আচ্ছা, দুপুরের রঙটা কেমন?
ফিকে হলুদ.. মনে হয় আরাফের। যেনো ইশকুলের পেছনদিকটার গেটে দাঁড়ানো গোলা আইসক্রিমওলার কাঠের হাতায় জমানো গুঁড়ি গুঁড়ি জলজ হলুদ।
কিংবা ভর পহরে, বাবুনীদের পাঁচিল ঘেঁষা শিরিষ গাছদুটোয়.. ভোঁতা দাঁড়কাকগুলো যখন ডাকতেও ভুলে যায়। তখন বুড়ো মালি হাতেম খাঁ কানাগলিটার শেষ মাথায় হাঁটু মুড়ে বসে বাতাস খায় ছেঁড়া গামছাটা নাড়িয়ে। ওরকমই হলুদ দুপুরগুলো। নিরিবিলি, চুপচাপ।
সন্ধ্যার রঙ যেমন গাঢ় বাদামি।
এইরকম সময়ে ছুট পায়ে ছাতে যেতে ইচ্ছে করে। নীচু রেলিং ঘেরা ছাদ। শ্যাওলা জমে জমে পিচ্ছিল হয়ে থাকে বর্ষায়। একটুশখানি পা হড়কালেই, ব্যস-- ধপাশ!
মা বারণ করেন। অসময়ে একা ছাদে যেতে নেই।
বাবাও।
ওসময় একটু অঙ্ক কষলেও তো পারো। টেস্টে ফি বার সোশ্যাল সায়েন্সে এমন পুওর মার্কস তোমার-- কেন?
মেকানো সেট নিয়ে বসে আরাফ। ব্রিজ বানায় একটা.. হেইইই লম্বা। নদী পেরিয়ে সাগর জোড়া দেওয়া দৈত্য সেতু। ইটের পরে ইট, মাঝে মানুষ কীট...
বিতিকিচ্ছিরি!
দুশশশ, ছাই.. ভাল্লাগে না। সেতু গুঁড়িয়ে যায় হাতের এক ঝটকায়।
কাঁচের জারে চোখ সরায় ও। দুটো গোল্ডফিশ একটাতে, ওটা ছোট। বড়টাতে ধূসর গোলবুটি দেওয়া কচ্ছপের ছানা। মাহদি মামা এনে দিয়েছিল, রঙবেরঙের মারবেল আর নুড়িপাথর সুদ্ধ।
কিংবা টিনটিন। ক্যাবলাকান্ত প্যালারাম। সেরিওজার নীলাভ সাইকেল। উপোসি দানিলা। সারাফান আর রুমাল নেড়ে ঘুরতে থাকা নাচুনে ফেদিউনকা। ফি-ই-ই-ট! ই-উ-উ--উ.....
মা আর বাবা। দুটো আলাদা মানুষ, জানে আরাফ। এক হয়ে থেকেও।
বড় তাড়াতাড়ি বুঝে গেছে ও। বুঝেছে বৈশাখের রঙহীন রঙে, বিকেলের ভিন ডিজাইনের চায়ের কাপের দানায়, জন্মদিনে পাওয়া দু- মেরুর উপহারের বাক্সে, অন্ধকার ঘরে আধঘুমে শুনে ফেলা হিসহিসে স্বরের চাপা বাকবিতণ্ডায়।
ক্লাসের ঐ মোটকা রুদাব ছেলেটা কেন যেনো একটুও দেখতে পারে না ওকে। সুযোগ পেলেই ইরেজার কেড়ে নেবে নয়তো মেঝেতে ঠুকে ভেঙে দেবে কলমের নিব। আর মিসকে বললেই, বাহ, কেমন ভালমানুষটি! যেনো কিস্যুটি জানেই না।
আরাফ এড়িয়ে চলে ওকে। দরকার ছাড়া কথাও বলে না। কবে যে এই টার্মটা শেষ হবে আর অন্য সেকশনে যাবে ও।
তখন আর পা ফেলতেই রুদাবের মুখোমুখি হতে হবে না। এই, আর মাসখানেক-ই তো দেরি।
যদিও একটা সহজ জিনিস এখনো ঠিক বুঝতে পারে না ও।
কেউ কাউকে সহ্য করতে না পেরেও একসঙ্গে কী করে, কেন থাকে বছরের পর বছর?
মন্তব্য
এখন পড়ি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ছাঁদের পাচিল বলছে আয় ছুটে আয় খালি পায়,
আকাশ বলেছে গলা খুলে গা,
দুপুর বলেছে কান্না পেলে ছাঁদে উঠে গিয়ে সবাই যা বলছে ভুলে যা।
লেখা
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ডাক্তার বলছে ক্যালসিয়ামটা কম...
অনেক ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এরকম লেখা বেশি ভালো লাগে আমার।
কিন্তু ঘটমা কী?
মন খারাপ?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হে হে।
আমার মন ভাল থাকে কবে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আর আমারে জিগাইলে কই উল্টাটা।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তাহলে বরং একটা মন খারাপের মনে রোদ হয়ে যাও... ♪♪
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
(গুড়)
facebook
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার করে দুপুরের বর্ণনা লিখলেন আপু। খুব ভালো লেগেছে। হলুদ দুপুর বোধ হয় অমনই হয়।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
'তখন কি আমি জানতাম
দুপুর এমন বাঙ্ময় হতে পারে, হতে পারে কোনো পাখির দীর্ঘ ডাক?
এমন সম্মোহনময়?
পুলিশের বাঁশি, মাইল মাইলব্যাপি বুটের শব্দ, বম্বারের মৃত্যুবর্ষী গর্জন, বাতিল শাসনতন্ত্রের হাহাকার আর পাঁচশালা পরিকল্পনার আর্তনাদ ছাপিয়ে
একটা দুপুর চাইকোভস্কির সুর হতে পারে...'
#একটি দুপুরের উপকথা: শামসুর রাহমান।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার একসময়ের খুব প্রিয় একটা কবিতা ছিল এটা। মন খারাপ? নন্টে-ফন্টে পাওয়া যায়না কাছের লাইব্রেরিতে?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আমার মন ভাল করতে পারে একমাত্র এই বইটা--- হ য ব র ল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ একটা লেখা। ভালো লাগল।
লেখার মাঝের ওই স্মাইলিটার দরকার ছিল না কোনো।
আজ্ঞে, ইমো সরিয়ে দিলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব সুন্দর।
_________________
[খোমাখাতা]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লাগলো, অনেক!
অ-নেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ্! ভালো হয়েছে, তোর মতই।
কৃতজ্ঞতা সুমিপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মনকাড়া গদ্য (এবং মনখারাপের)!!
এবং অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
[ডুপ্লি]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মেঘলা সুন্দর ছবি..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ হে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তা-ই তো!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
সেটাই...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমেৎকার হে সচলের খোকী!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি মোট্টেও আর খুকি নই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা পড়ে আমার ও মন কেমন করছে, কিন্তু এখন মনের জন্য সময় নাই, বস ঘাড়ে ধরায়ে কাম করাইতেছে মাথার উপর দুইখানা ডেডলাইন, মরে গেলে ও ডেডলাইন নাকি নড়নচড়ন নাই । অসাধারন একটা লেখা।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চারটে দেয়াল মানেই তো নয় ঘর!
চমত্কার লিখেছেন
..................................................................
#Banshibir.
......নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর!'♪♪
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লেখা, রিফাত!
তোমার এই লেখাটি খুব ম্যচিউরড বোধের মনে হলো!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
কৃতজ্ঞতা দিদি।
হুমম, আমি বড় হয়ে গেছি না?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেক ভালো লাগলো।
আসলে কেউ কাউকে সহ্য করতে না পেরেও একসঙ্গে যে থাকে কী করে! সেদিন একটা লেখায় পড়ছিলাম- "এখন কোনো দম্পতি যদি নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষুণ্ন করেও একটি অসুখী বিয়েকে টিকিয়ে রাখে তাহলে তাকে উল্টো আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হয় অনেক দেশে।"
সৌরভ কবীর
প্রবল টানাপড়েন নিয়ে টিকে থাকা সংসার সেলাই করে ছেঁড়া কাঁথার মতো গায়ে জড়িয়ে না রেখে ছুঁড়ে ফেলাটাই ভাল মনে হয় আমার কাছে।
নইলে ঐ দম্পতির চাইতেও অনেক বেশি কষ্ট পায়, পেতে হয় তাঁদের সন্তানদের।
পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
১। তিথীডোরের লেখা ভাষার গুণে এমনিতেই সুখপাঠ্য
২। দুপুরের ছবিটা ভাল লাগল
৩। আর মনিকাদি যেমন বললেন, বেশ 'ম্যাচিউরড' লাগল
৪। নিজে চিন্তায় আছ কি না জানি না, পাঠককে খানিক আনমনা করে দিচ্ছে বোধ হয় এই লেখাটা
৫।একটা খটকা কেবল-
আরাফ নামের ছোট্ট যে ছেলেটা যে মেকানো সেট নিয়ে খেলে, রুদাবের সাথে খিটিমিটি থেকে ওর সাথে আর ক্লাশ না করার সম্ভাবনার আনন্দ পায়- ওকে কি একটু বেশিই ম্যাচিউরড মনে হল গল্পের শেষ লাইনটায় আমাদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
খটকার উত্তর দিই আগে।
এখনকার বাচ্চারা এ সব ব্যাপারে বোধ ও মননে অনেক বেশি এগিয়ে। আমি, আমরা বোধহয় এত চালাকচতুর ছিলাম না।
মনোযোগী মন্তব্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বৃষ্টি হলে গা জুড়োবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যা কিছু আমার মনে নেই ...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালৈছে।
(কবিতা নেই কিনা)
কলা তো নেই, তাহলে খান।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এটাই আসল কথা। কিজানি হয়তো থাকতে থাকতে আত্মস্ত হয়ে যায়, হয়তো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মনে না নিয়েও মেনে নেওয়ার মতো আর কী, অনেকটা...
পাঠে ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুন্দর।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সুখপাঠ্য গদ্য। কেমন জানি কবিতার মতো, হয়ত কবিতাকে বেশি ভালোবাসেন বলেই
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় গল্পকার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ফের দাঁত দেখাচ্ছ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা ভাল্লাগছে
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা, যান্ত্রিক জীবনের মাঝে হারিয়ে যাওয়া অদ্ভুত সুন্দর এক দুপুর।
বিনীত ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি জানি, দেখেছি, কিভাবে থাকে একই ছাদের নিচেয়। কিন্তু কেনো থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত তাদের কাছে নেই, জীবন যখন অসীম শূন্যতা হয়ে বিরাজ করে, কোনো কিছুই হয়ত তখন আর কোনো কিছু মনে হয় না। প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবী ১৮ মাইল যায়, ৮ প্রহরে এক দিন চলে যায়, দিন গড়িয়ে যায় বছর; স্থবিরতা হয়ত সবাই দেখতে পায় না; শূণ্যতায় বাস করা অথবা কোথাও বাস না করে।
মন্তব্যটা পড়ে মন আরো ভার হয়ে গেল!
নিন, ♥রবিবুড়োর গান শোনাই একটা---
♪♪...আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে?'
এটা আমার সিগনেচার লাইন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার ছেলেবেলায় আমার কাছে দুপুরের রঙ বোধহয় ছিল - রূপালি। আর দুপুরের আওয়াজ - ঝিম!
মনে পড়ছে 'ঝিম্ম্' ধরা নিস্তব্ধ দুপুরের নিস্তব্ধতাটুকু ভঙ্গ হতো অবচেতনের পুকুরে ঢিল ফেলার মত বহু দূর থেকে কোন নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ-পেটানোর ভেসে আসা ফিকে ভোঁতা শব্দে, আর আমি তখন বাসার পেছনে লেকের পারে বসে আছি একা...
কেন জানি এই চিত্রটা মনে পড়ে শুধু শুধু।
****************************************
লেখার ভঙ্গির গুণে আপনার পোস্ট এবং মন্তব্য, দুটোই আগ্রহ নিয়ে পড়ি।
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব, খুব সুন্দর, একদম তিথী’র মতই লেখা উপরেও বলা হয়েছে তবুও বলতে চাই, এই লেখাটায় গভীরতা আলাদাভাবে টানলো।
কেউ কাউকে সহ্য করতে না পেরেও একসঙ্গে কী করে, কেন থাকে বছরের পর বছর? নানু যেন কি বলেছিলেন?
'মা যেনো আবার বলে দেয়...
কোনদিকে, কোথায় এখনো আছে
ভালোবাসা, পাখি, প্রেম, অন্ধকার, আলো ও মানুষ।'
#আবুল হাসান।
শুধুই প্রশ্ন, উত্তর নেই....
পাঠ + মন্তব্যের জন্য ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কাব্যিক গদ্য । চমৎকার
আরে আপনি!
'এতোদিন কোথায় ছিলেন?' নাটোরে?
অনেক ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নাটকের হাতে হাত
সংসার টিকে থাক
মানুষ বাড়তি থাক
ভালবাসা লেখা থাক
_______
অনুচ্ছেদ
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিষাদপুরের রাজকণ্যের কলম নানান রঙের ছবি আঁকে। জমাটি লেখার গাঁথুনী সবার অলক্ষে আমাদের অন্তঃস্থিত সুকুমারের হাত ধরে--নিয়ে যায় এমন এক বিকেলের দিকে যেখানে আকাশে আলো ছড়ায় শৈশব আর নিঃসঙ্গতা নিরন্তর----
অনেক অনেক ভাল লেখা,তিথী!!
ভাল থাকিস সকল সময়ে, সকলকে নিয়ে---
অনেক অ-নে-ক অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার লেখায় একালের একজন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের (আমার মতে) লেখার গাঢ় ছায়া পাওয়া যায়। শামসুর রাহমান থেকে ধার করে বলিঃ অনুজের উপর অগ্রজের প্রভাব থাকতেই পারে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে অনুজকে তার নিজস্ব কণ্ঠস্বর খুঁজে পেতে হয়। আমার মনে হয় আপনার সেই সময়টা এসে গেছে। ভালো থাকুন। লিখতে থাকুন নিয়মিত। শুভেচ্ছা।
খাইসে!
মনোযোগী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কার কথা ইঙ্গিত করছিলাম বুঝেছেন বোধহয়। মাহমুদুল হক। তার স্টাইলটা আপনাকে বেশ প্রভাবিত করেছে বলে আমার মনে হয়। আমার ভুল হতে পারে।
ভুল হয়নি।
ইন ফ্যাক্ট এই অগল্প ''অনুর পাঠশালা'' (মন্ত্রমুগ্দ্ধের মতো) পাঠের পরপর-ই লেখা। সেই ছায়া আছে প্রবলভাবেই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন