বাড়ির পাশের আরশিনগরে খেতে গিয়েছিলাম সেদিন। পরের পয়সায় অবশ্য। এক ভগিনীর সঙ্গে ওইদিনই প্রথম দেখা। ওহ, তুমিই তাহলে সেই, বইপড়ু্যা নামে কী একটা গ্রুপে নাকি অনেক পোস্ট- টোস্ট দাও। আমার হাসব্যান্ড বলছিল একদিন।
এটা আসলে পাস্ট টেন্স। দিই নয়, দিতাম। একদা এলোচুলে কোন ভুলে ভুলিয়া, আসিয়াছিল সে আমার ভাঙা দ্বার খুলিয়া-- এরকম আর কী।
একগাদা বই পড়ে আছে আপাতত বেডসাইড টেবিলের ওপর। ছোট্ট ঘর, সে অনুপাতেরই টেবিল। তার ওপরেই নির্বাসিতের ক্ষীণকায় রত্নভাণ্ডার। এরমধ্যে চারটা বই ক্যানাডা থেকে উড়ে আসা, জোহরা আপুর উপহার। উল্টানো তো দূর, প্রথম পাতায় আজীবনের অভ্যাসমত নিজের নামও লেখা হয়নি। সময় পাইনি আসলে।
সময় জিনিসটা বড্ড ব্যাদ্দপ। দুপদাপ দৌড়ে কিভাবে কিভাবে যেন ডেডলাইনগুলো কাছে এনে দেয়। দিব্যি ফেসবুকে সুন্দরী ললনাদের ছবিতে লাইক দিয়ে নেকি কামাচ্ছি, গুডরিডসে ভরছি রিভিউ, মনের সুখে ক্যানভাস আর রঙের ডিব্বা কিনে কাকব্যাঙবাঁদর আঁকছি, আয়েশ করে গাজর চিবুতে চিবুতে দেখছি প্রদীপের কেরামতি, হঠাৎ মেইলবক্সের পুরোনো পেমালাপের দিকে নজর গেলে মনে পড়ে.. ওরেএএ-- আমার সোনার ধানে গিয়েছে ভরি, মানে আজ তো ২০ তারিখ। কাল সক্কালেই গুরুদেবের পদতলে আতপ চালের সিন্নি চড়াইবার শেষদিন, এখনো তো চালই কেনা হয় নাই। এইবার? রান বেবি রান।
শেষ মুহূর্তে খোঁড়া পায়ে কতটুকুই আর দৌড়ানো যায়, কন?
তাও দৌড়াই। সময় বাঁচাতে ব্যাকইয়ার্ডের দরজা গলে বের হই। বাস মিস হয়ে গেলে মুশকিল, এই শুঁটকিপোড়ানো রোদের মধ্যে ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আবার। পাশের কটেজের থুড়থুড়ে বুড়ি রাতদিন পড়ে থাকেন বাগান নিয়ে। আসা-যাওয়ার পথে চোখাচোখি হয়ে গেলে উজ্জ্বল হাসি দিয়ে হাত নাড়েন-- হ্যালো লিটল প্রিটি নেইবার!
শুধু প্রিটি কইলে আম্মো একটা নিখাদ হাসি দিতুম, সঙ্গে আবার লিটল লাগায় কেন? দিস ইজ নট রেসপেক্টফুল!
হেসে ফেলি তাও। ভোরের পয়লা কথোপকথনের সঙ্গী তো বটে। আপাতত, একমাত্র।
থাকগে, অপ্রথম অশ্রপাতের কাহিনি থাক। বই নিয়ে সবচেয়ে সুখকর স্মৃতিটা বলি বরং। সচলসুত্রে পাওয়া গোটা তিন জুনিয়র ভক্ত আছে আমার। আরো জমিয়ে বলতে গেলে ছোট ভাইবোনের মতোই, কারণ মোটামুটি তিনজনই আমার একমাত্র ভাইয়ের সমবয়সী। এই তিন পিচ্চি গত জন্মদিনে বোধহয় টিউশনির পয়সা জমিয়ে কিনেছিল শহীদুল জহির সমগ্র। অ্যায়সা মোটা। তারপর আমার ভ্রাতের হাতে সেটা পৌঁছে দিয়ে বলেছিল, ঠিক রাত বারোটায় যেন আমাকে বইটা দেয়া হয়। টায়ার্ড ছিলাম সেদিন, শুয়ে পড়েছিলাম তাড়াতাড়ি। কাঁচা ঘুম ভেঙে দরজা খুলে মোড়কটা হাতে পেয়ে বিস্মিত হয়েছিলাম খুব। আনন্দিতও। তার চাইতেও অনেক বেশি হয়েছিলাম বিব্রত।
এত অযাচিত, অসামান্য মনোযোগের আসলেই কি আমি যোগ্য?
উইকেন্ডে টেইক হোম এক্সামের মাঝে দম নিতে বসে নিজের সঙ্গে নিজের কথা বলার জায়গা হিসেবে সচলে লগাই। আবজাব ব্লগের প্রিভিউ দেখতে দেখতে ফের পুরোনো ফিওরি মাথায় আসে। খুব সম্ভবত বাংলাভাষার বিপদজনক অক্ষর হলো ব।ব' তে ব্যাচেলর [মানে স্নাতক আর কী, আবিয়াইত্তা বোঝাইনি ] এরপর বেকারত্ব, তারপর বিবাহ, বাচ্চা.. মানে মোটামুটি চিরজনমের বেদনার শুভ সুত্রপাত!
বেদনা বানানও ঐ ব দিয়েই শুরু.. আর ইয়ে, ব'তে বুড়োও হয়। দাড়িওয়ালা একজন। ভয়ঙ্কর সুদর্শন তরুণও ছিলেন একসময় অবশ্য। ডাকনাম রবি। কিন্তু সন্দেহ হয়, আসলেই রক্তমাংসের মানুষ ছিল তো? নইলে বাংলাভাষায় যতকিছু ভাবা যায়, যতকিছু বলা যায়-- সবকিছু লিখে গেছেন কিভাবে?
বাকি আছে কিছু আর?
ব তে বাড়িও হয়। সেন্ট্রাল পেরিয়ে স্যান মেটিও নামের কোন একটা জায়গায় ৮১৬ নং বাড়িটা নয়, মাস তিন ধরে আমি যার বাসিন্দা। মাঝেমাঝে আরেকটা বাড়িতে ফট করে চলে যেতে ইচ্ছে করে। এখন তো বিশ্বায়নের যুগ, সে হিসেবে দূরত্ব খুব বেশি না আসলে, এই হাজার কয় মাইল!
চারতলা কটকটে লেবুরঙা একটা বাড়ি, ঝুম বৃষ্টি হলেই যে বাড়িটার সামনের রাস্তাটা পানিতে ডুবে যায়, বেল বাজালে এবার এসএসসি দিয়েছে এমন এক কিশোরি, আমার বোনটা দৌড়ে আসে দরজা খুলে দিতে.. যে দেয়ালের ক্যালেন্ডারগুলোতে সবগুলো মাসের পাতায় ১৬ তারিখ গোল করে দাগানো।
ঐ তারিখে আমি বাড়ি ছেড়েছিলাম বলে।
মানুষের শরীরের মন অংশটা ডিফেকটিভ আসলে। যখন-তখন খারাপ হয়ে যায়।
মন্তব্য
দিলেন তো মনটা খারাপ করে ...
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
সেটা তো সেই ১৯৫৩ সাল থেকেই করে আসছি মনে হয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সে আর বলতে!
ভাল থাকিস রে, অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
আগস্টে দেশে যাইতাসেন, আবার কন ভাল থাকিস রে...
দুইন্যায় কোন ইনসাফ নেই আসলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
facebook
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন একটা পুরাই ফালতু ব্যাপার!
লেবুরঙা বাড়িটা তোমার অপেক্ষায় আছে, ফিরবে কবে বলতো?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
♪♫ ..ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা/ যা-কিছু পায় হারায়ে যায়, না মানে সান্ত্বনা..
সুখ-আশে দিশে দিশে বেড়ায় কাতরে-- মরীচিকা ধরিতে চায় এ মরুপ্রান্তরে/ ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে-- কাঁদে তখন আকুল-মন, কাঁপে তরাসে।
হ, মন জিনিসটা ফাউল।
আন্ডু খেলে এই সেমিস্টার শেষেই ফিরে যেতে হবে, সে সম্ভাবনাই প্রবল!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন যতদিন বাক্সবন্দি ততদিন সে খারাপ ভালো
ঠিক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
- এর গল্পটা সবাই জানে কি না কে জানে! সে গল্পটা সকল পাঠকের জানার অধিকার আছে, তবে 'উপযুক্ত কপিরাইট' আমার আছে কি না নিশ্চিত না হওয়ায় নিজে সেটা এড়িয়ে যাচ্ছি
সে বাড়িতে ফিরে আসার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তোমার দিনে দিনে কেবল তীব্রতর হোক, এ কষ্টটা বজায় থাকুক- আর কী চাওয়ার থাকতে পারে?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
পাঠকদের সুবিধা করে দিই তাহলে।
দিস ইজ নট রেসপেক্টফুল-- এই অমর বাণীর কপিরাইট প্রিয় সচল তাসনীম ভাইয়ের বিখ্যাত পরীর ছানাদের।
ছানাদের জনক অবশ্য জীবনের ক্রুরতর ব্যস্ততার অভিশাপে অনেকদিনের আধাখ্যাঁচড়া লেখাটাও শেষ করার সময় পাচ্ছেন না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মনটা বিষণ্ণতায়, আপনায় লেখায় টাইপো আছে, বিষণ্নতা=বিষণ্ণতা, হ্যাঁ, বলছিলাম, মনটা বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেেল বটে, তবুও বলি,
এ মানব জনম এক পরম পাওয়া ! প্রতিটা মূহুর্ত বাঁচার আনন্দ উপভোগ করো। বাঁচার মতো বাঁচো। মন যখন যা চাইবে তাই করো । এ মানব জীবন বড়ই অনিশ্চিত। পর মুহূর্তে বেঁচে থাকব কিনা সেটাই অজানা। আমি বলি, মানব জীবনে ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। আছে অতীত আর চরমতম সত্য হচ্ছে বর্তমান, মানে ঠিক এই মুহূর্তটি । এ জগতে কে কবে আগামীকাল দেখেছে!
ভাল থেক। আনন্দে থেক। (বয়সের দাবিতে তুমি করেই লিখলাম)।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সারাদিনের আকামকুকাম শেষে তাড়াহুড়োর লেখা পোস্ট করেই সোজা ঘুম, খেয়াল করা হয়নি। ঠিক করে দিলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কেমন মুড়মুড়ে মন খারাপ করা লেখা। সঙ্গের ছবিগুলোও অত্যুত্তম।
গোঁসাইবাবু
বহুবচন কেন, ছবি তো একটাই।
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অপূর্ব লেখা
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুকি তবে বড় হলো বুঝি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বড় হওয়ার বয়স তো অলরেডি শেষ। এখন বুড়ো হচ্ছি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বড়ভাই যখন গ্রাম ছেড়ে প্রথম শহরে চলে যায় পড়াশুনার জন্য, ছোট্ট আমি তখন তার যাওয়ার তারিখ, বাস নাম্বার সব লিখে রেখেছিলাম। কমিউনিকেশন এতো ভালো ছিলোনা যে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে ঠিক মতো পৌঁছেছে কিনা। তাই বাস নাম্বার লিখে রাখা। পরের দিন বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে খবর নিতাম বাস পৌঁছেছে কিনা! প্রতিবার সে যাওয়ার সময় এটা করতাম আমি। আপনার বোনের ক্যালেন্ডার দাগানো পড়ে মনে পড়লো।
ভালো লেগেছে।
-দেব প্রসাদ দেবু
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খাওয়ার গোপ্পো মনে করে পড়লাম, অথচ কোনো ছবি নাই খাওয়ার!!!
রাইসকুকারে ঠিকমত ভাত রান্না শিখতেই আমার পাক্কা এক সপ্তাহ লেগেছে, ভোজ্যের ছবি দেই কোন সাহসে!
পড়ার জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগামীতে আনন্দের পোস্ট দিবেন। এত এত বিষন্নতার পোস্ট দিলে, অনেক দিন পর স্মৃতিকাতর হয় দেখবেন, স্মৃতির ভান্ডারে কেবলই মন খারাপের ম্যাঘ।ঃ)
গতকাল হিমু ভাইয়ের পুরোনো লেখাগুলো পড়ছিলাম। এটা মন খারাপ করিয়ে দিয়েছিল আসলে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা ...
সেন্ট্রাল পেরিয়ে সান মেটিও ভূগোল কি নিউ মেক্সিকো?
হ্যাঁ, এনএমেরই বাসিন্দা আমি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলে বোধহয় চলছে বিষন্নতার উৎসব । গত কয়েকদিনে দেখছি সবাইকে বিষন্নতাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে স্মৃতির ফেরিওয়ালা হয়ে। মানুষ বোধহয় মাঝে মাঝে বিষন্ন হতেই ভালোবাসে । আপনি সবগুলো বিষন্নতাকে ছাড়িয়ে গেছেন, আপনাকে তাই বিষন্ন একখান শুভেচ্ছা দিলাম। ভালোথাকবেন, বিষন্নতা আর দীর্ঘশ্বাসের গল্প বলে যাবেন।
মাসুদ সজীব
হাহা। বিষন্নতা আর দীর্ঘশ্বাসের গল্প বলে যাবেন-- এই বদদুয়া দিলেন রে ভাই! কিছু হৈলো?
মন্তব্যের জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বাহ। এরকম ব্লগ পড়তে আরাম লাগে। যদিও ফেসবুকের কল্যাণে কিছু কিছু আপডেট আগেরই জানা। প্রবাসজীবন যথাসম্ভব নির্ঝঞ্ঝাট হোক। বাস যেন কখনও মিস না হয় আর মাথার পাশের বইগুলো যেন সব পড়া হয়ে যায়, না হলেও অন্তত প্রথম পাতায় নিজের নাম লেখার সময়টা যেন হয়! হাহাহা। ভালো থাকবেন।
ফেসবুক ছেড়ে দেব একেবারে, খাড়ান। ব্লগের প্রাইভেসিও নষ্ট করে দিচ্ছে। নট ফেয়ার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বই পড়ুয়া মেয়েটা ব'তে বই লিখলো না কেন র্যা??
বেশি বেশি ক্যাণ্ডি চাবা বিশেষ করে ডার্ক চকলেট।
দেখবি মন খারাপ বাপ বাপ কয়ে জানলা ভেঙে পলাচ্ছে, পমিজ!
জোহরাপু কেমন আছেন রে? ওর জন্য শুভকামনা।
আর তোর জন্য মেঘেদের খামে ভরেএকরাশ আনন্দ পাঠালুম।
লেখাটা সেইরাম ভালু পেলুম
সকাল-বিকেল বাঁশ খাওয়ার চোটে বই পড়ার সময় পাই না তো আফা।
তার ওপর আছে মুখবই, পুরাই একটা অভিশাপ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গুড কুয়েশ্চেন!
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
বাংলা বই তো সব বাইত্তে, দেশে।
আংরেজিতে ইয়েসনোভেরিগুডের বেশি পড়তারিনা আসলে। এবার খুশ?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সেই ভদ্রমহিলা তো তোমাকে লিটল প্রিটি বলেছে আমার তো এই লেখা পড়ে তোমায় গাল টিপে আদর করে দিতে মন চাচ্ছে ভাল থাক অনেক তিথীমনি .
তোমার গুল্টামিয়াকে আমার হয়ে গাল টিপে দিও।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লিটল প্রিটি শুনেছ, আবার মন খারাপ কিসের হে! খুব ভাল আছ এখন, বুঝেছ! বুঝবে, বুঝবে পরে পরে সব বুঝবে!
লেখা পছন্দ হৈচ্চে। ৫ তারা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বুঝবে, সেদিন বুঝবে..
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, অস্তরবির সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে-- এরকম অবস্থা আর কী।
মন্তব্যের জন্য এত্তগুলা ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে? ইনি আবার কিনি? যাক শেষমেশ পাওয়া গেল পাঠকদের জন্য লেখা।
খুকির আবার
, তাও আবার তিন পিস????
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নিযমিত বিরতিতেই তো আবজাব ছাড়ি।
জ্বি মাদমোয়াজেল, তিন পিস। আমার গোটা চার পেমিকও আছে (রবি, সুকুদা, জীবনবাবু আর আবুল হাসান)। কবি কয়েছেন-- অধিকন্তু না দোষায়। হে হে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রবাসের সেই প্রথম দিককার দিনগুলো।
বিষন্নতার মেঘে মোড়া থাকতো সারাদিন।
তোমার লেখা পড়ে নিজের কথা মনে পড়ে গেল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
কাল নিবিড়ের পুরোনো এক লেখায় পড়া একটা কবিতা মাথায় ঢুকে গেছে হঠাৎ। একটা মোটামুটি ভাল অফিসিয়াল খবর পেয়েছি আজ দুপুরে, দিনটা মন্দ কাটেনি বলা চলে.. তাও তাড়াতে পারছি না মগজ থেকে। দিয়ে দিলাম এখানে--
'ভালবাসা চিরকাল আমার কাছে অজ্ঞাত রয়ে গেছে ;
চীনা অক্ষরের মত চিত্রময় কারুকাজ, অথচ অজানা
দুর্বোধ্য ভাষায় এক শব্দহীন গভীরতা যেন।
এমন রহস্যঘন আর কিছু বর্ণমালা দেখিনি জীবনে
অচেনা শহরে কোন বন্ধ দরজার কাঁচে, জটিল রেখায়
কার যেন ছায়ামুখ কিছুক্ষণ ভেসে উঠেছিল।
এখনো আশ্চর্য ভাবি, সেদিন কি কাঁচে লেখা ছিল 'স্বাগতম'?
অথবা কঠিন সেই শেষ কথা- 'প্রবেশ নিষেধ'?
মনে দ্বিধা ছিল, তাই আবার ফিরেছি একা পথে।'
বহুদিন পর মন্তব্যে ফেরার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন