কথাটা শুনতেই বড্ড রাগ হয় মৃদুলের! বাচ্চা মানে? ও বুঝি বাচ্চা? এই ক'দিন আগেই না সাতের ঘর ছুঁলো। নিজে নিজে ডায়রি লিখতে পারে, রিক্সার হুড মুঠোয় ধরে বসতে পারে, ফ্রিজ খুলে আইসক্রিম নিতে পারে... সেরিলাক পটিসমেত ন্যাদা ন্যাদা বাচ্চা আছে নাকি ও এখনো?
বড়দের সবটাতেই বাড়াবাড়ি! নিজেরা তো কিছু বোঝেইনা, মৃদুল কিছু বুঝিয়ে বলতে গেলেও চোখ পাকিয়ে ধমকে দেবে। ওরা কি জানে, যখন তখন অমন কড়া করে বকুনি শোনালে ছোটদের কত্তো খারাপ লাগে?
এই যেমন সেদিন, নুতন কেনা পেন্সিলবক্সটা হারিয়ে কী বকুনিটাই না খেতে হলো ওকে! শাদা টেডিটার গায়ে রঙিন পেনে দুটো আঁচড় কাটতে না কাটতেই রে রে করে তেড়ে এলো ফাবিহা'পু। বারে, টিভিতে যে দেখায়-- দাগ নেই তো শেখাও নেই!
তা বৈকি, সব দোষ তো কেবল ওরই! এত এ-তবার বলার পরও আসিফ ভাইয়া 'হুতুম সিং আর ভুতুম সিং' নামে যে ওর শখের পায়রা আছে দুটো... রাজিই হলো না দিতে। তাতে ও মাত্তর একটা খামচি দিয়েছে রেগেমেগে, ব্যস কী কাণ্ড!
ক'টা গোলাপকুঁড়ি ছিঁড়লেই যে অমন কটমটে চোখে কান মলে দিতে হয় না, সেটাই বা রিফাত আপ্পিকে কে বোঝাবে?
নাহ্, মৃদুল যে কবে বড় হবে!
সেই সক্কালে বাবার কোলে চড়ে ইশকুলে যায় ও। দুপুরে মায়ের সঙ্গে ফেরে। ফেরার পথে মোড়ের দোকান থেকে চিপস আর জুস তো কিনে দিতেই হবে, নইলে মৃদুল ঘরেই ঢুকবে না! জুতোমোজা না খুলেই ও টিভির দিকে ছুট লাগায়। কার্টুন নেটওর্য়াক আর নিক চ্যানেলের বাড়াবাড়ি ভারে বাড়ির বাকিদের টিভি দেখার সুযোগ টঙে উঠেছে প্রায়! একটু জিরিয়ে নিয়ে মা ওকে গোসল করিয়ে দেন। ভেজা পায়ে ছপছপ করে পুরো ঘর দৌড়ে বেড়ায় ও। মাঝে বক্সের আধখাওয়া টিফিনের জের ধরে খেতে হয় আরো একপশলা বকুনি!
মেধা'পু ইস্কুল থেকে ফিরলে ওরা তিনজন একসঙ্গে খেতে বসে। কোচিং এর দেরি হয়ে যাবে বলে মেধা তড়িঘড়ি করে খেয়ে ফের বেরিয়ে যায়। মৃদুল রোজ নানা বায়নাক্কা করে.. মা গল্প শোনাতে শোনাতে ছোট ছোট লোকমা ওর মুখে পুরে দেন। ঝাল না লাগলেও মিছেমিছি উহ্ আহ্ করে পানি খায় ও।
মা বলেন, সোনা.. শেষ করো না খাওয়াটা এবার, কত কাজ পড়ে আছে আমার! বেসিনের চারপাশে জল ছড়িয়েছিটিয়ে সব ভিজিয়ে মুখ ধুয়ে ও ঝপাং করে বিছানায় উপুড় হয়। মা বুকে জড়িয়ে রেখে ছড়া বলেন ওকে, নয়তো বই থেকে রূপকথা পড়ে শোনান...
গল্প শুনতেই শুনতেই বেশিরভাগ সময় আলতো করে মৃদুল ঘুমিয়ে পড়ে। মিস ক্লাসে একটা নুতন রাইমস শিখিয়েছেন আজ, মনে পড়তেই তড়াক করে উঠে বসে মৃদুল। মা বলেন, ও কী মৃদুল.. ঘুমোবে না তুমি?
ও বালিশ আঁকড়ে তাকায়,
--মা, কাঁঠালচাঁপা ফুল দেখতে কেমন? কোথায় পাওয়া যায়?
--মা হেসে ফেলেন, হঠাত্ এই প্রশ্ন?
--কেন মা, ওই যে একটা ছড়া আছে..
'আব্বু বলেন পড়রে সোনা, আম্মু বলেন মন দে..
পড়ায় আমার মন বসে না, কাঁঠালচাঁপার গন্ধে!'
বাকি দুটো লাইন মা'ই বলে ওঠেন।
ওহ্, ও ফুল দেখতে খুব সুন্দর আর খুউব মিষ্টি গন্ধ! ছোটবেলায় তোমার নানাভাই যখন ঢাকায় পোস্টেড ছিলেন, আমরা বাসাবো বলে একটা জায়গায় থাকতাম।
একতলা বাড়িটার পেছনে মস্ত একটা মস্ত কাঁঠালচাঁপা গাছ ছিলো! কুসমি হলুদ রঙের ফুল ফুটতো তাতে...
বলতে বলতে মায়ের মুখে কেমন একটা মায়াবি আভা আসে!
মৃদুলের দাদাবাড়িতে একটা হাসনুহেনা গাছ আছে। ভীষণ সুন্দর গন্ধ তাতে। দাদি বলেন, এ ফুলের গন্ধে নাকি সাপ আসে। তাই সন্ধেবেলা ছোটদের একা বাগানে যাওয়া বারণ! কাঁঠালচাঁপার গন্ধ কি হাসনুহেনার চাইতেও সুন্দর?
মনে মনে ফন্দি আঁটে মৃদুল। বাবাকে দিয়ে জলদি একটা চারাগাছ আনাতে হবে কাঁঠালচাঁপার। পুবদিকের বারান্দাতে, যেখানে মা টবে বাগান সাজিয়েছেন..ওইখানে সারমাটি দিয়ে যত্নে চারাটা পোঁতা হবে। মনে করে নিজের হাতে সকাল বিকেল পানি দেবে ও। তারপর ঠিক ঠিক হলুদ চাঁপা ফুটবে একদিন।
আর ওকে বিচ্ছিরি ম্যাথস কষতে হবে না... তখন হোমটাস্ক চাইতেই ঠকাশ করে দাঁড়িয়ে তুপা মিসকে ও এই ছড়াটা শুনিয়ে দেবে-- 'পড়ায় আমার মন বসে না কাঁঠালচাঁপার গন্ধে!'
দুষ্টু বুদ্ধি পকেটে জমিয়ে দস্যি মৃদুল একসময় লক্ষী মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়ে...
_______________________________________________
#উত্সর্গ: পিচ্চি পাজি কাজিন 'মেহজাদ মেহরীন মৃদুলা'
মন্তব্য
এতো দেখি আমার কন্যার গল্প!!!
মৃদুলাকে আমার আদর দিও।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
এখনকার বাচ্চারা সব দস্যিবুড়ি একেকটা!!
আদর পৌঁছে যাবে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মজার হয়েছে লেখাটা। বাচ্চাগুলো সব একরকম, প্রায় সব জায়গাতেই।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'আব্বু বলেন পড়রে সোনা, আম্মু বলেন মন দে..
পড়ায় আমার মন বসে না, কাঁঠালচাঁপার গন্ধে!'
..........................................
পুরো গল্পটাই ভাল লাগল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হা... হা... হা...।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শিরোনাম পড়ে ভেবেছিলাম অন্যকিছু...
আপনার লেখায় সবসময়ই মুগ্ধতা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কৃতজ্ঞতা!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দস্যিপনার এ গল্প বেশ হয়েছে আপু
----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
মউবানু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাচ্চাদের দৈনন্দিন কাজ কারবারের খুটিনাটি বর্ণনাগুলো খুব সুন্দর লাগলো এবং পড়ে বেশ মজা পেলাম।
love the life you live. live the life you love.
সমেত ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"আর ওকে বিচ্ছিরি ম্যাথস কষতে হবে না... তখন হোমটাস্ক চাইতেই ঠকাশ করে দাঁড়িয়ে তুপা মিসকে ও এই ছড়াটা শুনিয়ে দেবে-- 'পড়ায় আমার মন বসে না কাঁঠালচাঁপার গন্ধে!"
কি দস্যি মেয়েরে বাবা! মৃদুলের জন্য একরাশ আদর। লেখাতেও ভাল লাগা জানিয়ে যাই।
ফারাবী
দস্যি মেয়েই বটে!
শিল্পকলা একাডেমিতে 'হরলিক্স বেবি শো' কিংবা ফুলকির গানের ক্লাস কোথাও তার বিন্দুমাত্র জড়তা নেই.. দিব্যি সাবলীল!!
ফারাবী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী'পু ,
প্রথমেই থ্যান্কু,
বেশ কয়েক দিন পর হলেও আবার আপনার লেখা পড়ার সৌভাগ্যদানের জন্য ।
[প্রতিদিন কমপক্ষে একটা লেখা পোষ্ট করতে কি কারো মানা আছে?!]
তারপর , আরেকটা থ্যান্কু !
এত্ত মজা কইরা এই গল্পটা লেখার জইন্য।
জানেনই তো আপনের সব লেখাই আমি ভালু পাই,
তয় এইখান আগেরগুলির চেয়েও আরো এট্টু বেশি অই ভাল্লাগছে।
এই লিগ্যা আবার থ্যান্কু , বারে বারে তিন বার।
আশা রাখি পিচ্চিদিগের জইন্য এমুন গল্প লেখা অব্যাহত রাখবেন।
ভবিষ্যতে কোন একদিন বইমেলায় আপনের বই বারুইলে[এই স্বপ্ন আমার!];
যার লিগ্যাই কিনিনা কেন,
আমি সবার আগে পইর্ব !
ভাল থাকুন , অনেক ভাল । সবসময় ।
- আপনার প্রখম স্বঘোষিত ভক্ত,
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী'পু ,
প্রথমেই থ্যান্কু,
বেশ কয়েক দিন পর হলেও আবার আপনার লেখা পড়ার সৌভাগ্যদানের জন্য ।
[প্রতিদিন কমপক্ষে একটা লেখা পোষ্ট করতে কি কারো মানা আছে?!]
তারপর , আরেকটা থ্যান্কু !
এত্ত মজা কইরা এই গল্পটা লেখার জইন্য।
জানেনই তো আপনের সব লেখাই আমি ভালু পাই,
তয় এইখান আগেরগুলির চেয়েও আরো এট্টু বেশি অই ভাল্লাগছে।
এই লিগ্যা আবার থ্যান্কু , বারে বারে তিন বার।
আশা রাখি পিচ্চিদিগের জইন্য এমুন গল্প লেখা অব্যাহত রাখবেন।
ভবিষ্যতে কোন একদিন বইমেলায় আপনের বই বারুইলে[এই স্বপ্ন আমার!];
যার লিগ্যাই কিনিনা কেন,
আমি সবার আগে পইর্ব !
ভাল থাকুন , অনেক ভাল । সবসময় ।
- আপনার প্রখম স্বঘোষিত ভক্ত,
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে
তিন -তিনটে থ্যাঙ্কুর জন্য আমার প্রথম স্বঘোষিত ভক্ত কে টু দি পাওয়ার থ্রি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, খুব ভাল লাগল বোনটি । তারা দেয়ার সাধ্য নেই, কিন্তু তাতে কী?
মৃদুলা নামটি আমার খুব পছন্দ । মৃদুলার গল্প পড়তে পড়তে মনে হ’ল আমার ছেলেটিও হয়তো কখনো কখনো ভাবে “বড়রা কিচ্ছু বুঝে না…” । সত্যি, ওর কাছ থেকে প্রতিদিন কতকিছু শিখছি ।
মৃদুলাকে আদর দিও । আর তোমাকেও…
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
তারাতে কী আসে যায় আপু?
যাদের লেখা খুব ভাল্লাগে, তাদের মন্তব্য পেলে আরো ভাল্লাগে!
অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
১। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম--বাহ এটা তো একেবারে আমাদের মৃদুল'দা-র শৈশবের কাহিনী মনে হচ্ছে। ছেলেটা কী চমৎকারই না ছিল বাচ্চাবেলায়! বড় হয়ে খালি নিমকি আর সমুচা ছড়া লিখে লিখে বইখাতাব্লগ ভরিয়ে ফেলল---
পরে গিয়ে দেখি, আরে নাহ--এটাতো মৃদুল'দার গল্প নয়। এটা মৃদুলা'র গল্প।
২। যারা বাচ্চাদের গল্প লিখতে পারেন---আমি তাদের সবচেয়ে বেশি হিংসা করি। নিজের মনের মাঝে এক ধরনের অপাপবিদ্ধতা ধরে না রাখতে পারলে বাচ্চাদের গল্প লেখা যায় না। বুকের মাঝে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে শৈশবের অবারিত মাঠ ধরে রাখতে হয়। খুব কম লোকই সেটা পারে। তাই আমি খুব লোককেই হিংসা করি।
তোকে আজ থেকে হিংসা করা শুরু করলাম---
ভাল থাকিস, অনেক অনেক ভাল--
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কথাটা মৃদুল দা'র উদ্দেশ্যে বলা। তুই আবার নিমকি ছড়া লেখা শুরু করলি কবে??
আরে, কী মুশকিল!
আমি তো হাসছিলাম 'মৃদুলদা' ছোটবেলায় না জানি দেখতে কেমন ছিলেন, সেটা ভেবে!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে... এই মেয়ের দেখি গুণের শেষ নেই!
খুব ভাল লাগল তিথী।
'এই মেয়ের দেখি গুণের শেষ নেই'!!!
গেলুম গেলুম..
ভালবাসা রইলো আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুন লেগেছে লেখাটা.....অনেক মজার।
আচ্ছা...... তুমি পড়া বাদ দিয়ে এসব লিখে বেড়াতে পারো আর আমি ক্যামেরা নিয়ে ছুট লাগালে দোষ হয় কেন....????
বৎস,
এক্সাম ঘনাইয়া আসিলেই যদি সৃজনশীল সব "পেতিভারা" পাখা ঝাপটায়, সেটা কি আমার দোষ?
বুঝতে হবে!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বোন,
খুব ভাল লাগল আপনার লেখাটি। মুগ্ধতায় ভরে গেল মন। মনে দোলা দিল:
"আম্মু বলে পড় রে সোনা
আব্বু বলে মন দে
পাঠে আমার মন বসে না
কাঁঠালচাঁপার গন্ধে"
রোমেল চৌধুরী
বিনীত ধন্যবাদ রোমেল ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বেশ মজা লাগল লেখাটি।
অনিকেত | শনি, ২০১০-১০-৩০ ০৮:০৪ খুব সত্যি কথা বলেছেন-
নিজের মনের মাঝে এক ধরনের অপাপবিদ্ধতা ধরে না রাখতে পারলে বাচ্চাদের গল্প লেখা যায় না। বুকের মাঝে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে শৈশবের অবারিত মাঠ ধরে রাখতে হয়। খুব কম লোকই সেটা পারে।
আহাদিল
বুড়ো/ বড় হোক আমার শত্রুর দল।
শৈশব মোর চিরকালের...
মন্তব্যের জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওইটুকুন পিচ্চি...হিহিহিহিহি...
শিরোনাম সুন্দর! লেখাও
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
"পুকুরধারে, লেবুর তলে..
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে।
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই!"
**না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"চৈত্রী"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুবই ভালো লাগলো গল্পটা। দারুণ মায়া মেশানো পুরোটাতে। তবে "মৃদুল" পড়ে ভেবেছি ছেলে। একদম শেষে এসে বুঝলাম এটা মেয়েকে নিয়ে লেখা। যাই হোক, তাতে গল্পের মূল ভাব বোঝায় কোনো হেরফের হয় নি।
আপনার লেখার হাত সত্যিই চমৎকার।
এইসব (মিথ্যে) প্রশংসার জোরেই তো আবজাব পোস্টানোর সাহস পাই।।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
কবিকে কৃতজ্ঞতা !
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইনি কি "ওরা ১১ জনে"র একজন নাকি?!
গল্প অতিশয় ভাল লাগল।
আমাদের সময় এ কাঁঠালচাপা গন্ধের ছড়া কেউ শোনায় নি, আফসুস বিরাট আফসুস!
পিচ্চিশদের জন্য লিখেছেন, এজন্য ওদের আপ্পিশ-কে একটা বিশাল থ্যাঙ্কুস!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধরেছেন ঠিকই, ইনি সেই ১১ জনের একজন।
অনেক অনেক
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুর্দান্ত, মায়াময় লেখা!
মহানন্দিত!
থ্যাঙ্কস অমিত ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার গল্প।
আপ্নেও তো থোতো। এইটা আপ্নেরই দুষ্টামির গপ্প নয়তো?
আরে না, আমি কি এত থোতো নাকি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মনে হচ্ছিল আমার ছোট ভাইয়ের গল্পই যেন হচ্ছে। সব পিচ্চি গুলো একই রকমের হয়।
আর লেখা পড়ে আমার এক রাশ মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম। (এই লাইনটা কপিপেস্ট মনে হইতেছে, তয় কথাটা জেনুইন )
অনন্ত
সব পিচ্চি গুলো একই রকমের হয়। (এই লাইনটা কপিপেস্ট মনে হইতেছে, তয় কথাটা জেনুইন)
অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুবই ভাল লাগলো লেখাটি, আপনার লেখাগুলো পড়লেই আমার অনেক পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়। একটু খেলতে দেখলেই বাবা-মা বলে পড়তে বসতে, এই ব্যাপারটা আমার খুবই অপছন্দ। শিশুদের জন্য খেলা-ধুলার প্রয়োজনীয়তা আছে, কিন্তু বাবা-মা'রা এটা বুঝতেই চায় না। কম্পিউটার গেম এবং কার্টুন দেখার পাশাপাশি শারিরীক পরিশ্রমের খেলা গুলোও খেলতে দেওয়া উচিত্। আর বড়রা মনে করে ছোটরা কিছুই বোঝেনা, কিন্তু তা ঠিক নয়, তাদেরও এমন কিছু জ্ঞান থাকতে পারে যা অনেক বড়দের থাকেনা। ছোটরা অনেক সময় বড়দের ভুল দেখেও চুপ করে থাকে, না বোঝার ভান করে কারণ বলতে গেলেই বকা শুনতে হবে।
ছোটদের নিয়ে আর বেশি বেশি লিখুন, শুভ কামনা রইল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভাইয়া,
সচলে এসে লেখাটা পড়া এবং মন্তব্য করার জন্যে সবিশেষ ধন্যবাদ রইলো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, "ডানায় রৌদ্রের গন্ধ" গল্পটি কোথায় গেল?
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মডু টেবিলে চাপা পড়েছিলো গো আপু..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এ যুগের বাচ্চারা যে এখনও কাঁঠালচাপা চেনে তাই দেখে অবাক হলাম
আসলে চেনে না বলেই তো গল্প বানানো যায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শিরোনামটা দেখেই পড়তে ঢুকেছিলাম। অসম্ভব সুন্দর লেগেছে কথাটা।
কাচ্চা-বাচ্চাদের মিঠে কড়া গপ্প শুনতে আমার বরাবরই ভাল লাগে।
মৃদুলাকে অ-নে-ক আদ্দর...
বুকপকেটে জোনাকি পোকা : হু.আজাদের এই বইটা ছোটবেলায় ভীষণ প্রিয় ছিল।
মন্তব্যের জন্য অনেক
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন