শৈশব পেরুনোর আগেই ভিজে চুপচাপ দ্বিধায়, ঘুমহীন ঘুম অথবা নির্জনতার প্রধান অস্ত্র শিখিয়ে দিয়েছিলেন আমার বড়খালা। হিসাববিজ্ঞানের তুখোড় এই ছাত্রী ছিলেন আকন্ঠ কবিতাখোর! ঝকঝকে দুপুরগুলোতে প্রায়ই তাঁর ঘর থেকে হাহাকারের স্বরে শোনা যেতো– 'আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ।' সে আমার কবিতা নয়, তবু সেই থেকে আমার অগোছালো কাগজপত্রের ভিড়ে বার বার উঁকি মেরে গেছে ব্যর্থতা। বাদুড়ের ডানা ছোঁয়া তেল- কালো দাগের মতো নিখিলেশের সঙ্গ পাওয়ার লোভ, আমি আর কখনোই এড়াতে পারিনি…
অমোঘ মৃত্যুর চেয়ে কিছু ছোট হয়ে মানুষের বয়স বেড়ে যায়.. গেছে। লজ্জাহীন স্বপ্ন কিংবা অক্ষমতার সঙ্গে সখ্য না জুড়ে খালা 'একা, এবং কয়েকজন' শেষটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ভুবনডাঙায়, নিজ সংসারে। যদিও তদ্দিনে জানা হয়ে গেছে, কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না তিন প্রহরের বিল.. যেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমরেরা একসাথে খেলা করে…
পূর্বে কিংবা পশ্চিমে ফুটে ওঠা 'প্রথম আলো'য় আমি কেঁদেছি পিকলু নামের এক অকালমৃত কিশোরের কথা ভেবে। ভূমিসুতোও গান গেয়ে আমাকে শান্ত করতে পারেনি। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে পড়েছে ফেরত নেওয়া হয়নি আমার পাংশু চিবুক, প্রতিরোধের কঠিন ভঙ্গির 'সেই সময়'। জীবন বদলানোর মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যে আদৌ সহজ নয়, 'অর্ধেক জীবন' কেটে গেলেও কি সেই রহস্য জানতে পারে কেউ, নাকি জানা যায় তা কখনো?
বাইরের পৃথিবীতে যারা মানিয়ে নিতে পারে না, তাদের জন্য চুনভাঙা দাগ আঁকা দেয়ালের ঘরও বড় প্রিয় বটে। সেই ঘরের জানালা খুলে রৌদ্রছায়ার বৃষ্টি, করমচা ঝোপের সবুজ, এমন কী ঈশ্বরের মুখ দেখতেও এখন আর ইচ্ছে যায় না এতটুকুও! এক সচল বন্ধু মজা করে বলেছিলেন– হুমম, যেতে পারো ফ্রান্সে। 'ছবির দেশে কবিতার দেশে' তোমাকে মানাবে। আসলে দেখা হয়ে ওঠেনি কিছুই, জল রঙ আলো আর ভিড় 'হঠাত্ দেখা'র আগেই আকাশের মুখে গতজন্মের গোপন আমার চিহ্নমাত্রও যে নেই আর। অন্ধকারে হৃদপিণ্ড সাঁতরে গেছে কথারা কেবল। কথা রাখেনি কেউই..
বিকেলের ক্লাস শেষে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। পড়শী হবার সুবাদে যাত্রাসঙ্গী ক্লাসতুতো ভগিনিটি চোখ-মুখের বহুবিধ কায়দায় বলিউডি কোন নুতন মুভির গপ্পো জুড়ে দেন। কথায় কথা বাড়ে বলে কেবল বসার ক্লান্ত ভঙ্গিমা বদল করি। আমি জানি বাসরাস্তায় থমকে যাওয়া সময়ে কোন প্রিয় বন্ধু আমার জন্য অপেক্ষা করে নেই। তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়, ভেঙে ফেলি কাঁচের চুড়ির মতো দুটো -চারটে নিয়ম। কলেজ রোডের মাথায় হাঁটু দুমড়ে বসে বলি, আমার কিচ্ছু ভাল্লাগে না!!
হায়, একটা জীবন কেটে গেলো প্রায়… তবুও আমি মানুষের জীবনের মর্ম কী, তা বুঝতে পারলাম না।
সত্যিই কি কোন মর্ম আছে, নাকি কোনক্রমে দিন কাটিয়ে যাওয়াই সব??
(২)
এই অংশটুকু লিখেছিলাম বহুদিন আগে, অতি প্রিয় ব্লগার পরিবর্তনশীলের অতি দুর্দান্ত এক পোস্ট বারবার পড়ে। নীড়পাতায় দিয়েওছিলাম বোধহয় একবার ঘন্টা ছয়েকের জন্য, অতি বিষাদী প্যাঁচাল নিজে থেকেই সরিয়ে নিয়ে রাখা ছিল ব্যক্তিগত ব্লগে।
এরপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা কেটে গেছে। আমি বুঝে গেছি, শেষ হয়ে গেছে পুরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা.. কেউ কথা রাখেনি, রাখবেও না। শ্বেত কিংবা রক্তকমল ফোটে সরোবরে, নীলপদ্ম বলে পৃথিবীতে কিছু নেই.. ও দিয়ে হৃদয় মিথ্যে করে বিকোতে বসে নেহায়েত বোকাসোকা দিনভিখারিরাই!
নিখিলেশের সঙ্গে নয়, জীবন বদলে নিয়েছি.. হ্যাঁ, নিজের সঙ্গেই। কবিতায় ঘোরে ডুবে থেকে সবকিছু ভুলে থাকার ব্যর্থ ছেলেমানুষির দিনগুলোকে এখন সেই কবেকার কোন জন্মের কথা বলে মনে হয়!
পাঁচজনে বলে পাঁচ কথা, আমি নিজেকেই চিনি না এখনো..
চেয়েছিলাম তো সকালবেলার শুদ্ধ মানুষ হতে.. এত বিপরীত স্রোত, বারবার সব ভুল হয়ে যায়। স-ব!
জন্মদিনে অনিকেতদা দেয়ালে লেখেন---
'খুব করে আশা করি এই কবিতাপ্রেমী মানুষটার ঠিক একই রকম কবিতাখোর আরেক মানুষের সাথে পরিচয় হোক যে তাকে কোন একদিন তার বিষাদনগরী থেকে শেষ ট্রামে করে তুলে নিয়ে চলে যাবে নগরীর বাইরে...
দেখিয়ে আনবে সাত পহরের বিল যেখানে পদ্মফুলের মাথার সাপ আর ভ্রমর খেলা করে!!'
মন খারাপ করতে গিয়েও কেন যেন শেষটায় হেসে ফেলি। জানি, দুঃখ আর আমি যমজ ভাইবোন। তবু ঐ আশা আর স্বপ্ন ছাড়া আর কী আছে জীবনে?
(৩)
ছুটির আগের দিনটায় কাজের মাঝে মনোযোগে খেই হারাচ্ছিল বারবার! ফাঁক বুঝে সেলফোন থেকে টুক করে ফেবুতে উঁকি দিয়ে হতভম্ব হয়ে দেখি, চলে গেছেন নীললোহিত! ছিলে কৈশোর যৌবনের সঙ্গী, হায়..কত সকাল, কত মধ্যরাত...
অনেক অনেকদিন পর আমার আবার শুধু কবিতার জন্য, আরো দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে লোভ হয়।
নির্বাসনে যাবার আগে, বিষপান করে মরে যাওয়ার আগে আমার আবারো মার্গারিট হতেই ইচ্ছে করে।
মন্তব্য
ছিলে কৈশোর, যৌবন এবং এই পৌঢ়ত্বের সঙ্গী, হায়..কত সকাল, দুপুর এবং মধ্যরাত ছাড়িয়ে যাওয়া রাতের....
লেখাটা মনের কোন এক গভীরে গভীর ভাবে ছুঁয়ে গেল।
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন সর্বদাই।
খুব মায়া হল পড়তে গিয়ে। খুব মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।
অমি_বন্যা
আস্মমা খানন ছুঁইয়ে যাওয়া লেখা।
সৌরভ কবীর
ভালো লিখেছ, অসাধারণ লাগলো। মনটা খারাপ হয়ে গেছে ফেবু থেকে খবরটা দেখেই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
.........
রংতুলি
গলার কাছটায় কষ্ট দলা পাকাচ্ছে, যদিও এখন চোখের পানি ফেলাটাকে নিতান্তই আদিখ্যেতা মনে হয়, তবুও মনে হচ্ছে কাঁদতে পারলে হত-------, সেটা হয়তো কৈশরে ঝপ করে প্রেমে পরে যাওয়া সুনীল দা কিংবা সেই কৈশরের জন্যই-----।
"বাঁচো এবং বাঁচার জন্য আঙুল তোলো, আমি একটা গান লিখছি
বাঁচার মতন বাঁচতে হবে, স্বর্গে কিংবা নরকে নয়, এই মাটিতে, এই মাটিতে...."
---সুনীল দা
সুনীলে বিদায়...
এ-পৃথিবী চেয়েছে চোখের জল, পায়নিও কম
যে-টুকু দেবার দিয়ে যে-যার নিজের পথে চলে যায়
মাঝে-মাঝে এমন উদাস করা আলো আসে
অনেকে দেখে না, কেউ দেখে
তখন সে কার ভাই, বন্ধু? কার আর্যপুত্র? সে কারুর নয়
বড় মায়া, বুকছেঁড়া দীর্ঘশ্বাস, আবাল্যের এতো স্নেহঋণ
বিষন্নতা হেটে চলে যায় সূর্যাস্তের কিনারে
রেলের কামরায় পিঁপড়ে যে-রকম চলে যায় দেশান্তরে।
# রেলের কামড়ায় পিঁপড়ে: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
'---কী আছে আমার ? জানি না তো....
আমার নিঃসঙ্গ দিন, আমার অবেলা..
আমারই নিজস্ব শৈশবের হাওয়া শুধু জানে!'
#যা চেয়েছি যা পাবো না : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
আপাতত এটাই ঘুরছে মাথায়....
সকল পাঠক ও মন্তব্যকারীদের অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি
কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না
আমিও মানুষ আমার কী আছে অথবা কী ছিল
আমার কী আছে অথবা কী ছিল
ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে
যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই
তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায়
আশায় আশায় আশায় আশায়
মন ভালো নেই(সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
''নদীর কিনারে গিয়ে মনে পড়ে নদীর চেয়েও উত্তাল সুগভীর নারীকে
সন্ধের আকাশ কী অকপট, বাতাসে কোনো মিথ্যে নেই,
তখন খুব আস্তে, ফিসফিস করে, প্রায়
নিজেরই কানে-কানে বলি,
একটা মানুষ জন্ম পাওয়া গেল, নেহাৎ অ-জটিল কাটলো না!''
নিজের কানে কানে
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
'আমার যমজ ভাই দুঃখ, আজ বহুদিন পলাতক!
তার খোঁজে ইতিউতি যাবো- ইদানিং সময় পাই না...
মাঝে-মাঝে কেউ বলে, তোমার ভাইকে কাল দেখলুম হে--
চুপচাপ জারুল গাছে নিচে বৃষ্টিতে ভিজছিল
একটু আনমনা হই, উপন্যাস লেখা থেকে চোখ তুলে শাদা দেয়ালের দিকে…..
গুপ্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে- নিজেকে ঠেকিয়ে বলি,
সে অনেক বদলে গেছে,
সে আর আমার মতো নেই
আমার যমজ ভাই দুঃখ, আজ বহুদিন পলাতক!'
# ভাই ও বন্ধু : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
সাফিনাজ আরজু এবং পথিক পরাণ, দুজনকেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
আপনার লেখার নিজস্ব একটা ধরন আছে। আলাদা করে বুঝতে পারা যায়। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা দারুণ একটা ব্যাপার। নিজের একটা ধরন তৈরি করে নিতে পারা সহজ ব্যাপার না।
হ, সে তো বটেই! এরকম ঘ্যানঘ্যানানি আবজাব সচলে আর কেউ লেখে না।
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী, তুমি একটা ভয়ঙ্কর মানুষ । তোমার জন্য অনিকেতের করা প্রার্থনার সঙ্গী হচ্ছি । ঈশ্বর এই প্রার্থনার সবটুকু পুরন করুক । নইলে যে ভীষন কষ্ট তাকিয়ে আছে...আমি তা ভাবতেও চাই না ।
লেখায় অদরকারী পাঁচ তারা...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের রূপকথার বইগুলো আমার এখনো ভীষণ প্রিয়।
ঐ গল্পটা মনে আছে আপু? এক লাটিম আর বল ছিল দেরাজে, আরো অনেকগুলো খেলনার সঙ্গে। বলকে ভালবাসে লাটিম, চায় বাগদান সারতে। মরক্কো চামড়ার তৈরী কেতাদুরস্ত সপ্রতিভ তরুণীর মতো ভাব ধরে থাকা বল কিন্তু কেবলই তাকে এড়ায়...
তারপর একদিন অনেক উচুঁতে ছুঁড়তে গিয়ে বাগানে হারিয়ে যায় বলটা। লাটিম দিনের পর দিন তার কথাই শুধু ভাবে.. কল্পনায় বল হয়ে ওঠে তার কাছে সুন্দর থেকে সুন্দরতর!
অনেকদিন পর লাফাতে গিয়ে হারিয়ে যায় সোনালি লাটিমটাও। আর্বজনার বাক্সে পৌঁছে ফের খুঁজে পায় সে পুরোনো প্রেমিকাকে। অবশ্য 'পাঁচবছর পয়োনালিতে পড়ে থেকে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেলে প্রেম ম্রিয়মান হয়ে যেতে বাধ্য!'
সহজিয়া দামি কথা। কঠিন সত্য যারে কয়।
'সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম, সে কভু করে না বঞ্চনা'!
অন্তত আমার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা অর্থহীন, উনি কানেই তোলেন না বোধহয়।
মন্তব্যের জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বলেছি না, তুমি একটা ভয়ংকর মানুষ ? আবারও বলছি তুমি একটা ...
আলখাল্লাধারী বুড়োর এই কথা সেই কৈশোর থেকে মনের ওয়ালে লিখে লিখে মকশ করছি, তাও এই চল্লিশের চালশে পড়া বয়সেও এসে কেন মনের মধ্যে টান লাগে বলতো ? ভাল করে আত্মস্থ হ’ল কৈ ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আপনি অনেক ভালো লিখেন তিথীডোর। সম্ভব হলে ভালো থাকবেন..... ভালো থাকুন
আপনার জন্যেও শুভ কামনা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত ভালো কেন লেখেন? পড়তে পড়তে হারিয়ে যাই জোর করে ভুলে থাকা এক জগতের মাঝে। বাস্তবতা বার বার টেনে হিচঁড়ে নিয়ে আসে, কিন্তু মনের ভেতরে দাগ যে শুধু বাড়তেই থাকে দিনে দিনে।
ভাল থাকবেন।
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনিকেতদার সাথে সহমত জানিয়ে গেলাম।
নতুন মন্তব্য করুন