পায়ের তলায় খাদ
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ..
এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়..
নিউ মেক্সিকোর পাহাড় আর রুক্ষ পর্বত দেখতে দেখতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম একেবারে। শোনা গেল লাশকাটা ঘরে, নিয়ে যাবে তারে, থুক্কু মানে ইশকুলের ইন্টারন্যাশনাল অফিস থেকে ফল ব্রেকের ছুটিতে নিয়ে যাবে অ্যারিজোনা। যাবতীয় খুঁতখুঁতানির আন্টিকে আঙ্কেল বলে বাসায় না জানিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম। কচাং করে অ্যাকাউন্ট থেকে শ-দুয়েক ডলার গেল গিয়া।
এইবার বাকি মালসামান গুছানোর পালা। ভ্রমণে বের হলে গাদা গাদা কাম-কাজ জমে থাকবে, সামলাতে পারবে তো হে? তার দিন কয় আগে ঘুরে এসেছি বেলুন উৎসবে, সেখানে গেছে পুরো আধবেলা। এবার তো তিনদিনের মামলা! [মাথা চুলকানোর ইমো]
গুরুদেব (জাতীয়তায় লাতিন, অতীব সুর্দশন!) বলিলেন-- যেখানে খুশি যাও, যাহা মন চায় করিয়া বেড়াও। আমার হোমওয়ার্ক সমাপ্ত করিয়া না গেলে তোমাকে খড়ম পেটা করিব।
জালিম দুনিয়া!
সারারাত জেগে ভুঙভাঙ লিখে বাড়ির কাজ জমা দিয়ে আধঘন্টায় ব্যাগ গুছিয়ে ভোর আটটার বাস ধরলাম। ট্রিপটা বিদেশি পুলাপানদের নিয়ে, সে তালিকায় অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ালর্ডের সব স্যাম্পল বিদ্যমান। সবার মুখ ভর্তি খাবার, শরীর ভরা তেল। নির্ঘুম রাত কাটানো অভাগিনীর চোখ ভর্তি শুধু ঘুম। বাস ছাড়ার চল্লিশ মিনিটের মাথাতেই দেখা গেল আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।
মিশরীয় এক বিশালদেহি ছেলে ছিল আহমাদ, দক্ষিণ ভারতীয় নবাগত আব্রাহাম আর ইসরায়েলি তরুণী ভিটাল। তিনটাই বাঁদরের বাঁদর, নিজেরাও সারাক্ষণ নাচে, বাকিদেরও নাচায়! কেউ বিশ্বাস করবে এদের তালে জুটে আমি প্রকাশ্য দিবালোকে একগাদা লুকজনের সামনে ফ্ল্যাশ মব করেছি? না করাটাই স্বাভাবিক।
যে শহরে থেকেছি সেটার নাম ফ্ল্যাগস্টাফ। সুন্দর। ঝলমলে, লাইভলি। শহরের মাঝখানে মালগাড়ির রেললাইন, আমবাগান-খুলশি-ঝাউতলার কথা মনে হয় খালি। কিন্তু দারুণ ঠান্ডা। রোগা বলেই বোধহয় আমার শীতবোধ বাড়াবাড়ি রকমের বেশি। ক্যামনে কী!
চারজন করে মেয়েদের এক ঘরে থাকার ব্যবস্থা। এক রুমমেট ফরাসি, একজন তুর্কি, সবচেয়ে চোখ ঝলসানো জন তিউনেশিয়ার। সে আবার কঠিন লেভেলের ফটুরেও। তো ইভনিং ওয়াক শেষে শীতে দম নিতে পারছিলাম না বলে আমাকে রুমে ঢুকিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে রাত নটার দিকে আবার বেরুলো সবগুলো। পাসপোর্ট দরকার, কারণ বয়স ২১ না হলে পাবে ঢুকতে দেবে না। মাবুদে ইলাহী!
পৃথিবীর কুৎসিততম খাবার পিৎজা আর ধার করে আনা সুনীলের 'অর্ধেক জীবন' (আমি বই ছাড়া খেতে পারি না) দিয়ে তেতো মুখে (ভাত ছাড়া বাঙালির পেট ভরে, কন?) ডিনার সেরে পয়লা রাতে ঘুম দিলাম সাড়ে দশটার দিকে। কক্ষসঙ্গীরা অবশ্য ফেরেনি কেউ তখনো।
পরেরদিনের গন্তব্য সফরের মূল আকর্ষণ, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। ঘুম থেকে উঠেই সবকটা হুড়মুড়িয়ে তৈরি! মেয়েমানুষ মাত্রই স্নো-পাউডার মাখবে, এটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি কুল্যে এক ডিব্বা সানব্লক এনেছিলাম সঙ্গে, সেটাই আচ্ছাসে হাতে-মুখে-গলায় ডলে নিলাম। রং ধুয়ে ভাত খাবো না, সেটা ঠিক, কিন্তু খামোকা চামড়া পোড়াতেও চাইনা। তুমুল উৎসাহ নিয়ে লাঞ্চ প্যাকেট করে নেয়া হলো। চীনা চুংচাংরা দেখি খাবারের পকেট হাতে নিযেও সেলফি তুলছে। সমস্যা কী এদের, আজব!
সাউথ রিমে পৌঁছানোর পর টিম ম্যানেজার লৌরা আমাদের দুটো অপশন দিলেন। হয় রিম ট্রেইলে হাঁটতে যাও নয়তো হাইকিং করে খাদের তলা দেখে এসো। দ্বিতীয়টা কঠিন, আই রিপিট কঠিন। যদি ভাবো, শরীরে কুলাবে না, যেও না তাহলে।
নিজের ৪১ কেজি ওজনের শরীরের স্ট্যামিনাকে সেলফ ইভ্যালুয়েশনের মহানতম আসনে বসিয়ে আমি ঢুকে পড়লাম দ্বিতীয় দলে। দুইদিনের দুনিয়া, আফসোস জমিয়ে রেখে ফায়দা কী?
বিচ্ছু ক্যাটাগরির পুলাপান সবকটাই হাইকিং দলে, ফূর্তির বিরাম নাই! আহমাদ হেঁড়ে স্বরে আরবি গান গায়, আমি ততোধিক জোরে রবীন্দ্রসংগীত ধরি--- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রেএএএএ। পুরাই সেইরকম অবস্থা।
খাড়া ঘুরাপাকের সরু রাস্তা, নিচের দিকে তাকালেই মাথা ঘোরে। এই প্রথম টের পাওয়া গেলো, আমার আসলে হাইট ফোবিয়া আছে। অ্যারাকনোফোবিয়ার সঙ্গে আর এটাই বাকি ছিল আর কী!
পথে মাঝে মাঝেই চোখে পড়ছিল ঘোড়ার বর্জ্য। বিচ্ছিরি গন্ধ থেকে নাক বাঁচাতে ব্যাকপ্যাক থেকে স্কার্ফ বের করে নাক-মুখ পেঁচালাম। ততক্ষণে কড়া রোদে মাথা ঘুরতে শুরু করেছে। তো কী হৈসে? কিছু পেতে হলে কিছু তো দিতেই হয়, ইউ নো।
একটু পরই চোখে পড়ল মধ্যদুপুরের অশ্বারোহীদের। ধনী বুড়োবুড়িদের খাদ দেখার শখ মেটাতে কাজে লাগানো হয় এই পোষা জানোয়ারগুলোকে।
চারপেয়ে বজ্জাতের দল বদখত জিনিসপাতি ত্যাগের মাধ্যমে পুরা ট্র্যাকের বারোটা বাজিয়ে ছাড়লেও দু-তিনটে ক্লিকের সুযোগ দিয়েছিল, ঐটুকুই সান্ত্বনা।
আচ্ছা, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে এককথায় কী বলা যায়? গ্রেট!
জিনিসটা এত বড়, এত বিশাল... আর এতো অদ্ভুত!
যারা গেছেন, তারা জানেন বাড়িয়ে বলছি না। আর যারা যাননি, ভুলেও ছবি দেখে জিনিসটা কল্পনা করে নেয়ার চেষ্টা করবেন না প্লিজ! এই জিনিসকে মুঠোয় ধরা এই আনাড়ির দু-পয়সার টুটাফুটা ক্যামেরার কর্ম নয়।
এইসব ইতং-বিতং তৎক্ষণাৎ লিখেই সচলে ট্রাভেলগ ছাড়ার আশাবাদ জনৈক মাতবর কিসিমের সহসচলের নিকট ব্যক্ত করেছিলাম বটে, লেকিন অলস, প্রায় অকমর্ণ্য, এবং কঠিন ফেসবুকাসক্ত গ্রাড ইশটুডেনের জন্য সে বড় হুজ্জতের কাজ! লেখো রে, ফরম্যাট করো রে, ছবি লিঙ্ক সাঁটো রে...
বুঝেনই তো!
আমি একটা পাতার ছবি আঁকি...
...মঞ্জরিত শাখায় শাখায়,
মৌমাছিদের পাখায় পাখায়,
ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিঃশ্বাস
(মাঝখানে তার, তোমার চোখে আমার সর্বনাশ!)
প্রবাসের দুটো বিশেষত্ব নিয়ে প্রবল কৌতূহলমিশ্রিত আগ্রহ ছিল, তুষারপাত আর ফলের (ফল বলতে আবার পেমে পতনের দিকে যাইয়েন না, জিনিসটা সবসময় বেশি সুখময় নয়) পাতা ঝরা। সিরিয়াস ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা আছে বলে স্নোফলের সময়টুকু আমার জন্য সুবিধার হয় না। অবশ্য প্রবল তুষারপাত দেখিওনি এখনো ঠিক। আর রইল ফল কালারের অংশটুকু। লোকজন এভরি লিফ ইজ আ ফ্লাওয়ার ক্যাপশানের অ্যালবাম আপ করেটরে ফেসবুক ফাটিয়ে ফেলছে, অ্যালবুকার্কিতে সেই রঙঢঙের সুযোগ কই!
কী এক ছাতার জায়গায় থাকি রে ভাই, পুরো ক্যাম্পাস চষেও একটা লাল-কমলা পাতার রঙচঙে ম্যাপল গাছ পেলাম না। কিন্তু গরিব বলে কি আমাদের সাধ-আল্লাদ নাই?
এই তিন পিসকেই আপাতত অন্ধের যষ্ঠি বলতে পারেন। হে হে।
....করি বাংলায় চিৎকার
বিদেশি পুলাপানের সঙ্গে বেড়ু করে আসার সুবিধা যেটা দাঁড়ালো, ক্লাস শেষ কিংবা শুরুর আগে এদিক-ওদিক হাঁটাহাঁটির সময় সফরসঙ্গী কারো না কারো সঙ্গে দেখা হয়ে যায়ই। এরপর হাইহেইহিলুহাউডুইউডু ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভারতীয় এক বালিকার সঙ্গে বেশ খাতির হয়েছিল বাসে দু'দিন পাশাপাশি বসার সুবাদে। আকশিতা রেড্ডি, সিএসইতে মাস্টার্স করতে এসেছে। আমার জুনিয়র, বয়স সবে বাইশ। নিশমিতা আর রাঞ্জিতা নামের আর দুই স্বদেশি তরুণী তার অ্যাপার্টমেন্ট-মেট। ট্যুরে ওরাও ছিল। নামের শেষাংশ মিলিয়ে সঙ্গী বেছেছে কিনা মশকরা করতে মেয়ে হেসে দিল। তিনজন আসলে তিন প্রদেশের, এখানে এসেই মূলত পরিচয়। রাষ্ট্রভাষা হিন্দিতে দখল নেই বলে পরষ্পরের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজিতে।
বেচারি। আহা,দেশওয়ালি কাউকে পেয়ে একগাল হেসে বাংলায় কথা বলায় যে কী আরাম!
আমার বয়স হলো সাতাশ...
কত খুঁটিনাটি. তুচ্ছ জিনিস হারিয়ে মন খারাপ করতাম একজীবনে। রঙিন পেন্সিল, শখের ইরেজার, ধার করা কমিক্সের বই। বড় হয়ে হারিয়ে গেছে প্রিয় বন্ধু কিংবা ভুল করে ভাবা কোন বন্ধু। যে বন্ধুত্বের আসলে ভিত বলে কিছু ছিলই না কখনো। শুধু দাঁড়িয়ে ছিল কেমন-করা মন, মনের তলে মনের তলদেশ…
হারালো স্মৃতি, হারালো কত মানুষ। আঁচলের তলায় রেখে আগলে আগলে থেকেও হায়, কখন হারিয়ে গেল জীবনের কতোটুকু সময়!
ভোররাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ খোমাখাতা হাতড়ে (নিজের) হোমফিড থেকে টুকরাটাকরা খাবলে জোড়াতালির ব্লগটা বানালাম। বুড়া হৈয়া গেসি তো, খাটতে ইচ্ছা করে না আসলে এখন আর।
অলমিতি বিস্তরেন।
মন্তব্য
দুই আর তিন নম্বর ছবিতে ওগুলো সম্ভবত ঘোড়া না, মিউল।
উইকি কহিতেছে, A mule is the offspring of a male donkey and a female horse.
খাইসে, ঘটনা এরকম নাকি!
আমি তো ভয়ে (আর বোঁটকা গন্ধে) বেশি কাছেই যাইনি। পার্কে ঢোকার পথের পাশেই ছোট্ট একটা র্যাঞ্চ ছিল, একবার ভেবেছিলাম রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে একটা ইন্ডিয়ান ফ্লেভারড প্রোপিক জোগাড়ের চেষ্টা করব নাকি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দুই নম্বর ছবিতেতো দেখছি একটা মেয়ে বা মহিলার ছবি। এইটা মিউল নাকি?
সওয়ারিরা ছুকরি/বুড়ি দুই-ই হতে পারে।
যাদের পিঠে সওয়ার, তারা মিউল বা খচ্চর। শুদ্ধভাষায় যাদের বলে অশ্বতর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা ভাল লেগেছে। তবে মনে হলো, কবিতাপ্রীতির প্রাবল্য কমেছে!
কবিতা?
ঐ জিনিস থেকে আজকাল যথাসম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি।ঠেকে শিখেছি, টুকটাক কোবতে আওড়ানো.. সে মন্দ নয়, তবে কবি এবং কঠিন কাব্যরসিক সঙ্গ আদতে বিপদজনক!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইবার আমাকে দত্তক নেন। জোক্স এপ্যার্টঃ লেখা আর ছবি বড় ভালো লেগেছে!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমার মাসিক আয় শূন্যের কাছাকাছি। ভেবেচিন্তে দেখেন ঘরে আসবেন কিনা।
জোক্স এপ্যার্টঃ থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এগুলো ঘোড়া না হে, খচ্চর। শুদ্ধভাষায় যাদের বলে অশ্বতর।
আহা ঘোড়া, খচ্চর আর গাধার হাগুমাখা পথ হল গিয়ে কেদার বদরীর রাস্তা, একটু বৃষ্টি হয়ে গেলে তো সে একেবারে মাখোমাখো অবস্থা।
একটা পূর্ণ ভ্রমন্থনের জায়গায় এই ফাঁকিবাজি পিস কেন?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
বাঁচছি, খচ্চর পাশে নিয়ে ছবি তুলে প্রোপিক দিলে লাথিগুঁতা একটাও মাটিতে পড়তো না। মানীর মান আল্লায় রাখে!
অলসতা। টাইপ করতে আলসি লাগে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা অসাধারণ হয়েছে, খুকি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আফগানিস্থান?
'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ'য়ের লেখিকার মতো পিটুনি খেয়ে মরতে চাই না।
সাতাশ ছাড়াব আগামি উইকে, তাও খুকি! কেউ আমারে বিষ এনে দাউ!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ফ্ল্যাশ-মবের বুদ্ধমূর্তিসমেত ছবি কোনে?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভিডিও আছে তো, এডিটিং শেষ হয় নাই এখনো।
নইলে কি আর দিতুম না?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই ক্যানিয়ন জিনিসটা দেখা হয় নি এখনও, তবে অনেকের কাছেই শুনেছি এটা ছবি দেখে আসল রূপটা বোঝা সম্ভব না -যেটা আপনিও বললেন।
আরেকটা জিনিস, আপনার ক্যামেরায় ছবি এত ভালো উঠে ক্যামনে? ছবিগুলো আসলেই চমৎকার।
শুভেচ্ছা
এখনি যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় কিন্তু।
আমারটা একেবারেই বিগিনারস লেভেলের, ক্যানন ১১০০ডি। লোকজনের সব হাইফাই মডেলের ক্যাম্রা আর লেন্সের বাহার দেখলে মাঝেমাঝে বড় মন খ্রাপ হয় রে ভাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা ও ছবি দুটোই ভালো হয়েছে।
খচ্চর গালি হিসাবে ব্যবহৃত হলেও আদতে এরা নিরীহ প্রাণী। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়ে মাপে অনেক ছোট একটা ক্যানিয়ন আছে টেক্সাস, নাম হচ্ছে পাওলো ডুরো ক্যানিয়ন। অনেক বছর আগে ওইখানে ঘোড়া করে নেমেছিলাম। ওইগুলো সত্যিকারের ঘোড়া ছিল, রিটায়ার করার ট্যুরিস্টদের বাহন।
খচ্চর সম্বন্ধে আরেকটা তথ্য হল, এরা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। আমি নিশ্চিত নই, ক্রসড ব্রিড অ্যানিমেলরা মনে হয় কেউই পারে না। প্রকৃতি বেশ আনফেয়ার সেটা নিশ্চয়ই আর ব্যাখা করতে হবে না। কিংবা ক্রস ব্রিডিং ব্যাপারটাই হয়ত প্রকৃতি বিরুদ্ধ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এক জুনিয়র ভাই আছে নাঈম, সে কঠিন সমালোচক। পড়েটড়ে এমন অপমান করল, আমি তো ভেবেছিলাম একবার মুছেই দিই পোস্টটা।
ডিসেম্বরে এনএমে চলে আসেন না ভাইয়া প্লিজজজ, বাচ্চারা সহ। ফেরার সময় নাহয় আমাকে অস্টিনে নিয়ে গেলেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ফাঁকিবাজি থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তবে ফাঁকিবাজিই সই।
ছবি ভালু পেলুম। প্রথমে বুঝি নাই, মনে হচ্ছিলো ওয়েস্টার্ন ছবির স্ক্রীনশট।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যেতে চাই। অপূর্ণ সাধগুলোর তালিকায় এটা প্রথম দিকে আছে।
এতো অল্প ছবিতে আপত্তি জানিয়ে গ্লাম।
আমার ঝোঁক ছোটখাট জিনিসের স্টিল ফটোগ্রাফি আর পোট্রেটে। ল্যান্ডস্কেপ পারি না আসলে।
আপনার প্রোপিকের ছবিটা আইফেল টাওয়ারের তো, নাকি? ওখানে মরার আগে যেতে চাই একবার। প্যারিস শব্দটাই তো সুনীলের মার্গারিটকে মনে করিয়ে দেয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রোপিকে নিজের হাতে তোলা ছবি বসিয়েছি, এক্কেবারে ১০০% খাঁটি আইফেল টাওয়ার হে হে।
ওখানে যাওয়া খুব কঠিন হবার কথা নয়, যেহেতু আপনার বর্তমান এবং আদি নিবাসের মাঝেই আছে। দেশে যাবার সময় কোন এক ফাঁকে ট্রানজিট নিলেই হলো। আমার হয়েছে উল্টোপথ, বিশুদ্ধহারে পয়সা খরচ না করতে পারলে যাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
আশা রাখি আগামী বছর পাঁচেকের মধ্যে কিছু একটা জমিয়ে ফেলতে পারব। তদ্দিন পর্যন্ত অন্যের মুখে ঝাল খাওয়াই সই
আপনি অস্ট্রেলিয়ায় তো এখন? আমার এক বাল্যবান্ধবী আছে, সিডনিতে সেটেলড। প্রায়ই বেড়াতে যাওয়ার দাওয়াত দেয়।
কিন্তু টিকেট কাটার পয়সা দে বললে আর ট্যাঁ ফো করে না। কিছু হৈলো!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওরে, এত সুন্দর লেখে কেমনে রে! ছবিগুলোও কিন্তু সেইরকম সুন্দর হয়েছে
বাপরে, পিপিদা ডাবলফোল্ডেড প্রশংসা কচ্চেন!
উড়ে যাচ্ছিইইইইইই...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার লেখা তিথী, দারুণ দারুণ সব ছবি! গ্রাণ্ড ক্যানিয়নে যাওয়া হল না আর!
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
জীবন তো শেষ হয়ে যায়নি সুমাদ্রীদা।
পাকাপাকিভাবে যদি ইয়াঙ্কিল্যান্ডে চলেই আসেন, তখন দেখে আসবেন নাহয় একবার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইয়াঙ্কি কী জিনিস তিথী? আমেরিকা সারা পৃথিবীর মানুষের দেশ, আর সারা পৃথিবীটাই আমার দেশ; যেমন সমগ্র বাংলাদেশটাকেই তুমি তোমার দেশ ভাবো যদিও জন্মেছো চিটাগং এ।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সারা পৃথিবীর এতগুলো দেশের বায়বীয় নাগরিকত্ব দিয়ে কী করব?
আমি বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মরতে পারলেই খুশি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যে নগরেই থাকো, তুমি সেখানের নাগরিক নও? কী করবে আর, বাঁচবে আর কি, বায়ু উপভোগ করছ না এটা বোল না। আর বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মরতে চাও তো পকেটে সবসময় পাসপোর্ট এর একটা কপি রাখলেই হয়, সেটা নিয়ে যেকোন জায়গায় মরে গেলেই হয়।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
পাসপোর্টের ফটোকপি সবসময় পার্সে থাকেই।
অধমের আমেরিকা ভ্রমণ তো সবে শুরু হলো, ব্লগে পোস্ট করার মতো আর কিছু ছবি জমুক। এরপর মরার ডেইট ঠিক হলে জানাবনে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মরতে পারলেই খুশি। --- ব্যাপার না, আর কিছু দিন যাউক, ---
facebook
চলুক ঘোরাঘুরি, আর সঠিক বানানে লেখালেখি! ভালো লাগিল হে-
facebook
আর কিছুদিন গেলে গুপনে গ্রীনকার্ডের জন্য খায়েশ পুষতে শুরু করব কচ্চেন?
দেখা যাক।
অনেকদিন পর পাওয়া মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব একটা ক্লোজ শট নয়, তবু সেই ছবি দেখেই কেমন করে সবাই বলে দিচ্ছে যে এগুলো ঘোড়া নয় খচ্চর, আল্লাই জানে। যাই হোক, খচ্চরের মত অভিনব একটি প্রজাতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষও প্রমান করেছে যে তারা অতি উন্নত জাতের খচ্চর বিশেষ।
আপনি বারংবার নিজেকে রোগা পটকা হিসেবে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করেছেন, জানিয়েছেন, আপনার ওজন মোটে চল্লিশ কেজি-কিভাবে বুঝলেন? মেপে দেখেছেন? ছবি দেখে তো আপনাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকিরিনী বলেই মনে হচ্ছে।
হ, মানুষ জাতটাই খারাপ!
কিন্তু আমার ছবি পেলেন কোথায়?
কোথায় জানালাম চল্লিশ কেজির খবর? সংখ্যাটা ৪১ ছিল।
আপনার কেন মনে হলো ঘরে একটা ওয়েট মেশিন থাকতে নেই?
এই মন্তব্যটায় বড় মজা পেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সিরিয়ালের দ্বিতীয় ছবিটা কি আপনার নয়? যদি আপনার হয়, তাহলে আপনার ওজন একচল্লিশ নয়, একান্ন কেজি। তা একান্ন কেজিটাই বা খারাপ কি?
বয়স কমিয়ে বলি না, ওজন কমাব কোন দুঃখে!
তা আপনি যদি সংখ্যাটা ৫১ ভেবে শান্তি পান, আদতে কোন সমস্যা তো নেই।
অলমিতি বিস্তরেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একটা সময় পর্যন্ত কোন কোন মেয়েরা বয়স কমিয়ে বলে, তারপর বিয়ে শাদির পর বেশ কিছু কাচ্চা বাচ্চা হয়ে গেলে জীবনের নানান ঝামেলায় তার আর প্রয়োজন থাকে না। কোন কোন পুরুষের ক্ষেত্রে অবশ্য বয়স কমিয়ে বলার কাজটা আরও অনেক দিন ধরে করে যেতে হয়, সে কারনেই পুরুষ মানুষের বয়স বলে কিছু নেই।
হ্যাঁ, আগেই লক্ষ্য করেছি, বয়স কমিয়ে বলার কিংবা তা নিয়ে লুকোচুরি খেলার প্রবণতা আপনার নেই, তাইত! তাহলে ওজন কমবে কোন দুঃখে! আর হ্যাঁ, ওজনটা ৪১ এর স্থলে ৫১ কেজি হলে আমি একটু শান্তি পাই, কারন আপনার লেখায় ওজন স্বল্পতা জনিত একটা হাল্কা দুঃখবোধের রেশ খুঁজে পেয়েছিলাম। ভাবছিলাম আহারে বাছা! তবে আমার মন্তব্য অবশ্য নেহাতই মজা করে লেখা, নাথিং সিরিয়াস। তেমন কোন কিছু যদি মনে হয়, তার জন্য দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
একটা ছবিও দেখতে পাইনি। কেন? ছবিগুলো সম্ভবতঃ ফ্লিকার থেকে আপলোড করা। এতে বোঝা গেলো যে, গণচীনে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, সাউন্ডক্লাউড, গুগল ইত্যাদি ইত্যাদির সাথে ফ্লিকারেরও প্রবেশ নিষেধ। যাকগে, ছবি দেখতে না পাই, লেখা তো পড়তে পেয়েছি। আপাতত তাতেই শোকর হাজার বার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি আবার চীনে গেছেন!
জ্ঞানার্জনের জন্য দরকারে ধর্মে ঐ দেশে যেতে বলেছিল, তা বলে এত নিয়মিত।
এমনিতেই তো ডরাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ছবিগুলা দারুণ আর আপনার লেখা তো সবসময়ই আমার খুব খুব ভালো লাগে।
সবচে ভালো লেগেছে পাঁচ নম্বর ছবিটা।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে ঘুরতে যাবার ইচ্ছে আছে আমার আর আমার ইয়ের
আরো ম্যালা ঘোরাঘুরি করুন আর এমন দারুণ লেখা আসুক মাঝে মাঝেই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
পরশুদিন এক ভাইয়া জিজ্ঞেস করছিলেন, রিফাত গাড়ি কেনো না কেন? নিজেকে চালাতে খবর হয়ে যাচ্ছে, চারচাকা চালাব কী করে!
এটাও সেইম রুটেড সমস্যা। ম্যালা ঘোরাঘুরির ফৈসা পাব কনে?
আপনদের যুগলে ক্যানিয়নজয়ের শখ পূরণ হোক শিগগিরই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বড় হলে আমিও একদিন গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যাবো । লেখা অতীব রসালো হয়েছে
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
বড় হলে আমি প্যারিস যাব সবার আগে, পারলে পুরো ইউরোপ। দ্যাশগুলো সোন্দরাছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গতিময় সাবলীল লেখা।
ধরন উপস্থাপন অনেক সুন্দর।
ছবিগুলোও।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
দীপংকর চন্দ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন