গতকাল বুধবার সকালে বেদখলকৃত সরকারী জমি উদ্ধারে বনানী এলাকার করাইল বস্তি উচ্ছেদ অভিযান চালায় ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেটোপলিটন পুলিশের ৪ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়। সরকারী ভাষ্যমতে বেদখলকৃত ১৭০ শতাংশ জমির মধ্যে ৮০ শতাংশ বিটিসিএলের মালিকানাধীন ও ৪৩ শতাংশ পিডব্লিইডি’র এবং বাকি জমি আইসিটির।
এক অসমর্থিত খবরে জানা গেছে যে বুলডোজারের নীচে শত শত বস্তি ধ্বংস হবার সময় ঘুমন্ত দুই শিশু মারা যায়। হ্যা তাদের জানানো হয়েছিল উচ্ছেদের কথা গত মঙ্গলবার বিকেলে - স্থানীয় ভাবে মাইকিং করে। কিন্তু এই দুই শিশুর পিতামাতা হয়ত আমলে নেয়নি। গত বছর ২০শে সেপ্টেম্বর রাজউক এরকম স্বল্প নোটিসে আরেকটি উচ্ছেদ অভিযান চালায় সেখানে। পুলিশ আর পাড়ার মাস্তানদের দ্বারা ১২০টিরও বেশী পরিবার উচ্ছেদ করা হলেও পরে তারা আবার এসে বাসা করে। গত ২০০৮ সালে প্রথম পিডাব্লিউডি উচ্ছেদের নোটিশ পাঠালে আইন ও শালিস কেন্দ্র পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ মানবাধিকার লঙ্ঘন এই বলে হাইকোর্টে একটি স্টে অর্ডার নেয়। সেই মামলার বিভিন্ন শুনানীতে পুনর্বাসনের কথা বলা হয় তবে গত জানুয়ারীতে হাইকোর্ট সরকারকে আদেশ দেয় দুই মাসের মধ্যে এই বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করতে - তবে সেখানে পুনর্বাসনের কোন কথা বলা হয় নি।
করাইল এলাকার এইসব ভূমিহীন বস্তিবাসীর ৩০ ভাগ দিনমুজুর, ২০% রিক্সা-ভ্যান চালায়, ১৮% গার্মেন্টস কর্মী ও ১২% ছোট ব্যবসা করে। তাদের মাসিক আয় ২৫০০-৪৫০০ টাকা এবং স্থানীয় মান্তানদের ৮০ স্কয়ার ফিটের ঘর ভাড়া দিতে হয় ৮০০-১২০০ টাকা।
(হ্যা, আমাদেরও ঈদ হয়। ছবি ডেভিড হোয়াইটের সৌজন্যে। আরও ছবি এখানে)
এই টাকায় তাদের কিভাবে চলে সে খেয়াল কি রাখে কেউ? জ্যাম এড়াতে আমি অনেক সময় রিক্সায় তেজগাঁয়ের রেললাইনের পাশের বস্তি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারীদের বাসস্থান এর পাশের রাস্তাটি দিয়ে আসি। বিজয় স্বরণী ও তেজগাওঁ এর ওভারব্রিজের নীচে এক অদ্ভুত বাজার বসে। কাছাকাছি কাওরান বাজারে যেসব শাক-সব্জি আসে সেসব ট্রাক থেকে নামানোর সময়টা কখনও দেখেছেন কি? কিছু বস্তির ছেলে চাপ খাওয়া, নষ্ট হওয়া শাক সব্জি সংগ্রহ করে সেখান থেকে, এবং অনেকসময় ভালগুলো চুরি করে - অবশ্যই শারীরিক প্রহার এবং গালাগালির ঝুঁকি মাথায় নিয়ে। সেইসব শাকসব্জি এবং হয়ত সরাসরি আড়ত থেকে পঁচে যাওয়া শাক-সব্জি দিয়েই উল্লেখিত বাজারটি সাজানো। সারি করে বিছিয়ে রাখা পাকা করলা, থেৎলানো পটল, পঁচা শসা, কাল হয়ে যাওয়া আলু - এগুরো নিত্য নৈমিত্তিক চিত্র। এখানে বাজার করতে আসে বস্তির নিম্নবিত্তরা। হ্যা, আমাদের মত বেশী দামের ফ্রেস সব্জি কেনার সামর্থ না থাকতে পারে, কিন্তু তাদেরও তো বাঁচতে হয়। বাজারের একটি মাত্র মাংসের দোকানে ঘন্টার পর ঘন্টা একটি মাংসের পিস ঝুলে প্রমান করে তারা - না তাদের জীবনেও বিশেষ অনুষ্ঠান থাকে যখন তারা মাংস খেতে পারে।
কিন্তু এই বস্তিবাসীদের আবাসহীন করা ঠেকাতে তেমন কেউ নেই তাদের পক্ষে লড়ার। কিছু এনজিও প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেছে এবং অনেকে পত্রপত্রিকায় লিখছে। কিন্তু আমাদের কার সময় আছে সেগুলোর প্রতি দৃষ্টি দেবার?
তত্বাবধায়ক সরকারের সময় মিরপুরে বস্তিবাসীদের জন্যে বাসস্থান করার কথা উঠল। সেটা আর এগোয় নি। কে করবে বলেন। তাদের জন্যে করে কার কি লাভ হবে?
আজকে বস্তিবাসীরা মহাখালীতে মানববন্ধন করছে। বনানী গুলশান এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানে কোন রিক্সা চলছে না - ধর্মঘটে গেছে তারা। আমাদের সাধারণ প্রতিক্রিয়া কি হবে ভাবছি। অসহ্য গরমে ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে থেকে সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করব। তাতে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে না। এসব ভূমিহীন মানুষ আবার বসতি গড়বে নতুন কোন করাইলে। আমরা আমাদের সমস্যাকে শুধু এড়ানোর চেষ্টা করব - ঢাকাকে তিলত্তোমা করার কথা বলব কিন্তু সমস্যা মিটবে না। এ জন্যে আমরা নীরব দর্শকরাও অনেকটা দায়ী।
(ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র)
মন্তব্য
আমাদের সব সমস্যার সমাধান-ই "ধর তক্তা মার পেরেক"। অথচ এই বস্তিবাসীদের থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করা মাস্তান, পুলিশ এবং সেই টাকার বখরা পাওয়া রাঘব বোয়ালরা ঠিকই তাদের এসি ঘরে বসে আয়েস করে ঢেঁকুর তুলছে এখন। স্থায়ী কোন স্থাপনা না হলে, এরাই দুদিনের মধ্যেই এখানে আবার বস্তি তুলবে।
স্থায়ী স্থাপনা দিতে চান? ফ্ল্যাট বানিয়ে দিলে তারা সেটা ভারা দিয়ে আবার বস্তিতে চলে আসে। বস্তিতে থাকে বলে তাদের অবস্থা(টাকা) কিন্তু খুব একটা খারাপ না, ফেন্সিডিল হাবিজাবি বিক্রি করে এদের অনেকের অবস্থাই এখন রমরমা ।
তথ্য প্রমান দিয়ে বিস্তারিত বলুন।
এগুলি দুঃখজনক মন্তব্য। লেখাটির উদ্দেশ্য যারা এভাবে চিন্তা করে তারাই!
শুধু থাকার যায়গা দিলেই কি হয়? সঠিক কর্মসংস্থান করে না দিলে এই অনিচ্ছাকৃত বিকল্প যদি ওরা নেয় তাতে ওদের দোষ কতটা?
একটা বস্তি নাই করে দিতে পারলে নগরের সৌন্দর্য কিছুটা হলেও বাড়ে, একটা বস্তি নাই করে দিতে পারলে শহরে নোংরা মানুষের আনাগোনা একটু হলেও কমে। ঠিক না?
এবার দেখি বস্তিতে কারা বাস করে? চতুর্থ পঞ্চম ষষ্ঠ কিংবা আরো নীচু কোন শ্রেনীর মানুষ? তাদের কি আমাদের লাগে? আমাদের গার্মেন্টস আছে তার শ্রমিক আসে এই বস্তি থেকে, আমরা রিকশায় চড়ি তার চালক আসে এই বস্তি থেকে, বুয়া ছাড়া আমাদের সংসার অচল সেই বুয়া আসে এই বস্তি থেকে। নির্বাচনে ভোট এবং জনসভায় লোকসমাগম সব কিছুতেই বস্তিবাসির প্রয়োজনীয়তা। কিন্তু এই মানুষগুলোর কোনদিনই বৈধ বাসস্থান ছিল না। অবৈধ জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ খুপড়ি ঘরগুলোই বস্তি। এদের জন্য কোন বৈধ ব্যবস্থা আছে? এদের ছাড়া আমরা যদি চলতে না পারি, তবে এদের উচ্ছেদের সাথে এদের বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তার কথা অবশ্যই ভাবতে হবে। এরা সংখ্যায় নেহায়েত কম না। কিন্তু ভাববে কে? সরকার? বড়লোকদের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পারে না যেসব সরকার, তার কাছ থেকে বস্তিবাসির সমস্যা তুলে ধরা বাতুলতা।
দরিদ্রদের যাদুঘরে পাঠাবার অনেক দেরী আছে। তার আগ পর্যন্ত আমাদের ভাবতে হবে ওরা কোথায় থাকবে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেকে বলবেন সরকারি জায়গায় বস্তি বানিয়ে থাকে কেন মানুষেরা, মানুষেরা কেন থাকে বাঁধে, থাকে বলেইতো উচ্ছেদে, জোয়ারে, জলোচ্ছ্বাসে মারা যায়। একপেশে মানুষের ভিড়ে নির্মমতা প্রতিদিন নতুন নতুন নাম পরিচয় নিতে থাকে।
ধন্যবাদ রেজওয়ান ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু আপনি বস্তির পুরো চিত্র তুলে না ধরে একাধারে বস্তির মানুষের অসহায়ত্ব ও দারিদ্র্যের কথা বললেন। আসল পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। আপনি কি জানেন করাইল বস্তিতে যত ঘর আছে তার বেশিরভাগ ঘরেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নেই, নেই গ্যাস সমস্যা বা পানির সমস্যা। কারন অবৈধ্যকরণ কত প্রকার ও কি কি তা ওখানে কিছুদিন কাজ করলে জানতে পারবেন। আছে ন্যূনতম ৪টা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, একটা সংযোগ গেলে সাথে সাথে আরেকটা চালু হয়ে যায়, কষ্ট এটাই যে কাজটা ম্যানুয়ালি করতে হয়! আর গ্যাস বা পানি? সেটারও কোন অভাব নাই, নিজেদের কারিগরি দক্ষতায় তারা মহাখালি-বনানীর সংযোগ লাইন থেকে অঢেলে সেটা অপচয় করে। পানি বন্ধের কোন সিস্টেম নাই, ২৪ ঘণ্টা পানি পরছে - যখন যার দরকার ব্যাবহার করছে। গ্যাসের লাইন থেকে চুরি করে কিছু ঘরে ১টা করে চুলা জ্বালায় তারা, সেখানে ২-৫ টাকা করে দিয়ে সিরিয়ালি রান্না করে, কিন্তু যেখান থেকে গ্যাসটা নিচ্ছে সেখানে আগুন দিলে তা ৬ ফিটেরও উপর পর্যন্ত আগুন যায়। এমন লাইন থেকে চুরি একটা না বহু আছে, দুর্ঘটনাও অনেক ঘটে।
কাল নিজে ঐ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি, টিভিতে ভূমিকম্প বিধস্ত এলাকার ছবি অনেক দেখেছি - গতকাল ওখানে সেই চিত্রই ছিল। অমানবিক অবস্থা।
এই এত মানুষের ভারতো ঢাকা নিতে পারবে না/ পারছে না। ঢাকার বাইরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি এরচেয়েও বহুগুণ খারাপ হবে। তাই সময় থাকতেই সরকারী-বেসরকারি উদ্যোগ নেয়া জরুরী।
আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে একটু অবাক হলাম! এই লোকগুলো দুটো বিদ্যুৎ, পানি চুরি করলে তাও সমস্যা! এদের বস্তিতে ঠেলে দেবার জন্য এই সমাজই তো দায়ী, তাদের চুরির দায়্ভারও কেন এই সমাজ নেবে না? এই সমাজের অংশ হিসেবে কেন বা আপনিও নেবেন না? উলটো বরং অভিযোগ করছেন!
"The slums are the handiwork of a vicious system of the
whitesociety;Negroesthe poor live in them, but they do not make them, any more than a prisoner makes a prison."আম্রিকাতেও দেখি কালোদের ওপর অনেকের রাগ, বাঙালিদের তো কথাই নাই। 'কাল্লু সব ক্রিমিনাল' 'কাল্লু দেখলেই ভয় লাগে' এইগুলা বাঙালি মহলে খুব কমন ডায়লগ। এরাই যে দেশে বস্তিতে থাকা মানুষদের চোর-ডাকাত বলে গালাগালি করত হিসাব মেলাতে খুব কষ্ট হয় না।
সুশীলরা ফকিন্নিদের চোখের সামনে থেকে দূর করতে পারলে খুশি। তবে সকালবেলা আবার টাইমমত বুয়াগিরি করতে আসাও চাই। 'কালো'দের মতোই এরা অদৃশ্য মানব। বস্তি উচ্ছেদের পক্ষে, ফকিন্নিদেরকে সুশীলদের চক্ষুর আড়াল করার পক্ষে যুক্তি দেখবেন আসতেই থাকবে।
তাই বলা উচিত নয় কি? এই লিখাতে আপনি কি আশা করছিলেন তা জানিনা। তবে বসিত্মবাসীদের দ্বারা সংগঠিত কুকর্ম, চুরি চামারী- সেগুলো বহু পুরোনো কথা। এর চেয়ে ঢের বেশী কুকর্ম উচ্চশিিক্ষত (?), ব্রান্ডের জামাকাপড়, টাই পরিহিত ভদ্রলোকজন প্রতিনিয়ত করে থাকে। কেন এই কুকর্মগুলো করা হয়ে থাকে? বসিত্মবাসীদের ক্ষেত্রে উত্তর শুধুই বেেচ থাকা কিংবা আর সামান্য কিছু। কিন্তু ভদ্রলোকদের কাছ থেকে এর উত্তর চাওয়া, তাঁদের পাঁজামার ফিতে ধরে টান দেওয়া একই কথা। আর গ্যাস ব্যবহারের কথা বলছেন। কোটি টাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্রযুক্ত গাড়ি কিনে পঞ্চাশ টাকার গ্যাস ভরে দিনভর বিলাসিতা, আর দেশের বেশীরভাগ এলাকা/জনগন এখনও গ্যাস কাভারেজের বাইরে। উদাহরণ দিতে গেলে সে এক লম্বা ফিরিসিত্ম হবে।
আপনি, আমি, আমরা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য যা করছি, তার সবই কি সহী ও শুদ্ধ? তেমনি ভাবে তারা যেভাবে বাচাঁর জন্য প্রতিদিন লড়াই করে, তা সহী ও শুদ্ধ কিনা, বিচার তো দুরের কথা, বিশেস্নষন করার এখতিয়ার আমাদের কারোর নেই। প্রতিদিন আমরা যা করি, তা অনধিকার চর্চা।
ঢাকা শহর কতটুকু ভার বইতে পারে আর বর্তমানে কতটুকু ভার বইছে তা নির্নয় করা প্রয়োজন। যদি ভার বেশী হয়ে যায়, তাহলে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে কাকে ঢাকা থেকে বের করা দেয়া হবে, তৈলাক্ত, থলথলে শরীরের লোকজন না হাড্ডি চর্মসার বসিত্মবাসী- সেই সংক্রামত্ম একটি নীতিমালা প্রণয়ন অতীব জরম্নরী।
মোদ্দাকথা এটা আজকাল ফ্যাশনের পর্যায়ে চলে গেছে। প্রেসক্লাব, সিরডাপ মিলনায়তন, উন্নয়ন সংস্থাসহ সরকারী দপ্তর-সরকারী আমলা থেকে সরকার, ফুলপ্যান্টে হুক লাগানো বুদ্ধিজীবিগন, সকলেই ঢাকা শহরের সকল সমস্যার মূলে শুধুই দরিদ্র বসিত্মবাসীদের দেখতে পান। হায়রে আমার তাত্ত্বিক, পন্ডিত, বিদ্বানগন........
রেজোয়ান ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার জন্য। তাদের উদ্ধার করার জন্য আপনার আহবানের সাথে আমি একমত নই। আপনার আহবানে যদি এই শহরের উচুতলার তাত্ত্বিক, পন্ডিত বা সুবিধাভোগীদের কারো যদি মন নরম হয়, আর যদি ম্যাক্রো কিংবা মাইক্রো ইকোনমিক্স, সূচক, উলস্নম্ফন এই জাতীয় শব্দ সহযোগে গবেষনা এবং পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে। তাহলে এদের সর্বনাশের ষোলকলা পূর্ণ হবে। তাই দোহাই, তাদের সর্বনাশের বোঝা আর না বাড়িয়ে, তাদেরকে তাদের মত করে থাকতে দেই।
দরকারি লেখা। মইন সরকার দেখিয়েছিলো সুশীলি পরাক্রম কাকে বলে।
মুম্বাইয়ের পরে করাইল বস্তিই সম্ভবত এতদঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল বস্তি। বিকল্প বাসস্থান নিশ্চিত না করে এই বিপুল পরিমান মানুষকে বসতিহীন করার চেয়ে বিপদজনক কিছু আর হতে পারে না। এটা নগরের জন্য বিরাট একটা হুমকী।
যারা বলছেন বস্তি মানেই অপরাধ, অবৈধতা এসব, তারা কি একবার ভেবেছেন এই অসহায় মানুষগুলো এখন কী করবে? স্রেফ পেটের দায়েই এরা আরো বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠবে না?
ফ্লাইওভারের নিচের সেই বাজারটির নাম জানেন? সুন্দর[!] একটি নাম আছে কিন্তু, 'ফকিন্নি বাজার'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হীরক রাজার দেশে এ কারণেই একটা কালজয়ী সিনামা।
আমি বুঝি না, কেন কিছু ব্যাবসায়ী এইসব মানুষগুলোর অসহায়ত্বের অবস্থাকে পুঁজি করে কিছু ব্যবসা করছে না। সরকারি জমি লিজ নিয়ে বহুতল ভবনে এই পরিবার গুলার উপযোগী সাইজের ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে ভাল ইনকাম করতে পারে। বলছি না যে এই তথাকথিত ৪র্থ শ্রেনীর মানুষদের জন্য খুব মানব দরদী হয়ে কিছু করতে হবে, স্রেফ ব্যাবসায়িক উদ্যোগ থেকেও এদেরকে একটু ভালো থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়া যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ওদের নিয়ে ব্যবসা তো হচ্ছেই, এবং সেটা তেমন ইনভেস্টমেন্ট না করেই হচ্ছে। বস্তির ঘরের ভাড়া আদায় করে লোকাল মাস্তান আর পলিটিশিয়ান, সেটার বখরা বহুদূর যায়। লেক আবর্জনা দিয়ে ভরাট করে তার ওপর ঘর ভাড়া দিয়েই যদি পয়সা কামানো যায়, কষ্ট করে ফ্ল্যাট বানাবে কে?
বাঙ্গালী চিরকাল শর্টকাট মেরে গেল। আমার টেকাটুকা থাকলে আমি এইরকম একটা ফ্ল্যাট-বস্তি তুলে রমরমা ব্যাবসা করতাম।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এই কাজ সবচে ভালোমতো করতে পারবে আমাদের নোবেলপতি ইউনূস।
করুক না। দানবীর মহসীন না হইলে জনসেবা করা যাবে না কে বলছে? উইন-উইন বিজনেস হইলো হালের ফেশান। সব্বে সত্তাং সুখিতা ভবন্তু।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কেবল ভাড়া আদায় আর হপ্তা আদায় থেকে শুরু করে অনেক বড়বাড়ির বংশ বৃদ্ধিও এখানে করিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
হুমমম। নিজেদের প্রয়োজনেই ভাঙ্গা আর গড়া। ক্ষমতার হাতে কি আগুন কি পানি__
নতুন মন্তব্য করুন