আমাদের চারতলার ছাদের খানিকটা অংশ ইচ্ছে করেই ফাঁকা রাখা। আমের আচার শুকোতে সুবিধে, বিকেলে দু-বোনের ব্যাডমিন্টন কর্ক নিয়ে লুফোলুফি, রোদে রিমরিম খেলনাদিন কিংবা মেঘে জানালাবিলাস। শীত পড়তে শুরু করেছে হঠাৎ’ই, আসরের আযানের পর পর’ই দুম করে সন্ধ্যা নামে, ছিরিছাঁদহীন দিনের শেষে শিশিরভেজা সন্ধে! মেঘ ধুয়ে নামে কুমারীর ঘ্রাণ আর জল ছুঁয়ে নামে আঁধারের শ্বাস…
গতকাল দুপুরে রোদ পোহাতে বসেছি কোণ ঘেঁষে পাতা প্লাস্টিক চেয়ারে। ঠাণ্ডার ধাত বলে ইদানিং বুড়োটে কাশি আর গলাব্যথায় ভুগতে হয় বছর জুড়েই.. হৈচৈ শুনে কাঁধ বাড়িয়ে দেখি উল্টোদিকের গ্রিন হাউসের (এ বাড়ির নাম নিয়ে খানিকটা ঠাট্টা-মশকরা চালু ছিলো এককালে) সামনের খোলা চত্বরে চড়ুইভাতির আয়োজন চলছে.. মস্ত বাড়ি, চারপাশটা জুড়ে বড়সড় সব গাছ আর যত্নে করা বাগান। বচ্ছরকার ছুটিতে হয়তোবা দিনদুয়েকের তরে জড়ো হয়েছে নাতিনাতনিরা, তিন থেকে তেরো যাদের বয়স। সেই কষ্টে পাওয়া অবকাশ উদযাপনেই বাগানের এককোণে চুলো খুঁড়ে চড়ুইভাতির আয়োজন প্রায় সারা! এক পিচ্চি এমন ভঙ্গিতে হাঁড়িকুড়ি সাজিয়ে রাখছে যে, স্বয়ং সিদ্দিকা কবীরও দেখলে থতমত খেয়ে যেতেন!
মজা লাগছিলো খুব দেখতে, আর কেন যেন মনে হচ্ছিলো ফ্ল্যাশব্যাকে দেখছি নিজেরই শৈশব..
যখন কলোনিতে থাকতাম বিচ্ছু বলে বেশ বদনাম ছিলো আমার। দলে ছিলো পাশের বাড়ির বাসিন্দা পপি, সামনের বাসার জুয়েল, দোতলার জনি, উল্টোদিকের তেতলার শাওন, আর ছোটভাই আসিফ। জন্মের পর থেকেই একসঙ্গে বেড়ে ওঠা.. তাই একজনের অন্যদের বাড়িতে ছিলো অবাধগমন! পপির মেজভাইয়া রাসেল যখন শখের বাগানের জন্য জৈবসার বানানোর কঠিন কাজে লিপ্ত হতেন, নাকে রুমাল পেঁচিয়ে আমিও হাত লাগাতাম। শপিং থেকে ফিরে জনির আম্মু দেখতেন খালি বাড়ি পেয়ে “ওইজাবোর্ড” খেলার সুবাদে তার পুরোবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে আছে! বকাঝকা গায়ে মাখছে কে? বড়দের কাজই হলো ধমক দেওয়া,আর সেসব যে ডান কান দিয়ে ঢুকিয়ে সোজা বাম কান দিয়ে বের করে দিতে হয়.. সে তো পৃথিবীর সব বাচ্চারাই জানে!
সালটা খুব সম্ভবত ৯৩/৯৪। ফাইনাল টার্ম শেষে আমরা ঠিক করলাম পিকনিক করতে হবে। চাঁদা কত ছিলো ভুলে গেছি.. আর একটা করে ডিম। ডিমের প্রোপোজাল আমার দেওয়া, খোসায় ছবি আঁকার লোভে। নয়তো মেশিনগান তাক করেও দুধ- ডিম– এই দুই দ্রব্য আমাকে খাওয়ানো যায়নি কখনো!
পপি ঘোষণা দিলো, ভাত এবং ডাল রান্নার কাজটা সে চালিয়ে নিতে পারবে। তথাস্তু! ডিম সেদ্ধ করবে লিকপিকে জুয়েল, খোসা ছাড়াবে জনি আর চুলোয় লাকড়ি হিসেবে ননস্টপ খবরের কাগজ কিংবা পুরোনো ম্যাগাজিন জোগানোর দায়িত্ব আসিফ আর শাওনের। কিন্তু দুই ঠ্যাঙের মুরগি, ওটাকে সাইজ করবে কে??
জুয়েলের মাথায় যতসব ফিঁচকে বুদ্ধি– আগেরদিন আম্মুকে দিয়ে রাঁধিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়, পরে এমন ভাব করবো যেন নিজেরাই রেঁধেবেড়ে খাচ্ছি! শাওন যম কিপ্টুস, টুক করে ফোঁড়ন কাটলো- এহ, এই কটা টাকায় মাংসও রাঁধছে.. মুরগিওলা কি তোমার শ্বশুর? হাতাহাতি বেঁধে যাওয়ার উপক্রম!!
অ্যাকাউন্টেন্ট জনির মাথায় হাত! আরে তাই তো, আমাদের বাজেটের দশাও তো সেইরকম!! ঠিক হ্যায়, তেতলার তানিয়াদের তিন বোনকে ডাকা হোক.. আমদানি বাড়বে।
তাতে আবার আমার ঘোর আপত্তি! ওই পোড়ামুখি হিংসুটেগুলোকে দলে নেবো? কাভি নেহি! নানামুখী ঝামেলা…
গোটা দুই গ্লাস ভেঙে, হাত পুড়িয়ে, প্রায় গলে যাওয়া ভাত আর আধসেদ্ধ তরকারি কী করে গলঃধরণ করেছিলো একদল ছেলেমানুষ চড়ুইভাতির দল, সে অনেক আগের কথা…জুয়েল এখন চবিতে ফরেস্ট্রি পড়ছে, জনি এমবিএ করছে ঢাবিতে, শাওন কুয়েট আর আসিফ রাবিতে। পপির বিয়ে আগামি মাসেই, সব ঠিকঠাক।
ঐ যে দেখা যাচ্ছে ঝুঁটিতে গোলাপি ক্লিপ গোঁজা পিচ্চি আনিকা কিংবা চোখমুখ লাল করে চুলোয় ফুঁ দিচ্ছে জিয়াদ, ঠিক এরকমই ছিলাম আমরা… ওদেরই মধ্যে হয়তো আমরাও আছি। শৈশব আসলে হারায় না কখনোই, কেবল টুকরো কাঁচের মতো ছড়িয়ে যায় এখানে -সেখানে। বেভুলে হাঁটতে গিয়ে পায়ে যদি জড়ায় স্মৃতির সুতো, তখন গড়ায় মিল অমিলের হিসেব মেলানোর চাকা…
বেঁচে থাকুক বাউল বুকের ভেতর সেই বসন্ত উৎসব। আমার ছেলেমানুষী পুতুলখেলার সেই শৈশব, যে জীবনের সম্বল ছিলো ছেঁড়া ঘুড়ি আর রঙিন বল। ল্যাজঝোলা পাখি কিংবা দলছুট চড়ুইটাকে হুশ করে উড়িয়ে দেওয়ার খেলা.. আমার লাল বুটিদার ফ্রকের পকেট জুড়ে ছিলো খুচরো পাথর, আর ব্যথার আদর জুড়ে ছিলো অবুঝ আঙুল।
বাস্তবে নাই বা থাকুক, না মেটা হাজারো স্বপ্নসাধ নিয়ে থাকুক স্মৃতিকাতরতার উঠোন জুড়ে.. স্ফটিক জলের মত স্বচ্ছ সবুজ সেই রূমঝুমপুর।
মন্তব্য
মন খারাপ হইছে এবং ভাল্লাগছে
ফ্রুলিক্স।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শৈশবের গন্ধমাখা লেখা ভালো লাগে
খুব সুন্দর হয়েছে।
অটঃ
রূমঝুমপুর,কত দূর?? -> একটা স্পেস হবে কমার পরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাংকু!
অটঃ সরি ভাইয়া, প্রিভিউ তে চোখে পড়েনি।
পরে ঠিক করে দেবো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নাহ্.... তোমার লেখা আর পড়া যাবে না..... তুমি খালি 'কুটি-কালের' কথা মনে করিয়ে দাও......
এ অন্যায়.....ঘোর অন্যায়.....
তোমার লেখা সুদ্ধ তোমারে ডাবল মাইনাস......
----- মেঘ রোদ্দুর (পুচকুন)
হ।
নিজেও বেশিরভাগ সময় মন খ্রাপ করে থাকি, বাকিদেরও মন খ্রাপ করে দিই....
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধূসর বিকেল গড়িয়ে গেছে অজান্তে...
একলা দুপুর হারিয়ে গেছে সীমান্তে...
বোকা আমি আজও ভাবি একান্তে...
রূমঝুমপুর কবে যাবো দিনান্তে..
সত্যেন রায় তো দেখি ইদানীং বড্ড ফেমাস...
-----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
"আমার হৃদয় পৃথিবী ছিঁড়ে উড়ে গেল,
নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে...."
আমি তো ভাই আমজনতা, ফেমাস লুকজন ডরাই!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার!
সত্যেন রায় কে?
ধন্যবাদ!
ইয়ে, ওটা ছদ্মনাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহ, খুব খুব খুব ভালো লেখা।
আরো আরো শুনতে ইচ্ছে হয়, কত
মায়ামায়া রোদ্দুর মনে পড়ে, মাঠের চড়ুইভাতিগুলো, প্রথম ডিমের ঝোল রান্না, তাতে আলুর টুকরা এত বেশী ছিলো যে সেটাকে আলুর ঝোল বলেও চালানো যেত।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অনেক অনেক পাতা তুলিদি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার। চড়ুইভাতির দলে গেস্ট এনট্রি নেইকো?
"গেস্ট এনট্রি"? বিলক্ষণ, আছে বৈকি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তাইলে ডাকছেন না ক্যান?
স্বাগতম!!
_______________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চড়ুইভাতি শব্দের সঙ্গে পরিচয় কলেজে উঠে। তারও আগে স্কুলবেলায় চড়ুইভাতিকে আমরা সিলেটি ভাষায় টোপাটুপি বলতাম। কীন ব্রীজের নিচে আর সুরমা তীরে কেটেছে আমাদের অনেক টোপাটুপি সময়।
সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না। হয়তো ব্লগে, লেখার খাতায় উঠে আসবে সেইসব স্মৃতিচারণ, কোনো এক স্মৃতিচারণে অথবা ছোট ছোট মন্তব্যে !!!
লেখাটা ভালো লেগেছে...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছোটবেলায় কলোনীর পিচ্চিগুলানের ঝগড়াঝাটি প্রত্যাহিক কাজের অংশ ছিল।
আমাদের বেশি লেগে যেত, টেনিস বল কেনা নিয়ে। চাঁদা দিয়ে যদিও কেনা হতো কার কাছে রাখা হবে সেটা এক বিরাট ক্যাচালের জন্ম দিত। এক বল দিয়েই খেলা হতো- সাত চাড়া, বোম্বাস্টিং, ক্রিকেট, হকি আরও কত কী!
চড়ুইভাতি আমরাও করতাম, নাম দিতাম টি-পার্টি। মাঠের মাঝখানে বাঁশ গেঁথে তার উপর বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে সামিয়ানা টাঙ্গানো হতো। তারপর এক একজনের বাসা থেকে এক একরকমের খাবার এনে খাওয়া হতো। শেষে শুধু চা আমরা বানাতাম- নিজেদের তৈরী করা চুলাতে। এটুকু করতেই অবস্থা কেরোসিন হয়ে যাইত!
ভাল কথা- সত্যেন রায় কে?
আমার রান্নাবান্নার দৌড় তো এখনো ঐ চা বানানো পর্যন্ত!!
পুরো লেখা বাদ দিয়ে "সত্যেন রায়"কে নিয়ে পড়লে ক্যাম্নে কী!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অই অই...পুরা লেখা পড়ে এত বড় কমেন্ট করসি, সেটা চোখে দেখা যায় না?
হাঃহাঃ
আপনার লেখাটা খুঁজছিলাম.. যাক, অবশেষে দৃশ্যমান হলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লেগেছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার নানাবাড়ি পাহাড়ের কোল ঘেঁষেই, বেশ ছিমছাম কোলাহলমুক্ত জায়গায়। বার্ষিক পরীক্ষা শেষের লম্বা ছুটিটা পড়ত শীতকালে, তাই ছুটি শুরু না হতেই নানাবাড়িতে দে ছুট। তারপর সব কাজিনরা মিলে যাকে বলে আক্ষরিক অর্থেই বনে ভোজন করা, আইটেম বলতে আধসেদ্ধ ডিম, তার সাথে অপটু হাতের চটকানো আলুভর্তাই থাকত বেশি।
লেখাটা ভালু পেলাম বোনডি।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দক্ষিণ চট্টগ্রামের একেবারে শেষ প্রান্তে, বান্দরবানের পাহাড়সারির খুব কাছেই।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আপনাকে ধন্যবাদ এই সুন্দর স্মৃতিচারণের জন্য। আমার ভাল লেগেছে। আপনার লেখার হাত সুন্দর।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
প্রথমবারের মতো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল্লাগলো!
অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তোমার লেখা সবসময়ই মায়া দিয়ে ঘেরা থাকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়।
তবে বলি কী, বয়স তো কম হলো না; শৈশব নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করলেই হপে?
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
থ্যাঙ্কু!!
এইভাবে বয়সের খোঁটা দিলে ভাইয়া? আমি খেলবো না!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী'পু,
আফসুস,
জীবনেও চরুইভাতি খাইলাম না..
আপুনি একদম ঠিক কথা কইছ..শৈশব আসলে কখনই হারায় না..
লেখা ভাল পাইছি!
ভাল থাইকো, অনেক ভাল..সবসময়।।
নিয়মিত পাঠকটিকে সবিশেষ কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কেন জানি চোখটা ঝাপসা হয়ে এল লেখাগুলো পড়ে। বয়েস হচ্ছে হয়ত। কোথায় যেন পড়েছিলাম বুড়ো হবার সবচাইতে বড় অসুবিধাটা হল---বুড়োদের কোন ভবিষ্যত থাকেনা। কথাটা সত্যি। কিন্তু তারচেয়েও বড় অসুবিধা হল এত এত স্মৃতির ভার ঘিরে থাকে তাকে---যে পথচলাই হয়ে যায় দুস্তর।
তুই এত অল্প বয়েসে আমাদের মত বুড়োদের মনের কথা পড়লি কী করে রে?
ভাল থাকিস, অনেক দিন বাঁচিস---আর কখনো আমাদের মত বুড়ো হস নে--
অনিদা,
আমি প্রতিটা আবজাব লিখে ভাবি আপনি কখন মন্তব্য করবেন।
কিন্তু এমনভাবে বললে তো বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যাই!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"বেভুলে হাঁটতে গিয়ে পায়ে যদি জড়ায় স্মৃতির সুতো, তখন গড়ায় মিল অমিলের হিসেব মেলানোর চাকা…"
বাহ! কি সুন্দর কথাটা! ভালো লেগেছে লেখা
আরে, অনেক দিন পরে আপু!!! (তালিয়া)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, তোমার লেখা পড়ে আমারও নিজের ছোটবেলার সেই চড়ুইভাতির কথা মনে পড়ছে। সবার শৈশবেই কোথাও না কোথাও অনেক মিল তাই না?
আপু,
শৈশব সবারই প্রায় একই রঙে আঁকা.. কেবল ক্যানভাসটা খানিকটা আলাদা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাঃ বাঃ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দমুদি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছেলেবেলার গল্প পড়তে ভালো লাগলো তিথী। নিজের বাচ্চাকালের চড়ুইভাতি, স্কুল পালানো, আরো আরো অনেক কথা মনে পড়লো এই লেখা পড়ে। এখনকার এই ঢাকা শহরে এই সময়ের বাচ্চাগুলোর জন্য খারাপ লাগে। হয়তো ওদের শৈশব ওদের মতো করে আনন্দময়, তারপরও খারাপ লাগে। নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিই এই ভেবে যে ভাগ্যিস আমার শৈশবটা কেটেছে একেবারে গ্রামঘেঁষা মফস্বলে!
অনেক ধন্যবাদ আপু!
♪ ♪ "ধুলোলাগা চেনা বই সব,
হাতড়ায় কে না শৈশব….
ভাললাগা চেনা বই সব,
ভালবাসে কে না শৈশব!"♪ ♪
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়তে পড়তে মন কেমন করা একটা ভালোলাগা এসে ভর করলো। এইটাকেই মনে হয় স্মৃতিকাতরতা বলে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
"বুকের মধ্যে বাহান্নটা মেহগনি কাঠের আলমারি।
আমার যা কিছু প্রিয় জিনিস, সব সেইখানে।
যে সব মেঘ গভীর রাতের দিকে যেতে যেতে ঝরে পড়েছে বনে.. তাদের শোক,
যে সব বনপাখির উল্লাস উড়তে গিয়ে ছারখার হয়েছে কুঠারে কুঠারে.. তাদের কান্না,
যে সব পাখি ভুল করে বসন্তের গান গেয়েছে বর্ষার বিকেলে.. তাদের সর্বনাশ,
সব ঐ আলমারির ভিতরে।"
স্মৃতিকাতরতা কী সাধে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ্...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি তো জানতাম, বাম কান দিয়ে ঢুকিয়ে ডান কান দিয়ে বের করে দিতে হয়
লেখায়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বের করে দেওয়াটা হলো আসল কাজ।
ডান- বাম দিক ভ্রাণ্তিতে কী আসিয়া যায় হে, কী আসিয়া যায়??
মন্তব্যের জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ, কি চমৎকার! বিশ্লেষণের বুদ্ধিগত পথ এড়িয়ে প্রখর-তীব্র-সজাগ অনুভূতির প্রশান্ত পথে গোধূলি ভ্রমণ।
এতো ফলিত দর্শন নয়, দিবাস্বপ্নের স্মৃতিবিদ্ধ গোলাপি চাদর জড়িয়ে নেবার মায়াবী শলমা আঁকা আকাশ। অপূর্ব, অপূর্ব!!
পুনশ্চঃ লেখাটি যে কেমন করে চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল লুকোচুরি কৈশোরের মতো, বুঝতেই পারিনি!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এ লেখার অনেকগুলো লাইন 'চন্দ্রবিন্দুর' গান থেকে ধার নেওয়া...
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য সবিশেষ কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা ভালু হইছে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আরেএএএএএএএএএ, গীতিকবি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন