ফেইসবুক খুললেই ঢাকার দৃষ্টিনন্দন ছবি দেখতে পাওয়া যায় - হাতিরঝিল, প্রস্তাবিত মেট্রোরেইল, ফ্লাইওভার ইত্যাদি। হ্যা দিন দিন ঢাকা তিলোত্তমা হচ্ছে, কিন্তু মানুষের ভেতরটা হচ্ছে কুৎসিত। আজকে টিভিতে দেখছিলাম এসিড আক্রান্ত তরুণী হাসপাতালে কাৎরাচ্ছে। সে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত যুবক এর দ্বারা ছুরিতে ও এসিড নিক্ষেপে আহত হবার পর রাস্তায় পরে গড়াগড়ি খেয়েছে ২০-২৫ মিনিট কেউ সাহায্য করতে আসেনি। এমনটি বলা যায় বিশ্বজিৎের হত্যাকাণ্ডও - মিডিয়ার চোখের সামনে হল কেউ বাঁচাতে আসল না।
এই তো কিছুক্ষণ আগেই আরেক বন্ধু ফেসবুকে জানাল রাতের ঢাকায় জনসমক্ষে ৬-৭জন লোক তাকে ছিনতাই করল। এগুলো প্রমাণ করে আমরা বীর্য হীন একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছি। মুখ বন্ধ করে এসব সহ্য করতে করতে একদিন আমরাও শিকারে পরিণত হব।
ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন বিতর্কিত বটেই। অনলাইন-অফলাইন অ্যাক্টিভিজমে সোচ্চার। একবার গ্রেফতারও হয়েছেন (প্রকাশ্যে প্রতিবাদের জন্যে- ব্লগে লেখার জন্যে না)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ - অপরের লেখাকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়া, আর লেখার মধ্যে আমিত্বর আধিক্য। ব্লগ এমনই একটি মাধ্যম যা অনেককে সহজেই খ্যাতির শিখরে নিয়ে যায়, সেটার অপব্যবহার করেও অনেকে। আসিফ ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলতেন - আত্মস্বীকৃত নাস্তিক, সেটা হয়ত অনেকের পছন্দ হয়নি। আসিফসহ অনেক ব্লগার ইতিমধ্যে তাদের মতামতের জন্যে হুমকির মুখোমুখি হয়েছে।
কিন্তু আসিফ মহিউদ্দিন এর উপর হামলাকে কোনভাবেই হাল্কা করে দেখার উপায় নেই। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় তাকে মারার জন্যেই আঘাত করা হয়েছে। কারন তার মোবাইল বা টাকা কোনটাই খোয়া যায়নি। তার মতামতকে সমর্থন না করতে পারলে তাকে মারার মত কাপুরুষতা দেখানোর মত মানুষ একমাত্র পরাজিত শক্তি ছাড়া কার আছে? আমরা যুগে যুগে দেখেছি এই বিষয়টি। একাত্তুরে বুদ্ধিজীবীদের মেরেছে পরাজিত শক্তিরা, জেল হত্যা, পরিবারসহ বঙ্গবন্ধু হত্যা, পরবর্তীতে জাহানারা ইমাম সহ ঘাদানিকের অনেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, ভিন্নমতের জন্যে সালাউদ্দিন শোয়েব, সেলিম সামাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে কলম ধরায় হুমায়ুন আজাদের উপর আক্রমণ - সব কেমন একসূত্রে গাঁথা।
বিকল্প ধারার মাধ্যম হিসেবে দেশে ব্লগে এমন একটি স্থান যেখানে কেউ লিখতে পারে যে সে নাস্তিক, লিভ টুগেদার করে বা সমকামী। এখানে কেউ শক্তিমানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে। কিন্তু হয়ত অনেকেই তৈরী না এমন স্পষ্টোচ্চারণ শোনার জন্যে। তারা হয়ত ব্লগেই এ নিয়ে আলোচনা ও প্রতিবাদ করতে পারতেন। কিন্তু যুক্তিহীনদের হাতে অস্ত্র ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা হয়ত। সেইসব ভীরুরাই কণ্ঠরোধ করার এই পদক্ষেপ নিয়েছে হয়ত আসিফ মহিউদ্দিনের ক্ষেত্রে। তার উপর হামলা মানে আমাদের বাক স্বাধীনতার উপর হামলা। মতনির্বিশেষে আমাদের এ ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিৎ।
নাগরিক হিসেবে আমরা কি নিরবে এইসব সহ্য করব? শুধু আসিফের উপর হামলা নয়, আমরা যদি আশেপাশের সব অনাচারের বিরুদ্ধে কথা না বলি, রুখে না দাঁড়াই তবে আমরাও একদিন শিকারে পরিণত হব। এ শুধু সময়ের অপেক্ষা।
[শাহবাগে জাদুঘরের সামনে আগামীকাল বুধবার, ১৬ই জানুয়ারি ২০১৩, বিকেল ৩:৩০ এ একটি প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহীরা যেতে পারেন]
মন্তব্য
তীব্র প্রতিবাদ করছি !
নিন্দা এবং ঘৃণা জানাই সেই সব কাপুরুষদের যারা কথার যুক্তিতে না পেরে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় । অবিলম্বে এদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি যেন দেয়া হয়, সরকারের প্রতি সেই দাবি জানাচ্ছি ।
জাতি হিসেবে আমরা কি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন?
আসিফ মহিউদ্দিন কি মালালা ইউসুফ না নেলসন ম্যান্ডেলা না মারটিন লুথার কিং না হুমায়ুন আজাদ না তসলিমা নাসরিন নাকি হুদাই একটা ফাউল স্টান্টবাজ সেটা এখানে বিষয় নয়। তার উপর অন্যায় হামলা হয়েছে এটাই বড় বিষয়। কে করেছে এখনো নিশ্চিত না। হতে পারে মৌলবাদী, হতে পারে ব্যক্তিগত শত্রুতা। কিন্তু হামলার কারণ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত না হলেও কিছু লোকে দিব্যি নিশ্চিত হয়ে গেছে। কেউ বলছে এটা ঈশ্বরের বিচার। নাস্তিকদের সাথে নাকি এমনই হয়, হওয়া উচিৎ। আবার কেউ বলছে এটা আমি সর্বস্ব আসিফের নতুন টেকনিক। নিজেরেই নিজে কোপাইছে!!
আসিফ মহিউদ্দিন মহাপুরুষ না কাপুরুষ নাকি আমার মতোই সাধারণ পুরুষ তা জানিনা। কিন্তু তার উপর যারা হামলা করেছে তারা যে ভয়ঙ্কর কাপুরুষ সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যদি ঈশ্বর হামলা করে থাকেন তবে তিনি কাপুরুষ, যদি মৌলবাদী হামলা করে তবে সে কাপুরুষ, যদি অন্য কোন দল বা ব্যক্তি তার দলীয় বা ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে এই হামলা করে থাকেন তবে সে কাপুরুষ। পাকি স্টাইলের এই কাপুরুষতার চর্চা বন্ধ হওয়া দরকার। নাইলে ঘুটের পোড়ায় গোবর হয়ে হাসতে হাসতে একদিন আমাদেরও টার্ন আসবে।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ফারাসাত
---------------------
আমার ফ্লিকার
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তীব্র প্রতিবাদ জানাই এই ধরণের জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের প্রতি। জানি না কেন মানুষ এতো নিচে নেমে যাচ্ছে দিন দিন। প্রতিবাদে অংশ নিতে চেষ্টা করবো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আসিফের উপর যে আক্রমন এটা খুবই নিন্দনীয়। যে কারণেই হোক, একটা সিভিল সমাজে রাস্তা ঘাটে চলতে গিয়ে ছুরিকাহত হওয়টা খুবই দুঃখ এবং হতাশা জনক। তবে আমার মতে, ব্লগিংয়ের কারণে যেমন তার ছুরিকাহত হওয়া যুক্তিযুক্ত না ঠিক তেমনি ছুরিকাহত হওয়ার কারণে তার ব্লগিংয়ের সমালোচনা করা যাবে না সেটাও ঠিক না।
কতগুলো প্রশ্ন জাগে আমার মনে। প্রশ্নগুলোর উত্তর কারো কাছে আছে কিনা জানি না। নিয়মিত শুধু আসিফের উপর আঘাত আসছে, অন্য কোনো ব্লগারের উপর আসছে না কেনো? আমি আসিফের লেখা ঘেঁটে এমন কিছু পেলাম না যেটা আগে বলা হয় নি কিংবা সে বিষয়ের কঠোরতম বা শ্রেষ্ঠতম লেখা। দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো আসিফ সুস্থ হবার আগে এবং পুরো ব্যাপার জানার আগে একদল বাক-স্বাধীনতা বাঁচাতে এবং একদল আসিফকে কাদা ছুড়তে লেগে গেলেন ক্যানো? সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো আসিফ সর্ম্পকে কেউ ঠিক করে কিছু বলতে পারছেন না।
বাক স্বাধীনতার চেয়ে আরো বড় সমস্যা দেখি আমি এখানে। একটা ভেঙ্গে পড়া সমাজ চোখে পড়ে যেখানে স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকাই বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ আমরা স্বার্থপরের মতো (খুব সম্ভবতঃ) ভুল সমস্যা নিয়ে হৈ চৈ করছি।
আমার প্রশ্ন ছিল, জামাতিরাই যদি হামলা করে থাকে, তবে আসিফ কেন, অমি রহমান পিয়াল নয় কেন - দেশে থাকা লোকেদের মধ্যে তাঁরই জামাতবিরোধী অ্যাক্টিভিটি তো বেশি? একজন বললেন, অমি পিয়াল মুক্তিযুদ্ধ-অ্যাক্টিভিস্ট, তাঁকে ঘাঁটাবার রিস্ক ছাগুরা নেবে না। আসিফ মহিউদ্দিনের মূল পরিচয় নাস্তিকতা-অ্যাক্টিভিস্ট, এবং তাকে সেই জন্যে অনেকে অপছন্দ করে তো বটেই, আমিত্ব/লেখাচুরি ইত্যাদি কারণে অনেকে এমনকি অন্য অনেক নাস্তিকও অপছন্দ করেন। তাই তাকে অ্যাটাক করা নিরাপদ। ফেসবুকে অনেককে বলতে দেখলাম যে এমন নাস্তিককে মারা ঠিকই হয়েছে। এই সমর্থনটা তারা প্রেডিক্টই করেছিল।
এই কাপুরুষোচিত আক্রমণের ঘৃণা জানাই, প্রতিবাদ জানাই!
আসিফ মহিউদ্দিন যদি বাংলাদেশের সবচেয়ে জঘন্য লোকও হয়, সেইটাও তার উপ্রে সন্ত্রাসী হামলা জাস্টিফাই করে না। সে 'কী' লেখে, 'কেন' লেখে এই আলোচনাই এখানে অবান্তর। সে আস্তিক নাকি নাস্তিক, লেখাচোর নাকি সাধু, বঙ্গবন্ধুর নিন্দুক নাকি পাকিপন্থি নাকি চীনপন্থি প্রত্যেকটা আলোচনাই এই হামলার আলোচনার সময় আনা অবান্তর। 'যদি', 'কিন্তু' কোন শব্দ ব্যবহার করেই এইসব আলোচনায় যাবার সুযোগ নাই। এই কথাটা মানুষের মাথায় ঢুকতে পারাটা জরুরী। ভিন্নমতের জন্যে যারা কোপাকুপিকে জাস্টিফায়েড করে তাদের জেনে রাখা দরকার, তাদের সাথেও ভিন্নমত পোষনকারী মানুষ এই সমাজে বর্তমান আছে। তারাও যদি একই মনোভাব পোষন করে তাইলে ত কোপাকুপি ছাড়া কিছু হবে না।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনার প্রথম লাইনে একটু সমস্যা আছে। সবচেয়ে জঘন্য বলতে আমি নিজামী, গোলাম আজমদের বুঝি এবং তাদের উপর কেউ হামলা করলে আমি বিরাট আনন্দিত হব। মাঝে মাঝে মনে হয় যদি নিজের ইচ্ছামত সব রাজাকারদের সাইজ করতে পারতাম। আফসুস!
গোলাম আজমদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি হইলে যে জাতি বেশি উপকৃত হবে সেই বিষয়ে কি আপনার সন্দেহ আছে? আমরা জানি গোলাম আজম আর গ্যাংদের যেই কৃতকর্ম তাদের বিচারের মাধ্যমেই ফাঁসিতে চড়ানো সম্ভব। আর সেইটাই লং রানে আমাদের দেশের জন্যে উপকারী। এদেরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা লাগবে। একটা দুইটারে কোপাকুপি কইরা মারলে বরং আবালীয় জনগোষ্ঠীর সহানুভূতি আর সমর্থন আদায় অনেক সময় এই বরাহগুলার জন্যে সহজ হইয়া যায়। মোটকথা কোপাকুপি কোন সমস্যার সমাধান না, যেখানে এর চেয়ে বেটার সমাধান স্বাভাবিক নিয়মেই সম্ভব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কথা হচ্ছে যখনি দেখবেন এরা মাথা তুলে দাড়াচ্ছে আপনি সেটার প্রতিবাদ করুন। যতভাবে সম্ভব প্রতিবাদ করুন। বেশি মানবতা দেখাতে গিয়ে কত বছর কেটে গেছে বুঝেছেন? ৭১ এর পরপরই যদি সবগুলারে কোপায়া শেষ করে দেয়া যাইত তাইলে ভাল হইত। রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মত কাজ করুক। আমরা আমাদের মত কাজ করি। চলুন যত ভাবে পারি ওদের প্রতিহত করি। এদের কিছু করলে যদি নীরিহ লোকজনের মায়া জাগে, তাইলে বুঝতে হবে আমাদের সমস্যা আছে, আমরা লোকজনরে ঠিকমত বুঝাইতি পারি নাই এরা কত ভয়াবহ। আগামীবার যদি ওরা ক্ষমতায় আসে বুঝতে পারছেন মানবতা কোন দিক দিয়া যাবে? এরা তো মানুষ না, ছাগল। ছাগল মেরে খেলে আপনার খুব কষ্ট হয় নাকি?
আপনি বেশ জিহাদী জোশে আছেন দেখা যা্চ্ছে। এতদিন আপনি কয়টা ছাগল মেরে খেলেন একটু খতীয়ানটা শুনি। নাকি ত্রিমাত্রিক কবির অপেক্ষায় ছিলেন?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কুইক কোয়েস্চেন- আমরা কি এরপরে সোনা ব্লগের ব্লগারদের আক্রান্ত হলে মানব বন্ধন করা শুরু করব? ধরেন সোনা ব্লগের ব্লগাররা শিবির এবং জামাতের মিছিলে গিয়ে মার খাচ্ছে-তাদের ফ্রি স্পিচে আঘাত হানার জন্য কি আমাদের মানব বন্ধন করা অনুচিত হবে!!
চিন্তা করে জানাবেন!!
সোনা ব্লগের সোনারা ব্লগ লেখার জন্য মার খাবে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মারধোরের মত কাজ যুক্তিহীন সোনা ব্লগের সোনাদের মতই কারো কারো কাজ।
তবে যদি সত্যি ব্লগ লেখা বা মত প্রকাশের জন্য তারা মার খায়, অন্ততঃ আমার পক্ষ থেকে সেইসব সন্ত্রাসীদের জন্য ঘৃণা থাকবে।
মাহবুব সাহেব মার খাচ্ছে তো- বাকশালী পুলিশ তাদের ফেসবুক একাউনট ফলো করে- ব্লগ ফলো করে পেটাচ্ছে- খুব অনুচিত কাজ- শিবিরের বলার অধিকার আছে-
২ বছর ৪৫ সপ্তাহ ধরে আমারব্লগে ফারমার নামে এক শিবির সমানে ব্লগিং করে যাচ্ছে। শিবিরের বলার অধিকার যে আছে, এইটা তো আপনেরা এস্টাবলিশই কইরা দিছেন।
আসিফের কাটা ঘায়ে ঠাপানোর আগে ফারমাররে আমারব্লগ থেকে খেদান। খেদায়ে আবার আসেন। আলাপসালাপ করি।
আরে হিমু সাহেব কেমন আছেন? ফারমার আমার রাডারে ছিলনা- এটা আমার ব্যর্থতা আমি অবশ্যই উনার পুরা ব্লগ ঘেটে দেখবো আজকে- আপনার সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ- আমি অবশ্যই উনাকে রাডারে নেবো- আমার ব্লগে আমি যতদুর জানি কোনভাবেই শিবিরের কোন পোসট বা মন্তব্য রাখা হয়না- তবু তাদের কর্তাদের দিষ্টি আকর্ষন করছি-
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমারব্লগে শিবিরের চ্যালারা ব্লগিং করে না? আপনি নিচেই তো ফারাবীর নাম বললেন, আরেকটাও কে যেন ছিল জেল থেকে বের হয়ে আমার ব্লগেই লেদাত।
আমি আপনার সাথে একমত ফারাবীকে ব্লক করা উচিত- এবং সেটা করার দায়িত্ব আমার ব্লগের ব্লগারদের- তবে আমার ব্লগে ফারাবীকে উষ্টার উপরে রাখা হয় সেটা কি কমেডির কারনে করা হয় না চিপ থ্রিলের কারনে করা হয় তা বলতে পারিনা- আর ফারাবী বেশ বুদ্ধি ধরে সে ধরি মাছ না ছুই পানি বক্তব্য দিয়ে যায়- তবে আবারো মনে করি আমার ব্লগের কর্তাদের এ ব্যাপারে শক্ত অবস্হান নেয়া উচিত এবং আপনার সন্গে একমত।
অফপটপিক ফারমারের গত ৫০ টি ব্লগ পড়ে সরাসরি শিবিরের কোন বক্তব্য চোখে পড়েনি- ফারমার এক গল্পবাজ সেটাই মনে হচ্ছে- হিমু সাহেব যদি একটা নির্দিষ্ট উদহারন দেন তাইলে অধমের কষ্ট কমে যায়!!
এইটা কি কইলেন হিম্ভাই? ফারমার তো পুরদস্তুর মুক্তিযোদ্ধা। তার পোস্টে বা কমেন্টে তো মনে হয় সে একলাই মুক্তিযুদ্ধ করছে, আর বাকি সব দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া তার গোলাগুলির সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে। মাঝে মাঝে বিম্পিপন্থী যোদ্ধারা অবশ্য তারে গোলাবারুদ সাপ্লাই দিত। এখন অবশ্য সে নিউইয়র্ক কন্ট্রোল করে। এতদিন যেহেতু সে ফিল্টারড হয় নাই, এখন কি আর হইব?
আপনার কথামত সোনাব্লগের সবগুলারে কোপানো দরকার? এগুলা সাংবিধানিক উপায়ে, আইনী উপায়ে নিয়ন্ত্রনে আনা লাগবে। সোনাব্লগের লোকজন মনে করে তাদের মতের সাথে কেউ না মিললে তারে অন্যভাবে ম্যানেজ (আইনগত, যুক্তি দিয়া) করার উপায় নাই, কোপানোই একমাত্র সমাধান। এই পয়েন্টে সোনাব্লগের মৌলবাদীদের সাথে আপনার পার্থক্য ঠিক কোন জায়গায়? চিন্তা করে জানাবেন কি?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
জ্বী জনাব আসিফ নজরুলও জামাতের রাজনীতি সাংবিধানিক অধিকার বলে- বি এন পি র মহাসচিব জামাত সাংবিধানিক রাজনীতিক দল বলে ফাল করে কিছু বোঝা গেলো স্যার?
এইটা আসিফ নজ্রুল্রে কোপানো যায়েজ করে কিনা সেইটা কইলেন না? সহজ একটা কুচ্চেন করলাম সেইটার জবাব না দিয়া ত্যানা প্যাঁচায়ে একটা জানা তথ্য পরিবেশন করলেন।
এইসব কোপাকুপির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ কায়েম করলে আদতে লাভ হইব আসল ফ্যাসিবাদি যেই দল সেই দলেরই। কোপাকুপির কালচার আর তার সমর্থন দেয়া কালচার দুইটারই অবসান হওয়া দরকার। অবশ্য আপ্নেরে এত কথা বইলা লাভ নাই, যারা মতের মিল না হইলে কল্লা ফালায়ে দেয়া যায়েয মনে করে তাগো লগে আপনার মতবাদের মৌলিক পার্থক্যটা ঠিক কুন জায়গায়, আবার কুচ্চেন রাইখা গেলাম। পয়েন্টে জবাব দিলে দিয়েন, নাইলে ত্যানা প্যাঁচাইয়েন না। আপনার কাছ থেকে আপাতত বিভিন্ন জানা-অজানা তথ্য জানতে আগ্রহী না।
আর উপ্রে হিমু ভাইয়ের কুচ্চেনের জবাব শুন্তেও আগ্রহী (জাস্ট ব্যক্তিগত আগ্রহ আরকি!)। ভাল থাকেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খুব সোজা ব্যাপার আসিফ নজরুলরে কেউ কোপায়াইলে আমার থেকে কোন প্রতিবাদ নাই খুব সোজা হিসাব- মাহমুদুর রহমানে কোপাইলে আমার কোন প্রতিবাদ নাই- সোজা বেবস্হা- আর পাকিবাদীর সাথে কোন মতামতের কোন ব্যাপার নাই- পাকি পতাকার সাথে কোন অধিকারের সম্পর্ক নাই- জামাতের সাথে কোন সাংবিধানিক ব্যাপার নাই- বুয়েট থেকে শিবির পিটাইয়া বার করা হালাল- জাহান্গিরনগর থেকে শিবির পিটাইয়া বার করা হালাল- এরপরে সাংবিধানিক অধিকার।
আসিফ মহীউদ্দিন কি জামাত-শিবির?
হিম্ভাই, (যদ্দুর জানি) আইজুর ক্ষেপার কারন হল - আসিফ মালালা'কে সাপোর্ট দিতে গিয়ে ফেসবুক প্রো-পিকে পাকি পতাকা ব্যাবহার করেছে। তাছাড়া 'বাকি বিল্লাহ এফেক্ট'-ও আরেকটা কারন মনে হয়
উনি আসিফ নজরুলের মিনি ভার্সন- সুশীল কথা বলেন - করাপ্ট ট্রাইবুনাল বলেন- শিবিরকে মিছিল করতে দিতে হবে বলেন- পাকি পতাকা লাগাইয়া মেরি মী মালালা বলেন- জামাত শিবিরের সাথে মিছিল করে রোহিন্গা বাংলাদেশে ঢোকান আর বাকীটা নিজে জেনে নেন!
করাপ্ট ট্রাইব্যুনাল কোথায় বলছে, একটু লিঙ্ক দিতে পারবেন? বাকিগুলি গৌণ।
আপনার গৌন বা মুলের বিচার আস্হা রাখতে পারলাম না বলে দুঃখিত- তার প্রতিটি নোট অনলাইনে ছাগুদের সাহায্য করেছে সেটা আমার কাছে বেশ বড় ব্যাপার- আর ট্রাইবুনালের মন্তব্যটি একটি কমেনটে ছিল- তার ওয়ালে - খুজে দেখছি পেলে এখানে প্রিনট স্ক্রিন দিয়ে যাবো, তাকে আবার ব্লক করেছিলাম সো অন্য কাউকে বলতে হবে!
আপনার কথামতো যদি আসিফ মহীউদ্দিন এইসব বলে থাকে, তাহলে সে একটা ছাগু। কিন্তু ছাগু হওয়ার জন্য তারে রাতের অন্ধকারে অচেনা তিনজন লোক এসে কোপায় গেলে সেটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারছি না। আসিফ মহীউদ্দিন আবার ব্লগে ফিরে আসুক, ছাগুপনা করার জন্য পোন্দায়ে তার নীল সুতা বের করে ফেলবো চলেন, কিন্তু অ্যাট লিস্ট ছাগুদের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমরা তাদের স্তরে না নামি।
আপনি যে পিটায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিবির খেদানোর কথা বলছেন, সেটার সাথে রাতের অন্ধকারে পরিচয় গোপন করে ছুরি মারা কোনোভাবেই তুলনীয় নয়। আসিফ একটা হরিদাস পাল, সে এমন কিছু না যে তারে উওন্ডেড অবস্থায় গর্তে পেয়ে লাইত্থাতে হবে। লেট হিম কাম রাউন্ড, ব্লগেই তার ছাগুপনার জবাব দিতে পারবেন। দরকার লাগলে আওয়াজ দিয়েন, মহল্লায় আছি।
---------------------
আমার ফ্লিকার
আচিপ আপনার দাবড়ানি খায় নাই, খাইলে ভালো হৈত! (নাক গলানোর জন্য কিছু মনে কৈরেন না!)
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার মতপার্থক্য শুনলাম তবে আমি তারে ছুরি মারাতে আনন্দিত হইনাই- দুঃখিত হইনাই- শোকা প্রকাশ করিনাই আবার আনন্দ উতসব ডাকি নাই- সে দোজখে গেলেও আমার কিছু যায় আসেনা- আমি তারে নায়ক বানাইয়া যে পুজা চলতেসে তার বিরোধী- সে বরাহ তাই বরাহ হিসাবেই তার পরিচয় থাকুক!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রেজওয়ান ভাই, এক্টিভিস্ট না হয়েও ঠিক যেমন ভাবে আপনার বন্ধু ছিনতাই এর শিকার বা তরুণীটি এসিড সন্ত্রাসের শিকার, সেভাবে আসিফ মহিউদ্দিন ও ব্যাক্তিগত কারণে আক্রান্ত হতে পারে। এই সম্ভাবনাটা লেখায় পেলাম না। রাষ্ট্রের সাধারন নাগরিক হিসেবে আক্রান্ত হয়েছে - তার প্রতিবাদ করাটা ঠিক আছে। কিন্তু ব্লগিং এর কারণেই আসিফ মহিউদ্দিন আক্রান্ত হয়েছে অনেক ব্লগারের এমন অনুমিতির কারণটা কী ধরতে পারলাম না।
সাগর রুনির হত্যাকান্ডের জন্যে কিন্তু রাস্তায় নেমেছে সাংবাদিকেরা। তারা তাদের কাজের জন্যে নিহত হয়েছে না পরকীয়া প্রেমের জন্যে সেটা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেই সংশয় নিয়ে প্রতিবাদে ব্যহত নেই কেউ। গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার পর শ্রমিকেরাই প্রথমে রাস্তায় নামে।
আসিফ এর জন্যে তাই ব্লগাররা উদ্যোগ নিয়েছে। আমি ইদানিংকার ব্লগীয় পলিটিক্স সম্পর্কে অবহিত নই। তাই উদ্যোক্তা কারা সেটা জানিনা, কে কে যাবে তাও জানিনা। যারা যাবেন জেনেই নিশ্চয় যাবেন। আসিফ সম্পর্কে অ্যালার্জি থাকলে না গেলেই হয়। আর রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা চাই এমন প্রতিবাদ করা হবে না সেটা কিভাবে অনুমান করা হল?
ড: আইজুর টোনটা ধরে বলতে চাই, পাকিপ্রেমী, শিবির ও সহযোগীদের পাতে তুলব না সেটা তো আমাদের ব্যক্তিগত রুচির ব্যাপার। আমাদের আসলে উচিৎ ছিল যুদ্ধাপরাধী ও পরাজিত শক্তিদের নির্মূল করতে ক্যাঙ্গারু কোর্ট বা জেল হত্যার মত কিছু একটা করতে। নাৎসীদের মত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে। হলে দেশে এত নাটক হত না - আর ওরাও এমন ঔদ্ধত্য দেখাতে পারত না। কিন্তু এই সরকার তাদের আন্তর্জাতিক মানের একটি বিচার দিচ্ছে, তাদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে - এইখানেই পরাজিত শক্তিদের সাথে যুক্তিযুক্ত, সভ্য মানুষের পার্থক্য। আমরা যদি সেজন্যে বলি পাকিপ্রেমী বলে আসিফের উপর হামলা ঠিক আছে তাহলে আমরা সেইসব কীটের পর্যায়ে আমাদের নিয়ে যাচ্ছি।
রেজওয়ান ভাই, আমি আসলে আসিফ কে তেমন চিনিও না। ব্লগীয় পলিটিক্সের কথাও উল্লেখ করিনাই এখানে। আমি বলতে চেয়েছি বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেখানে কেউই নিরাপদ নয়, সেখানে আসিফও একজন। কিন্তু সে ব্লগার বলেই আমরা কেন আগে থেকেই ধরে নিচ্ছি যে ব্লগিং এর কারণেই তার উপর হামলা হয়েছে? আমি তার সাম্প্রতিক কিছু লেখা পড়লাম ফেসবুকে, পড়ে তাকে এমন কিছু শ্ক্তিমান ব্লগার ও মনে হয়নি।
সাফি ভাইয়ের পয়েন্টটা বুঝতে পেরেছি । আমি অবশ্য মনে করি নিশ্চিত না হয়ে আসিফের ওপর হামলাকে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বা ব্লগিং এর কারণেই হামলা হিসেবে ট্যাগ না করে একজন ব্লগার হিসেবে আমাদের তার পাশে দাড়ানো উচিত ,তার উপর ঘৃণ্য হামলা ঘটনার যথার্থ তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবিতে প্রতিবাদে নামা উচিত । আসিফ নাস্তিক ও বামদের সাথে উঠাবসা করেন তাই মুক্তমনা গোষ্ঠি ও বামদের যেমন সোচ্চার দেখছি তেমনি ছাগু ও অন্ধ আম্বাদের বিবমিসামুলক প্রতিক্রিয়াও দেখছি । আসিফ মডারেট মুসলিম ও বাম না হলে কি তবে গনেশ উলটাতো ?
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আমরা কি ব্লগার ফারাবীর পাশে দাড়াবো?
একজন নাগরিক -- যেকোনো নাগরিক -- রাস্তায় দুর্বৃত্তের হাতে নৃশংসভাবে আহত হইছেন এইটা নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য ঘটনা। এইটা শহরের (অন্তত একটা বিশেষ অংশের --- উত্তরায় এই ধরনের ঘটনা ঘনঘন ঘটতেছে শুনছি) সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়।
কিন্তু দুঃখিত, আমার কাছে এই পোস্ট লঘু মানের "সুশীলীয়" লেখা মনে হইছে। সালাউদ্দীউন শোয়েবের মামলা আর হুমায়ূন আজাদের উপর মৌলবাদীদের চাপাতি আক্রমণ "কেমন যেন" একসূত্রে গাঁথা এই চিন্তাটাই অস্বস্তিকরভাবে অপরিণত। এই অপরিণত চিন্তা আমাদের সুশীল সমাজের স্থুলতা না সুযোগসন্ধানী মনোবৃত্তির রিফ্লেকশন সেই প্রশ্নের জবাব জানা নাই।
সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সোজাসুজি "স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর" আক্রমণ বলে দেয়াটাও এই একই সুশীলীয় ধোঁয়াশা বা ধান্দার লক্ষণ। আমাদের গোষ্ঠীবাজ গুটিবাজ ধান্দাবাজ সাংবাদিক সংগঠনগুলি দুইটা নিরীহ মানুষের নির্মম মৃত্যু নিয়া ন্যাক্কারজনক হিরোইজমের চর্চা করছে -- এক ধরনের "লাশের রাজনীতি" করছে, করতেছে। সাংবাদিক হত্যা = সাংবাদিকতার উপর আক্রমণ, এইটা একটা মহাফ্যালাসি।
ঠিক একই কারণে, "ব্লগারের উপর হামলা মানে বাক স্বাধীনতার উপর হামলা" একটা স্থূল মন্তব্য। স্থূলতায় ১ তারা।
বাই দা ওয়ে, আসিফ মহিউদ্দিনের বিষয়ে আমার কোনো আলাদা প্রীতি বা বিদ্বেষ নাই। আসেন আমরা এমন একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করি যেইখানে শিক্ষক, লেখক, ব্লগার, সুশীল, চোর সকলেই সকল দুর্বৃত্তপনার হাত থাইকা মুক্ত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আসিফ কেন মার খেয়েছে, এই প্রশ্নটার উত্তর এখনো পাই নাই। আরিফ ভাই, নুরুজ্জামান মানিক ভাইয়ের মতো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করেও জানা যায় নাই। সুতরাং কেন মার খেয়েছে, সেটা না জেনে প্রতিবাদ করাটা প্রিম্যাচিউরড কাজ হবে।
লেখা চুরির ব্যাপারটা আসলে অভিযোগ না, প্রমাণিত বিষয়। দুইটার ওজন পুরোপুরি আলাদা। যে লেখা চুরি করে ব্লগায়, তাকে ব্লগার হিসেবে অ্যাক্সেপ্ট করা যাবে কিনা, ভাবার বিষয়।
পুরোটাই এক্সট্রাপোলেশন। ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে এরকম আপাতদৃষ্টির ব্যবহার একটু রিস্কি।
আমি সিরাতুল মুস্তাকিমে যতোটুকু বুঝি, নজরুল হোক আর মহিউদ্দিন হোক কোনো আসিফকেই পরাজিত শক্তির আক্রমণ করার কথা না। তবে সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে সরলে আসিফকে পরাজিত শক্তি আক্রমণ করতেও পারে, যাতে জয়ী শক্তির ওপর দোষ চাপানো যায়। তবে কোনো শক্তির ধার ধারে না, এরকম ছিনতাইকারীও কাজটা করতে পারে। ব্যক্তিগত বা নারীঘটিত ঝামেলাও হতে পারে। ফেমাস হওয়ার ধান্দাও হতে পারে। একজন লেখাচোরের পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব। কিছুই নিশ্চিত না। প্রতিবাদের আগে নিশ্চয়তাটা দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মানলাম।
তাহলে এটা কি?
প্রতিবাদটা একজন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে, এখানে ব্যক্তি আসিফ কতটা মুখ্য? এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য প্রতিবাদ জরুরি। আসিফ মহিউদ্দিন লেখা চুরি করা মানুষ হতে পারে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে সহিংসতা তো গ্রহনযোগ্য নয় কোনভাবেই। তাই সহিংসতার প্রতিবাদের আগে কেন সহিংসতা হলো এর তদন্ত ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
প্রতিবাদের ক্ষেত্রে ব্যক্তি অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। ব্যক্তিকে ফ্যাক্টর হিসেবে না ধরলে বিষয়টা স্রেফ হিপোক্রেসি ছাড়া কিছু হয় না। ব্যক্তিভেদে প্রতিবাদের ধরন পালটায় - এটাই বাস্তবতা। বাড়তি উদাহরণ দিলাম না, আপনার প্রোফাইল পিকের ওরাও বাংলাদেশের নাগরিক, যাদেরকে বাংলা ছাড়তে বলা হচ্ছে। তবে আমার বক্তব্যও মূলত ঘটনাকে নিয়েই। প্রতিবাদের আগে ঘটনা ঠিকঠাক জানা দরকার। সহিংসতা আদৌ হয়েছে কি না, বা সহিংসতার ধরন কি, তার ওপর প্রতিবাদের ধরন নির্ভর করে।
তাই তদন্তটা আগে দরকার।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১. ব্যক্তিকে ফ্যাক্টর হিসেবে ধরে সহিংসতা গ্রহনযোগ্য সমাধান কি?
২. জামাত, শিবির, রাজাকার- এদের একটা বড় অংশ সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত। তারপরেও এদেরকে কুপিয়ে দেশ ছাড়া করার কোন পদক্ষেপ কি আমার এই প্রোফাইল পিক সমর্থন করে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
১। ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে সহিংসতাও একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে। মিষ্টি কথায় বুঝিয়ে সুঝিয়ে সব সময় কাজ হয় না।
২। জামায়াত শিবির রাজাকাররা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদেরকে বাংলা ছাড়তে ফোর্স করা (যেটা প্রোফাইল পিক বলে) যদি অপরাধ না হয়, তাইলে তাদের পিটিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করাও অপরাধ না।
শুয়োরের সাথে ফুল দিয়ে যুদ্ধ হয় না ভাই। যেমন বুনো ওল, তেমন বাঘা তেঁতুল লাগে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বুঝলাম। তবে একটা ব্যাপার- জামাত-শিবির-রাজাকার এর সাথে আসিফ মহিউদ্দিন এর কি তুলনা চলে?
তারমানে আসিফ এর লেখার/লেখাচুরির/মানসিকতার/আত্মদম্ভের ইত্যাদি ইত্যাদির বিরুদ্ধে সহিংসতা জায়েজ?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আসিফ ছাগু হলে তার প্রতি যেকোনো ট্রিটমেন্ট জায়েজ। ছাগুদের প্রতি সফটকর্নারের জন্য গত ৪২ বছর ধরে আমরা ইয়ের উপ্রে আছি। ছাগুরা মানবতা দেখায় না, ছাগুরা মানবতা ডিজার্ভও করে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তাহলে ছাগু খেদাতে ছাগুদের দেখানো রাস্তাই অনুসরণ করতে হবে?
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুন্যাল এর ব্যবস্থা না করে সবকটাকে ধরে লটকে দিলেই তো হতো তাই না? কিন্তু আমরা সেটা করি না, কারণ ছাগুদের সাথে এটাই আমাদের পার্থক্য। ছাগুরা মানবতা ডিজার্ভ করেনা, কিন্তু আমরা পাশবিকতার পথে হাঁটলে শেষ পর্যন্ত তারাই জয়ী হয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছাগু ট্রিটমেন্টে ছাগুর দেখানো রাস্তা অনুসরণও একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান।
দুইটা জিনিস মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ না। ১৬ ই ডিসেম্বরের পরে অনেক রাজাকারকে খুন করা হয়েছিলো, অনেকের পিঠের চামড়া ছিলে লবণ লাগায়া দেয়া হয়েছিলো, আবার এখন এই ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনাল চলছে - এর প্রত্যেকটাই গ্রহণযোগ্য সমাধান। যে যেভাবে পারে, মূলকথা হলো ছাগু নিধন ও ছাগু প্রতিরোধ। এখন রাজাকার হত্যাকে পাশবিকতা বলা যায় কিনা, সেটা আপনার বিবেচনা। আমি শুধু বুঝি, এটা যুদ্ধের ময়দান, এখানে গুলির পালটা গুলি জায়েজ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ব্যক্তিবিশেষে গ্রহনযোগ্য সমাধানের পার্থক্য থাকবে, স্বাভাবিক। কিন্তু সমাজে "গুলির পাল্টা গুলি" জায়েজ করে দিলে যে পরিস্থিতির তৈরী হয়/হবে, তার নিয়ন্ত্রণও কিন্তু ভেবে দেখার বিষয়। আর ঠিক একারণেই কিন্তু যুদ্ধাবস্থাতেও কনভেনশন মানার আন্তর্জাতিক আইন আছে, কিন্তু সেটা মানা না মানা নির্ভর করে মানসিকতার উপরে, শেষ পর্যন্ত আইন এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সেটাই পার্থক্য তৈরী করে।
বিচারের পর ফাঁসি দেয়াটাও একদৃষ্টিতে কিন্তু হত্যাই, কিন্তু সেটা আইনি প্রক্রিয়ায়, প্রমানসাপেক্ষে করা হয় বলেই পৃথিবীতে "বিচার" আর "হত্যার" মাঝে পার্থক্য বিদ্যমান। বিনা বিচারে হত্যা অবশ্যই পাশবিকতা। সভ্যতা পাশবিকতায় চলেনা।
আমার কাছে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য সমাধান না, তার অজস্র যুক্তি/কারণ আছে। সহিংসতা নির্ভর প্রতিশোধপরায়ন কোন সামাজিক পদক্ষেপ একটি গোষ্ঠিকে উৎখাতে আপাতদৃষ্টিতে কার্যকর মনে হলেও, এর প্রতিক্রিয়া শেষ পর্যন্ত ভালো হয় বলে কোন প্রমান এখন পর্যন্ত নেই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমার কাছে ন্যায় বিচারটা মূখ্য, প্রক্রিয়া মূখ্য না। হত্যাকারী রাজাকারকে গুলি করে হত্যা তাই আইনের ফাঁক গলে তার বেরিয়ে যাওয়া থেকে প্রেফারেবল। আপনি যেটাকে সহিংসতা বলছেন, সেটা আমার কাছে ন্যায় বিচারের একটা প্রক্রিয়া।
আমি মনে করি, এটা খুব কার্যকরী, সোজাসাপটা একটা প্রক্রিয়া। এজন্যই শিবিরকে কেউ পিটাইলে আমি সেটাকে ন্যায় বিচার মনে করে খুশি হই, দেশের আইন উচ্ছন্নে গেলো বলে বক্তৃতা দেই না বা মন খারাপ করি না। শিবির যখন কারো রগ কাটে, কাউকে হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে রাখে, গুলি করে বিচারকের খুলি উড়িয়ে দেয়, তখন যেহেতু আইনের ধার ধারে না, সেহেতু তাদেরকে আমি সেই অপ-আইনের সুযোগ দিতে চাই না, যাতে স্বাধীন বাংলাদেশে তারা রাজনীতি করার অধিকার পায়।
সভ্যতার সংজ্ঞা স্থবির না, সভ্যতার সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়। আইন জিনিসটাও তাই। আইনটা কে তৈরি করছে, তার ওপরেই নির্ভর করে আইন আর তার ভিত্তিতে বিচার। মানুষও আলটিমেটলি পশু, একটু ব্রেইনওয়ালা পশু - এই যা। আমরা যেটাকে পাশবিকতা বলে মনে করি, তার চর্চা, ইন জেনারেল, পশুদের চেয়ে মানুষই বেশি করে। মানুষ যে পরিমাণ পশু হত্যা করে, পশু সে পরিমাণ মানুষ হত্যা করে না। সুতরাং পাশবিকতার বিচারে মানুষের চেয়ে বড়ো পশু কেউ নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রক্রিয়া ঠিক না হলে প্রথম প্রশ্ন সেটাকে বিচার বলা যায় কিনা? বিচার ন্যায়/অন্যায় সেটা তার পরের প্রশ্ন। এর জন্যই রাষ্ট্র কর্তৃক নির্দিষ্ট আইন/কাঠামো প্রণিত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবেও নির্দিষ্ট আইন মেনে চলা হয়। জঙ্গলের আইন আর সভ্যতার আইন এক না।
মানুষকে কোপানোর অপরাধে যদি পুনরায় সেই ব্যক্তিকে (অপরাধীকে) কোপানো আইন হয়, আমি বরং সেই দেশ স্বেচ্ছায় ত্যাগ করতে ইচ্ছুক।
জামাত-শিবির কি বাংলাদেশ রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ সংগঠন? যতদুর জানি, না। তাহলে তাদের এসব অপরাজনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগের পরেও রাষ্ট্র তাদের নিষিদ্ধ করছেনা কেন? যদি রাষ্ট্র নিষিদ্ধ না করে, তাহলে সংবিধানের আওতায় তারা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম করার অধিকার পায় কি? যদি পায়, তাহলে জনগণ কি "খুনের বদলা খুন" বলে আইন হাতে তুলে নিতে পারে? যদি জনগণ নিজের আইন নিজেই তৈরী করে নিতে পারে তাহলে কি রাষ্ট্র এবং সরকার উভয়েই ব্যর্থ ?? এই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত প্রশ্নগুলোর কি কোন উত্তর আছে?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আক্রান্ত কেউ আক্রমণকারীকে পালটা দেয়াটাও একটা সঠিক প্রক্রিয়া। সব সময় আইন-আদালতের জন্য মানুষ বসে থাকে না, এটাই বাস্তবতা। কারণ, আইন নিজেই পারফেক্ট না। আইনের ফাঁক থাকে, এবং আমাদের দেশের মত পরিস্থিতিতে আইনের চেয়ে তার ফাঁকই বড়ো।
স্বাধীন বাংলাদেশের কনটেক্সটে যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা হয়, তাহলে আর ঝামেলা থাকে না। স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো। তাদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢুকানো হইছে স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে। তাদেরকে রাজনীতিতে ঢুকানোর ব্যাপারটা একটা অপ-আইনের উদাহরণ। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে যে কোনো মানুষেরই উচিত তাদের এই রাজনীতি করার অধিকারকে মেনে না নেওয়া এবং এর বিরুদ্ধে কথা বলা। অপ-আইনের কল্যাণে তারা রাজনীতি করার অধিকার পেয়েছে। সুতরাং সেই আইন দেখিয়ে আইনের শাসনের কথা বলে হয় ধান্দাবাজরা (যাদের স্বাধীনতার চেতনার প্রতি সম্মান নাই), নাহয় অসচেতন লোকজন, যারা কনটেক্সট বিচার না করেই মানবতার বুলি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
অন্যদিকে জামায়াত কিন্তু তার আকাম ঠিকই করে যায়। এক্ষেত্রে মানবতাবাদী সুশীলরাই আসলে দেশের মানুষের সবচেয়ে বড়ো সর্বনাশ করে। এরা না পারে জামায়াতকে প্রতিহত করতে, উলটা যারা প্রতিহত করছে, তাদের পথেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
মিষ্টি কথায় যেদিন ছাগু মানুষ হওয়া শুরু করবে, সেদিন থেকে আমিও ছাগুকে মাইর না দিয়ে মানবতা দেখানোর কথা বলবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও কিন্তু জামাত-শিবির টিকে আছে এবং এখনও কিন্তু তাদের আইন করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছেনা। এই বিষয়ে সরকার/রাষ্ট্রের ব্যর্থতা নিয়ে করা প্রশ্নটার কিন্তু জবাব হলো না।
মিষ্টি কথা বলার প্রয়োজন নাই, কিন্তু হাতে অস্ত্র তুলে ছাগু কোপানোও সমর্থন করিনা। আসিফ মহিউদ্দিন ছাগু হলে তাকে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক, সে যখন কাউরে কোপাতে যায় নাই, তাই তারে এই ট্রিটমেন্ট দিলে সেটা উল্টা তার জন্য সিম্প্যেথীই তৈরী করে দেয়।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বেশি মানবতা দেখাইতে গিয়াই আজকে স্বাধীনতার এত বছর পরেও জামাত শিবির সমানে আমাদের সামনে দিয়ে হেটে বেড়াচ্ছে। কিছু মনে করবেন না অরফিয়াস ভাই, আপনার কথাগুলা/এই যুক্তি গুলাই ছাগুদের প্রধান সম্বল। তারাও বলে আমরা তো নিষিদ্ধ কোন দল না, আমাদের কেন মিটিং মিছিল করতে দেয়া হবে না। ঘটনা হচ্ছে এরা ঘাড় তেড়া, এদেরকে সুযোগ দিলেই সমস্যা। আসুন আমরা যতভাবে পারি এদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি। মানবতা হচ্ছে মানুষের জন্য, এরা তো মানুষ না। এদের সাথে পশুর মতই আচরণ করা উচিত।
স্পট অন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সুযোগ দিলেই সমস্যা তো, সরকার/রাষ্ট্র সুযোগ দেয় কেন? সরকার কি সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন ??
মানবতা আর রাজনৈতিক ফায়দা গুলায়য়েন না, সমস্যা হয়।
জ্বি, আপনি পশুর মতো আচরণ করতে থাকেন, সমস্যা নাই।
কিছু একটা নাম লেইখেন, নামহীন থাকলে তো সমস্যা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সমস্যা হলো ছাগুরা কিন্তু আমাদের কোপায়, সেটা তাদেরকে পালটা কোপানি ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে রোধ করার কার্যকর তরিকা এখন পর্যন্ত পাই নাই।
টিকে থাকবে না কেন? তাদের মাইরের পরিবর্তে মাইর দিতে গেলে মানবতাবাদী সুশীলরা হায় হায় করে ছাগু বাঁচাতে তৎপর হয়। সরকার/রাষ্ট্র সুশীলদের ডরায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মনে হয়না, তাহলে তো সরকার শিক্ষক আর ছাত্র পিটানোর সময়ও চিন্তা করতো, সেটা তো করেনা।
কোপানোর পরেও তো ছাগু দিনে দিনে বাড়তেছে, এদের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমর্থনও তো করে এদেশের মানুষ। যদি সমাজের একটা অংশ এদের সমর্থন করে তাহলে কি সবাইরে কোপানো ট্রিটমেন্ট দেয়া হবে?
ভুল বললেন, এবার সকল ধরনের সুশীল/অ-সুশীল সবার এক কথাই ছিল, এদের নিষিদ্ধ করা হোক, কিন্তু সরকার সেটা করে নাই।
একটা প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখনও পেলাম না, "সরকার/রাষ্ট্র কি ব্যর্থ"?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সরকার সুশীলদের ডরায় তার উদাহরণ ইউনুস।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের কারণেই বাড়তেছে। ছাগুদের ঠিকমতো কোপানো হচ্ছে না মোটেই। কারণ, এই সমর্থনদাতারাই বাধা দিচ্ছে কোপাতে। প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর।
আমি দেখি নাই, কোথায় সুশীল-অশুশীল সবাই ছাগুদের নিষিদ্ধ করতে বলেছে। আমি বরং দেখছি ছাগুদের নিষিদ্ধ করার কথা বললেই তারা ছাগাধিকারের পক্ষে দাড়িয়ে যাচ্ছে।
এটার উত্তর এখনো আপনি না পেলে আমার ব্যর্থতা। পাবলিক যেমন চায়, সরকার তেমন করবে। পাবলিক একাট্টা হয়ে ছাগু পিটানি সমর্থন না করলে সরকারকে ব্যর্থ বলার কোনো অর্থ নাই। আজ সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে মানবতাবাদীরা রক্তাক্ত হৃদয়ে মানব বন্ধনে দাঁড়িয়ে যাবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শেষপর্যন্ত সরকার তো অবস্থানে অনড় ছিল, তাই না?
এইবারের জামাতের তান্ডবের পরে যে জনমত ছিল, তাকেও সরকার কাজে না লাগালে সেটা সরকারের সমস্যা।
সরকার/রাষ্ট্র ব্যর্থ না হলে, পাবলিকের নিজের হাতে কোপানোর দায়িত্ব তুলে নেয়ার কোন দরকার নেই, তাহলে দেশের আইন এবং শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উভয়ের কোনটারই দরকার থাকেনা। কিন্তু তারপরেও পুলিশকে বেদম কেলানোর পরেও যখন তারা কোন একশনে যায় না সেটা কি জনগনের ব্যর্থতা?
এটা আপনার অনুমান।
____________________
আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন একটি রাষ্ট্র। তার নিজস্ব অবকাঠামো আছে, প্রশাসন আছে, সংবিধান আছে এবং আইন-আদালত আছে। যখন জামাত-শিবির রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কর্মকান্ড পরিচালনা করে এবং এর স্বপক্ষে অজস্র প্রমান উপস্থিত, তখন সরকারকে এধরনের একটি দল নিষিদ্ধ করতে এবং তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনতে এত ভনিতার দরকার পড়েনা। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর এই সোজাসুজি পদ্ধতিতে কাজ করার অনিহা এবং রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা থেকেই সরকার বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই সরকার বাগে পেয়েও তাদের নিষিদ্ধ করেনা বরং জিইয়ে রাখে যাতে এর উপরে ইস্যু তৈরী করা যায়।
তারপরে থাকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। দেশের অর্থনীতির বিরাট একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করে জামাত। শুধু তাই না, মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলার এর অনেকটাই তাদের হাতে থাকে। তেল চুকচুকে চেহারার জামাতের সাথে সরকার তাই লড়াই করতে দশবার ভাবে। আর দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির ব্রেইনওয়াশ করে কিভাবে কাজে লাগাতে হয় জামাত সেটা জানে। তাদের অর্থের অবাধ যোগান সেটা নিশ্চিত করে। এই ক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দলীয়ভাবে ব্যর্থ। কারণ ভাগের টাকা, সবার ভোগেই লাগে।
জনসমর্থন জামাত-শিবির এর প্রতি কখনই এতোটা ছিলনা। সেটা আস্তে আস্তে তৈরী হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে তাদের মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে এবং শেষপর্যন্ত আপোষের পথ বেছে নিয়েছে। আইন এর আওতায় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে তাই লেগেছে ৪০ বছরের বেশি সময়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শিবিরের মতো একটি সন্ত্রাসী দলকে নিষিদ্ধ করতেও সরকার ব্যর্থ। তাই এদের ডালপালা ছড়িয়েছে অনেক গভীর পর্যন্ত।
এরকম আরো অজস্র কারণ আছে সরকারের ব্যর্থতার। কিন্তু তার পরেও একটি স্বাধীন দেশে সহিংসতার জবাব সহিংসতা দিয়ে দিলে, সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। দৃঢ় অবস্থানে যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের এবং তাকে সমর্থন করবে জনগণ। জনগনকেই যদি কেলানোর দায়িত্ব নিতে হয় তাহলে আর জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার দরকার পড়েনা, এত লোককে অযথা সংসদে পাঠানোরও দরকার পড়েনা। জনগণ যদি প্রতিরোধ করে সেটা হবে তাদের নিয়মিত কাজের পদ্ধতিতে (ভোটে,মিডিয়ায়,পত্রিকায়,চর্চায় ইত্যাদি) কোপাকুপিতে না।
_______________
যাই হোক, এই তর্ক আসলে কোনদিকেই যাচ্ছেনা, আপনার মতো আমিও যুদ্ধাপরাধী এবং ছাগুদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, শুধু কর্মপদ্ধতি হয়তো আলাদা হবে। অফ গেলাম। ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নিকট ভবিষ্যতে দাঁড়াবেন, নাকি আরো সময় লাগবে?
বাকি আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। শুধু একটা অনুরোধ করি, দেশের 'দরিদ্র' জনগোষ্ঠীকে জামায়াততোষী ট্যাগ দিয়েন না। জামায়াত তোষণ করলে কেউ দরিদ্র থাকা সম্ভব না। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যই এখন পর্যন্ত জামায়াতের 'জন'প্রিয়তা নাই। ধান্দাবাজ 'ধনী'রা বিক্রি হয়, দরিদ্ররা জামায়াতের কাছে বিক্রি হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই থ্রেডে একটা বিষয়ে একটু তথ্য সংযুক্ত করতে চাইঃ আমি অর্ফিয়াসকে যতটুকু দেখেছি তাতে সে সবসময়ই যুদ্ধাপরাধ ও ছাগুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠেই দাঁড়ায়। আগে যেমন দাঁড়াতে দেখেছি সামনেও সেভাবে দাঁড়াবে সন্দেহ নাই।
(হঠাৎ থ্রেডে অনুপ্রবেশের জন্য অর্ফিয়াস এবং বলাইদা দুজনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।)
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ অলি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যুদ্ধাপরাধী এবং ছাগুদের বিরুদ্ধে কি করছি সেটা আমার কাজেই না হয় প্রমান হোক, তর্ক না করি।
আর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের থেকে শিবিরের রিক্রুটিং প্রসেস সম্পর্কে নিঃশ্চয় আপনিও জানেন, এরকম উদ্দেশ্যগুলো সম্পর্কেই বলা।
ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
'দরিদ্র' শিক্ষার্থী না, 'মেধাবী' শিক্ষার্থীরাই শিবিরের টার্গেট। শিবির গরীব পুছে না, মেধার 'মূল্যায়ন' করে।
জামায়াতের ভোট:
১৯৯১: ১২,১%
১৯৯৬: ৮,৬%
২০০১: ৪,২৮%
২০০৮: ৪,৬%
পাবলিকের কাছে জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা দিনকে দিন কমছে, বাড়ছে না।
যেটা বাড়ছে, তা হলো সুশীল ক্ষমতাবানদের জামায়াতের কাছে বিক্রি হওয়ার হার। এদের আকামের দায় দরিদ্র জনগণের ওপর চাপানো দ্বিগুণ অন্যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
এই আকামটা না করলে চলতো না? আমি তো আপনাকে কোনোভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করি নাই। আমি তো আমার বক্তব্যের সপক্ষে ভোটের হিসাব দেখালাম। দরিদ্র লোকজনকে জামায়াত টাকা দিয়ে কি সংখ্যায় দলে ভিড়িয়েছে, আপনি তার হিসাব দিতে পারতেন। তা না করে এত অল্পে স্খলন হয়ে গেলে তো সমস্যা। ছাগু নিধনের পরিবর্তে আমাকে নিধনেই আপনার আগ্রহ বাড়বে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দল ভারী করার জন্য গরীবরেও দলে ভিড়ানোর দরকার আছে, শিবির এইভাবে চিন্তা করতেই পারে।
_____________________
Give Her Freedom!
কিভাবে? কোন জখম না হয়ে বা অল্প জখম হয়ে গুরুতর আঘাতের প্রচারণা?
আপনার এই মন্তব্যটা বেশ আক্রমণাত্মক
অসম্ভব না।
আমি যতোদূর জানি, বাংলা ব্লগ পরিমণ্ডলে লেখা চুরিকে অত্যন্ত গর্হিত কাজ হিসেবে ধরা হয়। এরকম গর্হিত কাজ করে অনুতপ্ত না হওয়া কারো অতীত রেকর্ড বর্তমানের বিচার করতে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আক্রমণের কিছু নাই, সোজাসাপটা বক্তব্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অঃটঃ আপনার লেখা বা মন্তব্য নাই অনেক দিন ধরে। কারণ জানতে চাইছি না, সেটা আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়। আবার শুরু করবেন নাকি?
শুরু করতেই চাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়া বিভ্রান্ত, বঙ্গবন্ধু নিয়া বিভ্রান্ত, মাঝে মাঝে আকারে ইঙ্গিতে পাকিস্তানের প্রতি সফট কর্নার প্রদর্শনকারী, লেখাচোর আসিফ মহিউদ্দীনরে বড়ই বিরক্ত লাগে। তবে তার কোন লেখা/বক্তব্যই যে সমর্থন করি না তা নয় (উদাহরণঃ নাস্তিকতা বিষয়কই বেশি)! তবে যতই অপছন্দের হোক, বিরক্তিকর হোক যখন উনাকে ছুড়িকাহত অবস্থায় কিছু ছবিতে দেখলাম, আমার মানবিকবোধ ভীষণ আহত হলো। এভাবে কোনমতেই আক্রমণ করা যায় না, এটা সন্ত্রাস। পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার চাই।
আসিফ মহিউদ্দীন যে সকল অপরাধ (লেখাচুরি-ইতিহাস বিকৃতি) করেন তার বিচার আইনী প্রক্রিয়ায় হোক সেইটাও চাই। তার গায়ে কেউই হাত তুলতে পারে না। উনার সুস্থতা কামনা করি।
_____________________
Give Her Freedom!
শুধুই বিরক্ত?!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বড়ই বিরক্ত! (সুশীল পোস্টে সুশীল শব্দচয়ন)
_____________________
Give Her Freedom!
তাইলে নাস্তিকতা নিয়ে লেখার কারনে আসিফ মহিউদ্দিনের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়া বিভ্রান্ত, বঙ্গবন্ধু নিয়া বিভ্রান্ত, মাঝে মাঝে আকারে ইঙ্গিতে পাকিস্তানের প্রতি সফট কর্নার যাবতীয় দোষ কাটা গেছে বলতে চান? ছাগু সম্প্রদায়ের আর কি দোষ তারা ইসলামের কারনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়া বিভ্রান্ত, বঙ্গবন্ধু নিয়া বিভ্রান্ত, মাঝে মাঝে আকারে ইঙ্গিতে পাকিস্তানের প্রতি সফট কর্নার মাপ কইরা দিসে- এবার ঠিক আছে
দোষ কাটা যাবে ক্যান? বঙ্গবন্ধুর জীবনী-মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তো রাষ্ট্রীয়ভাবে লিপিবদ্ধ, এইসব নিয়া বিকৃতির প্রচেষ্টা তো রাষ্ট্রদ্রোহীতাই! তার বিচার যে চাইলাম (আইনী প্রক্রিয়ায়) সেইটে দেখলেন না যে?
ধার্মিক হৈলে কিন্তু আসলেই নাস্তিক অপেক্ষা ছাগুগিরিতে বেশি আক্রান্ত হোয়ার সম্ভাবনা থাকে! আমার কাছে ছাগু তো অনেক কারণে হয়ঃ ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক-মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী-বঙ্গবন্ধু বিরোধী-বিজ্ঞান বিরোধী-যুদ্ধাপরাধ সমর্থক-পাকিপ্রেমী-সর্বোপরি জামাত-শিবির- ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন আচিপ ধর্মান্ধ ছাগু না হৈলেই যে অন্য ক্রাইটেরিয়াতে ছাগু হৈতে পারবে না এমন তো নয়!
জামাত শিবির ছাড়া সবাইরেই আইনী প্রক্রিয়ায় শাস্তির আওতায় আনা সমর্থন করি, খালি জামাত-শিবির ছাগুদের ডাইরেক্ট গদাম!!
_____________________
Give Her Freedom!
ধার্মিক হৈলে কিন্তু আসলেই নাস্তিক অপেক্ষা ছাগুগিরিতে বেশি আক্রান্ত হোয়ার সম্ভাবনা থাকে! - এইটা কি আপনার মতামত নাকি কোন এমপেরিকেল ডাটা আছে?
আমার ক্ষুদ্র জীবনের পর্যবেক্ষণ! ধর্ম নিজেই ছাগুত্ব চর্চা করে, নাস্তিকতা করে না! এইখানেই তো সম্ভাবনা অনেক খানি কমে গেল!
_____________________
Give Her Freedom!
তাইলে আমার পর্যবেক্ষণ যদি হয় নাস্তিকতার নামে খাসী এবং ছাগু তোষন হইতেসে- আমার কি করা উচিত বলে মনে করেন?
ছাগু তোষণ করে আর মুখে নাস্তিকতার মুখোশ পৈড়া রৈছে- এমুন হৌন অসম্ভব না।
'প্রকৃত নাস্তিক মানেই ছাগু হবে না বা হবার সম্ভাবনা কম' আমি এই ধারণার প্রতি একটু ব্যক্তিগতভাবে দুর্বল আছি। তবে সময়ে ভবিষ্যতে এই ধারণা পরিবর্তন হবে না তার গ্যারান্টি নাই।
(অফটপিকঃ আপনার নিক নিয়া অন্য কেউ মন্তব্য করতেছে কী না তার নিশ্চয়তা নাই! সুতরাং লগিন কৈরা মন্তব্য করার ব্যবস্থা কিন্তু করতে পারেন। এনি ওয়ে।)
_____________________
Give Her Freedom!
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই যেহেতু নিজেকে ধার্মিক বলে দাবি করে, সেহেতু -
১। বাংলাদেশের বেশির ভাগ (৯০% এর ওপরে?) লোকই আসলে ছাগুত্ব চর্চা করে বা ছাগু, অথবা
২। বাংলাদেশের মানুষ সাচ্চা ধার্মিক নয়।
কোনটা সঠিক?
[এই বিষয়ে আমি আর কোনো প্রশ্ন করবো না, ব্যান খাওয়ার ইচ্ছা নাই। সুতরাং, আপনি উত্তর দিলেও সই, না দিলেও নো প্রবলেম।]
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধর্মের সকল চর্চা ছাগুত্বের চর্চা নয়। ধার্মিক ছাগুত্ব চর্চা না কৈরাও ধর্ম চর্চা করতে পারে, সেইক্ষেত্রে সে সাচ্চা ধার্মিক না, মডারেট!
(আমি গালাগালি খাইলেও অভিযোগ আনুম না! নিশ্চিন্তে যা ইচ্ছা কৈতে পারেন!)
_____________________
Give Her Freedom!
পোস্ট এবং সকল মন্তব্য পড়ে এইটুকুই বলতে পারি যদি সত্যি সত্যিই আসিফ আহত হয়ে থাকেন(যদি সাজান কোন ঘটনা না হয়ে থাকে) তাহলে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ব্যক্তি আসিফ যাই করে থাকুন না কেন, পিছন থেকে এমন কাপুরুষের মত আক্রমনের প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
পিছন থেকে কাপুরুষের মত আক্রমণ হইছে এইডা জানলেন কেমনে?
আসিফের উপর এই হামলার পেছনে তিনটা সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে:-
১) ছিনতাই
২) ব্যক্তিগত রেষারেষি/বান্ধবী নিয়ে ক্যাচাল
৩) নাস্তিক্যবাদী একটিভিজমের প্রতিক্রিয়া
যেহেতু তার দামী মোবাইল ও মানিব্যাগ খোয়া যায়নি, তাই এটা ছিনতাইয়ের ঘটনা না। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বলছেন তার সাথে ব্লগীয় পরিমন্ডলের বাইরে কারও শত্রুতা ছিল না, তাই ২ নং পয়েন্টটাও বাতিল হয়ে যায়, বাকি থাকে শুধু ৩ নং পয়েন্ট। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচক ছিলেন এটা ঠিক, কিন্তু তিনি এমন কোন উচ্চ মার্গীয় সমালোচনা করতেন না যার ফলে আগামী নির্বাচনে লীগকে জেতানোর জন্য তাকে খুন করতে হবে, তাই লীগ বান্ধব কারও এই কাজ না করার সম্ভাবনা প্রবল। আমি মোটামুটি নিশ্চিত রাজনৈতিকভাবে এখন জামায়াত চাপের ভেতর না থাকলে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে কেউ না কেউ ঠিকই ঘটনার দায়বদ্ধতা স্বীকার করত, মৌলবাদীরা সাধারণত ঘোষণা দিয়ে কোপাইতে পছন্দ করে।
কেউ কেউ আসিফকে ছাগু আখ্যা দিয়ে তার উপর এই হামলাকে জায়েয করার চেষ্টা করছেন, তাকে ছাগু বলার ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। আর দশটা তল্পিবাহক ও এটেশন-সিকারের মত তিনিও "নিরপেক্ষ" বিচার চেয়ে প্রায়ই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিষোদগার করতেন, জেনেশুনে কথা কওয়ার মত ফেসবুক ইন্টেলেকচুয়াল খুব কমই আছে। মালালার ছবির সাথে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে দিয়ে কভার পেজ বানানোটাও তার অতিমাত্রায় ফালাফালি করার প্রবণতার বহিঃপ্রকাশ। মালালাকে নিয়ে কান্নাকাটি করলেই যদি পাকিপ্রেমী হবে, তবে মালালাকে নিয়ে নিউজ করার জন্য ফেইথফ্রিডম কিংবা জিহাদওয়াচের মত মুসলিমবিদ্বেষী সাইটগুলোকেও পাকিপ্রেমী বলতে হয়! তার এসব কীর্তিকলাপকে অনলাইনের স্ল্যাকটিভিস্টদের বাহবা কুড়িয়ে নিজের অহমকে তুষ্ট করার প্রয়াস হিসেবে দেখতে হবে, তাকে একজন সচেতন পাকপন্থী এক্টিভিস্ট কিংবা জামায়াতের পক্ষের ডিজইনফরমেশন ক্যামপেইনার আখ্যা দেওয়াটা যুক্তিনিষ্ঠ মনে করি না।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে তিনি আসিফ নজরুল গোত্রীয় বুদ্ধিবেশ্যা, তবুও তার উপর শারীরিক আক্রমণ জায়েয করা যায় না। জামায়াতের মত দলগুলার একটা আইডেন্টিফাইং বৈশিষ্ট্য হল এরা কখনও সমালোচনার মুখে টিকতে পারে না, সো দে প্লে ডার্টি। রগ কাটাকাটি সমর্থন করে রগ কাটা বাহিনীকে গালাগাল করাটা স্ববিরোধী হয়ে যায়। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা কেন জামায়াতের মত দলগুলোকে বাংলাদেশের মাটিতে টিকিয়ে রাখতে চাই না।
পৃথিবী
আপনি কি বাই এনি চান্স, বলতে চাচ্ছেন আপনার উল্লেখিত ৩ নং পয়েন্টের কারণে আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলা হয়েছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাস্তিকরা ছাগু টাইপ কথা বলেনা এটা কি ধ্রুব সত্য নাকি? কিউরিয়াস মাইনড ওয়ানটস টু নো- ফেইথ ফ্রিডম এবং জিহাদওয়াচের সাথে একজন বান্গালী একটিভিষ্টের পাকি পতাকা নিয়ে মোচড়া মোচড়ি করার কি কোন পার্থক্য আছে?
নতুন মন্তব্য করুন