আমার বোনকে এখনো নেহায়েত-ই ছেলেমানুষই বলা চলে, এবার ক্লাস নাইনে উঠেছে সবে। এ বয়সি অনেকেরই এখন ফেসবুকে অবাধ বিচরণ থাকলেও আমার চোখ পাকানোর ভয়ে বেচারি গেমস খেলতে পিসিতে বসার সুযোগও পায় না। নেট ব্রাউজিং তো বহুত দূর কী বাত!
ভাই গতসপ্তাহে রাবি থেকে ছুটিতে ফিরেছে বাসায়, নেটবুক কিনবে বলে লাফঝাঁপ দিচ্ছে। দাদা, দাদা.. [মানে যাতে এক-আধটু ছুঁতেটুতে দেয়, সেজন্য আর কী] বলে দ্যুতি বেগম ঘুরছে আপাতত তার পেছন পেছন। কাকস্য পরিবেদনা। ভাইয়েরও একই মত। আগে বড় হও, তারপর।
আচ্ছা, কতটা বড় হলে তবে সত্যি সত্যি বড় হওয়া যায়?
ছেলেবেলা থেকে খেলাধূলা জিনিসটা আমাকে একেবারেই টানে না। খবরের কাগজের ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদগুলো এখনো আমি বলতে গেলে এড়িয়েই চলি।
ইশকুলে ফাইভে পড়ি যখন, একবার কীভাবে কীভাবে যেন বার্ষিক স্পোর্টসের সময় স্কিপিং এর ফাইনাল রাউন্ডে উঠে গেলাম। উৎসাহের কোন কমতি নেই। রাতদিন প্র্যাকটিস চলছে। ফাস্ট না হই, অন্তত সেকেন্ড প্রাইজ না নিয়ে বাড়ি ফিরবই না। হুঁ হুঁ বাবা।
চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের দিন নানাভাই আমাকে পৌঁছে দিয়ে এলেন। সারা মাঠ জুড়ে সাজসাজ রব, যেমন খুশি তেমন সাজোর প্রতিযোগীরা বিচিত্র সব সাজপোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার মনোযোগ নেই অন্য কিচ্ছুটিতেই। কী হবে, কী হবে!
একসময় খেলা শুরু হলো। মাঠের ঠিক মাঝখানে চুনের গুঁড়ো দিয়ে আঁকা গোল বৃত্ত ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আমরা জনা দশেক কচিকাঁচা। দিব্যি লাফিয়ে যাচ্ছি। একের পর এক মেয়েরা আউট হয়ে বিদায় নিচ্ছে। আমি, আমরা এখন শেষ চারে।
হঠাৎ বাম পায়ের রগে বেকায়দা টান পড়ল আমার। মাসলপুল? তীব্র ব্যথায় উফফ করে উঠতে না উঠতেই সাঙ্গ হলো খেলা, মানে আমি ডিসকোয়ালিফাইড।
ম্যাডাম আস্তে করে আমাকে একদিকে সরিয়ে কোনে বসিয়ে দিলেন।
বিকেলে আমাকে নিতে আসার কথা ছিল দুই খালার। আগেভাগেই পৌঁছে তারা অপেক্ষা করছিলেন অন্য দিকটায়।
আমার বড়খালা ছিলেন ভয়াবহ কবিতাপ্রেমী। রাতদিন কোবতে আওড়ানোর যে যন্ত্রণাদায়ক বদভ্যাস নিয়ে আমি সচল-অচলদের কাছে গাল খাই, তার গোড়াপত্তন ওখান থেকেই।
বড়খালা কবিতা পড়তেন, দারুণ আবৃত্তি করতেন আর ডায়রি লিখতেন নিয়মিত। অনেক বছর পরে একদিন কেন যেন আমার মন খুব খারাপ ছিল। আন্টি একটা পুরোনো ডায়রি বের করে একাংশ পড়তে দিলেন নিজে থেকেই।
আজ তিথীদের স্পোর্টস ছিল। মেয়েটা খুব আশা নিয়ে ঝকঝকে জুতোজামা পরে ইশকুলে গেল। বিকেলে আমরা গেলাম ওকে আনতে। পৌঁছে দেখি খেলা শুরু হয়ে গেছে। খুব কনফিডেন্ট চেহারা নিয়ে ও খেলছে। হঠাৎ কী যেন হল, হাত থেকে দড়িটা ছেড়ে দিয়ে বসে পড়ল।
একটু পর খেলা শেষ হলে ওদিকে এগিয়ে গেলাম। আমার ফুটফুটে ভাগনিটা, মাথা ভর্তি কোঁকড়াটে চুল আর চোখভর্তি জল নিয়ে ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলল-- আন্টি, আমি পারি নাই।আমার তখন মনে পড়ছিল হুমায়ূনের 'অমানুষ' বইয়ের ছোট্ট অ্যানির কথা।
তিথী হেরো দলের-ই মানুষ, যাবতীয় র্য্যাট রেসে কেবল পেছনেই পড়ে থাকে...
তবু যখনি কিছুতে নুতন করে হেরে যাই, স-বকিছু ছাপিয়ে প্রথমেই কেন যেন ঐ দিনটার কথাই মনে পড়ে।
মন্তব্য
নবীর চিনি খাওয়ার গল্প থেকে দেখি মানুষজন কিছুই শেখেনি।
ক্লাস ওয়ানে অঙ্ক দৌড়ে নাম দিয়েছিলাম। দৌড়ে লাস্ট এবং তার উপর অঙ্ক ভুল। এর পরের দৌড়গুলোতেও লাস্ট পজিশনের কাছাকাছিই থাকতাম। তারপরও দৌড় দিয়েছি - এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছি।
হেরো দল বলে কিছু নেই, মানুষকে জীবনে দুই দলেই খেলতে হয়। সব কিছুতেই জেতা যায় না, আবার সব খেলাতে হারবেও না। জীবন মোটামুটি কাটাগোল্লা খেলার মতো, একটু বুঝতে পারলেই ড্র করা যায়।
আশাকরি জীবনের সামনের খেলাগুলোতে তুমি দুর্দান্ত খেলবে। নিজের সাফল্যে সবচেয়ে জোরে হাততালি দেবে - নিজের চেয়ে ভালো দর্শক জীবনে আর পাবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্যে লাইক
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই যে আপনি আমাকে মাঝে মাঝেই লগ ইন করতে বাধ্য করান তাসনীম ভাই, এইটা ঠিক না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভাইয়া,
অলৌকিক আনন্দের ভার বিধাতা যাহারে দেয়, তার বক্ষে বেদনা অপার...
এই লাইনদুটো কেন যেন একবার বলেছিলেন আমাকে। এরপর থেকে প্রায়ই আওড়াই।
এই রবিবুড়োটা না থাকলে যে কী হতো!
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন খারাপ করে দিলা,আপুনি..
মন খারাপ করিয়ে দেয়ার ব্যাপারে অ্যাট লিস্ট আমাকে কেউ বিট করতে পারবে না। নেভার এভার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন করে হেরে যাবার কথাটা মনে ধরেছে।
ছেলেবেলায় একবার এথলেটের আসরের কথা মনে আছে। ক্লাস সিক্সে কি সেভেনে পড়ি। সিজিএস কলোনীর ৯ নম্বর মাঠে খেলা হতো তখন। খুজে নিয়ে একেবারে ১০০০ মিটার দৌড়ে নাম দিয়েছি। তখনো ১০০ মিটারেও পোক্ত হইনি। কিন্তু কি এক জেদাজেদির ফল এই অংশগ্রহন। মাঠে একে একে সব খেলা শেষ হলো। চুড়ান্ত প্রতিযোগিতায় সবাই অপেক্ষা করছে কঠিনতম এই রেসের জন্য। ঘোষনা এলো। নাম ডাকছে। সব মুশকো সাইজের পোলাপান লাইন ধরে নামছে। পুচকা সাইজের কেউ নেই। আমার নাম ঘোষণা হতে আমি ভীড়ের মধ্যে নিজেকে সেঁদিয়ে দিলাম। আবার ডাকলো। কেউ সাড়া দেবে না......কেবল আমিই জানি..... একবার .....দুবার...... তিনবার ডাক শুনে ভীড়ের চাপ পেরিয়ে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে বেঁচেছিল সেদিন আবুল।
আসল কথা হলো সবার পেছন পেছন দৌড়ে হয়রান হয়ে তারপর হাসির পাত্র হবার রিস্ক নিতে পারিনি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
'সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?'
আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে যাচ্ছিলাম, সিগনেচার লাইনে আটকে গেছি।
জীবনবাবু লোকটা খ্রাপ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
স্কুল ক্রিকেট টীমে কেমনে জানি জায়গা পাইয়া যাইতাম কিন্তু ব্যক্তিগত ইভেন্টে....ক্লাশ থ্রী তে থাকতে ১০০মিটার দৌড়(লাষ্ট থেকে ফার্ষ্ট হইছিলাম ) আর বিস্কুট দৌড় (স্যার খেলা শেষে দয়া করে বিস্কুট খাইতে দিসিলো) অংশ নিছিলাম। এরপর জীবনে আর কোনদিন একক ইভেন্টে নাম দেই নাই
আমি একবার বিস্কুট দৌড়ে 'ছেকেন' হয়েছিলাম।
তখন কেজিতে পড়ি।
বিসকুটটা কী নোনতা ছিল! ছ্যাঃ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মাসলপুল একদমই অকস্মাৎ এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়। নিয়ন্ত্রণযোগ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে কবিতার বিষণ্ণ গল্প লেখিকার কেবলমাত্র অনায়াস জয় হোক।
শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার কোবতে আওড়ানো খুব ভাল লাগে।
চকলেট বেঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হতো, আর বাচ্চারা হাতবাঁধা অবস্থায় লাফ দিয়ে সেই চকলেট মুখে নেয়ার চেষ্টা করতো; এমন একটা খেলায় নাম দেয়ার ইচ্ছা হতো চকলেটের লোভে। কিন্তু অলসতা রক্স , তাই এই লাফালাফি করার চেয়ে মায়ের কাছে চেয়ে নেয়াটাই বেশি লাভজনক বুঝতাম।
এছাড়া আর জীবনে কোন খেলা কখনো আকর্ষণ করে নাই। কোন প্রতিযগিতায় অংশ নেইনি কখনো , তাই হারলে কেমন কষ্ট লাগে বা জিতলে কেমন আনন্দ হয় জানি না !
আমার ঠিক এরকম একটা ঘটনা আছে যেটা মনে পড়লে এখনো কেমন জানি একটু খারাপ লাগে.আমি যখন ক্লাস ফাইভ এ পড়ি তখনকার ঘটনা. ইস্কুল এর স্কিপিং এ নাম দিয়েছিলাম. বাসাতেও খুব খেলতাম অন্যান্য দের সাথে তাই ভরসা ছিল আর কোনো কিছু তে না পারলেও এটা তে অন্তত একটা প্রাইজ জুটবে. টিকেও গিয়েছিলাম ফাইনাল এ . যেদিন ফাইনাল ছিল ঐদিন আমার উত্তেজনা দেখে কে. আমার সাথে আমার একজন বান্ধবী ও ছিল যে ওই খেলাতে অংশ নিয়েছিল. যাই হোক ফাইনাল আস্তে আস্তে সকল এ আউট হতে থাকলো আর আমার আস্থা বাড়তে থাকলো কারণ শেষ পর্যন্ত আমি আর চারটা
মেয়ে টিকে আছি. এই খানে বলে রাখি এই স্কিপিং এর আগে আমি একটু বাথরুম এ গিয়েছিলাম একেবারে ফ্রেশ হয়ে নেবার জন্য.যখন প্রায় শেষ এর দিকে হঠাত আমার মনে হলো আমার পায়জামার ফিতা টা বোধ hoy আমি ভালো মত আটকায় নাই. কি এক বিশ্রী বেপার. আমার ভয় হতে লাগলো হায় হায় যদি এই ফিতা খুলে যায় তখন কি কান্ড হবে. ভয়ে আমি হঠাত করেই থামিয়ে দিলাম. তারপর আর কি যা হবার তাই হলো. আমি আউট হলাম. পরে দেখলাম আমার ফিতা ঠিক ই ছিল কিন্তু ভয়টা আমাকে খেলো. জীবনে ওই প্রথম এবং শেষ বার এর মত খেলাতে অংশ নেয়া.
এলোমেলো মেঘ,
আপনার সঙ্গে দেখছি আমার ঘটনা বেশ খানিকটা মিলে গেছে! আমি বেশ ভাল স্কিপিং করতাম, বেশি গায়ে লেগেছিল সে কারণেই।
হ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'তোমাদের সেই ভেজা বনের পাড়ায়,
যা হারাবার হারায়, কেবল হারায়!
তোমাদের সেই ভেজা বনের পাড়ায়...বোকা আঙুল, দুঃখী আঙুল হারায়।'
কালো কাক,
হারতে হারতে গণ্ডার হয়ে গেছি হে পাঠক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুইট একটা স্মৃতিচারণ। ভালো লাগল। আমি নিজেও কোন দিন স্কুলে এই ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশ নেইনি। কারণ একটাই - আমার ভালো লাগতো না। এমনকি স্কুলের স্পোটস ডে এড়িয়ে যেতাম সবসময়। তবে ক্রিকেট খেলতাম, নিয়মিত ক্যালচারেল প্রোগ্রাম এ অংশ নিতাম।
তারপরও সবাই যেমন ভুল করে, আমিও করেছিলাম - একবার । সেই একবারই । ইভেন্টের নাম "মুক্তা কুড়ানো দৌড়" । ময়দার মধ্যে কমলালেবু ঢুকিয়ে রাখা হতো, তারপর পেছন দিয়ে হাত বাধা, দৌড়ে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে সেখান থেকে মুক্তা ( কমলালেবুটা ) মুখ দিয়ে তুলে আবার দৌড়ে যথাস্থানে আসতে হবে। আমি দৌড়ে গিয়েতো ছিলাম, কিন্তু ফিরে আসতে পারিনি। মুখের মধ্যে সব ময়দা মাখিয়েও সেই কমলালেবু আর খুঁজে পাইনি। শেষ পর্যন্ত স্যার এসে পেছনের বাধনটা খুলে দিল, সবাই হাসাহাসি করল, ব্যস - এরপরই এই ধরণের স্পোটসকে টাটা বাইবাই করলাম।
আপনার মতো আমিও পেছনের দলে। তবুও ভাবি আমরা না হারলে যারা জিতে তারা কিভাবে জিতবে... সবাই জিততে পারেনা, কেউ কেউ...
সেই দৌড় আজও অব্যাহত। ভাবি একদিন না একদিন কোন ইভেন্টে হয়তো জিতে যাব।
ডাকঘর | ছবিঘর
হায়, 'সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে...'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটি পড়ে মন খারাপ হয়ে ভাল হয়ে গেল ।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সফল হতে পারি না । কিছু ব্যর্থতা আমাদের তাড়া করে ফেরে প্রতিনিয়ত । এই হেরে যাওয়াগুলো শুধু হেরে যাওয়াই নয় । এগুলো আমাদের চলার পথের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা । কিছু খারাপ লাগা যদি আমাদের ভাললাগাগুলোর মাঝে জায়গা করে নিতে চায়, নিক না ।
আমাদের চেষ্টাই আমাদের জয় । আমার পরাজয় কারও জয়ের সোপান আর আমার জয় ও তো কারও পরাজয়েরই মাসুল । তাই হিসেবের খাতায় শুধু লেখা থাক চেষ্টার কথাটুকু । আর জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আমাদের মনে জমা হোক জীবনের রঙ-বেরঙের অভিজ্ঞতা ।
চমৎকার মন্তব্য।
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর ।
আপনার মন খারাপের ভাল লেখা এগিয়ে যাক ।
দুনিয়াজুড়া অলরেডি পচুর গিয়াঞ্জাম। আমি সেইগুলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাই। তাই র্যাট রেইসে ভাগ নেইনা। কিন্তু সবার সাথে নাম দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে খেলতে ভালোলাগতো। প্রতিযোগিতা করে জেতার শখ ছিলোনা তাই হেরে দুঃখ পাইনাই!
আমার জীবনে এখন অনেক কিছু নিয়েই অনেক হার, লিস্টি মাশাল্লাহ অনেকই বড়। মাথা ঘামাইনা। ডরাইলেই ডর...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেকদিন পর তোমার মন্তব্য পেলাম আপু।
সকাল থেকে খুব মন খারাপ ছিল, সেই ঝোঁকের বশে লেখা।
নাও।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দূর মিয়া, এত্ত মন খ্রাপের কিচ্ছু নাই। দুই দিনের বাতাসা।
খেলাধুলায় আমি আবার সেইরকম ছিলাম। কোনদিকে কি হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই পুপ পুপ বাঁশি। তাছাড়া সুতোয় ঝোলা একখানা চকলেট কি বিস্কুটের জন্য লাফালাফি করতে গিয়ে ভয়ানক প্রেস্টিজে লেগেছিল। বুঝেই গেছলাম ওই কাপের চা আমার নয় ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঠাম্মি, আমার মন এখন অনেক ভাল। দেখো, এই যে ভেটকাচ্ছি।
[তিথী অনেক সুইট করে নকল হাসি দিতে পারে। ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন খারাপ করা লেখাটা ভাল লাগল! এবার একটা জেতার কাহিনি নিয়ে খুশি-খুশি পোস্ট দেন।
অঃটঃ পোস্টের উপরে একটা গোলাপি বক্সে কিসব হাবজাবি কোড দেখা যাচ্ছে বুঝতে পারছি না।
****************************************
আমি জাস্ট একবার জিততে শুরু করলেই অণুদার মতো শিশিপাখাখুশিমাখা সাপ্তাহিক পোস্ট দেব।
সেরকম কোন সম্ভাবনা অবশ্য এ জীবনে নেই। [গভীর দীর্ঘশ্বাস]
[অট : মডুরাই ভাল বলতে পারবেন। ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কত্ত মিষ্টি একটা লেখা
হার-জিত নিয়ে ভেবে লাভ আছে?। তারচেয়ে গান শোনেনঃ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
হ, গান-ই শোনেন... আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি।
কী আছে জীবনে! [চরম উদাস ইমো]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এগুলো শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। আপনার কারণে আজ বহুদিন পর আরেকবার শোনা হল। ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছোট থেকেই আমি খেলাধূলায় হারু পাট্টিতে ছিলাম কিনা, আমাদের পাড়ার পিচ্চিদের দলে আমি ছিলাম সবচেয়ে ছোট, দৌড়, ছোঁয়াছুঁয়ি, বরফপানি, কোনকিছুতেই পারতাম না, আমাকে তাই নিতেই চাইতো না কেউ নিজেদের দলে। দৌড় দিতে গেলেই আমি আছাড় খেতাম, একটু আধটু না, বেশ ভালো রকমের, আর আমাদের বিল্ডিংএর সামনের রাস্তাগুলো ছিলো পিচের, আমি যে আছাড়গুলো খেতাম তা মোটেও আরামদায়ক হতো না, প্রায়ই কানতে কানতে বাড়ি ফিরতাম, আর হাঁটুতে নীল রঙের টিংচার আয়ডিনের প্রলেপ লাগাতে লাগাতে আম্মা গালাগাল করতো। তাও কিন্তু দুপুর তিনটা থেকেই উশখুশ শুরু হতো আর এক ঘন্টা কী করে কাটবে, কখন ছুটে বিকালের খেলাধূলার জন্যে বেরিয়ে যাবো! আমার দুই হাঁটু কালো চলটা পড়া ছিলো অনেকদিন, বেশ বড় হবার পরেও কালো কালো দাগোয়ালা হাঁটু নিয়ে ঘুরেছি, সেসব ছেলেবেলার খাবলা দিয়ে চামড়া-মাংস উঠে যাবার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। এখন মনে হয়, আহারে! সে সময়ের মতন ছেলেবেলা আমাদের ছোটরা মনে হয় সবাই পাবে না...
আজকে সকালেই স্কুলের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি বিশাল মাঠে স্পোর্টসের হিট চলছে! বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা আলাদা আলাদা হয়ে খেলছে, গল্প করছে, প্রেপারেশন নিচ্ছে। এখন তোমার লেখাটা দেখে তাই মজা পেলাম। স্পোর্টসে কাঁচা হবার কারণেই ভয়ে কখনো নাম দিতাম না। জানা কথা হেরে যাবো, সবাইকে দিয়ে কি আর সবকিছু হয়! আর তারউপর ছয়বার স্কুল পাল্টালে কী হবে, চিরকাল পড়ে এসেছি কম্বাইন্ড স্কুলে, ছেলেদের সামনে অপমানের অমূলক একটা ভয় আরোই সংকুচিত করে ফেলতো কেন জানি! স্পোর্টস এর দিন সকালে এমনিতে হলদে পাখি থেকে শুরু করে রেড ক্রিসেন্টের ডিসপ্লে আর প্যারেডে আগ্রহ নিয়ে অংশ নিলেও বাকি সময়টা আমি অন্যদেরকে দেখতাম, নিজে কিছু করতাম না। একবার ক্লাস এইটে কী জানি কেন খুব দৌড়ে নাম দেবার শখ হলো, প্র্যাকটিস চললো পুরোদমে, যেই আমি ছুটতে গেলেই হুড়মুড় করে উলটে পড়ি, সে খুব তোড়জোড় করে লাফালাফি শুরু করে দিলাম। যথাসময়ে ছুটছি, (কেমন যে ছুটছিলাম আল্লামালুম, নিজেরটা তো আর দেখতে পাইনি, তবে শিওর ছেলেগুলো হাসছিলো! ), হলো কী কেউ একজন পিছে থেকে সামনে আগাবার সময়ে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করলো আমাকে সাইড থেকে, পেট থেকে হুক করে সব বাতাস বেরিয়ে গেল, ছুটবার জড়তায় খানিকটা এগিয়ে গেলেও, মুহূর্তের মাঝেই আমি ডান হাত চেপে ধরে আমি হুড়মুড় করে বসে পড়লাম, চোখে পুরাই অন্ধকার! খানিক পরে ধাতস্থ হলে কোন্ দিকে যে ফিনিশিং লাইন তাল্গোল পাকিয়ে গেল। পা টেনে সাইডলাইনে ফিরে এসেই বাবার সাথে দেখা হলো, আমাকে ছুটতে দেখতে গিয়েছিলো কেমন করে যেন ঠিক ঐ সময়েই!
আমি বললাম, "দেখেছ, আমাকে কেমন করে কে যেন ধাক্কা দিলো!"
বাবা খুব গম্ভীর মুখ করে বললো, "কিন্তু তুমি দৌড়টা শেষ করো নাই।"
জীবনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার লোকের অভাব হবে না, হয় না... রেইসটা নিজের মতন করে শেষ করতে পারাটাই আসল কথা। জেতা হারাটা ব্যাপার না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমার গায়ে জোর ছিল না, তবে চাপার জোর ছিল সাংঘাতিক। [এখনো আছে, সবাই বলেন-- মাশাল্লাহ! ]
রাতদিন বাঁদরামি করতাম, খেলতাম পাড়ার বড় ভাইয়াদের সঙ্গে। পারবো না জেনেও ছুটতাম। হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেও ফের ছুটতাম।
এখন মনের জোর কমে গেছে। ধাক্কা দেয়ার আগেই উল্টে পড়ি...
দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ, কি মিষ্টি একটা লেখা। মনডা ভালা হয়ে গেলো (মন খারাপ ছিলোনা যদিও, তাপ্পরেও ).
গন্তব্য না ভ্রমণটাই জীবন এই জ্ঞানের ব্যাপারতা বুঝে ফেললেই জীবনে বেশ আনন্দে থাকা যায়।
হুম, জয় পরাজয় নয়, অংশগ্রহন করাটাই বড় কথা (পিয়েরে কুবার্তিন)।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'আমার নাম হিজিবিজবিজ, আমার ভাইয়ের নাম হিজিবিজবিজ, আমার বাবার নাম হিজিবিজবিজ, আমার পিসের নাম হিজিবিজবিজ...'
মানে আমাদের বংশে সবার ডায়বেটিস। সেজন্য লেখা মিষ্টি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ, আপ্নার লেখা পড়ে মন্টা হাল্কা হয়ে গেল, কবিতার মত কোমল লেখা। আর জয়-পরাজয় নিয়ে যা বলার তা ইতিমধ্যেই অনেকেই সুন্দর করে বলেছেন। এই ধরণের লেখা পড়লে কেনজানি ভেতরটা খালি খালি লাগে, মনে আসে অনেক ভুলে যাওয়া স্মৃতি
শাফি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মনখারাপ করা স্মৃতিজাগানিয়া লেখা। আপনার জন্য দু-লাইন কোবতে।
"কোই এ-নাউমেদি মা রো, উমেদ হা অস্ত ৷
সেই এ-তারিকি মা রো, খুরশেদ হা অস্ত্ ৷৷"
''জীবনে আশাও আছে, নৈরাশ্যও আছে, আশা থাকতে নিরাশ হব কেন !
চারিদিকে এত আলো থাকতে আঁধেরাকেই সাচ্চা বলে মেনে নেব কেন !
'অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেই তো তোমার আলো।'
#রবি ঠাকুর।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপু
হাঙ্গর কুমীরের নিমন্ত্রণবিহীন আমার এই ঘোলা জলের ডোবাময় জীবনের অনেক পরাজয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমার মতো ছোট মানুষদের পরাজয়ের বেদনা গভীর, কেননা
হারু পার্টির জন্য একটা মোক্ষম এপিটাফ দিয়েছেন পূর্ণেন্দু পত্রী-
একা হলেই নিজের কাছে নতজানু মানুষ।
বরফের মত, ঘাসের মত
মোমের মত গলতে গলতে বলে
-ক্ষমা করো!
আমি পারিনি
খুচরো পয়সার মতো এলোমেলো হয়ে গিয়েছি
গাছ থেকে ঝরে পড়েছি
খাদে
ফাঁদে
জঙগলে
দরজা খুঁজে পাইনি রাজবাড়ির
সিঁড়ি খুঁজে পাইনি মন্দিরের
ক্ষমা করো,
আমি পারিনি"
এর পরেও কিন্তু কবির সুমন থাকেন আশা নিয়ে ঘর করার দলে-
-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
আমাকে কবিতা দেওয়া বিপদজনক, প্রায় সব কমন পড়ে যাবে।
গান শুনুন-- ♫'তু লাল পাহাড়ি দ্যাসে যা, রাঙামাটির দ্যাসে যা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শিরোনাম দেখেই গানটার সুর আর মাদল বাজছিল কানে। লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
রাঙ্গামাটির দিকে যাচ্ছি... সত্যি... ফেব্রুয়ারিতেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর!!!
মাঝে মাঝে নিজেকেও হেরো মনে হয় আবার হয় না!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আমি একগুঁয়ে মানুষ, সেজন্য বোধহয় দল বদলাতে পারিনি।
কেবল হারি...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইসব বনসাই সাইজের পোস্ট দেওয়ার মানে কী শুনি!
যাই হোক - আত্মপ্রচারণা চালিয়ে যাই। আজকে যে ফাহিম হাসানকে আপনারা দেখছেন সে ক্লাস সেভেনে ১৫০০ মিটার দৌড়ে সসম্মানে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল। প্রাইজ পায় নাই, কিন্তু তার দুঃখ দেখে এক শিক্ষক সা্টিফিকেটের কোণায় লখে দিয়ছিল "FOURTH" সেই সা্টিফিকেট লেমিনেট করা আছে। অনেকদিন পর্যন্ত অতিথিদের দেখানো হত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আজ যে তিথীকে আপনারা দেখছেন, ন্যাদা ন্যাদা বাচ্চা থাকতেও সে আবোল -তাবোল হাতে হেসে গড়াগড়ি খেত, এখনো খায়।
আগেও লোকজন তাকে খুকি বলতো, এই বয়সে এসেও তাই-ই বলেই পচাচ্ছে!
আল্লার দুনিয়ায় ইনসাফ নাম কী কোই চিজ হ্যায়-ই নেহি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ফাহিমকে তো এখনও চক্ষে দেখি নাই, আগে বস্টন আসেন ভায়া তারপর কথা!
আমি [প্রোপিকের দিকে তাকিয়ে] আগে ভাবতাম, ফাহিম ভাই বোধহয় হাট্টাকাট্টা গোছের কেউ!
পেটুকন্দনীয় ভ্রাতঃ আসল খোমাখানা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।
এখন আর ডরাই না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার মনে হত খেলাধুলায় আমি একাই হারু পাট্টি, লেখা আর মন্তব্য দেখে মন ভাল হয়ে গেল
আর, যতটা বড় হলে আর বড় হতে ইচ্ছা করে না, ততটা বড় হলেই বোধ হয় সত্যি সত্যি বড় হওয়া যায়।
'বড় হওয়া অনেক কষ্টের। বড় হলে কেবল মরে যেতে ইচ্ছে করে।
শৈশবে যে জীবনকে ঘুড়ির মতো পলকা মনে হয়, বড় হলে তাকেই বোঝার মতো লাগে।'
#ভ্রমান্ধ দৃশ্যের বায়োস্কোপ : সুমন সুপান্থ।
এই অংশটা খুব পছন্দের।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই খুকিটা সবসময় দুঃখী দুঃখী ঘ্যানঘ্যান করে কেন, সুকুমারের সেই "ও মামা" গল্পের মত তারও কি একটা প্রাইজ চাই?
সবকিছু চেঁচিয়ে বলতে হবে নাকি, বুঝে নিলেই হয়!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা চমৎকার লেগেছে বরাবরের মতো। পিছনের অনেক কথা মনে করিয়ে দেয়।
আমি বেজায় এ্যাথলেটিক্সভীরুয ছিলাম। তবে সেকেণ্ড ডিভিশনে ক্রিকেট খেলেছি, ইন্টার স্কুলে ফুটবল-হকি খেলেছি, কয়েকটা টুর্নামেন্টে ব্রীজও খেলেছি। এখন কেরানীগিরি করতে গিয়ে সব গেছে। আর এমন একটা জায়গায় বসবাস করি যেখানে চারপাশ জিমে গিজগিজ করছে কিন্তু একটা ক্লাব নেই। খালি গায়ে কিলবিলে পেশিওয়ালা অস্বস্তিকর ছবিগুলো চলার পথে বারবার সামনে পড়ে। এরা নাকি সকালে ৪০টা করে ডিম খায় আর ডিম খেয়ে .................
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কিছুটা বিরতির পর সচলে ফিরলেন মনে হয়?
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কর্মক্ষেত্রে বেশ ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে ইদানিং। মাঝে মাঝে এসে ঢুঁ মেরে যাচ্ছি কিন্তু পোস্ট করার মতো সময় তেমন একটা পাচ্ছিনা। বরঞ্চ বলা ভালো যে মনসংযোগ করতে পারছিনা সেভাবে। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মানুষ যে ক্যান মানুষ হইয়া ইন্দুরের দৌড়ে শামিল হয়, এইটাই তো বুঝে আসে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাবতেছি বড় হয়ে জার্মানি যামু গা।
ইঁদুর-ই যদি হতে হয়, হ্যামিলনে যাওয়াই তো ভাল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি সাধারণত হেরে গিয়ে কখনো স্বীকার করিনা যে আমি হেরে গেছি। ব্যতিক্রম ছিলো গেলো বছরটা। এ বছর আবার পুরোনো অভ্যাসে ফিরে যেতে হবে, হার মেনে জীবন চালানো খুব কঠিন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
'আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করি নি...', এরকম?
আমার হারার পালা এ বছরের মধ্যে চুকাতেই হবে, নইলে বহুত দুঃখ আছে কপালে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন