''No truth can cure the sorrow we feel from losing a loved one.
No truth, sincerity, strength, no kindness can cure that sorrow.
All we can do is see it through to the end and learn something from it,
but what we learn will be no help in facing the next sorrow that comes to us without warning.''
# Norwegian Wood : Haruki Murakami
_______________________________________
জনকের সঙ্গে আমার বাক্যলাপ নেই, মানে ছিলো না বহুবছর। প্রায় বছর আট। লম্বা সময়.. নয়?
কেন, তার পেছনে কোন বড়সড় কারণ নেই আসলে। সেরকম তারায় তারায় খোদিত কিংবা খোচিত অর্ন্তদ্বন্দের মূল উৎস খুঁজে পাইনি কখনোই। কী ছিল ভিলেন, পিতার চণ্ডাল মেজাজ নাকি আমার অস্বাভাবিক বক্র ঘাড়খানা?
বছরগুলো উড়ে গেছে খাঁচা ভেঙে পালানো পাখির মতো। আমি টেনেটুনে পাবলিক পরীক্ষাগুলোর গণ্ডি পার হই, পোস্ট- গ্রাজুয়েশান শেষ করি, শিক্ষানবিশি শেষে পাকা চাকুরে হই। ছায়ার মতো আমার পাশে থাকেন মা, সাধ্যের চাইতেও অ-নেক বেশি সমর্থন নিয়ে। স্বজনদের কাছ থেকে চাওয়ার আগে বই উপহার পাই, না চাইতেই ভালবাসা। আর্থিক দীনতার রূপ দেখতে হয়নি আমাকে, তেমন করে কখনোই। শুধু তীব্র মানসিক দৈন্য নিয়ে আমার কৈশোরের শেষ সময়টাও পার হয়ে যায়।
মেয়েদের জীবনের প্রথম পুরুষ বাবা বলে হয়তো সেজন্যেই তাবৎ বিপরীতলিঙ্গের ওপর আমার ভরসা রাখার মতো জায়গা তৈরিই হয় না কখনো। বন্ধুদের মধ্যে ফাদার ফিগার খুঁজি অজান্তেই, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে গড়পড়তাভাবে সিনিয়রদের সঙ্গেই।
সর্ম্পকহীনতায় আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়ি, একসময় ফাঁকা ঘরের আরামটাও জিভে টের পাই। পৃথিবীর কোথাও আটকায় না কিছুতেই।
বাতিঘর থেকে কিনে আনা বইয়ের পাঁজায় ডুব দিই, সস্তা সাইবারশটে ইতিউতি ছবি তুলি, রাতজেগে শেষ করা ক্যানভাসে শেষ আঁচড় পড়ে। শুধু ছবি বাঁধিয়ে আনার পর সরাসরি জনকের চোখে পড়বে, এমন কোথাও তা ঝোলানো হয় না।
বয়স যতটুকু বাড়ে, শরীর আর মনের ভারে বৃদ্ধ হয়ে উঠি তারো বেশি। রোজ ঘুমুবার আগে একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে ভাবি, আগামি সকালটা দেখতে না পেলেই বা কি এমন ক্ষতি হবে? কখনো আবার ফুরফুরে মুডে থ্রি কমরেডস কিংবা বিদায় গুলসারির পাতা মুড়ে বাতি নেভাবার আগে মনে হয় কালকের কুয়াশামাখা দিনটায় হয়তো নতুন করে জন্মাবো, নতুন করে পাবো বলে। নাহ, হয় না তাও, পারি না আসলে। ...পেসিমিস্টদের ঈশ্বর থাকে না, তাদের গল্পও এভাবে লেখা যায় না। পেসিমিস্টদের মন থেকে ঈশ্বর একটা সময় পরে আপনা আপনি মরে যায়!'
একখানা ফরেন ডিগ্রি বাগানোর শখ মেটাতে দেশ ছাড়ার জেদ নিয়েছিলাম বছরখানেক আগে। শখের আর দোষ কি, ভিখারিদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করে না একদিনও?
এ গলি থেকে ও গলি ছোটাছুটির দু'মুখো চাপ সামলাতে না পেরে চাকরি ছেড়ে দিলাম একসময়। পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন থেকে শুরু করে অ্যামবেসি ইন্টারভিউ প্রায় একা হাতে সামলে চট্টগ্রামে ফেরার পর বাকি মোটে তিনটে দিন। সচলসুত্রে পাওয়া ঘনিষ্ঠতম বন্ধু- বোনেরা থলে ভরে দিল উপহারে। কথায় কথায় গোপনে চোখ মুছে নেন মা, খালারা অফিস-সংসারের কাজকে কাঁচকলা দেখিয়ে শপিং সারেন, লিস্ট মিলিয়ে দরকারি-অদরকারি সমস্ত জিনিস গুছিয়ে দেন, নানুমণি শক্ত করে হাত ধরে রাখেন..যেন এখনো আমি সেই ছোট্ট তিথী, ছেড়ে দিলেই টুপ করে হারিয়ে যাব ভিড়ে! বড়মামা হাজির হন চেকবই নিয়ে, এত ডিএসএলআরের শখ তোর, বল কোন মডেলটা কিনবি? আমি হেসে ফেলি।
বাবা সবই দেখেন, থাকেন নির্বিকার।
ঠিক শেষমুহূর্তে বড় অদ্ভুতভাবে আমার পিতার মুখাবয়ব বদলে যায়। সবাইকে প্রবল বিস্মিত করে তিনিও বাকিদের মতোই উচ্ছসিত অশ্রুজলের ঝোলাসমেত এয়ারপোর্টে হাজির হন। আমি খর্বকায় মানুষ, কিশোরি কাজিনেরা প্রায় সবাই অলরেডি উচ্চতায় জেষ্ঠাকে ছাপিয়ে গেছে। তবু সাতবোন চম্পার ফ্যাঁচফ্যাঁচানি থামাতে বেগ পেতে হয় বিস্তর! আমার বাবাও আত্মজাকে জড়িয়ে ধরে আকুল হয়ে উঠেন কান্নায়। কিছুই আমাকে বিচলিত করে না, পাথরের মতো মুখ নিয়ে তাঁর পা ছুঁয়ে সালাম করি। তারপর নিজের চাইতেও ভারি দুটো লাগেজ ঠেলে চেক-ইন সারতে ছুটি। বিদায় বলা অনেক ক'টা মুখের কান্নাভেজা হাসি, পেছনে ফেলে আসি...
দুবাইয়ে যাত্রাবিরতির সময় স্ক্রিনে চোখ পড়ে- ঢাকা এখন ২২০৩.৫৯ মাইল দূরে। প্রায় সাড়ে আট হাজার মাইলের দূরত্বে পৌঁছে পয়লা দু'দিন কাটে এক সহৃদয়া বাঙালি তরুণীর বাড়িতে। তারপর নিজের ঘর খুঁজে নেই, সম্বলহীন পরবাসের বরফছুঁয়ে নামা কনকনে ঠাণ্ডায় গনগনে ফায়ারপ্লেস আর কম্বলের আবরণে খোঁজা আরামদায়ক উষ্ণতার সাময়িক আশ্রয়, শুধুই আমার লালনীল সংসার।
নূতন শহরের অচেনা পথে পথ হারিয়ে ঘুরপাক খেতে হয় প্রথম কিছুদিন। বিশাল ক্যাম্পাসে থই খুঁজে না পেয়ে আধ ঘন্টা পেরিয়ে যাবার পর ছুট পায়ে ভারি ব্যাকপ্যাক সমেত হাঁপাতে হাঁপাতে ক্লাসে ঢুকি। রবিবারে যাই গ্রোসারি অভিযানে.. ধুর, ইণ্ডিয়ান স্টোরটা কেন যে এতো দূরে! ফেরার পথে হুডির ফাঁক দিয়ে সন্ধ্যার তারাজ্বলা আকাশের দিকে চোখ পড়ে। অপরিচিত পৃথিবীতে এই একটা জিনিসই চেনা মনে হয় কেন যেন....আমার জানলা দিয়ে একটুখানি আকাশ দেখা যায়।
চায়ের পানি চাপানোর পর ফ্রিজে উঁকি দিয়ে চোখে পড়ে আধখাওয়া কোকের ক্যান আছে, হাফবাটি নুডুলসও। যাক,আজ রাতটা না রেঁধেই পার করা যাবে তাহলে।
আম্মুর রান্না মিস করি অনেক। দেখা হয় ল্যাপির পর্দায়, নিজে নিজেই তিনি এখন স্কাইপেতে লগ-ইন করতে পারেন।
বাবার সঙ্গেও কথা হয় এখন। তিনিও হয়তো সাগ্রহেই ছুটির দিনের এই কথোপকথনের জন্য অপেক্ষা করেন। একদিন মৃত্যুকামনা করেছিলেন যদিও।
প্রায় একজীবনের শূন্যগর্ভ স্মৃতির অপ্রীতিকর অংশটুকুকে ধামাচাপা দিয়ে আমি খুব স্বাভাবিকভাবে গল্প করার চেষ্টা করি। জানাই আজ প্রফেসর হাতে ফ্র্যাকচারসমেত লেকচার দিতে এসে কেমন রসিকতা করেছেন নিজের ব্যান্ডেজ নিয়েই, পরিচয় হয়েছে এক বাঙালি দম্পতির সঙ্গে..পরমাসুন্দরী মেয়েটি বুয়েটিয়ান, তবে আমারই ব্যাচমেট, খিচুড়ির মশলার অনুপাত ঠিকঠাক শিখে গেছি এখন। যত যাই হোক, না খেয়ে থেকো না-- পিতা বলেন। আমি বাধ্য কন্যার মতো ঘাড় নাড়ি..
নিখিলেশ, আমি এরকমভাবে বেঁচে আছি এখন।
আমি বেঁচে আছি অন্যদের সময়ে, অন্যদের জীবনে, অন্যদের চোখে জীবনকে জানার অক্ষম চেষ্টায়। জীবন তো উপভোগের, সত্যি করে কেউ বুঝিয়ে দিতে পারে না-- আমার কাছেই এমন বোঝা বলে মনে হয় কেন, এখনো!
শুরু করার সময় আমার শুধু ইচ্ছা করছিল যাচ্ছেতাই লেখার। হয়তো লেখা যায় আরো অনেককিছু, কিন্তু আমার আসলে কিস্যু নেই আর লেখার মতো। আমার প্রশ্নগুলো উত্তরবিহীন।
অর্থ নয়, বিত্ত নয়, স্বচ্ছলতা নয়-- আমি বোধহয় অন্যকিছু চেয়েছিলাম, মন থেকে চাইতে পারিনি ঠিকঠাকমতো।
শুধু খামোখাই কী যেন একটা আটকে থাকে গলার কাছটায়।
ভুলে যাওয়া শূন্যতা, দলা পাকানো বোকা কষ্ট, মুখোশ পাল্টানো বন্ধুরা আর ট্র্যাশক্যানে ফেলে দেওয়া আটবছর আগের একদিন।
মন্তব্য
কিছুই বলছি না রে তিথী এই পোস্ট নিয়ে এখনকার থমকে থাকা সময় নিয়ে।
কারণ যাই বলি না কেন, তুমি ভাববে আয়নাদি বড্ড বেশি বানিয়ে বলে, বড্ড বেশি আহ্লাদী।
শুধু বলে যাই, এদিন চিরদিন থাকবে না রে বোকা বোনটি আমার! শুভ হোক, মঙ্গল হোক।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
নিয়মিত দেশি- বিদেশি গল্পের পিডিএফ মেইল করতে থাকো, আমিও এত্তোগুলো দুআ করে দেব।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কী অদ্ভুত! কিছুক্ষণ আগেই মনে হচ্ছিলো অনেকদিন তিথীডোরের লেখা দেখি না সচলে। আর ঠিক তখনি ইচ্ছে পুরোনের মত প্রথম পাতায় দেখি লেখা চলে এসেছে। যদিও মন খারাপ করা লেখা, কিন্তু তাতে কি? এটাতো আসলে একটি ভালোবাসারই গল্প।
লেখার সময় ম্যানেজ করতে পারছিলাম না আসলে, অলস তো।
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভারী চমৎকার৷ মন ভালো করে দেওয়ার মতন বিষন্ন লেখা৷
..................................................................
#Banshibir.
কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা পড়ে কেন জানি এই কবিতাটা মনে পড়লঃ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
[ দূরত্ব অনেক হলেও দেখা হয়ে যাবে হয়তো শিগগিরই। তখন বুঝবেন তিথী কী জিনিস! মুহুহুহু। ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইসরাত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তোমার, অনিকেতের লেখার মধ্যে যে বিষন্নতা থাকে সেটাই তোমাদের লেখার সৌন্দর্য. প্রবাসের রোজনামচা লিখতে শুরু কর. তেত্রিশ বছর আগে যখন এসেছিলাম কত অন্য রকম ছিল সব কিছু. তোমরা মা বাবার সাথে যখন ইচ্ছে কথা বলে পারো. কত লাকী তোমরা. আমি দুই বছর পর একদিন কথা বলেছিলাম মা বাবা বোনের সাথে .আর আমার বরের সাথে দুই বছরে একবারও কথা বলিনি. কিন্তু আমার আছে অজস্র চিঠি.
পরের লেখার অপেক্ষায়
আমি তো দিনের অনেকসময় কথা বলেই শেষ করে ফেলি।
একটা ডিলে আসি নীলু আপু, একটা রোজনামচার বিনিময়ে একটা সচিত্র (এবং সহজ) রেসিপি দিতে হবে তাহলে। হেঁশেলের কাজকর্ম ভাল পারি না তো, ভুখা মরার দশায় আছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার লেখায় অনেক অস্পষ্ট কষ্ট আর দু:খবোধ ছিলো, যা ছুঁয়ে গেছে ভিতরের সত্তাকে। মন খারাপ করে দেওয়া একটি ভালোলাগা লেখা।
মাসুদ সজীব
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথী-দিদি, জীবন এক আশ্চর্য! আজকের এই দিন-গুলোও এক সময় সেই সব দিন হয়ে যাবে। একেকটা দিনের নিজস্ব মূল্য কমে আসবে। অনেকগুলো দিনের সমন্বয়ে তৈরী নানা রং-এর একেকটা ফিতে জুড়ে জুড়ে জীবন এগিয়ে চলে। দিনে দিনে বোঝারা হাল্কা হয়। নিজের জীবন আরো অনেক জীবনের কাছে মূল্যবান হয়ে ওঠে। গোটা জীবনটা জুড়ে তখন কত যে ভালবাসার ছড়াছড়ি নজরে পড়ে। যে ভালবাসার আদর অনেকসময়ই হয়ত ঠিকমত করা হয়ে ওঠেনি!
আরো আরো অনেক এ'রকম "যাচ্ছেতাই" লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি ভাবতাম, আমিই বুঝি একমাত্র মানুষ যার শৈশব থেকে শুরু করে প্রবাসে পা রাখার আগের দিনটি পর্যন্ত জননীর দেয়া নীলবিষে বিষাক্ত। বাবা, সন্তানটিকে নিজের ঘরেই এমনভাবে নিপীড়িত হতে দেখেছেন, প্রতিকার করেননি কখনও। বিদেশী ডিগ্রী নয়, স্রেফ বাঁচবার আশায় ঘর ছেড়েছিলাম।
আপনহীনতার নির্বাক কষ্ট বুকে নিয়ে যে কেবল আমিই পথ চলছি না, জানলাম। এভাবেও বেঁচে থাকা যায়, এরচেয়ে বেশীকিছু বলার নেইরে আমার তিথী।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
জননীকে নিয়ে পুরোজীবনে ক্ষোভ শুধু একটাই, আমাকে চারুকলায় পড়তে না দেওয়া। নাথিং এলস।
আদারওয়াইজ, শি ইজ নট বেস্ট। শি ইজ বেটার দ্যান দ্য বেস্ট।
তোমার সঙ্গেও অনেকদিন দেখা হয়না, চারবছর প্রায়!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেলাম লেখাটা পড়ে -এটাই জানিয়ে গেলাম শুধু।
শুভেচ্ছা
পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখাটা প্রথম থেকে যে মুড এ চলছিল তার মাঝে হঠাৎ ফরেন ডিগ্রীর ব্যাপারটা ঠিক যায়না বলে মনে হল। এই প্রসঙ্গটা আনার আগে আরেকটু ভূমিকা দিয়ে পাঠককে আরেকটু প্রস্তুত করতে পারতেন। ধন্যবাদ।
ওহ, দুঃখিত। এমনিতেই আকারে বড় হয়ে গেছে অনেক.. ভাবছিলাম।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তেমন কিছু বলার মত খুঁজে না পেয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে চলে যাই
থ্যাঙ্কিউ দিয়ে যাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কোটেশনে চোখ আটকে গেছিল, বইটা এখন ও পড়ে শেষ করতে পারিনি। লেখা নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছে করছেনা।
আমিও শেষ করিনি। হাতে এখন আরো দুটো বই-- The Secret Life of Bees [ইউনি লাগোয়া পুরোনো বইয়ের দোকান থেকে তিন ডলারে কেনা] আর মীনাক্ষী দত্তের 'বুদ্ধদেব বসু ও তার সারস্বত গোষ্ঠী' [পিডিএফ, নীলু আপুর কাছ থেকে নেওয়া]।
সময় পাচ্ছি না আসলে। সো মেনি বুকস, সো লিটল টাইম দশা আর কী।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঘোর লাগা লেখা।
অনেক দিন পরে লিখলেন
তাহসিন রেজা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ তাহসিন ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঘ্যাচাং।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আ-আ-আ-আ-আ-ট বছর! আমার খুব উলটো দিকের গল্পটা জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।
তোমার এবং আর আর বিষাদ-দূতদের লেখা পড়ার সবচে বড় সমস্যা হল মনের গলি ঘুপচিতে লুকিয়ে থাকা নানান পর্যায়ের মন-খারাপীদের ডাকাডাকি শুরু করে। আর সে লেখা যদি সকাল সকাল পড়তে হয় তাহলে সে ঝামেলা সমস্ত দিনের জন্যই বরাদ্দ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
লেখার জন্য ওয়ার্নিং দিয়েছিলেন, পোস্ট দিয়েছি।
এখন কথা কম বলে দু-চার পয়সা ছাড়েন। টেকাটুকার বড় টানাটানি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
।
হায় হায়, এডিট করতে গিয়ে মন্তব্যই মুছে দিয়েছেন দেখি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কোটেশনটা ভালো লাগলো। লেখার ব্যাপারে নতুন কিছু বলার খুঁজে পাচ্ছিনা। তয় অনেকদিন পর একসাথে সচল পাতায় দেখা হতে ভাল্লাগ্লো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বইটা পড়ে ফেলো পারলে, বইপড়ুয়াতেই আছে ডাউনলোড লিঙ্ক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
[ ]
এমন লেখা পড়লে লেখালেখি ছেড়ে দিতে ইচছে হয়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বপ বপ। পসা কথা বলতে হয় না। মডু মাব্বে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধুরো
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ছিঃ, থ্রি ডাইমেনশনাল কবিরা এত অল্পেই হাল ছেড়ে দেয় নাকি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন খারাপ নাকি? ধেত্তেরি গান শোন এইবেলা......
বলি বালিকে, এমন দুখ জাগানিয়া লিখা কোথা থেকে শিখেছ?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
মন না, কালরাতে ব্যাপক মেজাজ খারাপ ছিল আসলে। এক প্যাকেট পাস্তা কষ্ট করে রাঁধার পর আবার কষ্ট করে ফেলে দিতে হয়েছে।
এখন সুচিত্রা ভট্টাচার্যের 'এখন হৃদয়' পড়ি', প্রতিভা বসুর সেরা গল্প' নামালাম, আরো একটা পিডিএফ আছে- সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ'... হাত ভরা বই!
হু কেয়ারস হেল ডেডলাইন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পাস্তা খেতে ভালু পাই। ফেলছ ক্যান? আমারে পাঠায় দিতা।
জেবন মানে হল খালি আউট বই পড়া, বুঝছ?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আম্রিকা থেকে ফিনল্যান্ডে সেদ্ধ পাস্তা পাঠানোর বুদ্ধি দিলে!
টিনটিনের সেই গাইয়ে মহিলা কাস্তাফিওরের কথা মনে আছে তো?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আবার জিগস
আমরা আমরাই তো, এমন কর ক্যান, পাঠায় দাও।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
টিকেট পাঠাও বরং, আমিই চলে আসি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হে হে হে, ওয়েলকাম টু দ্য হা-হুতাশ লাইফ!
প্রথম কয়দিন খারাপ লাগবে, সবসময় চোখের সামনে খালি আন্তঃমাত্রিক দরোজা দেখতে পাবেন, যার ঠিক ঐ পাশেই বাংলাদেশ, আপনার বাড়ি, পরিবার। একাকী নির্জন কোনো রাস্তায় হাঁটছেন? হুট করে দেখবেন, রাস্তাটা হঠাত পরিচিত ঠেকছে। আপনার বাড়ির ঠিক পাশের রাস্তাটাই তো এটা! কারো মুখে নিজের নামে ডাক শুনে চমকে ফিরে তাকিয়ে দেখবেন কেউ নেই! আপনার বান্ধবী মোসাম্মৎ কুলসুম এখন দেশে, আর আপনি হা-হুতাশের দেশে রেগুলার কয়েক ডোজ হামহাম খাচ্ছেন!
তবে, ব্যাপার না। আশার কথা হলো, এইটা সাময়িক। মাস খানেক গেলেই দেখবেন ধাতস্থ হয়ে গেছেন। আর তারপর যা ঘটবে সেটা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
আর হ্যাঁ, শব্দটা 'দৈন্যতা' না, 'দীনতা' অথবা 'দৈন্য'। বানানসতর্ক একজনের এমন 'পুওর মিস্টেক' করলে চলে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাস অলরেডি গড়াতে বসেছে, কিছুটা ধাতস্থ হয়ে উঠেছি। বাকিটুকু ইয়া হাবিবি ভরসা।
তবে প্রকৃতপক্ষে, নিজের যাবতীয় কাজ নিজে করা [ যাকে বলা চলে cost of independence আর কী, হে হে ] আর ডেইলি অখাদ্য- কুখাদ্য সব অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার বেদনাময় অংশদ্বয় ব্যতীত আপাতঃ পরবাস জীবন আনন্দময়।
এরকম ভুল করা অবশ্যই ঘোর অনুচিত। ধন্যবাদ, ঠিক করে দিলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন খারাপ লাগলে এদিকে এসে পরেন। বাসাটা আসলে ক্যাম্পাস থেকে বেশী দূরে হয়ে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল অফিস থেকে প্রায়ই ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে টু্যর এর আয়োজন করে, ঐগুলোতে পারলে ঢুকে যেয়েন।
লস অ্যালামাস ঘুরে এলাম তো ভাইয়া এক উইকেণ্ডে। আর বাসা বদলে ফেলব পারলে এ মাসেই।
এনএমে অনেক বাঙালি আছেন দেখা যাচ্ছে, নানা বয়সী সুবেশি তরুণীকূল দর্শনের সম্ভাবনায় আপাতত বিমলানন্দিত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন বিষণ্ণ করে দেয়া লেখা- ভালো লাগে।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মন ভাল করার মতো কিছু লেখা আমার ধাতেই নেই।
গল্পকারকে ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন