এ ভ্রমণ আর কিছু নয়...পর্ব : (১)

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ২৯/০৭/২০১৩ - ১১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পরিচিত বহু লোকজনের মতে এ অধম মেয়ে হিসেবে তৃতীয় শ্রেণী [রান্নাবান্না পারে/ করে না,
মুরাদ টাকলা/সানি লিওনকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয় না, শ্যাডো-লিবিষ্টিক মাখে না, কালেভদ্রে আইলাইনার লাগাতে গেলেও ছড়িয়ে ফেলে]
আর কলিগ/ টিম মেম্বার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর।
মানুষ হিসেবে কেমন, হেইডা কেউ কয় না। এখনো হইনি বোধহয়।

তবে যেকোন অর্থেই আমি ঘরকুনো। তিথী থাকে স্বগৃহে এবং খোমাখাতায়। জন্মদিন, মুসলমানি, গাত্রে হরিদ্রা, বিবাহ, শাহাদাতবার্ষিকী, বইপড়ুয়া কিংবা সচলাড্ডা-- ওসবে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। চোখ টিপি

দেশের বাইরে যাইনি এখনো। কবে, কখন সে সুযোগ পাব ওপরওয়ালা জানে। দেশের ভেতরেও তেমন কোথাও নয়।
ভূগোল পড়তে বসে আজকালকার পুলাপান ত্যক্ত মুডে ভাবে দুইন্যার কোন জায়গাটাতে ঐ তারেক অণু এখনো যায়নি। আর আমি নীড়পাতায় তাকিয়ে ভাবি ক্যালরি না ক্যালগেরি কোথায় কোথায় যে ঘুরতে যায় কপাইল্যা লোকজন, আসলে ঐ রকি মাউন্টেন কতটুকু হাই? [উদাস ইমো]
হায়, মোর শকতি নাই উড়িবার...

খাঁচার পাখি বলে, ‘হায়, মোর শকতি নাহি উড়িবার...

নজরুল ভাই দেখি ভ্রমণ ব্লগ দিয়েছেন--- ঘুরে এসেছিলাম সুন্দরবন, বান্দরবান, সিলেট। আম্মো তো এইসব জায়গায় একজীবনে গিয়েছিলুম। কক্সবাজার গিয়ে একবার কাটিয়েছিলাম পাক্কা তিরিশ দিন। তা নাহয় ছিল না ঝকমকে ডিএসএলআর [এখনো নেই], তা বলে কি তালিতাপ্পি দিয়ে দু- চার লাইন লেখার হক বর্তায় না? চোখ টিপি

সেজখালা থাকতেন খুলনায়। সে সুবাদে পয়লা সুন্দরবন ঘুরতে যাই যখন, আমার প্রিটেস্ট দরজায় নক করছে। ইংরেজি পড়তাম ইশকুলের ফজিলাতুন্নেসা ম্যাডামের কাছে। তিনি মেজাজে ছিলেন প্রায় কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসার মতো। যাত্রাপথের টিকেট কেটে ফেলার পর যখন জানালাম-- ম্যাম.. ইয়ে আমি না আগামি এক সপ্তাহ অ্যাবসেন্ট থাকব, বাঘিনী রণহুংকার দিয়ে বললেন-- তবে রে হতচ্ছাড়ি! মেট্রিক ফৈক্ষার আর নেই দু'দিন বাকি, এখন তেনার হিউয়েন সাং হওয়ার শখ হয়েছে! যাও, গোলপাতা চিবিয়ে আসো গে। তোমার ভবিষ্যত অন্ধকার, এ আমি বলে দিলুম।

কথা ফলেছে। 'আমার অতীত নেই, ভবিষ্যৎও নেই কোনখানে।'

নানা- নানী আর ছানাপোনা সমেত তিন বোনের পরিবার বাসের আদ্দেকটা বোঝাই করে রওনা হলো। আমার খালার ক্ষুদে ফ্ল্যাট ভরে গেল কোলাহলে। ছিমছাম ছোট্ট শহর খুলনা আর কিঞ্চিৎ অদ্ভুতুড়ে সব জায়গার নাম। সোনাডাঙ্গা, গোবরপোতা.. খাইছে
চট্টগ্রাম টু খুলনা একটানা বাসজার্নির ধকল সামলে উঠে পরেরদিন সকালে পয়লা মামার অফিসের গাড়িতে মংলা, তারপর লঞ্চ ভাড়া করে যাব সোঁদরবন
তখনো রূপসা সেতু হয়নি, নদী পার হতে হয় মনমাঝির টানা নৌকায়। আমরা মহাখুশি। আর নানিজান তারস্বরে তাঁর আদিগন্ত বিস্তৃত কালেকশনের সমস্ত দোয়াদরূদ পড়ে চলেছেন। কেউই সাঁতার জানি না। ডুবলে পুরো গুষ্টি একসঙ্গে ফিনিশ।

পরে দেখা গেল হিরণ পয়েন্ট, কটকা কোথাও গিয়েই বুড়ির যন্ত্রণায় হাত- পা ছড়ানোর উপায় নেই। খালি ক্যাঁচম্যাঁচ করছে-- এই বুঝি কেউ হারিয়ে গেল, পড়ে ব্যথা পেল কিংবা বাঘে ধরে নিলো। হ, ব্যাটার তো আর কাম নেই.. ম্যানিকিউর- পেডিকিউর করা বাদ দিয়ে কাঁটাচামচ হাতে টুরিস্ট খেতে আসবে। হেহ।

তারপরের কাহিনী ধোঁয়া ধোঁয়া, মানে ডিটেইলস ভুইল্যা গেছি। বনের ভেতরের সৌন্দর্য ছিল অপার্থিব, বানর, পাখি আর হরিণ দেখেছি ম্যালা.. আর কুমিরও। তখন সদ্য কামিজে গড়সড় হচ্ছি, আন্ধার সবুজ কাপড় পরে গিয়েছিলাম.. যদিও ম্যালা মোটামাথার লোকজন চকচকে রঙের লুঙ্গিফতুয়াপাজামায় আর সিগারেট- রেডিওতে বন কাঁপাচ্ছিল... এইসব টুকটাক মনে আছে।
স্মৃতির বাকি অংশ লজ্জিত ভঙ্গিমায় ঝাপসা। ক্যামেরার ছবিগুলোও। নাহ, এ পাতে দেবার মতো সে নয়।

সিলেট গিয়েছিলাম সখী পরিবৃত হয়ে, শিক্ষাসফরে। সেমিস্টার তখন সবে পাঁচ, মনে কতো রঙ! তুমুল শীত পড়ছে সে বছর। রাত দশ কী এগারোটায় ট্রেন। ভাই আর মা লাগেজ আর বিস্তর উপদেশসমেত সময়মতো নামিয়ে দিয়ে গেলেন। ক্যাম্পাস টু স্টেশনে নেবে ইউনির বাস। গিয়ে দেখি ট্রেন লেট। তাও একেকজন উচ্ছাস রাখার জায়গা খুঁজে পাই না, এমন অবস্থা। আমার সাইনাসের ভয়াবহ সমস্যা আছে, শুরু হলো তুমুল ফ্যাঁচফ্যাঁচে হাঁচি। স্টেশনের এককোণে নেসক্যাফের স্টল। চলো সবাইইই... গ্রম কফি খাই।
একদিকে দেখি ২৭/২৮এর পুলা আর ১৭/১৮ বয়সের এক মেয়ে বেশ ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে বসা। হাতে ছোট্ট একটা ট্রাভেল ব্যাগ। আর পাশে একজন মোল্লা, মানে পোশাকি। ছুন্দরী সঙ্গী শ্যাওলা [আসল নাম কমু না ] তৎক্ষণাৎ ঘোষণা করল-- নির্ঘাৎ বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে এরা। আর ঐ হুজুর হলেন কাজি, বোধহয় বিয়ে পড়ানোর জন্য ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আমি, আমরা হতভম্ব। বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজীকে কেউ প্যাকেট করে ধরে নিয়ে যায়!
"বিউটিফুল" জিনিসটায় একটা "ফুল" আছেতো, দেখতে "সৌন্দর্য" মানুষগুলান তাই একটু "বোকা"ই হয়''--- কথাটায় ধার আছে আসলে। হে হে।

আহ, সেই ট্রেন এলো রাতের সাড়ে বারোটায়। শীতে কাঁপতে কাঁপতে, খিদেয় অস্থির আর শাল-মাফলারে জবুথবু হয়ে ভারি সুটকেসখানা হ্যাঁচড়ানোর সময় রাগে একবার মনে হয়েছিল-- ভ্রমণের গুষ্টি কিলাই। আম্মুউউউ, বাইত যামুগা...

যাক, অবশেষে শ্রীহট্ট পৌঁছলাম। সিলেট পুলিশলাইনের পাশের হোটেলের [নাম ভুলে গেছি] পুরোটা তখন দিন তিনেকের কড়ারে আমাদের দখলে। হৈ হৈ দশা।
আমরা সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচ। সে সুবাদে বড়সড় ভিআইপি (!) ইয়ো ইয়ো রুমটা [ইনক্লুডিং আ ড্রেসিং রুম + ব্যালকনি আর বাথটাবসমেত বাথরুম] ভাগে এলো। ওটা পরিণত হলো আমাদের হল কাম বল রুমে। সিনিয়র আফামনি একেকজনের গায়ে এতো তেল, সারাদিন ঘুরেটুরে এসে রাত জেগে দরজা আটকে ডিজে পাট্টি করে আবার। পুরোই বেশরিয়তী কাজকারবার। চোখ টিপি
'শ্যাওলা' আর 'সামার ভ্যাকেশন' একপাশে ফিসফিসিয়ে ফোনে বালকবন্ধুর সঙ্গে গপ্পো জোড়ে। আমি কাঠখোট্টা স্বভাবের দুব্বল মানুষ। কানে বালিশ চাপিয়ে লেপ মুড়ি দিয়ে প্রেমসে ঘুমাই। কী আছে জীবনে? হাসি

জননী আগেই বলেছিলেন-- বাড়ির বাইরে গিয়ে খাওয়া নিয়ে খুঁতখুঁত করো না বাছা। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। হুঁ, সে আর বলতে। নয়তো কি আর আমার মতো (আজাইরা) নাক উঁচু চিড়িয়া দিব্যি সোনামুখ করে বুটের ডাল দিয়ে পরোটা খায়?

সে ভ্রমণের কোন দৃষ্টিনন্দন ফটো অ্যালবামে নেই। আছে গ্রুপছবি, তাতে আমি-ই নেই। আমার কাঁধে ছিল চারটা ক্যামেরা, তার মধ্যে একটা নিজের। লুকে ননস্টপ ইতংবিতং পোজ দেয় আর আমি তো সে আমল থেকেই খ্যাতিমান পোট্রেট ফটুগফুর, ক্লিক করতেই থাকি। বলে রাখা ভাল-- কোন এক বিচিত্র কারণে আজীবন আমার প্রায় সব সখিই জুটেছিল দিল ধাক ধাক লেভেলের রূপবতী। দেঁতো হাসি
তেনাদের ছবি মেরামতির লাইগ্যা ফটুশপ লাগে না গো..

মাধবকুণ্ড থেকে যেদিন ফিরছি, বাস থামিয়ে গুরুদেবরা তখন থলে ভরে কমলা কিনছেন। আমি আর শ্যাওলা পাশের টঙে ঢুকে চা আর চুইংগামের ফরমায়েশ নিয়ে দাঁড়িয়ে স্থানীয় দুই পুলার কিচিরমিচির শুনি।

স্যার এগিয়ে এলেন-- কী হে ইয়াং মার্কেটারস [আমাদের মেজর ছিল মার্কেটিং], কী দেখো?
: ইয়ে মানে স্যার, এট্টু সিলটি ভাষা শেখার ট্রাই করছি।
:- তাই? গ্রামের বাড়ি কোথায় তোমার?
: কুমিল্লায়। তবে জন্ম চট্টগ্রামেই।
:-আর শ্যাওলা তোমার?
: একই স্যার, কুমিল্লা।
:- চাটগাঁইয়া বলতে পারো?
: [মেনিবিল্লির মতো মিঁউ মিঁউ করে] না স্যার।
:- তৈলে? সারাজীবন একটা শহরে কাটিয়ে সে ভাষাটাই শিখলে না.. আর দু'দিনে শিখবে সিলেটি? দুৎ দুৎ।

শ্যাওলা বজ্জাতটা অন্যদিকে নিরীহ মুখ ফিরিয়ে আকাশ দেখছে তখন।
যাক, মেয়েটি তো রক্ষে পেল। আমি তথৈবচ!
_________________
ইয়ে, চলবে? হাসি


মন্তব্য

ফয়সাল ইজা এর ছবি

চলবে যখন চলুক। অপেক্ষায় থাকলাম। লেখা জব্বর হইতাছে-ফাস্টোক্লাস খিচুড়ি। হাততালি

তিথীডোর এর ছবি

ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন দারুন দারুন।।।।।।লেখার স্টাইল খুবই মজার হয়ছে, তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম চলুক হাততালি
ইসরাত

তিথীডোর এর ছবি

আচ্ছা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

টোকাই এর ছবি

(গুড়)
চলবে কীনা—আবার জিগায়! তাত্তাড়ি, তাত্তাড়ি!

তিথীডোর এর ছবি

হে হে। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

চলবেই চলবে....

তিথীডোর এর ছবি

ঠিকাসে আফা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অন্যকেউ এর ছবি

চলবে মাইনে! দৌড়াবে! কিন্তুক হাতি সাইজ গালগল্প নাম দিয়ে অ্যান্টইটার খিলায়া দিলেন? ফাঁকিবাজি বুঝি ন আম্রা? পরেরবার হাতি সাইজ চাই। তিন নম্বর পর্বটা চাই ম্যামথ। তারপরেরটা বিশালোসরাস। দেঁতো হাসি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

তিথীডোর এর ছবি

আরে মিয়া, কত কষ্ট করে টাইপ করেছি এটুকু জানেন! আমি হলাম একটা চরম আইলসা মানুষ।
পরের পর্ব নেক্সট উইকে, ইনশাল্লাহ। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কিষান এর ছবি

চলুক চলুক

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নজমুল আলবাব এর ছবি

হেরিটেজ

সুন্দর লেখা

তিথীডোর এর ছবি

ধন্যবাদ অপু ভাই। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

দীর্ঘ ফাঁকিবাজির পর একখানা 'নতুন' লেখা পাওয়া গেল যাহোক! হাততালি

তারপরের কাহিনী ধোঁয়া ধোঁয়া, মানে ডিটেইলস ভুইল্যা গেছি।

এরাম ভ্রম মানে ভ্রমণ কাহিনী কে আর কবে লিখেছে, স্বয়ং তারেক অনুও লেখে নাই খাইছে

'পর্ব ১' মানেই পরের পর্বের নিশ্চয়তা, আবার 'চলবে নাকি?'র সংশয়ে কী কাজ!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তিথীডোর এর ছবি

কিছু কথা থাক না গুপন। খাইছে

নাহ মানে, লুকজন পিডামু কৈলে এখানেই খ্যামা দিতাম আর কী। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শাব্দিক এর ছবি

তারপরের কাহিনী ধোঁয়া ধোঁয়া, মানে ডিটেইলস ভুইল্যা গেছি।
এরাম ভ্রম মানে ভ্রমণ কাহিনী কে আর কবে লিখেছে

দেঁতো হাসি এমতা ভ্রমময় ভ্রমন কাহিনী লেখা তীথি থুক্কু তিথীর পক্ষেই সম্ভব।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

শাব্দিক এর ছবি

"গোবরচাকা" এবং "ময়লাপোতা" দুইটা মিলিয়ে "গোবরপোতা" !!!
গুবলেট করার জন্যি এই দুটা নাম ই মিলল?

যাউক গা, যাইনি যাই নি করে তো ম্যালা জায়গায় তো যাওয়া হয়ে গেল। সবে তো খুকী, বড় হও বাকি সব জায়গায় নিয়ে যাব। তখন আর ফইক্ষা দোহাই থাকবে না।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর এর ছবি

আহা, এ তো সেইই ২০০২ সালের কতা গো।
লম্বা বেণি দুলিয়ে ইশকুলে যেতাম সেসময়। থোতো ছিলাম না? চোখ টিপি

উহুঁ, ফৈক্ষার কতা সচলবাসীর সামনে কৈয়ো না। লোকে হাসব। মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শেষ লাইনে তো বাঁশী বাজিয়ে দিলেন একেবারে। চলুক তবে।
কতো সালে গেছিলেন? আমি অনেকবার সিলেট গেছি। আমার দ্বিতীয় শহর বলা যায়। বাড়িঘরের মতো। তবু সিলেটের অনেক রূপই দেখা হয়নি আমার।
সিদ্ধান্ত ফাইনাল করে ফেললাম। ঈদ পালিয়ে বান্দরবন চলে যাবো। আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা বান্দরবন।

লেখা চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তিথীডোর এর ছবি

২০০৭। হাসি
বান্দরবন যাব আবার। নীলগিরির ঐ কটেজগুলোতে রাতে থাকা হয়নি, বগা লেক দেখা হয়নি। আফসোস আছে।

আমার সবচেয়ে প্রিয় সেন্টমার্টিন। আহ, ছেঁড়া দ্বীপ...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নামটা 'বান্দরবান' না?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তিথীডোর এর ছবি

হ্যাঁ। আমি দুঃখিত।
পোস্টে ঠিক করেছি।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

দৌড়াবে

তবে খুলনার মানুষ বলে একটু ফোড়ন কাটি- খুলনার কিছু জায়গার নাম সোনাডাঙ্গা, গোবরচাকা, সোনাপোতা, ময়লাপোতা, নিরালা, বয়রা ইত্যাদি কিন্তু গোবরপোতা নাই। খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

আচ্ছা। হাসি

গোবরচাকা আর ময়লাপোতা গুলিয়ে ফেলেছি বোধহয়। চিন্তিত
আমার খালারা ঐ সময় থাকতেন সোনাডাঙায়, এরশাদ শিকদারের সেই কুখ্যাত স্বর্ণকমলের কাছেই। যতটুকু মনে পড়ে, বাড়ির নাম ছিল রজনীগন্ধা।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

তিথী থাকে স্বগৃহে এবং খোমাখাতায়

চিন্তিত লোটাকম্বল ছাড়া সবচেয়ে বেশিবার পড়ছি তিথিডোর, আপনার নিকটা সুন্দর। লেখাটা বোধহয় শুরু হয় নি এখনো- গৌরচন্দ্রিকা ঠিকাছে। চলুক (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)

তিথীডোর এর ছবি

আমার ডাকনাম তিথী। সে জন্যেই তিথীডোর। বইটাও মহা ফেভারিট অবশ্য। হাসি

লেখা আগামি পর্বে শেষ হয়ে যাবে বোধহয়। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুলতান এর ছবি

আপু মনে হয় খুলনার "গোবরচাকা" এবং "ময়লাপোতা" দুইটা মিলিয়ে "গোবরপোতা" বানিয়ে ফেলেছেন!

তিথীডোর এর ছবি

হ। [মাথা চুলকানোর ইমো]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক চলুক -

স্মৃতির "মালাকাইটের ঝাঁপি" থেকে আনমনে তুলে আনা ছোট ছোট ঝকঝকে রোদ্দুর দিয়ে নির্মাণ করা এ চারণ কাহিনি ভালো লাগছে।

তিথীডোর এর ছবি

মালাকাইটের ঝাঁপি!
মন ভাল করে দিলেন রে ভাই। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি
তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

[রান্নাবান্না পারে/ করে না, মুরাদ টাকলা/সানি লিওনকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয় না, শ্যাডো-লিবিষ্টিক মাখে না, কালেভদ্রে আইলাইনার লাগাতে গেলেও ছড়িয়ে ফেলে]

হায় হায়। আমিওতো এইগুলার একটাও পারি না? তাইলে?

তিথীডোর এর ছবি

আপনিও গন কেস। আর কী? চাল্লু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও বলি, চলবে মানে, দৌড়বে। দারুণ হচ্ছে। চলুক চলুক
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
- একলহমা

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

ওহে তিথী.................... হাসি
চলুক চলুক ....................

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তিথীডোর এর ছবি

আচ্ছা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

অবশ্যই চলিবেক! পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তিথীডোর এর ছবি

কচ্চেন? দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দারুণ!
হাততালি চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক, এই লেখা’টা একদম ভিন্ন আঙিকে, ভাল লাগলো। হাসি

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মালাকাইেটর ঝাপী এর ছবি

আপনার লেখা ঠিক যতটা ভাল লাগে অই পরিমান সুন্দর মন্তব্য করার মুরুদ নাই তাই পাস কাটিয়ে চলে যাই বরাবর,আজ বলেই দিলুম আপুমনি লিখা ভালো লাগিচে খুব্বই দেঁতো হাসি
তিথিডোর আমার ও ফ্রিও বই খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

ফ্রিও! আন্নে কি নোয়াখাইল্যা নি? খাইছে
যাইহোক, ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলছে চলুক রেলগাড়ি---
তবে রাত সাড়ে বারোটার মত দেরী যেনো না হয়!

-এস এম নিয়াজ মাওলা

তিথীডোর এর ছবি

দুয়া রাইখেন। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আপনিও ! মানে, ঘুরাঘুরি করেছেন তাইলে ! চলুক, পড়তে ভাল্লাগ্ছে। চলুক

তিথীডোর এর ছবি

মোল্লার দৌড় আর কী.. ঐ মসজিদ-ই।

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্যাম এর ছবি

দারুন ! চলুক

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি এর ছবি

সব্বাই যা বলছেন আমি তারচে' এট্টু ভিন্ন কথা কই খুকী? লেখাটারে বরং এখানেই ক্ষান্ত দেও।
...হইছে? সাধ মিটছে শয়তানী হাসি হেহেহে ...হিংসায় পুড়তে পুড়তে মুখে হাসি ধরে রাখবার যাতনা বুঝিবে কিসে খুকী!
(সচল মডুরা, 'হিংসিত বুকে এই দেখো না হাসি' টাইপের একটা ইমু না হলে না।)
লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে কই(কক্সবাজার দেখা হয়নি বলে অনেককেই বলতে শুনি লজ্জা! লজ্জা! নইলে বয়েই গেছে রে আমার লজ্জা পেতে দেঁতো হাসি ওই পঁচা বীচ দেখিনি তো কী? কত্ত ছুন্দর ছুন্দর বীচ দেখেছি। সেবেলায়!), এক কক্সবাজার বাদে হাপনের বর্ণিত সব জায়গাতেই যাওয়া হয়েছিল আমার।
কিন্তু মরে গেলোও এভাবে লিখতে পারবো না হে মন খারাপ তাই বলি কী এতসব ঢং বাদ দিয়ে পরের পর্বগুলো লক্ষী মেয়ের মতো ঝাড়ো দেকিনি হাসি অনেকককককদিন পর তিথীর লেখা আহা কী আনন্দ হাততালি

--------------
সদ্য আবৃত্তি শেখা এক মেয়ের প্রাণ আইঢাই কারে শোনাই নিজের পিয় একখান কবিতা। শেষকালে পাইয়া গেলো মক্কেল। বহুদিনের পুরান এক বালক বন্ধু ফোন করায় মেয়েরে আর পায় কে। ইতংবিতং শেষে গদগদভাবে মেয়ে কইলো শোন, নতুন তুলেছি। ...শুরু করে দিলো আবৃত্তি " এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া..."
কাঠখোট্টা পোলাটা, যে কিনা ইট সিমেন্ট বাদে এইসব বুঝে না। এই কবিতা শুনে তার তো কলিজা শুকিয়ে ঘুটে তখন। মনে মনে কয় আয়হায় আমার কাছে আইবো কেন? কি জন্য? দু'সপ্তাহের মধ্যেই পোলায় ঠিকানা সহ ফোন নম্বর পালটে ফেলছে। রিয়েল লাইফ জুক্সটা তিথীর শিরোনাম মনে করায়ে দিলো দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

হাঃহাঃ, তোমার কাহিনি শুনে আমারো পুরোনো কথা মনে পড়ল। একজীবনে একজনকে খোঁচা দিয়ে বলছিলাম, অ্যাঁ, কক্সবাজার যাননি! সাগরই দেখেননি! ছ্যাঃ ছ্যাঃ। খাইছে
নির্বিকার ভঙ্গিতে বলেছিলেন-- আটলান্টিক আর প্রশান্ত, দুটো মহাসাগরই দেখেছি কিন্তু।
তখনো বুঝিনি ভ্রমণের গন্তব্য মানুষভেদে, জীবনভেদে কত আলাদা! কতো বোকা ছিলাম...

ইয়ে শুধু দুঃখ দুঃখ ফ্যাঁচফ্যাঁচানি লিখি তো, একটু ট্র্যাক বদলানোর খায়েশ হয়েছিল আর কী। আমি নিজে বেশ মজাই পেয়েছি এটা লিখে।
নাহ, কক্সবাজারের গল্প লিখব না। শিগগিরই বড় হয়ে, একটা ভাল ক্যাম্রা দিয়ে ঘিচিং ঘিচিং করে দু- একটা ছবি তুলে তারপর ঐ সাগরের গল্প আসবে। এ সিরিজে নয়। হাসি
আগামি পর্বে নীলগিরিতে পৌঁছলেই শেষ করে দেব। হুদাই ত্যানা পেঁচিয়ে লাভ কী? চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

পরের পর্ব পড়তে চাই।।।তাড়াতড়ি।।।

আফরিন আহমেদ

তিথীডোর এর ছবি

আচ্ছা আপু, আজ রাতে লিখে ফেলব পারলে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প বলার ষ্টাইলটা ভাল লেগেছে। চলুক

সে ভ্রমণের কোন দৃষ্টিনন্দন ফটো অ্যালবামে নেই। আছে গ্রুপছবি, তাতে আমি-ই নেই।

এহ হে, এইটা একটা কাজ হয়েছে?

আব্দুল্লাহ এ এম

তিথীডোর এর ছবি

আরে না, দু-একটা ছবিতে তো আছিই।
কিন্তু সব বেদের মেয়ে জোসনাদের মাঝখানে নিজের গেরামের বেটি রহিমা মার্কা
বদখত প্রেজেন্সের কথা কবুল করে ইহকাল- পরকাল খোয়াব, পাগল না পেট খারাপ? চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভ্রমণকাহিনী পড়লে আমার চিরকালই হিংসে চড়চড় করে, কিন্তু এটায় করলো না.......কারণ তিথিডোরের অভিনব লেখনভঙ্গী। চলুক
চলবে না শুধু.....দৌড়াবে, আরো আছে কিছু ঝোলাতে?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তিথীডোর এর ছবি

দেখলেন তো, কোবতে না আওড়েও দু-চার লাইনের আবজাব নামাতে পারি! হুঁ হুঁ বাবা। খাইছে

পরের পর্ব দিচ্ছি জলদিই।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তিথীডোর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

AalMaruf এর ছবি

টেংগাউংগা খাইতে নিরে বা?

তিথীডোর এর ছবি

ইতা খিতা কন? ইয়ে, মানে...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রিক্তা এর ছবি

ঘরে বাইরে, জলে, স্থলে, অন্তঃরীক্ষে বিশাল দৌড়ের উপর আছি। শুধু আপনার লেখায় মন্তব্যের জন্য লগ ইন করলাম।

আর আমি নীড়পাতায় তাকিয়ে ভাবি ক্যালরি না ক্যালগেরি কোথায় কোথায় যে ঘুরতে যায় কপাইল্যা লোকজন, আসলে ঐ রকি মাউন্টেন কতটুকু হাই? [উদাস ইমো]

হেহে, সেইসব হাবিজাবি পড়ে আপনি যে লেখা দিলেন, সেটা কিন্তু একটা বড় প্রাপ্তি। লেখা খুবই পছন্দ হয়েছে। শেষ পর্ব পড়ে একবারে বিস্তারিত মতামত জানাবো।

আপাতত আবার দৌড়ের জীবনে ব্যাক করি ওঁয়া ওঁয়া

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

তিথীডোর এর ছবি

আমার অসংখ্য বদস্বভাবের একটা হচ্ছে, ঝোঁক উঠলেই দড়াম করে ঝালমুড়ি/ পাটিসাপটা/ আলুর চপ কিছু একটা বানিয়ে নীড়পাতায় পোস্ট করে দেওয়া। চোখ টিপি
প্রবাসীদের ব্যাপারে দু'ধরনের ফিলিংস কাজ করে আসলে। স্বদেশ- স্বজন ছেড়ে গেছে বলে মায়া লাগে, নিজেও একইরকমের নির্বাসনে গিয়ে হাই প্রোফাইলড ঘুরন্তিস পোস্ট লিখতে চাই বলে হয় ঈর্ষা।

ঘরে বাইরে, জলে, স্থলে, অন্তঃরীক্ষে বিশাল দৌড়ের উপর থাকার পরও লেখা পড়েছেন জেনে মোগাম্বো বহুৎ খুশ হুয়া। দেঁতো হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপু।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।