এই যে, প্যাঁচালের পয়লা ভাগ---
কত কী জানার আছে বাকি! দেখার, শোনার, বোঝার। এইটুকু একটা দেশ, তাও তো দেখিনি ঠিকমতো। আর লুকে নেপাল গিয়া মাথায় পাল আটকাইয়া পেলেন থেইক্যা লাফায়, হংকং গিয়া হাঙ্কিপাঙ্কি করে। শালার কপাল!
তা যামু-ই বা কার লগে? আমার পিতা- মাতা হার্টের রোগি আর দুঁদে কামলা। পারলৌকিক পাথেয় আর ইহলৌকিক স্বাচ্ছন্দ্য ব্যতীত আর কোন জমাখরচ নিয়ে তাগো দুই পয়সার মাথাব্যথাও নাই। জ্বিন না পরী, কোনটা আছর করসিল ক্যাঠায় জানে, সেন্টমার্টিনে নিয়ে পোড়াতেলে ভাজা রূপচাঁদা খাইয়ে এনেছিল একবার। সেও প্রায় আরবের উট চরানো আমলের কাহিনি।
তারপর কেটে গেছে কত মাস...
সেজন্যে আমি কারো এদিক- সেদিক ঘুরে বেড়ানোর খবর পেলে বাংলা আর হিন্দিতে খুব করে শাপ দিয়ে দি। পেট কামড়াবে যখন, তখন বুঝবে ঠ্যালা। মুহুহুহু।
তা, গত ক'মাস আগের কথা। আপিস নামক গোয়ালঘরে ভেজা খড় জ্বেলে গাঁক গাঁক করে ধোঁয়া দিচ্ছিলাম একদিন।
বড়মামা ফোন করে বললেন-- ঐ, নীলগিরি যাবি?
খুশিতে যে চিক্কুরটা দিলাম তার কাছে আর্কিমিডিসের ইউরেকাএএএ তুচ্ছ! নাদান বস তাঁর কামরায় পিয়নকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, রিফাত অমন চেঁচাল কেন, আবার ইঁদুর দেখেছে নাকি? ঐ মানে, ড্রয়ার থেকে ইঁদুর বেরিয়েছিল একদিন। আমার বাঁশফাটানো আর্তনাদে পাশের ডেস্কের কলিগ অ্যায়সা বিষম খেয়েছিলেন যে, সে কথা কহতব্য নয়। [ঘাড়গলা চুলকানোর ইমো]
ছুটি ম্যানেজ হলো বহুকষ্টে। তাও মোটে দু'দিনের। জালিম দুনিয়া।
সফরসঙ্গী সীমিত। ছোট বোন দ্যুতি, মামা-মামি, তাদের একমাত্র কন্যা কঙ্কাবতী, আর এক ভাগনি।
মালছামান গুছিয়ে নিলাম। প্রথমে গাড়িই ঠিক ছিল, আগেরদিন রাতে নানিবুড়ি ফের ফ্যাচাং লাগিয়ে দিলেন। পাহাড়ি অচেনা রাস্তা, সালাউদ্দিন (মামাদের ড্রাইভার) যদি অ্যাক্সিডেন্ট করে বসে! তো আর কী, বাসে ঝোলো।
আমাদের পথসঙ্গী ছিলো জনা সাতেকের এক ইয়াং হ্যানছাম গ্রুপ। সব পুলাদের ঠ্যাঙে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, পিঠে ব্যাকপ্যাক, মাথায় গামছার ফেটি আর গলায় ক্যানন- নিকন। বাউরে বাউ, কী ভাব!
আমি সস্তার গ্যালাক্সি ট্যাব থেকে (হুদাই) মিনিট পাঁচেক জিটক- জিমেইল গুঁতোগুঁতি করে বই পড়তে শুরু করলাম। মাদাম আগাথার জীবনী।
আমার অনুজাটি আবার ঈষৎ আরামপ্রিয় কিসিমের। আম্মাহুজুর বেশি পুতুপুতু করে মাথায় তুলে ফেলেছে আসলে। বাসা থেকে বাটার চপ্পল কিনতে নিউমার্কেট যেতেও সে হাত-পা এলিয়ে কুঁইকুঁই শুরু করে। পটিয়া পার হবার আগেই সে মামির ওপর মোটামুটি পুরো শরীরের ভর ছেড়ে দিয়ে নাক ডাকা শুরু করল। সিলেকশনেও অবশ্য কেরামতি আছে। মামিজান মোটাসোটা মানুষ। ঠেস দিতে সুবিধা।
এগারোটায় চলতে শুরু করে পৌঁছলাম দুটোয়। ভয়াবহ কড়া বৈশাখি রোদ। মামি আবার পাঁড় মাইগ্রেনের রোগি। একবার বেতা উঠলে আর দেখতে হবে না।
থাকার হদিস বান্দরবান ক্যান্টনমেন্টে, সচল অতন্দ্র প্রহরীর প্রত্যক্ষ সাহায্যে।
এ বেলা তাঁকে আরেকদফা থ্যাঙ্কস।
ফ্রেশ হয়ে, একটু রেস্ট নিয়ে গেলাম স্বর্ণমন্দিরে।
চমৎকার জায়গা। আমি বেকুব, না বুঝে তিন ইঞ্চি পেনসিল হিল পরে হাঁটা দিয়েছিলাম। আধাআধি গিয়ে বটুয়ার মতো ও জোড়াটাও হাতে ঝোলাতে হলো।
আসন্ন বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে সাজসজ্জা করা অলরেডি শুরু হয়েছে ওখানে। ক্যাংঝ্যাংঘ্যাং একটানা কেমন একটা বাজনা বেজেই চলেছে। সঙ্গীরা ফটোশুটে ব্যস্ত, আমি চেক-ইনে। সানসেট @গোল্ডেন টেম্পল-- না দিলে হয় নাকি কন?
সন্ধ্যা নামার আগেই অতিথিদের বিদায় দেওয়া ভিক্ষুদের নিয়ম। অগত্যা যাত্রা স্থানীয় মার্কেটের দিকে। ভৈন- ভাগনি মুখে মাখার জন্য চন্দন কিনল, আমি ইনকা কিসিমের একটা মুখোশ কিনেই মহা খুশ!
সক্কাল আটটায় রওনা হতে হবে নীলগিরি। রাতেই জামাজুতা [এবার আর হিল নয়, ঠেকে শিখেছি] গুছিয়ে রেখে সাততাড়াতাড়ি ঘুম...
সকালে চোখ কচলাতে কচলাতে নাস্তা না করেই দৌড়। মাঝের রো'তে পিয়া, মামির গায়ে হেলান দিয়ে জিপ চলতে শুরু করার সাড়ে সাত মিনিটের মাথায় ঘুমিয়ে পড়া দ্যুতি আর পেছনের সিটে আমি আর কঙ্কা। হাতে একডজন কলা, পানির বোতল আর পাঁউরুটি।
আঁকাবাঁকা খাড়াই রাস্তা, ছাত্রজীবনে অর্থনীতির খাতায় আঁকা যাবতীয় ভার্টিক্যাল লাইনকে কৎবেল দেখিয়ে আরো খাড়া হয়... আমরা দু'বোন হেডফোন সমেত [ঐ জিনিস অবশ্য মুখে না, কানেই গোঁজা ছিল] বিমুগ্দ্ধ চোখে এদিক- সেদিক দেখতে দেখতে পাঁউরুটি চিবাই।
চিম্বুক পর্যন্ত যেতে যেতেই খেল খতম, পয়সা হজম। মানে খানাদানা সব শেষ।
দেখেন না, কঙ্কা কলা খুঁজতাসে...
আর নীলগিরি যাওয়ার রাস্তা দেখতে কেমন ছিল?
স্বর্গপথ কেমন হয় জানেন? সেটার কাছাকাছি। আর মেঘগুলো সব পাহাড় ছুঁয়ে থাকে এরকম করে--- পুরাই জাইত্যা ধরা টাইপ আর কী!
এরপর দেখি নীলসিয়া আসমান, নীলে নীল দুনিয়া...
আমরা সূর্যোদয় মিস করেছি, সূর্যাস্তও। পরেরবার আগেভাগে সব অ্যারেঞ্জ করে যেতে হবে। অন্তত এই কটেজে একরাত না থাকলে তো ভাই জীবনই বৃথা...
আর জোৎস্নারাতে কেমন যে লাগবে এই বারান্দায় বসে চাঁদ দেখতে! আহা আহা!
সুপ্রিয় সচলা সুপাশি অবশ্য অফার দিয়েছেন তিনি-আমি দোঁহে মিলে শিগগিরই যাওয়া হবে ওখানেই। কিন্তু যে জামানা আসছে, কাজটা কি ঠিক হবে?
বুঝেনই তো।
হুমম, শৈলপ্রপাত, মিলনছড়ি, চিম্বুক চষে চিমশে মুখ আর চার্জড আপ মন নিয়ে ফিরতে ফিরতে আরো কয়েক কুঁচি ছবিটবিও খিঁচেছিলুম বটে।
তয় ফটুগফুর সাজলে বাকিদের ওপর ফোঁপরদালালি ফলানোর ফাঁকে নিজের খ্যাঁদাবোঁচা মুখ বেঁচে যায় লেন্সের হাত থেকে।
ঐ মস্ত সুবিধে।
এ কুমারীও আমি নই কিন্তু, খুউপ খিয়াল কৈরা।
পরেরদিন মামার চেম্বার, আমার অফিস। খুকিত্রয়ের যথাক্রমে ইস্কুল, কলেজ, ইউনিতে ক্লাস।
অতএব ওঠো মুসাফির, বাঁধো গাঁটুরিয়া...
কার যেন একটা গান আছে না,-- অনেকটা পথ হেঁটে এসে, হয়নি হাঁটা তোমার পাশে।
অনেক হলো তো, আর হাঁটা কি ঠিক হবে?
শবনমে একটা বয়েৎ পড়েছিলাম।
''ওয়াসিল্ হরফ্-ই- চুন্ ও চিরা বস্তে অস্তলব্
চূন রহ্ তমাম গশৎ জর্স বি- জবান শওদ।
কাফেলা যখন পৌঁছিল গৃহে মরুভূমি হয়ে পার..
সবাই নীরব। উটের গলায়ও ঘন্টা বাজে না আর।''
ভ্রমণবন্দীনির এলা শীতনিদ্রায় যাওয়া ফরজ। বহুৎ তো বকলাম।
মন্তব্য
এ খতম মানি না!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
স্বর্ণমন্দির, বান্দরবান।
[img][/img]
মিলনছড়ি কটেজের ক্যান্টিন ও কাউন্টার।
[img][/img]
নিলগিরির রাস্তা।
[img][/img]
হেহে, আমিও গিয়েছিলাম, কিছুদিন আগে।
আপনার লেখা ভাল লেগেছে।
ফ্লিকারে আপলোডেড ছিল গুটি কয়, ওগুলোই দিয়েছি এখানে।
ছবিগুলো আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার সরস ভ্রমন কাহিনী পড়ে খুবই মজা পেলাম। ভালো লাগলো এই রম্য-ভ্রমণ কাহিনী লেখা।
ভালো থাকুন অবিরত।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
আপনিও ভাল থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সব্বার আগে আমি মন্তব্য দিবাম চাই
তাহলে লাড্ডুগুড্ডু হৈলা কেনু?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তজ্জাব হলুম হে! এভাবে তিথীর লেখার উপর হামলে পড়ার জন্য উপরের তিনজনা কে দুধভাত হিসেবে ঘোষণা করা হইল। তাইলে ফার্ষ্টু হইল কে গো খুকী?
ভালুবাসা বেলাইন্ড। তোমাকে বিশেষ বিবেচনায় ফার্ষ্টু কৈরা দিলাম যাও।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
থেংকু থেংকু। আপনার এই বদনা থুরি বদান্যতার কথা সচলের ইতিহাসে লিখা থাকবে মহান!
এইটা আড়ালে গিয়ে কপ্ করে গিলে ফেলো(ছোতোলা তিনটে রোজা রাখতে পারে জানো তো?)
সরস লেখার গুণে ব্লগে পড়া অন্যতম মজার ভ্রমণকাহিনীর লিস্টিতে উঠল এটা!
নীলগিরি একটা দুর্দান্ত জায়গা! আফসোস ওখানে রাত কাটানো হয়নি, ভোরটা দেখা হয়নি! আফসোস কখনো মেটে কি না কে জানে!
স্বর্ণমন্দির একটা আজিব জায়গা, মনেই হয় না বাংলাদেশে! তবে গরমের দিনে না যাওয়াই ভাল! পায়ের পাতারা পালানোর পায়তারা করে কেবল!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নীলগিরি কবে গিয়েছিলেন? কই, বলেননি তো।
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীরে আমি খুউব লক্ষী জান্তাম। এইটা আসলে একটা পঁচার পঁচা।
পটাং করে লেখাটাকে খতমে তারাবি ইয়ে শেষ করে দিলো
আরেট্টুক লিখলে তোর ঐ চম্পাকলি আঙ্গুলে কী ফোস্কা পড়তো নাকি রে?
যাহ ভাগ! তোর লেখা আমি পড়িও না(পড়ে ফেলছি কিন্তু )
এইরকম ঝলঝলে লেখা তিথীর কাছে আরো চাই, দিল মাঙ্গে মোর(দেখ বাংলা আর হিন্দি মিলিয়ে আমিও কেমন বায়না কর্তে জানি )
এহহ! আমার মতো পিওর নক্ষী মেয়ে আরেকটা খুঁজে দেখাও দিকিনি!
তিনদিনে দুটো পোস্ট দিয়ে আমি ছিলিম হয়ে গেছি। খেয়েদেয়ে মোটাসোটা হয়ে আবার লিখুম নে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এত্ত মজারু ঘুরুন্তিসব্লগ এর আগে জীবনেও পড়িনাই! সিরাম হয়েচে!
বিঃদ্রঃ কেউ নীলগীরি গিয়েচে নাইলে যাপে শুনলেই তাকে কষে শাপশাপান্ত কইরতে মন্চায়!
শাপশাপান্তে কাম হৈলে তো অণুমিয়া এতদিনে পরমাণু হয়ে উবে যেত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
জবের ! হায় মাডাম আগাথা পড়া হয় নাই এখনো
facebook
পোস্ট সেইই এপ্রিলের কাহিনি নিয়ে। এখন জুলাইয়ের শেষ। বুঝতে হবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা মাজারু হয়েছে।
বাংলাদেশের অনেক খ্যাত-অখ্যাত জায়গায়ই গিয়েছি কিন্তু সব চেয়ে সুন্দর দুটি জায়গা বান্দরবান আর সুন্দরবন যাওয়া হয়নি কখনো। এটা একটা বিরাট আফসোস।
সময় করে ঘুরে আসুন। কী আছে জীবনে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাপরে, এতোগুলান কলা পথেই ভ্যানিশ!
লেখা সেইরকম সরেস আর
পড়ার জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইটা কোন হাসির কথা! আগের পর্বে ভাবলাম- সামনে আসছে শুভদিন, অনেক লেখা আর ফটু পামু! শ্যাষ! বতুতার মতো সিরিজ ল্যাখেন দিদি! (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিস্ট)
এত বেশি নিয়মিত ঘ্যানঘ্যানপ্যানপ্যান লিখলে মডুরা খেদাইয়া দিব তো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
১ এর পর আসবে ২, ৩, ৪, ৫, ... এইগুলা...
তা না... ধুম কইরা "খতম" আসে কইত্তে?
খতম আমাত্তে বেশি বুজেন মিয়া?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমি অঙ্ক পারি না যে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব ভালো লাগলো তিথী। কিন্তু এখানে থামলো কেন? আরো চাই যে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইয়ে, পরে না হয় দিদি.. আবার অন্য কোন সময়।
পড়েছো জেনে অ-নেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তাহলে শীঘ্র আরেকটা এরকম সিরিজ চালু করো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আচ্ছা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বায়নামতি-দিদি আর সাক্ষী-মশায়ের সাথে পুরাই একমত।
এই এক আজাইরা কেতা চালু হইছে। যখন তখন লেখা খতম করে। নিরীহ পড়ুয়াদের নিয়া এমন ছেলেখেলা থুক্কু মেয়েখেলা এক্কেরেই কাবিল কাম হয় না! লেখাটা বড়-ই ভালা আছিল। তাই ছাইড়া দেয়ন গেল। তিথীদিদি, এইবার আর-একটা কোন বিত্তান্ত চালু করেন ঝটপট!
- একলহমা
তাইলে টেকাটুকা আর টিকেট কাইট্যা দেন। বিরিশিরি-লালাখাল-রাতারগুল দেখে এসে ফের গুল ঝাড়ি...
ডিল?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুন লাগছিল কিন্তু এমন আঁতকা শেষ করে দিলেন , তাড়াতাড়ি আর এক্তা লেখা ছাড়েন।
ইসরাত
টাইপাতে টাইপাতে টায়ার্ড হয়ে গেসিলাম গো আফা। জানেন, সারাদিন আমি কত কাম করসি?
'চুলা জ্বালাইসি, ঝাড়ু দিসি, মুরগিরে খাওন দিসি, পানি আনসি...'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পাহাড় দেখতে তিন ইঞ্চি হিল! হে হে হে!
লেখা বিরাট মজা হইসে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
'হিল' না পিন্দলে 'হিল' দেখবো ক্যাম্নে? তিথী য়্যাম্নেই ছুডু মানু, তাপ্পর হিল না পিন্দলে তো খালি পাহাড়ের গোড়াটা দেক্তে পাইবো, চূড়া আর দেক্তে পাইবো না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
টাকভুঁড়িমেদট্যারা সব ভুলে স্রেফ হিল নিয়ে ইতনা ইনছাল্ট!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'মিরসরাই' জায়গাটা কোথায়? যেটা চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যাবার পথে পড়ে? কারণ, মিরসরাই নামে যে জায়গাটা চিনি সেটা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাবার পথে পড়ে। অবশ্য তোমরা যদি ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে থাকো তাহলে ভিন্ন কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চট্টগ্রাম টু বান্দরবানের পথে পটিয়া/ আনোয়ারা/ সাতকানিয়ার বদলে স্রেফ ঐ মিরসরাই শব্দটার উল্লেখ পুরো পোস্টের ভার্জিনিটি ধ্বসিয়ে দিতে যথেষ্ট!
বেভুইল্যা লেখককে দিক্কার!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নীলগিরি আমার অপছন্দের জায়গার মধ্যে অন্যতম।
এই জায়গাটা দেখলেই আমার মনে জলপাই রঙা উর্দির বিজয় দেখি-
আমাদের নিজেদের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভেতরে।
এপার্ট ফ্রম দ্যাট লেখা ভাল হইসে। মুজতবা আলীরে ভালই ফলো মারসেন !!!!
ঐ জলপাইরঙা উর্দিওয়ালাও কিন্তু আমাদের মতোই মানুষ। হ্যাঁ, পাহাড়ে বাঙালির কুৎসিততম পাকিপনার জবাব নেই, সেও সত্যি।
আর ফলোয়িং- টুকলিফাইয়িং.. ধরেছেন ঠিকই। জলে- ডাঙায় রিভাইজ দিয়েছি সপ্তাহখানেক হলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সব পড়ুয়াদের নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিতে চাই - এরাম সরেস লেখা ২ পর্বেই খতম তারাবী মানি না, মানবো না।
আরো লেখা চাই।
ভ্রমন ব্লগ আরো পড়েছি, ভ্রমন রম্য খুব কম। আরো চাই, আরো চাই!
আমি তো আগে থিকাই পরতিবাদের লাইনে খাড়য় গেছি, কিন্তু টেকাটুকা চায় যে!
- একলহমা
আরে ধুরো! চাইছে, দিয়া দেন। খেইল খতম পয়সা হজম।
মুখে মুখেই তো দিবেন রে বাবা। সত্যি সত্যি তো না
আমি গত ১ মাস ১৬ দিন আগে চাকরি ছাইড়া দিসি। ঘরে নাই কেরাসিন। নগদ আসলি লেনদেন ব্যতীত এখন আর কারও কথা হুনুম না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরেএএ, হাচল হয়ে গেছেন দেখছি!
অভিনন্দন প্রোফেসর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভ্রমণের জন্য মন উতলা হলো। চল্ যাওয়া যাক, ব্যর্থ কোনো পরিকল্পনার কান ধরে।
আদনানের ঝিরি ক্যাম্পিং আর ফ্ল্যাশ ফ্লাড অ্যালবামের ছবিগুলো দেখেছো?
আমার তো মাথাই আউলে গেছে!
ল, যাইগা...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শেষ?!
তাহলে তাড়াতাড়ি আবার ঘুরতে যান এবং এমন মজার করেই লিখুন।
পরেরবার বান্দরবন গেলে ১ দিন বেশি সময় নিয়ে বগা লেক ঘুরে আসবেন আর ২ দিন হাতে থাকলে কেওক্রাডং...
কক্সবাজারে অনেক মানুষ যায় কিন্তু কেন যেন আমার বেশি প্রিয় রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই আর বান্দরবন।
দেশ দেখা আর এমন মজার লেখা চলুক।
অনেক ধন্যবাদ স্যামদা। এ মাসের মাঝামাঝিতে রাতারগুলের দিকে একটা শর্ট ঘুরন্তিস দেওয়ার প্ল্যান ছিল। ব্যাটেবলে ফাইনালি আর মিলল না।
সুযোগ হলে আবার নিশ্চয়ই লিখব। উৎসাহ যোগানোয় কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পিপাসা নাহি মিটিল
নাহি মিটিল হায়
হায়, জীবন এত ছোট কেনে...এই ভুবনে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুন লাগলো আপনার ভ্রমণের বর্ণনা। আরও ঘুরুন আর লিখুন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই পর্বটা খতম পর্ব বলার প্রতিবাদে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আঁই কিচ্চি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আর বলবেন না! সেদিন রাত দশটায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কথা। সন্ধ্যা সাতটায় অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন। নীলগিরি, বগালেক, কেওক্রাডং, জাদিপাই ঝর্ণার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ক্যালকুলেটর চাপছি আর ট্রেসিং পেপারে ছাতামাথা ব্রীজের ছবি আঁকছি! হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই সাড়ে ছয়টার দিকে প্ল্যান ক্যান্সেল হয়ে গেল।
আপনার লেখাতো সবসময়ই খাসা!
ঈদের ছুটি আছে তো সামনেই। কিংবা ১৩-১৫, তিনদিনের শিডিউলটা? ঘুরে আসুন।
পড়ার জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরো দুই সচলের সাথে একবার আতকা সফরে গেছিলাম বান্দরবান। সেসময়ে যাওয়া হয়েছিল নীলগিরি। জায়গাটা বেশ।
লেখা যথেষ্ট উপাদেয় হয়েছে।
পাঠ এবং মন্তব্যহেতু অনেক ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার বাড্ডের বাকি আরো দুই মাস। তালি দ্যান ক্যাঁ?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগাম দিয়া রাখলেন তখন হাত ব্যথা হয় যদি
এ ভ্রমন আর কিছু নয় কেবল তোমার কাছে যাওয়া। বু ব র সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট বেলায় বড় ভাইয়ের মাধ্যমে। তিথিডোর আমার প্রিয় উপন্যাস আর স্বাতী আমার প্রিয় চরিত্র। সুধীন দত্তের কবিতা আর তিথিডোরের শ্বাশতী থেকে আমার কন্যার নাম দিয়েছি প্রমিতি শ্বাশতী।
তোমার নামের সাথে সাথে তোমাকেও আমি অনেক পছন্দ করে ফেলেছি। লেখা খুব ভাল হয়েছে। আরো বেশী বেশী লেখা দিও প্লিজ।
শ্বাশ্বতী হবে।
আমি তো ঠিক করে রেখেছি বিয়ে করবই না।
করলেও বাচ্চা পালুম না।
পাললেও তারে জীবনেও গল্পের বই আর কবিতা পড়া শেখাব না। বিশেষত তিথিডোর আর শ্বাশ্বতী তো দুনিয়া উল্টে গেলেও নয়!
অ্যাপার্ট ফ্রম দ্য হার্ড জোক্স, অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথিমনি, কোনদিন মা হলে পরে জানিও কি ভাবছ বাচ্চা কে নিয়ে। তখন মনে হবে কবিতায় গল্পে সে তোমাকেও ছাড়িয়ে যাক। তুমি একটা বিস্ময়, এত কবিতা জান কি করে?
লেখার ইস্টাইলে ।
যাক বিষণ্ণতাটা গেল তাইলে লেখা থিকা। এইবার এরাম আরো কিছু ছাড়ো।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
রাজশাহী ঘুরনের তালে আছি ঈদের পরে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাজকীয় বেকারত্বের রস তখনো থাকলে লিখুমনে।
থ্যাঙ্কস আফা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মজাদার লেখা। এটুকু লিখেই মন্তব্য শেষ করতাম, যদি লেখার শক্তি দেখতে না পেতাম। খুব গোছালো কোন ভ্রমন কাহিনী কিংবা উচ্চ মার্গের কোন রম্য লেখা- শেষ পর্যন্ত কোনটাই হয়ে ওঠেনি, এটা সত্য। কিন্তু তিথিডোর, যদি ইচ্ছে করেন, তবে লেখক হয়ে উঠতে পারবেন, এটা আমার মত অনেকেরই ধারনা। অসাধারণ গদ্য লেখক হয়ে ওঠার অনেক বৈশিষ্ট্য তাঁর লেখায় দৃশ্যমান। এখন বিবেচনা তাঁর; তিনি সেটা হয়ে উঠতে চান কি-না।
এটা একটা খাঁটি কথা বলেছেন।
আর শেষটায় গদ্য লেখক, বৈশিষ্ট্য, বিবেচনা. .. কী কী জানি কঠিন কঠিন কথা-- ঐগুলো পড়ে ডরাইসি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ডরাইলেই ডর, না ডরাইলে কীসের ডর?
নতুন মন্তব্য করুন