আশা আসছে আজ। পৌঁছবে দুপুর দু’টোর পরপরই। তাইতো রেহানের আজ এত আয়োজন। রাঁধল অনেক কিছু। টুনা মাছ ভুনা, রুই মাছের ঝোল আর ভাজির মাঝামাঝি কিছু একটা, ডিম ভুনা, ডাল আর এখন হচ্ছে গরু। দু’দিন আগে আশার কাছ থেকেই শুনে নিয়েছিল কীভাবে রাঁধতে হয় প্রেসার কুকারে। নতুন কিনে নিয়েছে ও। আরো একটা জিনিস কিনেছে; ওভেন। তবে ওটা নতুন নয়। LG এর জলপাই রঙা; অনলাইন থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস। কাজ ভালোই করে। নিজের ছোট্ট এই দু’রুমের বাসাটার দিকে তাকায় রেহান। আজ অনেক ছিমছাম লাগছে। নিজে ঘষে ঘষে মেঝে পরিষ্কার করেছে এই কিছুক্ষণ আগেই; সিগারেটের ছাই পড়ে যাতা অবস্থা হয়েছিল।
ল্যাপটপের দিকে এখন চোখ ওর। ফ্লাইট স্ট্যাটাস বলছে, ঠিক সময়েই ঢাকা ছেড়েছে। তাহলে আর দেড় ঘন্টার মাঝেই হংকং পৌঁছে যাবে আশা। তখন হংকং এর ঘড়িতে থাকবে ৭টা ৪০, আর এখানে ৮টা ৪০। তার ঠিক দু’ঘন্টা পরই ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট; CX 410। ইনচন এয়ারপোর্টে আশা তাহলে পৌঁছবে সোয়া দু’টোর পরপরই। এক্কেবারে যেমনটা হওয়া উচিৎ তেমন। একটু নির্ভার মনে হয় ওর এখন। একটা গান ছেড়ে দিয়ে আবার চুলার কাছে যায়। স্পিকারে বেজে চলে,
“যাঁর কথা মন ভেবে যায়, যাঁর ছবি মন একে যায় …
দিন গেলো তোমার পথ চাহিয়া”
বিয়ের চার মাস পরে এখানে চলে আসে রেহান। উচ্চশিক্ষার জন্য মেনে নেয় এই প্রবাস জীবন। আশা খুশি হয়েছিল তবে খুব নয়; অবশ্যম্ভাবী বিচ্ছেদের কথা ভেবে। রেহানের ও অবশ্য যেতে ইচ্ছে না করলেও বাধ্য হয়েই এসেছিল পরবর্তীতে একটা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ পাবে বলে। আজ প্রায় ষোল মাস পর দেখা হবে ওদের, একে অপরের সাথে। আশা আসছে ওর মেডিকেল ফাইনাল প্রফ দিয়ে। শিক্ষানবীশ জীবন শুরু হতে এখনও মাস দুয়েক বাকী আছে। আর এই ছুটিতেই, সেই মানুষটার কাছে ঘুরে আসা। মুচকি হেসে ওঠে রেহান। প্লেনে ওঠার আগে আশা বারবার বলছিল দু’মাস পরই চলে যাবে ও। রেহান জানে, আশা দু’মাস পরে আর যাবে না, যেতে চাইবেও না। রেহানেরও আর এখানে বেশিদিন নেই; মাস ছয়েক মত। দু’জন মিলে একসাথেই ফিরে যাবে তখন।
রান্না প্রায় শেষ। ঘড়ি দেখে রেহান। বাইরে আজশীর পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আজশী কোরিয়ান শব্দ; বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায় মুরুব্বী; রেহানের বাড়ীওয়ালা ভদ্রলোক। সকাল সকালই উঠে পড়েন প্রতিটা দিন। প্রচুর পরিশ্রম করতে পারেন। হেন কোন কাজ নেই যে করতে পারেন না। বয়স সত্তরের বেশিই হবে, কম নয়। রেহানের ওর বাবার কথা মনে পড়ে। বেচারা বেশ কতদিন ধরেই বুকের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। টাকা পয়সার কথা চিন্তা করেই হয়তবা বাইপাস করাতে গড়িমসি করছেন। বউ আসছে বলে রেহানও টাকা পাঠাতে পারেনি এই টার্মে। মনটা একটু ভার হয়ে যায় রেহানের।
বাবার কথা মনে হওয়াতেই কী না কে জানে, রেহান দরজা খুলে বের হয়।
- “আন্নিও হাসিও” (হাই)
- “আন্নিয়ং”, প্রত্যুত্তর দেন ভদ্রলোক। কী যেন হড়বড় করে বলে যান। রেহান ওর এই এতটিকুন কোরিয়ান ভাষার বিদ্যা দিয়ে তা বুঝতে পারে না। শুধু বোকা হাসি দিয়ে যায় আর মাথা নাড়তে থাকে। ওর বাড়ীওয়ালী ভদ্রমহিলা অবশ্য তাও একটু ইংরেজী বোঝেন বলে রক্ষা। অনেক কষ্টে রেহান একটা বাক্য তৈরি করার চেষ্টা চালায়।
- “অনুল উল আনে ওয়ো” (আজ আমার বউ আসবে)
- “বাংগুল্লাদেশ এছো? আজু জুহায়ো” (বাংলাদেশ থেকে? খুব ভালো)। আরো অনেক কিছুই বলেন। রেহান হাসি মুখে বাগানে ওনার কাজ দেখে।
চকচকে রোদ বাইরে। ঘরে এসেই রেহান আবার চলে যায় ল্যাপটপের সামনে। প্রায় নয়টার মত বাজে। এতক্ষণে তো আশার পৌঁছে যাওয়ার কথা হংকং। পাতাটা খোলাই ছিল। F5 চেপে দেয় রেহান। নাহ, এখনও কোন নতুন কিছু নেই। অবাক হয় না রেহান। কেবল তো মিনিট পনের গেল। নিশ্চয়ই অবতরণের কথা পাতায় চলে আসবে আর একটু পরই। বাথরুমে ঢোকে রেহান। আর একটু পরই বের হতে হবে ওকে, আশাকে নিয়ে আসার জন্য।
বেশ দূরের পথ। এখান থেকে ইনচন এয়ারপোর্ট পর্যন্ত; প্রায় দু’ঘন্টা। রেহান অবশ্য আজকে একটু ঘুর পথে যাবে কিছু পয়সা বাঁচানোর জন্য। আশা আসছে, একটু হিসেবী এখন ওকে হতেই হবে। মেয়েটার বাইরে খাওয়ার ভীষণ শখ। আসার পথে ঠিক করে রেখেছে ম্যাকে ঢুকবে ওকে নিয়ে, ওদের বাসার কাছেই। এখান থেকে বাসে করে সুওনের হোটেল ক্যাসেল, আর তারপর সেখান থেকে লিমোজিন বাস নিলে সব মিলে খরচ হবে ১৪০০০ কোরিয়ান ওনের মত। আর ট্রেনে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেলে লাগবে ৬০০০ এর মত। আজ দ্বিতীয় পথই বেছে নিবে ও। বাঁচানো টাকায় ম্যাকের বার্গার হয়ে যাবে।
গোসল আর দাড়ি কামিয়ে বের হতে হতেই প্রায় সাড়ে ন’টা বেজে যায়। এসেই আবার খুঁজে রেহান প্লেনের কী অবস্থা। চুপসে যায় রেহান। এখনও পৌঁছানোর কথা লেখা নেই কোথাও। অনেকগুলো চিন্তা একবারে ভীড় করে রেহানের মনে। প্রিয় মানুষগুলোদের নিয়ে সবচেয়ে বাজে চিন্তাটাই সবার আগে হয়। কেন? হারানোর ভয় থেকেই হয়ত। এখনও কোন আপডেট নেই কেন চিন্তা করে রেহান। কী ভেবেই হঠাৎ করে ইয়াহু ওয়েদার এর পাতা খুলে হংকং লিখে সার্চ এ ক্লিক করে ও। হংকং এ ঝড়ো আবহাওয়া। বছরের এই মাঝামাঝি সময়টা অবশ্য এরকমই আবহাওয়া থাকে। এইতো ক’দিন আগে এখানকারই এক বড় ভাই আটকা পড়েছিলেন তাইওয়ানে, বাংলাদেশ থেকে আসার সময়। রেহান বেশি টেনশন করতে চায় না। তবে দুঃশ্চিন্তা হতেই থাকে।
একটু পর খবর পাওয়া যায়। আশার প্লেন ম্যাকাও এ নেমেছে, হংকং এ ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে। রেহান তৈরি হতে থাকে আর ঘড়ির দিকে চোখ ওর। ম্যাকাও থেকে উড়তে দেরী হলে তো পরের ফ্লাইটটা মিস করে যাবে আশা। এই প্রথম একা একা এতটা পথ পাড়ি দিচ্ছে মেয়েটা। পরিষ্কার করে রাখা ছাইদানীটা আবার ভরে ওঠে; মেঝের কোথাও কোথাও একটু ছাইও জমা হয়ে যায়।
হংকং এর ঘড়িতে যখন ন’টা পঁচিশ তখন আশার বিমানটা নেমেছে অবশেষে আকাশ থেকে। ওরা কী বোর্ডিং গেট বন্ধ করে দিয়েছে? কেন দিবে? ফ্লাইট লেট তো আর প্যাসেঞ্জারদের দোষ নয়। এই সাতপাঁচ চিন্তা করতে করতেই বেরিয়ে যায় রেহান বাসা থেকে। নিশ্চয়ই আশা পরের ফ্লাইটটা ধরতে পারবে, মনের মধ্যে এই আশাটুকু নিয়ে।
আশারা পারেনি ধরতে। বোর্ডিং গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দশ মিনিট আগেই। পরের ফ্লাইটে স্ট্যান্ডবাই অথবা তারও পরের তাইওয়ান হয়ে যেটা আসবে, CX 420, সেটায় নিশ্চিত আসন। আশা পরেরটা বেছে নিয়েছিল, কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে। হংকং থেকে ছেড়ে যাবে বেলা আড়াইটার পরে। আর ইনচন পৌঁছবে রাত আটটার দিকে। রেহান এতসব জানতে পেরেছিল পথিমধ্যে আসা কল থেকে। আশা করেছিল; কোন এক সহযাত্রীর মুঠোফোন চেয়ে নিয়ে। বাকী পথটা একেবারে চুপচাপ ছিল ও। ষোল মাসের দীর্ঘ অপেক্ষা আরও একটু দীর্ঘতর হল বলেই।
“লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান, দেয়ার মে বি এ টার্বুলেন্স এহেড। ইটস আ টিপিক্যাল ওয়েদার সিচুয়েশন। প্লিজ ডোন্ট প্যানিক অ্যান্ড ফাস্টেন ইয়োর সিট বেল্ট হোয়েন আস্কড।” ঘড়ঘড় শব্দ করে স্পীকার থেমে গেল। মৃদু গুঞ্জন শোনা যায়। তবে তেমন আতংকিত নয় কেউই। আস্তে আস্তে নিজের মাঝে ফিরে আসে রেহান। এরকম প্রায়ই হয় ইদানীং ওর। হঠাৎ হঠাৎ করেই অতীতে ডুব দেয় আর সাগরের মণি-মুক্তো তুলে আনার মতন করেই খুঁচিয়ে তোলে ঐসব স্মৃতিগুলোকে যেখানে আশা অনেক বড় একটা অংশ জুড়ে ছিল।
আশার সাথে রেহানের ছাড়াছাড়ি হয়েছে প্রায় বছর ঘুরে গেল। ঘটনাটা ঘটে যাবার পরপর রেহান ও দেশ ছাড়ে। চলে আসে নতুন জায়গায়, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন ও ছুটি কাটাতে দেশে ফিরে যাচ্ছে। অ্যামিরেটস এয়ারওয়েজের EK 582 তে দুবাই থেকে উঠেছিল ও। তাও প্রায় ঘন্টা দুয়েক হয়ে গেল। সহযাত্রীদের বেশিরভাগই ওর দেশী লোকজন। বেশ উৎসব উৎসব ভাব পুরো প্লেন জুড়েই। কারণে-অকারণে বিমানবালাদেরও এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। রেহান আবার ডুব দেয় ওর চিন্তায়, আশার চিন্তায়, ওদের চিন্তায়।
আশা এসেছিল রাত দশটারও পরে। সেই মুখ, সেই গড়ন। না, খুব সুন্দরী যে ছিল ও, রেহান তা কখনোই বলে না; তবে ওর চেহারায়, হাঁটাচলায় একটা কেমন যেন আসক্তি ধরানো ভাব আছে। সেই আসক্তিতেই রেহান পড়ে গিয়েছিল অনেক অনেক দিন আগে। বাড়ীর পথের শেষ লিমোজিন বাসটা ওরা ধরেছিল। বাসের সিট দুটোর মাঝে ছিল বেশ প্রশস্ত একটা হাত রাখার জায়গা। প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই বড় ছিল ওটা আর ঐ সময়ের জন্য ওটা ছিল হিমালয় সদৃশ বাঁধা। বেশ খানিকটা পর বাইরের হাইওয়ের হালকা আলোয় ওদের মুখজোড়া একসাথেই আলোকিত হচ্ছিল আর রেহান ভাবছিল একটা টিকিট কম কাটলেই চলত।
সেদিন খুব ঝড়ে পড়েছিল আশারা হংকং আসতে যেয়ে। হংকংয়ের কাছাকাছি আসতেই বিমান উচ্চতা হারালো ঘূর্ণির কারণে। ম্যাকাওতে ওরা জরুরী অবতরণ করেছিল। করার পর দেখা গেল বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি। আরো দেরী হয়ে গেল ওদের। হংকং থেকে আসার পথে তাইওয়ানে নামার পর আবার ঝড়ো বৃষ্টি। তবু শেষ পর্যন্ত মিল হয়েছিল ওদের। বাসায় যেয়ে অনর্গল কথা বলা শুরু করলো ওরা; অনেক কথা জমেছিল যে, তাই। রাত আর একটু গভীর হলে ছুঁয়ে দেখেছিল রেহান আশাকে। নাহ, ওটা কোন স্বপ্ন ছিল না। সেই অনেক অনেক রাতের মত আশা ধরা দিয়েছিল; মোম যেভাবে গলে যায় আগুনের স্পর্শে।
রেহান দেখে সিট বেল্ট বাঁধার লাইটগুলো জ্বলে ওঠে। ওর চিন্তার সুতোটা তবু ছিঁড়ে যায় না। বছর দুয়েক আগে ও যখন ফিরে এসেছিল কোরিয়া থেকে, আশা দাঁড়িয়েছিল ওর জন্য। এবার কিন্তু বড্ড অন্যরকম। কষ্ট হয় রেহানের। হেরে গেছে জানে ও, মেনে নিতে চায় না বা পারে না। ভাবে যদি এই জীবনটা আর বয়ে বেড়ানো না লাগতো, তবে বেশ হত। আর কীইবা অপেক্ষা করে আছে ওর জন্য? একাকী শূন্য পথ ধরে হেঁটে যাওয়া; একটা সময় ওর ছায়াটাও হারিয়ে যাবে ছোট হতে হতে। এরকম জীবন ও চায় না। এর চেয়ে ঢের ভালো এখনই সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া।
কেউ কী ওর ইচ্ছের কথাটা জেনে গিয়েছিল? না হলে বিমানটা এরকম কেঁপে উঠল কেন? চারদিকে একটু শোরগোল শুরু হল। রেহানের পাশে বেশ পরহেজগার একজন বসে ছিলেন। তাঁর প্রার্থনা এখন বেশ শুনতে পাচ্ছে ও। রেহানের হাসি পায়। মরতে বড় ভয় পায় সবাই। ও তো পাচ্ছে না। তবে কী ওর জীবনে আর কিছু পাওয়ার নেই বলে? তাই ই তো। রেহানের ঠোঁটে হাসিটা বড় হয়ে ওঠে। অদ্ভূত দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকান পাশের সেই ভদ্রলোক। বিমানবালারা বেশ ছোটাছুটি শুরু করেছেন। রেহানের খুব অসহ্য লাগে এইসব, এই এত এত শব্দ আর বাচ্চাদের কান্না। আরো বড়সড় একটা ঝাঁকি খায় এই এত্ত বড় যান্ত্রিক পাখিটা। তলপেটে কেমন চাপ পড়ে রেহানের। আবছা আলোয় জানালা থেকে বাইরে তাকাতেই দেখে নীল রঙ। আকাশের নয়, সমুদ্রের। কোন সাগর এটা? আরব সাগর কী? কিন্তু সামনের পর্দায় যে দেখাচ্ছে বিমানটা এখন রাজস্থানের মরুভূমির উপর। সব ওলট-পালট লাগে রেহানের। ওর জীবনটার মতন। ও আর কিছু ভাবতে চায় না। ঠোঁটের কোণায় এক চিলতে হাসি নিয়ে ও ছুঁতে চায় ঐ বিশাল জলরাশি। বিলীন হতে চায় অনন্তের মাঝে, হয়ত নিজের ক্ষুদ্রতাকে আড়াল করতে।
“লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান, উই আর অ্যাপ্রোচিং টু ঢাকা অ্যান্ড গোয়িং টু ল্যান্ড ভেরি সুন। দ্যা ওয়েদার ইজ নাইস, ক্লিয়ার অ্যান্ড ইউ’ল হ্যাভ আ কমফোর্টেবল টেম্পারেচার অফ টুয়েন্টি টু ডিগ্রী সেলসিয়াস। আ ব্রাইট, সানি ডে ইজ ওয়েটিং ফর ইউ। উই হোপ ইউ হ্যাভ আ প্লেজেন্ট স্টে দেয়ার। থ্যাংকস ফর ইউর ট্রাভেলিং উইথ অ্যামিরেটস।”
তন্দ্রার ঘোরে কথাগুলো শুনে রেহান। চোখটা খুলে বাইরে তাকাতেই দেখে নিচের ছোট ছোট দালান-কোঠাগুলোকে। উজ্জ্বল নীল আকাশ ওকে স্বাগত জানায় ওর মাতৃভূমিতে। নড়েচড়ে বসতে চায় ও। পেরে ওঠে না। ওর সিট বেল্ট বাঁধা। খুব অবাক হয় ও।
সিট বেল্ট বাঁধার চিহ্নটা আবার জ্বলে ওঠে।
রেহানের মাথায় ঘোরে শুধু এই কথাটাই “আ ব্রাইট, সানি ডে ইজ ওয়েটিং ফর ইউ”।
মন্তব্য
পড়লাম ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
পড়লে কিছু কইতে হয় জানো না?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কি কমু? ল্যাখা ভালো হইসে এইটা বলা জরুরী মনে হইলো না :-|
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
রেশনুভা ভাই খুব ভালো লাগল। এত সুন্দর সাবলীল লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। কখন যে শেষ হয়ে গেল বুঝলাম না।
ডি,এম, কামরুজ্জামান (দলছুট)।
অনেক ধন্যবাদ দলছুট ভাই। ভালো থাকবেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
“আ ব্রাইট, সানি ডে ইজ ওয়েটিং ফর ইউ”।
নিরাপদে দেশে ফিরুন,,,,শিগগিরইই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Have a safe journey.
-----------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হমম। ধন্যবাদ শুভকামান এর জন্য।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
খুব ভাল লাগল লেখাটি !! এভরি ডে ইজ এ নিউ ডে, টেক এ লংগ ব্রেদ আন্ড স্টার্ট এ নিউ ডে ,,,,,,ইউ ডোন্ট নো হোয়াট ইজ দেয়ার ফর ইউ !!! ইটস এন এ্যাডভেন্চার !!
অনেক ধন্যবাদ,,,,,, নিকহীন অতিথি !!!!!!!
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
হুম তাইলে দেশে যাইতেছেন, ভাল, বি এ সেফ জার্নি।
স্বপ্নদ্রোহ
খুব সপ্রতিভ বর্ণনা। ভালু পাইলাম।
=============================================
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
............................
লেখা ভালো হইছে, এই কথাটা বলা জরুরী মনে হইলো না...
নিরাপদ ভ্রমণ হউক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
হুম...।
ভাইয়া, আপনি তো আবার ফর্মে চলে আসলেন। খুব ভাল হয়েছে লেখাটা।
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
রেশ্নুভাই,
আপ্নের লেখা অলটাইম ভাল।
স্পার্টাকাস
চন্দ্রবিন্দুর সমস্যা মোটে কাটে না।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আপনি আজকাল বড় বিষণ্ণ লেখা দ্যান। ঠিক না- এটা ঠিক না...
_________________________________________
সেরিওজা
হুম, মন খারাপ হইল আবার।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ভালোবাসা রইলো! বিষন্নতা ঝাইড়া ফেলেন, নইলে মাইর আছে কপালে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল লাগছে ...
বিষন্নতার গল্প ভালো লাগলো ভাইয়া,
কিন্তু আপনি খুশী-খুশী মনে ভ্রমণপর্ব শেষ করুন, রইলো শুভকামনা
------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
আ ব্রাইট, সানি ডে ইজ ওয়েটিং ফর ইউ
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ্যাভ আ প্লিজেন্ট স্টে দেয়ার...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস! ঘটনা কি? সাম্থিম রম?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমার কাছে এইটাই আপনার সেরা লেখা...সম্ভবত সেরা গল্পও।
অনেক ভালো লিখছেন ভাই। তয় মনটন খারাপ করিনাই...জীবন যেরকম চলে আমিও সেরকম চলি।
অপেক্ষায় আছি।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...
রেশনুভা ভাই,
অসাধারন লিখেছেন। এভাবে অতীত বর্তমান এর টানাপোড়েন খুব চমৎকার লাগলো
ভালো লাগলো খুব।
একা একাই দাওয়াত খাইলেন যে বড়!!!!
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ভাইয়া আপনার লেখা পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারায়ে গেছিলাম ।
নিরাপদে দেশে ফিরেছেন জেনে ভাল লেগেছে ।
আপনি অনেক বেশি ভাল লেখেন ।
ভাল থাকবেন...
নতুন মন্তব্য করুন