মাত্র তিন বছর আগেও সিটিজেন জার্নালিস্ট (নাগরিক সাংবাদিকতা), সিটিজেন মিডিয়া (নাগরিক মাধ্যম), ব্লগ ইত্যাদি শব্দগুলো বিশ্বের ৯৯% লোকের কাছেই অজানা ছিল। আজকে উন্নত বিশ্বে এটি খুবই আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে নিত্য নতুন নানা ধরনের রিসার্চ ও উদ্যোগ দেখা যায়।
আমাদের অনেকের কাছেই এখনও এ বিষয়গুলি পরিষ্কার নয় কারন অনেকেরই ভীতি আছে যে জটিল কারিগরী বিষয় এগুলো। আসলে সাধারণ কম্পিউটার পরিচালনা জ্ঞান দিয়েই নাগরিক মাধ্যমের টুলগুলো (ব্লগ, পডকাস্ট, ভিডিও ইত্যাদি) ব্যবহার সম্ভব।
গ্লোবাল ভয়েস অনলাইন হচ্ছে হার্ভার্ড ল স্কুলের বার্কম্যান সেন্টার ফর ইন্টারনেট এন্ড সোসাইটিতে (সমাজে ইন্টারনেটের প্রভাব সম্পর্কে একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক নাগরিক মাধ্যম (সিটিজেন মিডিয়া) প্রকল্প। এর ব্লগ প্রসার শাখা রাইজিং ভয়েসেস সবার জন্যে সহজ করে একটি সিটিজেন মিডিয়া গাইড প্রকাশ করেছে। এটি বর্তমানে বাংলা, ইংরেজী ও স্প্যানিশ ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে। অচিরেই অন্যান্য ভাষায়ও এটি অনূদিত হবে।
ইংরেজী থেকে এর প্রাথমিক বাংলা অনুবাদ করেছিল রাইজিং ভয়েসেস এর ক্ষুদ্র সহায়তা লাভকারী প্রকল্প নারী জীবন। এরপর আমি এটির সম্পাদনা, পরিবর্ধন, পরিমার্জন ও পেজমেকিং করেছি। এতে সচলায়তনের লিন্কও দেয়া আছে। আশা করছি এটি আপনাদের কাজে আসবে।
এটি পিডিএফ ফরম্যাটে ক্রিয়েটিভ কমন্সের আওতায় প্রকাশিত। এর সূত্র উল্লেখ করে এটিকে বানিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করা যাবে। কাজেই ছড়িয়ে দিন এটিকে আপনাদের পরিচিতজনের মাঝে। নাগরিক সাংবাদিকরা বিকশিত হোক দেশ দেশান্তরে।
মন্তব্য
এখানে ভারতের সবথেকে সফল সিটিজেন জার্নালিস্টদের অনুষ্ঠান। সি-এন-এন আই-বি-এন শুরু করার পরে এই অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয় হয়েছে এখানে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মেইনস্ট্রীম মিডিয়া এখন সিটিজেন জার্নালিস্টদের পাত্তা দেয়া শুরু করেছে। সিএনএন, বিবিসির মতো মহারথীরাও সিটিজেন জার্নালিস্টদের সাবমিট করা খবর প্রকাশ করছে। কিন্তু কোন সম্পাদনা বিহীন নিজে প্রকাশ করার সুযোগ ব্লগ ছাড়া কোথায় আছে?
সেদিন একটি মজার অনুষ্ঠান দেখলাম - বরখা দত্তের শো - এনডিটিভিতে। থীম:
Should blogs be regulated? (ক্লিক করে দেখুন)
ভারতের ব্লগের বর্তমান অবস্থার একটি চিত্র পাওয়া যায়। আমার ভাল লেগেছে হিন্দি ব্লগিংয়ের উত্থান। যেখানে ইংরেজীতে ব্লগগুলো রাজনীতি ও টাবু নিয়ে আলাপ করছে হিন্দি ব্লগগুলো সাহিত্য নিয়ে কাজ করছে। ডিজিটাল এইজে যখন মানুষ কমই বই পড়ে বা চিঠি লেখে (এসএমএস-ইমেইলে তো শব্দ সংক্ষেপ করে নতুন এক ভাষার সৃষ্টি হচ্ছে) সাহিত্য তাহলে ব্লগের মাধ্যমেই আগে বাড়বে ভবিষ্যতে মনে হয়।
সচলায়তন নিয়ে হয়ত আমরা এমনই বিবর্তন দেখতে পাব বাংলা সাহিত্যে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
আমি খুব দৃঢ় ভাবেই মনে করি যে মূলধারার অধিকাংশ লেখাই কিছুদিন পর ইন্টারনেট/ব্লগে চলে আসবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বতোভাবে সহমত। তবে পাঠকেরা কীভাবে/কবে ইন্টারনেট/ব্লগে নিয়মিত হবেন, সেটা অনিশ্চিত।
নতুন মন্তব্য করুন