আমার দাদাজান ছিলেন বর্ধিষ্ণু জোতদার। চাচা -জ্যাঠারা সবাই পাশ করেছেন জেলাশহরের মাদ্রাসা থেকে। বাবা আর ওই লাইনে যাননি। ছোটছেলে বলে দাদাজানও হয়তো জোরাজুরি করেননি আর। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি পাকা হবার সঙ্গে সঙ্গেই দাদিমা ঘরে বউ আনার বায়না জুড়ে দেন। প্রস্তাবটা এনেছিলেন উত্তরপাড়ার হাকিম চাচা, তারাশাইল গ্রামের শামসুল মাস্টারের মেয়ে.. বড় সুলক্ষণা!
মাস পেরুনোর আগেই মা এ বাড়িতে বউ হয়ে আসেন…সে সময় মা পড়তেন ফুলবাড়ি হাই স্কুলে, ক্লাস টেনে। ক-দিন পরেই মেট্রিক পরীক্ষা। চলতি নিয়মে হেঁসেলের ঠেলায় চাপা পড়ে যায় জ্যামিতির আঁক। বড় দাদি আর রেহানা ফুপু তাকে সকাল-বিকেল নানারকম রান্না আর পিঠে বানানোর কায়দা রপ্ত করানোয় ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। দাদাজানের কাছ থেকে মাঝেমাঝে দু -একটা ধমক ও খেতে হয় বৈকি, যখন তখন মাথার কাপড় খসে পড়ার দোষে। মৌলভিবাড়িতে বউঝিদের পর্দা করার নিয়ম কি আজ-কালের? কখনো আবার দেরিতে দুপুরের ভাত নিয়ে বসার দায়েও দাদাজান মৃদুস্বরে ছোটবউকে শাসন করেন। পোয়াতি অবস্থায় খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম বড় ভাল কথা নয়।
খুব স্বাভাবিক নিয়মেই গ্রামের কিশোরি বধুটির জীবন হয়তো কেটে যেতো, মাঝপথে একটা দূর্ঘটনা সব হিসেব পাল্টে দেয়। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে যাওয়া বেবি ফ্রক আর দাদাজানের পাঞ্জাবি সমেত বেতের স্যুটকেসটার মতো বাবাকেও নিয়ে বাসটা ছিটকে পড়ে সেতুর রেলিং ছাড়িয়ে। পরবের দিন বাড়িতে শোকের মাতম ওঠে। দাদির বিলাপ, মায়ের বোবা কান্না.. সন্ধ্যার অন্ধকার মেঘগুলোকে আরো গভীরতর করে দেয়।
হপ্তাখানেকের মাথায় দাদির বিলাপের স্বর নিম্নগ্রামে নেমে আসে। তবে মায়ের চোখের জল আর শুকায় না। বাবার কুলখানির ঠিক সাতাশ দিনের মাথায় শীতের কুয়াশা ছাপিয়ে আমি কেঁদে উঠি। জানিয়ে দেই আমি এসেছি পৃথিবীতে, তোমরা চাও বা না চাও। ‘পোড়াকপালি, বাপের মুখটাও দেখলো না..’; আলতো স্বরে বলতে গিয়েও ফুপু গিলে ফেলেন কথাটা। শরীফার মা ধাইবুড়ির হাতে আমার নাড়ি কাটা পড়ে। মাস ছয়েকের মাথায় বিয়ের ট্রান্ক আর আমাকে কোলে নিয়ে মাকে সেই বাবার বাড়িতেই ফিরে আসতে হয়। বাবা -মরা নাতনিকে আদর দিতে নানাজান খামতি রাখেন না বটে, তবে পিতা জীবিত অবস্থাতেই পুত্রের মৃত্যুতে ওয়ারিশ হিসেবে ঈদের কাপড় কিংবা শীতের পিঠা ছাড়া দাদাবাড়ির তেমন কোন সওগাত আসে না। আমার ইস্কুল ভর্তির সময় হতে হতে ও বাড়ির নাড়ি ধুকপুক করতে করতে প্রায় ফুরিয়েই যায়।
যে প্রথাগত শিক্ষার সার্টিফিকেট অর্জনের সুযোগ মা পাননি, কন্যাকে সে সুযোগ এনে দিতে মা প্রাণপাত করেন। এসএসসির সময় যায় কানের দুলজোড়া আর এইচএসসির রেজিস্ট্রেশনের বেলায় হাতের পলকা বালাজোড়াও বাড়ি ছাড়ে। তদ্দিনে নানাজানও রিটায়ার করেছেন যে..
ভর্তি কোচিং এর বালাই ছাড়াই আমি ঢাবিতে আসি। রাজধানীর রঙচঙে দুনিয়ায় পয়লা পয়লা ঠোক্কর খেয়েছি ম্যালা, আস্তে আস্তে ধাতে সয়ে যায় সবই। দুটো ট্যুশনির বরাতে টুকিটাকি খরচগুলো নিজেই চলে যায়। ছুটিতে বাড়ি যাবার লোভে আমি সারাটা মাস মন পেতে থাকি। মা নিয়মিত গোটাগোটা হরফে চিঠি দেন। পাশের বাড়ির রানুখালার নাম্বারে ফোন দিতে পারি কদাচিত্।
স্কলারশিপের টাকা জমিয়ে থার্ড ইয়ার ফাইনালের পর রুমমেট নাসরিনকে নিয়ে আমি নিউ মার্কেটের পেছনের সারির দোকানগুলোতে ঢুঁ দেই। সীমিত অঙ্কের মলিন নোট ঝকঝকে দোকানগুলোর চৌহদ্দি না মাড়াতে শাসায়। অনেক ঘুরে স্মৃতির কাছাকাছি একজোড়া মকরমুখো বালা খুঁজে আনি।
আমার রোগা মা, যিনি আকন্ঠ যত্নে মুক্তোর ছাপ তুলে দিয়েছেন আমার হাতে আঁকা বর্ণমালায়। যিনি শীর্ণ শরীরেও যাবতীয় পরীক্ষার সময় সপ্তাহভর রোজা রেখে গেছেন.. সংসার কী, তা ভাল করে বুঝে ওঠার আগেই স্বামি হারিয়েছেন, তবু সন্তানকে হেরে যেতে শেখাননি কখনো….
সেই মায়ের জন্য মলিন ব্যাগের কোণে বালাজোড়া সযত্নে গুঁজে রেখে আমি বাসের সিটে গা এলিয়ে দেই। বিচ্ছিরি ঝাঁকুনিতে তন্দ্রার ভাব কেটে যায় বার বার।
মনে পড়ে কতো হিজিবিজি কথা ..
খুব সাদামাটা মায়া -মায়া একটা মুখ।
আমার মায়ের মুখ।
মন্তব্য
সচল হবার অভিনন্দন!
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নামের পাশে অতিথি দেখি না! ইয়াহু!!!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচল হবার জন্যে শুভেচ্ছা জানাই।
"দৌহিত্রীকে সে সুযোগ এনে দিতে মা প্রাণপাত করেন। "
দৌহিত্রী বলতে নাতনি বোঝায়, কন্যা নয়।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ধন্যবাদ!
লজ্জিত.. ঠিক করে নিচ্ছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ।
সচলত্বের অভিনন্দন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, সচলায়তনে অতিথিদেরকেও ভোট দিতে দিচ্ছে । নইলে আজ আমার খুব মন খারাপ লাগতো । তোমার এই অসাধারন লেখাটিতে ৫ তারকা দিয়ে মনে শান্তি পাচ্ছি । যদিও পড়তে পড়তে মন বিষন্ন হয়ে উঠেছে...
সচল হওয়ার জন্য অভিনন্দন । পৃথিবীর সকল দূ;খিনী মাদের জন্য জানাই ভালবাসা ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলত্ব অভিনন্দন...লেখা বরাবরের মতই মনে দাগকাটার মত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
অর্ধেকটা লিখে ভুলেই গিয়েছিলাম, গতকাল 'স্মৃতির শহর' পড়তে গিয়ে এ লেখাটার কথা মনে পড়লো..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়ে ভাল লাগল ...
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচল হবার জন্যে অভিনন্দন তিথী........
কালো কালো অক্ষরের বুকে প্রাণ ফুঁকে দেবার যে অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে এসেছিস, দিন কে দিন তাকে শানিয়ে তোল!
জয় হোক.......!!!
অনি'দা,
সবিশেষ কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলস্য অভিনন্দন তিথীডোর! যথাসময়ে উপযুক্ত লেখা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বিনীত ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন তিথীডোর!
লেখা ভালো হয়েছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিনীত ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বোন,
তোমার গল্পখানি তো শুধু তোমার নয়, এ যে আমাদের অনেকেরই দুঃখের নিগুঢ় কাহন। আর বার এই-ই প্রমাণিত হয় যে, "our sweetest songs are those that tell of saddest thought"। সচলত্বের জন্য তোমায় অভিনন্দন জানাবো না। এ তো তোমার স্বাভাবিক অর্জন। তুমি অনেক দূরে যাবে, সে পথ যতই না হোক বন্ধুর! ভালো থেকো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন হে!
ধন্যবাদ হে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারণ!
অসাধারণ!!
কী মায়াময়ী ভাষার এই কারুকাজ। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। লেখার শুরুতে শামসুর রাহমানের কবিতার যে কয়েকটা লাইন দিয়েছেন, সে কবিতা প্রথমবার পড়বার সময় এতটা মুগ্ধ হতে পরিনি, যতটা মুগ্ধতা ছড়ালো তিথীডোর'এর এই 'সাদামাটা অগল্প'।
তিথীডোর নিজেকে ছাড়িয়ে যাক, এই প্রত্যাশায়।
কিন্তু আপনি আজকাল থাকেন কোথায় রে ভাই? খোঁজ জানতে কত দেয়ালে চিকা মারলাম..........
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালোলেগেছে... কতোটা, তা বলে সীমারেখা টানবোনা। লেখাটা পড়ে কতোটা দুঃখ ভার করলো তাও জানিনা।
কেবল মনে পড়লো আরেকজন মা'য়ের কথা, অপেক্ষাতেই যার সু্খ, কতোটা স্নেহাদ্র সে, তা নিজেওকি জানে...
অভিনন্দন তিথীডোর...
নুশান (অতিথি)
কৃতজ্ঞতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলাভিনন্দন । এবার একটা শীতনিদ্রা দিয়ে আসেন বোনডি
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ধন্যবাদ ভাইডি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা ছুঁয়ে গেল খুব...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলত্বের অভিনন্দন!
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
... এই গল্পের শেষ অর্ধেক তাড়াহুড়ো করে লেখা বলে মনে হলো।
যা হোক, সচলাভিনন্দন।
ধরে ফেলেছেন?!
সচলাভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো গল্পে বিষন্ন হইলাম। সচলত্বে অভিনন্দন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন।
লেখা পড়িনাই...সত্যিই দৌড়ের উপর।
আধ লিটার কেটে রাখলাম তাহলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ব্লগরব্লগর মানে কি গল্প???
ভল্লাগছে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভারী মনখারাপী লেখা তিথীখুকী৷
অভিনন্দন অভিনন্দন
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ,ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচল হওয়ায় অভিনন্দন আর গল্পে ফাইভষ্টার (এর থেকেও অনেক অনেক বেশি দিতে পারলে খুশি হতাম)। কেনো যে এমন লেখেন, পড়ার পর অনেক্ষন দম মেরে থাকি, কিচ্ছু আর ভাল্লাগেনা। তার পরেও মনের মধ্যে খোঁচাখুচি চলে, চলতে থাকে (এমনটা মনামী আপুকেও বলেছিলাম)। ইদানিং চরম ব্যাস্ততার জন্যে নিজে লিখতে পারছিনা (বলা ভালো যে মনঃসংযোগ করতে পারছিনা)। তারপরও এইসব লেখা পড়লে মনে হয় সময়টার ভালো ইনভেষ্টমেন্ট হলো। আরও লিখুন আপু। আপনার লেখুগুলো যেনো মনের দরজায় প্রতিনিয়ত কড়া নেড়ে যায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
ভালো থাকুন
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শি'পুউউউউউউউউউউ--------------
♥ ♥♥♥♥ ♥!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কি বলবো ??
এত্তোগুলো শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভালো থেকো বালিকা... <3
সাদামাটা অগল্পের (!!) শুরুটা কিন্তু বেশ... শেষের দিকে একটুখানি যত্নশীল হলে বোধহয় আরোও ভালো হত...
সামগ্রিকভাবে গল্পটা পড়ে ভাল্লাগলো...
শুভকামনা নিরন্তর ...
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
'এ জগতে, হায় , সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি...........
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।'
ভালবাসা নিরন্তর..........
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা পড়ে একই সাথে মন খারাপ হয়ে গেলো আবার খুব ভাল লাগল। ভাল থাকবেন, আপনার মাকে ভাল রাখবেন। সচল হওয়ার জন্য অভিনন্দন। -রু
পঠনে কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীর লেখাগুলো বরাবরই এমন মায়াময়। পড়ার সময় খুঁটিনাটি যাই চোখে ধরা পড়ুক, পড়াশেষে এই নরম মায়া মায়া ভাব আর কখনো কখনো অদ্ভুত বিষন্নতার সুর মন ভরিয়ে দেয়।
'অলৌকিক আনন্দের ভার বিধাতা যাহারে দেয়...,
তার বক্ষে বেদনা অপার।'
#ভাষা ও ছন্দ – কাহিনী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনেক ধন্যবাদ আপু।
'পড়ার সময় খুঁটিনাটি যাই চোখে ধরা পড়ুক', জানিয়ে দিলে খুব খুশি হবো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন তিথী।
খুব ভাল লাগল লেখা ।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন!
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আচ্ছা, এত ভালো লেখ কী করে...???
যতক্ষণ পড়েছি একটিবারের জন্যও মনে হয়নি কোন গল্প পড়ছি..... সত্যিই... অসাধারণ
*******************
মেঘ রোদ্দুর (পুচকুন)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইটা এত্তো দেরীতে পড়লাম!
সব ভালো যার শেষ ভালো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এমন লেখায় কিছুই বলতে নেই।।
অভিনন্দন,আপুনি।।
এমন লেখায় কিছুই বলতে নেই।।
অভিনন্দন,আপুনি।।
সবিনয় কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারণ!!
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার মা চলে গেল তিন দিন প্রায়।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভাল থাকুন মা ওপারে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন