ইন্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগের কথা। পরীক্ষার আগের এক মাস থেকে খুব জোরেশোরেই সবাই পড়াশোনা করে। আর তখন ক্যাডেট কলেজের নিত্য নৈমিত্তিক ঝুট-ঝামেলাও কম থাকে। অধিকাংশ সময়ই হাউসে শুয়ে বসে পড়াশোনা করা হয় আর খাওয়ার সময় কোন মতে মোজা ছাড়া জুতো অথবা পিটিশু টা পায়ে গলিয়ে আর মোচড়ানো শার্টটা কিঞ্চিত পরিমাণ প্যান্টের মধ্যে গুঁজেই ডাইনিং হলে যাওয়া। আমাদের কলেজের তিন হাউসেই তখন ছেলেদের মনোরঞ্জনের জন্য একটা করে ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। বলছি ২০০০ সালের কথা। সিডি প্লেয়ার বোধকরি তখনও এতটা বাজার দখল করেনি। জৈষ্ঠ্য শ্রেণীর ক্যাডেট হওয়ায় ও জিনিস হাউস অফিসে তালাবদ্ধ না থেকে আমাদের রুমে রুমেই ঘোরাফেরা করতো। তখনই কোন এক রাতে পরিচয় হল দলছুটের ‘হৃদয়পুর’ এর সাথে।
কী যে এক ভালোলাগা নিয়ে শুনে গেলাম গানগুলো। একটার পর একটা। কিছুক্ষণ পরে কোন একভাবে অন্য বন্ধুদের বুঝিয়ে শুনিয়ে আমি আর আমার রুমমেট সেই রাতের জন্য ওটা আমাদের রুমে রাখার বন্দোবস্ত করলাম। আর তার কিছুক্ষণ বাদে আমরা দুজনেই খেয়াল করলাম একটা গানই শুধু বেজে চলেছে। সঞ্জীব’দার লেখা আর গাওয়া, বাপ্পার সুর করা-
"আমি তোমাকেই বলে দেব,
কী যে একা দীর্ঘ রাত,
আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে …
ছুঁয়ে কান্নার রঙ, ছুঁয়ে জ্যোৎস্নার ছায়া।"
কী মায়া তাই না কথাগুলোয়। ঐ বয়সে অবশ্য কথার মানে পুরোপুরি বুঝতে পারিনি তবে বিষণ্ণতাটুকু একেবারে সূর্যগ্রহণের মত করে অন্তরটুকুকে গ্রাস করে নিয়েছিল।
দিন কয়েক আগে সঞ্জীব’দার মৃত্যুবার্ষিকী গেল। সেদিনই মনে হয় কোন এক বন্ধুর ফেসবুকের স্ট্যাটাসে গানটার কয়েকটা লাইন দেখে এক নিমিষে ঐ দিনগুলোয় ফিরে গিয়েছিলাম। রাত অনেক গভীর হলে আমরা কয়েকজন গোল হয়ে ঘিরে বসে গানটা শুনতাম। অন্ধকারের মাঝে হঠাৎই দেখা যেত একটা ছোট্ট আগুনরঙা বিন্দু এদিক থেকে ওদিকে যাচ্ছে। চারিদিক একদম চুপচাপ আর আমরা শুনছি সেই কড়া নাড়ানোর শব্দ। দরজাটা আমাদের অনেকের জন্যই তখন বন্ধ ছিল বা একবারেই কল্পিত কিছু। তখন আমরা ছুঁতে চাই আমাদের মানবীকে অথবা তাঁর রেখে যাওয়া ছায়াটাকে। নিজেদেরকে বেশ বড়সড় কিছু মনে করা একদল কিশোরের তখন আপ্রাণ চেষ্টা চলছে, বিষাদের মাঝে নিজেদের অস্তিত্বকে বিলীন করে দেওয়ার।
খুব সহজে বের হয়ে আসতে পারছি না অতীত থেকে। বের হয়ে আসতে চাইলেই পেছন থেকে টেনে ধরে। আজ আবার একই গানের লাইন আরেক বন্ধুর জিটকের স্ট্যাটাসে। এ ক’দিনে অনেকবার শুনেছি গানটা। কোনবারই পুরোনো মনে হয়নি। আর এখন কিছু কিছু লাইনের অর্থ নিজের মত করে বুঝে নিয়েছি। সেই প্রথম শোনার পর থেকে জীবনের কিছু সময় যেমন পূর্ণ চাঁদে কারোর হাত ধরে থেকেছি শক্ত করে ঠিক তেমনি অনেক ঘোর অন্ধকার রাতও দুটো আঙ্গুলে আলতো করে ধরে রাখা ঐ আগুনরঙা বিন্দুটাকে নিয়েই কেটে গেছে। অনেকটা সময় কান্নার রঙও অনেক বেশি সুখের ছিল; আর কোন কোন সময় তা একবারেই বিবর্ণ করে দিয়েছিল পুরো পৃথিবীর রঙকে।
আজ সেই আমাকে নিয়েই ভাবছিলাম যে কী না একসময় প্লাবিত হয়েছিল ভালোবাসায়; আবার পরে তা খটখটে শুকনো হয়ে গিয়েছিল তাঁর অভাবে। কী এক বৈপরীত্য। এইতো মনে হয় আর একটি কথা তাঁর মুখে শুনতে পারলেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুমধুর সুরটি কী তা বলে দিতে পারবো; আবার মনে হয় তাঁর ছায়াও যেন আমার ছায়াকে কখনও আর ঢেকে না দেয়। এক বন্ধুকেই বলছিলাম সেই জ্যোৎস্নার কথা আর তার কিছুপরেই মেঘের আড়ালে চাঁদের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে। মেঘগুলো এবার বড়ই বেরসিক ছিল। একদমই সরে গেল না। চাঁদটাই শুধু ডুবে গেল কোন এক সময় আমাকে শূন্য করে দিয়ে, শূন্যতার মাঝে শুধু ওর চিহ্নগুলো রেখে যেয়ে। বন্ধুটা চুপচাপ শুনে গেল। নিজের দুঃখগুলো দিয়ে ওকে ভারী করে দিলাম আর নিজেকে মনে হল অনেক হালকা। সবসময় যে একা একা এই ভার বইবার সামর্থ্য থাকে না; তাইতো এই কষ্টের ভাগাভাগি চলে আপনজনদের সাথে।
টুকিটাকি কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম আজ দুপুরে। বেশ কিছু কেনাকাটা করে ফিরে আসার সময় কী মনে করে যেন ছোট ছোট টবে রাখা তিনটা গাছ কিনে ফেললাম। আমার বাসাটায় যে প্রাণের বড্ড অভাব তাই। সার বেঁধে ওদেরকে রেখেছি জানালার পাশে। মাঝে মাঝে তাকিয়ে দেখি ঐ জীবনগুলোকে; আমার চেয়েও অনেক জীবন্ত মনে হয় ওদের।
|
মন্তব্য
কোন মডারেটর কী একটু কষ্ট করে শেষের justify ট্যাগের শুরুতে একটা '/' দিয়ে দেবেন?
অগ্রিম ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাল লাগলো রেজওয়ান ভাই। গানের মত অতীত ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা আর কিছুরই নেই। গানটা অনেকদিন পর শুনলাম।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ভালু পালাম রেশ্নুভাই। গান আমাদের জ়ীবনের বিরাট এক দান। একটা ভাল গান তৈরি করার সময়, গানের স্রষ্টা এর মধ্যে কিছু শক্তি ভরে দেয়। সেই শক্তিটা শ্রোতাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে বহুগুনে। তাই গান আমাদের এম্নি ভাবে আপ্লুত করে। একটা গান যে কিছু মানুষকে মুহূর্তেই কত কাছাকাছি আনতে পারে সেটা তব্দা খাবার মত ব্যাপার!
বহুদিন আগে আপনাকে Pink Floyd এর একটা গান মেইল কর্সিলাম। শুনে দেখবেন সময় পেলে, লাল বিন্দুকে সঙ্গী করে।
তাই না?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
প্রিয় রেশ্নুভাই,
কিছুখন একেবারে স্তব্ধ হয়েছিলাম এই লেখাটা পড়ে।
সঞ্জীব দা' আমার বড় পছন্দের লোক
এই লোকটা অক্ষরের মাঝে প্রাণ ফুঁকে দিতে পারত
এই লোকটা পাথরের বুকে গান ঠুকে দিতে পারত---
শুধু জানত না কী করে মৃত্যুকে ফেরাতে হয়----
লোকটা যেমন আমার বড় পছন্দের, তোমার এই লেখাটাও সেইরকম পছন্দের মত হয়েছে।
ভাল থাকো অহর্নিশ----
আর ভালো লাগে না ভাই। এত সাধারণ হয়ে আসছি পৃথিবীতে মরে গেলেও লোকজন খোঁজ নিবে না। কী যে করি?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
- আমি যখন গানটা শুনি, তখন আমার হাতে ছিলো ন-হন্যতে। গানটা শুনলেই আমার মির্চার হিমালয়ের দিকে চলে যাওয়ার কথা মনে পড়ে। মনে হয় ও একা একা অন্ধকার পথে ধরে হেঁটে যাচ্ছে আর ব্যাকগ্রাউন্ডে গানটা বাজছে...!
শেষের আগের প্যারায় এসে সঞ্জীব কুমারের একটা সিনেমার গানের কথা মনে পড়লো। আন্ধি সিনেমার "তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোয়ি শিকোয়া হ্যায় নেহি"। গানটার মাঝখানে অমাবস্যার কথা বলে, নয় বছর লম্বা একটা অমাবস্যার কথা!
দলছুটের 'কার ছবি নেই' তো শুনে থাকবেন। গানটা শুনেছিলাম এখানে আসার পর, কোনো একটা সামারের সময়ে। সেই সময়টাই ফিরে ফিরে আসে, এমনকি সেসময়ে ব্যবহার করা আমার একটা আফটার শেভের গন্ধ সহ!
আমার ডায়েরী লেখার অভ্যাস নেই, ছিলোও না কোনো কালে। আমি লিখতে পারতাম না। কিন্তু সময়গুলোকে ধরে রাখতাম গানের মধ্যে, এখনও রাখি। কখনো সুযোগ হলে একই গান বারবার চালিয়ে দেই, পুরনো হারিয়ে ফেলা সময় গুলো চলে আসে রিয়েল টাইমে। আমি নিজেকে ভাসিয়ে দেই। কখনো কখনো কিছু গান বড্ড বেশি অর্থবহ হয়ে যায় আমার জন্য, সেগুলোকে তালাবন্ধ করে রাখি!
ভালো কথা, সামনের শনিবারে কোনো কাজ না থাকলে কোলন চলে আসেন। তেমন কোনো প্ল্যান নাই, যা ছিলো সব বাতিল। আপনি আসলে পুরাই আননোন একটা সময় কাটানো যাবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি মিয়া লুকটা আসলেই খ্রাপ। দিলেন তো আবার লা নুই বেঙ্গলী আর ন-হন্যতে' এর কথা মনে করায়। আমারে গিফট করছিল ন-হন্যতে আর আমি তাঁরে লা নুই বেঙ্গলী। মানুষটার মতন বই খানাও হারায় ফেলছি।
"তেরে বিনা জিন্দেগি সে কোয়ি শিকোয়া হ্যায় নেহি"- গানটা অদ্ভূত। কিশোর আর লতা; আর কী লাগে কন? আহারে আমার যদি একটা লতা থাকতো। শুধু গান শুনতে পারলেই হইত।
সামনের শনিবারে মনে হয় আইন্ডহোভেন যাবো বস। আপনি চলে আসেন না কেন? আর যদি না যাই, আপনারে জানাবো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
- আইন্ডহোফেন গিয়া আমার পোষাবে নারে ভাই। ঐদিকে গেলে লম্বা সময় নিয়ে যেতে হবে। এতো অল্প সময় হাতে করে যাওয়া মানে সিসটেম লস!
আর ঐসব ন-হন্যতে আর লা-নুই বেঙ্গলী'র কথা না ভেবে আসেন আমার পতাকাতলে। দুনিয়াজোড়া এতো এতো হুরপরী। কারো নাক সুন্দর, কারো চোখ, কারো চুল তো কারো ঠোঁট, আরও আছে! এতোসব সুন্দরের আধার রেখে কি দর্কার কোনো এক পাক্ষিক সুন্দরের আজীবন প্রশংসা করে যাবার, তাও মিথ্যা মিথ্যা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অতীতে একই গান বার বার শুনে হয়তো স্বপ্ন বুনতাম। একেক গানে একেক স্বপ্ন, বেদনা অথবা গল্প। আর বর্তমানে সেই সব গান শুনে অতীতের সেই স্বপ্ন বোনার ক্ষণে মুহূর্তেই ফেরত চলে যাই......চলতে থাকে এই চক্র, কী আজব তাই না?
লেখাটা ভালো লাগলো।
বেশ ভালো লাগলো এই ব্লগরব্লগর।
ভালো থাকুন রেশ্নুভাই
--------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আগে যদি জানতাম আপনি সঞ্জীবদার কথা, তার গান নিয়া লেখছেন, তাইলে এই পোস্ট পড়তামই না... ভ্যাজাল হয়ে যায়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরি নজরুল ভাই। মন খারাপ কইরেন না।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
স্মৃতি বড় খারাপ জিনিস...
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
ঠিক।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বড়োই ভালো লাগলো লেখাটা, রেশনুভাই। খুব দারুণ লিখসেন।
অদ্ভুত একটা গান! আমার সমস্ত প্রিয় গানের একটা ছোটখাট লিস্ট করলে এইটা তার মাঝে থাকবেই। সঞ্জীবের গানের সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল দরাজ দিলে, দরাজ গলায় গাওয়াটা। এরা যে কেন তাড়াতাড়ি মরে যায়!
হমমম। আমারো তাই। গানটা শুনলেই কেমন কেমন লাগে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আমার মাঝে নিশ্চয় কোন সমস্যা আছে, দলছুটের গান কখনই আমাকে তেমন টানে নাই , লেখাটা খুব ভালো লাগল
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মৃত্তিকা'পু আর মউ, অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রাহিন, অপ্র, সাইফ ভাই ... অনেক ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
প্রথম যখন সঞ্জীবদার মৃত্যুর খবর শুনি, বিশ্বাস করত পারিনি, এরকম জীবন্ত একজন মানুষ কিভাবে অসময়ে হারিয়ে যেতে পারে? বাংলা সঙ্গীতকে যে আরো অনেক কিছু দেবার ছিল তার। আজ দাদা নেই আছে শুধু তার স্মৃতি আর গানগুলি।
ছবিঃ র্যাগের সময় দাদার সাথে স্মৃতিময় সময়ের একটি মূহুর্ত
রেশনুভা অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য, এই ব্যস্ত জীবনে অন্তত কিছু সময়ের জন্য আমাকে সেই সময়টাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার জন্য।
----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ছবিটা বড্ড জীবন্ত জাহিদ ভাই।
ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
সঞ্জীবদার গান আমারও অনেক ভাল্লাগে। তার 'এই নষ্ট শহরে... নাম না জানা যে কোন মাস্তান' গানটা পাগলের মত শুনতাম। এসএসসির পর এক সংবর্ধনায় সঞ্জীবদা আর বাপ্পা দুইজনের কান্ধে দুই হাত দিয়া একটা ফটোও তুলছিলাম। সঞ্জীবদার এতো জলদিই চলে যাওয়া শুধু কষ্টেরই কারণ হয়ে আছে।
রেশনুভাই, লেখা জব্বর হইছে।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
ঘটনা কী? গ্রেড তো আর কারো হাতেই নাই এখন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাবতে কেমন যেন লাগে, ওনার আর নতুন গান শোনা হবে না।
আরেকটা কথা, আজকাল কি নষ্টালজিয়া খুব বেশি ভুগছেন নাকি মশাই (চোখ টিবির ইমোকটিন)
স্বপ্নদ্রোহ
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
রেশনুভাই,
অমর গান নিয়ে দূর্দান্ত লেখা...ভালো লাগলো পড়ে...কেন জানি কয়েকমাস আগেও আমাদের গ্রুপের একসঙ্গে কাটানো সেই অদ্ভূত সময়গুলোর কথাও মনে পড়ে গেলো...হেঁড়ে গলায় নিশ্চিন্তে গেয়ে উঠতে পারতাম যখন তখন...গান নিয়ে উঁচুমার্গের আলোচনা করে আর দুই আঙ্গুলের ফাঁকে আলতো করে ধরা লাল বিন্দু নিয়ে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারতাম অবলীলায়...বড্ড মিস্ করি সেই সময় গুলোকে...
আমিও মিস করি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কিছু গান আচমকা ফিরিয়ে দেয় হারিয়ে যাওয়া মায়াবী রাত.....
" ন হন্যতে " পড়ে বারবার নিজেকেই মৈৈএয়ী ভেবে নেই....
শুধুশুধু মন খারাপ করিয়ে দেবার জন্যেই কেউ কেউ লেখেন ..........
চমত্্কার পোস্ট, ধন্যবাদ রেশনুভা !!!!!!
*তিথীডোর
নিজেকে 'মৈত্রৈয়ী' ভাবেন? তবে তো আপনি বড়ই স্বার্থপর।
মির্চারাই কেবল সারাজীবন বোকা হয়ে থাকে।
পড়েছেন অবশেষে, তাই অনেক কৃতজ্ঞতা।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
নতুন মন্তব্য করুন