সাঁঝবাতির রূপকথারা..

তিথীডোর এর ছবি
লিখেছেন তিথীডোর (তারিখ: রবি, ১২/০৪/২০১৫ - ১০:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

I'd trade all my tomorrows for one single yesterday...
― Kris Kristofferson
_________________________

উইকেন্ড, ইয়েএএ।
এ‌ত খুশি হবার কিছু নেই, ছুটির দিন মানেই ছুটি নয়। অন্তত এ সপ্তাহে তো নয়ই। আজকে রাত ১১.৫৯, কালকে রাত ১১.৫৯... এরকম আগামি টানা সাতদিন রোজ একটা করে মৃতরেখা, মানে ডেডলাইন আছে আমার। 'বোলগ' লিখতে বসে গেছি দুঃখে, দেখেন না।
ফাঁকে গোটা কয় ছবিও গুঁজে দিতে পারি হয়তো, দেখি।

The end of an affair..

ছুটি ছিল একসময়, অন্য এক জীবনে। সে সময় ছুটির দিন মানে শুক্রবার, ছুটির দিন মানে পিতৃদেব আর মাতৃদেবী দুজনেই সারাদিন বাসায় থাকা, ছুটির দিন মানে দুপুর দুটোর মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়ার তাড়া খাওয়া, এবং খাবার টেবিলে আজীবনের অভ্যাস মতো কোন একটা গল্পের বই সমেত হাজির হয়ে জনকের গালি খাওয়া। সে বয়সে ভদ্রলোকের কাছ থেকে সেটা আদায় করতে অবশ্য কাউকেই খুব বেশি বেগ পেতে হতো না। সে যাক গে।

ছুটির দিনগুলোর বিকেলগুলো ছিলো খানিকটা আলাদা। দুপুরের ভাতঘুম শেষে জননী রান্নাঘরে যেতেন ছোলা-পেঁয়াজু ভাজতে। আমার অতি প্রিয় খাবার। লোভী পেটুকের মতো সিরিয়াসলি ভাবতাম মাঝে মাঝে-- আহা, ভদ্রমহিলা চাকরি না করলে কতো ভাল হতো! রোজ বিকালে এসব ভাল-মন্দ খেতে পেতাম। দেঁতো হাসি

গত রোজায় এই খাবারটা মিস করেছি। একা একা ডর্মে থাকি তখন, রান্নায় হাত তখনো শোচনীয়। কে খামোখা এতো খাটনি করতে যাবে। আর দেশে বসে আম্মাজানের আফসোসের ঘটা, আহারে.. আমার মেয়েটা ইফতার খেতে পেল না।
এইবার কবজি ডুবিয়ে খাবো। এই তো, আর মাসখানেক। অল মাই ব্যাগস আর প্যাকড, আ'ম (অলমোস্ট) রেডি টু গো। সেমিস্টারটা ফুরোলেই, ভোঁওওওওও.....

রুমমেট (রেজিউমেতে ভলান্টারি ওয়ার্ক সেকশনে লেজ লাগানোর জন্যে অবশ্য) লোকাল এলিমেন্টারি ইস্কুলে বাংলাদেশের ওপর শর্ট প্রেজেন্টেশান দিতে গেল গত সপ্তায়। আমাকেও একবার সেধেছিলো বটে, তবে পৃথিবীর ভয়াবহতম আংরেজি জ্ঞান, অতি দ্রুত কথা বলার বদভ্যাস আর লাগাতার অবরোধ (ঐ যে অভিশপ্ত ডেডলাইন) এর ভারে সাহস করিনি। রাতে সহকারি হয়ে পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড বানাতে হেল্প কচ্ছিলাম, এতো টায়ার্ড ছিলাম... দেখা গেলো এক পর্যায়ে ল্যাপটপের ওপর কল্লা রেখে, হেডফোনের তার কানে হাতে পেঁচানো অবস্থাতেই বেহুঁশের মতো ঘুমিয়ে গেছি।
সাতসক্কালে উঠে ফাইনাল এডিট করার সময় সুন্দরবন, কক্সবাজার, পহেলা বৈশাখ -- এসবের একেকটা ছবি নেট ঘেঁটে নামাই, আর দেখি বেকুবের মতো ভ্যাক ভ্যাক করে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। হলো কিছু!

একসময় যখন প্রতি পোস্টে গোটা দশেক কোবতে আওড়ানোর ব্যারাম ছিলো, সুনীল পড়া হতো অনেক।
'কপালে দুই ভুরুর সন্ধি, তার ভিতরে ইচ্ছে বন্দী...
আমার খুব ইচ্ছে হয় ভালোবাসার মুঠোয় ফেরা!'

সুনীলেরই তো এটা, নাকি? দেশে ফেরা মানে, সেইরকম মুঠোয় ফেরা নয়? হাসি

The way the soul says hello..

প্রিয় সময়ে ফেরার অনেকগুলো ফন্দি আছে, পুরোনো ডায়রি, চিঠি, ছবি, খামে সাঁটা চিরকুট, ফেসবুকের টাইমলাইন ইত্যাদি ইত্যাদি। ই-বুকের তো কমতি আর নেই, টিনটিন নামিয়ে নিলে এক ছুটে শৈশব ছুঁতে আর কতক্ষণ! জনসন-রনসন, বিয়াঙ্কা দ্য কোকিলকন্ঠী, নেস্টর, হ্যাডকের গালিগালাজের তুবড়ি আর ছোট্ট কুট্টুশ। চারকোনা এক একটা পাতায় আটকা একটা আস্ত জীবনের আসমুদ্র ছোঁয়া ছেলেমানুষি সুখের সেইসময়টুকু! টাইম মেশিনের মতো।

সবচেয়ে সহজ উপায়ে স্মৃতিতে বেড়ানোর উপায় আমার কাছে গান। একদম সাঁই করে পেটকাটা ঘুড়ির আকাশে উঠে যাওয়ার মতো। ধরুন রবিবুড়োর কোবতের নামছে যদিও সন্ধ্যা, সাড়ে সাতটা কি পঁয়তাল্লিশ ঘড়িতে। ক্লাস শেষ, কাজ শেষ। বসে আছি ইয়েলে, ইউনির শাটল স্টপ। সেই দুপুরে পেটে পড়েছিলো পিস দুয়েক জ্যাম মাখা রুটি আর দুটো স্নিকারস, খিদেয় পেট চুঁই চুঁই।

এইসব, এইসব কিছুর সঙ্গেই হাজির হয় অ্যালবুকার্কি শহরের সেই বিখ্যাত বাউলা টাইপ বাতাস, স্কার্ফ উড়িয়ে নেয়া হাওয়ার ফাঁকে সাবধানে রাস্তা পার হবার সময়, হিমশীতল রাত নেমে আসার মুখটায় টুক করে যদি নিউরনে বেজে ওঠে রাত জাগা তারা, মনে হয় না একটানে... নিঃশব্দ গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসা অন্ধকারে, চোখ বেঁধে দেওয়া আলোতে, চোখের সামনে হাজির হয়েছে ফেলে আসা ওই আরেকটা জীবনের বিচ্ছিরি একটা তারা, আরেকটা জীবনের মানুষগুলো, কান্নার রং আর জোছনার ছায়া সমেত?

As the year pass..

মাঝে মাঝে গানের সঙ্গে ছোটবেলার স্বপ্নগুলো ফিরে আসে বা দুঃস্বপ্নগুলো। খোলা জানালায় ধূলোর মতো আসে বেঁচে থাকা দিনের গন্ধ, নিজেই নিজের ছায়াকে ঘেন্না করে মরে যেতে চাওয়া কোন কোন রাতের বুনোফুলের গন্ধ, গন্ধ ভেসে আসে অমর বইঘরের পুরোনো বইয়ের, ছেড়ে দেওয়া কারো ফেলে যাওয়া কলহের ঘেয়ো দুর্গন্ধ ..কিংবা ধরে রাখতে চেয়েও হারিয়ে ফেলা প্রিয় কারো নিজস্ব কোন গন্ধ। একটা গনগনে রোদ ঝলমলানো দিনে অনেক, অ-নেকটা সময় ধরে ঘোলা কাচের জানালার পাশে বসে থাকলে যেমন একটা কুয়াশা মাখা রোদের গন্ধ পাওয়া যায়.. তেমন।

তারপর ঐ গন্ধটা সমেতই আবার এখনকার ঘড়িতে ফিরে আসতে হয়। অনেকগুলো তারিখ ছোঁয়া বাকি এখনো, বাকি অনেকগুলো পেপার। আরেকটা গান ছেড়ে খুটখাট শুরু করি সেজন্য।

গানগুলো আমার মুখোশ, পৃথিবীর অন্য একটা পাশে যাবার সময়টা কতোটা বাকি সেটা ভুলে থাকার জন্য। যেই পাশে ডরমেটরি না, একটা বাড়ি আছে আমার, সে বাড়িতে একটা ঘর, একদম নিজের, ঘরে দুটো শেলফভরা আমার বইগুলো, আছে স্বজন, আছে প্রিয়জন, যাদের জন্যে হাত আর লাগেজ ভরে গিফট নিয়ে যেতাম সাধ্যে কুলালে, পৃথিবীর যে পাশটায় আমার প্রয়োজন আছে কোথাও না কোথাও, কিংবা হবেই.. কখনো না কখনো।
যে পাশে আমি একটা পরিবারের অংশ।
হয়তো বাড়ির সবচেয়ে অস্থির, জেদী, অবাধ্য মেয়েটা, তবুও বড় আদরের মেয়ে।

আসন্ন আড়াই মাস ছুটির সময়টায় বসে বসে খাওয়ার নিশ্চিন্ত আরামের ধান্দা নিশ্চিত করতে আরেকটা গানসমেত আমি বরং আপাতত কাজের ধান্দায় ফিরে যাই।

_______________________________________________________________
ঠ্যাঙনোট : আরএমবিএ ক্লাসের এক প্রাক্তন সহপাঠী গত পরশু নক করে জানতে চাইছিল সচলগিরি ছেড়েছি কি না। আড়াই বছরের যোগাযোগহীনতায় বালিকার কথা ভুলে গিয়েছিলাম, নাম মনে করতেও সময় লেগেছে খানিক। বুড়ো হয়ে গেছি তো।
'দিনা' বেগম, এই হাবিজাবিটা তোমার জন্য। হাসি

A wet smile


মন্তব্য

এন জে শাওন এর ছবি

যাহা বুঝিতে পারিলাম তাহা হইল আপনি দেশ ও মাকে খুব মিস করছেন। আপনার লিখাটা যদিও অর্থহীন বা উদ্দেশ্য হীন তবু সুন্দর হইছে, মাঝে মাঝে এরকম আউলা কিছু লেখা পড়তে মন্দ লাগেনা।

তিথীডোর এর ছবি

আমার সব লেখাটেখা এরকম-ই রে ভাই। হাসি
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সে সময় ছুটির দিন মানে শুক্রবার, ছুটির দিন মানে পিতৃদেব আর মাতৃদেবী দুজনেই সারাদিন বাসায় থাকা, ছুটির দিন মানে দুপুর দুটোর মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়ার তাড়া খাওয়া, এবং খাবার টেবিলে আজীবনের অভ্যাস মতো কোন একটা গল্পের বই সমেত হাজির হয়ে জনকের গালি খাওয়া।

আহা, অতীত মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

স্মৃতি বড় উচ্ছৃঙ্খল, ইউ নো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

যে পাশে আমি একটা পরিবারের অংশ।
হয়তো বাড়ির সবচেয়ে অস্থির, জেদী, অবাধ্য মেয়েটা, তবুও বড় আদরের মেয়ে।

চলুক

আমার বাপ-মায়ের আমিই সবচেয়ে অস্থির, জেদী, অবাধ্য কিন্তু বড় আদরের মেয়ে। কতটা পথ দূরে আমার প্রিয় পরিবার এখন!

দেবদ্যুতি

তিথীডোর এর ছবি

বাড়ি ফিরুন এবার পারলে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি এর ছবি

জুনের দিকে তো মনে হয় রোজা শুরু, সেসময়ে যাচ্ছো নাকি দেশে? দেখা হলেও হইতে পারে কিন্তু দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

মে'র ঠিক মাঝে উড়বো, ১৫।
অনেকদিন থাকবো তো, চট্টগ্রামে ঘুরে যেও একবার সময় নিয়ে, 'বাতিঘর' দেখতে। বা আমি ঢাকায় গেলে মোলাকাত করে ফেল্লুম। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি এর ছবি

ঢাকায় আসলে খবর দিও তাহলে। আমি গেলে জানাবো এনশাল্লাহ।
শুধু বাতিঘর কেনু? চট্টগ্রামের পরিচিত যতগুলো ঘর সম্ভব দেখার ইচ্ছা আছে। দেঁতো হাসি
খুব করে খাইদাই করে এসো। ছোলা পিয়াজু যত পারো গাপুশ গুপুশ(ভান্মাম্ভুল?) খেও হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঢাকা আসলে পাঠক সমাবেশের নতুন দোকানটাও ঘুরে যেতে পারেন।
(আর হ্যাঁ, আসার আগে দাওয়াত দিয়েন। একলা বইকেনা ভাল না।)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

একা কিনতে যাচ্ছে কে? ধরেন, বড়লোক চাকুরে 'বন্দু'রা দলেবলে প্রীতিউপহার হিসেবে বইটই কিনলো, আমি খালি পাশে থেকে এট্টু দেখিয়ে টেখিয়ে দিলাম আমার কোনটা কোনটা লাগবে।
আইডিয়া ভাল না? দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আয়নামতি এর ছবি

পাঠক সমাবেশের নতুন দুকান্টা আপ্নের নাকি? তাইলে তো আমার আর তিথীর পোয়াবারো দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

বাতিঘর বেস্ট, কারণ ওটা সিটিজিতে। লইজ্জা লাগে
পৃথিবীতে চট্টগ্রামের চেয়ে মায়াময় শহর আছে - আমি বিশ্বাস করি না...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বন্দনা এর ছবি

রোজায় দেশে যাচ্ছো ভালমন্দ খাইবার জন্য!!ফিরছো কবে ? আমি হয়তো অগাস্টে যাচ্ছি।

তিথীডোর এর ছবি

দেখা হবে না তো তাহলে, আগস্টের পাঁচে ফিরতি ফ্লাইট আমার।
পুরো সামার বসে বসে খাবো। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বন্দনা এর ছবি

আমি ১-১০ থাকার প্লান করছি, দেখি এখন ও কিচ্ছুই ঠিক নেই।

তিথীডোর এর ছবি

ফাইনাল হলে জানিও আর কী। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

মুঠোয় ফিরছেন তাহলে?

কবিতাটা সুনীলেরই।

স্বয়ম

তিথীডোর এর ছবি

হ, দেড় বছর পর আড়াই মাসের বিশাল ছুটিতে। দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

খুকিগো! নাকি বড় হয়েছো? তা, যাই হও, তোমার লেখা মাঝরাতে শুনশান নিরবতায় মৃদু আওয়াজে গান শুনতে শুনতে পড়তে আমার মাঝে এক ধরনের স্মৃতিমেদুরতা ভর করে! কেমন এক বিষণ্ণ ভাব! কিন্তু সে ভাবটিও বড্ড মোহময়! ভাল থেক। হাসি

তিথীডোর এর ছবি

এই খুকি শব্দটা ব্যান করা যায় কী দিয়ে! ২০০৫-২০১৫, সেই দশ বছর আগে এইচএসসি পাশ দিয়েছিলাম..
আর কতোকাল ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়, আর কতকাল দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন ইত্যাদি ইত্যাদি।

পাঠে কৃতজ্ঞতা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আন্নে ২০০৫ এ এইচেসসি দেছেন নি? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

আবার জিগায়!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তাইলে, খুকিই কওন যায়, অদল-বদলের দরকার নাই। দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

চোপরাও!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

শয়তানী হাসি বেশ হয়েচে মুখপুড়া!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

অন্যের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে উগ্রতা পরিহার করুন চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এক লহমা এর ছবি

এই মেয়ের লেখা পড়বার জন্য অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু এত বকাবকি করে!
তিথী-দিদির যতটা ভালো থাকতে ইচ্ছে করে সারা বচ্ছর ধরে তার অনেকটাই যেন সে থাকতে পারে এই আকাঙ্খা জানালাম। আমি কিন্তু খুকি বলি নাই তিথীদিদি (আমার মেয়ের থেকেও ছোট, কিন্তু তা বলে খুকি বলতে হবে! না, না, সে মোটেও ঠিক কথা নয়! হাসি ) ।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তিথীডোর এর ছবি

আমার আবজাব পড়ার জন্য তো দুই বছর অপেক্ষা করতে হয় না গো দিদি। হাসি
আমি বৃষ্টি পড়লেই লিখি, না পড়লেও। পানিশমেন্ট, পচানি, প্রেম, প্রত্যাখ্যান, পরীক্ষা, প্রবাস-- কোন 'প'ই আমার পোস্ট থামাতে পারে নি। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লহমাদা বোধহয় রানাপ্পু আর খুকিদির গড় হিসেব কচ্চেন। যাকগে, এত "প" এর ছড়াছড়ি কেনু? "প" এ পাকিস্তান ও হয় কিনা! চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

ওটা ফাকিস্তান হবে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হমম... ঠিকাছে হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

গেলি!

আয়নামতি এর ছবি

কথাটা কিন্তু বদের বদ সত্যবতীকে বলেছি। এই বক্তব্যবাজির জন্য

অন্যের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে উগ্রতা পরিহার করুন

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
শয়তানী হাসি

____________________________

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

কী বলবো? হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি আপনার মনের অবস্থা। কিস‌্যু ভাল্লাগে না - সব আছে চারিদিকে, তবু কিছুই যেন নেই! সেই যে এনশিয়েন্ট ম্যারিনার এ ছিল না - ওয়াটার ওয়াটার এভরিহোয়্যার, নর এনি ড্রপ টু ড্রিঙ্ক। ঠিক যেন সেই রকম অবস্থা।
যাই হোক, শুভ দেশাগমন। আর হ্যাঁ - মরূদ্যান যখন খুকী বলেছে, তখন আমার কাছে খুকীটি!!

____________________________

মাসুদ সজীব এর ছবি

খুকি ডাকার বিষয়ে সাক্ষীর মন্তব্যে সহমত জানিয়ে গেলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

তিথীডোর এর ছবি

সবডিরে অভিশাপ দিলাম, বচ্ছরকার দিনে ডাইরিয়া হয়ে বাথরুমে আটকে থাকুক।
মুহুহুহু। শয়তানী হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এখানে কোনও কাঠবেড়ালী নেই খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মন মাঝি এর ছবি

সুন্দর লেখা। আমি দেশে থেকেও নস্টালজিয়ায় ভুগি। চিন্তিত
ফ্লিকার দিয়ে স্লাইডশো ক্যামনে করে একটু শিখান না, প্লিজ!

****************************************

তিথীডোর এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
স্লাইডশোর সেটিংস তো ভাই নিজেই ভুলে গেছি! চিন্তিত
ঘেঁটে দেখি একটু..

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

বাবা মা, ভাই, বন্ধু সবাই নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকি, মাঝে মাঝে কিভাবে যেন কার কার সাথে দেখা হয়ে যায়। তাতেই খুশি মেলে। আর ভাবি, তাও তো সবাই এই একটা ছোট্ট নীল গ্রহে আছি বেশ। আমার ছানা বড় হতে হতে যদি মানবজাতির মঙ্গল বাস শুরু হয়ে যায়, আর ছানা যদি গ্রহান্তরী হতে চায়, তখন আমার কি হবে???

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তিথীডোর এর ছবি

পৃথিবী হলো ফাউল নিগার সুলতানা, হুদাই যেখানে টিকে থাকার যুদ্ধ করতে আর ভাল লাগে না।
কম্বলের মতো নিরুদ্দেশ হয়ে চাঁদে চলে যেতে পারলে হতো। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চাঁদে!! কামাড়ুর লিগ্যা প্যাট পুড়ায়?? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

কামড়ার জন্য না, টেনিদার জন্য। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হে হে... চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর? চিন্তিত
হুমম... জয় মা নেংটীশ্বরী দেঁতো হাসি

[ 'চন্দ্রকান্ত' আরবিতে অনুবাদ করলে 'কামারুজ্জামান' গোছের কিছু একটা হয় চোখ টিপি ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তন আনন্দময় হোক, স্মৃতির জাদুঘর পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক আরো। শুভকামনা হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

তিথীডোর এর ছবি

ইয়া হাবিবি! ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রানা মেহের এর ছবি

লেখার সাথে ছোট্ট ছবিটাও খুব কিউট লাগলো।

প্রথম বার দেশে যাবার আনন্দের সাথে কিছুর তুলনাই হয়না।
আমি যেবার প্রথম দেশে গেলাম তখনতো ফেইসবুক সচল কিছুই ছিলনা।
টেক্সট করে করে ফোন করে করে একদম স্বল্প পরিচিত লোকদেরো বলেছিলাম,
দেশে আসছি ভাই, দেখা হবে।

কতদিন দেশে যাইনা মন খারাপ

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তিথীডোর এর ছবি

আমার রুমমেট ভয় দেখিয়ে দিয়েছে ক্যাম্পাস পুলিশের হাতে ধরা খাবার। যেভাবে ছবি তোলার কুমতলবে ফুলটুল ছিঁড়ে নিয়ে আসি। ইয়ে, মানে...

গতকাল নেমসেক মুভিটা দেখলাম। স্কাইপ, ভাইবার, ফেসবুক ছাড়া ঐ সময়ে দেশ ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে গিয়ে লোকজন থাকতো কী করে আসলে!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মরুদ্যান এর ছবি

সাঁঝবাতির রূপকথা নামে সামুতে একজন বোলোগ দিয়া ইন্টারনেট চালাইতেন, মনে পড়ে গেল।

লিখা ভালৈসে, আর ০৫ এইচ এস সি তো খুকীই। চোখ টিপি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তিথীডোর এর ছবি

সামু তো পড়তাম না। সচলায়তন-ই প্রথম বাংলাদেশ আর শেষ বাংলাদেশ টাইপ আর কী। হাসি

জয় গোস্বামীর একটা বইয়ের নাম সাঁঝবাতির রূপকথারা, ওখান থেকে নেওয়া। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আগেই পড়েছি কিন্তু মন জুড়ে বিষাদ থাকায় মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি।
আপনার স্মৃতিকথন টাইপ লেখা বেশ লাগে। মনের বিষাদ গাঢ় হতে হতে আচমকা আলোর দেখা পাই।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

তিথীডোর এর ছবি

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি
আমি নিয়মিত প্রায় সবার লেখাই পড়ি, সময়ের অভাবে হয়তো লগিন করে আর মন্তব্যটা করা হয় না।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ডেডলাইন তো সব শেষ নিশ্চয়ই। বাড়ি ফেরারও সময় প্রায় হয়ে এলো। গান শুনতে শুনতে বরং এবার ব্যাগবোচকা গোছান। হাসি

তিথীডোর এর ছবি

এই তো, আট তারিখে বিকেলে শেষ ফৈক্ষা। ২৪ ঘন্টা লম্বা হয়ে শুয়ে থাকবো, এরপর লাফ দিয়ে উঠে গাঁটরি বাঁধতে শুরু করবো। দেঁতো হাসি
আপনি তো কামেল মানুষ, ফি সপ্তাহে দেশ-বিদেশ সফরে যান। এবার দেখা হলে বোতলে পদধূলি নিয়ে নেবো নে। চাল্লু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কল্যাণ এর ছবি

খুব বুঝতে পারছি আপনার অবস্থাটা। আর চট্টগ্রাম তো অসাধারণ। জীবনে প্রথমবার হাক্সোবাজার গিয়ে ফেরার পথে সৌদিয়া বাস থেমেছিল দামপাড়া বাসস্ট্যান্ডে; বাস থেকে নেমে ধুম্রপান করতে করতে উল্টোদিকে তাকিয়ে দেখি জলজ্যান্ত এক পাহাড়! কি সব্বোনাশ, এইখানে তাহলে ঘরের জানালা খুললেই পাহাড় দেখে মানুষ? বেকার আমি মনে মনে খুব ভাবতেছিলাম - আহা চট্টগ্রামে একটা চাকরি পেলে কি মজাই না হত! আর কি আশ্চর্য, তার দুই মাসের মাথায় একটা চাকরি হয়ে গেলো, অফিস দক্ষিণ খুলশিতে। কি যে সব দিন গেছে তখন!

ছুটিতে দেশে গেলে সময়টা দ্রুত ফুরিয়ে যায়, কিচ্ছু বোঝা যায় না, তাই না! কত কিছু না করা থেকে যায়। আপনার ছুটিও মনে হয় শেষ হচ্ছে? ভালমত ঘুরে আর আড্ডা দিয়ে নিন এইবেলা।

আর ইয়ে কিছু মনে করবেন না, ২০০৫ এ উচ্চমাধ্যমিক মানে খুকিস্য খুকি তস্য খুকি খাইছে

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তিথীডোর এর ছবি

জাস্ট শহরের ড্রেনেজ সিস্টেমটা আর-একটু সুবিধের হলে চট্টগ্রাম 'বেহেশত অফ বাংলাদেশ' হয়ে যেতো।
টানা বৃষ্টিতে অহেতুক পানিবন্দী হয়ে ঘোরাঘুরি আর আড্ডায় প্যাঁচ লেগে যাচ্ছে বারবার।

ছুটি শেষের পথে, আর সপ্তাহখানেক। ফের উঠো মুসাফির, বাঁধো গাঁটুরিয়া ফেইজ আর কী।

আর ইয়ে কিছু মনে করবেন না-- লাইনটা দেখি নাই, পড়িনাই। রেগে টং

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কল্যাণ এর ছবি

হ্যা, এইটা একটা সমিস্যা বটে। আমি একবার ঢাকা থেকে ফিরে আটকা পড়েছিলাম, ঘন্টা চারেক বসে ছিলাম বাস কাউন্টারে। পরে ম্যালা ঝামেলা করে অফিসে গেলাম, যেয়ে দেখি পানিতে একেবারে ভাসাভাসি কান্ড। অফিসের স্টোরে পানি ঢুকে কিছু মিটার নষ্ট হয়ে গেলো, ভেন্ডিং সেন্টারেও পানি ঢুকে যা তা অবস্থা।

আমার ওই মন্তব্য পর্যন্তই দৌড়, ধন্যবাদ দিলে লইজ্জা লাগে

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ধন্যবাদ মনে হয় আগের মন্তব্যের শেষাংশের জন্য, অবস্থান তাই বলে চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

কল্যাণ এর ছবি

দেঁতো হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।