ফি মাসে দুটো চিঠি আসত সেখান থেকে। এক খামে দুটো চিঠি, একটা মার..আমার অন্যটা। আমার চিঠিতে কী থাকবে সেটা আমি চোখ বন্ধ করেই দেখতে পেতাম। নরম গোলাপি কাগজে নীল জরিদার কলমে আঁকা একটা পরী মেয়ে। তার মাথায় রাঙতা মুকুট, হাতে জাদু ছড়ি আর পায়ের কাছে ঝুড়িতে রাশি রাশি ফুল! এক কোনে লেখা-- পুতুল পুতুল ‘তুতুলসোনা’কে অনেক অ-নেক আদর!
ব্যস, এইটুকুতেই শেষ। বড়মামা কী যে ভাল ছবি আঁকতেন! এক টানে রবীন্দ্রনাথ।
আর ছোড়দা?
ছ্যাঃ, ও ব্যাঙ আঁকতে গেলে সেটা বাঁদর হয়ে যায়।
মামার পাঠানো সব খামের ডাকটিকেট গুলো পেত ছোড়দা।
কখনো যদি এক-আধটা নিতে চেয়েছি...বাপস, কী মেজাজ! বাম হাতে কিল দেখিয়ে ডান হাতে খামটা ছিনিয়েই দে দৌড়!
তারপর জলে ভিজিয়ে, কাঁচি দিয়ে, কত কায়দা খাটিয়ে যে ও টিকেটগুলো ছাড়িয়ে নিত খাম থেকে.. বাব্বাহ!
আমি নালিশ করতাম বাবার কাছে। মাকে বলে লাভ কী? উনি তো ছেলে বলতেই অজ্ঞান। বাবা কিন্তু আমার দলে। ছোড়দা তাই বকুনি খেত।
ও তাও দিতো না, একটাও না। আমি জিব ভেঙচে বলতাম-- 'পেটে তোমার পিলে হবে'! মা হাসতেন, বাবাও।
ছোড়দা সুযোগ বুঝে কান টেনে দিতো।
আমি ফের কাঁদতে বসতাম।
মাঝেমাঝে ওর যখন খুব মন ভাল থাকত.. হয়তো জ্যামিতি বক্স পেয়েছে স্কুলের কুইজে, নয়তো ও পাড়ার সনেট ভাইদের হারিয়েছে খেলায়। তখন সান্তনা দিতো…
শোন-- বড় হয়ে আমি যখন মামার মতো বাইরে পড়তে যাব, তখন প্রত্যেক সপ্তায় তোকে চিঠি লিখবো। তখন নে না টিকেট, কত চাস!
আমি গাল ফোলাতাম।
--সত্যি? তিন সত্যি।
--বিদ্যা? বিদ্যা।
--টিকটিকির ডিম? টিকটিকির ডিম।
আমারো মন ভাল হয়ে যেত।
ছোড়দার শখ এখন ফটোগ্রাফি। জাম্বো একটা ক্যামেরা কিনেছে, সুযোগ পেলেই নাকি সেটা কাঁধে বেরিয়ে পড়ে। ফ্লিকারে ওর ছবিগুলো আমি মন দিয়ে দেখি। মাঝে মাঝে বন্ধুদেরও দেখাই। আর প্রশংসা শুনে গর্ব গর্ব চোখে তাকাই। হুঁ হুঁ বাবা..দেখতে হবে না, ভাইটা কার?
প্রায় রোজই ঘুমুতে যাওয়ার আগে স্কাইপেতে কথা হয়। এই পাজিটাও এখন গম্ভীর মুখে উপদেশ দিতে শিখেছে। শুনেটুনে রাগে ইচ্ছে করে ছোটবেলার মতো কষে ভেঙচি কাটি!
জন্মদিনে সব্বার আগে এসে পৌঁছায় ছোড়দার উপহার। কত্তো বড় হয়েছি আমি, এখন কি আর পুতুল নিয়ে খেলার বয়স আছে? হাঁদারামটা তবু তাই পাঠাবে।
ছোড়দা কিন্তু এখনো আমাকে একটা চিঠিও লেখেনি!
আমার আর ডাকটিকেট জমানো হলো না...
#উৎসর্গ: হাচল 'অপছন্দনীয়'
মন্তব্য
আজকে আপনার জন্মদিন নাকি? বেশ বেশ, শুভ জন্মদিন!
চমৎকার লেখা, তিথী। আরেকটু দীর্ঘ হলে বেশ হত।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
পুনশ্চঃ জন্মদিন নাকি তোর? তাহলে এই নে তারার ফুলে গাঁথা মালা---হা হা হা ---
আমি তুলা রাশির জাতিকা, জন্মদিনের এখনো ঢের দেরি!
এই হচ্ছে পেছনের 'গঠনা', লেখাটা পড়ে খুব মন খারাপ হয়েছিল....
গাবলু
অনিদা, কৌস্তুভ--
দুজনকেই ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ও, আচ্ছা।
আর স্মৃতিচারণ হিসাবেও যে লেখাটা খুব মিষ্টি হয়েছে, সেটা তো বলাই হয়নি...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হায়, ডাকটিকিট জমানোর দিনগুলো... হারিয়ে গেছে কখন...
♫♫'কৈশোর শেষ হওয়া রঙচঙে স্বপ্নের দিন চলে গেছে রঙ হারিয়ে,
চলে গেছে মুখ ফিরিয়ে..'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গল্প ভালো লেগেছে। আসল গল্পের লিংকটা গল্পের মাঝেই দিয়ে দিলে হতো, সেটা খুব সুন্দর লেগেছিল পড়তে, উৎসর্গ পছন্দ হলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
গাবলুটা যে আপনি সেটা বুঝতে এতক্ষণ লাগলো আমার?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হুমম, তা বটে।
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মাথা চুলকানোর ইমো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মিষ্টি গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
(গুড়) :এরকম?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সেই পিচ্চিকাল থেকে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি-
'কয় ভাই বোন?'
উত্তর দিতেই এক বিশাল দীর্ঘশ্বাসযোগে মন্তব্য-
'বোন নাই!?'
প্রশ্নকর্তার কষ্ট দেখে নিজেরি কষ্ট লাগা শুরু হত। এখন অবশ্য আর আগের মত অমন লাগে না অত।
তবে এমন লেখা পড়লে পুরোন কষ্ট মাথাচাড়া দিলে তার দোষ কি আমার?
লেখা ভাল লেগেছে এটা বোধ হয় আর আলাদা করে বলা লাগবে না, নাকি লাগবে?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
'স্মৃতি কি আমারও আছে? স্মৃতি কি গুছিয়ে রাখা আছে বইয়ের তাকের মত, লং প্লেয়িং রেকর্ড-ক্যাসেটে......
যে-রকম সুসংবদ্ধ নথিভুক্ত থাকে গান, আলাপচারিতা?'
#স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল:পূর্ণেন্দু পত্রী
লাগবে না, থাক
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা.. কত কী মনে পড়েগেল! খুব ভালো হয়েছে লেখাটা।
তিন সতি্য, বিদ্যা এদুটা বুঝলাম, টিকটিকির ডিমটা বুঝিনি!
আমরা টিকটিকির ডিম বলতাম ওই যে রঙবেরঙের মিষ্টি ছোট ছোট বল কাগজের প্যাকেটে পাওয়া যেত সেগুলোকে, এক টাকা প্যাকেট দাম ছিল, ২০ টা টিকটিকির ডিম থাকত সেগুলোর মধে্য। আর সতি্যকার টিকটিকির ডিম ভাঙলে চোখে কী যেন হয় বলে টিকটিকির ডিম ভাঙতামনা কখনো। কিন্তু টিকটিকির ডিম এর শপথের বেপারটা জানিনা, জানতে চাই
হা হা.. আমরা ছোট থাকতে এই কথা বলে কসম কাটতাম, ঠিক মনে নেই কেন...
বোধহয় পেটে টিকটিকি ডিম পেড়ে যাবে শপথ ভঙ্গ করলে, এরকম কোন মিথ ছিল।
ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডাক টিকিট জমানোর দিনগুলো... আহা... দীর্ঘশ্বাস...
কতো মারামারি পর্যন্ত করেছি ডাকটিকিটের জন্য...
লেখাটা ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'সে জানতো। সবাই জানে।
শৈশবে আর ফেরা যায় না।'
#পাহাড় চূড়ায় :সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সেই ছোট্ট বেলায় আমিও ডাকটিকিট জমাতুম...
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সেগুলো যে কোথায় হারায়ে গেলো এখন আর খুজে পাই না।
ভাল লাগলো লেখাটা......
তবে বরাবরের মতো তোমার লেখার মধ্যে কোথায় যেনো এক চিলতে কষ্ট লুকানো থাকে... তেমন এটার মধ্যেও আছে !!!
আমি গরিব দুঃখী মানুষ, সুখী ঘ্রাণ মাখা কিছু যে লিখতে পারি না...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বরাবরের মতই ভাল।
ছেলেবেলার গল্প পেলেই পড়তে,
আর পড়লেই বেশ ভাল লাগে..
গন্ধটা খুব সন্দেহজনক!
লক্ষন বলে,
বুড়োটে মেরে যাচ্ছি!!
দুনিয়ার তামাম ভাই বইনেরা সুখী থাকুক।।
ভাল থাইকো.আপুনি..
অননেক ভাল..
প্রতিটি দিন,প্রতিটি ক্ষন..।।
হুম, 'ধীরে ধীরে বয়স বেড়ে গেলো আমাদের...'
নিয়মিত পাঠক আর মন্তব্যকারীটিকে বরাবরের মতই কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শিরোনাম ভালো লাগলো। লেখা ভালো লাগলো। আর ভালো লাগলো উৎসর্গটা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ হে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডাকটিকেট জমানোর অভ্যাস আমারো ছিলো (আছেও)। তবে এই ক্ষেত্রে কোন জ্বালাতনের শিকার হতে হয়নি।
আপনার ছোড়দা তো মহা ভাগ্যবান, কান টেনে কিল দেখিয়ে পার পেতেন, আর বেচারা আমি...
একটা ঘটনা বলি, ওই লেখাটায় লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম - কোন একদিন খেতে বসেছি, গরুর মাংস, ডাল আর কি একটা শাক। আমি মাংস খেয়েই যাচ্ছি আর গাবলু গপাগপ শাক খাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে আমাকে বললো সে নাকি লক্ষ্মী মেয়ে, আমি পাজি, সেইজন্য খাওয়া নিয়ে ঝামেলা করি। এর পরের কথোপকথনটা এরকম ছিলোঃ
- গাবলু, তুই তো বৃষ রাশি, বৃষ মানে জানিস?
- হ্যাঁ, ষাঁড়।
- তাহলেই বোঝ, আমি হচ্ছি সিঙ্গি, মাংস খাওয়াই আমার কাজ, তুই ষেঁড়ো মাঠে ঘাটে ঘাসপাতা খেয়ে বেড়াস, এখানেই বা আর ঘাসপাতা ছাড়া কি খাবি?
এর পরের ঘটনা আর বলতে চাইনা। একটি কিলে বিষম টিষম খেয়ে একাকার অবস্থা। সিংহ আসলে ষাঁড়ের চেয়ে অনেক নিরীহ প্রাণী ।
আপনার ছোড়দা তো সেই হিসেবে অনেক নিরীহ বোন নিয়ে ডিল করতেন।
কাজিনদের মধ্যে আমি সবার বড় এবং আমার বড় ভাইবোন নেই।
ছোড়দা কোথায় পাব?
এটা তো নিছক গল্প, স্মৃতিচারণ নয়।
গাবলুর জন্য শুভ কামনা রইলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এহহে...বোকাসোকা মানুষ, ট্যাগ খেয়াল করিনি। তা ছোড়দাকে 'গল্পের ছোড়দা' দিয়ে রিপ্লেস করে দিলেই চলবে...
'বোকাসোকা' নন, আপনি আসলে মহা কুঁচুটে মানুষ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ লেখাটা সুন্দর হয়েছে...তিথী আপু। তোমার রেগুলার লেখা উচিত।
ধন্যবাদ রইলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা,
আমারো এমন একটি ছোটবোন ছিল। "সে আমার ছোটবোন, বড় আদরের ছোটবোন"। দুঃখ যে, সে এখন বড় হয়েছে, আর আমি হয়েছি বুড়ো খোকা। ভাই-বোনের সম্পর্ক কোনদিন মলিন হবার নয়। তিথীডোর ও পছন্দনীয় দুজনের জন্যই অশেষ শুভপ্রীতি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ছোট বোনেরা বেজায় পাজি হয় বটে ,তবে তাহাদের মায়া কাড়িবার অদ্ভুত ক্ষমতা রহিয়াছে!
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মুড়মুড়ে লেখা
হয়রানবীরের পয়লা মন্তব্য!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মজার তো!
গল্পটা মিষ্টি হয়েছে।
থেঙ্কু আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লেগেছে গল্প!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
দিদি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীডোরের লেখা মানেই জোনাকী শব্দের মায়ায় ভরা কিছু! প্রথমদিকে মেয়েটিকে বেজাই হিংসে করতাম। এখন ওটা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ হিংসে করতেও যোগ্যতা লাগে। লেখালেখি যে এত্তো কঠিন কিছু কে জানতো বাবা একটা লেখা লিখেই ঠিকমত প্রকাশ করতে না পারার ক্যাচালে ফেঁসে গেছি কী করে লেখেন আপনি এমন সহজ সুন্দর লেখা? গল্পটা দারুণ মায়ার লাগলো। গাবলু আর আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
'সামান্য শরীর তোর! অতো ছায়া লুকোবি কোথায়?'
#বেদনার বংশধর :আবুল হাসান
ইযে, প্রবল অতিশয়োক্তি! (লাজুক হাসির ইমো)
কৃতজ্ঞতা আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
স্মার্ট রচনা। এমন গদ্য লিখতে কব্জিতে জোর থাকা লাগে।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
রিটন ভাই,
আপনার 'নিখোঁজ সংবাদ' বইয়ের 'সে আমার ছোট বোন' গল্পটা আমার সবচেয়ে প্রিয়, আর ছোড়দা শব্দটা ওখান থেকে নেয়া।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দিদিগো, এত কঠিন গল্প। সাব্বাশ।
আমিও ডাকটিকেট জমাইতাম। অনেকগুলা দেশ ছিল। এরমধ্যে একটার নাম ছিল নিপ্পন আর একটা জাপান ...
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ধন্যবাদ হে ভ্রাতঃ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঈর্ষা করার মত দুর্দান্ত সব লেখা আপনার । কিন্তু ওই যে বলে হিংসে করতেও তো মিনিমাম একটা যোগ্যতা লাগে, সেটাই যে নেই, তাই ঈর্ষা বাদে মুগ্ধই হই কেবল ।
আমার ভাইয়ার ডাক টিকেটের খাতা আমি বিনা শর্তে পেয়ে গিয়েছিলাম, সেগুলো নিয়ে ছাতে গিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে বৃষ্টি বৃষ্টি খেলতাম
'না চাহিলে যারে পাওয়া যায়...'♫
অতিশয়োক্তির জন্য অতিশয় ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বড়ই সত্য কথা। আমার মা শুধু অজ্ঞান না, পুরাই কোমাতে।
চমৎকার লেগেছে আপনার লেখা।
মন্তব্যের জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন