অন্কেল আর টান্টে ক্লুটজকোভস্কি

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৭/২০০৯ - ৬:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আশি বছর বয়সী এই জার্মান বুড়ো এবং তার স্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি? তাদের সাথে দেখা হওয়ার আগে তা ঘুণাক্ষরেও অনুমান করার উপায় ছিল না।

হঠাৎ করেই এক দাওয়াতে পরিচয় তাদের সঙ্গে। উনি প্রথমেই উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন যে তার ইংরেজী জ্ঞান খুবই সীমিত। ওনার স্ত্রী একেবারেই পারেন না, তাই আমাদের কারও কারও কথা অনুবাদ করে দিতে হচ্ছিল। পাশে বসেছিলাম বলেই অনেক কথা বলার সুযোগ হলো এবং আস্তে আস্তে আমরা সত্তুরের দশকে চলে গেলাম। আশে-পাশের সব কিছুই তখন গৌণ মনে হতে লাগল।

১৯৩০ সালে জন্ম হর্সট ক্লুটজকোভস্কির। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকার অনেক অংশই চোখের সামনে দেখা। বাস তার বৃহত্তর বার্লিনের বুখ অঞ্চলে। ১৯৭২ সালে তিনি একটি ফিল্ম স্টুডিওতে কাজ করতেন। তিনি ছবি তুলতেন আর তার স্ত্রী সাহায্য করতেন তা প্রসেস করতে। হঠাৎ করেই তার কাছে খবর এল বাংলাদেশ থেকে কিছু আহত যোদ্ধা এসেছে বুখের সলিডারিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাংলাদেশ! তার স্ত্রী বলছিলেন যে সাধারণ: জার্মানদের কাছে ভারতীয় উপমহাদেশের সবাই হচ্ছে ইন্ডার (ভারতীয়)। ভারত সম্পর্কে নানা কল্পকাহিনী জানা থাকায় তাদের সম্পর্কে কৌতুহলও কম ছিল না। তাই তারা ছুটে গেলেন এই যোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতে। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল একটি ডকুমেন্টারী করার। সেটি করলেনও এবং তার থেকেও বেশী এই বাদামী কিছু মানুষের টান্টে (মাসী) আর অন্কেল (কাকা) হয়ে গেলেন চিরদিনের জন্যে।

পূর্ব জার্মানী হচ্ছে তৃতীয় দেশ যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় (১১ই জানুয়ারী ১৯৭২)। এর পরেই ধাপে ধাপে বেশ কিছু আহত মুক্তিযোদ্ধাকে সেখানে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্যে। এদের প্রাথমিক সমস্যা ছিল ভাষা। অন্কেল হর্সট তার ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজী দিয়ে এদের সাহায্য করতে থাকেন।

টান্টে বলছিলেন যে নার্স খাবার নিয়ে এসেছে। মসলা ছাড়া আলু ভর্তা আর সব্জি দেখে আহত যোদ্ধা বলে চলে নো নো রাইস, রাইস। নার্স বুঝতে পারছে না কি করবে। তখন তিনি নার্সকে বলে সস বা ভাত যোগ করে কিছুটা খাবার উপযোগী করে দেন। একজনের কনুই থেকে দুই হাত কাটা পড়েছে। টান্টে প্রতিদিন চলে যেতেন তার কাছে। বাহু দুটো চুলকে দিলে কিছুটা আরাম পেতেন যোদ্ধা। পরম মমতাভরা তাদের এইসব সাহায্য বাঙালী যোদ্ধারা কৃতজ্ঞতা ভরে এখনও স্মরণ করে, তারা বললেন।

সে অনেক নাম; হারুন, হক, দৌলা, শেরু যাদের তারা শুশ্রূষা করেছেন। আমি অধিকাংশকেই চিনতে পারলাম না, চেনার কথাও না। এর পর ব্যাচের পর ব্যাচ আহত মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে যেতে লাগল পরবর্তী কয়েক বছরে। তারা পূর্ব বার্লিনে নেমেই অন্কেল-টান্টের খোঁজ করতে লাগলেন। শেরুর (প্রাক্তন কুটনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী) কথা বলতে থাকলেন যে শরীরটা বেশ খারাপ হয়েছিল কারন পায়ের হাড্ডি চূর্ণবিচুর্ণ হয়েছিল। ডাক্তাররা মনে করেছিলেন বাঁচাতে পারবে না। অপারেশনের দিন সারারাত টান্টে জেগে ছিলেন। তারপর ভালো হয়ে যাওয়ার পর পায়ের ব্যান্ডেজের জন্যে প্লেনে ফিরতে পারছিলেন না শেরু। বিশেষ কার্গো প্লেনের জন্যে অপেক্ষা করতে হলো তিন মাস। এ তিন মাস তিনি টান্টে-অন্কেলের কাছেই নিজের ছেলের মত ছিলেন এবং খুব ভালোভাবে জার্মান ভাষা শিখেছিলেন। এভাবেই নানাপ্রকারে এই দম্পতি বাঙ্গালীদের সাহায্য করেছেন।

তিনি শুনেছেন যোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি তার ডকুমেন্টারিটি বাংলাদেশে প্রচারিত হয়েছিল নাকি ৭৩-৭৪ সালে। আমি জিজ্ঞেস করলাম জার্মানিতে প্রচারিত হয়নি? তিনি বললেন, "না" এবং আর কিছু বললেন না। আমি নাছোরবান্দা ভাবে জিজ্ঞেস করেতে লাগলাম ডিডিআর সরকারের ভূমিকা ছিল কত বাঙ্গালীদের সাহায্য করায়?

তিনি তখন বলা শুরু করলেন, "আমি যা করেছি ব্যাক্তিগত ভাবেই করেছি। আমি জানি যুদ্ধের বিভীষিকা কি। আমি যখন তাদের সাহায্য করা শুরু করি তখন নানা পক্ষ বিভিন্ন ভাবে ব্যাপারটি দেখে। বাংলাদেশ এম্ব্যাসী থেকেও আমার ডাক শুরু হয়, যেন আমার কাজই তাদের সাহায্য করার। আমার বাসায় কয়েকজন বাঙ্গালী থাকা অবস্থায় আমি লক্ষ্য করলাম আমার বাড়ীর সামনে পুলিশ পাহাড়া। আমি ভাবলাম ডিডিআর সরকার হয়ত তাদের সিকিউরিটির জন্যেই রেখেছে। কিন্তু ক্রমেই পরিস্কার হতে লাগলো আমি তাদের পূর্ণ নজরদারীতে। এম্ব্যাসীর সাথে যোগাযোগও তারা ভাল চোখে দেখে না। আমার বাড়ীতে যেসব গাড়ী আসে সেসবের নম্বর প্লেট তারা টুকে নেয়। দুই জার্মান একত্রীকরণের পরে পুরোনো স্টাসী রেকর্ডগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেখানে গিয়ে আমার ফাইলে দেখে এসেছি - আমার বিরুদ্ধে সন্দেহ করা হচ্ছিল যে আমি গোয়েন্দাবৃত্তি করে বাংলাদেশে তথ্য পাচার করছি।"

বাংলাদেশে কখনও জাননি? জিজ্ঞেস করতে তিনি বললেন "পূর্ব জার্মান সময়ে সেটা তো সম্ভবই ছিল না। শেরু ইতালীর দুতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমাকে রোমে নিয়ে যাবার জন্যে ডিডিআর এর মন্ত্রী পর্যায়ে যোগাযোগ করে। কিন্তু ছাড়পত্র মেলেনি। আর এখন তো বুড়ো হয়ে গেছি, আমার স্ত্রীর প্লেনে চড়া মানা।"

এতসব বাধা-বিপত্তি সত্বেও বাঙ্গালীদের প্রতি তাদের স্নেহ কখনো কমেনি। তিনি বললেন এখনও মাঝে মধ্যে তিনি ফোনকল পান "হাই অন্কেল, হাউ আর ইউ। আর ইউ স্টিল ড্রাইভিং ইওর কার? দেন ইউ আর স্টিল ইয়ং।" আর তাদের স্মৃতি রোমন্থন করে বুড়োবুড়ির দিন কাটে।

আমি বললাম আপনার কাছে এত গল্প এগুলোতো প্রকাশ করা উচিৎ। লিখেই ফেলুন না একটি বই। উনি বললেন "হ্যা আগে তো সম্ভব ছিল না। এখন তা করাই যায়।" কিন্তু কথা আর এগুলো না, কারন সবারই যাওয়ার পালা।

আমি ভাবতে লাগলাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এই যে নানা গল্প রয়েছে সেগুলো হয়ত একসময় এমন মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে স্মৃতির অতলে তলিয়ে যাবে। অন্কেল-টান্টের মত এইসব সুহৃদরা কি অনুল্লেখিতই থেকে যাবে?

তাদের নিয়ে কোন লেখা বা তাদের ডকুমেন্টারিটি নিয়ে কোন রিপোর্ট চোখে পড়েনি। কেউ যদি কখনও খুঁজে পান জানালে বাঁধিত হব।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এরকম মানুষেরা আমাদের চোখে চিরকালই ইয়াং থাকবে। থ্যাংক ইউ রেজওয়ান ভাই, এঁদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

হিমু এর ছবি

ব্লগ বোধহয় এই না জানার ব্যবধানগুলিকে খুব দ্রুতই মুছে দেবে। অঙ্কেল আর টান্টের জন্যে শুভকামনা রইলো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

এম. এম. আর. জালাল এর ছবি

ধন্যবাদ , রেজওয়ান
আমাদের যে কত কিছুই জানা নেই,
আবারো ধন্যবাদ এঁদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।


এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"


এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তাঁদেরকে নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু করা যায় না রেজওয়ান ভাই? যেমন তাঁরা যেমন দেখেছেন, যা দেখেছেন, যা করেছেন, যা অনুভব করেছেন আমাদের আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে। সব তাঁরা বর্ণনা করবেন। সেগুলো ধারণ করা হবে ক্যামেরায়। তারপর ভাষান্তর করা হবে বা সাবটাইটেল যোগ করে সেটাকেই একটা পূর্ণাঙ্গ ডকুমেন্টারিতে রূপ দেয়া হবে! সম্ভব না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভুতুম এর ছবি

সহমত ধুগো'দার সাথে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

রেজওয়ান এর ছবি

অবশ্যই ধুগো। আমার জার্মানী থাকার পাঠ তো চুকলো। সচল জার্মান টীমের কাছেই সেই দায়িত্বভার অর্পন করে যাচ্ছি। আমি যোগাযোগটুকু করিয়ে দিতে পারব।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই।
---
ধূ.গো.আর আইডিয়াটি দারুণ। এই মহান দম্পতির একটি সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রামান্যচিত্র করে এটি সারা বিশ্ব ছড়িয়ে দিতে পারলে একটি সত্যিকার কাজের কাজ হতো!

একই সঙ্গে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর তাদের নিজেদের তৈরি প্রাম্যান্যচিত্রটিও উদ্ধার করে এর প্রচার করা জরুরি। ...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সুমন চৌধুরী এর ছবি
ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দেখি বদ্দা, বলাই'দা আর হিমু'র সাথে বাতচিৎ করে। যদি সব কিছু ঠিকঠাক এগোয় তাহলে হিমুকে দিয়ে একটা স্ক্রিপ্ট লেখিয়ে নিয়ে কাজে নেমে পড়া যাবে। ক্যামেরা যদিও হাতের কাছে নেই, তবে ঐটা সমস্যা না। যোগাড় করা যাবে। জিনিষটা নিয়ে আমি আশাবাদী। দেখা যাক সময় আর সুযোগটা ধরা দেয় কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

না রেজওয়ান ভাই, হারিয়ে যাবে না কখনো। এই যে আপনি লিখলেন। এভাবেই আমরা জানতে পারবো।
ধূগোর আইডিয়া মত আপনিই একটা ডকু বানিয়ে ফেলুন না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সিরাত এর ছবি

পশ্চিম জার্মানী তাহলে আমাদের কবে স্বীকৃতি দেয়?

আবারো একটু নিশ্চিত হয়ে নেয়ার জন্য: এরা পূর্ব জার্মান, তাই না?

রেজওয়ান এর ছবি

পোস্টের লিন্কটিতে দেখুন জানুয়ারী ১১, ১৯৭২ এ পূর্ব জার্মানী স্বীকৃতি দেয়।

পশ্চিম জার্মানী স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী

ক্লুটজকোভস্কি দম্পতি তৎকালীন আমলের পূর্ব জার্মানী অঞ্চলেই ছিল। এখন তারা একীভুত জার্মানীর নাগরিক।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

কল্পনা আক্তার এর ছবি

তারা কখনোই হারিয়ে যাবেন না। বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে, আজ আমি জানলাম, কাল আমি আরো পাঁচজনকে বলবো এই লেখা পড়তে দেবো, এভাবেই বেঁচে থাকবেন তারা।

ডকুমেন্টারী বানানো আইডিয়াটা দারুন.....

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

তীরন্দাজ এর ছবি

বাহ! দারুন একজন মানুষের সাথে পরিচয় হলো আপনার! আমাদেরকেও পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নিবিড় এর ছবি

ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই এইরকম দুইজন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য
আমাদের যুদ্ধকালীন প্রজন্মের অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন, সাথে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক স্মৃতি। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই নিজেদের অবস্থান থেকে তাদের স্মৃতিগুলো সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা যেতে পারে। তাই ধূগোদার প্রস্তাবটা ভেবে দেখা যেতে পারে। প্রফেশনাল ভাবে সম্ভব না হলেও অন্তত সাধারণ হ্যান্ডিক্যাম দিয়ে যদি তাদের সেই সময়কালীন স্মৃতি ধরে রাখা যায় তাহলে হয়ত ভবিষ্যতে দারুণ কাজে দিবে এইটা।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই।
ধুগোর আইডিয়াটাকে আমিও সমর্থন করছি।

আচ্ছা, শমশের মবিন চৌধুরি তো রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মিডিয়া ভ্যালুও কম হওয়ার কথা নয়। তিনি কি কখনো মিডিয়াতে এই আঙ্কেলের স্মৃতিচারণমূলক কিছু লিখেছেন বা বলেছেন ? আমার জানা নেই। না করে থাকলে তিনি খুবই অন্যায় করেছেন। আঙ্কেলের সাথে তো বটেই, বাঙালির সাথেও তাঁর এই নীরবতাকে আমি অকৃতজ্ঞতা হিসেবেই দেখবো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মামুন হক এর ছবি

ভালো লাগল। লেখককে ধন্যবাদ। ডকু বানাও ধুগো, আমরা আছি কোন সাহায্য লাগলে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সহমত ধুগো'দার সাথে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য...

--------------------
কালো যদি মন্দ তবে
কেশ পাকিলে কান্দ কেনে?

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

রানা মেহের এর ছবি

অসাধারণ দুজন মানুষের কথা জানলাম
মনটাই অন্যরকম হয়ে গেল

ধুসর গোধুলীর আইডিয়া বাস্তবায়ন হোক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

এমন মানুষদের কথা শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে।

আর ধূগোদার উদ্যোগে চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।