ছোট্ট ঈশান ধানমন্ডির এক নামকরা ইংরেজী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তার মা তার পড়াশোনা ও রেজাল্ট নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন। এবার সে অন্তর্বর্তী কালীন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছে সে নিয়ে তার আক্ষেপের সীমা নেই। ছেলেটি কবে যে ফার্স্ট হবে!
বাসায় যখন খাতা আনা হল তখন দেখা গেল সে অন্য কয়েকটির মধ্যে একটি সহজ প্রশ্ন ভুল করেছে। প্রশ্নটি ছিল "বেগুন কি ফল না সব্জী"। সে লিখেছে সব্জী তাই পেয়েছে শুণ্য। তার মা এতে খুবই বিস্মিত হল। তার মনে পড়ল বইয়ে এরকম কিছু ছিল যে বেগুন ও টমেটো ফল। কিন্তু এ নিয়ে কনফিউশন থাকায় তিনি তা ঈশানকে পড়ান নি। হতচ্ছাড়া ছেলেটা নিশ্চয়ই ক্লাসে এটি মন দিয়ে পড়ে নি। এখন তিনি আক্ষেপ করতে লাগলেন কেন ঈশানকে বলেন নি যে এরকম প্রশ্ন আসলে বেগুন আর টমেটোকে ফল হিসেবে লিখতে।
ঈশান কে ভৎসর্না করায় তার গায়ে লাগল ব্যাপারটি খুব। সে নানীকে এসে জিজ্ঞেস করল, "নানী বলত বেগুন ফল না সব্জি"? নানী বলল "তোদের ব্যাপার স্যাপার কিচ্ছু বুঝি না। সারা জীবন ভাতের সাথেই তো আমরা বেগুন খেলাম। ছোট কাল থেকে এটিকে সব্জি হিসেবেই জানি। এটাকে আবার ফল কে বানাল?" ঈশান উল্লাস করে উঠল "ইয়াইইই!" বাবাকে বিচার দিলো "দেখো বাবা টিচার আমার নাম্বার কেটে দিয়েছে এইজন্যেই তো ফার্স্ট হতে পারলাম না। মা পেছন থেকে বলল "না বইয়ে আছে এটা ফল।" বাবা বলল মাকে "আচ্ছা ও যখন বলছে তুমি একটু টিচারকে জিজ্ঞেস করো।"
পরের দিন স্কুলে গিয়ে মা টিচারের সাথে আলাপ করল এই ব্যাপারটি নিয়ে। টিচার বলল "বইয়ে তো আছে সে অনুযায়ী ও নাম্বার পেয়েছে"। মা বলল "না ছোট বাচ্চা তো অনেক সময় অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে তাই ওকে কি বুঝিয়ে বলব বলেন"। টিচার বলল "আমি শুনেছি অনেক দেশে এটাকে কাঁচা খায় তাই এটি ফল"।
ঈশানকে বাসায় এসে তা বলতে সে চিৎকার করে উঠল। বাবাকে বলল "তুমি না বলেছ যে বইয়ে ভুল থাকে। এই যে আমাদের সোশ্যাল সাইন্সের বইতে লেখা আছে যে জাতীয় পতাকা ১৯৪৭ সালে তৈরি সেটা শুনে তুমি বলেছিলে যে না আমাদের পতাকা ১৯৭১ সালের।" বাবা বলল হ্যা সেটা তো ঠিকই। কিন্তু পরীক্ষায় নাম্বার পেতে হলে তো বইয়েরটাই লিখতে হবে।
তাহলে কি দাড়াল? বেগুন কি একটি ফল?
(উপরের উদাহরণ গুলো সত্যি ঘটনা অবলম্বনে। তবে এই লেখকের উদ্দেশ্য বেগুন এবং টম্যাটো কি ফল তা নির্ধারণ করা নয়। গুগল সার্চ দিলেই পাওয়া যায় যে উদ্ভিদবিদ্যা অনুযায়ী এ দুটো ফল। কারন তারা ফুল থেকে হয় এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে বিচি ধারণ করে। তবে এদের সব্জী হিসেবেই খাওয়া হয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে।)
কোন কিছু ফল না সব্জী তা নির্ধারণের সর্বজন স্বীকৃত উপায় হচ্ছে সেগুলোকে কাচা হিসেবে ডেজার্টে খাওয়া যায় কি না তা প্রশ্ন করা। বেগুনকে আমাদের দেশে কাঁচা খেতে নিশ্চয়ই কেউ শোনে নি। তবে এখানে সমস্যা হচ্ছে পাঠ্য বইয়ে (কোন দেশের নকল?) এদেশের চল নিয়ে কোন ধরনের ব্যাখ্যা নেই।
এখন আমরা পরিস্থিতিটির বিশ্লেষণ করব একটু তাত্বিক দিক দিয়ে। আমেরিকান মনস্তত্ববিদ লরেন্স কোহলবার্গ মানুষের নৈতিক জ্ঞানলাভের ধাপগুলো নিয়ে একটি থিওরি আবিস্কার করেছেন (Kohlberg's stages of moral development)। এখানে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন মানুষের জীবনের বুদ্ধিবৃত্তি উন্নয়নের তিনটি স্তরে (প্রতিটিতে দুটি করে) ছয়টি ধাপের কথা।
প্রথম স্তর হচ্ছে শিশু-কৈশোর স্তর যেখানে মানুষ তার উর্ধ্বতনের কথা শোনে ও শাস্তি এড়াতে চায়। সে কোন কিছু করার আগে দেখে এতে তার পাবার কি আছে। এই সব দিয়েই কোন কিছুর সত্যতা ও নৈতিকতা বিবেচনা করা হয়। কোন শিশুকে ধমকের ভয় দেখিয়ে বা চকলেট দেয়ার লোভ দেখিয়ে কোন কিছু বিশ্বাস করানো যায়, সে এর ভাল মন্দ বিবেচনা করবে সেভাবেই কারন তাকে সেটাই বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে প্রাপ্তবয়স্ক স্তর যেখানে মানুষ তেমনটিই করে যা তার সহযোগী বা ওপরওয়ালা তার কাছ থেকে আশা করে। যেমন বন্ধু বা বস যদি কোন কিছু বলে তাহলে সেটাই মেনে নেয়। এবং এর দ্বিতীয় ধাপে মানুষ তাদের কাছের লোক ছাড়াও সমাজের কথাও বিবেচনা করে। সমাজের অধিকাংশ লোক যেটাকে সত্যি বলে মানে সেটিই মানা হয়।
তৃতীয় স্তর হচ্ছে সেই স্তর যেখানে মানুষ তার বিচার বুদ্ধি, ন্যায় নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ অনুযায়ী কোন কিছুকে সত্য বলে মানে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে। এর আরও একটি চরম ধাপ আছে (ষষ্ঠ ধাপ) যেখানে মানুষ তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিবুত্তি দিয়ে একটি জোড়ালো মূল্যবোধ তৈরি করে নেয় এবং আশা করে যে সেটি সবাই পালন করবে।
এখন আমরা যদি ঈশানের ব্যাপারটি দেখি তাহলে সে প্রথম স্তরেই আছে তবে শিশু সুলভ আচরণে প্রশ্ন করতে গিয়ে অনেকাংশে দ্বিতীয় স্তরের সমাজের অধিকাংশ লোকের কথাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তার বাবা মা প্রাথমিক ভাবে প্রথম স্তর অনুযায়ীই আচরণ করেছে। তারা চিন্তা করেছে ছেলের পরীক্ষা পাশের কথা। দ্বিতীয় স্তর, যেটা অনুযায়ী নানী আচরণ করেছে সেটার ধারে কাছে তারা যায় নি।
এটিই কিন্তু আমাদের সমাজের বাস্তবতা। সমাজের অনেক অসমতা ও অনিয়মের পেছনে আমাদের নির্লিপ্ততার পেছনে এই কারন যে আমরা কোন কিছু করার আগে ব্যক্তিগত লাভ ক্ষতি আগে দেখি। আমরা শাস্তি খুব ভয় পাই। তাই পাছে বস আমাকে বের করে দেয় তাই তার দুর্নীতি চোখ বুজে সহ্য করি।
এরকম অনেক ব্যাখ্যাই দেয়া যায়। এগুলোতে প্রমান হয় আমাদের চিন্তাধারা অনেক সময়ই শিশু স্তরেই থাকে। এই আত্মকেন্দ্রিকতা ও নৈতিকতার অভাবের ফল এই সমাজ ভোগ করছে।
কোহলবার্গ বলেছেন যে এই ধাপগুলো একটির পর একটি অতিক্রম করে যেতে হবে, ডিঙ্গিয়ে যাবার উপায় নেই। তবে তিনি বলেন নি আমরা কি করে এই প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত করতে পারি। আমাদের সমাজের জন্যে তা খুব প্রয়োজন। এরকম কোন থিওরী কারও জানা থাকলে বলবেন।
মন্তব্য
কী শিখলাম!!! সর্বনাশ...
দারুন ! ধাপগুলো দ্রুত পেরিয়ে যাওয়া আসলেই খুব জরুরী হয়ে পড়েছে সবার জন্যই ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এ যূগের তৎপর বাবা-মা দের মনোযোগের কেন্দ্রে থাকে, যে টাকা তাঁরা সন্তানের স্কুলে ঢালছে, তার কতটা তাঁরা ফেরত পাচ্ছেন। বাচ্চারা বাড়ি এসে গর্ব করে বাবা-মাকে জানায় আজ অমুক পরীক্ষায় সে পাশের বাসার পল্টুকে ডাউন দিয়ে এসেছে। তারপর পরবর্তী পারিবারিক পরিকল্পনা থাকে কিভাবে পল্টুর পরীক্ষাপ্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটানো যায়। এসবের পেছনে বিদগ্ধ বাবামাদের যুক্তি, জীবনের র্যাটরেসে টিকে থাকতে হলে এরকম করতে হবে, র্যাটের পালকে পেছনে ফেলে ক্যাট না হতে পারলে এইযুগে ......ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলি অনেকদিনের পুরনো কথা। আমরা বহুদিন ধরে এই কথাগুলি বলতে বলতে নিজেরাও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই পথ ধরছি।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুন লেখা আপনার। যেভাবে সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে টেনে এনেছেন আমাদের, তা অতুলনীয়। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ সবাইকে। এটি কিন্তু একটি আক্ষেপ নিয়েই লেখা।
স্যোশাল সাইন্সের বইতে দেশের পতাকা ১৯৪৭ সালে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে এই কথা দেখার পরেও অভিভাবকদের (সংশ্লিষ্ট সকল) নির্লিপ্ততা আমাকে যারপরনাই হতাশ করেছে। নিশ্চয়ই এটি ভারতীয় কোন বই নকল করার ফল। এটি এখনও ঠিক করা হয় নি!
অভিভাবকদের আসলে কোন ভূমিকা পালন করা উচিৎ? স্কুল অথবা পাঠ্য পূস্তক কর্তৃপক্ষই বা এ নিয়ে স্বত:প্রণোদিত হয়ে কি করবেন? নাকি সবাই সংকীর্ণ মনোভাব নিয়ে পিঠ বাঁচাবেন? ঈশানরা কি জীবনে এই ভুলগুলোকেই আপন করে নেবে? এ প্রশ্নগুলো আমাদের করা খুবই জরুরী। না হলে শুধু নতুন প্রজন্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবীতে মানুষের খাদ্য তালিকার বস্তুর মধ্যে একটা জিনিসই আমি খাই না
তা এই বাইগুন...
তাই ওই সব গ্রামার দেখে বাইগুনকে ফল আর কাঁঠালকে ফুল বলতে রাজি না আমি
(আপনাদের গ্রামার অনুযায়ী নাকি কাঁঠাল কোনো ফল না। ওটা একটা ফুল)
ভালো জিনিস শিখলাম। এখন থেকে ডিম-দুধও ফল, প্রাণীজ ফল। কাঁচা খাওয়া যায়।
বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ সম্পর্কে কোহলবার্গ ভালো কথা বলেছেন। আপনার বিশ্লেষনও খাপে খাপ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বেগুন যে ফল এটা আমিও জানতাম না। নতুন জিনিস শিখলাম
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
কাঁচা খাওয়া বা রেঁধে খাওয়ার উপরও অনেক সময় ফল না সবজি বলা হবে তা নির্ভর করে না। শসা কাঁচা খাই। টমেটো কাঁচা খাই; তাই বলে তা ফল হিসেবে কেউ খায় না। সবজি হিসেবেই খাওয়া হয়। বেগুন, লাউ, ইত্যাদি কেউ কাঁচা খেতে চাইলে আমাদের কী করার আছে। কিন্তু ওগুলো সবজি। আর ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে কী যে পড়ায়। ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে ভিন্ন ভিন্ন বই পড়ানো হয়। কেউ ভারতীয় বই নকল করে কেউ ব্রিটিশ বই নকল করে আবার কেউ আমেরিকান বই নকল করে পড়াচ্ছে। ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসাও আছে এর মধ্যে। ইংরেজি মাধ্যমেই শুধু জগাখিচুড়ি না সবখানে একই অবস্থা। বড় বড় নামীদামী স্কুলে (যেখানে প্রথম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা হয় বিসিএসের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার মতই সব প্রশ্ন দিয়ে) বইয়ের স্তুপের নিচে পড়ে ছাত্রছাত্রীদের নাভিশ্বাস ওঠে। এতটা বই এতটা খাতা কিনতে কিনতে বাবার পকেটেরও হয় বেহাল অবস্থা। আর বাচ্চার বেহাল অবস্থা হয় এসব টানতে টানতে। পড়ার শক্তি কি আর থাকে। কী করা যায়?
জিজ্ঞাসু
বেগুন সব্জি হলেও আপাতত আইনের বিচারে টমেটো ফল।
আর বাংলাদেশের অধিকাংশ সমস্যার মূলে যে আমাদের ক্ষমতাবানদের তোষণনীতি এই সহজ সত্যটা এত জটিল করে মানসিক বিশেষজ্ঞের মতে দেওয়ার কৌশলটা চমৎকার হয়েছে।
------------------------------------
হুমম ,
হচ্ছে তো
ঠিকই হচ্ছে,
এইবার তুমি হাম্বা করে ডাকো।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
আপনি কোহলবার্গের থিওরীর ২.২ আর ৩.১ ধাপের মাঝামাঝি আছেন।
আমার উদ্দেশ্য ছিল কেন আমরা নির্লিপ্ত থাকি সমাজের অধিকাংশ অনিয়ম ও অনৈতিকতা নিয়ে তার উদঘাটন। ইথিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে কোহলবার্গের সন্ধান পেলাম এবং দেখা গেল তার বুদ্ধিবৃত্তি ও নৈতিকতা সংক্রান্ত থিওরী দিয়েই এর বিশ্লেষণ করা সম্ভব।
বেগুন সব্জী না ফল এই নিয়ে অনেকেরই অনেক মত আছে। কিন্তু এটি নিয়ে এই বিতর্ক পাঠ্যবইতে রাখা হয় নি। ধরুন আপনার সন্তানকে স্কুলে এটিকে ফল বলতেই বাধ্য করা হল আপনি কি করবেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
টমেটো ফল জানতাম,বেগুনও ফল আজকে জানলাম। অনেক ভালো লিখেছেন।
-নিরিবিলি
- আলু কী তাইলে?
দেইখেন কেউ আবার স্ফীতমূল কইয়া ফেইলেন না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যাবস্থায় শিক্ষার আড়ালে সার্টিফিকেট একটা বড় পণ্য। বেগুন যা খুশি হউক... সার্টিফিকেটটা বাগাইতে পারলেই হয়... মা বাপেরও চাহিদা সেই পথেই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন