তাহাদের কথা

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: শুক্র, ১৪/১২/২০০৭ - ৬:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে বছর দুই আগের কথা। কামা'র ব্লগ পড়ে আৎকে উঠেছিলাম। কামা হচ্ছে একটি বাঙালী হিন্দু মেয়ে যার বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম ও কলকাতা উভয় পরিমন্ডলে

কামা বিলেতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং একজন স্বঘোষিত দেবদাসী। তার মতে পুরুষের সাথে যৌনসংসর্গ হচ্ছে স্বর্গীয় এবং তাকে তার দেবতার কাছে নিয়ে যায়।

দেবদাসী একটি বহুকালের হিন্দু সামাজিক রীতি যেখানে কিশোরীদের দেবতার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। ঐতিহাসিকভাবে দেবদাসীরা ব্রম্হচারী হলেও অনেক স্থানেই তাদের পুস্পিত আচার অনুষ্ঠানের পর একজনের কাছে তুলে দেয়া হয় যে প্রথম রাতের জন্যে তাকে কিছু দক্ষিনাও দিয়ে থাকে। এদের অনেকে পরবর্তীতে মন্দিরে বা আশ্রমেই থাকে এবং পুজারী বা অন্যান্যদের ভোগের সামগ্রী হয় বলে কথিত আছে। ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় অর্ধেক সংখক দেবদাসীই পরবর্তীতে দেহব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে।

কামার গল্প কিছুটা ভিন্ন। ছোটকালে দেবদাসী হিসেবে তার অভিষেক হবার পরে সে সাধারন সমাজেই বসবাস করেছে। পরবর্তীতে সে বিলেতে এসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করছে এবং সাথে সাথে দেহব্যবসাও শুরু করেছে। তার ওয়েবসাইটটি দেখলেই বুঝবেন কতটা গোছানো তার ব্যবসা। ফি থেকে শুরু করে লোকজনের তার সম্পর্কে অভিমত, ছবি ইত্যাদি বিবিধ কিছু রয়েছে।

ইগো ম্যাগাজিনে এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন:

ব্রিটিশদের অত্যাচারে ভারতের দেবদাসীরা আরাধনার স্থান (মন্দির) থেকে সাধারনের সমাজে চলে এসেছে এবং বিয়েসাদী করে সাধারন জীবনযাপন করছেন। তাদের বেশ্যা হিসেবে অপবাদ দেয়া হয়েছে বিভিন্নভাবে দাবিয়ে রাখার জন্যে। আমি দেবদাসী জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি অর্থনৈতিক ও যৌন স্বাধীনতা পাবার জন্যে যাতে আমি দক্ষিন এশিয়ার পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বলয় থেকে বের হতে পারি।

এখন বিতর্ক হকেই পারে যে সে কোন কারনে এটি করছে এবং ধর্মীয় ব্যাখ্যাগুলো যুক্তিযুক্ত কিনা। হয়ত তার কথা লোকমুখে শুনে তার সম্পর্কে আমাদের ঋণাত্ক ধারনাই হতো শুধু। তবে ব্লগ এবং নিউ মিডিয়া সম্ভব করেছে তার কথা/চিন্তাধারা সম্পর্কে আমাদের ওয়াকিবহাল করতে। ব্লগের মাধ্যমে এটাও সম্ভব তাকে কোন প্রশ্ন করা এবং তার কাছ থেকে উত্তর পাওয়া।

পরিশেষে আপনাদের আরেকটি প্রকল্পের কথা জানাচ্ছি। 'কলম' হচ্ছে কলকাতার প্রান্তিক যুবাদের নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান যা তাদের সাহিত্য প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেয় ও তাদের লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইন এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রাইজিং ভয়েসেস এর ক্ষুদ্রঋণ সহায়তায় তারা 'নেইবারহুড ডায়রীজ' নামে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে যার মাধ্যমে কলকাতার বউ বাজার এলাকার রেডলাইট এরিয়ার যুবাদের নাগরিক সাংবাদিক (সিটিজেন জার্নালিস্ট) হিসেবে গড়ে তুলবে যাতে তারা তাদের পরিবেশ/ধারনা সম্পর্কে পৃথিবীকে অবহিত করতে পারে। তাদেরও সৃজনশীরতা রয়েছে সাহিত্য সৃষ্টি করার। এখানে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে ।

হয়ত একদিন নিউ মিডিয়ার কল্যানে আমরা এইসব দুরে সরিয়ে রাখা মানুষদের আরও ভালভাবে বুঝতে পারব এবং আমাদের মাঝে আপন করে নেব।


মন্তব্য

দিগন্ত এর ছবি

"তার মতে পুরুষের সাথে যৌনসংসর্গ হচ্ছে স্বর্গীয় এবং তাকে তার দেবতার কাছে নিয়ে যায়।"

স্বেচ্ছায় লোকে "দেবদাসী" হচ্ছে - ধর্মের কি 'মহিমা'!!
---------------------------------
আমি ততদিন নাস্তিক ছিলাম যতদিন না আমি বুঝেছি যে আমি নিজেই ঈশ্বর।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

দিগন্ত এর ছবি

উইকির এনট্রিটা বেশ ভাল এ নিয়ে, পড়ে দেখতে পারেন।
---------------------------------
আমি ততদিন নাস্তিক ছিলাম যতদিন না আমি বুঝেছি যে আমি নিজেই ঈশ্বর।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

রেজওয়ান এর ছবি

আচ্ছা দিগন্ত, ধরুন ধর্মের ব্যাপরটি বাদ দিলাম। প্রফেশনাল লাইকিংস এর ব্যাপারটি ধরুন। কেউ কি দেহব্যবসা করে আনন্দ পেতে পারে না? যদিও এটি স্বল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থ এনে দেয় বলে অনেকে গ্রহন করে থাকে, কেউ কেউ হয়ত এমনিতেই বিভিন্ন যৌন সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে। সেই সাথে যদি কিছুটা অর্থও আসে ক্ষতি কি?

যৌন স্বাধীনতার ধারনাটি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বহুগামিতাতো একসময় পৃথিবীতে প্রচলিত ছিল। বিয়ের ধারনাটি এসেছে অনেক পরে।

এবিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। আশা করছি এই পেশায় নিয়োজিতদের লেখা পড়ে হয়ত কিছু জানা যাবে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

দিগন্ত এর ছবি

ধর্মের কথা বাদ দিলে বাকি ব্যাপার তার ব্যক্তিগত। স্বাধীনতার ব্যাপারটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ - কিন্তু ধর্মান্ধের স্বাধীনতা ব্যাপারটা ঠিক কি রকম সে বিষয়ে আমার সংশয় আছে।
---------------------------------
আমি ততদিন নাস্তিক ছিলাম যতদিন না আমি বুঝেছি যে আমি নিজেই ঈশ্বর।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

স্নিগ্ধা এর ছবি

রেজওয়ান আমিও আসলে মনে করি যে কামার ঘটনাটা একধরনের ‘স্বাধীনতা’ বোঝায় । এটা ঠিক যে ধর্মের কারণেই সে দেবদাসী হয়েছে বা তাকে করে হয়েছে কিন্তু তা না হলেও এই পেশা সে বেছে নিতেই পারতো। ধর্মীয় ব্যাখা বা দর্শন হয়তো তাকে এটা justify করতে বা এই ব্যাপারটাকে আরেকটু exotic আবরণ দিতে সাহায্য করছে। কিন্তু যে মেয়ে এরকম একটা ওয়েবসাইট রেখে তাতে এতো (আপনার কথা মতো) গুছিয়ে তার বক্তব্য রাখতে পারে - সে জেনে বুঝে স্বেচ্ছায় এই পেশায় আছে বলেই মনে হয়। এবং থাকতেই পারে ?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কেউ কি দেহব্যবসা করে আনন্দ পেতে পারে না? যদিও এটি স্বল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থ এনে দেয় বলে অনেকে গ্রহন করে থাকে, কেউ কেউ হয়ত এমনিতেই বিভিন্ন যৌন সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে। সেই সাথে যদি কিছুটা অর্থও আসে ক্ষতি কি?

শ্রদ্ধেয়,

লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ, সন্দেহ নেই। এ জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তবে আপনার ওপরের ওই বক্তব্যের সঙ্গে বেশ খানিকটা দ্বিতম পোষণ করছি। ...দীর্ঘ অনুসন্ধান থেকে বলছি, আমাদের অঞ্চলে অধিকাংশ যৌন কর্মীই এ পেশায় আসেন বাধ্য হয়ে, বেশীরভাগকেই ধর্ষণের পর বাধ্য করা হয় এ পেশায় নাম লেখাতে। ...সামাজিক মান - সন্মান সব কিছু হারিয়ে পরে কেউই আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। পুরোটাই একটি দেহ ব্যবসা, প্রেমহীন ক্ষণিক যৌনতামাত্র, এখানে 'আনন্দের' কোনো স্থান নেই। এছাড়া যৌনকর্মীরা অনিচ্ছায় যৌনমিলনের ফলে খুব দ্রুত যৌন আকাঙ্খা+তৃপ্তি হারিয়ে ফেলেন।...

তবে আপনি লেখায় যে কামা'র কথা বলেছেন, নিঃসন্দেহে তিনি ব্যতিক্রম।

আবারও আপনাকে ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

থার্ড আই এর ছবি

কামা'র কথা বলছি কেন ?? আমাদের চার পাশেই তো অসংখ্য উদাহরণ আছে। বহুগামিতার অভ্যাস মানুষের একটি চিরন্তন তাড়না। কারোটা দেখা যায়, কারোটা যায়না। কখনও কখনও এই তাড়না ধর্ম,সমাজ ,কিংবা পারিবারিক বাঁধার কারনে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেনা । কেউ হয়তো সমাজ ও ধর্মকে ফাঁকি দিয়ে এটা করে চলছে। কামা হয়তো ধর্মের কাছে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে।

তবে বিপ্লব রহমান যে সকল যৌণ কর্মীদের কথা বলছেন তারা হয়তো দালালদের খপ্পরে পড়ে বাধ্য হয়ে এই পেশায় এসেছে। কিন্তু একটু উপরের স্তরের দেহ ব্যবসার কথা ভাবলে হয়তো দেখবেন অনেক ক্ষেত্রে সেচ্ছায় এই পেশা বেছে নিয়েছে অনেকেই। কেউ কেউ হয়তো উচ্চাকাঙ্খা আর স্বাধীনতা উপভোগ করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়েছে দেহ ব্যবসায়। তাদের কাছে দেহ ব্যবসায় অর্থ উপার্জন দোষের কিছু না। আনন্দের পাশাপাশি অর্জন। শুধু মাত্র সমাজের চোখে নিন্দনীয় বলে নিজেকে লুকিয়ে রাখা।

বিষয়টি একান্তই ব্যক্তির নিজস্ব। তবে আধুনিক যৌণ কর্মীরা যারা পেশা হিসাবে যৌনতাকে বেছে নিয়েছেন তাদের অর্ন্তজাল ভ্রমন করলে আপনি দেখবেন সে যে এই পেশাটিতে আনন্দিত এবং তার গ্রাহককে আনন্দ দিতে প্রস্তুত তার বহু উদাহরন আপনি পাবেন। তাই যৌন অতৃপ্ত থাকার বিষয়টি মানতে পারছি না। যেমন কামার ওয়েভ সাইটটি ভিজিট করলে আপনি দেখবেন ,
http://www.princesskama.com/home.html
কামা তার গ্রাহককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছে যদি কোন খদ্দের তার পরিতৃপ্তি না পায় তাহলে তার অর্থ সে ফেরত নিতে পারবে!!

----------------------------------------

জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

rini এর ছবি

Everybody deserves sexual independence.. it’s his/ her own preference and like Kama if someone goes for prostitution for sexual bliss or economic freedom then again it’s his/her own choice.
But if someone endeavours to justify it with religious convictions like Kaka does then it becomes cheap.. it seems that Kama is not confident enough or may be she does have some sort of guilt feelings which she is trying to rationalize… hypocrisy may be.....

হাসান মোরশেদ এর ছবি

রিনি'র এই মন্তব্যের সাথে একটু যুক্ত করতে চাই,
কামসুত্রের কল্যানে ভারতীয় যৌনতার ও একটা ভালো বাজার আছে পশ্চিমের গ্রাহকদের কাছে,যেমন আছে ভারতের শিল্প ও সংগীতের , এমন কি ভারতীয় মাথা মালিশের ও ।

শুধু কামা নয়, এরকম আরো অনেকেই এটাকে তাদের সেলস পয়েন্ট হিসাবে ব্যাবহার করছেন । এটা নৈতিক না অনৈতিক,ভালো না মন্দ সে ভিন্ন আলোচনা ।
----------------------------------------
পাখীটা উড়ে যেতেই চাঁদ উঠে পড়লো-
আজো সেই রক্তমাখা মুন্ডুটাই উঠলো ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দিগন্ত এর ছবি

আমার মনে হয় আপনিই ঠিকঠাক বলেছেন। 'কামা' নামটাও কোনো চেনা বাঙালী নাম নয়, মার্কেটিং-এর স্বার্থে নেওয়া 'কামসূত্র'-র 'কামা'। এবার ব্যাপারটা ঠিকঠাক দাঁড়াল, ধর্মান্ধ নয়, কিন্তু ধর্মকে (বা কালচারকে) ব্যবহার উনি করেছেন মার্কেটিং পারপাসে। আমার মনে হয় স্বাধীনতার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপারটা ঠিকঠাকই আছে।

কিন্তু আপনি যদি আমার উইকির দেবদাসী লিঙ্কটায় যেতেন তাহলে দেখতেন এখনো হাজার হাজার পরিবার তাদের কন্যাসন্তানকে মন্দিরে দেবদাসী হিসাবে মন্দিরে সম্প্রদান করে (বিশেষত অন্ধ্র ও কর্নাটকে)। অনেকক্ষেত্রে পুণ্যের লোভে পরিবার, এমনকি কন্যা নিজেও স্বেচ্ছায় দেবদাসী হয়। এটাকে আপনি কি বলবেন? ধর্মান্ধতা? নাকি স্বাধীনতা? 'কামা' যেভাবে স্বাধীন, আপনার একই যুক্তিতে তো এই প্রকৃত দেবদাসীরাও স্বাধীন, তাই না?
---------------------------------
আমি ততদিন নাস্তিক ছিলাম যতদিন না আমি বুঝেছি যে আমি নিজেই ঈশ্বর।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

স্নিগ্ধা এর ছবি

বিপ্লব, আপনার কথাটা মর্মে মর্মে সত্যি, কিন্তু একদম সব ক্ষেত্রে না। আপনি যে প্রেক্ষিতের কথা বললেন সেটা আর্থসামাজিক দিক দিয়ে marginalized মেয়েদের জন্য সত্যি। আমাদের দেশে বা আমাদের মতো দেশ গুলোতে অভাব আর ধর্ষিত মেয়েদের ক্ষেত্রে লোকলজ্জা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা এইধরনের মানসিক বাধা মেয়েদের দেহব্যাবসায় ‘বাধ্য’ করে। পাশ্চাত্যের ব্যাপারটা কিন্তু সব সময় তা না। এখানে অনেক মেয়ে অল্প পরিশ্রমে বেশী টাকা উপার্জন করার জন্য এই পেশাটা বেছে নেয়। যেমন অনেক মেয়ে স্ট্রীপার হিসেবে রোজগার করে যেখানে কিন্তু আবার দর্শকদের জন্য স্ট্রীপারকে ছঁোয়া ও নিষেধ। বেশ কিছুদিন আগে টি ভি তে দেখাচ্ছিলো টীন এজার মেয়েদের মধ্যে সখের জামা কাপড় বা এইসব চাহিদা মেটানোর জন্য পার্ট টাইম দেহ ব্যাবসা খুব বেড়ে চলেছে। এবং লোকমুখে (রেফারেন্স দিতে পারবো না ঃ)) শুনতে পাই আমাদের দেশেও এটা মধ্যবিত্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আপনাদের সঙ্গে একমত।। আমি শুধু আমাদের অঞ্চলের অধিকাংশের কথাই বলেছি।... সবাইকে ধন্যবাদ।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অতিথি লেখক এর ছবি

আগ্রহোদ্দীপক লেখা। মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হচ্ছে তার কাজের পেছনে একটা যুক্তি দাঁড় করানো, তা যত ঠুনকোই হোক না কেন।

দিগন্ত ভাই ঠিকই বলেছেন। কামা নামটাও ইচ্ছা করে দেওয়া। বাজার পাবার দুশ্চেষ্টা!

ফেরারী ফেরদৌস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।