আরাফ ছেলেটা ছোট-ই, বয়স এগার।
ও অবশ্য একটু কায়দা করে বলে-- সাড়ে এগার।
কিংবা কেউ বয়স জানতে চাইলে বাবার মতো গটমটে গলার স্বর বানানোর চেষ্টা করে বলে-- আম ইলেভেন প্লাস নাও।
অবশ্য ছোটকা আশেপাশে থাকলে এরকম বলার চেষ্টা না করাই ভাল আসলে। কানে গেলেই পিত্তি জ্বালানো হাসি দিয়ে বলবে-- আই সি। ইলেভেন প্লাস? ম্যাথের উইকলি টেস্টে তো ফি বার কমপ্লেইন নোটসহ খাতা ফেরত আসছে। তায় আবার প্লাস লাগানো হচ্ছে!
আচ্ছা, নাহয় ও অঙ্কে একটু উইক-ই। তা সেটা হাটেমাঠে সবসময় মনে করিয়ে দিতেই হবে!
ছোটকা অবশ্য ওরকমই। দিদানি বলতেন-- খামোখা এঁড়ে তক্কো না করলে ও ছোঁড়ার পেটের ভাত হজম হয় না।
একবার তো, ও তখন আরেকটু ছোট ছিল-- দাদাভাইয়ের সঙ্গে সে কী ঝগড়া! কী না, উনি বিদেশে চলে যাবেন, এক্কেবারে! এ দেশে নাকি কিচ্ছু হতে নেই, হয় না, হবেও না কখনো। দেশটার কাঠামোর আগাগোড়ায় ঘুন ধরে গেছে একেবারে!
বড়দের যত শক্ত শক্ত কথা। কাঠামোটা আবার কী জিনিস? আর ঘুণ? ও তো ক্যামন যেন পোকা একটা, কাঠের আসবাবে ধরে আর কুরে কুরে খেয়ে ফেলে ভেতরের সবটুকু। দিদানির শখের দেরাজটাতে ঘুণ ধরেছিল, রোজ ময়লাটে কাঠের গুঁড়ো পড়ত ঝরে ঝরে। ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে জাকিয়ার মা বুয়ার সে কী গজগজানি! তারপর তো একদিকটা ভেঙে পড়েই গেল একদিন। দাদাভাই মন খারাপ করেছিল বেশ, চুপচাপ ছিল সারাদিন। গতবছর দিদানি মারা যাওয়ার পর অবশ্য দাদাভাই অনেক চুপচাপ হয়ে গেছে এমনিতেই।
আচ্ছা, বিদেশ কেন যেতে চায় ছোটকা?
বড় খাম্মুরা থাকে বিদেশে, মানে অস্ট্রেলিয়ায়। পার্থে। ও যখন প্রথম শোনে, তখন ভেবেছিল আর্থ। পৃথিবী।
তিয়ানাপু আর উৎস ভাইয়া-- খাম্মুর ছেলেমেয়ে। অনেক মজা করে ওরা, ছবিও দেয় সেসবের। হ্যালোইনের কুমড়ো ভূত, ক্রিসমাসে তারাজ্বলা আর খেলনায় সাজানো গাছ ,বরফে স্কেটিং। ছবির মতোই ঝকঝকে সাজানো জায়গায় তোলা ছবিগুলো সব। বাবা ডেকে দেখায় মামনিকে।
আরাফের তো আর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই, ও মামনির পাশে বসেই দেখে, চোখটোখ সব বড়বড় করে।
কিন্তু ঈদ? এখানে ঈদে কত্তো মজা, কত্তো মানুষ, কত্তো মেহমান।
এইটুকুনি যে মানুষটা, আদৃতা --ওর পুতলা ছোট বোনটা, তার জন্যেই কেনা হয় কতগুলো ফ্রক। চাঁদরাতে বড়মা ওদের সবার পছন্দের খাবারগুলো নিজ হাতে বানিয়ে পাঠান ক্যারিয়ারে থাকথাক সাজিয়ে। বাবার বন্ধুরা আসেন বেড়াতে। মামনির কলিগরাও।
তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ফকির এলে নাশতা খেয়ে যায়, নিদেনপক্ষে একটা মিষ্টি। বলা আছে দারোয়ান চাচাকে।
আর ওদের? ওদেশে তো ছুটিই নেই ঈদে। ইস্কুল, অফিস--সব থাকে খোলা!
খাম্মু বলছিলেন মামনিকে--বুঝলি বিপাশা, বাংলাদেশ ছাড়া আসলে কোথাও ঈদ হয় না।
তার মানে ঈদীও পায় না উৎস ভাইয়া।
আহারে!
এমনিতে তো কক্ষনো নগদ টাকা দেওয়া হয় না ওর হাতে। ঈদীর টাকাগুলোও অবশ্য বাবাকে দিয়ে দিতে হয় রাত্তিরের মধ্যেই। যখন অনেক বড় হয়ে যাবে আরাফ, তখন আবার পাবে হাতে। ইচ্ছেমতো খরচ করার জন্য।
আরাফ খুব জলদি বড় হতে চায়।
শুভ ভাইয়ার মতো সব সাবজেক্টে এ পাবার মতো বড়, যাতে প্রগ্রেস রিপোর্ট দেখে মামনির মুখ অন্ধকার না হয় আর।
ছোটকার মতো বড়, যাতে অনেক দেরিতে বাড়ি ফেরা যায়, রাত জেগে টিভিতে ফুটবল ম্যাচ দেখা যায়, ইচ্ছেমতো গেমস খেলা যায় ঘন্টা পেরিয়ে।
কেউ কিস্যু বলতে পারবে না।
কিন্তু বড় হয়ে বিদেশ যেতে চায় না ও মোটেই। এই তো এখানেই আছে সবাই-- জেঠু, রাঙামা, অভিমামা, ইউশা ফুপ্পি।
আর আদৃতা।
কেমন গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে শিখছে কেবল ফোকলা পিচ্চিটা, ওকে রেখে অত্তদূরে চলে যাবে আরাফ? পাগল!
এহহে, টিভিতে কার্টুন শুরু হবে এখুনি। দুদ্দাড় পায়ে সেদিকে ছোটে আরাফ। বড়রা কেউ টের পাওয়ার আগেই রিমোটটা দখল করতে হবে তো! ছোট হওয়ার অনেক ঝামেলা, আসলেই!
এজন্যেই তো এত্ত বড় হবার শখ ওর।
আরাফ জানে না, বড় হবারও অনেক কষ্ট। বড় হয়ে গেলেও ঝামেলা থাকে অনেকই।
ও আসলেই ছোট্ট-ই এখনো।
সেজন্যেই জানে না, ছোটবেলার স্বপ্ন আর ভাবনাগুলো বড় হতে হতে কত বদলায়।
ছোটকার মতো করে একদিন হয়তো বদলে যাবে ও নিজেও।
মন্তব্য
গল্পটা ছোট্ট এবং সুন্দর , টু বি প্রিসাইজ গল্পটা ছোট্ট এবং সুন্দর।
সবচে ভালো লেগেছে ছোটকা, দাদানি, দাদা ভাই এইসব মিষ্টি শব্দগুলান, কেমন নস্টালজিক !!!!
মিষ্টি লেখাটা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম মন খারাপের কারবারি না শেষটায় মন খারাপ করে দেয়, এবং যথারীতি পড়া শেষে আমার জলজ মন
তবু বলি এমন মিষ্টি লেখা আরো পড়তে চাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ভেবে গল্প বানানোর মতো সময় পাইনি আসলে। এক সহ-সচলের জন্মদিন কাল, সেজন্য তাড়াহুড়ো করে লেখা।
ধন্যবাদ তাহসিন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নিজের নামের গল্প দারুণ লাগলো। কষ্টের ছাপও আছে।
সত্যিই খুব ভালো। শুভকামনা।
--আরাফ করিম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আরাফ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বয়স বাড়া মানেই যেন দু:খ জমজামট ।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
হাচলত্বের অভিনন্দন।
____________________________
...বড় হওয়া অনেক কষ্টের। বড় হলে শুধু মরে যেতে ইচ্ছে করে।'
হাচলত্বের অভিনন্দন মাসুদ ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হাচল হইলে কি কি সুবিধা হেইটা কন আগে, বিনা লাভের অভিনন্দন আঁই ন লই ।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
আমিও বিজনেস গ্রাজুয়েট, বিনা ফি'তে কাউকে সুবিধা- অসুবিধা বাতলে দিই না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দারুণ লেগেছে।
গোঁসাইবাবু
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছুডুবেলায় বড় হইতে চাইতাম শুধু রাতের বেলা গান শোনার জন্য।বড় ভাইদের মতো আমিও গান ছেড়ে অংক করতে চাইতাম,গান ছেড়ে ঘুমাতে চাইতাম। এখন গান শুনি রাতের বেলা তবে উলটো কারনে,অন্য কারনে…...
কই জানি দেখছিলাম "Don’t Grow up. It’s a TRAP"। আফসোস ছুডুবেলায় বুঝি নাই
-----------------------
আশফাক(অধম)
When we are children we seldom think of the future.
This innocence leaves us free to enjoy ourselves as few adults can.
The day we fret about the future is the day we leave our childhood behind....
― Patrick Rothfuss : The Name of the Wind
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আগে আমি আরাফের মতোই ভাবতাম।
কিন্তু ছোটকার মতো আমারও এখন মন বদলে গেছে।
মনের কথাগুলো লিখেছেন তিথীডোর। ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন।
অনেক শুভকামনা জানবেন।
-------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কঠিন বাস্তব, বড় হয়া কোন লাভ হয়নাই। হুদাই!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হ। বড় হওয়া একটি ভ্রান্ত্র ধারমা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার ছেলে এই তো কালকেই বলছিল কবে যে বড় হবো! অনেকক্ষণ মনিটর দেখতে পাবো! আমি বললাম, ছোট আছিস ভালো আছিস, বড় হওয়া অনেক কষ্ট।
তাই তো - এই বয়সটাতে মনে হয় ঐ তো জীবন হাত বাড়িয়ে ডাকছে, বলছে - বড় হও, সব পেয়ে যাবে। হায়! বড় হয়ে গেলে দেখা যায় জীবনটা কখন যেন ঐ ছোট বয়সটাতে ফিরে গিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে - যেখানে আর কখনো ফিরতে পারবো না!
গল্পে
____________________________
অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর।
আপনিই তো বোধহয় শিগগিরই দেশ ছাড়ছেন?
প্রবাসজীবন মঙ্গলময় হোক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
____________________________
গল্প হিসেবে দেখলে খুব একটা ভাল লাগে নাই। আপনার বিষণ্ণ লেখাগুলাই আমার বেশি ভাল্লাগে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হুমম, গল্প হিসেবে বেশি জুতের হয়নি তাহলে। এক সহ-সচলের জন্মদিন কাল, সেজন্য আসলে তাড়াহুড়ো করে লেখা।
বিষণ্ণ ঘ্যানঘ্যানানি আসবে নে আবার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কার জন্মদিন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মর্ম ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"আরাফ জানে না, বড় হবারও অনেক কষ্ট। বড় হয়ে গেলেও ঝামেলা থাকে অনেকই।
ও আসলেই ছোট্ট-ই এখনো।
সেজন্যেই জানে না, ছোটবেলার স্বপ্ন আর ভাবনাগুলো বড় হতে হতে কত বদলায়।
ছোটকার মতো করে একদিন হয়তো বদলে যাবে ও নিজেও।"
মনে হ'ল এই কথাগুলি বলবার জন্যই এই গল্প। কিন্তু গল্প যে ভাবে বলা হল তাতে গল্পের মধ্য দিয়ে কথাগুলি ফুটে উঠলনা। তাই গল্প ফুরিয়ে যাওয়ার পরে আলাদা করে কথাগুলি লিখে দিতে লাগল। হুম্
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অ্যাঁ অ্যাঁ।
আচ্ছা, এরপর আরো যত্ন করে লিখব।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একই কথা শুনেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের এক বন্ধুর মুখে, বাংলা ছাড়া আর কোথাও পুজো হয় না।
এত অবাধ গতি, এত সচল সংলাপ, মাঝে মাঝে হিংসে হয়, ভাবি, আমার কেন আসে না এমন দখল?
অনেক অনেক আদর ছিল পুচকে এই গল্পটিতে, আর তা কতটা মানিয়ে গেছে আরাফের গল্পে, যার বয়স এগার, কিন্তু যে খানিক কায়দা করে বলে, সাড়ে এগার।
আরও বেশী বেশী গল্প চাই, তিথী!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
নাহ, গল্প বেশি পদের হয়নি তো। লোকে দুষ্ট দুষ্ট কথা কচ্চে।
আরো বেশি বেশি গল্প আরো বেশি বেশি গ্যাপ নিয়ে লিখব নে। হুহ!
ফাজলামি অ্যাপার্ট, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
'বড়দের দেখে দেখে তারও বড় হতে মন চায়, আবার কোন কোন বড়কে দেখে বড় হতে তার ভয় হয়।' প্রায় এরকমই একটা উর্দু শায়েরী পড়েছিলাম। হ্যাঁ, লেখাটার একটা বিশেষ দিক, বিশেষ ধরনের লেখার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা।
আমি সবসময়ই অনেক বড় হতে চেয়েছি। এজন্যেই মনে হয় খুকি উপাধিই ঘুচলো না এখনো!
ভেউ ভেউ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছোটবেলায় বড়দের অনেক কিছুই ভালো লাগত না। তারপর নিজে যখন বড় হয়েছি তখন সেই বড়দের মন্দ লাগা ব্যাপারগুলো বর্জন করেছি। ছাত্র হিসেবে শিক্ষকদের যেসব দিক পছন্দ করতাম না, শিক্ষক হিসেবেও সেগুলো বর্জনের চেষ্টা করেছি।
তাই বড় হওয়া কষ্টের হলেও আমি বোধহয় বড় হই নি! আরাফও পারবে। কেউ কেউ বোধহয় পারে।
কেউ কেউ কখনোই বড় হতে পারে না। কেউ কেউ হয়তো পারে।
সেটাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আফা, কুশ্চেন।
"কুঁড়েকুঁড়ে খেয়ে ফেলে" নাকি "কুরে কুরে খেয়ে ফেলে"? "কুঁড়ে" তো ঘর, কিম্বা চরম উদাস টাইপ লুক (আইলসা আর কি)।
..................................................................
#Banshibir.
আপনিই ঠিক। আমার মিসটেক। কুরে কুরে খেয়ে ফেলে হবে। ঠিক করলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি জান্তাম কুঁড়ে মানেই চরম উদাস। ব্যাটা ফাঁকিবাজ ডুব দিছে, কয়েক আলোকবর্ষ পার হয়ে গেল শেষ পুস্টের পরে ভদ্রলুকের খবর নাই।
..................................................................
#Banshibir.
দেখেন কী কারিশমা, পীরের এক ঠেলা খেয়েই উদাস ভদ্রলুক নয়া লেখা দিয়ে দিয়েছেন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সাবু রেগে গেলে যেরকম জুপিটার গ্রহে আগ্নেয়গিরি ফেটে পড়ে, পীর খেপলে সেরকম ডালাসে ভূমিকম্প হয়। পীর খেপানো ঠিক না বৈনডি, উদাস ইজ এ ওয়াইজ ম্যান
..................................................................
#Banshibir.
"এখনো রয়েছো ছোট বেঁচে গেছ তাই,
বুঝবে বয়স হলে বেঁচে থাকাটাই,
অবিরাম পাশ ফেল পরীক্ষা দেয়া,
লুকিয়ে লুকিয়ে চলে কিছু বেঁচে নেয়া।"
আপনার গল্প পড়ে সুমন কবীরের গানের কথা মনে হল।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
মজার ব্যাপার, এইমাত্র-ই এক সচলাকে কবির সুুমনের একটা গান খুঁজেে দিলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমরা আসলেই 'আর্থে' বাস করি।
এই অংশটা আপনিই খেয়াল করলেন।
থ্যাঙ্কিউ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কাহিনি সত্য। বাংলাদেশের মত করে পিতিমির কোথাও ঈদ হয় না।
তবে এখানে চাইলেই ইশকুল/আপিসে ছুটি নেয়া যায়।
আর ঈদীও মিলে(আমি এবার ১৩০ ঠলার পাইছি ) আরাফকে ইহা জানায়ে দাও।
***
গপটা খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছো মেয়ে। তিথীর ছাপ্ ইহাতে পাইনি আমি।
দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি রে এভাবে বলিনা কাউরে, তুমারে কেন কইলাম বুঝতে হবে!
আর ভানামটা ঠিক করে নিও 'ঘুন' নয় 'ঘুণ'।
ভালুবাসা নিও
বানান ঠিক করলাম।
আর আসলেই খানিকটা দুঃখ পেলাম। আরেকটু সময় বরাদ্দ দেয়া ফরজ-ই ছিল দেখছি। প্রীতি উপহারখানা জুতের হলো না।
শেম অন ইউ টিটি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
১। কেবল ছোটদের গপ্পো ফাঁদলে, এই জন্য থ্যাংকু!
২। শেষ তিনটা লাইন আমার কাছে বাড়তি লাগল, এগুলোতে আরাফকে বাদ দিয়ে তুমি নাক গলিয়েছ গল্পে। ঠিক হয় নি, একদম ঠিক হয় নি। শেষ তিন লাইন না হলেও পারত!
৩। অনেক দিন পার করে ফেললাম, তার পরও বাড্ডে গিফটের জন্য আরেকখানা থ্যাংকু!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
৩। দূরে গিয়ে মুড়ি খান। আমি হাজার বছরের বাসি থ্যাঙ্কিউ নেই না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন