প্রশ্ন : সালাউদ্দিন অনেক আগেই প্রার্থিতা ঘোষনা করায় আপনার মনে হয়নি যে তার কাছে যেতে বেশ দেরি হয়ে গেছে ?
আ আ চৌ : এর আগে তো যাওয়ার সুযোগ ছিলনা। কারন আমি সময়ই পেয়েছি মাত্র ১০-১২ দিন। সংশ্লিষ্ট জায়গা থেকে সবুজ সংকেত পেতে হবে তো ।
প্রশ্ন : সংশ্লিষ্ট জায়গাটা কোথায় ?
আ আ চৌ : সেনাবাহিনী। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হলেও সেনানিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তো আমাকে থাকতে হবে। তার পর এটা একটা নির্বাচন।
( সুত্র - দৈনিক প্রথম আলো ২৭ এপ্রিল সংখ্যার সাথে দেয়া স্টেডিয়াম পাতা। ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আমিন আহমেদ চৌধুরীর সাক্ষাতকার থেকে উপরের অংশটুকু তুলে দেয়া হলো। )
বাফুফে নির্বাচনে কিংবদন্তী ফুটবল ব্যক্তিত্ব কাজী সালাউদ্দিনের কাছে হেরে গেছেন আমিন আহমেদ চৌধুরী। যদিও এ সাক্ষাতকারটি প্রকাশের পর অনেকেই মনে করেন মি. চৌধুরী এই নির্বাচনে হারেননি। হেরেছে সংশ্লিষ্ট জায়গাটি। কারন চৌধুরী ইতোমধ্যেই ক্রীড়াঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছেন তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্বের কারনে। কিন্তু সবাই যখন জেনে গেছে তিনি স্বাধীন প্রার্থী নন..... তাকে সংকেত দিয়ে পাঠানো হয়েছে....... তখনই তার পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। কারন রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থায় ওই সংশ্লিষ্ট জায়গার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষের সংগ্রাম তো যুগ যুগান্তরের।
কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও ইতোমধ্যে অভিযোগ তুলেছেন সরকারের বিশেষ সংস্থার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে 'ভালো ব্যক্তি' খোঁজা হচ্ছে নির্বাচনকে সামনে রেখে। বিএনপির খালেদাপন্থী মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেছেন সরকার নাকি এ ধরনের সিলেক্টেড লোকদের নির্বাচনে প্রার্থী করে একটা রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট করতে চায়। প্রায় একই অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাদের অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে বলতে হয়- আমরা ক্রমশ একটি অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।
যদিও আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাফুফের মতো জাতীয় নির্বাচনেও সংশ্লিষ্ট জায়গার প্রার্থীরা পরাজিত হবে শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট জায়গার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারনে। মানুষ কোন নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র কখনোই মেনে নিবেনা। বরং এভাবেই সমাজের ভালো মানুষগুলোকে বিতর্কিত করা হবে পরিকল্পিতভাবে।
আমরা চাই একটি সুস্থ, সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। যেখানে কোন সরকারি কর্মকর্তা অবসরের আগে রাজনীতি করবেনা। কোন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলা দুর্নীতি করবেনা। রাজনীতি থাকবে রাজনীতিকদেরই হাতে। দলগুলো পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। প্রতিটি মানুষ হবে দেশের প্রতি সমান দায়িত্বশীল। অনির্বাচিত কেউ কিংবা উচ্চপদস্থ কোন সরকারি কর্মকর্তা নিজ স্বার্থে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবেনা।
মন্তব্য
ভাই এইটা কী বলেন ? আমার মামাতো ভাইয়ের বায়োডাটা নিছে , ইন্টারভিউ নিছে , তারপর তারে রেডি থাকতে বলেছে । এখন যদি বলেন সংশ্লিষ্ট স্থানের প্রার্থীরা ফেল মারবে , তাহলে তো সর্বনাশ ।
কতো শখ একজন এমপির ( নিদেন পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যানের ) ভাই হব , আপনি দেখি সেই আশায় জল ঢালছেন ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
হুমমম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুম। চাইতে কোন দোষ নাই। আমিও চাই একটি সুস্থ, সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। যেখানে কোন সরকারি কর্মকর্তা অবসরের আগে রাজনীতি করবেনা। কোন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও আমলা দুর্নীতি করবেনা। রাজনীতি থাকবে রাজনীতিকদেরই হাতে। দলগুলো পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। প্রতিটি মানুষ হবে দেশের প্রতি সমান দায়িত্বশীল। অনির্বাচিত কেউ কিংবা উচ্চপদস্থ কোন সরকারি কর্মকর্তা নিজ স্বার্থে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলবেনা।
বুকে হাত দিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন। কত হাজার বছর ভোগার পরে বাংলাদেশের জন্য এ কথাগুলো প্রযোজ্য হবে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
স্বপ্ন দেখতে দোষ কি ভাই ? আশা থাকে বলেই তো বেঁচে থাকা...............
বেশি বেশি স্বপ্ন দেখার দরকার নেই - স্বপ্নদোষ হবে (কথাটা শুনতে খারাপ হলেও বাস্তব) ।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অবসরে গেলেও জলপাই-ত্ব বজায় রাখতে হয়?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এ বড়ই রঙ্গ যাদু
এ বড় রঙ্গ...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন