প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার ভাল্লাগে না.. একেবারেই না। তবু প্রতিদিন অসংখ্যবার অনেক ক’টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। ক্যাম্পাসের চৌকাঠ মাড়িয়ে ঢুকতে কিংবা বেরুতে গিয়ে সম অথবা অসমবয়সী কারো ঠোঁটে ‘কেমন আছো’ নামের সরল জিজ্ঞাসাটি আমাকে আপাদমস্তক বিব্রত করে।
কেমন আছি আসলে? বেঁচেই তো আছি.. বেঁচেবর্তেই তো থাকি আমরা, কোনোমতে।
'এখন কেবল রুটিনমাফিক দৈনন্দিনতা।
এখন কেবল মানুষমাফিক চলাফেরা।
এখন কেবল কুকুর কিংবা কাকের মতো, সহজ সরল বেঁচে থাকা..
আর কিছু নয়, বেঁচে আছি।'
তাই বোঁচামুখে প্লাস্টিক হাসি ঝুলিয়ে উত্তর শানাই– এই তো ভালো, আপনি? স্ববিরোধী হয়ে এই আমিও কিন্তু অন্যকে ঠিকই প্রশ্ন করি। ফেসবুকের দেয়ালে সাঁটাই– কী অবস্থা, উধাও কেন? খুব ব্যস্ত নাকি? জিটকে দিন কয়েক কেউ নিখোঁজ থাকলে মেইল পাঠাই– বেঁচে আছেন তো?
কী লাভ হয় আসলে এইসব নিরর্থক প্রশ্ন -উত্তর খেলায়? উল্টো অতিরিক্ত অনুসন্ধিৎসু (বদ)স্বভাবের দরুণ আইন বিভাগের মহামান্য প্রধান এতদিনের ‘ছেনেহপূর্ণ’ ইমেজ সরিয়ে যে বাক্যবাণ শোনান, তার মমার্থ দাঁড়ায়– তুমি দেখছি অলরেডি অনেক বেশি জানো! আমার কোর্সে পাশ করতে চাইলে এর চাইতে বেশি জানার চেষ্টা করো না।
ঘাড় ফুলিয়ে খানিকক্ষণ তর্ক করে হাল ছেড়ে দিই… বলি–
''’ক্ষমা করবেন বৃক্ষ, আপনার শাখায় আমি সত্য পাখি বসাতে পারবো না !
বানান ভীষণ ভুল হবে আর প্রুফ সংশোধন করা যেহেতু শিখিনি..
ভাষায় গলদঃ আমি কি সাহসে লিখবো তবে সত্য পাখি, সচ্চরিত্র ফুল?''
তবু বিষণ্ন সন্ধ্যায় চারদেয়ালের উষ্ণতাহীন ঘর নামের একটি আশ্রয়ে ফিরে আসার পথে সুমন আমার কানে প্রশ্নের জাল বুনেই চলেন.. বুনেই চলেন….
‘দিনের শেষে কোথায় ফিরব আমি, কার কাছে?’
ফাইনাল পরীক্ষার আর ২৬ কী ২৭ দিন বাকি। এরপর ফুরুৎ– বেদনাদায়ক ছাত্রজীবনের পরিসমাপ্তি।
অবশ্য তবু কথা থাকিয়া যায়। মে মাসের শেষ কিংবা জুনের গোড়া থেকে কামলা খাটতেই হবে, জমা দিতে হবে রিপোর্ট।
তবেই TTMA = টেনেটুনে এমএ পাশের সার্টিফিকেট বাগানো যাইবে। এরপর? নটা থেকে পাঁচটা.. পাঁচটা থেকে নটা… নটা থেকে পাঁচটা….
তারপর ক্লান্ত পায়ে ঘরে ফেরা। আমার ঘর, নীল দেয়ালের ছিমছাম সাজানো একটা কুঠুরি। আমার একমাত্র নিশ্চিত নির্ভরতার আশ্রয়। এই ঘরটাও তো আসলে ঠিক আমার নয়। পরের জায়গা পরের জমি, ঘর বানাইয়া আমি রই..
''কোথায় ঘোরে সারাদুপুর, ক্লান্ত কিশোর কোথায় ঘোরে?
বুকের মধ্যে কিসের একটা কঠিন দুঃখ রুক্ষ দুপুর শাসন করে।
কিশোর তুমি তার ভিতরে বসেই থাকো.. বাড়ি ফেরোনি, বাড়ি ফিরো না।''
গোটা দিনে মোটমাট দু -পাঁচ মিনিট হয়তো পাঠ্যপুস্তকের পাতা উল্টাই, কিংবা আঁক কষি। হায়, যার জীবনে কেবল ক্ষতির চোরাবালি… তার হাতেও কেমন করে যেন ‘প্রফিট এন্ড লস অ্যাকাউন্টের’ দু-পাশ ঠিকঠাক মিলে যায়! অস্থির সময়ের পৌনঃপুনিক বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে মাঝেমাঝে পিসিটা অন করে বসি। সারিসারি হাসিমুখ ঝোলে বন্ধুদের নামের পাশে। লোকজন সেজেগুজে মেলায় যায়, যায় বিবাহসভায়, ছুঁয়ে আসে পাহাড়, সাগর, মেঘ। কারও ন্যাকা ন্যাকা স্ট্যাটাসে বালকবন্ধুটির তরে পেম উপচে পড়ে।
আমি নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়েই থাকি। কখনো আবার অকৃত্রিম মুগ্দ্ধতাতেই কমেন্টবক্সে লিখি– Looking ♥awesome baby!
দুম করে আবার ইনভিজিবল হই.. সিপিইউর পাওয়ার সুইচে লাথি কষিয়ে সব ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করে। আঁকিবুকি কাটি আবার কখনো খাতার ভাঁজে। আমার রবিবুড়োর ছবি কিংবা আবুল হাসান। কিস্যু হয় না জানি, তবু আঁকতে ভাল্লাগে।
মাঝে মাঝে তাও লাগে না। ছাদে পাতা চেয়ারে বসে মেঘগুলোকে অসহ্য লাগে দেখতে।
শুধু অক্ষম আক্রোশ জন্মে ঈশ্বরের ওপর।
হলদেটে বিকেলগুলো ধীর পায়ে সন্ধ্যায় গড়ায়।
ছায়ারা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
'মন মানে না বৃষ্টি হলো এত, সমস্ত রাত ডুবো-নদীর পারে/ একটি নৌকো পারাবারের ছলে, স্পর্শ করে অন্য নানা ফুল…’
‘একশত বত্সর একসঙ্গে থাকিলেও কেহ হয়তো আমার হৃদয়ের বাহিরে থাকিয়া যায়, যদি না কোনো বিশেষ ঘটনায় সে আমার হৃদয়ের কবাট খুলিতে পারে।’
#পথের পাঁচালি: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ফোনবুক ঝেড়েমুছে সাফসুতরো রাখি এখন। ছোট-বড়বেলার যাবতীয় বন্ধুবান্ধবদের নাম্বার ডিলিট করে দিয়েছি। গোল্লায় যাক স্মৃতি। একসময় যে ছিলো সৌজন্যের ঊর্ধ্বে, তাকে আজ যদি টাইমটেবিল বেঁধে, ‘পাছে কিছু মনে করে’– এইসব দাঁড়িপাল্লায় যোগাযোগ জিইয়ে রাখতে হয়, তবে আর চাখতে চাই না অমন বন্ধুত্বের স্বাদ।
রুম্পা, জাহিন ভাই– দুই জানের টুকরোর সঙ্গেও শেষ কথা হয়েছে বোধহয় মাসখানেক হয়ে গ্যালো! কী দ্রুত ক্লিশে নিয়মে সময় কেটে যায়…
সেদিনকার ঝুপঝাপ হঠাৎ বৃষ্টিতে ছাদের কোনায় পানি জমে গিয়েছিলো..
লালচে কার্ডটাকে ভাঁজ করে টুপ করে ভাসিয়ে দিলাম তিরতিরে পলকা স্রোতে। এরকম করে যাবতীয় বিষাদগুলোকে ভাসিয়ে দিয়ে আবার নুতন করে যদি সব শুরু করা যেত!
একটা ঝলসে যাওয়া বিকেলবেলায়, লালচে সাগরতলে.. নুতন একজন মানুষ হয়ে..
''হে নক্ষত্রের হাট–
আমি শুধু নিঃস্ব হাটুরিয়া..
মুদ্রাহীন আমার নিয়তি তবে কি কিছুই কিনতে পারবে না!''
মন্তব্য
তোমার কথা গুলো বড় বেশি মিলে যায় নিজের সাথে।আমার 'না বলা কথা' গুলো আর কাউকে বলতে দেখলে,কেন জানি বেশ ভাল লাগে..
ভাবি..নাহ্,আমি ও একা নই..
ভাল থেকো.আপুনি..
অনেক ভাল,সবসময়..
- বিষণ্ন বাউন্ডুলে
এটা মিলেছে?
অনেক ধন্যবাদ বাউণ্ডুলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
টেনিদা'র ঐ ইতিহাস বইখানা না পড়েই বলে দেয়া যায় মঙ্গোলিয়ানদের দাঁড়ি কেন হারিয়ে গেল!
হ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব সুন্দর!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ইয়ে, এই প্রলাপকথন নিজের ব্লগে রেখেছিলাম, তারপর দেখি দিন মাস বছর পেরিয়ে যায়.. তবু নীড়পাতায় কেউ লেখাটেখা দেয় না!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার তো ঠিক এর উল্টো লাগে, তিথী।
আকাশ পুরোটাই আমার নিজের মনে হয়।
ফুল যতো ফোটে, ভেবে নিই, আমার জন্যই ফোটে।
হাতে যা না আসে, দিব্যি ওটা "পঁচা" বলে দূরে সরিয়ে বাকীস-ব আমার বলে দাবী করি।
আফটার অল, হ্যাপিনেস ইজ জাস্ট আ স্টেট অফ মাইন্ড।
তোমার তরতরিয়ে চলা নৌকোটা দারুণ!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
'তোমার কাছে গিয়েছিলাম রাতে নদীর ঢেউ..
তোমায় আমি পরিয়েছিলাম অঙ্গুরীয় মেয়ে।
ভুল বোঝা সে মানুষ তাকে বোঝেনি আর কেউ..
তুমি যেমন তোমার মতো বুঝতে চেয়েছিলে।'
#পরাজিত পদাবলী :আবুল হাসান
মেয়ে শব্দটা ভাববাচ্য লেখা, আসলে 'মহিলা' হবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা শিমুলাপু, চটছেন কেন? যে লেখার ট্যাগে ৩০ বছরকে প্রৌঢ় বলে সেখানে তো পনেরোকেই... (আর লেখার সাহস হলো না)
ছিঃ, থোতোদের উপর রাগ করতে হয় না।
সবে তো শুরু, নয়া পোস্ট না দিলে 'খালাম্মা, আন্টি...' আরো কত কিছু বলব!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এইসব হাঙ্কি- পাঙ্কি করে লাভ নাইক্কা।
নুতন পোস্ট যদি না দাও তবে 'মাঝবয়সী পৃথুলা' রমণীর ছবি এঁকে ট্যাগ করে দেব।
তখন বুঝবে ঠ্যালা! মুহাহাহা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তুমি পঁচা...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কোন দোকানে রঙ্গিন কাগজ কোন আকাশে ইচ্ছে ঘুড়ি
ছকে বাঁধা এক্কাদোক্কা রুটিন করে গাড়ি চড়ি
ক্যালেন্ডারের দুটি দিন আমার কাছে খুব জরুরী
মাঝ দুপুরের প্যাঁচাটাকে আরকিছুক্ষন ডাকতে বলি
-------------------
লেখায় thumbs up..
--- নুশান
বাহ, সুন্দর তো লাইনগুলো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার মতোন আরো কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে ভাল্লাগে না----আহা! দেখে কী ভালই আমার লাগলো ।
--অস্পৃশ্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লাগলো।
সালেক খোকন
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভীষনভাবে মিলে গেল কথাগুলো নিজের সাথে।
ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা লেখাট জন্য।
-বহিরাগত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার কিছু বাধা উত্তর আছে, কেমন আছি তার জবাবে, দেখুন পছন্দ হয় নাকিঃ
১। (আমি মোটা মানুষ বলে), মোটামুটি মোটাই আছি।
২। কেটে যাচ্ছে, রক্ত বের হচ্ছেনা।
৩। খাচ্ছি দাচ্ছি, চকচকে ব্লেডে দাড়ি কাটাচ্ছি, ঝাঁকের কই, ঝাঁকেই মিশে যাচ্ছি। (এইটা মনে হয়, আপনার উপযুক্ত হলোনা)
ভালো থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ।
সচল হয়ে সবাই খানদানি নিদ্রায় যায়।
আমি কী বুদ্ধিতে অখাদ্য-কুখাদ্য পোস্ট দিয়েই যাচ্ছি-- কপাল ভালু, এই প্রশ্নটা কেউ করে না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক কিছুর সাথে মিল খুঁজে পেলাম
আহা, এত অবিবেচক কেন আপনি? শিষ্যেরা কোনকিছু জেনে বুঝে গেলে গুরুরা তো নিজেদেরকে সর্বজ্ঞানী প্রমাণ করতে পারবেন না - ওনাদেরও তো 'সম্মানজনকভাবে' খেয়ে পরে বাঁচতে হবে, নাকি?
হুমম উনি আমার সব প্ল্যান বরবাদ করে দিয়ে নির্মলানন্দ লাভ করেন এবং চেষ্টা করে দেখেছি, উনি এতই আনফেয়ার যে আক্রোশ আর ক্ষোভগুলো মেটানোর কোন ব্যবস্থাই রাখেন নি। কাজেই ওনাকে সাইজ করার জন্য আমি আর কোন প্ল্যানই করি না , পারলে মজা লুটুক এইবার।
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হলো সার্টিফিকেটটা জোগাড় করার পরে যে ক'দিন বেকার থাকা যায় সেই ক'দিন। যদিও সময়মত ব্যাপারটা বোঝা যায় না, বোঝা যায় সময়টা পেরিয়ে যাওয়ার পরে , কিন্তু তখন আর কিচ্ছু করার নেই
এইবারে কিছু মন্তব্য... (উত্তর নয়, প্রতিমন্তব্য প্রত্যাশিত )
এটা গল্প নাকি কবিতা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না... (উঁহুঁ, এটা প্রশ্ন নয়)
ট্যাগের প্রৌঢ় = (এটাও প্রশ্ন নয় )
৩০ বছর যদি প্রৌঢ় হয় তাহলে ... :( ... (এটা দীর্ঘশ্বাস, প্রশ্ন নয়)
খাইসে!!!
ক) 'শিক্ষাগুরু আর ঈশ্বর', এই দুই প্রজাতির কাণ্ডকারখানা বোঝা মুশকিল!
খ) এটা গল্প- কবিতা কিছুই নয়, স্রেফ ‘পুঁদিচ্চেরি’…
গ)
''বেশ, বলতে পারি…
প্রৌঢ় শব্দের মানে ?
বুঝবে শুধু তারাই … যারা কোবতে পড়তে জানে।’’
#মেঘ বলতে আপত্তি কি : জয় গোস্বামী
জয়কে পঁচালাম.. অতি প্রিয় কবিকে পঁচাতেও ভাল্লাগে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লাগলো, ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক।
"ভুল বোঝা সে মানুষ তাকে বোঝেনি আর কেউ..
তুমি যেমন তোমার মতো বুঝতে চেয়েছিলে।"
এটা যদিও মূল লেখার অংশ নয়, তবু এটাই বেশি ভালো লাগলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
আবুল হাসানের কেবল এই দুটো লাইন ভাল্লাগলো!
আহ, টেনিদা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইয়ে, 'আহা' মানে কি?
ও আচ্ছা, আবুল হাসান।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
চমৎকার লেখা রে তিথী---
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
এটাকে লেখা বলা চলে!?
থ্যাঙ্কু ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সব প্রশ্নেরই শানে নুযূল থাকে, কখনো জাহেরি, কখনো বাতেনি। ন'টা -পাঁচটার জীবন খুব একটা খারাপ না, শৃঙ্খলার স্বাধীনতাও প্রয়োজন। তবে ফোনবুক ঝাড়তে-মুছতে পারায় অভিনন্দন। আমার ফোনবুকে দেখা যায়, এক একজনেরই ৩/৪টা করে নাম্বার। একেকসময় ভাবি একটু গুছিয়ে রাখি, আবার ভাবি থাক এরকমই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন্তব্যে লাইক বাটন্টা কবে দেবে??
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হ
মডুদাদারা---
ঝাতি ঝান্তে চায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডুপ্লি ঘ্যাচাং___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখাটাকে "বেস্ট অফ তিথীডোর" প্রকাশনাতে রাখা উচিত। দুর্দান্ত হয়েছে।
এটা পড়ে মনে হোল তুমি বড় হয়ে যাচ্ছ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
''ধীরে ধীরে বয়স বেড়ে গেল অনেকের,
ধীরে ধীরে বয়স হয়ে গেল আমাদের….
কত মেয়ে ফুল হয়ে ভেসে গেছে জলের তলায়!''
হুমম, ভাইয়া-- 'বুড়ো' হয়ে যাচ্ছি....
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বেশ বেশ! তিথী তাহলে অনতিবিলম্বে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চলেছে।
হ গো আপু..
সামনে আরো কত দুঃখ কষ্ট আছে কপালে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুপা শিমুল আর মউ'র ফেসবুক ওয়াল ছাড়াও আপনি মাঝে মধ্যে লিখেন দেখে ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সচলে আমার মতো এত নিয়মিত 'আবজাব' আর কেউ লিখে নাকি নজু ভাই? (মাথা চুলকানোর ইমো)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নজু ভাইয়ের কমেন্টে লাইক মার্লাম।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
'আমি মেরেশি বকেশি আর রাগ করেশি।'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিক্ত সত্য হচ্ছে, যত দিন যাবে মুখোশের প্লাস্টিক হাসি তত গাঢ় হবে, মুখোশও তত এঁটে বসবে। যত বেশি রিয়ালস্টিক মুখোশ, তত বেশি বড় হয়ে যেতে পারা মানে গ্রোউন আপ হবার ক্রেডিট! মুখোশ জরুরি হয়তো, তবে নিজেকে ঐ 'বড়' হবার কলুষমুক্ত রাখার ট্রিকটা হলো মুখোশটাকেই নিজের সাথে গুলিয়ে না ফেলা।
যখনই দেখি খুব বাজে সময় যাচ্ছে, আর আমার প্রায় সময়েই একসাথে সব রকম বাজে হতে থাকে মারফির নিয়ম মেনে, তখনই হঠাৎ দেখি আমার চেয়েও অনেক অ-নে-ক বাজে আরো কেউ দিন যাপন করছে, সৃষ্টিকর্তাই হোন আর নিয়তি আমাকে এমন কিছু দেখায় হয়তো মনে করিয়ে দেবার জন্যে যে নিজে আমি কতটা ভালো আছি... ওর পরে আর মনে হয় না নিজের খারাপ থাকাটা তুলনা দেয়ার মুখ থাকে! তবে এ শুধুই নিজের অভিজ্ঞতা।
বন্ধুদেরকে বা পছন্দের মানুষদেরকে ছেড়ে দেয়াটাই উত্তম মনে হয়েছে বারবার। নিজেদের মনে থাকলে কখনো কখনো ফিরে আসে, কখনো আসে না। কাছে না পেলে কষ্ট হলেও, তার মানে এই না যা ভুলে গেছে তারাও, তারা ভালো থাকাটাই আসল...
এবারের লেখাটা আসলেই ভালো হয়েছে, প্রমাণ বেশ বড় মন্তব্য করে ফেলেছি, অনেক জ্ঞানসহ! ছবিটা কি তিথীডোরেরই তোলা?
অনেক কচকচানি হলো, এবার একটা গান শোনা যাক -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হ্যাঁ আপু, ছবিটা আমারই তোলা।
'শিমুল ফুলের কাছে শিশির আনতে গেছে সমস্ত সকাল.......
সূর্যের ভিতরে আজ সকালের আলো নেই।
সব্যসাচীরা তাই চলে গেছে, এখন অকাল!
কাঠুরের মতো শুধু কাঠ কাটে, ফল পাড়ে....আর শুধু খায়।'
#উদিত দুঃখের দেশ: আবুল হাসান
সকাল সকাল এমন চমৎকার একটা মন্তব্য পড়ে মন ভালো হয়ে গেল।
অসংখ্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আবার ভাঙা ভাগ্য নিয়ে দাঁড়ানু দ্বারে এসে
ভূষণহীন মলিন দীন বেশে ।
এবার মোর মকরচূড় মুকুট নাহি মাথে,
ধনুক বাণ নাহি আমার হাতে,
এনেছি শুধু বীণা
দেখো তো চেয়ে, আমারে তুমি চিনিতে পারো কিনা।।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
'নাই বা চিনিলে তুমি মোরে....
বোঝা যায় আধো প্রেম, আধখানা মন।
সমস্ত কে বুঝেছে কখন?'
রবি নামের এই বুড়োটা না থাকলে কী যে হতো!
ধন্যবাদ ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার সব লেখাতেই কেমন একটা বিষাদ জড়িয়ে থাকে বিলাসিত আবেশে। সেই বিলাসে ভেসেই কি খেরোখাতা ভরে উঠে? লিখা চালিয়ে যান। আপনার আর রোমেল ভাইয়ের কথোপকথনও খুব ভালো লাগলো।
জীবনের দায়ভার জীবন কি পেরেছে নিতে!
জীবনতো ঘাসের বুকে শিশিরের জল,
জানোনা কি দুঃখের বিলাসে নিরবে হাত পেতে
সে সপর্শ্বে আলো; এতোটুকু টলোমল
শিশির, কি তার অদ্ভুত যাপিত জীবন - সুদূর প্রকাশে!!
কবিতাটা লিখা হয়ে গেলো, আপনাকে দিলাম।। আপনার লিখা আমার খুব পছন্দ! শুভেচ্ছা,
‘ঘর শব্দটি কবিতার মধ্যে এলে আমি তার দরজা দেখতে পাই না…
অথচ দরজা শব্দটির একদিকে ঘর, আর একদিকে বারান্দা।
বারান্দার পাশেই আমার শৈশবের নিম গাছের স্মৃতির ওপর বসে আছে একটা ইস্টিকুটুম পাখি ..
যদিও ঐ পাখিটিকে আমি কখনো কবিতার খাঁচায় বসাই নি।
কবিতায় কে যে কখন আসে জানি না।
শুধু আমার আঙুল কেটে রক্ত পড়লে তা নিয়ে কবিতা লেখা হয় না।'
#সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমাকে এই প্রথম কেউ কোন কবিতা দিলো! আমি সবসময় দিয়ে বেড়াই কিন্তু পাওয়ার অনুভূতি কি অদ্ভূত, কি অদ্ভূত!!
রক্তের ফোটায় ফোটায় শিমুল, রক্তের গহন ভেতরে জল
যে মানুষ তৃষিত চোখে দেখে সে জানে
একফোটা জল কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
কতটা দিতে পারে নিরাকার এতোটুকু বিষাদ - সরল
ধমনীর সুখে!!
তোমার এই লেখাটা সুন্দর!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কৃতজ্ঞতা বালিকে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন