শেকড়ের কাছে

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: রবি, ০৬/১২/২০০৯ - ১০:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জানালাটা অনেক বড়। পর্দাটা দু’পাশে সরিয়ে রাখলে অনেকখানি প্রকৃতি ধরা দেয়। ন্যাড়ামাথার গাছপালা, পাশের রাস্তা ধরে ছুটে চলা চারচাকার হেডলাইটগুলো আর সবুজ মাঠ। কিন্তু সব কিছুই বড্ড অস্পষ্ট। আকাশটা যে কেঁদেই চলেছে অবিরাম। অনেকটা ছোট বাচ্চাদের আহলাদী কান্নার মত; কিছুতেই কান্নার শেষ নেই। বোধকরি, আকাশের সাথে আজ ঈশ্বরের অনেক রাগারাগি হয়েছে। দু’জনেই কাছাকাছি থাকেন কী না। তাইতো এই আকাশ ভেঙ্গে পড়া ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে আমার মত লোকদের বেহাল অবস্থা। যাবো এক বন্ধুর জন্মদিনে; আর ঘটনার ঘনঘটায় যে কারণটা ঢাকা পড়ে আছে সেটাও বলি। খবর পাওয়া গেছে পোলাও রান্না হচ্ছে। বৃষ্টিও ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না আমাকে; তা সে যতই ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদুক না কেন।

এরকম একটা সন্ধ্যায় দেশে থাকলে কী করতাম জানেন? উত্তরটা জানেন আপনারা। তারপরও বলি, নইলে যে লেখা এখানেই থামিয়ে দিতে হয়। মা নিশ্চয়ই গরম গরম পিঁয়াজু ভাজতেন; সাথে হয়ত আর কিছু থাকতো। আপাতত আমার বড্ড পিঁয়াজু খেতে ইচ্ছে করছে। নিজেদের বাসার ব্যালকনিতে সবাইকে নিয়ে মাদুরে বসে। সাথে থাকত বড় এক গামলাভর্তি মুড়ি মাখানো। মাঝে মাঝে মা আবার আচারের তেল দিত তার মধ্যে। বিশ্বাস করেন আমি সেই আচারের তেলের সুবাস আর সরিষার তেলের ঝাঁজ নাকে পাচ্ছি এখন।

মানুষের মন, কল্পনা, চিন্তাভাবনা কিন্তু আলোর গতিকেও হার মানিয়ে দেয়। আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে বা কাউকে নিয়ে চিন্তা করেন, নিশ্চয়ই আপনি সেই দৃশ্যগুলো দেখতে পান। যদি হয় তা ভবিষ্যতের, কখনও কখনও ঘটে যায়; আবার কখনও একদমই না। কী বা আসে যায়; ঘটন-অঘটনে। ঐ সময়টুকুর জন্য তো আপনি আপনার প্রিয় মুখগুলো কে কাছে পান; তাঁদের দেখতে পান। আবার যখন আপনি ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভাবেন তখনও তা ধরা দেয় এক নিমিষে; পৌঁছে যাবেন আপনি সেই মায়াঘেরা দিনগুলোতে; ঐ মায়াময় মানুষগুলোর কাছে।

এখন লিখতে লিখতেই আমার পিচ্চি বোনটার কথা খুব মনে পড়ছে। সে অবশ্য এখন আর মোটেই পিচ্চি নয়। ইন্টার পড়ছে। ও খুব ছোট থাকতেই আমি ক্যাডেট কলেজে চলে যাই। ওর ছেলেবেলার স্মৃতিতে আমার স্থান খুব বেশি নেই। আব্ব-আম্মুর লেজ ধরে সে আসতো ক্যাডেট কলেজের ‘অভিভাবক দিবসে’। চারটা ঘন্টা সময় বরাদ্দ করা ছিল সন্তানদের এক ঝলক দেখে নেওয়ার জন্য। ওকে যদি আমার কোন বন্ধু তখন জিজ্ঞেস করতো কোথায় এসেছ তুমি, ও উত্তর দিত ‘বুইশাল ক্যাডেজ কলেজ’। একবার এসে সে শুধু ‘নক্কম নক্কম’ করছে। আমি বুঝতে না পেরে মা’র দিকে তাকাতে মা বলল, ওর গরম লাগছে। ছুটিতে যখন আসতাম, ‘বাইয়া বাইয়া’ করত সবসময়। তখন আমি একটু বিরক্তও হতাম মাঝে মাঝে। ছুটিতে আসলে আমার চেষ্টা থাকতো অহর্নিশ কীভাবে আরেকটু সময় লোকাল বন্ধুদের সাথে থাকতে পারবো; কীভাবে আরেকটু রিকশায় ঘুরে, তামাক পুড়িয়ে, পাশের বাড়ীগুলোর ছাঁদের দিকে চোখ মেলে মিষ্টি একটা হাসি দিতে পারব। বন্ধুদের মধ্যে অবশ্য ভাগাভাগি করা ছিল কে কার ভাবী তাই নিয়ে। এখন এতটা পথ এসে মনে হয় বোনটাকে আরেকটু সময় দিলে ওর সাথে আমার স্মৃতিগুলো আরো বেশি জমাট হতো।

যাঁর সাথে সবচেয়ে বেশি স্মৃতি ছিল, সে চলে গেছে। যাওয়ার আগে আমাকে বলে যায়নি ও; আমার ক্ষুদ্রতা কোথায় ছিল। এখন ভাবি ওর সাথে কাটানো আমার সময়গুলো নিয়ে। বের করতে চাই, কোথায় হেরে গেলাম আমি। পেরে উঠি না; কারণ আমি যে বড্ড স্বার্থপর। নিজের দোষগুলোকে স্বীকার করে নিতে বড্ড অনীহা আমার। ওটাই কী তবে আমার ক্ষুদ্রতা ছিল? কখনও আর দেখা হলে জেনে নেব ওর কাছ থেকেই।

আর মাত্র ক’টা দিন। এত এত স্মৃতিগুলোর জন্মস্থানে ফিরে যাবো; যে আমাকে লালন করেছে সেই ছোট্টটি থেকে, যাঁর হাওয়া বাতাসে এত বড় হয়ে উঠলাম আমি। আর আমি এখন তাঁকে মনের এক কোণায় ঠেলে রাখি। নির্বিকার চিত্তে কাজ করে যাই। কলিগদের করা কৌতুকে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে যেন সবাইকে বুঝাতে চাই, আমি খুব ভালো আছি। আর তারপর? খুবই অসতর্ক কোন মুহুর্তে সে বেরিয়ে আসে, ছড়িয়ে পড়ে সবগুলো রক্তনালীতে। জাগ্রত হয় আমার সত্ত্বায় আর সে আমাকে টানে। অনেক দূরে এক আলো-আঁধারী ঘেরা রুমে বসে আমি লিখি তাঁর কথা।

অনেক অপেক্ষা করে আছি; সেই স্মৃতিঘেরা জায়গাগুলো একনজর দেখবার জন্য। দেখবো তখন আমার মত আরো অনেককেই। কারোর জীবন হবে একেবারেই অন্যরকম। কিন্তু একটা জায়গায় বড্ড মিল রয়ে যাবে আমাদের। উৎস যে একই, আমাদের স্মৃতিগুলোর।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

নস্টালজিয়ায় ভুগছেন খুউব??সেটাই স্বাভাবিক... ঝটপট ফিরে আসুন প্রিয়মুখগুলোর কাছে , Hv a safe journE! *তিথীডোর

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস! সুখ দু:খের মিশেল দেওয়া এই টক-ঝাল-মিষ্টি লেখাটা কি যে ভালো লাগল, আমি এখনো তব্দা লেগে আছি, তব্দা কাটার পর আবার পড়লাম তারপর আবার। কিভাবে লেখেন এমন অনুভূতির ক্ষুর ধারালো লেখাগুলো? এখনো মোহিত হয়ে আছি লেখাটা পড়ে, রেশ কাটছে না রেশ্নুভাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেশনুভা এর ছবি

বেশি বেশি হয়ে গেল সাইফ ভাই। অনেক ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বাহ, সুখের কথা। যাত্রা শুভ হোক। ... পাশের বাড়ির ছাদগুলোর দিকে তাকিয়ে আবার মিষ্টি হাসি দিন। দেঁতো হাসি

_________________________________________

সেরিওজা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখাটা স্পর্শ করে গেল...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নাশতারান এর ছবি

এ অপেক্ষারও অন্যরকম একটা আবেদন আছে। তাই না?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাহিন হায়দার এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন রেজওয়ান ভাই। চলুক চলুক চলুক


বিশ্বাস করেন আমি সেই আচারের তেলের সুবাস আর সরিষার তেলের ঝাঁজ নাকে পাচ্ছি এখন।

কাছাকাছি অভিজ্ঞতা আমারও আছে, এই অনুভূতিগুলো অবিশ্বাস্য রকম বাস্তব।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

রেশনুভা এর ছবি
দুর্দান্ত এর ছবি

মনটা খারাপ করে দিলে রে ভাই। সুখের কথা যে কদিন পরেই আপনজনদের কাছে পাবে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঢাকায় আসছেন নাকি? কবে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এনকিদু এর ছবি

আমারো একই প্রশ্ন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রেশনুভা এর ছবি

আসছি। তিন রাত পার হলেই। দেঁতো হাসি

অনিকেত এর ছবি

মনটা বড্ড খারাপ করে দিলে হে--
খুব খারাপ,খুব খারাপ---

রেশনুভা এর ছবি

সরি বস।
আপনার অধরা মাধুরী পড়েছি। কী বলব বুঝছিলাম না। অনেক সহজ করে লিখেছেন। হাসি

তানবীরা এর ছবি

তুমি ইউরোপীয়ান ওয়েদারের খপ্পরে পরেছো বস, ব্যাপার না থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে যাবে। ঐ যে ট্যানারীর চামড়ার গন্ধের গল্প আছে না? পরে গন্ধ না হলে ঘুম আসে না, সেইরম আর কি?

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রেশনুভা এর ছবি
ব্রহ্ম দৈত্য [অতিথি] এর ছবি

মন বস্তুতঃ ভয়ানক ঝামেলার জিনিস... যখন তখন বেঁকে বসে পেছন পানে ছুট দেয়।
আমিও ভুক্তভোগী; মনে হলো- এ যেন আমারই কথা আমায় শোনালেন।। আপাতত শুধু এটুকুই বলা... ছুয়ে গেলেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

রেশনুভা ভাই আপনার যাত্রা শুভ হোক। পাশের বাড়ির ছাদ গুলি আবার ব্যস্ত হয়ে উঠুক আপনার আগমনে। ধন্যবাদ।
ডি,এম,কামরুজ্জামান (দলছুট)।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার ঝামেলা উল্টা, আমার মা ভাই বোন ভাগ্নি ভাস্তি সব বিদেশে, আমি দেশে বসে বসে ঝিমাই... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেশনুভা এর ছবি

ঝিমাইলেন আর কই? সবাই বলে ছোট ছেলেদের না কী আপনার জন্য ভাতের অভাব দেখা গেছে? খাইছে

আনন্দ [অতিথি] এর ছবি

রেশ্নুভাই,
আপ্নারে ধোলাই দেয়ার টাইম হইসে। হুদাই মিয়া মন্মেজাজ খ্রাপ করে দেন। দেশে যান, আপ্নারে সাইজ করার সিস্টেম করতেসি...

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ভাইয়া, স্মৃতিকাতরতায় ডুব দিয়েছেন দেখছি। অসুবিধা নেই, ফিরে আসছেন তো।
প্রিয় মুখগুলিকে সাথে নিয়ে কিভাবে হৈ-হুল্লোড় করবেন তার প্ল্যান করে ফেলুন চট-জলদি।
ভালো থাকুন হাসি

-----------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

রেশনুভা এর ছবি

দন্ত বিকশিত হাসি দিলেন না যে!
দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- উড়ি সারছে। ভাবলাম ভালো একটা গল্প লেখলেন বুঝি, এসে দেখি কান্নাকাটি! এইটা কোনো কথা হইলো।

যে গেছে সে গেছেই। বলে গেলেও গেছে না গেলেও গেছে। ঐটা নিয়া ভাবতে নাই। অন্য কিছু নিয়া ভাবেন। কখনো এইটাও ভাইবেন না যে দেখা হৈলে জানতে চাইবেন। এইটা একটা ভুল ভাবনা। যে গেছে সে নিজেই একদিন বুঝবো, যাওয়াটা ভুল ছিলো। ততোদিন আপনি ফিনিক্স পাখি!

একটা কথা মনে রাইখেন বস, কোনো কিছুর উপরে সম্প্রদান কারকের প্রয়োগ ঘটিয়ে তাতে কর্তৃকারকের ঘটাতে গেলে কেবল কষ্টই বাড়ে।

সুতরাং, কাম'ন, চিয়ার আপ। বাউলের মতোন লম্বা চুলে ঝাঁকি দিয়া যেকোনো একটা উড়াধুরা গান ধরেন। দেখবেন, সব ঠিক হয়া গেছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেশনুভা এর ছবি

আপনি এতো বুঝেন ক্যাম্নে? খাইছে
দেশ থেকে ঘুরে এসে আসতেছি আপনাদের ওখানে।

রেশনুভা এর ছবি

তিথীডোর, সুহান, অনার্য্য সঙ্গীত, বুনোহাঁস, দুর্দান্ত দা, ষষ্ঠ পাণ্ডব, এনকিদু, ব্রহ্ম দৈত্য, দলছুট, আনন্দ এবং আরো যাঁরা পড়লেন ----
অনেক ধন্যবাদ।

ব্রহ্ম দৈত্য [অতিথি] এর ছবি

নামের দাঁতভাঙ্গা বানানটা ভুল না করায় আপনাকেও ধইন্যবাদ।
তাহলে দেশে ফিরছেন শীঘ্রি?

রেশনুভা এর ছবি

সত্যি কথাটা তাহলে বলেই ফেলি। আপনার নিকের এ অবস্থা দেখে টাইপ করার ঝুঁকি নেইনি। কপি-পেস্ট মেরে দিয়েছি। দেঁতো হাসি
আসতেছি ভাইয়া। কপালে থাকলে দেখা হবে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কপি-পেস্ট মেরে দিয়েছি।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ব-এ র-ফলা, হ-ম সংযুক্ত, দ-এ ঐ-কার, ত-এ য-ফলা। একবার এভাবে লিখে দেখেন দেখবেন আর কপি-পেস্ট মারতে হবেনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ভণ্ড_মানব এর ছবি

আরে দেশে আসতাছেন মিয়া; মন টন ভালো করেন তো। আর সুন্দরবন ট্যুর তো আছেই। হাসি
আপনার ফোনের অপেক্ষায়। দেঁতো হাসি
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।