পুর্বের পোস্ট: বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভেইল্যানস এখন সময়ের ব্যাপার
বিবিসি বাংলার গতকালের প্রভাতী অনুষ্ঠানে দুজন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। সাক্ষাৎকারগুলো শুনুন:
১) আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ব্রাসেলস ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক আহমেদ জিয়াউদ্দিন:
"এটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৩ ধারার সুস্পস্ট লঙ্ঘন"
২) ব্যারিস্টার সুলতানা কামাল, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও ভূতপুর্ব এডভাইজার, কেয়ারটেকার সরকার :
"এমনিতেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেলিট্যাপিং হয়, বিভিন্ন জনের উপর নজরদারী হয় কিন্তু সেটি করা হয় সৌজন্য রেখে সরাসরি নয় কারন সেটি তাহলে অগনতান্ত্রিক হবে। এখন তো এইভাবে এই সব অগনতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ন্যায্যতা দিয়ে দেয়া হচ্ছে।"
আমি এখনো দেশী কোন সংবাদপত্রে এ নিয়ে আলোকপাত করতে দেখিনি। দেশীয় সংবাদপত্রে সংবাদটি ব্ল্যাকআউট কেন হচ্ছে কেউ কি বলতে পারেন?
আরেকটি সংবাদ হচ্ছে: স্থায়ীভাবে বাতিল হলো সিএসবি টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি। নোটিসের জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বিটিআরসি।
মন্তব্য
অনেকে হয়তো ব্যাপারটার গুরুত্ব বা প্রসারসীমা বোঝেনি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সেক্ষেত্র সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের করনীয় কি হতে পারে?
×××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
এ ব্যাপারে দুয়েকজন সচেতন নাগরিক কিছু করতে পারবেন না। মূলধারার মিডিয়াকে জোরেসোরে এগিয়ে আসতে হবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দেশটা এখন শয়তানের বাচ্চাদের হাতের কব্জায় --- কিছুই করার নেই।
এই পোস্টটাকে স্টিকি করা হোক
আমরা যারা বিদেশে আছি তারাই খালি চিল্লাইতেছি। দেশে বসে মনে হয় চিল্লানো সম্ভব না। তবে এটা নিয়ে কিছু একটা করা দরকার। ব্লগ এখন শক্তিশালি একটা মাধ্যম। ফলে কিছু করা সম্ভব হবে। লিখেই প্রতিবাদটা করা যেতে পারে।
শালারা দেশটাকে ক্যান্টনমেন্ট বানানোর ধান্ধা করছে।
@ প্রকৃতিপ্রেমিক
আমাদের চিল্লাচিল্লিতে কাম হইলে দিন-রাত চিল্লাইতে রাজি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
খবরবটা শুনে আমার তো মাথা একেবারেই তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। আমি নিজে ইন্টারনেট আর ইমেইল ছাড়া একদমই চলতে পারিনা। ভাগ্য ভাল যে দেশের বাইরে আছি। সেখানে তো মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যন্ত নেই।
প্রতিবাদের মাধ্যমে কিছুটা হলেও তো একটা মেসেজ দেয়া যাবে এবং সেটা দেয়া দরকার। আমার মনে হয় ব্লগই এখন সবচেয়ে স্বাধীন মিডিয়া। ফলে এর একটা গুরুত্ব তারা বোঝে বলে বিশ্বাস করতে চাই।
ব্যাপারটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বাংলাদেশে যখন থাকি, ধরেই নিয়েছি, আমার কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। যে যা খুশি তাই করতে পারে।
আর দেশের এনজিও গুলি মুখে মুখেই শুধু ** ফালায়, কাজের বেলায় লবডঙ্কা।
-------------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমারো মনে হচ্ছে লোকজন জানেই না কীভাবে অজান্তেই বেঁধে ফেলা হচ্ছে তাদের।
কিছুই হবে না।
আট মাস আগে বলা হচ্ছিলো, আমরা ট্র্যাকচ্যুতি থেকে রক্ষা পেয়েছি।
আমি এখন বলবো, আমাদের অন্য একটা বিপদজনক ট্র্যাকে তুলে ফেলা হয়েছে। আমরা আমাদের চোখের সামনে ফ্রাংকেনস্টাইন তৈরি হতে দেখছি।
এখন শুধু ফ্রাংকেনস্টাইনের প্রকাশের অপেক্ষা।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আর কি বাকি রইলো?
মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত, গোপনীয় অধিকারেও হস্তক্ষেপ করা শুরু হতে যাচ্ছে। কিভাবে সম্ভব এতখানি জেনারালাইজ করা! এরপরে হয়তো সবার ঘরে ঘরে ক্যামেরা বসানো হবে যেন কেউ সন্দেহজনক কিছু করতে গেলেই তাকে ধরা যায়...
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। সাক্ষাতকারটা শুনছি।
মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সে বিষয়ে আলাদা করে প্রতিবাদও হোক।
আমার অন্য একটা সন্দেহ কাজ করছে মনে। কয়েকদিন আগে থেকে আমি ভাবছিলাম, যৌথবাহিনী ও ড়্যাব কেন সব কাজ বাদ দিয়ে ভিওআইপির যন্ত্রপাতি উদ্ধারে এতো সচেষ্ট? এই পর্যায়ের দুর্নীতি তো আরো অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছে।
বিটিআরসি'র এই তথ্য সংগ্রহের বিষয়টাও একই লাইনের।
বাংলাদেশে ভিওআইপি নীতিমালা করা হয়েছে। চারটি মূল প্রতিষ্ঠানকে গেইটওয়ে বসানোর সুযোগ দেয়া হবে। সরকার বাদে বাকী তিনটি গেইটওয়ে যারা পাবে তারাই এসব কলকাঠি নাড়াচ্ছে বলে আমার সন্দেহ হয়।
আমার সন্দেহ যদি ঠিক হয়, তবে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে থাকা, বিশেষত বাহিনীর শীর্ষ লোকজনের পুত্র-কন্যারা তিন গেইটওয়ের মালিক-উদ্যোক্তা হতে যাচ্ছেন।
উপরের দুটি পদক্ষেপ তাদের ব্যবসার সাফল্যের জন্য খুব দরকারি।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
চিন্তার কথা শোমচৌ'দা!
রেজওয়ান ভাইকে ধন্যবাদ তথ্য গুলো শেয়ার করার জন্য।
ব্লগস্পট | অর্কুট | ফেসবুক | ইমেইল
শোমচৌ: আরেকটি গুজব শেয়ার করি। আপনার অনুমান সঠিক ওই তিনটি সংস্থার ভিওআইপি লাইসেন্স নিয়েই যত ক্যাচাল। এর জন্যে তদবিরে লোকে ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে শুনেছি। কাজেই এর ব্যবসায়িক গুরুত্ব বোঝা যায়।
একটি নাম শোনা যাচ্ছে - সেনা কল্যান সংস্থা যাদের আইটি বা আইএসপি অভিজ্ঞতা নেই।
বাকিটুকু আপনাদের কল্পনাশক্তির উপর ছেড়ে দিলাম।
××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ই-বাংলাদেশ এর মডারেটর ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত দাশ গুপ্তের সৌজন্যে মূল সার্কুলারটি এখানে তুলে দিলাম।
চারদিকে এখন খুরের পদধ্বনি।
মাথামোটা সরকার ।
অসভ্য সরকার ।
গালি দেয়া ছাড়া আর কি করতে পারি ?
রাগে ফেটে পড়তে ইচ্ছা করতেছে ।
সচলায়তন থেকে কি একটা অনলাইন পিটিশন এর ব্যবস্থা করা যায় না? ভেলোরীর ব্যাপারে যেভাবে প্রতিবাদ গড়ে উঠেছিল । অন্তত মানুষ গুলো ঘৃণা জানানোর একটা জায়গা পাবো ।
কেউ কি শুরু করবেন । আমার সামর্থ্য থাকলে আমি এখনি শুরু করে দিতাম ।
আমরা যা করতে পারিঃ
(সম্পূর্ণ আমার মতামত)
__________________
১। অনলাইন পিটিশন
২। একটা ওয়েবসাইট খুলে মন্তব্য সংগ্রহ । সেখানে ব্যাঙ্গ কার্টুন, প্রতিবাদ পোস্টার প্রকাশ ।
৩। ইমেল স্প্যামিং বা ফ্লাডিং । ( প্রতিজন ইন্টারনেট ইউজার একটা নির্দিষ্ট মেইল তার তিনজন বন্ধুকে পাঠাবে ) ।
এগুলো খুব সহজেই করা যায়ঃ শুধু একজন কে শুরু করা। কেউ শুরু করুন প্লিজ। অথবা অন্য কোন ভাবে হলেও শুরু করুন।
নতুন মন্তব্য করুন