লিঙ্গের সাথে গ্যাঁজানো, চ্যাটানো বাদ দেন। আখেরে মঙ্গল হবে। বালিকারা সব কাজের মাঝে খালি গিট্টু মারে। আর কারো সাথে সম্পর্কের বেড়াজালে জড়াইছেন তো মরছেন। সোজা ব্যাক গীয়ার। আসেন আমরা বিপরীত লিঙ্গের সাথে গ্যাঁজানো, চ্যাটানো বর্জন করি। তাদেরকে এক ঘরে করে ফেলি। আমাদের সাথে তাফালিং?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুগোদার সুচিন্তিত মন্তব্যে বিমলানন্দ অনুভব করিতেছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- করেন অসুবিধা নাই, ধুগোদার সুচিন্তিত মন্তব্য শুনলেন তো! আসলানন্দ টের পাইবেন ধুগোভাবীর মহাচিন্তাকর্ষক শানে নুযুল শোনার সুযোগ যেদিন পাইবেন সেদিন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওডিন এর ছবি

দুই তিন মিনিট গুঁতানোর পরে আবার খুদাপেজ। এই দুই তিন মিনিট আমরা গালাগালি চর্চা করি। নতুন নতুন গালি বানিয়ে আমরা সেগুলোর ফিল্ড টেস্টটা সেরে নেই ঐসময়। এখন, কোনো বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে কি এইটা সম্ভব, বলেন!

এক্কেরে সহমত, সেই আইআরসি'র আমল থিকা চ্যাট করি- আইজ পর্যন্ত অজানা অচেনা লুকজনের লগে আলাপ করি নাই। আরি ভাই অচেনা মাইনষের সাথে গালাগালি/গলাগলি করা যায় নাকি? অবশ্য ব্লগ একটা উত্তরাধুনিক প্ল্যাটফর্ম- এইখানে সব নিয়মকানুন একটু আবছা ঠেকে...

ভাল কথা মনে পড়লো- যাই জিটকে একটা নতুন টার্মের ফিল্ডটেস্ট করে ফেলি- দেঁতো হাসি
--------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা। চিন্তিত

রেশনুভা এর ছবি

অজানা অচেনা লোকজনের সাথে গলাগলির কথা আমিও বলি নাই কিন্তু। কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখবেন; তারপর মাঠে নামবেন।
@ধুগোদাঃ চেষ্টা করে যাচ্ছি বস। কিন্তু আমি একা চেষ্টা করলে তো হইব না; তাঁরা তো আমাকে ছাড়ে না। খাইছে
[এইবার মনে হয় সত্যি ছেড়ে দিবে ... হাসি ]

নূর এর ছবি


আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন, বন্ধু পাবার জন্য আপনাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। ধরে নিচ্ছি এই ‘বন্ধু’টা হবে বিপরীত লিঙ্গের। প্রথম বুঝতে হবে তিনি কীরকম। একটু প্যাতুপ্যাতু কথা শুনতে ভালোবাসেন না কী সোজাসুজি কথাবার্তা। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল দেখে কিছুটা আন্দাজ পেতে পারেন। যেমন ধরেন যদি লেখা দেখেন এরকম “ami ekta lokkhi pokkhi meye” ধরে নিতে পারেন গদগদ ভাবটা আপনাকে বজায় রাখতেই হবে। বা এরকম “get busy living”; একটু সামলে। আপনিই তাঁর প্রথম নন; শেষটা হতে পারলে আমার অগ্রিম অভিনন্দন। কিন্তু একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি এ যাত্রায়; নারীর মন সর্বদাই রহস্যময়ী। এই রহস্যের মীমাংসা হোক তা প্রকৃতি চায় না।

সহমত।

রেশনুভা এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মন দেয়া আর নেয়া দুইটাই সমান অপরাধ। আসুন আমরা অপরাধের পথে পা আর না বাড়াই। নিজ নিজ ঈমান-আকিদার ভিত্তিপ্রস্তর মজবুত করি। আমিন। চোখ টিপি

রেশনুভাই, কেন যেন মনে হইলো, এই লেখার পেছনে কোনো গূঢ় অর্থ নিহিত আছে। সেইটা খোলাসা করেন দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

অপ্র ভাই রেশনু ভাইয়ের মত ভাল মানুষ কে সন্দেহ করার জন্য আমি আপনাকে সন্দেহ করতাছি চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রেশনুভা এর ছবি

রেশনুভাই এর চরিত্র
ফুল থেকেও পবিত্র।
দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার এই লেখা পড়ে ব্যাচেলর ছবির কথা মনে পড়ল। হা হা সেই রকম কিছু নাকি?

স্বপ্নদ্রোহ

রেশনুভা এর ছবি

কাহিনী কিছুই নাই। হুদাই গ্যাজায় গেলাম।
হাসি

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি

বলব কথা তাঁহাদের সনে; মন দিব না, মন দিব না”।

মন নিতে কিন্তু আমার আপত্তি নাই। আপনাদের?

পারবেন্না, পারবওনা,
আসল কিংবা নকল
একটা কিছু দিতইব।
নিতেগেলে দেওয়া হইয়া যায়গো ভাই।

রেশনুভা এর ছবি

পারবেন। মনটাকে আগেই ক্ষতিকারকে কাউকে সম্প্রদান করে দেন। তারপর যখন উনি আপনার মন আরো অনেক মনের সাথে সযতনে রেখে দিবে, তখন পারবেন। চোখ টিপি

অনিকেত এর ছবি

আরে সেরেছে
এ তো দেখি জটিল প্রসঙ্গের অবতারণা
এসব বিষয়ে কথা বলতে আমার গুরুর মানা----

আনন্দ [অতিথি] এর ছবি

রেশনুভাই, ঘটনা আসলে উভয়পক্ষের জন্যই win-win. হারাবার কিছুই নাই। পোলাপাইন হুদাই সিরিকাস হতে গিয়ে সব গুব্লেট করে ফেলে। তবে ব্যাপারটায় আসলেই একটা বিশেষ আর্ট আছে। হৃদয়(শুদ্ধ)বান হলে হুর-পরীর অভাব হয় না।

এই শিল্পে আপনার পারঙ্গমতা প্রশ্নাতীত ও স্বীকৃত। এই লেখাটার ধারাবাহিকতায়, এবার বহুপরীতা থেকে অপরিবর্তনীয় কাউকে বেছে নেবার সার্চিং-এল্গরিদমটা নিয়ে যদি একটু আলুচনা করতেন তবে ঝাতি উপকৃত হত।

রেশনুভা এর ছবি

বহুপরীতা থেকে অপরিবর্তনীয় কাউকে বেছে নেবার সার্চিং-এল্গরিদম

দুঃখিত। এইটা আমার রিসার্চ টপিক না। হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটা অতিশয় সুখাদ্য হইয়াছে, তবে গেজাইতে গেলে প্রজাপতির ঝাড়ুর বাড়ি একটাও আমার পিঠাছা (নয়া শব্দ আবিষ্কার করলাম, পিঠ ও পাছা = পিঠাছা) মিস হবে নাই। আর আমার অফিসে সব্বাই বিপরীত লিঙ্গের, তাই আমি ব্যাপক কামতাড়িত চোখ টিপি, টাইপ করতে করতে আঙুল ছোট কইরা কি লাভ? পাশেই যদি থাকে গড়ে ১০-১৫ জন চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেশনুভা এর ছবি

আমার প্রফেসর নতুন ছাত্র নিবে। কালকে তাই নিয়ে তাঁর সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি বারবার শুধু he দিয়ে বলছিল। আর পারলাম না। বইলাই ফেললাম তুমি কী শিওর নতুন ছাত্র he হবে। বলে না, কেন? আমি বললাম আমাদের গ্রুপে মেয়ে মাত্র ১ জন; তুমি এবার ছাত্রী নাও। সে খেক খেক কইরা একটা হাসি দিয়া বলল, বুঝলা আমরা unlucky guys; এই লাইনে মেয়ে বেশী নাই। মন খারাপ
আপনারে হিংসাই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হো হো হো , হাসপাতালে কর্মচারীদের মাঝে সিংহভাগ মেয়ে, শুধু কিছু নার্স, জ্যানিটর, মেইনটেনেন্স আর ডাক্তার আছে ছেলে, টেনেটুনে ১০% ও হবে না। এইদিকে আসেন বস, হাসপাতালে লাঞ্চ খাওয়াইতে নিয়া যাব, তাহলে বুঝতে পারবেন অবস্থা, মাঝে মাঝে আবার ফাপড় লাগে, খাওয়ার টেবিলে ইনাদের গল্প শুনলে মনে হয়, রঙ ফরসা হলে কি হবে, ইনাদের মানসিকতা কিন্তু প্রায় একই, সেই একই ছেলের বউ কি করল, মেয়ে কি করল, ছেলে কি করল ... ...
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

মন যদি দেওয়ার ইচ্ছা নাই থাকে তাহলে মন নেওয়ার ইচ্ছাটাকে কি গঁজাতে দেওয়া উচিত??? আমার মনে হয় না।
--
বাকবাকুম

তানবীরা এর ছবি

রেশনু প্রায় সিদ্ধিপ্রাপ্ত দেখছি ..।...........।...।।

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।