• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

হে' নিয়ে যত হাউকাউ

রেজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন রেজওয়ান (তারিখ: সোম, ১৯/১১/২০১২ - ২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হে' কি ও কেন?

বিলেতি ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর পিটার ফ্লোরেন্স তার বাবা নর্মান ফ্লোরেন্সকে নিয়ে ১৯৮৮ সালে প্রথম হে' ফেস্টিভ্যাল শুরু করেন ওয়েলশ এর হে অন ওয়েই শহরে যা বইয়ের শহর নামে পরিচিত। এই ছোট শহরে ত্রিশটিরও বেশী বইয়ের দোকান আছে যাতে নতুন ও পুরোনো বই বিক্রি হয়। হে' ফেস্টিভ্যাল নামক সাহিত্য উৎসব জুন মাসে দশদিন ধরে চলে এবং বর্তমানে দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাফের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবছর প্রায় ৮০০০০ লোকের সমাগম হয় এই উৎসবে। পিটার আরও বহু শহরে এই উৎসবকে নিয়ে গেছেন যার মধ্যে নাইরোবি, ইস্তাম্বুল, বুদাপেস্ট, থিরুভানান্থাপুরাম, বেলফাস্ট ও ঢাকা উল্লেখযোগ্য।

হে' ফেস্টিভ্যালকে ঢাকায় আনেন পিটার ফ্লোরেন্স ২০১১ সালে, সহ আয়োজক ছিলেন বই বিক্রেতা হে শহরের বাসিন্দা লিন্ডি কুক, লেখিকা সাদাফ সাজ সিদ্দিকী, তাহমিমা আনাম এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রাক্তন ডিরেক্টরের আগ্রহেই পিটার আসেন এই দেশে। প্রথম হে' উৎসবের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশী আর বিলেতী লেখকদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা এবং হে'র কিছু ফ্লেভার বাংলাদেশে নিয়ে আসা। অর্থাৎ এমন একটি প্লাটফর্মের অবতারণা করা, যেখানে লেখকরা প্রানখুলে আলোচনা করতে পারবেন সহলেখকদের সাথে এবং আরও কাছে থেকে দর্শকদের সাথে। তবে আয়োজকদের মনে দ্বিধা ছিল যে এই দ্বিভাষী উৎসবকে দর্শক কিভাবে নেবে।

তারই ধারাবাহিকতায় এবছরের "কল্পনায় বিশ্ব" হে' উৎসবের আয়োজন। হে'র ২৫ বছর বর্ষপূর্তিতে এবারের তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ৬০ জন বাংলাদেশী ও ৩০ জন আন্তর্জাতিক লেখক, নাট্যকার ও ঔপন্যাসিকদের এবং তাদের সাহিত্য তুলে ধরা হয়েছে। আয়োজনে যাত্রিক নামের প্রতিষ্ঠান, পৃষ্ঠপোষকতায় ডেইলি স্টার, এবি ব্যাংক ও অন্যান্য ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাংলা একাডেমীতে এই প্রথমবার আয়োজিত হল উৎসবটি। প্রতিষ্ঠানটির ডিজি প্রফেসর শামসুজ্জামান খান বলেছেন যে এরকম একটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসব দেশের লেখক, প্রকাশক, অনুবাদক সবার জন্যে সুযোগের দ্বার খুলে দেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হবার। এরকম উৎসব সুযোগ করে দেয় বিক্রম শেঠ, কামিলা শামসির মত আন্তর্জাতিক লেখক/লেখিকাদের কাছে থেকে দেখা ও শোনার সুযোগ। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলা অ্যাকাডেমী ভবিষ্যতেও এই উৎসব আয়োজনে প্রস্তুত। তবে বেদব্রত পাইনের হিন্দি ছবি চিটাগং (মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী) এর প্রিমিয়ার হবার কথা ছিল সেটি বাতিল হয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি হিন্দি ভাষায় ছবি আয়োজনে বাঁধা দেয়ায়।

পিটার টেলিগ্রাফ পত্রিকা ব্লগে এবারকার ইভেন্ট সম্পর্কে বলেছেন:

To be here is a privilege. This is a space where language and writing matters – life and death matters – and that’s an amazing aspiration.

অর্থাৎ বাংলা একাডেমি উৎসবটিকে যায়গা দিয়ে একে ঋদ্ধ করেছে, উল্টোটি নয়।

হে নিয়ে যত হাউকাউ

মাহবুব মোর্শেদ বাংলা নিউজে একটি কলাম লিখেছেন যেখানে হে' উৎসবকে তিনি বড়লোকের সাহিত্য বলে ব্যঙ্গ করেছেন এবং কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলা একাডেমির সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি তার বক্তব্যের মূল সুর নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছি না। আমাদের দেশের মোবাইল কোম্পানি ও বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি তাদের প্রচারে যখন সংস্কৃতি ও ইতিহাসের যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে তখন এমন আশংকা অমূলক নয় যে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য থাকবে। তবে উনি ভাবতে না পারলেও পশ্চিমা অনেক দেশেই এইসব ইভেন্ট সরকারী প্রতিষ্ঠান করলেও কর্পোরেট আদলেই করে - অর্থাৎ বিনামূল্যে নয় - টিকিট থাকে স্পন্সর থাকে। আর আমাদের দেশের বাস্তবতা এই যে কর্পোরেট ব্যবস্থাপনা না থাকলে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকবল, অর্থবল ও অভিজ্ঞতা নেই এইসব আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার। অতিথিদের সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে তাদের ভ্রমণ, লজিস্টিক্স ইত্যাদি নানা যজ্ঞ রয়েছে যা সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হয়।

এই লেখায় তিনি সঠিকভাবেই চিহ্নিত করেছেন যে দেশে প্রচুর ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে পড়ুয়াদের একটি প্রজন্ম তৈরী হয়েছে। তাদের অনেকে সাহিত্য মনস্ক এবং এদের স্বাগত জানানোর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

রেজা ঘটক বাংলা নিউজে লিখেছেন যে লেখক-শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মীদের একটি প্রতিবাদ সভায় ‘ট্রান্সকম গ্রুপের কাছে কত টাকায় বিক্রি হলো বাংলা একাডেমী? এই প্রশ্ন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ছড়াকার প্রকাশক রবীন আহসান, কবি শেখ বাতেন, কবি দিলদার হোসেন, কবি রতন মাহমুদ, ছড়াকার রহীম শাহ, জামিল জাহাঙ্গীরসহ আরো অনেকে ছিলেন এই প্রতিবাদ সভায়।

তিনি লিখেছেন যে এই অনুষ্ঠানটি কেবল অন-লাইনে রেজিঃস্ট্রেশান করেছেন অথবা ডেইলি স্টার বা প্রথম আলোর কর্মী তাদের জন্যে উন্মুক্ত। তবে এটি আদৎে সবার জন্যে উন্মুক্ত ছিল। অনেকে বাংলা একাডেমীতে গিয়ে নিবন্ধন করে ঢুকেছেন।

এবারের হে' উৎসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ মোটামুটি নিম্নরুপ:

১) কাজী পুত্র ও আনামকন্যার মত নবীন লেখককে তাদের বাবাদের পৃষ্ঠপোষকতায় লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ও আন্তর্জাতিক পরিচিতি দেয়া

২) এটি বড়লোকদের সাহিত্য বিকাশের একটি পন্থা

৩) বাংলা সাহিত্যকে উপেক্ষা করার অভিযোগ

৪) বাংলা একাডেমির কর্পোরেট তোষণ এই অভিযোগ এক প্রাক্তন ডিজির- তবে প্রতিষ্ঠানটি এর আগেও কর্পোরেট স্পনসরশিপ নিয়েছে।

৫) এই অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্যে মানব বন্ধন পর্যন্ত হয়েছে

৬) চিটাগাং চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের অনুমতি দেয়নি।

আমার অভিজ্ঞতা

শুক্রবার সকালে বাংলা একাডেমিতে গিয়ে দেখি লোকজন আসা শুরু করেছে কেবল। আগেই অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলাম। উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা-ইংরেজী দুই ভাষায় নজরুলের কবিতা নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। এর পরে হল অনুবাদ সহ চাকমা ভাষায় কবিতা। এক কলিগের সাথে দেখা হল। সেখানে একটি জ্যুসের দোকানে কৎবেল আর জলপাইয়ের তাজা রস খেলাম। তারপর বাংলা একাডেমির নতুন অডিটোরিয়ামে 'মুক্তিযুদ্ধের গল্প' শীর্ষক আলোচনা শুনতে বসলাম। প্যানেলে ছিলেন বিলেতি লেখক ফিলিপ হেনশার (সিনস ফ্রম আর্লি লাইফ), পাকিস্তানি লেখক কামিলা শামসী (কার্টোগ্রাফী), এবং আনিসুল হক (মা) যাদের উপন্যাস আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে লেখা। তাহমিমা আনামের উপস্থাপনায় আলোচনাটি প্রাণবন্ত ছিল। অনেক কিছু জানা হল।

এর পরে একই মঞ্চে চিত্রপরিচালিকা নন্দিতা দাস (ফিরাক) ও তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ (মাটির ময়না) তাদের প্রথম চলচ্চিত্র সম্পর্কে আলোকপাত করলেন। এরকম আরও বিচিত্র অনুষ্ঠান ছিল। তবে আমি চলে এসেছিলাম। এটি একুশে বই মেলার মত সার্বজনীন এখনও হয়ে উঠতে পারেনি বলে আমাকে টানেনি। উচ্চবিত্তদের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে তবে হয়ত সেটি মার্কেটিং এর কল্যাণেই। সবার জন্যে উন্মুক্ত থাকলেও এক শ্রেনীর লোকেদের এর প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ পীড়াদায়ক লেগেছে। প্রতিটি আলোচনা অনুষ্ঠানেই প্রশ্নোত্তর সেশন ছিল। কাজেই কারও অভিযোগ বা মতামত জানানোর সুযোগ ছিল।

বুক ওয়ার্ম, প্রথমা ইত্যাদি গুটি কয়েক বইয়ের দোকানে উচ্চমূল্যের দেশী-বিদেশী ইংরেজী বই ছিল। সবেধন নীলমনি বাংলা একাডেমির স্টলটি থেকে গোটা দুই বই কিনতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি। যদি আরও দর্শক টানতে হয় তাহলে বৈচিত্রের দিকে নজর দিতে হবে।

এখন আসি হে' উৎসবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সম্বন্ধে। আমার মনে হয় যারা উৎসব বন্ধ করার আন্দোলনে নেমেছেন তাদের কোন অভিসন্ধি বা হিংসা ছিল। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাতে সিদ্ধহস্ত আমরা। মাহবুব মোর্শেদের এই পয়েন্টটা ভ্যালিড যে কেন আমরা জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের মত নিজস্ব আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যাল করছি না। কিন্তু কাউকে তো সেটি কষ্ট করে আয়োজন করতে হবে। যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা কেন এক হয়ে আরেকটি নিজস্ব আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলনের ঘোষনা দিচ্ছেন না বা দাবী করছেন না? সেটি হলে তো আমিই আগে যাব। আর তার জন্যে হে' ফেস্টিভ্যাল বন্ধ করতে হবে কেন? যদি এটি এলিটদের সাহিত্যও হয় আমাদের বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে নানা কমিউনিটি থাকতেই পারে। ইংরেজী ভাষায় সাহিত্য চর্চা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে, কিন্তু সাহিত্যের বিভিন্ন উৎসবে ইংরেজী বা অন্য ভাষা যেমন চাকমা - ভাষী লেখকদের কি ডাকা হয়? এই উগ্রতা বন্ধ করতে হবে।

বাংলা একাডেমির বিরুদ্ধে কর্পোরেট তোষণের অভিযোগ এসেছে। সারাটি বছর বই মেলা ছাড়া বাংলা একাডেমীর আর কি অবদান আছে? আজ পর্যন্ত একটি সরকারী বাংলা কিবোর্ড বানানো হল না (জব্বার সাহেবকে রয়্যালটির টাকা দিতে হয় প্রতিটি কিবোর্ডে)। সম্প্রতি একটি প্রমিত বাংলা ফন্টের কাজ হাতে নিয়েছে তাও অন্যের উদ্যোগে ও অর্থায়নে। এর আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়ামটি নাকি খালি পড়ে থাকে। তার হয়ত নিজস্ব ফান্ড নেই এই ধরণের অনুষ্ঠান করার । তাই কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকতায় যদি সাহিত্য- সংস্কৃতির অনুষ্ঠান হয় তাহলে মন্দ কি? নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারলেই হল। যেমন হিন্দি ছবি না প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি। তবে সাবটাইটেল বা ডাবিং করে দেখানো যেতে পারত।

হো উৎসবটির বড় সার্থকতা আমি মনে করি যে এটি সবার জন্যে উন্মুক্ত ছিল। এটি যদি আইভি লীগ হত তাহলে শুধু একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষের জন্যে উন্মুক্ত থাকত। মানে ও গ্রহণযোগ্যতায় এটি একুশে বইমেলার কাছে ধারে নেই। তবে তাই বলে একে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করে এর পজিটিভ দিকগুলোকে আমরা নিতে পারি। পিটার ফ্লোরেন্সের ব্লগটি পড়ে দেখুন তাতে এই উৎসবকে ঘিরে আমাদের দেশের সম্পর্কে কি রকম ভাল ধারণা দিয়েছেন তিনি। আমি আশা করব আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ এবং এর প্রকাশ যেন জাতীয় অর্জনগুলোকে মৃয়মান না করে সেইদিকে যেন লক্ষ্য রাখা হয়।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

যে ৬০ জন বাংলাদেশী সাহিত্যিককে তুলে ধরা হলো, তাঁদের বাছাই করলেন কে বা কারা?

রেজওয়ান এর ছবি

এই ফরম্যাটে শুধুই সেরা সাহিত্যিকদের তুলে ধরা হবে সেরকম বাধ্যবাধকতা মনে হয় আয়োজকদের ছিল না। আমার মনে হয় প্রশ্নটি এমন হওয়া উচিৎ অমুক জনপ্রিয় লেখক/লেখিকার যায়গায় (ধরুন) কাজী পুত্র ও আনামকন্যা কেন?

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয়, কারা এই ৬০ জনকে বাছাই করলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরটাও আমাদের জানা উচিত।

পুতুল এর ছবি

রেজওয়ান ভাই, আপনার এই নির্মোহ পর্যবেক্ষণটি আমার ভীষণ প্রিয়। খুব ভাল লাগল প্রতিবেদন। এবার আমার ভাবনাটা যোগ করি ( কে কী বলেছেন বা করেছেন সেই লিংকগুলো না ঘেটে);
বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত এক মাত্র এবং শুধু মাত্র সব কিছুর হর্তাকর্তা কর্পোরেট বানিজ্য। এর বিকল্প ধারা, স্রোতে টিকতে পারেছেনা। এবং অবস্থাটা চালু থাকবে আরো কিছু কাল। এর বাইরে কিছু করা সম্ভব না। তবে মিটি জ্বলা কিছু উদাহরণও আছে। যেমন; এখানে (মিউনিখ) মূল মিডিয়া মোগলের বাইরে কিছু আয়োজন হয়, তাতে লেখক বা প্রকাশকের আসলে তেমন লাভ হয় না। তবে একটা চর্চা হিসাবে ব্যাপারটা প্রমোট করা উচিৎ, বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশের সব কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয় কোন বিদেশী লোক যদি, তাকে সমর্থন করে। যেমন ভাল লেখক মানে হচ্ছে যিনি বিদেশী ডিগ্রী আর্জন করেছেন। আমাদের আন্তর্জাতিক মান মানে হচ্ছে; বিদেশী শিল্প-সাহিত্য সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি তার উপর। প্রায় বেশীর ভাগ শিক্ষিত মানুষ তাদের সন্তানদের পরিচিত করান বিদেশী শিল্প-সাহিত্য-সৃস্কৃতির সংগে। এবং তারা আন্তর্জিক মান সম্পন্ন হয়ে উঠে। আসলে আর্ন্তজাতিক মান বলতে আমি বুঝি; মোসার্টের পাশাপাশি একজন উইরোপিয়ান যদি রবিশংকর বা রবীন্দ্র নাথের গান-বাজনা শোনে। হালের সাহিত্যের কথা ছেড়েই দিলাম; এই দেশে(জামৃআনে) তো আমাদের রবীন্দ্র নাথকেই কেউ চেনে না, যতটা আমরা গোথে বা ব্রেখ্টকে চিনি। এই যে আন্তর্জাতিক মান তার পেছনে আছে আমাদের হীনমন্যতা। পশাচিমের সব কিছুই ভাল। কিছু কিছু মানুষের জন্য কর্পোরেট বানিজ্য কেন, ইস্টিণ্ডিয়া কোম্পানীয়ও ভাল ছিল।

আমার ধারণা সে রকমের একটা মানষিকতা আমাদের তথাকথিত আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন লোক/লোখকদের ভেতরে এখনো আছে। সেই ধারণা পোক্ত হয় অনুষ্ঠানের হর্তাকর্তাদের যে ক'জনের নাম আপনি নিলেন তাদের কথা ভেবে। এরা কী বাংলা সাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করে? নিশ্চয় করে; কারণ তারা কমপক্ষে একটা করে বই লিখেছে। আমিও তো একটা বই লিখেছি। তাই বলে আমি একটা আন্তর্জাকিত লেখক সম্মেলনে বাংলা সাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি? না করা উচিৎ। আমাদের ভাষায় তালিকায় যাদের নাম দেখলাম তাদের চেয়ে অনেক যোগ্য লেখক কবি আছেন। কিন্তু তাদেরকে ডাকা হয়নি।
কারণ তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। সেটা কোন প্রতিষ্ঠানের (যেমন পাব্লিক লাইব্রেরী ভাড়া নিয়ে করেছিল সম্ভবত প্রগতী প্রকাশনী) ব্যানারে হলে কিছুই বলার ছিল না। কর্পোরেট বানিজ্য কার গলায় মালা দেবে সেটা একান্তই তাদের নিজের ব্যাপার।

সমস্যা হয়েছে বাংলা একাডেমী একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। তার একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করে। দশজান লেখকের নাম চাইলে, তারা আমাদের দেশের দশ সেরা লেখক কবির নাম দেবেন। যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাঁরা আমাদের সেরা লেখক? সব চেয়ে ভয় পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস লেখক হিসাবে আনিসুল হকের নাম দেখে। তিনি বাংলা গদ্যকর্টুন নামে যা বাজারে ছেড়েছেন তার দায়ে আসলে দণ্ডিত হওয়া উচিৎ। মা উপন্যাসটা পড়ে দেখুন; কোন এক অজানা-অশরীরী আত্মা যেন আমাদের উপর অত্যাচার করে গেছে। পাকিস্তানী সৈন্যরা তো আজাদ আর আজাদের মায়ের দুঃখে রীতিমত বিলাপ করে। এই যে আজাদের দুঃখকে সম্বল করে সুযোগ এবং জায়গা মতো আবার পাকিস্তানী সৈন্যদের মহানুভব করে দেখানো, সেটা আনিসুল হকরাই পারে। এবং তারাই হচ্ছে; বর্তমান বাংলা সাহিত্যে এমনকী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লেখক হিসাবে স্বীকৃত। যে কোন সচেতন পাঠক জানেন যে, আনিসুল হক কর্পোরেটের কর্মী হিসাবে প্রথম আলোর জ্ঞনগর্ভ প্রবন্ধে নিজের (লেখক হিসাবে) মূর্খতা লোকিয়ে রাখতে পারলেও; গল্প, উপন্যাস কবিতায় পারেন না।
সব তার (কর্পোরেট বানিজ্যের) লীলা। তিনি এখন শুধু বাংলা সাহিত্যের প্রতিধিই না বরং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লেখকদেরও প্রতিনিধি। এইটি হল এই কর্পোরেট বানিজ্যের কাছে নিঃশর্ত সমর্পনের কুফল।

পড়া-লেখা-বই এগুলি যে কোন শিল্পের মতো একটা প্রিভেলাইজ বা এলিট কর্মকাণ্ড। সব মানুষ লিখতে পারে না। কেউ লিখতে পেরেও পরিচিতি বা প্রাপ্য সম্মানটুকু পায় না। আনিসুল হকরা লিখতে না পেরেও লেখক হন কর্পোরেট বানিজ্যের কারিশমায়। অনেক কথা লিখে ফেললাম মনে হয়, এলা থামি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রেজওয়ান এর ছবি

আনিসুল হকরা লিখতে না পেরেও লেখক হন কর্পোরেট বানিজ্যের কারিশমায়।

সেটাই মনে হয় আজকের বাস্তবতা। দু:খজনক হলেও সত্য এই অবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ বা উদ্যোগ দেখি না। তাহমিমা তার সাহিত্য নিয়ে অনেক মাইলেজ পেয়েছেন পরিচিতির কারনে। কিন্তু তার চেয়েও ভাল ইংরেজী লেখক আছে আমাদের দেশে। তাদের হয়ত নামই জানিনা। নির্দিষ্ট লেখক বাছাই করে নয় এই ধরণের ফেস্টিভ্যালে এইসব নবীনদের প্লাটফর্ম করে দিতে হবে - তাদের সাহিত্যকর্ম তুলে ধরার জন্যে।

নিলয় নন্দী এর ছবি

আমার যাওয়া হয় নি। সোজা কথায় কোন আগ্রহ বোধ করি নি।
তবে যাঁরা গিয়েছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা ও মতামত আশা করছি।
এক ফাঁকে টিভি চ্যনেলের সংবাদে চোখ পড়ল।
এমন জনবিরল ফেস্টিভ্যাল খুবই বিরল বলে মালুম হলো।
(পপ্পন)

অতিথি লেখক এর ছবি

বাণিজ্য আসলে সবখানেই। কবিরও খিদে পায়, সেও খেতে যায়। দু'বেলা ভাতের জন্যে সেও চায় তার বইটি বিক্রি হোক। আর বাণিজ্যিকরণের এই সময়ে সবক্ষেত্রের মতো সাহিত্যেও নিজের ঢোল নিজে পেটানো শুরু হয়েছে। হে উৎসব নিয়ে আমার মতে সবচেয়ে বড় ভয়টা সাহিত্যের বাণিজ্যিকরণের নগ্ন রূপটা প্রকাশিত হওয়ার। আমাদের বাংলাদেশে যাদের সেরা সাহিত্যিক বলা হচ্ছে, তারা আসলে কীভাবে সেরা তার উত্তর কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকেরা ছাড়া অধিকাংশ পাঠকই দিতে পারবে না। পত্রিকায় কলাম লিখে, টক শো, স্বস্তা সিরিয়াল দিয়ে মিডিয়ার কল্যানে আজ অনেকেই বাবু হয়েছেন। হে উৎসব যেন তার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত না হয়ে বাবুদের বাবুয়ানি আর জ্ঞান প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিণত না হয়ে যায় আমাদের আশা সেটাই।
আনাম কন্যাকে সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে গত কয়েক বছরে দেখেছি তাতে করে সন্দেহ না থাকবার কারণ নেই। কর্পোরেট লেখক আনিসুল হকের কথা কী বলব, তিনি লাস্ট একখানা বই লিখছেন, যারা ভোর এনেছিল, অনেক আশা করে কিনেছিলাম বইমেলা থেকে, আজ অবধি পড়ে শেষ করতে পারিনি, আমি অবাক হয়ে লক্ষ করি এতটা খারাপ লেখনী দিয়ে একটা লোক কীভাবে বাংলা সাহিত্যের বারোটা বাজাচ্ছে। আমরা যখন বুয়েটে পড়তাম, একবার বইমেলায় আমার এক কবি বন্ধু বলেছিল, চল আনিসুল হকের কাছে যাই, বলি ,ভাই, আপনে নাটক লিখেন, কলাম লিখেন, যা খুশি করেন শুধু উপন্যাস লিখে সাহিত্যের বারোটা বাজায়েন না। আর "মা" পড়ে আমার যা মনে হয়েছে, তাহলো, এই বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের আরো অনেক লেখক আছেন, যার লেখনী তার চেয়ে বহুত উন্নত, তারা যদি লিখতেন তাহলে "মা" উপন্যাসটা বাংলা সাহিত্যের একখানা মাষ্টার পিস হতো।
তাছাড়া হে উৎসবের সমাপনিতে রেহানা পুত্রের উপহার প্রদান এর রাজনীতিকরণের নগ্নতা প্রকাশ করেছে। http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-18/news/306571

স্যাম এর ছবি

(Y) (Y)

অতিথি লেখক এর ছবি

যারা এই উৎসবের বিরোধিতা করছিল তাদের উদ্দেশ্যে না বলে পারছিনা, ব্যক্তিগত রোষানলকে অনুপ্রেরনাতে পরিণত করুন, অনেকেই এভাবে সফল হয়েছে ; নিন্দুক সবসময় পেছনেই পড়ে থাকে ।

ফুল ভলিউম

পুতুল এর ছবি

ভাইজান চেতেন ক্যান? সমালোচনা সয়না, তাই না? সমালোচনা মানেই নিন্দা না।
অবশ্য আনিসুল হকের পাঠকদের তা জানার কথা না, কারণ; তিনি বলে দিয়েছেন " ব্যার্থ লেখকরা সাহিত্য সমালোচক হয়"
এই বেদ বাক্য মাথায় নিয়া সমালোচনাকে নিন্দা ছাড়া আর কী বলা যায়! জবাব দিহিতার কথা ছেড়েই দিলাম।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

হিমু এর ছবি

আনিসুলের উচিত অবিলম্বে সাহিত্য সমালোচনা শুরু করা।

অতিথি লেখক এর ছবি

সাহিত্য উৎসব, যেখানে বই এবং লেখকরা এসে মুক্ত মনে আলোচনা করছেন, বিশেষ কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার মোটা দাগের কোন অপচেষ্টা নেই সেটা ইংরেজী, টার্কিশ বা এস্কিমোদের ভাষায় হলেও আমার কোন আপত্তি নেই। সব কিছুতে এই কর্পোরেট এলার্জি আমাদের জাতীয় রোগে পরিণত হয়েছে। আরে ভাই ভাল কাজ করতে গেলেও তো টাকা লাগে। এক পয়সা টাকা তো চাইলে চিনতে কারো কাছে পাওয়া যায় না। ব্যবসায়ীর টাকায় সাহিত্য উৎসব হলে অসুবিধা কি? যুগ যুগ ধরে তো টাকা পয়সার যোগান ব্যবসায়ীরাই দিয়ে এসেছে।

রসিক সুজন

মনিরুল ইসলাম এর ছবি

কর্পোরেট স্পন্সর নিবে না ভাল কথা ,যারা ঢাকায় মানব বন্ধন করল তারা স্পন্সরছাড়া একটা ফেস্টীভ্যাল করে দেখাক। কুইক।নইলে ধরে নিব টাকার ভাগ না পেয়ে এমন করছে । কুইক।তাড়াতাড়ি।

পুতুল এর ছবি

মনিরুল ইসলাম, বড় ভাই চেতেন ক্যান!
সবুর করেন, এট্টু সময় দ্যান। সময় ধুলোর মতো যে কোন পদার্থের গায়ে জমে, জমার পর সেখানে ঘাস-তৃন গজায়।
তার পরেও সেই ঘাস-তৃণ সাফ করে যদি কেউ খোঁজ করে তখন সে বুঝবেন কর্পোরেট স্পন্সর আপনাকে কী বীজ উপহার দিয়েছে। তার জন্য ধৈর্য্য আপরিহার্য।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তানিম এহসান এর ছবি

ফেস্টিভ্যাল শব্দটা আসছে কেন বারবার? উৎসব হতে সমস্যা কি? ফ্যাস্টিভ্যাল কি আমাদের বাংলা কথ্য ভাষায় ঢুকে যেয়ে আভিধানিক স্বীকৃতি পেয়ে গেছে?

পুতুল এর ছবি

সাহিত্য উৎসব, যেখানে বই এবং লেখকরা এসে মুক্ত মনে আলোচনা করছেন, বিশেষ কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার মোটা দাগের কোন অপচেষ্টা নেই সেটা ইংরেজী, টার্কিশ বা এস্কিমোদের ভাষায় হলেও আমার কোন আপত্তি নেই।

উর্দু সাহিত্য বাদ দিলেন ক্যান ভাইজান?

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শিশিরকণা এর ছবি

এটা নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। একটু ধন্দে ছিলাম ঘটনা কি? প্রথমে ভাবছিলাম নবান্ন উৎসবকে "হে" মানে খড় ফেস্টীভ্যাল বানায় ফেলছে নাকি ডিজুস পোলাপাইনের জন্য। পরে ওয়েবসাইট দেখে টেখে আরেকটু জানলেও ঠিক বারোয়ারি উৎসব মনে হচ্ছিল না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

আনিসুল হক এর মা আমি এখনও শেষ করতে পারিনি, আমার শুধুই মনে হয় এই অসাধারণ প্লট এর উপন্যাসটি অন্য কেউ লিখলেই ভাল হতো, নন্দিত নরক যেমন ৯০ দশকের হুমায়ুন আহমেদ কে দিয়ে লেখা যেত না।

কর্পোরেট কালচার অনেককেই বদলে দেয়, এটাই বাস্তব।

১৯৭২ সালে নন্দিত নরেকে প্রকাশ হয়, আর ১৩ বছর পর ১৯৮৫ সালে ১০০০০ টাকার প্রয়োজনে Man on Fire অনুবাদ করে সেবা প্রকাশনি থেকে বের হয় অমানুষ। খেয়াল করে দেখো হুমায়ুনের সেরা লেখা গুলো কিন্তু আমরা পেয়েছি এই ১৩ বছরে, হৃদয়ের ভাষা এরপর ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় বাজারি চাহিদায়।

বাংলাদেশে আজ এই ট্রান্সকম চ্যানেল আই মিডিয়া মাফিয়ার কাছে শওকত আলী, ছফা , মিনার, সঞ্জীব দা, রুদ্রর কোন দাম নাই,

ভালই তো।নাহলে কষ্ট করে প্রিয় রুদ্রকে লিখতে হতো

ঝুলিয়ে দিয়েছে সামনে এক লৌকিক মুলো
লোভ ও লালাসায় নাকের ডগার কেবলি উড়ায় ধুলো।

মণিকা রশিদ এর ছবি

আনিসুল হকের লেখা আজকাল টলারেট কড়া সত্যই মুশকিল হয়ে ওঠে। কিছুদিন আগে পড়তে বসেছিলাম 'যারা ভোর এনেছিল' বেশিদূর এগুতে পারিনি, অথচ কাহিনীটাকে কতভাবেই না ব্যবহার করা যেত। আর 'মা' পুরো ছড়িয়ে দিয়েছেন; এত বিরক্তিকর কিছু খুব কমই পড়েছি আমি। একই ঘটনা , একই ব্যক্তি 'মা' কে নিয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের একটি ছোট লেখা আছে -'আসাদের মা'। ছোট্ট পরিসরে এই গল্পটা আনিসুলের 'মা' উপন্যাসের চেয়ে শতগুণ বেশি সুখপাঠ্য এবং সম্বৃদ্ধ।

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

পুতুল এর ছবি

আর 'মা' পুরো ছড়িয়ে দিয়েছেন; এত বিরক্তিকর কিছু খুব কমই পড়েছি আমি।

বহু কষ্টে "মা" পড়ে এক ভয়ংকর অনুভূতি হয়েছিল;
ভয় হয়েছিল (বা এখনো আছে) যে; আমাদের পাঠক এই সব লেখাকে সেলিব্রেটি করে! বিশ্বাস করুণ, আমি তার পরে নেট ঘেটে আনিসুল হকের ছোট গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ পড়ে অবাক হয়েছি। এই মানের লেখা তো সচলায়তনেই প্রকাশ হওয়া সম্ভব ছিল না! অথচ লক্ষ লক্ষ না হোক হাজার হাজার পাঠক তো পড়ছে! পড়ে আবার ভালও বলছে। পাঠকদের এই গুনগতমান অসচেতনতাটা-কে (কোয়ালিটি কেয়ারলেসনেস) ভীষণ ভয় পাই আমি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

শিশিরকণা এর ছবি

একসময় আনিসাইলের লেখা হজম করেছি। কিন্তু এখন ফিরে পড়তে গেলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের রচনার মত মনে হয়। ভালো ছাত্র হবার সুবাদে আনিসুল হক ভালো নোট করতে পারেন, কিন্তু ঠিক সাহিত্য মান উৎরে যেতে পারেন না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

হিমু এর ছবি

"আসাদের মা" গল্পটা পড়তে চাই

আইলসা এর ছবি

যারা ভোর এনেছিলো তে - আসলে আনিসুল হক কি লিখছে? আমার তো মনে হইছে বঙ্গবন্ধুর ডাইরী আর তাজউদ্দিনের ডাইরী কপি পেস্ট কইরা বসাইয়া দিছে...

সাবেকা  এর ছবি

ভাল লাগল লেখাটা,মোটামুটি সব দিকই উঠে এসেছে।

নীলম এর ছবি

আপনার নিরপেক্ষ মতামত ভালো লেগেছে।

আমিও বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছি ওখানে। অনেক কিছুই ভালো লেগেছে আমার। আপনার শেষ লাইনটা খুব খুব পছন্দ হয়েছে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দতো থাকেই। সেগুলোর রেশ সবকিছুতে উঠে আসা খুব কি জরুরী?

'মা' উপন্যাসকে আমার একটা কাট-কপি-পেস্টের উপরে কিছু মনে হয়নি। তাই বলে আমি ক্যাথেরিন মাসুদ বা নন্দিতা দাস তাদের কাজ নিয়ে কি ভাবছেন সেটা জানার চেষ্টা কেন করবো না?

maruf raihan  এর ছবি

প্রিয় লেখক,
এবারের ‘হে সাহিত্য উৎসব’-য়ে কি আপনি গিয়েছিলেন? কাইন্ডলি আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস দেবেন? আমি যোগাযোগ করতে চাই।

01711 788208

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।