তবে যেকোন অর্থেই আমি ঘরকুনো। তিথী থাকে স্বগৃহে এবং খোমাখাতায়। জন্মদিন, মুসলমানি, গাত্রে হরিদ্রা, বিবাহ, শাহাদাতবার্ষিকী, বইপড়ুয়া কিংবা সচলাড্ডা-- ওসবে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।
দেশের বাইরে যাইনি এখনো। কবে, কখন সে সুযোগ পাব ওপরওয়ালা জানে। দেশের ভেতরেও তেমন কোথাও নয়।
ভূগোল পড়তে বসে আজকালকার পুলাপান ত্যক্ত মুডে ভাবে দুইন্যার কোন জায়গাটাতে ঐ তারেক অণু এখনো যায়নি। আর আমি নীড়পাতায় তাকিয়ে ভাবি ক্যালরি না ক্যালগেরি কোথায় কোথায় যে ঘুরতে যায় কপাইল্যা লোকজন, আসলে ঐ রকি মাউন্টেন কতটুকু হাই? [উদাস ইমো]
হায়, মোর শকতি নাই উড়িবার...
নজরুল ভাই দেখি ভ্রমণ ব্লগ দিয়েছেন--- ঘুরে এসেছিলাম সুন্দরবন, বান্দরবান, সিলেট। আম্মো তো এইসব জায়গায় একজীবনে গিয়েছিলুম। কক্সবাজার গিয়ে একবার কাটিয়েছিলাম পাক্কা তিরিশ দিন। তা নাহয় ছিল না ঝকমকে ডিএসএলআর [এখনো নেই], তা বলে কি তালিতাপ্পি দিয়ে দু- চার লাইন লেখার হক বর্তায় না?
সেজখালা থাকতেন খুলনায়। সে সুবাদে পয়লা সুন্দরবন ঘুরতে যাই যখন, আমার প্রিটেস্ট দরজায় নক করছে। ইংরেজি পড়তাম ইশকুলের ফজিলাতুন্নেসা ম্যাডামের কাছে। তিনি মেজাজে ছিলেন প্রায় কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসার মতো। যাত্রাপথের টিকেট কেটে ফেলার পর যখন জানালাম-- ম্যাম.. ইয়ে আমি না আগামি এক সপ্তাহ অ্যাবসেন্ট থাকব, বাঘিনী রণহুংকার দিয়ে বললেন-- তবে রে হতচ্ছাড়ি! মেট্রিক ফৈক্ষার আর নেই দু'দিন বাকি, এখন তেনার হিউয়েন সাং হওয়ার শখ হয়েছে! যাও, গোলপাতা চিবিয়ে আসো গে। তোমার ভবিষ্যত অন্ধকার, এ আমি বলে দিলুম।
কথা ফলেছে। 'আমার অতীত নেই, ভবিষ্যৎও নেই কোনখানে।'
নানা- নানী আর ছানাপোনা সমেত তিন বোনের পরিবার বাসের আদ্দেকটা বোঝাই করে রওনা হলো। আমার খালার ক্ষুদে ফ্ল্যাট ভরে গেল কোলাহলে। ছিমছাম ছোট্ট শহর খুলনা আর কিঞ্চিৎ অদ্ভুতুড়ে সব জায়গার নাম। সোনাডাঙ্গা, গোবরপোতা..
চট্টগ্রাম টু খুলনা একটানা বাসজার্নির ধকল সামলে উঠে পরেরদিন সকালে পয়লা মামার অফিসের গাড়িতে মংলা, তারপর লঞ্চ ভাড়া করে যাব সোঁদরবন।
তখনো রূপসা সেতু হয়নি, নদী পার হতে হয় মনমাঝির টানা নৌকায়। আমরা মহাখুশি। আর নানিজান তারস্বরে তাঁর আদিগন্ত বিস্তৃত কালেকশনের সমস্ত দোয়াদরূদ পড়ে চলেছেন। কেউই সাঁতার জানি না। ডুবলে পুরো গুষ্টি একসঙ্গে ফিনিশ।
পরে দেখা গেল হিরণ পয়েন্ট, কটকা কোথাও গিয়েই বুড়ির যন্ত্রণায় হাত- পা ছড়ানোর উপায় নেই। খালি ক্যাঁচম্যাঁচ করছে-- এই বুঝি কেউ হারিয়ে গেল, পড়ে ব্যথা পেল কিংবা বাঘে ধরে নিলো। হ, ব্যাটার তো আর কাম নেই.. ম্যানিকিউর- পেডিকিউর করা বাদ দিয়ে কাঁটাচামচ হাতে টুরিস্ট খেতে আসবে। হেহ।
তারপরের কাহিনী ধোঁয়া ধোঁয়া, মানে ডিটেইলস ভুইল্যা গেছি। বনের ভেতরের সৌন্দর্য ছিল অপার্থিব, বানর, পাখি আর হরিণ দেখেছি ম্যালা.. আর কুমিরও। তখন সদ্য কামিজে গড়সড় হচ্ছি, আন্ধার সবুজ কাপড় পরে গিয়েছিলাম.. যদিও ম্যালা মোটামাথার লোকজন চকচকে রঙের লুঙ্গিফতুয়াপাজামায় আর সিগারেট- রেডিওতে বন কাঁপাচ্ছিল... এইসব টুকটাক মনে আছে।
স্মৃতির বাকি অংশ লজ্জিত ভঙ্গিমায় ঝাপসা। ক্যামেরার ছবিগুলোও। নাহ, এ পাতে দেবার মতো সে নয়।
সিলেট গিয়েছিলাম সখী পরিবৃত হয়ে, শিক্ষাসফরে। সেমিস্টার তখন সবে পাঁচ, মনে কতো রঙ! তুমুল শীত পড়ছে সে বছর। রাত দশ কী এগারোটায় ট্রেন। ভাই আর মা লাগেজ আর বিস্তর উপদেশসমেত সময়মতো নামিয়ে দিয়ে গেলেন। ক্যাম্পাস টু স্টেশনে নেবে ইউনির বাস। গিয়ে দেখি ট্রেন লেট। তাও একেকজন উচ্ছাস রাখার জায়গা খুঁজে পাই না, এমন অবস্থা। আমার সাইনাসের ভয়াবহ সমস্যা আছে, শুরু হলো তুমুল ফ্যাঁচফ্যাঁচে হাঁচি। স্টেশনের এককোণে নেসক্যাফের স্টল। চলো সবাইইই... গ্রম কফি খাই।
একদিকে দেখি ২৭/২৮এর পুলা আর ১৭/১৮ বয়সের এক মেয়ে বেশ ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে বসা। হাতে ছোট্ট একটা ট্রাভেল ব্যাগ। আর পাশে একজন মোল্লা, মানে পোশাকি। ছুন্দরী সঙ্গী শ্যাওলা [আসল নাম কমু না ] তৎক্ষণাৎ ঘোষণা করল-- নির্ঘাৎ বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে এরা। আর ঐ হুজুর হলেন কাজি, বোধহয় বিয়ে পড়ানোর জন্য ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি, আমরা হতভম্ব। বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজীকে কেউ প্যাকেট করে ধরে নিয়ে যায়!
"বিউটিফুল" জিনিসটায় একটা "ফুল" আছেতো, দেখতে "সৌন্দর্য" মানুষগুলান তাই একটু "বোকা"ই হয়''--- কথাটায় ধার আছে আসলে। হে হে।
আহ, সেই ট্রেন এলো রাতের সাড়ে বারোটায়। শীতে কাঁপতে কাঁপতে, খিদেয় অস্থির আর শাল-মাফলারে জবুথবু হয়ে ভারি সুটকেসখানা হ্যাঁচড়ানোর সময় রাগে একবার মনে হয়েছিল-- ভ্রমণের গুষ্টি কিলাই। আম্মুউউউ, বাইত যামুগা...
যাক, অবশেষে শ্রীহট্ট পৌঁছলাম। সিলেট পুলিশলাইনের পাশের হোটেলের [নাম ভুলে গেছি] পুরোটা তখন দিন তিনেকের কড়ারে আমাদের দখলে। হৈ হৈ দশা।
আমরা সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচ। সে সুবাদে বড়সড় ভিআইপি (!) ইয়ো ইয়ো রুমটা [ইনক্লুডিং আ ড্রেসিং রুম + ব্যালকনি আর বাথটাবসমেত বাথরুম] ভাগে এলো। ওটা পরিণত হলো আমাদের হল কাম বল রুমে। সিনিয়র আফামনি একেকজনের গায়ে এতো তেল, সারাদিন ঘুরেটুরে এসে রাত জেগে দরজা আটকে ডিজে পাট্টি করে আবার। পুরোই বেশরিয়তী কাজকারবার।
'শ্যাওলা' আর 'সামার ভ্যাকেশন' একপাশে ফিসফিসিয়ে ফোনে বালকবন্ধুর সঙ্গে গপ্পো জোড়ে। আমি কাঠখোট্টা স্বভাবের দুব্বল মানুষ। কানে বালিশ চাপিয়ে লেপ মুড়ি দিয়ে প্রেমসে ঘুমাই। কী আছে জীবনে?
জননী আগেই বলেছিলেন-- বাড়ির বাইরে গিয়ে খাওয়া নিয়ে খুঁতখুঁত করো না বাছা। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। হুঁ, সে আর বলতে। নয়তো কি আর আমার মতো (আজাইরা) নাক উঁচু চিড়িয়া দিব্যি সোনামুখ করে বুটের ডাল দিয়ে পরোটা খায়?
সে ভ্রমণের কোন দৃষ্টিনন্দন ফটো অ্যালবামে নেই। আছে গ্রুপছবি, তাতে আমি-ই নেই। আমার কাঁধে ছিল চারটা ক্যামেরা, তার মধ্যে একটা নিজের। লুকে ননস্টপ ইতংবিতং পোজ দেয় আর আমি তো সে আমল থেকেই খ্যাতিমান পোট্রেট ফটুগফুর, ক্লিক করতেই থাকি। বলে রাখা ভাল-- কোন এক বিচিত্র কারণে আজীবন আমার প্রায় সব সখিই জুটেছিল দিল ধাক ধাক লেভেলের রূপবতী।
তেনাদের ছবি মেরামতির লাইগ্যা ফটুশপ লাগে না গো..
মাধবকুণ্ড থেকে যেদিন ফিরছি, বাস থামিয়ে গুরুদেবরা তখন থলে ভরে কমলা কিনছেন। আমি আর শ্যাওলা পাশের টঙে ঢুকে চা আর চুইংগামের ফরমায়েশ নিয়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয় দুই পুলার কিচিরমিচির শুনি।
স্যার এগিয়ে এলেন-- কী হে ইয়াং মার্কেটারস [আমাদের মেজর ছিল মার্কেটিং], কী দেখো?
: ইয়ে মানে স্যার, এট্টু সিলটি ভাষা শেখার ট্রাই করছি।
:- তাই? গ্রামের বাড়ি কোথায় তোমার?
: কুমিল্লায়। তবে জন্ম চট্টগ্রামেই।
:-আর শ্যাওলা তোমার?
: একই স্যার, কুমিল্লা।
:- চাটগাঁইয়া বলতে পারো?
: [মেনিবিল্লির মতো মিঁউ মিঁউ করে] না স্যার।
:- তৈলে? সারাজীবন একটা শহরে কাটিয়ে সে ভাষাটাই শিখলে না.. আর দু'দিনে শিখবে সিলেটি? দুৎ দুৎ।
শ্যাওলা বজ্জাতটা অন্যদিকে নিরীহ মুখ ফিরিয়ে আকাশ দেখছে তখন।
যাক, মেয়েটি তো রক্ষে পেল। আমি তথৈবচ!
_________________
ইয়ে, চলবে?
মন্তব্য
চলবে যখন চলুক। অপেক্ষায় থাকলাম। লেখা জব্বর হইতাছে-ফাস্টোক্লাস খিচুড়ি।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুন দারুন দারুন।।।।।।লেখার স্টাইল খুবই মজার হয়ছে, তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন
ইসরাত
আচ্ছা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
(গুড়)
চলবে কীনা—আবার জিগায়! তাত্তাড়ি, তাত্তাড়ি!
হে হে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলবেই চলবে....
ঠিকাসে আফা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলবে মাইনে! দৌড়াবে! কিন্তুক হাতি সাইজ গালগল্প নাম দিয়ে অ্যান্টইটার খিলায়া দিলেন? ফাঁকিবাজি বুঝি ন আম্রা? পরেরবার হাতি সাইজ চাই। তিন নম্বর পর্বটা চাই ম্যামথ। তারপরেরটা বিশালোসরাস।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আরে মিয়া, কত কষ্ট করে টাইপ করেছি এটুকু জানেন! আমি হলাম একটা চরম আইলসা মানুষ।
পরের পর্ব নেক্সট উইকে, ইনশাল্লাহ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলুক
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হেরিটেজ
সুন্দর লেখা
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ অপু ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দীর্ঘ ফাঁকিবাজির পর একখানা 'নতুন' লেখা পাওয়া গেল যাহোক!
এরাম ভ্রম মানে ভ্রমণ কাহিনী কে আর কবে লিখেছে, স্বয়ং তারেক অনুও লেখে নাই
'পর্ব ১' মানেই পরের পর্বের নিশ্চয়তা, আবার 'চলবে নাকি?'র সংশয়ে কী কাজ!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
কিছু কথা থাক না গুপন।
নাহ মানে, লুকজন পিডামু কৈলে এখানেই খ্যামা দিতাম আর কী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এমতা ভ্রমময় ভ্রমন কাহিনী লেখা তীথি থুক্কু তিথীর পক্ষেই সম্ভব।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
"গোবরচাকা" এবং "ময়লাপোতা" দুইটা মিলিয়ে "গোবরপোতা" !!!
গুবলেট করার জন্যি এই দুটা নাম ই মিলল?
যাউক গা, যাইনি যাই নি করে তো ম্যালা জায়গায় তো যাওয়া হয়ে গেল। সবে তো খুকী, বড় হও বাকি সব জায়গায় নিয়ে যাব। তখন আর ফইক্ষা দোহাই থাকবে না।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আহা, এ তো সেইই ২০০২ সালের কতা গো।
লম্বা বেণি দুলিয়ে ইশকুলে যেতাম সেসময়। থোতো ছিলাম না?
উহুঁ, ফৈক্ষার কতা সচলবাসীর সামনে কৈয়ো না। লোকে হাসব।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শেষ লাইনে তো বাঁশী বাজিয়ে দিলেন একেবারে। চলুক তবে।
কতো সালে গেছিলেন? আমি অনেকবার সিলেট গেছি। আমার দ্বিতীয় শহর বলা যায়। বাড়িঘরের মতো। তবু সিলেটের অনেক রূপই দেখা হয়নি আমার।
সিদ্ধান্ত ফাইনাল করে ফেললাম। ঈদ পালিয়ে বান্দরবন চলে যাবো। আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা বান্দরবন।
লেখা চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
২০০৭।
বান্দরবন যাব আবার। নীলগিরির ঐ কটেজগুলোতে রাতে থাকা হয়নি, বগা লেক দেখা হয়নি। আফসোস আছে।
আমার সবচেয়ে প্রিয় সেন্টমার্টিন। আহ, ছেঁড়া দ্বীপ...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নামটা 'বান্দরবান' না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ্যাঁ। আমি দুঃখিত।
পোস্টে ঠিক করেছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দৌড়াবে
তবে খুলনার মানুষ বলে একটু ফোড়ন কাটি- খুলনার কিছু জায়গার নাম সোনাডাঙ্গা, গোবরচাকা, সোনাপোতা, ময়লাপোতা, নিরালা, বয়রা ইত্যাদি কিন্তু গোবরপোতা নাই।
আচ্ছা।
গোবরচাকা আর ময়লাপোতা গুলিয়ে ফেলেছি বোধহয়।
আমার খালারা ঐ সময় থাকতেন সোনাডাঙায়, এরশাদ শিকদারের সেই কুখ্যাত স্বর্ণকমলের কাছেই। যতটুকু মনে পড়ে, বাড়ির নাম ছিল রজনীগন্ধা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লোটাকম্বল ছাড়া সবচেয়ে বেশিবার পড়ছি তিথিডোর, আপনার নিকটা সুন্দর। লেখাটা বোধহয় শুরু হয় নি এখনো- গৌরচন্দ্রিকা ঠিকাছে। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)
আমার ডাকনাম তিথী। সে জন্যেই তিথীডোর। বইটাও মহা ফেভারিট অবশ্য।
লেখা আগামি পর্বে শেষ হয়ে যাবে বোধহয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপু মনে হয় খুলনার "গোবরচাকা" এবং "ময়লাপোতা" দুইটা মিলিয়ে "গোবরপোতা" বানিয়ে ফেলেছেন!
হ। [মাথা চুলকানোর ইমো]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলুক চলুক -
স্মৃতির "মালাকাইটের ঝাঁপি" থেকে আনমনে তুলে আনা ছোট ছোট ঝকঝকে রোদ্দুর দিয়ে নির্মাণ করা এ চারণ কাহিনি ভালো লাগছে।
মালাকাইটের ঝাঁপি!
মন ভাল করে দিলেন রে ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
facebook
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হায় হায়। আমিওতো এইগুলার একটাও পারি না? তাইলে?
আপনিও গন কেস। আর কী?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমিও বলি, চলবে মানে, দৌড়বে। দারুণ হচ্ছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
- একলহমা
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওহে তিথী....................
চলুক চলুক ....................
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আচ্ছা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অবশ্যই চলিবেক!
কচ্চেন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলুক, এই লেখা’টা একদম ভিন্ন আঙিকে, ভাল লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার লেখা ঠিক যতটা ভাল লাগে অই পরিমান সুন্দর মন্তব্য করার মুরুদ নাই তাই পাস কাটিয়ে চলে যাই বরাবর,আজ বলেই দিলুম আপুমনি লিখা ভালো লাগিচে খুব্বই ।
তিথিডোর আমার ও ফ্রিও বই
ফ্রিও! আন্নে কি নোয়াখাইল্যা নি?
যাইহোক, ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলছে চলুক রেলগাড়ি---
তবে রাত সাড়ে বারোটার মত দেরী যেনো না হয়!
-এস এম নিয়াজ মাওলা
দুয়া রাইখেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনিও ! মানে, ঘুরাঘুরি করেছেন তাইলে ! চলুক, পড়তে ভাল্লাগ্ছে।
মোল্লার দৌড় আর কী.. ঐ মসজিদ-ই।
পড়ার জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুন ! চলুক
।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সব্বাই যা বলছেন আমি তারচে' এট্টু ভিন্ন কথা কই খুকী? লেখাটারে বরং এখানেই ক্ষান্ত দেও।
...হইছে? সাধ মিটছে হেহেহে ...হিংসায় পুড়তে পুড়তে মুখে হাসি ধরে রাখবার যাতনা বুঝিবে কিসে খুকী!
(সচল মডুরা, 'হিংসিত বুকে এই দেখো না হাসি' টাইপের একটা ইমু না হলে না।)
লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে কই(কক্সবাজার দেখা হয়নি বলে অনেককেই বলতে শুনি লজ্জা! লজ্জা! নইলে বয়েই গেছে রে আমার লজ্জা পেতে ওই পঁচা বীচ দেখিনি তো কী? কত্ত ছুন্দর ছুন্দর বীচ দেখেছি। সেবেলায়!), এক কক্সবাজার বাদে হাপনের বর্ণিত সব জায়গাতেই যাওয়া হয়েছিল আমার।
কিন্তু মরে গেলোও এভাবে লিখতে পারবো না হে তাই বলি কী এতসব ঢং বাদ দিয়ে পরের পর্বগুলো লক্ষী মেয়ের মতো ঝাড়ো দেকিনি অনেকককককদিন পর তিথীর লেখা আহা কী আনন্দ
--------------
সদ্য আবৃত্তি শেখা এক মেয়ের প্রাণ আইঢাই কারে শোনাই নিজের পিয় একখান কবিতা। শেষকালে পাইয়া গেলো মক্কেল। বহুদিনের পুরান এক বালক বন্ধু ফোন করায় মেয়েরে আর পায় কে। ইতংবিতং শেষে গদগদভাবে মেয়ে কইলো শোন, নতুন তুলেছি। ...শুরু করে দিলো আবৃত্তি " এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া..."
কাঠখোট্টা পোলাটা, যে কিনা ইট সিমেন্ট বাদে এইসব বুঝে না। এই কবিতা শুনে তার তো কলিজা শুকিয়ে ঘুটে তখন। মনে মনে কয় আয়হায় আমার কাছে আইবো কেন? কি জন্য? দু'সপ্তাহের মধ্যেই পোলায় ঠিকানা সহ ফোন নম্বর পালটে ফেলছে। রিয়েল লাইফ জুক্সটা তিথীর শিরোনাম মনে করায়ে দিলো
হাঃহাঃ, তোমার কাহিনি শুনে আমারো পুরোনো কথা মনে পড়ল। একজীবনে একজনকে খোঁচা দিয়ে বলছিলাম, অ্যাঁ, কক্সবাজার যাননি! সাগরই দেখেননি! ছ্যাঃ ছ্যাঃ।
নির্বিকার ভঙ্গিতে বলেছিলেন-- আটলান্টিক আর প্রশান্ত, দুটো মহাসাগরই দেখেছি কিন্তু।
তখনো বুঝিনি ভ্রমণের গন্তব্য মানুষভেদে, জীবনভেদে কত আলাদা! কতো বোকা ছিলাম...
ইয়ে শুধু দুঃখ দুঃখ ফ্যাঁচফ্যাঁচানি লিখি তো, একটু ট্র্যাক বদলানোর খায়েশ হয়েছিল আর কী। আমি নিজে বেশ মজাই পেয়েছি এটা লিখে।
নাহ, কক্সবাজারের গল্প লিখব না। শিগগিরই বড় হয়ে, একটা ভাল ক্যাম্রা দিয়ে ঘিচিং ঘিচিং করে দু- একটা ছবি তুলে তারপর ঐ সাগরের গল্প আসবে। এ সিরিজে নয়।
আগামি পর্বে নীলগিরিতে পৌঁছলেই শেষ করে দেব। হুদাই ত্যানা পেঁচিয়ে লাভ কী?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পরের পর্ব পড়তে চাই।।।তাড়াতড়ি।।।
আফরিন আহমেদ
আচ্ছা আপু, আজ রাতে লিখে ফেলব পারলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গল্প বলার ষ্টাইলটা ভাল লেগেছে।
এহ হে, এইটা একটা কাজ হয়েছে?
আব্দুল্লাহ এ এম
আরে না, দু-একটা ছবিতে তো আছিই।
কিন্তু সব বেদের মেয়ে জোসনাদের মাঝখানে নিজের গেরামের বেটি রহিমা মার্কা
বদখত প্রেজেন্সের কথা কবুল করে ইহকাল- পরকাল খোয়াব, পাগল না পেট খারাপ?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভ্রমণকাহিনী পড়লে আমার চিরকালই হিংসে চড়চড় করে, কিন্তু এটায় করলো না.......কারণ তিথিডোরের অভিনব লেখনভঙ্গী।
চলবে না শুধু.....দৌড়াবে, আরো আছে কিছু ঝোলাতে?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দেখলেন তো, কোবতে না আওড়েও দু-চার লাইনের আবজাব নামাতে পারি! হুঁ হুঁ বাবা।
পরের পর্ব দিচ্ছি জলদিই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চলুক চলুক
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
টেংগাউংগা খাইতে নিরে বা?
ইতা খিতা কন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঘরে বাইরে, জলে, স্থলে, অন্তঃরীক্ষে বিশাল দৌড়ের উপর আছি। শুধু আপনার লেখায় মন্তব্যের জন্য লগ ইন করলাম।
হেহে, সেইসব হাবিজাবি পড়ে আপনি যে লেখা দিলেন, সেটা কিন্তু একটা বড় প্রাপ্তি। লেখা খুবই পছন্দ হয়েছে। শেষ পর্ব পড়ে একবারে বিস্তারিত মতামত জানাবো।
আপাতত আবার দৌড়ের জীবনে ব্যাক করি
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমার অসংখ্য বদস্বভাবের একটা হচ্ছে, ঝোঁক উঠলেই দড়াম করে ঝালমুড়ি/ পাটিসাপটা/ আলুর চপ কিছু একটা বানিয়ে নীড়পাতায় পোস্ট করে দেওয়া।
প্রবাসীদের ব্যাপারে দু'ধরনের ফিলিংস কাজ করে আসলে। স্বদেশ- স্বজন ছেড়ে গেছে বলে মায়া লাগে, নিজেও একইরকমের নির্বাসনে গিয়ে হাই প্রোফাইলড ঘুরন্তিস পোস্ট লিখতে চাই বলে হয় ঈর্ষা।
ঘরে বাইরে, জলে, স্থলে, অন্তঃরীক্ষে বিশাল দৌড়ের উপর থাকার পরও লেখা পড়েছেন জেনে মোগাম্বো বহুৎ খুশ হুয়া।
আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন