• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

কোলাভেরি,থুড়ি কলোরাডো কলিং!

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: সোম, ২৩/০২/২০১৫ - ৬:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"I prefer winter and fall, when you feel the bone structure in the landscape - the loneliness of it - the dead feeling of winter. Something waits beneath it - the whole story doesn't show."
- Andrew Wyeth
__________________________________________________________

অনেকদিন কোথাও যাওয়া হচ্ছিলো না।
না মানে, যাওয়া তো হয়-ই, দিনে ক্লাসে, দুপুরে গুরুর গোয়ালে (গালি খেতে, অবভিয়াসলি), বিকেলে অতি কদাচিৎ ছাইকেল চালাতে (শিখে গেছি, মুহাহাহা), সন্ধ্যায় গার্বেজ বিনে ট্র্যাশ ফেলতে, যাওয়ার জায়গার কি আর ভাই অভাব আছে?
কাহিনি হলো, সেই অক্টোবরে অ্যারিজোনা চরে আসার পর আর কোথাও (ফৈসার অভাবে) বেড়ু করতে যাওয়া হয়নি তো, হাত-পা নিশপিশ করছিলো।
তো, গিয়েছিলাম সেদিন ইন্টারন্যাশনাল ইশটুডেন অফিসে, হেলথ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত ডিউ ক্যাঁচাল মেটাতে। দেখলুম তুষারে আছাড় খাওয়ার দাওয়াতি ইশতেহার বিলাইতেছে। যদিও পকেটে আটআনা-চারআনার বেশি কিছু কোন মাসেই থাকে না.. কিন্তু কঞ্জুসি করে কে কবে বিল গেটস হয়েছে কন!

বাসায় ফিরে দিলুম পিটিশন করে, মানে সাইন আপ। ফেব্রুয়ারি ২০-২২। যা আছে কপালে।

কিন্তু ঘটনা হলো, সেমিস্টারের মাঝখানে ড্যাঙ ড্যাঙ করে গায়েব হয়ে যাওয়াটা বড় একটা আপ্লুত হওয়ার মতো ইস্যু না। হিসেব করে দেখা গেলো, মোটামুটি তিনটে জিহাদি পতাকা (যেগুলো রোববার রাতে ডিউ) অগ্রিম শিডিউল সেট করে শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়ানোর জন্য জমা দিয়ে যেতে হবে। তায় একটা আবার দলীয় সঙ্গীত, তাতে সঙ্গী একজন পাকি (শালা মহা বদ, যাকে বলে খাটাশ) যিনি কনফারেন্সজনিত কারণে টেনেসিতে গিয়ে বগল বাজাচ্ছেন। আরেকজনের কীরকম এক দাদিমা মারা গিয়েছেন বলে সে শোকসভায় যোগ দিতে দড়াম করে আরকানসাসে গেছে গিয়া। রইলো বাকি কে? কে আবার, এই পেন্সিল!

যাই হোক, তিন-চারদিন পাগলা দৌড় দিয়ে, সাপব্যাঙ বানিয়ে জমা দিয়ে গেলুম গুরুর দরবারে।
:: প্রণম্য, অল ওয়ার্কস এন্ড নো প্লে.. ইত্যাদি ইত্যাদি.. হেঁ হেঁ। সারকথা, ছুটিছুটিছুটি দেন, দিতি হবে। বেশি না, এই শুধু শুক্কুরবারটা।
তিনি পৃথিবীর মধুরতম হাসি দিয়ে কহিলেন, রোসো বাছা। তোমার বাস কটায়?
:: আমি (চরম সন্দেহজনক স্বরে ক্যানা চোখে তাকিয়ে) : চারটায় গুরুদেব।
তাহলে আর কী, দুপুর দুটোর দিকে এসে এ সপ্তাহের প্রসাদ নিয়ে যেও। কী বলো?
দেখছেন্নি অবস্থাটা!

ঝোলাগুড়সমেত চাট্টি চিঁড়েমুড়ি আর গোটা পাঁচ শীতবস্ত্র বাঁধা বেঢপ বোঁচকাসমেত বাসা থেকে বেরিয়ে, শিক্ষকসেবার পালা চুকিয়ে যখন স্টপে পৌঁছলাম তখন ঘড়িতে পৌনে চার। যাই হোক, মানীর মান আল্লায় রাখে।
চারটা পনেরো, যাত্রা হলো শুরু। ফাইনালি। :D

সেই রিপিটেড কাহিনি, বাসভরা উদীয়মান দেশি-বিদেশি (বেশিরভাগই আন্ডারগ্রাড) তরুণ, যারা লিভিং এনার্জি প্যাকের মতো সদাসর্বদা টগবগ কচ্চে। আমি আধবুড়ো ক্লান্ত প্রাণ এক, গাড়ির চাকা গড়াতে শুরু করতেই ঘুমে বেহুঁশ।
পাগোসায় পৌঁছালাম রাত নটার দিকে। হোটেল সৌন্দর্য, ওয়াইফাই স্পিড কদর্য। তা যা হোক, কোবি, মানে জিপি শিখিয়েছে-- দূরত্ব যতোই হোক, কাছে থাকুন। আমি লেগে গেলাম স্কাইপ আর ফেসবুকিঙে (বুঝেনই তো ;) ), চৈনিক দুই কক্ষসঙ্গী সেলফিস্টিক সমেত 'চিইইইইজে'। যাহোক, যার যেথা মজে মন।

তৃতীয়জন ল্যাটিনা, সে সম্ভবত ঈষৎ ক্রীড়ারসিক। বাংলাদেশ শুনেই জিজ্ঞেস করলো-- টেন্ডুলকার কি তোমাদের দেশের? আহা, সাকিবকে কবে এরকম সবাই চিনবে, একদম সবাই!
চামে একুশে ফেব্রুয়ারির গল্প শুনিয়ে দিলাম-- জানো, আমরা বাংলা বলার জন্য কী করেছিলাম?
এখন পুরো দুনিয়া সেটা মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপন করে। হুঁ হুঁ বাবা!
চেপে গেছি আরেকটা জিনিস, জানো-- আমাদের দেশে এখনো এরকম লোকজন আছে যারা পাকিদের সঙ্গে মোলাকাতকালে সানন্দে উর্দূ আওড়ায়।
থুঃ!

ওয়েল, ঘুমোতে যাওয়ার সময় বোঝা গেল সে শুধু ক্রীড়ারসিক নয়, অসুরিকও। এমন গগনবিদারি সুরে নাক ডাকতে শুরু করলো, চোখের পাতা এক করে কার সাধ্য! দুটো বাইসন আর একটা জিরাফকে এক খাঁচায় পুরে রেখে দিলেও বোধহয় এমন জোরালো কনসার্ট সম্ভব না! একবার ইচ্ছে হয়েছিলো বেটির মুখের ওপর বালিশ চাপা দিয়ে ধরি। পরে নেহায়েত গান্ধীজির কথা মনে করে খ্যামা দিলুম।

বাড়ির পাশের আরশিনগর মানে অগতির গতি ম্যাকডোনাল্ডসে ঢুকে (টাইটসে) প্রাতরাশ সেরে স্কি রিসোর্টে রওনা হতে হলো। মাবুদে ইলাহী, ইশকুল খুইলাছে রে মওলা -- এই অবস্থা। ম্যালা লোকজন! এমনকি এইটুকুনি ছানাপোনাও দেখি দিব্যি সাঁইসাঁই করে পায়ের তলায় সরষে মানে বোর্ড দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
এতো তেল কই পায় এরা!

আমার কলজের জোর কম। আছাড় খেয়ে হাড় মচকে বিছানায় পড়লে অভাগাকে কেউ দেখতে আসবে না। সুতরাং সঙ্গীসাথী পশুপাখিদের বিগিনার্স লেসনের জায়গায় ছেড়ে, টাটাবাইবাই আবার যেন দেখা পাই বলেটলে স্নো শু নামক এক ধ্যাবড়া জিনিস পায়ে গলিয়ে আমি একাই রওনা হলাম হাইকিং করতে।

জিনিসটা কঠিন কিছু না, ছপাৎ ছপাৎ করে দিব্যি পা চালিয়ে হাঁটা যায়। যদিও গত দেড়মাসে আরো তিন কেজি ওজন কমেছে আমার, তাও গটগট করে পথ ফুরাতে লাগলো। এরপর এক পাইনতরুর গর্তে গটাং করে জুতা গেল আটকে, আর হঠাৎ করে শুরু হলো স্নো পড়া। ঠাণ্ডায় পুরো জমে মরার দশা। আমি ধরে নিয়েছিলাম মেধাবী মনে হয় হয়েই যাচ্ছি আজ।
যাই হোক, সেখান থেকেও এ যাত্রায় মানে মানে বেঁচে ফিরলুম। আয়ুরেখা বিশাল কিনা!

ফিরে, সন্ধ্যায় ডিনারশেষে বাকসো পুরে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হলো হট স্প্রিংসে।
নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক, সেথায় বালিকাদের পোশাক সৈয়দ মুজতবা আলীর সেই বিখ্যাত মন্তব্যের সমার্থবোধক বলে (আমার একটা টাই দিয়ে তিনটে মেয়ের ইত্যাদি ইত্যাদি) ইতিউতি দু-চারটে ছবিটবি তুললেও সেগুলোকে পুঁতে ফেলতে হলো। মোদ্দা কথা, উজবুকের মতো ঐ টিকেটের পয়সাটা পড়লো পুরো পানিতে। বাকি লোকে কী করলো অতো জানি নে, আমি রিসোর্ট সংলগ্ন কলোরাডো নদীর ধারায় হাঁটু ডুবিয়ে বসে বসে শেয়ালখেদানো গলায় ঐ ওয়াক্তটুকুতে দিব্যি গোটা দশেক বাংলা গান গেয়ে ফেললুম। কে বলতে পারে, বড় হয়ে হয়তো ইভা রহমানই হবো। ইউ নেভার নো। ;)

তার পরের দিন ফের উলফ ক্রিক। ওরেএএএ, সক্কাল থেকে সে কী স্নো পড়ার ধুম, নিমিষেই দেখি ফিলিপস বাত্তির মতো সব ফকফকা!

আশায় আশায় ভাবছিলাম আজ হয়তো কেউ যেতেই চাইবে না.. ও হরি, পুলাপানের তেজ তাতে ডাবল হয়ে গেলো। ইট উইল বি রিয়েল ফান টুডে ব্লা ব্লা ব্লা। হ, কইসে তোরে!

পাঁচপরত লেয়ারের ওপর ওয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট চাপিয়েও আমি কাঁপছি হি হি করে। অ্যালবুকার্কিতে বাতাস আছে, বরফ নাই। পানিই নাই, বরফ জমবে কোথা থেকে। দু-এক কণা তুষারপাত হলেই সেজন্য আমরা ঢঙি বালিকাসমাজ লাল-নীল ওভারকোট সমেত ফটোসেশনে লেগে যাই। সেই জায়গার অতি শীতকাতুরে পাবলিককে যদি হাঁটুসমান এবং ক্রমবর্ধিষ্ণু তুষারশুভ্র প্রান্তরে আধবেলার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়, সে তো কাঁইকুঁই করবেই! নাকি?

আগেরদিন যাও দ্বিপ্রহর পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়িয়েছিলাম, আজ চল্লিশ মিনিটের মাথায় গোটা দুই আছাড় খেয়েটেয়ে পুরো ব্যাড়াছাড়া অবস্থা। সঙ্গী 'ইউএট'কে বললাম, ভাইরে..আমার নিজের জানের মায়া দুই পয়সাও নাই। কিন্তু বাপ-মা দুজনেই হার্টের রোগি, মেয়ে বিদেশবিভুঁইয়ে অক্কা পেয়েছে খবর পেলে একসঙ্গে বিছানায় পড়বে। তুমি পর্বতারোহন করো, ম্যায় বাপাস যা রাহি হুঁ...
আস্তালা ভিস্তা বেইবি।
সে বেচারির অবস্থাও ততক্ষণে তথৈবচ, একসঙ্গেই ফিরতি পথ ধল্লুম।

ওহ, ক্রেডিট কার্ড (যেহেতু অধমের ড্রাইর্ভাস লাইলেন্স নেই) বন্ধক রেখে একখানা ইয়ো ইয়ো গগলস ধার করেছিলাম। পৌঁছে, জমা দিতে গিয়ে দেখি সেখানা নেই। গেল কই, গেল কই...? পরে বেরুলো, হুডির বিশাল স্ট্র্যাপে আটকে ঝুলছিলো। যা বাব্বা।
নিজের পাদুকাজোড়া খুলে রেখে গিয়েছিলাম বাসে সিটের তলায়। ফিরে দেখি, নেই। তা হ্যান্ডমাইক নিয়ে ভাঙা গলায়, ভুলভাল আংরেজিতে ঘোষণা দিতে হলো-- মোর বাদামি বুট/ ক্যামনে হইলো লুট?
পরে সেও বেরুলো। কোন এক ভালমানুষ বাড়তি সর্তকতায় লকারে ঢুকিয়ে রেখেছে।
যাক বাবা, সব ভাল তার শেষ ভালো।

এরপর পৃথিবীর কুৎসিততম খাবার (আমার মতে) পিৎজা খেতে খেতে ফিরতি যাত্রা, ফের পুরো পথ আধা ঘুম আর আধা ছবিটবি এডিটিং এ কাটিয়ে রাত সাড়ে দশটায় স্বীয় শহরে প্রত্যাবর্তন। ফ্রম দ্য ল্যান্ড অফ উইন্টার টু দ্য ল্যান্ড অফ (হেভি) উইন্ড।
তো আর কী, রাত আটটার বাংলা সংবাদের তথা ভ্যাজরভ্যাজরের আপাতত এখানেই পরিসমাপ্তি।
সকালে ফের কামলাগিরিতে যেতে হবে না? :)

______________________________________________________________________
পুনশ্চঃ ১। ছবি জুতের হয়নি বলে মেপে সেরে-হালিতে কম দিলাম। সচল-হাচল যারা অলরেডি দেখে ফেলেছেন, তারা চেপে যান।
চুপ যা গোপি, ঘুম যা। ;)

পুনশ্চঃ ২। জনৈক মাথামোটা হাচল দুঁদে কর্পোরেট হবার তাগিদে জীবন এবং (মধ্য) যৌবন (হুদাই) ফানাফানা করে ফেলছে প্রায়। এই প্যাঁচাল তাহার জন্যে ওয়ার্নিং।
গেট আ লাইফ ম্যান! :)


মন্তব্য

তাহসিন রেজা এর ছবি

চমৎকার ! শেষের ছবিটা মনকাড়া। :)

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

তিথীডোর এর ছবি

ধন্যবাদ। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"জিহাদি পতাকা" কী জিনিস?
আমি তো ভেবেছিলাম আপনি স্কি করেছেন। এমনকি দ্বিতীয় ছবির লাল জ্যাকেট পরা মানুষটাকে ভেবেছিলাম আপনি। যাই হোক, ভবিষ্যতে কখনো চেষ্টা করে দেখবেন। মজা আছে। :-)
হট স্প্রিংয়ের হট ছবি না দেয়ার জন্য আপনাকে ধিক্কার। ;-)

তিথীডোর এর ছবি

জিহাদি পতাকা হলো কোর্স অ্যাছাইনমেন্ট, দেরি করে ওড়ালে ঘ্যাঁচ করে পয়েন্ট কেটে দেয়। :)

ধিক্কারের জন্য ধন্যবাদ। :D

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

গগন শিরীষ  এর ছবি

ভাল লেগেছে তিথীডোর!

তিথীডোর এর ছবি

(ধইন্যা) :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আয়ুরেখা বিশাল, এটাই বড় কথা-মেধাবী নাই বা হলেন ;) এত্ত স্পিডি লেখাও এত্ত সুন্দর! বেশি বেশি বেড়াতে যান, আরও আরও লেখা আসুক।

দেবদ্যুতি

তিথীডোর এর ছবি

বেশি বেশি বেড়াতে যেতে এত্তগুলা টাকা লাগে রে ভাই। :(
আমি একজন গরিবমেধাবী ইশটুডেন।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি গরিব আর অমেধাবী-তাই বিদেশ গিয়া পড়েন। আর আমি ব্যাপক বড়লুক আর মেধাবী তাই কোনরকমে লেখাপড়ারে ছুট্টি দিয়া চাকুরি করি..... ;) ;)

তিথীডোর এর ছবি

বটে। 8)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

=DX =DX =DX

হুমম... হবু ডঃ মাহফুজুর রহমানের জন্য কি শুভকামনা জানাব? নাকি সমবেদনা? :-?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

এখানে কোবির নীরব হয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই বাছা।
অবশ্যই সমবেদনা। ;)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আহা বেচারা! :(

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মুস্তাফিজ এর ছবি

এক ছবিতে ক্লিক করেই পুরা ফ্লিকারই তো দেখা যায়! তিনবার দেয়ার মানে কি?

...........................
Every Picture Tells a Story

মুস্তাফিজ এর ছবি

মাইনাসদিলাম :)

...........................
Every Picture Tells a Story

তিথীডোর এর ছবি

ছবি তো চারটা, পয়লাটা রেখে বাকিগুলো সরিয়ে নিতে কচ্চেন?
গরিব বলে আমাদের কি সাধ-আল্লাদ নেই!

আমিও মাইনাস দিলাম। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মুস্তাফিজ এর ছবি

সেইটা কই নাই, ছবির সাইডে স্ক্রল মার্ক আছে, সেখানে ক্লিক করলে তোমার ফ্লিকার একাউন্টের অন্যছবি গুলাও দেখা যায়।

...........................
Every Picture Tells a Story

তিথীডোর এর ছবি

অ, তাহলে ঠিকাসে।
আরেকটা মাইনাস দেন (/দিই) তাহলে, দুটো মিলে প্লাস হইবেক। :D

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মুস্তাফিজ এর ছবি

তাই হয়েছে দেখাচ্ছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

তিথীডোর এর ছবি

:)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায়তো কোনো ঘোড়া দেখি না, ছবিতে দেখি কেন? ঠিক দেখিতো?

যা হোক লেখা আর ছবি খুব ভালো লাগলো।

স্বয়ম

তিথীডোর এর ছবি

ঘোড়া! ঘোড়া কোথায় পেলেন! :O :O :O

যাই হোক, পাঠ আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্লিক কইরা আপনের অনন্য ছবিগুলাও দেখলাম। ওইখানে কয়টা বোকা ঘোড়া পিঠে মানুষ নিয়া ঘুরতেছে। তাই বলা।

স্বয়ম

তিথীডোর এর ছবি

ওগুলো ঘোড়া না হে, খচ্চর। শুদ্ধভাষায় যাদের বলে অশ্বতর।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা--- যাক খচ্চরতো চিনলাম। অশ্বতর শব্দটা জানতাম না।

স্বয়ম

শাব্দিক এর ছবি

লুলপ্রুষের মত আমারও ইতিউতি দু-চারটে ছবিটবি দেখতে মুঞ্চায়।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তিথীডোর এর ছবি

তোমার অরিয়েন্টেশনে সমস্যা নেই তো? ;)
ডাগদর দেখাও। :p

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে (Y)

মহাবিশ্বের পরিব্রাজক

তিথীডোর এর ছবি

ধন্যবাদ। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ঔই বেটিরে বালিশ চাপা দেন নাই ক্যান?আমি হইলে তো নাক খান ভাংতাম!!!ঘুম হইলো পবিত্র কাজ তাতে বাগড়া দিলে চলবে ক্যামন কইরা?

-----------
রাধাকান্ত

তিথীডোর এর ছবি

জীবন থেকে এক রাতের ঘুম সদকা দিলাম আর কী। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

এক লহমা এর ছবি

মজার লেখা, ভাল পাইলাম :)

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর এর ছবি

পাঠের জন্য ধন্যবাদ! :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তানিম এহসান এর ছবি

ভাল লাগলো, সর্বশেষ ছবি’টা খুবই সুন্দর।

তিথীডোর এর ছবি

মন্তব্যের জন্য (ধইন্যা)। :)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ময়ুখ কিরীটি এর ছবি

কতিপয় সচলের আঙুলের চাপাচাপিতে (লেখায় ;) ) অ্যাদ্দিন আপনার কীর্তন শুনলেও এই অভাগা আপনার দিনমানগাঁথা প্রথম পড়ছে এবং ছাপ রেখে যাচ্ছে......প্রবাস বিশেষ করে সেটা যদি ভ্রমণ সংক্রান্ত হয় তাহলে বেশিরভাগই এক নি:শ্বাসে পড়ে পেট ভরে ফেলি......সাধারণত লেখার রসবোধ সবসময় আমাকে না হাসালেও আপনার দু'একটা লাইন আজ আমার গালে বিস্তৃত ভাঁজ ফেলে দিয়েছে বৈকি......মুরিদ হয়ে গেলাম....একটু ফুঁ দিয়ে যে কোন একটা পড়া ধরিয়ে দেন $)

মুরিদের একটা জিজ্ঞাসা ছিল- আপনি কি প্রকৌশলী? মেসওয়াক করেন না পিঁয়াজ কাটেন? :p

তিথীডোর এর ছবি

নাহ। :)
আমি আগাগোড়া ব্যবসায় প্রশাসনের কেটিটিপি (কোনমতে টেনেটুনে পাশ) ক্যাটাগরির ছাত্রী। কৌশলী এবং প্রকৌশলী-- এই দুই জাতের লোকজন ডরাই। ;)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লেখা ভালৈছে।

আমি আইলসা মানুষ চার বছর কানাডায় বসবাস করার পরেও স্কি করতে গেছি মোটে একবার। তাও স্কি করার ঝামেলায় না গিয়ে টিউবিং নামক এক শিশুতোষ জিনিস করে আর সারাদিন এটা সেটে খেয়ে আমার জীবনের প্রথম এবং একমাত্র স্কিইং এর মিশন সমাপ্ত করি।

হাতে ক্যামেরা আমার সাথে সঙ্গীসাথীপশুপাখি যারা ছিল তাদের প্রচুর ছবি ক্লিকবন্দী করছিলাম, কিন্তু ব্যাপক আইলসামি কারণে সেইসব ছবিও হার্ড্ডিস্কের কোনো অতল গহবরে লুকায়ে আছে। কোনোদিন খুঁজে পাইলে আর অলসতা কাটাইতে পারলে সেইসব ছবি নিয়ে একটা ছবিব্লগ দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে গেলাম।

পাহাড়ে আমিও উঠতে যাই নাই কোনোদিন। কোনোদিন যদি উঠি তাইলে মূসা ইব্রাহিমের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে এভারেস্টেই উঠব। ওঠাউঠি আর নামানামির পরিশ্রম না বলে মুজতবা আলীর টাইয়ের সদ্ব্যাবহার করা অনেক মানুষের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় এরকম জায়গায় যাওয়া হয়েছে কয়েকবার। সেইসব ছবিও হার্ড্ডিস্কের কোনো প্রকোষ্ঠে জমা আছে। কিন্তু সেসব আর জনসম্মুখে দেয়ার মত প্রতিশ্রুতি পারলাম না বলে দুঃখিত।

দুঃখবিলাসী লেখা কি এবার ঘুঁচল তাহলে? :D

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তিথীডোর এর ছবি

আমি সম্ভবত গুটিকয়েক কপালপোড়া বাঙালি গ্রাডদের মধ্যে একজন, যার বৈদেশবাসের ফলাফল আশংকাজনক গতিতে ওয়েইট হারানো। =((
ইউজুয়ালি, উল্টোটা হয় জানতাম।
তারপরও, গায়ে তেলের কোন অভাব নেই এবং পারসোনাল ডিকশেনারিতে আইলসামি শব্দটার কোন প্রবেশাধিকার নেই। কম এবং বিনাপয়সায় যত আকাম-কুকাম আছে, পারলে (ক্যামেরাসমেত) সবকিছুতে নাক গলিয়ে বসে থাকি। :p

হরতালে তো ক্লাসটাস বন্ধ থাকার কথা, হার্ডডিস্ক খুঁজে ছবিটবি বের করে পোস্ট দিয়ে ফেলে্ন। :)

দুঃখ-বিষাদ-বিরহ-বিষণ্নতা, এই চারটা টার্ম তো গত একটা জীবন ধরে পঁচিয়ে ফেলেছি অলমোস্ট!
আর কতো? ;)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।