ফেসবুকে বইপড়ুয়া নামে একটা চমৎকার গ্রুপ আছে। যার সদস্যসংখ্যা প্রায় আটশোর কাছাকাছি। ব্যক্তিগতজীবনে চরম অসামাজিক হলেও আমি আবার আন্তর্জালে মেলা সময় দিই। খুব যে ভাবগম্ভীর হয়ে থাকি, তাও নয়। বরং ইয়ার্কি মারতে মারতে এমন ইমেজ বানিয়েছি যে, বছরখানেক চেপে রাখা পরমাণু বোমাটা সেদিন যখন 'ইয়া হাবিবি' বলে দড়াম করে ফাটিয়ে দিলাম– শ্রোতা খুব সন্দিদ্ধস্বরে প্রশ্ন ছুঁড়লেন।
'তিথী– সব ভেবে বলছ, নাকি এটাও তোমার ফাজলামো?'
যাকগে, বলছিলাম বইপড়ুয়ার কথা। সচল জুয়েরিযাহ মউ যখন এই দলে আমাকে যোগ করল, কুয়োর ব্যাঙ সোজা এসে পড়ল আটলান্টিক মহাসাগরে। কী সর্বনাশ, এত এত বই পড়ে মানুষ! পড়ুয়াদের অনেকেই সচলসুত্রে আধচেনা, অনেকে পুরো অচেনা। চিনপরিচয়ের সুত্র ঐ একটাই! বই।
সেই পাঠের ব্যাপ্তির খাতিরেই দিগন্ত নামের এক খুদে পাঠককে [আমার দশ বছরের ছোট!] আমি খানিকটা সমীহ করে চলি। আবার ঘটকালির বিনিময়ে সজলদার কাছ থেকে আবদুল মান্নান সৈয়দের ইয়া মোটা বই 'শুদ্ধতম কবি' মজুরি হিসেবে পাবার প্রতিশ্রুতিতে হই লোভার্ত।
দিনে দিনে এমন অবস্থা দাঁড়ায়, এফবিতে ঢুকে [দিনে কতবার যে ঢুকি!] পয়লা নাক গলানো হয় বইপড়ুয়াদের ভিড়ে। চলছিল ভালই। মাঝে বাধ সাধল বইমেলা। নিত্যনুতন রাশিরাশি বইয়ের খবরের ভারে আমি চিঁড়েচ্যাপ্টা হতে শুরু করলাম। ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ নেই, চাঁটগাঁ বসে শখ মিটিয়ে (বই কেনার শখ কখনো মেটানো যায়? ) কেনাকাটার মতো পয়সাও নেই। অক্ষম রাগে দিলাম গ্রুপ ছেড়ে।
সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন — আশা ছাড়লে নাকি ভগবানও সমঝে চলেন। সেজন্যই হয়তো এরপর ভাগ্য কিঞ্চিৎ সুপ্রসন্ন হলো। বন্দনা আপু পাঠালেন হিল্লোল দত্ত মানে সচল মহাস্থবির জাতক এর সম্পাদনায় অদিতি কবিরের অনুবাদগ্রন্থ 'প্রফেসর ডয়েলের মস্তক'। সঙ্গে চক্কেটও!
সুমিমা আপুও দিলেন বেশ কয়েকটা বই। আর অটোগ্রাফসমেত সচল সুমন সুপান্থের গল্পগ্রন্থ ভ্রমান্ধ দৃশ্যের বায়স্কোপ পাঠালেন মউবানু। সঙ্গে অনেকদিন ধরে খুঁজতে থাকা আরেকটা বই।
ভাস্কর চক্রবর্তীর লেখা। শয়নযান।
শয়নযানের প্রকাশক অবশ্য কলকাতার, উর্বী প্রকাশন। ভাস্কর দাসের রূপায়ন ও অলঙ্করণে প্রথম প্রকাশ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮তে।
মূলত আত্মকথামূলক ছোট্ট একটা বই শয়নযান। নিজের সঙ্গে নিজের টুকরো টুকরো কথা বলা। লেখক নিজে ভূমিকায় লিখেছেন এভাবে–
কোনও গল্পও নয়, উপন্যাসও নয়। তবে কি স্মৃতিকথা কোন? জার্নাল? ঐরকমই হবে কিছু একটা। লেখার কথা ছিল কবিতা, লিখে ফেললাম প্রেম আর ছেলেবেলার কথা…
ছেলেবেলা। বাধা আর বিপত্তিহীন, বল্গাহীন স্বপ্ন আর ভালবাসার লালনীলবেগুনি রঙের দিনগুলি। যে রঙে কৃত্তিমতা নেই, ভাল- খারাপের কষ্টিপাথরে যাচাই হওয়ার ভয় নেই। পিছিয়ে পড়ে মুখ লুকোনোর যাতনা নেই, ছিলোও না.. দীর্ঘশ্বাসের উতল হাওয়া। তাই 'মুখ ফিরিয়ে যখনই দেখি, দেখি এক স্থির, নিস্তব্দ্ধ কুয়াশাঘেরা বাল্যকাল-- যেখানে সহজেই সাঁতার দেওয়া যায়।'
আমি ঠিক আমার মতোই। আমার থেকে আমি একটুও ভাল নই, একটু খারাপও নই। ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি উড়িয়ে- পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি আমি।
এরকম ধারাবাহিকতাহীন লাইনগুলো… অথচ কী অদ্ভুত একেকটা লাইন! আসলে,
ভাবনা জিনিসটাই বড় অদ্ভুত! কখন যে মাথায় এসে ঢোকে, তুমি তার কিচ্ছুটি বুঝতে পারবে না। এরকম যে দু- একটা বই তুমি ভালবেসে জেনেছিলে একদিন, যে দু-একটা নাম- মুখ তুমি ভালবেসে রেখে দিয়েছিলে জীবনে– ভুলেই তো যাচ্ছ সেসব। আর একবার ফের, ফের খেয়াল রাখো মেঘের দিন আর নীল আকাশের দিন… দেখো তো, মেঘগুলোকে কি ছেলেবেলার সিগারেটের প্যাকেটের রাংতার মতো মনে হচ্ছে না?
দুঃস্বপ্নের ভাষাসমেত চিরনির্লিপ্ত কিছু মুখ আঁকা শয়নযানের পাতায়। যেন এক দোতলা বাড়ির জালে ঘেরা বারান্দা, বেঞ্চি পাতা, যেখানে পাথরে গড়া অদ্ভুত কিছু মানুষ বসে.. যেন একটা অলসযানে কিছু না করেই একটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া।
আছে বইয়ের প্রতি নিখাদ নিঃশর্ত ভালবাসার কথাও।
বই থেকে কী না জানা যায়! একদিন পড়ব, এমন ভাবনায়, আমি কত বই যে কিনে এনেছি! সেসবের পড়া হলো না তো কিছুই…
একটা ভাল বই, আমি যতটুকু বুঝতে পারি, আমাদের ভালবাসতে শেখায়। কিন্তু ‘ভাল‘ বই? সেটা লেখা খুব শক্ত, আবার সহজও বটে!
আমি যখনই কোন বই স্পর্শ করি, তখনই সেই বইয়ের লেখককেও স্পর্শ করি। স্পর্শ করি তাঁর দেশ, তাঁর সময়কেও…
এইরকম কিছু বই, শুধু বই-ই কি আমাদের ভাবতে শেখায় না-- ভাগ্যিস ঘাসফড়িং কিংবা পানকৌড়ি নই, মানুষ হয়ে জন্মেছি! বলে--
বেঁচে থাকো বাপু, দ্যাখো জীবন কী রহস্যময়..কী অবিশ্বাস্য রকমের আনন্দের!
বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন যে ট্যাক্স দিতে হয় তার নাম নিঃসঙ্গতা।
সেই নিঃসঙ্গ আমার স্নায়ুকে, কেবল কবিতা-ই বোধহয় শান্ত রাখে (নিজে অবশ্য জীবনেও লেখার সাহস করিনি)। সেজন্যই বোধহয় সবচেয়ে মন টেনেছে কবিতা নিয়ে স্বগতোক্তির অংশটুকু।
কবিতা কি স্তব্দ্ধতার ভাষা? কবিতা কি জানার মাঝে অজানার সন্ধান? জীবন আর মৃত্যুর আলোছায়াময় খেলা? শেষ নেই এমন এক পাহাড়ে অনবরত চড়তে থাকার সঙ্গে কবিতার তুলনা করা যায় কিছুটা।
আচ্ছা, বলছি আমি। আলোয় ভর্তি একটা পাহাড়, যে আলো শুধুই হাজার মোমবাতির। মোমবাতিগুলো সব জ্বলছে আর পাহাড়টা আস্তে আস্তে ডানা ভাসিয়ে শূন্যে উড়ছে আর ভেসে যাচ্ছে…কবিতা আমার কাছে ঠিক সেইরকম। আলোয় সাজানো একটা পাহাড়ের ভেসে যাওয়ার মতোই। এরথেকে বেশিকিছু আমি এখনো জানি না। শুধু এই একটা ছবিই দেখি, দেখতে পাই।
তবু একেকদিন ক্লান্তি আসে। ক্ষিপ্রতা যায় হারিয়ে। আসে অবসন্নতা। ইচ্ছে করে ভুলে যাই সব, স-ব। ভুলে যাই আমার ডাক-নাম, শিউলিফুল, নদীর পাশের শহরটাকে, আমার গান, সন্ধেবেলা রঙের ফিঙে পাখি..
যদি ভুলে যাই আমি আমার ঘরে ফেরার পথ?
বিখ্যাত এক কবির লেখায় পড়েছিলাম : জীবনে একটা ভুল মানেই হাজার বছর বরফের ওপর হেঁটে বেড়ানো। আমি তো ভুলে ভর্তি এক মানুষ! কত হাজার বছর আমাকে হেঁটে বেড়াতে হবে বরফের ওপর?
সেই আত্মকেন্দ্রিক কাপুরুষতার সহজ সমাধান পাওয়া যায় শয়নযানে।
শেষ পর্যন্ত আমার জীবনে যদি কোন লক্ষ্য থেকে থাকে, তা হলো আত্মহত্যা না করা।
এই মহাশূন্যতা যেমন পৃথিবীটাকে ছুঁয়ে আছে, সেইরকমভাবে কি ছুঁয়ে থাকা যায় না এই জীবনটাকে?
উৎসর্গ : ভ্রাতঃ পরিবর্তনশীল, প্রিয় ব্লগার।
মন্তব্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইপড়ুয়াতে যোগদানের অনুরোধ পাঠালাম আপনার লেখা পড়া শেষ করেই? দেখি ঠাই দেয় কিনা। তাইলে একদিন আমিও হয়তো বিনিপয়সায় বই চক্কেট পাবো
ইয়া হাবিবি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীর লেখা বরাবরই মনকাড়া হয়। এটিও তার ব্যতিক্রম নয় গো
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
টিংকু টিংকু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলায়তনে ফেসবুক গ্রুপের সস্তা বিজ্ঞাপন দেখতে চাই না। মাইনাস।
গ্রুপের বিজ্ঞাপন (!) নয় এটা, লেখাটা মূলত পড়ে ভাল লেগেছে এমন একটা বই নিয়ে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অতীত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দিগন্ত, 'হাসছ কেন খোকা, এটা কি নাট্যশালা নাকি?'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখার শুরুটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনিদা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
রিভিউ ভাল্লাগলো। পড়ে দেখবো বইটা।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ভাল্লাগবে আশা করি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এরপরের বার দেখা না করলে কোন চক্কেট নেই রে এই বলা দিলাম।
হে হে, দেখা যাবে।
ততদিনে কেয়ার এন্ড আগলি মেখেটেখে আমি কত্তো ছুন্দর হয়ে যাব!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইটি পড়ার আগ্রহ বোধ করছি।
লিঙ্ক থেকে নামিয়ে পড়ে ফেল আপু, আমার চমৎকার লেগেছিল।
ধারও দিতে পারি। যদিও মূল বই তো নেই, ফটোকপি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কবিতা নিয়ে এতো উচ্ছ্বাস ! নাহ্ ! ভবিষ্যৎ ঝরঝরে !!
কবিতা হচ্ছে একটা যাচ্ছেতাই জিনিস ! খুবই নাপছন্দ আমার ! তবে পোস্টটা কিন্তু চমৎকার হয়েছে !
আর ইনিই কি মহাস্থবির জাতক !! এমন ভারিক্কি নাম যার, হাসিতে তো দেখি মুক্তো ঝরছে !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হিল্লোল দত্ত যে মহাস্থবির জাতক সেটাও আমি এই পোস্ট থেকেই জানলাম। জাতক মহাশয়কে খুব গম্ভীর মানুষ মনে হতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি এই লোকের হিউমার এর ফ্যান। কিন্তু ফাঁকিবাজ মহাশয় এর লেখালেখিতে মনে হয় বড়ই আলস্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কবি _ কবিতা_ কবিতাখোর : তিনটাই মহা বিপদজনক!
অনেক ধন্যবাদ রণদা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইটা একটা কাজের কাজ হল রণদা
facebook
হ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইনি কে? চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমি কিন্তু চুপচাপ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইয়ের ফটোকপিটা একদিন দিয়েন, পিসিতে জীবনেও পড়া হবে না।
আর লেখা নিয়ে কিচ্ছু বলার নাই। এত সুন্দর একটা লেখা আমাকে উৎসর্গ করসেন দেইখা আবেগে ইমোশনাল হইয়া গেলাম।
আমার তো পিসি ভর্তি পিডিএফ! যতই অস্থির স্বভাবের হই, বই পড়ায় ধৈর্য্যের কমতি নেই, যে আকারেই থাকুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর। খুব ভালো লাগলো। বইপড়ুয়াতে গেলে অনেক কিছুই বদলে যায়। এত্ত বই নিয়ে আলোচনা।
ডাকঘর | ছবিঘর
বইপড়ুয়ারা খারাপ। খালি নুতন নুতন বইয়ের নাম জানায়। অত টেকা কই পামু?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
_____________________
Give Her Freedom!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দিগন্তকে শুধু তুমি নও আমরা সবাইই সমীহ করে চলি। এইটুকু পিচকা এই বয়েসেই গুচ্ছের বই কেম্নে পড়ে আবার সেগুলো নিয়ে জ্ঞানী জ্ঞানী মন্তব্যও করে ফেলে আল্লা মালুম। বইমেলায় তো একজন বলেই ফেলল তাদের নাকি ধারণা ছিল দিগন্ত নিকে আসলে একজন না একাধিক মানুষ লুকিয়ে আছে। তাই শুনে ছেলের কি হাসি।
বইয়ের ছবি দেখেই গ্রুপ ছেড়ে দিলে ! এদিকে মেলায় বসে বসে সবার কাঁধে পিঠে বইয়ের বোঝা দেখলে তো দড়ি কলসি খুঁজে বেড়াতে। শেষ দিনে রাগে দুঃখে সায়কাকে বলেই বসলাম, আজ আর কোন্ন বইয়ের দিকে ফিরেও তাকাবো না। কাঁহাতক আর সয়।
তোমার জন্য যেটাই কিনতে যাই, শুনি পেয়ে গেছ আগেই। এমনকি মালাকাইটের ঝাঁপিও ! নজরুল ভাই এইটা কি করল !
এর পরের বার ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এসো। দুইসাথে মেলায় যাব আর আইস্কিরিম খেতে খেতে বই কিনব।
আচ্ছা ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম । আমি বইয়ের কথা কইলেই তোমার মাথাব্যাথা করে, না। হুম ।
ডাকঘর | ছবিঘর
দিগন্ত অমানুষ! হাতের কাছে পেলে ধরে পিটিয়ে দিতাম!
মালাকাইটের ঝাঁপি পেলাম কই? নজু ভাই লোক খ্রাপ, তিনি কেবলই ভঙ্গ করেন অঙ্গীকার!
পরেরবার ঢাকা তোলপাড় করতে না পারলে আমি সুইসাইড খাব ঠিক করে রেখেছি, জানো না? দেখা হবে বিজয়ে, মানে ফেব্রুয়ারিতে, বইমেলাতে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যাব্বাবা, তবে যে উনি বললেন, পেয়ে গেছ ! তাইনা শুনে মন খারাপ করে আমি কিনলামই না। খ্রাও, সাঁড়াশি আক্রমণ চালাতে হবে দেখছি !
দিগন্ত ভারী মিষ্টি ছেলে। ওর চশমার কাঁচ দেখলেই আর পেটাতে পারবেই না। বরং হ্যাভারস্যাকটা নিয়ে দৌড়ে পালালে লাভ হবে বেশি।
আগামী বইমেলা ?! হ, যদি তদ্দিন বাঁচি আরকি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হেহ, সবাই কি আমার মতো সত্যবাদী নাকি?
এখনো অনেক, অনে-ক, অ-নে--ক বই পড়া বাকি তো! সেই শখ মেটার আগে আসুক ব্যাটা আজরাইল, চেঁচিয়ে ভাগিয়ে দেব না? হুঁ হুঁ বাবা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহারে, থোতো ছেলেটা কেঁদেই দিল!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সবই ঠিকাছে। কিন্তু ঘটকালিটা যে আমার নিজের জন্য না, সেটা বলে দেয়া দরকার ছিলো। তা নাহলে এখন যে সবাই হন্যে হয়ে লাইন দিবে, আমি সামলাবো কী করে!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঠাকুরঘরে কিডা ড়্যা? না সজলদা কলা খায় না।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওহো, সজল ভায়া বুঝি স্বয়ংসম্পূর্ণ? মানে আখের অলরেডি গুছিয়ে বসেছেন?
তা বাপু, আমি তো থোতো। অতশত কী আর বুঝি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহ বইপড়ুয়া, বাহ বইপড়ুয়া।
আর লেখায় এত কোটেশন ক্যান গো দিদি? আমি আপনার নিজস্ব ব্যাখ্যা পেতেই বরং আগ্রহী
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
বইপড়ুয়া খুব খ্রাপ জায়গা। ১১ তারিখ থেকে ফৈক্ষা, এখনো খালি 'আউট' বই নিয়েই আছি!
হ্যাঁ, এটা একটা ভাল কথা বলেছেন বাহে। বুক রিভিউ লেখাটাই আমার কাছে কঠিন ঠেকে। তবু যদি সেটা হয় গদ্য, যেমন এখন পড়ছি যেটা-- বাসন্তী গুহঠাকুরতার কালের ভেলায়.. এমনগুলোকে তাও কায়দা করার চেষ্টা করা চলে। কিন্তু যদি হয় শয়নযানের মতো (ঈষৎ ছিরিছাঁদহীন) কোমল কাব্যগন্ধী গ্রন্থ, তবে বেশ খানিকটা হিমশিম খেতে হয়।
আমি দুঃখিত। মাথায় রাখব কথাটা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত্ত এত্ত বই-কবিতা পড়েন কখন ? অন্য কাজ-কম্ম কি নেই ?
ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।
কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া আর বেকারকে বেকার বলতে নেই!
পঠনে কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কতকি পড়ার আছে বাকি
সময় বয়ে যায়--
লিখাখানা বড়ই উপাদেয় হইয়াছে--
অনেক পথিক পরাণ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইপড়ুয়া গ্রুপটা যে আমার কত পছন্দের তা তো আপনার জানা। সত্যি খুব অবাক লাগে - এ্যাত এ্যাত পড়ুয়া মানুষ বইয়ের টানে একসাথ হয়েছে। আর সারাদিন বই নিয়ে আড্ডা! মাঝে মাঝে লিস্ট দেখে মনে হয় পাগল হয়ে যাই!
আপনার লেখাটা খুব মায়া মায়া হয়েছে তিথী।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আসলেই। কী চমৎকার একটা জায়গা, সারাদিন কিছু পাঁড় পাঠক যেখানে শুধু বই নিয়েই মেতে আছে...
বিনীত ধন্যবাদ ফাহিম ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বইপড়ুয়াতে ঘুরে ঘুরে মাথা ঘুরায় এখন। আগে ভাবতাম আমি অনেক জ্ঞানী লোক এখন বুঝতে পারলাম আমি বিশিষ্ট বলদ । কতকিছু পড়ার বাকি আছে এখনো। সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ থেকে লেখালেখি করা প্রায় বন্ধ করে দিব, বহুকিছু পড়তে হবে। ধন্যবাদ আবারও এমন মহাসাগরের সন্ধান দেয়ার জন্য, এখন যাই হাবুডুবু খাই গিয়ে। পড়তে পড়তে দম ফুটে মরে গেলে, আমার মিত্তুর জন্য আপনি ছাড়া কেউ দায়ী নহে।
আমার টার্গেট ছিল পেটভরে বই পড়ে আর ছোটখাট কিছু শখ আহলাদ মিটিয়ে ২৭ বছর বয়সে সুইসাইড করব। ওই বদ -গিয়ানি পড়ুয়াদের সৌজন্যে যে চীনের মহাপ্রাচীর সাইজের অপঠিত বইয়ের লিস্টি জমেছে এবং জমছে দিন দিন...
৯৭ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকলেও মনে হয় কিনে/ পড়ে কুলোবে না।
বেস্ট অফ লাক উদাস দাদা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন