হ্যা, আঁতকে ওঠার মতই এই শিরোনামটি। 'দ্যা ম্যান হু এইট মাইকেল রকেফেলার' হচ্ছে জেফ কোহেন পরিচালিত নিউ ইয়র্কের অফ ব্রডওয়ের সাম্প্রতিক মঞ্চায়িত একটি (সেপ্টেম্বর ১০ -অক্টোবর ৩, ২০১০) নাটকের নাম যা ক্রিস্টোফার স্টোকসের একই শিরোনামে একটি ছোট গল্প অবলম্বনে রচিত।
এখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগবে এই মাইকেল রকেফেলার কে। কোন সাধারণ মানুষ হলে এত মনোযোগ পেতেন না যতটুকু মাইকেল রকফেলার পেয়েছেন ১৯৬১ সালে তৎকালীন নিউ গিনিতে তার অন্তর্ধানের পরে। ১৯৩৮ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম নেয়া মাইকেল তৎকালীন নিউইয়র্কের মেয়র এবং পরবর্তী আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন অলড্রিচ রকেফেলারের ছেলে।
আজকের দিনে যেমন বিল গেটস বা আম্বানি পরিবারের সম্পদ ও সাম্রাজ্যের কথা আমাদের মুখে মুখে সেরকমই আমেরিকার রকেফেলার পরিবারের নামের পরিচিতি উনবিংশ শতাব্দি শেষ ভাগ থেকে বিশ্বব্যাপী রয়েছে। জন ডি রকেফেলার অবশ্য দানেও সুপরিচিত ছিলেন –- শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় তারই অর্থে তৈরি এবং তিনি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করছেন শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শিশুদের কল্যাণে (১৯২৫ সালের ৫০০ মিলিয়ন মানে বর্তমানে ৫ বিলিয়ন ডলার)। তাদের পরিবারেরই সন্তান নেলসন ডি রকেফেলার ১৯৫৮ সালে নিউ ইয়র্কের গভর্নর হন। তিনি তিন বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্যে দাড়িয়ে ১৯৭৪ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
ছবি: কলেজে মাইকেল
মাইকেলের বেড়ে ওঠা ছিল শান শওকতের মধ্যে - খেদমতে ছিল প্রচুর কাজের লোক। সেরা স্কুল, ইউরোপে ছুটি কাটাতে যাওয়া এবং আমেরিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় রকফেলার ম্যানসনগুলিতে ভ্রমণ - এগুলো তার জন্যে ছিল নস্যি। মাইকেলের গ্রাজুয়েশন হয় ১৯৬০ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্যে এবং তার পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দেয়াই তার অবধারিত নিয়তি ছিল।
কিন্তু একটু পড়ুয়া টাইপের (তার চোখের চশমার জন্যে) মাইকেল বখে যান নি এবং তার ধনের গর্ব ছিল না। তিনি তার প্রচলিত জীবনধারার বাইরে অভিজ্ঞতা লাভের জন্যে পুয়ের্টোরিকোতে এক গ্রীষ্মের ছুটি কাটান মুদি দোকানে কাজ করেন এবং ভেনেজুয়েলাতে তাদের পরিবারের র্যান্চে রাখালের কাজ করেছেন। নতুন যায়গা, মানুষ ও বিষয়ের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। এবং সেই আগ্রহ মেটাতে নিয়তির খেলায় মাত্র তেইশ বছর বয়সে নিউ গিনির জঙ্গলে তিনি অন্তর্ধান হন।
আজও পর্যন্ত নিউ গিনিকে বেশ রহস্যভরা এলাকা হিসেবে সুবিদিত। গত শতাব্দী জুড়ে ইংরেজ এবং ওলন্দাজ মিশনারীরা সেখানকার জংলী আদিবাসীদের ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং সভ্য জগৎে ফিরে এসে তাদের ছিন্নমস্তক এবং মানুষের মাংস খাবার গল্প ছড়িয়ে বিশ্বব্যাপী মনযোগ আকর্ষণ করেছেন। এই সব জংলীরা বাস করতেন ঘন জঙ্গলে - মাইলের পর মাইল ভেতরে। ওখানে কম সভ্য লোকই যেতে পারত বলে তাদের এইসব মানুষখেকো আদিম আচার তখনও চলছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সেখানে নৃতত্ত্ববিদদের বেশ কটি অভিযান চালিত হয় এবং ঘটনাক্রমে মাইকেল ১৯৬১ সালে সেরকম একটি অভিযানে অংশ নিয়ে পাপুয়া নিউ গিনি আসে।
হার্ভার্ডের গ্রাজুয়েশন শেষে ৬ মাস বাধ্যতামূলক সামরিক ট্রেইনিং এর পরে বাবার ব্যাক্তিগত আর্টের সংগ্রহশালার জন্যে শিল্পকর্ম সংগ্রহ করার জন্যে তার দক্ষিণ আমেরিকার আন্দেজ অঞ্চলে যাবার কথা ছিল। কিন্তু তার রুমমেটের কাছে শুনতে পান যে রবার্ট গার্ডনার নামে হার্ভার্ডের একজন তরুণ প্রফেসর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের হয়ে নিউ গিনিতে একটি নৃতাত্বিক অভিযানে যাবেন। ঠিক হল যে রকফেলার নিজ খরচে অভিযানে যোগ দেবেন এবং রবার্টের ডকুমেন্টারি দলে সাউন্ড রেকর্ডার এবং ফটোগ্রাফারের কাজ করবেন।
তারা তৎকালীন ডাচ নিয়ন্ত্রিত নিউ গিনিতে (বর্তমানে দ্বীপটির এক অংশ ইন্দোনেশিয়ার এবং আরেক অংশ স্বাধীন পাপুয়া নিউ গিনি) এসে বালিয়েম উপত্যকার এনদানি আদিবাসীদের উপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা শুরু করেন। এই অভিযানের ছবিতে দেখা যায় মুখভর্তি দাড়ি ও খাকি প্যান্ট পড়া মাইকেল আদিবাসীদের সাথে কথা বলছেন ও তাদের ছবি তুলছেন। এই অভিযানে মাইকেল আসমাত আদিবাসীদের (বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার অধীনে পাপুয়ার একদল জংলী) সম্পর্কে শোনেন এবং তাদের কাঠের কাজ, মস্তকের খুলিতে কাজ ইত্যাদি সংগ্রহ করতে আগ্রহী হন।
১৯৬১ সালের জুন মাসে তিনি মূল অভিযান থেকে আলাদা হয়ে আসমাতদের সন্ধানে যান। তিনি স্টিলের কুঠার আর সিগারেট এর বদলে এগুলোর কয়েকটি নমুনা যোগাড় করেন এবং বিস পোল (৩০ ফুট লম্বা কাঠের কারুকার্যখচিত পোল) এবং কাঠের ক্যানো (নৌকা) সংগ্রহ করতে মনস্থ করেন। রকফেলার তার ডায়রিতে লেখেন আসমাত আদিবাসী সম্পর্কে: “এইসব শিল্পের মতই আশ্চর্যজনক হচ্ছে তাদের আচার ও রীতি যা এখনও আদিম রয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও এরা সবাই হেডহান্টিং (ছিন্নমস্তক সংগ্রহ) করত। কিছু গহীন এলাকায় এখনও তারা তা করে।” তবে উদ্ধত ও বিপদজনক আসমাতদের সাথে সমস্যা হওয়ায় তিনি আবার মূল অভিযানে ফিরে যান জুলাই মাসে। সেপ্টেম্বর মাসে তারা সবাই আমেরিকা ফিরে যান।
বাড়িতে ফিরে মাইকেল শোনেন যে তার বাবা-মার বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে এবং তার মন ভারাক্রান্ত হয়। তিনি আবার নিউ গিনি ফিরে যেতে মনস্থ করেন এবং সেই অভিযানের জন্যে যোগাড়-যন্তর শুরু করেন। এর জন্যে সরকারী অনুমোদনের দরকার ছিল – তবে তার পিতা ক্ষমতার জোরে সহজেই মার্কিন ও ডাচ সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহ করে দেন। দু সপ্তাহ বাড়ি থেকেই তিনি সেপ্টেম্বরেই আবার পাপুয়া নিউ গিনি ফিরে যান।
তিনি প্রথমে থামেন উত্তরের উপকুলের হলান্ডিয়াতে (তখনকার ডাচ কলোনির রাজধানী) এবং ডাচ সরকারকে বলেন একজন গাইড জোগাড় করতে। ঠিক হয় ডাচ ব্যুরো অফ নেটিভ অ্যাফেয়ার্সের রেনে ওয়াসিন্ক যাবে তার সাথে। এটি একটি অবিবেচক সিদ্ধান্ত ছিল কারন রেনে একজন নৃতত্ববিদ ছিলেন – অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বুশম্যান নয়। তারা ৩০ ফুট লম্বা একটি মোটর চালিত ক্যানু (নৌকা) কেনেন এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি আসমাতদের লোকালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। তারা ডজনের ও বেশী আসমাত গ্রামে যান এবং ডাচ মিশনারীদের সহায়তায় তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি আরও আদিবাসী শিল্পকর্ম যোগাড় করেন এবং এবং ছিন্ন মস্তকের জন্যে ১০টি কুঠার দেবেন বলে ঘোষণা দেন যা পরে ডাচ সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক সমালোচিত হয় (কারণ এটি আদিবাসীদের মানুষ হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করবে)।
ছবিতে: রেনে ওয়াসিন্ক
এই অভিযানে তার খুব কষ্ট হলেও বিরল শিল্প কর্ম সংগ্রহের লক্ষ্যে তিনি তা চালিয়ে নিতে থাকেন। ১৯৬১ সালের নভেম্বরের ১৮ তারিখে তারা আইলান্ডেন নদী দিয়ে যাচ্ছিলেন যা আরাফুরা সাগরে এসে মিশেছে। সাগরের বিস্তীর্ণ মোহনায় এসে জোড়াল স্রোতের তোড়ে তাদের নৌকায় পানি ঢোকে ও তা উল্টিয়ে যায়। তাদের সাথের আদিবাসী দুই বালক পেট্রোলের জেরিকেনের তেল ফেলে সেটাকে লাইফবয় করে সাহায্যের জন্যে কুলের সন্ধানে ছুটে যায়। মাইকেল ও রেনে উল্টানো নৌকা ধরে ভাসতে থাকেন খরস্রোতা নদীর মোহনায়। স্রোত নৌকাটাকে এবং সাথে সাথে মাইকেল ও রেনেকেও সাগরের দিকে টেনে নিতে থাকে। তাদের আশা ছিল সাহায্য আসবে সহসাই – এবং এই আশায় একটি রাত ভেসে কাটায় তারা। ভোর পাঁচটার দিকে তারা তীরের দেখা পায় এবং আন্দাজ করে ৪ থেকে ৭ মাইল দুরে তা হবে। তারা নৌকার কাঠ ভেঙ্গে দাড় বাইতে চেষ্টা করে উল্টানো নৌকার দিক পরিবর্তনের জন্যে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। তারা ক্রমশই সমুদ্রের দিকে ভেসে যাচ্ছে দেখে মাইকেল সাঁতরে কুলের দিকে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। রেনে তাকে বোঝাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে এবং শেষে বলে “মাইকেল তুমি পাগল হয়ে গেছ”। রেনে সাঁতার ভাল মত পারেন না তাই বোটের কাছে থেকে গেলেন।
সেই আদিবাসী ছেলে দুটি পাঁচ ঘন্টা সাঁতরে তীরে পৌঁছে খবরটি দেয় যে মাইকেল ও রেনে বিপদে পড়েছে। পরদিন সকালে ডাচ সরকার ১২টি নৌকা ও সার্চ প্লেন সহকারে উদ্ধার টিম পাঠায়। নভেম্বরের ১৯ তারিখ বিকেলে রয়্যাল ডাচ নেভি রেনেকে সাগর থেকে উদ্ধার করে।
মাইকেলের বাবা তৎকালীন নিউ ইয়র্কের গভর্নর ও পরবর্তীকালে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট নেলসন রকেফেলার
খবর পেয়ে গভর্নর নেলসন রকেফেলার পাপুয়া ছুটে আসেন। তার উদ্যোগে আরও দশদিন সার্চ অব্যাহত থাকে, কিন্তু মাইকেলের দেখা মেলে না।
রেনে মনে করেন যে মাইকেল ভাটার সময় সাঁতরে কুলে যেতে পারেন নি। তবে মাইকলের বাবার গুরুত্ব বিবেচনা করে এরপর সংবাদপত্র বিভিন্ন ধরনের চটকদার সংবাদ তৈরি করতে থাকে (হলুদ সাংবাদিকতা তখনও ছিল)। প্রথম দিকে চাউর হয় কোন কুমীর বা হাঙ্গর মাইকেলকে খেয়েছে তাই সে কুলে পৌঁছাতে পারে নি। এর পর বিভিন্ন সময় প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে খবর এসেছে মাইকেলকে জঙ্গলিরা ধরে রেখেছে বা সে স্বেচ্ছায় তাদের সাথে আছে। এ জন্যে মাইকেলের পরিবার কখনই তার ফিরে আসার আশা ছাড়ে নি।
মাইকেলের এই ঘটনা নিয়ে বেশ কটি বই লেখা হয়েছে, টিভিতে ডকুমেন্টারি ও চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে যাতে তার রহস্যময় অন্তর্ধানের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ছবি: সাংবাদিক মিল্ট মাখলিন
আট বছর পরে সাংবাদিক মিল্ট মাখলিন নিউ গিনিতে পৌছান মাইকেল রকেফেলারের অন্তর্ধান রহস্য তদন্ত করতে। তিনি আসমাতদের গ্রামে কাজ করা এক ডাচ মিশনারী উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে জঙ্গলিরা তাকে ধরে খেয়ে ফেলেছে। এই মিশনারী জানান যে মাইকেল যেখানে অদৃশ্য হয়েছে তার অনতিদুরেই পাঁচজন আসমাত লোককে ডাচ পুলিশ বছর দুই আগে হত্যা করে। তারা প্রতিশোধ নেবার জন্যে মুখিয়ে ছিল। পানিতে থাকা অবস্থায়ই জঙ্গলিরা তীর মেরে মাইকেলকে আহত করে। এর পর তাকে ডাঙ্গায় তোলা হয় এবং মাথা কেটে নেয়া হয়। তার শরীরের কিছু অংশ রেঁধে তারা খায় এবং বাকি অংশ মাটিতে পুঁতে ফেলে। দুজন আদিবাসী যোদ্ধা জানায় যে তারা একজন সাদা চামড়ার উইচ ডক্টরকে ধরে মাথা কেটে ফেলে এবং তার যাদু এখন তাদের কাছে। এদের একজন যাদু হিসেবে মাইকেলের চশমা দেখায়।
কেউ কেউ এমনও বলেছে যে ডাচ সরকার জঙ্গলি দ্বারা মাইকেলের মৃত্যুর ঘটনা লুকিয়েছে তখন কারণ এতে পর্যটক/অভিযান আসা বন্ধ হয়ে যেত।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত মিল্ট মাখলিন এর 'দ্যা সার্চ ফর মাইকেল রকফেলার' বইটি অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে যা এ বছরই বের হবার কথা। ১৯৯৫ সালে ডিসকভারী চ্যানেলে মাইকেলের উপর একটি ডকুমেন্টারীতে তার পরিবারের লোকজনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
পরিস্থিতি এখন অনেক বদলেছে - নিউ গিনির এক অংশ এখন ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশ এবং অপর অংশ স্বাধীন পাপুয়া নিউ গিনি। কিন্তু কিছু জিনিষ এখনও বদলায়নি। ২০০৫ সালে নিউ ইয়র্কার পত্রিকা ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার ইরিন জায়াতে একটি অভিযাত্রার খবর ছাপায় যেখানে এক জঙ্গলী গোত্রের সাথে সভ্য জগৎের মানুষের প্রথম দেখা হয়। যা বোঝায় যে এই অঞ্চলের বহু এলাকা এখনও সভ্য মানুষের যোগাযোগের বাইরে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সাইটটি এ কে রকফেলারের নামে যাকে বলা হয় মাইকেল রকফেলারের মিশ্র সন্তান যে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সমর্থনে বিভিন্ন কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।
মাইকেল রকেফেলারের সংগৃহীত অনেক শিল্পকর্ম এখন মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টস (মোমা) এর মাইকেল সি রকেফেলার কালেকশনে আছে (মাইকলের বাবা এই জাদুঘরের একজন ট্রাস্টি ছিলেন)।
ছবি এবং অন্যান্য গল্পের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি নিম্নলিখিত সাইটগুলির কাছে:
১) মাইকেল রকেফেলারের অন্তর্ধান - পাপুয়া হেরিটেজ সোসাইটি
২) মাইকেল রকেফেলার - ডেভিড ক্রাইচেক, ট্রুটিভি ক্রাইম লাইব্রেরী
আরও কিছু সহায়ক লিঙ্ক:
১) দ্যা সার্চ ফর মাইকেল রকেফেলার - আগামেমনন ফিল্মস
২) ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া রেইন ফরেস্টের আদিবাসীদের ছবি - যারা সভ্য জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন
৩) লিওনার্দ নিময়ের উপস্থাপনায় টিভি ডকুমেন্টারি ইউটিউবে দেখুন:
মন্তব্য
তথ্যসম্দ্ধ লেখা। ভালো লাগলো
দারুণ লাগল লেখাটা
অফটপিকঃ যদিও এখানে অপ্রাসংগিক তাও একটা কথা না বলে পারলাম না। রকফেলার প্রসংগ যেখানেই আসে দেখি তাদের দানশীলতা নিয়ে কথা আসে কিন্তু তাদের অর্থ কীভাবে আসল কিংবা তাদের অত্যাচারের কাহিনি সামান্যভাবেও কোথাও আসে না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় ইতিহাস আসলে ক্ষমতাবানদের কথাই শুধু বলে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ বিষয়টি নজরে আনার জন্যে - আমার জানা ছিল না। The Ludlow Massacre এর বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লেখার জন্যে আরও ধন্যবাদ। সেখানে মাত্র উনিশ জন মারা গেছে।
কিন্তু এই পাপুয়া দ্বীপকে ইন্দোনেশিয়ার দখলের মূলে রয়েছে ফ্রিপোর্ট মাইন (বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ও কপার মাইন -৩০০০০ জন কাজ করে) এবং এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শত শত পাপুয়াবাসীর মৃত্যু ও মানবাধিকার লংঘন নিয়ে আমি পূর্বে লিখেছি। পাপুয়ার লোকেরা (পলিনেশিয়ান গোত্রের) ইন্দোনেশিয়ানদের থেকে অনেক আলাদা - জাতি, সংস্কৃতি ও ভাষা হিসেবে - তাই ইন্দোনেশিয়ার দখল ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে থেকে তারা স্বাধিকার আন্দোলন করছে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অনেক কিছুই জানলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অন্যধরণের লেখা। আর ভিন্নধরণের তথ্য। সিনেমাটা দেখাবার আলাদা আগ্রহ জাগল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বিষয়টা জানতাম না। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ছবির ঐ জংলীগুলা কি পাপুয়া নিউ গিনি জঙ্গলের অধিবাসী? আর ছবিটা কি সাম্প্রতিক?
সত্যান্বেষী
হ্যা। ছবিটি পাপুয়া হেরিটেজ সোসাইটি সাইট থেকে নেয়া লিন্ক দেয়া আছে। সাম্প্রতিক কি না বলতে পারব না।
তবে জংলিদের এই ছবিগুলো ১৯৯৫ সালে তোলা:
http://www.thisblogrules.com/2010/05/first-photos-of-a-tribe-living-in-rainforest-trees.html
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
অসাধারণ সব ছবি। এই বৃক্ষমানবদের দেখে কেন জানি এভাটার সিনেমার কথা মনে পড়লো।
সত্যান্বেষী
এই নিয়ে কিছুই জানতামনা। ডকুমেন্টারীটা দেখতে হবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
রকফেলার সেন্টারের নাম শুনেছিলাম। এইবার রকফেলারের কাহিনী আংশিক জানলাম। পরবর্তীতে বাকীটুকুও জানতে পারবো আশা করছি। জয়তু ব্লগ ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
মানুষখেকো জংলীদের কথা জানতাম কিন্তু রকফেলারকে খেয়ে ফেলার ব্যাপারটা জানতাম না। ধন্যবাদ। ব্লগের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা যায়।
অনন্ত
নতুন মন্তব্য করুন