দীর্ঘ প্রস্তাবনার পর এবার শুরু করা যাক। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, ঠিক কোথা থেকে শুরু করবো তা বুঝতে পারছি না। মনে হয় একটু অতীত থেকে শুরু করলে কেউ বিরক্ত হবেন না। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, এই ধরুন বছর দুয়েক। সদ্য পাশ-টাশ করে ছোট মত একটা চাকরী করছি। খুব যে বেশ চলছিলো দিনকাল এমনটা নয়। এর মাঝেই মামা-চাচারা তাগাদা দিচ্ছেন, ‘ভালো একটা চাকরী ধরো’; খালারা বলেন, ‘বিয়ে কর’; আম্মা বলেন, ‘ঘর গুছাও’। শেষোক্তটিতে তীব্র আপত্তি ছিলো। মনে হল, এসব থেকে দূরে থাকতে উচ্চ শিক্ষার ধুঁয়া তুলে ক’টা দিন একটু বিদেশ বিভূঁইয়ে কাটিয়ে আসলে মন্দ হয় না। এরকম চিন্তা থেকেই বিদেশ যাত্রার পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শুরু করলাম ই-মেইল সন্ত্রাস। প্রতিদিন আমার ই-মেইল পেয়ে পেয়ে উত্তর আমেরিকার সব বাঘা বাঘা প্রফেসরদের তখন ত্রাহি ত্রাহি দশা। পূর্বে থেকে অ্যাজমা হাঁপানির সমস্যা থাকলে দু-চারজনের তাতে হাঁসফাঁস হয়ে প্রাণনাশও বিচিত্র না। যাহোক, সন্ত্রাসে কাজ হলো। হাড়-কাঁপানো শীতের দেশ কানাডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আগামী কয়েক বছর আমাকে তার অধীনে নামমাত্র পারিশ্রমিকে গরু-খাটাতে রাজি হলেন। আমি তখন গরু খুঁজতে তথা গবেষণা করতে উদগ্রীব। তাতে যে বিস্তর গরু খাটতে হয় সে চাল তখনো ধরতে পারিনি। তাই সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। একদিন প্রচুর সোয়েটার-জ্যাকেট বগলদাবা করে (কানাডা বলে কথা!!) বিদেশ-বিভূঁইয়ের পথ ধরলাম। আমার নতুন শিক্ষাস্থল বৃটিশ কলম্বিয়ায়। ভ্যাঙ্কুভারের অতি নিকটে। তাতেই এক দুপুরে এসে উপস্থিত হলাম।
প্রবাস জীবনের শুরুটা বেশ স্বাচ্ছন্দেই হলো। দু’বেলা ডিমভাজি দিয়ে খিচুড়ি খাই, এক বেলা Tim Hortons আমার রুটি-পানির ব্যবস্থা করে। কানাডার বাসিন্দা মাত্রই 'টিম হর্টন্স' চিনবেন। এটা এখানকার সার্বজনীন ব্র্যান্ড। অনেকটা McDonald’s এর স্বাস্থ্যসম্মত ভার্সন। ভ্যাঙ্কুভারবাসী আবার বেজায় স্বাস্থ্য সচেতন। বিধায় Tim মামার ব্যবসাও বেশ চালু। টিম হর্টন ভদ্রলোক একদা পেশাদার আইস-হকি খেলোয়াড় ছিলেন, শেষে আরেক বন্ধুর সাথে ‘ট্যাগ-টীমে’ ব্যবসায় নামেন, আর তাতেই একদম রমরমা করে দেন। হর্টন্স-এর খাবার মাঝারী গোছের ভালো। স্বাস্থ্যসম্মত আর সস্তা। আমার মত দরিদ্র ছাত্রদের নিত্য যাতায়াত তাই সেখানে।
যাহোক, নতুন দেশের পরিবেশে আমি খানিক গুছিয়ে নিতে নিতেই শীতকাল চলে আসলো। ভ্যাঙ্কুভার তখন আর কোন দ্রষ্টব্য স্থান নয়। শীতের ভ্যাঙ্কুভারের চেয়ে আমাদের ধোলাইখালও তখন ঢের সুন্দর জায়গা। শূন্যের কাছাকাছি তাপমাত্রা আর একটানা বৃষ্টি- এটাই পরবর্তী আট মাসের প্রতিদিনের চিত্র প্রায়। Keep your umbrella close and your rain jacket closer – ভ্যাঙ্কুভারবাসীর আপ্তবচন। শীতের পুরো সময়টা একরকম ঘরে বসেই কেটেছে। এর মাঝে কিছু গরু খুঁজেছি, বিশেষ সন্ধান পাই নি। সুপারভাইজার খানিক দয়ালু বিধায় তেমন গরু খাটতেও হয়নি। ভদ্রলোক চাইনিজ। নচ্ছাড় রকম কাজ পাগল বলে তাদের খ্যাতি আছে এবং সেটা বেশ সত্যিও বটে। কেবল আমার সুপারভাইজার মনে হল ঠিক অতটা নচ্ছাড় নন, বেশ ছাড়-টাড় দেন এখনো। ভদ্রলোক বোধকরি ‘খাঁটি’ চাইনিজ নন, ‘চাইনিজ’ চাইনিজ হবেন হয়তো।
আট মাস অপেক্ষার পর কানাডায় সামার এসেছে এই মাস খানেকও হয় নি। এর মাঝেই বেশ কিছু জায়গা ঘুরে ফেলেছি। টার্মের মাঝে ছুটি ছিলো, সময়টা বসে কাটাই নি। ঘুরাঘুরির শুরু Stanley Park থেকে। ভ্যাঙ্কুভার শহরের পাশেই বিশালাকৃতির এই পার্ক। আগেই বলে নেই, ভ্যাঙ্কুভার আসলে দু’ভাগ হওয়া শহর। মাঝে দিয়ে সমুদ্রের একটা শাখা ঢুকে গিয়েছে Vancouver Harbor-এ। তার পাড়েই স্ট্যানলী পার্ক। চ্যানেলের ওপাড়ে নর্থ-ভ্যাঙ্কুভার। স্ট্যানলী পার্কের চারধার সুন্দর পাকা রাস্তা করা। তাতে সাইকেল চালানো চলে, হাঁটা দৌড়ানো চলে, বসে থাকাও যায়। রাস্তাটির একটা চমৎকার নাম আছে- SeaWall. দৈর্ঘে তা প্রায় ৯ কিলো। আশাকরি এ থেকে পার্কের বিশালত্ব সম্পর্কে খানিক আঁচ করা যায়। পার্ক থেকে ওপারে নর্থ ভ্যাঙ্কুভারের তিনটা বড় পাহাড়ই চোখে পড়ে। এর দুটোতে ইতোমধ্যেই চড়ার সুযোগ হয়েছে। তৃতীয়টিও আজেয় থাকবে না আশাকরি।
ভ্যাঙ্কুভারে পদার্পনের পর সকল নবাগতের ঘুরাঘুরির শুরুটা হয় Canada Place দিয়ে। মেট্রো ভ্যাঙ্কুভারের একদম মাঝেই তার অবস্থান। ছোট একটুকু জায়গা, তাতেই শত দর্শনার্থীর ভিড়। মাঝে মাঝে এক একটা নোঙর করা জাহাজও থাকে সেখানে। বৈকালিক ভ্রমনের জন্য উৎকৃষ্ট গন্তব্য।
ভ্যাঙ্কুভার শহরের বাইরে আমার ঘুরাঘুরির শুরুটা একটা ছোট দ্বীপ দিয়ে। Bowen দ্বীপটা মূল ভূখন্ড থেকে পনেরো মিনিটের ফেরী পথ। ফেরী পার হতে খরচ ১২ ডলার। ফিরতে কোন খরচ নেই। সাঁতরে কেউ এপাড় থেকে দ্বীপে যেয়ে পৌছাতে পারলে ফিরতি পথটা তিনি মুফতে ফেরীতেই আসতে পারবেন। এই দেশে ব্রজেন দাস-রা খুব একটা সুলভ নয় বলেই কর্তৃপক্ষ আর ওপাড় থেকে টিকিট চেকের ঝামেলায় যান নাই সম্ভবত। ফেরী এপাড়ে যেখান থেকে ছেড়ে যায় সেটাও অতি দৃষ্টিনন্দন জায়গা। নাম Horseshoe Bay. যৌক্তিক কারণেই এরকম নামকরণ। দুপাশে পাহাড়ের মাঝে তার অবস্থান। শুধু ফেরীঘাটা-ই ঘুরতে আসে অনেক মানুষ। একটু পর পর একটা করে ফেরী আসছে কী ছেড়ে যাচ্ছে, তার মাঝেই যেন প্রাণের মেলা বসেছে। আমি সেবার গিয়েছি একটা বড় হাইকিং দলের সাথে। নানান দেশের বিচিত্র সব মানুষ সেই দলে। ফেরী মিস করে এক ঘন্টা বসে থাকতে হলো। ওতে আমার যে খুব একটা বিপত্তি হয়েছিলো তেমনটা মোটেই নয়। এর-তার সাথে কথা বলে আর প্রকৃতি দেখে বেশ কেটেছিলো সময়টা। এদেশে যেকোন আলাপ নাকি শুরু করতে হয় আবহাওয়া সংক্রান্ত কথা দিয়ে। ‘আজকে আবহাওয়াটা দারুণ, তাই না?’ – এই দিয়ে শুরু করে এরপর প্রচু্র আগডুম-বাগডুম আলাপ চালিয়ে যাওয়া যায়। এই পদ্ধতি বিশেষ ফলপ্রদ। একবার সুপারভাইজারের সাথে নিয়মিত সাপ্তাহিক মিটিং-এ এই আবহাওয়া সংক্রান্ত আগডুম-বাগডুম দিয়ে শুরু করে প্রায় সফলকাম হয়েছিলাম। সে সপ্তাহে কাজে গাফিলতি এতই প্রকট ছিলো যে শেষ রক্ষা হয় নি। প্রফেসর মৃদু বকে দিয়েছিলেন সে দফায়।
যাহোক, মূল কথায় ফেরত আসি। একঘন্টা দেরী হলেও ফেরী ভ্রমণটা দারুন ছিলো। Bowen দ্বীপটাতে পা দিতেই মনে হলো একদম মফস্বল কোন শহরে চলে এসেছি। একটু পর পর ছোট ছোট বাড়ি। দ্বীপের কেন্দ্রে অল্প কয়েকটা দোকান আর একটা ‘পাব’। মাঝে মাঝে দুয়েকটা মানুষ দেখা যায়। পুরো দ্বীপটাই ছবির মত সুন্দর। আমি এতই অভিভূত হয়েছিলাম যে ক’সপ্তাহ বাদে আবারো গিয়েছিলাম সেখানে। এবার ক্যামেরা নিয়ে। সদ্য কেনা ক্যামেরা। অপটু হাতে কিছু ছবিও তুলেছিলাম।
স্ট্যানলী পার্ক থেকে নর্থ ভ্যাঙ্কুভারের তিনটা পাহাড়ই চোখে পড়ে, সে কথা আগেই বলেছি। এর একটিই Grouse Mountain. লোকে বলে, ‘The Peak of Vancouver’. গ্রাউসের চূড়ায় ওঠার জন্য তিনটা উপায় আছে। দুটা পায়ে হাঁটা ট্রেইল। তৃতীয় উপায় ১০ ডলারের টিকিট কেটে ‘ক্যাবল কার’ নেয়া। আমি ভাবলাম হাঁটা ধরবো। জোয়ান মানুষ, হেঁটে না গেলে ঠিক ইজ্জত থাকে না। তাতে দশটা টাকাও বাঁচে। মাত্র তিন কিলো পথ, ধেই ধেই নেচে চলে যাবো, এমনটাই চিন্তা ছিলো। ও পথ যে ২৮০০ ফিট উঁচু, সে খবর তখনো জানি না। এরপর কীভাবে চূড়ায় পৌছেছি বলা মুশকিল। চলতে শুরু করার ঘন্টা আধেক পর থেকেই চোখে সর্ষেফুল দেখেছি, এরপর অন্ধকার। মাঝপথে জিহ্বা বের হয়ে করুণ দশা। বুঝেছি, ওটুকু পথ তুলতে ব্যাটারা কেন গুণে গুণে দশটা টাকা নেয়। চূড়ায় একটা ছোট শ্যালে (Chalet) আছে। তাতে নাস্তা পানি খেয়ে একটু ধাতস্থ হলাম। এরপর মুগ্ধ হবার পালা। গ্রাউসের চূড়া থেকে নিচের ভ্যাঙ্কুভার শহরের চমৎকার একটা দৃশ্যপট দেখা যায়। একজন মনে হলো ব্যাপারটা আরেকটু ভালো করে দেখার জন্য প্যারা-গ্লাইডিং এর শরণাপন্ন হয়েছেন।
গ্রাউসের উপরে শীতকালে দারুন স্কিইং চলে। গরমে সে অর্থে করার কিছু নেই। তবে সেখানে দুখানা গ্রিজলী ভাল্লুক আছে। সামারের শুরুতে তারা ন’মাসের ঘুম ভেঙ্গে উঠে। ভাল্লুকদ্বয় তখন অন্যতম দ্রষ্টব্য। ব্রিটিশ কলম্বিয়া ভাল্লুকের বিচরণ ভূমি। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে সাইনবোর্ড দেয়া আছে, হঠাৎ ভাল্লুকের সামনে পড়লে কী করণীয় সবিস্তারে লেখা তাতে। গ্রাউসের চূড়ায় এই প্রাণিটির চেহারা দেখে নিশ্চিত হয়েছি, নেহায়েত ভাগ্যদোষে কোন দিন তার সামনে পড়ে গেলে করার বিশেষ কিছু থাকবে না আসলে।
নটে গাছটি মুড়িয়েছে কিনা নিশ্চিত নই, তবে আমার কথা আজকের মত ফুরিয়েছে। এর মাঝে আরো কিছু দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরেছি, ঘুরছি। একদিন সেসব নিয়েও লেখার ইচ্ছে রইলো। তবে সেই ‘একদিন’ কবে আসবে তা নিয়ে গভীর সংশয় আছে, স্বীকার করছি।
মন্তব্য
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ফাটায় লেখতে থাকেন।
..................................................................
#Banshibir.
দাদা এরকম পাঁচ বছর পর পর পোস্ট দিলে কেমনে হবে? লেখা ও ছবি দুটাই সুস্বাদু হচ্ছে, মজা পাচ্ছি - আশাকরি আরো লেখা আসবে, আরো নতুন নতুন জায়গা দেখতে পাব ৷
মরুচারী
হেহেহে।
লেখা ভালু হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
পোস্ট ভাল লেগেছে। সেই 'একদিন'-এর অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নাহ, পয়সা থাকলে আপনাদের এখানে ঘুরতে চলে আসতাম।
বড়োই সোন্দর জায়গা রে ভাই! বিশেষত ৪ নং, লেকের ধারের বেঞ্চির ছবিটা সেইরকম জোশ!
ইহজীবনে কোন বুদ্ধিমান বেকুব ম্যানেজ করতে পারলে ওখানে সেটাকে ধরে নিয়ে যাব নে।
কিছু টাইপো আছে, সাস্থ্যসম্মত, খাঁটিয়ে ইত্যাদি। ঠিক করে নিয়েন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
Bro...apnr likhar hath osomvob valo.
Rommo rochona likhle ank valo krbn.
Shuvo kamona.
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকদিন পরে লিখলেন। ভাল্লাগছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হু, বেড়াতে যেতে হবে। লেখাটা পড়ে যাবার আগ্রহ বেড়ে গেলো।
--------------------------------------------------------------------------------
ঐ দ্বীপের ঐ পাবলিক লাইব্রেরিতে সারাদিন বসে বই পড়তে পারলে জীবনটা বিদেশী হয়ে যেতো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাহ আপনি ভ্যাঙ্কুভারে আছেন? কবে থেকে আছেন ভ্যাঙ্কুভারে? ভ্যাঙ্কুভারে কিন্তু সচল মুস্তাফিজ ভাই আর সুজন্দা আছে। ওনাদের সাথে পরিচয় হয়েছে? মুস্তাফিজ ভাইয়ের স্ট্যানলি পার্কের অসাধারণ কিছু ছবি আছে। মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলে দেখে নিয়েন। যদিও মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে একবার স্ট্যানলি পার্কে হাঁটতে গিয়ে খবর হয়ে গিয়েছিল। এই ব্যাপারে আগাম সতর্কতা দিয়ে রাখলাম।
আপনি ছবি বেশ চমৎকার তোলেন (নাইকন ইউজার দেখলাম, আসেন কোলাকুলি করি, যদিও কেম্রা লেন্স সব হারায়ে ফেলছি)। লেখার হাতও দারুণ। লেখা চলুক। ঘোরাঘুরি চলুক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নয় কিলো হেঁটেই খবর? তাও ভালো তোমাকে নিয়ে ভেতরের চৌষট্টি কিলো ট্রেইলে হাঁটি নাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
লেখা ভালো হয়েছে। পরিচিত জায়গা বলে আরোও ভালো লাগছে।
ঘোরাঘুরি/ছবি তোলার অভ্যাস থাকলে "নক মি"
...........................
Every Picture Tells a Story
ঘোরাঘুরির অভ্যাস আছে। ছবি তোলার অভ্যাস আছে বলবো না, তবে আগ্রহ আছে। নয় কিলোর ট্রেইল হলে আপত্তি নেই, চৌষট্টি কিলো-তে মাফ চাই।
ভ্যাঙ্কুভার আছি আট মাসের কিছু বেশি। মুস্তাফিজ ভাই আর সুজন্দা আছেন জানি, কিন্তু সরাসরি সাক্ষাত হয় নি এখনো। হবে আশাকরি অচিরেই। একদম শুরুতে যখন সচলে নিয়মিত ছিলাম তখন থেকেই মুস্তাফিজ ভাইয়ের ছবির সাথে পরিচিত। ওনার সাথে একদিন স্ট্যানলি পার্কে যেতে হবে দেখছি।
লেখা আর ছবিতে পাঁচতারা
সেই লাইব্রেরিতে যদি আমাকে একখান চাকরি দিতে
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
নাইস।
দারুণ!
নতুন মন্তব্য করুন