ঘড়িতে সাড়ে আটটা। কাল রাতে জানালার পর্দা সরিয়ে রেখেছিলাম। জানালার স্বচ্ছ কাঁচের এপাশ দিয়ে দেখলাম অঝোর বৃষ্টি। আমি ওপাশ ফিরে খুশি হয়েই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। সাড়ে দশটার দিকে উঠেই পড়লাম। বৃষ্টির এখনও থামার কোন লক্ষণ নেই। ভাবলাম, আজ না হয় একটু দেরি করেই বের হই।
কোথাও যাওয়াই হয়নি আজ। সারাটা দিন ধরেই অনেক কাঁদলো আকাশটা। কখনও খুব উচ্চঃস্বরে আর কখনওবা ধীর লয়ে। সারাটা দিন বসে বসেই কাটিয়ে দিলাম। অনলাইনে ব্রীজ খেললাম। কিছুক্ষণ আগে টুকিটাকি কিছু বাজার সারতে ক্যাম্পাসের ভিতরের স্টোরটায় গিয়েছিলাম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। সাথে ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিলাম। অখাদ্য কিছু ছবি দিয়ে পোস্টের সাইজ বড় করে দিলাম।
আজ আমাদের এদিকটার প্রায় সর্বত্রই তুমুল বর্ষণ হয়েছে। রাস্তায় পানি শুধু বাংলাদেশেই জমে না। এখানে দেখুন।
ছেলেবেলার কথা মনে পড়ছে। আমরা তখন ঢাকার খিলগাঁও থাকি। আব্বু একটা স্কুলে শিক্ষকতা করেন। কোন কোন দিন বিকেলে বৃষ্টি শেষে আব্বুর হাত ধরে স্কুলের মাঠে বেড়াতে যেতাম। আর যেখানেই পানি সেখানেই পা ডুবিয়ে দিতাম। পরে বাসায় এসে মা'র কাছে পিট্টি খেতে হত।
সেরকম এক বিকেলেই খুব বৃষ্টি হয়েছিল। শিলা বৃষ্টি পড়ছিল। আমাদের বাসার পাশে কিছু টিনের বাড়ি ছিল। ঝমঝম শব্দ। বৃষ্টি ধরে এলে বাইরে বেড়ানোর আবদার করলাম আব্বুর কাছে। সেই স্কুলের মাঠে। বাবার হাত ধরে। তখনও কিছু বরফকুঁচি পড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে। দেখেই বাবার হাত ছাড়িয়ে দৌড়। একটা একটা করে শিলা তুলে নিয়ে মুখে পুরে দিচ্ছিলাম। ছোটবেলায় আমার স্বাস্থ্য বেশ ভালোই ছিল। আর শিলার টুকরো মুখে নেওয়ার পর গাল ফুলে আরো ঢোল হয়ে গেল ...
আজ বৃষ্টি দেখে একথা গুলোই বারে বারে মনে পড়তে লাগলো। চিন্তা করছি তাদের কথা। যাদের বাবার সাথে এরকম কোন স্মৃতি থাকে না। অথবা হয়ত যেসব বাবাদের সন্তানের সাথে এরকম স্মৃতি হাঁতড়ে খুঁজে মরতে হয়। সন্তানরা বড় হয়ে যায়। বাবারা বুড়ো হয়ে যায়। আর তাদের স্মৃতির ভাণ্ডারে শুধুই হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাস রয়ে যায়।
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
পড়তে পড়তে অনেক কিছুই ভাব্লাম, কিন্তু মন্তব্যের ঘরে তার কিছুই লিখতে পারছিনা।
ভালো থেকো!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
বাঃ বেশ তো
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
এনস্কেডের দিনপঞ্জি - ৩ কবে প্রকাশিত হয়েছিল? আমার ধারণা খোদ লেখকও মনে করতে পারবেন না। এতদিন পরে এসে এতটুকুন লেখা! এটা কি পাঠকের সাথে ন্যায় আচরণ করা হল?
পাণ্ডব'দা, ন্যায় আচরণ হয় নাই। দুঃখিত। দেখি বড় করে কিছু একটা দিব অতি শীঘ্রি।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কথা দিলেন, মনে থাকে যেন!
দাদা, আপনের থ্রেট পুরাই!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাবার সাথে আমার বৃষ্টির স্মৃতি বলতে...উনি যখন মসজিদে বৃষ্টির জন্য আটকা পরতেন, আমি ছাতি নিয়ে উনারে আনতে যেতাম।
মন্তব্য
ভাইজান,
আজ সকালে কার ওয়ালে যেন লেখালেখি করার সদুপদেশ দিয়ে চিকা মেরেছিলাম?
বৃষ্টিদিন কিংবা রৌদ্রসময়, রাতদিন কেবল এইসব সাদাকালো স্মৃতি হাতড়াই আজকাল... বুড়ি হয়ে যাচ্ছি আসলে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সাদাকালো স্মৃতি ... তবুও তারা অনেক বর্ণময়।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।